![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাইরে অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে। মাস্টার ভাইয়ের দোকানে বসে আমি অলস সময় কাটাচ্ছি। ভদ্রলোকের সাথে পরিচয় মাত্র সপ্তাহখানেক।কাজের ফাঁকে তিনি অদ্ভূত সুন্দর গল্প করেন। টুকটাক কাজে সাহা্য্য করার জন্য দোকানে একটা ছেলে আছে । নাম মজীদ। তিনি মজীদকে ডেকে বললেন-"মজীদ আমাদের দুই কাপ চা দে"। তা ভাইজান আপনার সাথে যে গল্পটি আমি করছিলাম।
আমি বলি, হ্যাঁ। ছোট ছেলে ইয়াকুব চোখ কচলাতে কচলাতে বাড়ি আসলো। এতোটুকু বলেছিলেন।
ও আচ্ছা। ইয়াকুবের মা ছেলের হাত, মুখ ভালো করে ধোয়ে খাবার খেতে দিলেন। ঠিক এমন সময় নামলো ঝমাঝম বৃষ্টি।
মজিদ দুকাপ চা দিয়ে আমার পাশের টুলে বসে। ফিক করে হেসে বলে-ওস্তাদ নতুন গল্প নাই। সেই একই গল্প আর কয়জনকে শুণাবেন।
মাস্টার ভাই মজীদের কথায় কান না দিয়ে উনার গল্প বলতে থাকেন। আমি তন্ময় হয়ে শুণি।
ইয়াকুবের ভাতের প্লেটে শণের ছাউনি ভেদ করে টপাটপ কয়েকফোঁটা বৃষ্টি পড়ে। টিনের প্লেটে বৃষ্টি পড়ে টুং করে ওঠে। ইয়াকুব এবার অন্য জায়গায় গিয়ে বসে। কিন্তু বৃষ্টির ফোঁটা থেকে সে বাঁচতে পারেনা। মা শাড়ি দিয়ে ছেলের মাথা মুছতে মুছতে বলেন- তুই যেখানে বৃষ্টি পড়ে সেখানে বসিস কেন? আন্ধা নাকি, তোর চোখ নাই?
ইয়াকুব একহাতে ভাত খায় আর আরেক হাতে চোখ কচলায়।
মা শাড়ীর আঁচল এবার ছেলের চোখের উপর রেখে মুখে জোড়ে ফুঁ দিয়ে বলেন- চোখ বেশী কচলাইছ না। ঘুম থেকে ওঠলেই ভালো হয়ে যাবে। আর তাড়াতাড়ি খেয়ে ওঠ। খেলতে হবেনা?
মজীদ পাশ থেকে বলে- "মা-তোমার এই এক খেলা ছাড়া আর কোনো খেলা নাই"-ইয়াকুব এখন এই কথাটি বলবে তাই না ওস্তাদ?
মাস্টার ভাই, মাথা নেড়ে মজীদের কথায় সায় দেন।
ইয়াকুব গামছা দিয়ে মায়ের চোখ শক্ত করে বেঁধে দূরে চুপ করে দাঁড়ায়। মা বাঁধা চোখে ছেলেকে খুঁজতে থাকে। কিছুক্ষণ খুঁজাখুঁজির পরই ঝাপটে ছেলেকে ধরলে দুজনেই একসাথে হোহো করে হেসে ওঠে। মা হাসতে হাসতে এবার ইয়াকুবের চোখ বাঁধেন।
কিন্তু ইয়াকুবকে আর বেশীক্ষণ খুঁজতে হয়না। মা সহজেই ছেলের কাছে ধরা দেন। প্রতিদিনই মা ছেলের এই কানামাছি খেলা চলতে থাকে।
আরেকদিন, মায়ের চোখ বাঁধা। মা বলে দেখি, আজকের খেলায় জিতে কে? মায়ের এক হাতে সুঁই আর আরেক হাতে সুতো। ছেলে মুগ্ধ হয়ে মায়ের দিকে চেয়ে আছে। কিছুক্ষণ চেষ্টার পরই মা সুঁইয়ের ভিতর সুন্দর করে সুতো ঢুকিয়ে দেন। এবার ইয়াকুবের পালা। বাঁধা চোখে তার কচি দুহাত থিরথির করে কাঁপছে।
মা ছেলের দিকে অপলক চেয়ে আছেন। ইয়াকুব চেষ্টা করেই যাচ্ছে। ঠিকমতো পারছেনা। মায়ের চোখ বেয়ে অশ্রু নামে। যেটা ইয়াকুব দেখতে পায়না। বেশ কয়েকবার চেষ্টা করলো সে। কিন্তু পারলোইনা। অবশেষে মা ছেলের চোখের বাঁধন খুলে দেন। ছেলে দু হাতের পীঠ দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে মাকে দেখে বলে- মা তোমার চোখ লাল কেন? তুমি কি কাঁদছো?
নারে বাবা - কাঁদছি না । মনে হয় চোখে কিছু পড়েছে। এভাবে মা আর ছেলের এই অদ্ভূত খেলা প্রতিদিন চলতেই থাকে।দিন,সপ্তাহ, মাস যায়। খেলাগুলো ক্রমে আরো জটিল হয়।
আমি বলি-মাস্টার ভাই। মা আর ছেলের মাঝে দেখি এ এক অদ্ভূত ভালোবাসার সম্পর্ক। তো এ খেলায় জিতলো কে?
বৃষ্টি এখন যেন ঝড় হয়ে নামছে। বাতাসের শোঁ শোঁ শব্দ। মাঝে মাঝে বিদ্যুতের চমক আর মেঘমাল্লার গর্জন।
মজীদ চায়ের কাপখানা হাতে নিতে নিতে বলে "ওস্তাদ ,আপনার চা আজকেও আবার ঠান্ডা হলো।"
মাস্টার ভাই -ড্রয়ারের ভিতর থেকে পলিথিনে মোড়া একখানা কাগজ আমার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলেন, "পড়ে দেখেন। তাহলেই বুঝতে পারবেন- খেলাটায় জিতলো কে"?
আমি কাগজখানা খুলে হাতে নেই। দেখেই মনে হচ্ছে- কোনো এক ডাক্তারের দেয়া অনেক পুরানো একটা ব্যবস্থাপত্র।
রোগীর নাম- ইয়াকুব আহমেদ। বয়স- ৮। নীচে রোগের ও নানান ঔষধপত্রের নাম লেখা। তারও নীচে লেখা- বয়স বাড়ার সাথে সাথে চোখের জ্যোতি কমবে। চার-পাঁচ বছরের ভিতরে ছেলে পুরো অন্ধ হয়ে যেতে পারে।
কাগজটি পড়ে চমকে ওঠি।
কি অবাক হচ্ছেন আপনি? জ্বি সবাই আপনার মতোই অবাক হয়।ইয়াকুবের বয়স যখন বারো তখনই তার মা মারা যান। এই কাগজটি পাওয়া যায় মায়ের বালিশের নীচে। মা মারা যাওয়ার দুমাস আগেই বেচারা ইয়াকুব পুরো অন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু এর আগেই তার মা তাকে শিখিয়ে যান কীভাবে অন্ধচোখে সুঁইয়ে সুতো ঢুকাতে হয়। কাপড় কাটতে হয়।সেলাই মেশিন চালাতে হয় সব কিছু। কথা বলতে বলতে এবার তিনি ড্রয়ার থেকে খুব যতন করে রাখা- একটা প্যাকেট বের করেন। প্যাকেটের ভিতর ভাঁজ করে রাখা একটা জামা। হাতে নিতে নিতে বলেন- এটা হচ্ছে ইয়াকুবের হাতে তৈরি করা তার মায়ের জন্য জামা। মৃত্যুর এক সপ্তাহ আগে মা খুব খুশী হয়ে অন্ধ ছেলের হাতে বানানো জামা পরতে পরতে বলেছিলেন-"আমার ছেলেকে আর কোনোদিন ভিক্ষা করে খেতে হবেনা"। এই জামা পরেই তিনি পৃথিবী থেকে বিদেয় নেন।যে জামায় এখনো ইয়াকুব তার মায়ের গন্ধ খুঁজে পায়। বিশ্বাস করেন-ভাইজান। জীবনে একটি কাপড়ও ইয়াকুব ভুল করে কাটেনি। একবারও উল্টাপাল্টা কোনো কাপড় সে সেলাই করেনি।
এই অদ্ভূত গল্প শুণতে শুণতে আমি বলি- তা ইয়াকুব কি জানতো না যে সে অন্ধ হয়ে যাবে? তার মা কি এ কথা তাকে কখনো বলেন নি?
জ্বিনা। পৃথিবীর এতো সুন্দর রঙের ভূবন দেখতে দেখতে একটা ছেলে ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যাবে-সেকথা মা তার অবুঝ ছেলেকে কেমন করে বলবে! তাই, কোনোদিন মা তাকে সেটা বুঝতেও দেয় নি। মা সারাদিন কাজের ফাঁকে একটু অবসর পেলেই নিজের চোখ বেঁধে রাখতেন। এখন বুঝতে পারি,মা ছাড়া এতিম ছেলের অন্ধ জীবন কেমন করে যাবে, হয়তোবা সেটা ভেবেই নিজের চোখ অন্ধ করে ছেলের দুঃখ বোঝার চেষ্টা করতেন।
তা, এই ডাক্তারী ব্যবস্থাপত্র, এই জামা এসব আপনি কোথায় পেলেন?
মাস্টার ভাই কাপড় কাটার কাঁচি একপাশে রেখে আস্তে করে এবার চোখের চশমাটা খুলে-চোখ মুছেন। ভারী কন্ঠে বলেন- বারো বছরে পুরোপুরি অন্ধ হয়ে যাওয়া আমিই সেই ইয়াকুব। টেইলর মাস্টার ইয়াকুব। সবাই ভালোবেসে মাস্টার ভাই বলে ডাকে। আমি অবুঝ ধীরে ধীরে অন্ধ হচ্ছিলাম আমার জন্ম অসুখে। আর আমার আদরের মা অন্ধ হয়েছিলেন তার পুত্র শোকে। কী অদ্ভূত তাই না !
মাস্টার ভাই বলতে থাকেন- একটা কুমির মা একটানা ২০ দিন না ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেয়। সন্তানের যদি কোনো ক্ষতি হয়ে যায় এই দুঃচিন্তায়। একটা মাকড়শা নিজের শরীর খাইয়ে সন্তানদের বড় করে তোলে। একটা টিকটিকি মা বুকে বাচ্চাকে নিয়ে সপ্তাহ ঝুলে থাকে যদি বাচ্চা টিকটিকি হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে নীচে পড়ে যায়। আর এক মানুষ মা নিজের সন্তানের ভালোবাসায় অন্ধ হয়ে দিন,সপ্তাহ, মাস, বছর পার করে দেন। অদ্ভূত। বড়ই অদ্ভূত। আর একমাত্র মায়েরাই এই অদ্ভূত ভালোবাসার সওয়ারী হতে পারেন।
মাস্টার ভাইয়ের শেষ দিকের কথাগুলো আমার বুকে এসে যেন তীরের মতো বিঁদে।আমি আর কিছুই শুণতে পারছিনা। বুকের ভিতর হাহাকার করে ওঠে। কান্নার বাঁধ ভাঙ্গা আওয়াজ শুণতে পাই। প্রবল ঝড়ের মাঝে আমি নীচে নেমে বৃদ্ধাশ্রমের দিকে দ্রুত দৌড়াতে থাকি। মা ডাকছেন- আয় খোকা আয়। কতদিন আমার বৃদ্ধা দৃষ্টিহীন মাকে দেখা হয়নি।
© আরিফ মাহমুদ
আটলান্টা
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩৭
খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ ভাইয়া।
২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১২
পারভেজ উদ্দিন হৃদয় বলেছেন: হ্রদয় ছোয়া গল্প, মায়ের কথা মনে পড়ে গেল
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১৯
খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ ভাইয়া।
৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪৫
এরশাদ বাদশা বলেছেন: অসাধারন!!!!!!
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪৯
খেয়া ঘাট বলেছেন: আহারে এরশাদ বাদশাহ ভাই, কতদিন পর। চিনতে পেরেছেন???
৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৫
স্বপ্নীল পরান বলেছেন: এই ধরণের লেখাগুলো পড়েই আমাকে মায়ের ভালবাসা আঁচ করতে হয়। কেননা সেই চার বছর বয়সেই মাকে হাড়িয়াছি।
দোয়া করবেন মায়ের জন্য.......
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৮
খেয়া ঘাট বলেছেন: অনেক দোয়া রইলো ভাই। আমার আম্মার জন্যও দোয়া করবেন।
৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৫
আহা রুবন বলেছেন: মুগ্ধ হয়ে পড়লাম। অসাধারণ লেখা। আমার নিজেরই চোখের একটা সমস্যা আছে, বার বছর বয়সে ধরা পড়ে বাম চোখ অলস হয়ে বসে আছে। সঙ্গে ডানটাও ক্রমশ দৃষ্টি হারাচ্ছে। নিজের জীবনের সাথে মিলিয়ে পড়লাম। কাহিনীর ভিন্নতা আছে,ঝরঝরে,মেদহীন। শেষ পর্যন্ত টানটান রেখেছে- মনোযোগ হারায়নি। মাঝেমাঝে তো মনে হচ্ছিল বিখ্যাত বিদেশি কোন লেখকের লেখা পড়ছি। অপেক্ষায় রইলাম- নতুন গল্পের।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০১
খেয়া ঘাট বলেছেন: হৃদয় স্পর্শী মন্তব্য। আপনাকেই নিয়েই ভাবছি। আপনি অনেক ভালো থাকুন ভাই।
আপনি কি দয়া করে আপনার এই মন্তব্যটা হুবুহু আমার ফেসবুকে পোস্টে করতে পারেন? কারণ - অনেকেই বিশ্বাস করতে চায়নাযে- এরকম কোনো ঘটনা হতে পারে। বিনম্র ধন্যবাদ রইলো।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০২
খেয়া ঘাট বলেছেন: Click This Link
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৩
খেয়া ঘাট বলেছেন: আমি গল্পটি প্রায় এক মাস ধরে লিখছি। বিশেষ করে চার্লস রে'র কাহিনী পড়ে গল্পটি লিখতে অনুপ্রাণীত হয়েছি।
৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৬
এরশাদ বাদশা বলেছেন: খেয়া ঘাট, পুরোনো ব্লগার...চেনার তো কথা, কিন্তু স্মৃতি শক্তি বিট্রে করেছে কেন....সরি..
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২০
খেয়া ঘাট বলেছেন: ব্লগার বিহঙগ- এবার চিনেছেন???
৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৩
এরশাদ বাদশা বলেছেন: আরিফ ভাই!!!!!!! মাই গড!!!!!
দোষটা তো আমারই....ব্লগ থেকে ছিটকে গেছি, কেমন আছেন আরিফ ভাই?? কেথায় আছেন??
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩০
খেয়া ঘাট বলেছেন: হাহাহহাহাহাহাহা।
জ্বি ভাই। আহা কতদিন পর। আগে কী সুন্দর ব্লগাইতাম
আমি আগের ঠিকানায় আছি। কিছুদিন আগে ফেসুবুকে আরাশি ভাইয়ের সাথে আবার মেলা দিনপর যোগাযোগ হলো।
৮| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৩
প্রামানিক বলেছেন: মাস্টার ভাই বলতে থাকেন- একটা কুমির মা একটানা ২০ দিন না ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেয়। সন্তানের যদি কোনো ক্ষতি হয়ে যায় এই দুঃচিন্তায়। একটা মাকড়শা নিজের শরীর খাইয়ে সন্তানদের বড় করে তোলে। একটা টিকটিকি মা বুকে বাচ্চাকে নিয়ে সপ্তাহ ঝুলে থাকে যদি বাচ্চা টিকটিকি হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে নীচে পড়ে যায়। আর এক মানুষ মা নিজের সন্তানের ভালোবাসায় অন্ধ হয়ে দিন,সপ্তাহ, মাস, বছর পার করে দেন। অদ্ভূত। বড়ই অদ্ভূত। আর একমাত্র মায়েরাই এই অদ্ভূত ভালোবাসার সওয়ারী হতে পারেন।
মাকে নিয়ে অনেক সুন্দর একটি হৃদয় ছোঁয়া গল্প। ধন্যবাদ
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩১
খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ। তবে আপনার মতো ওতো ভালো লিখতে পারিনা।
৯| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৩
আলোরিকা বলেছেন: ' একটা কুমির মা একটানা ২০ দিন না ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেয়। সন্তানের যদি কোনো ক্ষতি হয়ে যায় এই দুঃচিন্তায়। একটা মাকড়শা নিজের শরীর খাইয়ে সন্তানদের বড় করে তোলে। একটা টিকটিকি মা বুকে বাচ্চাকে নিয়ে সপ্তাহ ঝুলে থাকে যদি বাচ্চা টিকটিকি হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে নীচে পড়ে যায়। আর এক মানুষ মা নিজের সন্তানের ভালোবাসায় অন্ধ হয়ে দিন,সপ্তাহ, মাস, বছর পার করে দেন। অদ্ভূত। বড়ই অদ্ভূত। আর একমাত্র মায়েরাই এই অদ্ভূত ভালোবাসার সওয়ারী হতে পারেন।'- বড়ই অদ্ভূত কিছু তথ্য জানা হল ।
আমি একজন মা এজন্য গর্বিত
আবার একই সাথে বঞ্চিত মায়েদের জন্য....
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৬
খেয়া ঘাট বলেছেন: আলোরিকা আলোর মশাল জ্বালিয়ে দিন । অনেক শুভকামনা রইলো।
১০| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৮
এরশাদ বাদশা বলেছেন: শিপন ভাই ফেসবুকে নিয়মিত। যথারীতি ফেসবুকেও আমি মেহমান। যাহোক, খুশি হলাম আপনাকে পেয়ে, ব্লগের আসার কিংবা লেখার ইনসপিরেশন তো আপনারাই। ব্লগে আসক্তি তো আপনাদের কারনেই। আপনারাও চলে গেলেন, মোহও কেটে গেলো। এখন আবার নতুন করে যদি মোহ জাগে, তবে তাও আপনাদেরই কারনে। ভালো থাকবেন।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৮
খেয়া ঘাট বলেছেন: পুরনো সেই দিনের কথা ..........।কত আপনজন ছিলাম....সময় কিভাবে সবকিছু বদলে দেয়। আমিও ব্লগে নিয়মিত না। কিন্তু সেই টানটা রয়ে গেছে। ফেসবুকে একটা রিকোয়েস্ট পাঠালে খুশী হবো। আমি আপনার নামে সার্চ করে পেলাম না।
১১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১০
পারভেজ উদ্দিন হৃদয় বলেছেন: গল্প টা আবার পড়লাম, চোখ দিয়ে মনের অজান্তে দু 'ফোটা অশ্রু গড়িয়ে কখন যে বালিশ টা ভিজে গেল টের পেলাম না, সত্যিই মায়ের ভালবাসা অপরিসীম,
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৮
খেয়া ঘাট বলেছেন: আমার বিনম্র ধন্যবাদ রইলো ভাই।
১২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৫
সুমন কর বলেছেন: একটা কুমির মা একটানা ২০ দিন না ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেয়। সন্তানের যদি কোনো ক্ষতি হয়ে যায় এই দুঃচিন্তায়। একটা মাকড়শা নিজের শরীর খাইয়ে সন্তানদের বড় করে তোলে। একটা টিকটিকি মা বুকে বাচ্চাকে নিয়ে সপ্তাহ ঝুলে থাকে যদি বাচ্চা টিকটিকি হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে নীচে পড়ে যায়। আর এক মানুষ মা নিজের সন্তানের ভালোবাসায় অন্ধ হয়ে দিন,সপ্তাহ, মাস, বছর পার করে দেন। অদ্ভূত। বড়ই অদ্ভূত। আর একমাত্র মায়েরাই এই অদ্ভূত ভালোবাসার সওয়ারী হতে পারেন।
অসাধারণ। মুগ্ধ !! +
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৯
খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ রইলো ভাইজান।
১৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৮
আমি স্বর্নলতা বলেছেন: অসাধারন গল্পটি। মন ছুয়ে যাওয়া গল্পে অনেক ভালোলাগা রেখে গেলাম।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৯
খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনম্র ধন্যবাদ রইলো আপু।
১৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: দারুণ ভালো।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩০
খেয়া ঘাট বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সবার প্রিয় হামা ভাই।
১৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৬
আমি ইহতিব বলেছেন: দারুন একটি গল্প। আমি একজন মা, গর্বিত বোধ করছি আবার।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩০
খেয়া ঘাট বলেছেন: অনেক শুভকামনা রইলো আপু , আপনার জন্য। আপনার গোটা পরিবারের জন্য।
১৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: স্যালুট ভাই।
দারুন টুইস্ট দিয়ে গল্টাকে অনন্য রুপ দিয়েছেন।
সমাজের হতভাগাদের যদি গল্পের মতো চেতনা জেগে উঠতো! কোন বৃদ্ধাম্রমে কোন মাকে চোখের জল ফেলতে হতো না।
+++++++++++++++++++++++++
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩২
খেয়া ঘাট বলেছেন: আমার প্রতিটি লেখায় আপনাকে পাই। আপনার মন্তব্যগুলো আরেকটা লেখা তৈরী করার প্রেরণা যোগায়। বিনম্র ধন্যবাদ রইলো।
১৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৮
আজমান আন্দালিব বলেছেন: আর একমাত্র মায়েরাই এই অদ্ভূত ভালোবাসার সওয়ারী হতে পারেন।
মন ছুয়ে যাওয়া গল্পে অনেক ভালোলাগা রেখে গেলাম।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১১
খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ ভাই
১৮| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২০
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অসাধারন। আবেগি করে দিলেন।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১২
খেয়া ঘাট বলেছেন: অনেকদিন পর প্রফেসর সাহেব। ভালো লাগলো । বিনীত ধন্যবাদ
১৯| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক অনেক ভালো লাগা লেখায়
নতুন বছরের জন্য শুভ কামনা
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১৪
খেয়া ঘাট বলেছেন: হায় আল্লাহ। আপনি কই ছিলেন??? ফেবুতেও পাইনা। ঘটনা কি কনতো ??
২০| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১২
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: অসাধারণ লাগলো। মা এমনি হয়।
'ন' - 'ণ'
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১৫
খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনম্র ধন্যবাদ ভাইজান।
২১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৩
আবু শাকিল বলেছেন: মনছুয়ে যাওয়ার মুগ্ধ গল্প ।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১৫
খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনম্র ধন্যবাদ ভাই।
২২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:৩৮
জয় মজুমদার তন্ময় বলেছেন: অসাধারণ ছোট গল্প,ভালো লাগলো।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:০৫
খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ রইলো ভাই।
২৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:৩৮
ডাঃ প্রকাশ চন্দ্র রায় বলেছেন: আমার...মা..ও শিশুকালে মারা গেছেন, তাঁর মুখও এখন আমার মনে পড়ে না।তিনি খুব ভালো ছিলেন বলে গল্প শুনি ।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:০৮
খেয়া ঘাট বলেছেন: আহারে!! আপনার মা স্বর্গবাসী হোন। ভালো থাকবেন দাদা।
২৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:১৭
কল্লোল পথিক বলেছেন: চমৎকার হয়েছে অসাধারণ গল্প।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০২
খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ রইলো।
২৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৮
এরশাদ বাদশা বলেছেন: রিকোয়েস্ট পাঠাচ্ছি, আপনি কি নামে আছেন, জানাবেন?
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৪
২৬| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৪
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: একমাত্র আমিই বোধহয় সেই হতভাগা শেষবেলায় এসে এসব পরি আর অনুতপ্ত হই।। যখন বোঝার ছিল বুঝি নি।। আজ দহিত হচ্ছি অনুতপ্তে।।
গল্পটায় অন্যরকম ভাললাগা খুজে পেলাম।। সেই যে মার কলিজা নিয়ে প্রিয়জনকে উপহার দিতে দৌড়ুতে যেয়ে পড়ে যাবার পর কলিজাটি পরম স্নেহে বলে উঠলো "বাছা লাগলো"।।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:২২
খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে আমার মনটাও ভারী হয়ে গেলো।
২৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৫:৪২
রাফা বলেছেন: "মা" সকল শক্তির আধাঁর।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪৭
খেয়া ঘাট বলেছেন: চমৎকার কথা। বিনম্র ধন্যবাদ ভাই।
২৮| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৬
রুহুল গনি জ্যোতি বলেছেন: দারুন লিখেছেন ভাই। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩৭
খেয়া ঘাট বলেছেন: আমার বিনম্র ধন্যবাদ রইলো।
২৯| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৬
মুনির মুহাম্মদ বলেছেন: ভালো লেখা, পাঠক একটুর জন্য হলেও তাঁর মায়ের কথা ভাববে পড়া শেষে।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩৮
খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ রইলো ভাই।
৩০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩১
শেষ বেলা বলেছেন: ভাল লাগলো, ধন্যবাদ
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩৮
খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ রইলো ভাই।
৩১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৬
আমি তুমি আমরা বলেছেন: অসাধারন একটা ছোট গল্প।মন ছুয়ে গেল।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩৯
খেয়া ঘাট বলেছেন: আমার বিনম্র ধন্যবাদ রইলো।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩৫
ঈশান আহম্মেদ বলেছেন: সত্যিই অসাধারন একটা ছোট গল্প।মন ছুয়ে গেল।মা ছাড়া আমাদের জীবন সত্যিই অচল।