![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বন্ধুরা সবাই পরীক্ষা দিতে বসলো। পরীক্ষায় পাশ হলেই সবাই বৃটিশ সরকারের কেরাণী হবে।কিন্তু একটি ছেলে সে কেরানী হতে চায়না। সে উচ্চ শিক্ষা পাশ করে ম্যজিস্ট্রেটও হতে চায়না। সে অশিক্ষিত মূর্খ রেলওয়ে স্টেশানের কুলিও হতে চায়না। খেটে খাওয়া মজুর, গামে-কাদায় ভেজা চাষাও সে হতে চায়না।সে ভাবে পরাধীন সাম্রাজ্যে রাজাও যা, গোলামও তা।
সে নিজের শার্ট ফুটপাতে বিক্রি করে খালি গায়ে ঘোরে। এতিম কিশোরটি বোন আর বৌদির বালা চুরি করে গোপনে বানিয়ার দোকানে বিক্রি করে।এরপর সব টাকা দিয়ে ছেলেটি বইয়ের পরিবর্তে কিনে বারুদ। বারুদের ঘ্রাণ নাকে নিয়ে ছেলেটি কোনো রাতে ঘুমায়। কোন রাত বারুদ নিয়ে খেলা করে রাতভর কাটিয়ে দেয়।
ওর বন্ধুরা যখন পরপর ক্লাশ পাশ দিয়ে গোলাম হওয়ার প্রতিটি সিঁড়ি সাফল্যের সাথে অতিক্রম করে, ছেলেটি গোপনে সবার চোখের আড়ালে তখন বোমা বানানোর এক অপ্রতিরোধ্য কারিগর হয়ে ওঠে। বিপ্লবের নেশায় কিশোরটি দুচোখ বন্ধ করতে পারেনা। চোখ বন্ধ করলেই দেখে পরাধীনতার শৃঙ্খল। রক্তের স্ফুলিঙ্গ ধমনীর ভিতর ফুটতে থাকে। শিরায় শিরায় ছড়াতে থাকে বিপ্লবের বারুদ। কিশোরটি বৃটিশ বড়লাট কিংসফোর্ডের সাম্রাজ্য বোমায় ওড়িয়ে দিতে অগ্নিঝড় হয়ে মজঃফরপুরে আসে। ক্ষীপ্রতেজী ব্যাঘ্রের মতো রক্তচোখে অপেক্ষায় থাকে বড়লাটের। কিংসফোর্ডের সাদা ফিটন গাড়ী বোমার আঘাতে মুহুর্তেই চুর্ণবিচুর্ণ হয়। কিন্তু বেঁচে যান কিংসফোর্ড। ধরা পড়ে এক অসমসাহসী বোমারু বিপ্লবী ক্ষুদিরাম।
এরপর এক করুণ , মর্মন্তুদ ইতিহাস। ১৮ বছরের এক তরতাজা কিশোর হাসতে হাসতে ফাঁসির মঞ্চে এগিয়ে যায়। কারাফটকের বাইরে হাজারো জনতার কণ্ঠে প্রকম্পিত হতে থাকে বিপ্লবী শ্লোগান। দারোগার হাত থেকে খসে পড়বে রুমাল। ফাঁসিতে ঝোলানোর ঠিক আগে কারা কর্তৃপক্ষ বিপ্লবী ক্ষুদিরামের কাছে জানতে চায়, মৃত্যুর আগে তোমার শেষ ইচ্ছা কি?
ক্ষুদিরাম বলে- বিপ্লবীর সাথে সম্মানের সাথে কথা বলুন। আপনি করে সম্বোধন করুন। তারপর, এক সেকেন্ড অপেক্ষা না করেই নিঃশঙ্কচিত্তে বলে উঠলেন, ‘আমি ভালো বোমা বানাতে পারি, মৃত্যুর আগে সারা ভারতবাসীকে বোমা বানানো শিখিয়ে দিয়ে যেতে চাই।"
কত ক্ষুদিরাম কেরাণি, ম্যাজিস্ট্রেট হয়ে পৃথিবীতে থেকে চলে গেছে- কিন্তু বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বৃটিশ বিরোধী মহান বিপ্লবের অগ্নিঝাণ্ডা হয়ে আজো রয়ে গেছেন। মহান বিপ্লবী ক্ষুদিরাম সেদিন নিজের গলায় ফাঁসী নিয়ে স্বাধীনতার যে বীজ বুনেছিলেন - সেই স্বাধীনতার ছায়ায় বসে জানাচ্ছি আজ আপনাকে জন্মদিনের বিপ্লবী অভিবাদন। কাশ্মীর,ফিলিস্তিন, চেচনিয়া, ফ্লেন্ডারস,তিব্বত, ক্যুবেক,কসোভো,কুর্দিস্তান,ক্যাটালোনিয়া, মিজো, নাগা, ত্রিপোরা সহ পৃথিবী প্রতিটি দেশের স্বাধীনতাকামী বিপ্লবীরা দীর্ঘজীবী হোক।
বিপ্লবী ক্ষুদিরাম জিন্দাবাদ।
"ওরা বীর , ওরা বিপ্লবী, ওরা আকাশে জাগায় ঝড়,
বারুদের অক্ষরে লিখা ওদের জীবন আজো রোমাণ্চকর।"
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৭
খেয়া ঘাট বলেছেন:
ওরা বীর ওরা আকাশে জাগাতো ঝড়/
ওদের কাহিনী বিদেশীর খুনে গুলি বন্দুক বোমার আগুনে আজও রোমাঞ্চকর। +++++++++++++
২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৯
খেয়া ঘাট বলেছেন: "ওরা বীর , ওরা বিপ্লবী, ওরা আকাশে জাগায় ঝড়,
বারুদের অক্ষরে লিখা ওদের জীবন আজো রোমাণ্চকর।"
৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২১
মাকড়সাঁ বলেছেন: বিপ্লবী ক্ষুদিরাম
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৪
খেয়া ঘাট বলেছেন:
"ওরা বীর , ওরা বিপ্লবী, ওরা আকাশে জাগায় ঝড়,
বারুদের অক্ষরে লিখা ওদের জীবন আজো রোমাণ্চকর।"
৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০০
বিপরীত বাক বলেছেন: অপরিপক্ব জ্ঞানের মানুষ।।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৭
খেয়া ঘাট বলেছেন: এই অপরিপক্করাই স্বাধীনতার গতিধারার পথ রক্তদিয়ে শাণিত করে দিয়ে গেছে।
৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কত ক্ষুদিরাম কেরাণি, ম্যাজিস্ট্রেট হয়ে পৃথিবীতে থেকে চলে গেছে- কিন্তু বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বৃটিশ বিরোধী মহান বিপ্লবের অগ্নিঝাণ্ডা হয়ে আজো রয়ে গেছেন। মহান বিপ্লবী ক্ষুদিরাম সেদিন নিজের গলায় ফাঁসী নিয়ে স্বাধীনতার যে বীজ বুনেছিলেন - সেই স্বাধীনতার ছায়ায় বসে জানাচ্ছি আজ আপনাকে জন্মদিনের বিপ্লবী অভিবাদন। কাশ্মীর,ফিলিস্তিন, চেচনিয়া, ফ্লেন্ডারস,তিব্বত, ক্যুবেক,কসোভো,কুর্দিস্তান,ক্যাটালোনিয়া, মিজো, নাগা, ত্রিপোরা সহ পৃথিবী প্রতিটি দেশের স্বাধীনতাকামী বিপ্লবীরা দীর্ঘজীবী হোক।
বিপ্লবী ক্ষুদিরাম জিন্দাবাদ।
++
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৫
খেয়া ঘাট বলেছেন: বিপ্লবী ক্ষুদিরাম জিন্দাবাদ। বিপ্লবী ক্ষুদিরাম লাল সেলাম।
৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩০
হাসান মাহবুব বলেছেন: অশেষ শ্রদ্ধা রইলো।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪২
খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ।
৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৮
লেখোয়াড়. বলেছেন:
ক্ষুদিরাম ধর্ম বাঁচানোর জন্য বিপ্লবী হন নাই। উনি ব্প্লিবী হয়েছিলেন জাতীয়তার জন্য, মানুষ বাঁচানোর জন্য।
বাংলাদেশের একটি পক্ষ উনাকে নাক শিটকায়। উপরে একজনকে দেখতে পাচ্ছি।
লাল সালাম ক্ষুদিরাম।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৩
খেয়া ঘাট বলেছেন: এসব থাকবেই। তারপরও বিপ্লবীরা ইতিহাস গড়বেই। ধন্যবাদ ভাইজান।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৬
বীরেনদ্র বলেছেন: ওরা বীর ওরা আকাশে জাগাতো ঝড়/ ওদের কাহিনী বিদেশীর খুনে গুলি বন্দুক বোমার আগুনে আজও রোমাঞ্চকর।