নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া ইভেন্ট

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৫

চকলেট আর কিস, প্রণয় আর পুলিশ -এসবেই কি ভালোবাসা দিবস? আসলে ভালোবাসা দিবস বলে পৃথিবীর কোথাও কিছুই নেই।কি চমকে গেলেন? এমনকি পাশ্চাত্যরাও "ভালোবাসা দিবস" বলে কোনো কিছুই পালন করেনা। ইংরেজী Love হলো ভালোবাসা। কই ওরাতো Love Day বলে কিছুই পালন করেনা। ওরা পালন করে- Valentine's day। রোমান পাদ্রী সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের মর্মন্তুদ ঘটনার স্মরণে এদিনটি পালিত হয়। বড় অদ্ভূত !!এই ভ্যালেন্টাইনস দিনটিকে সবকিছুতেই গড্ডালিকায় গা ভাসিয়ে দেয়া জাতি ভালোবাসা দিবসে রুপান্তরিত করেছে। এবার আরো একধাপ এগিয়ে পালন করার ইভেন্ট খুলেছে পুলিশ প্রহরায় চুমু। কারণ হলো এটা নাকি প্রগতিবাদ।
আপনি আপনার প্রিয়তম/প্রিয়তমাকে দিনভর চুমুখান তাতে কারো কিছু আসে যায়না। কিন্তু পুলিশ প্রহরা কেন? ভয় হচ্ছে-কোনো উশৃঙখল যুবক যদি তেড়ে এসে রাস্তায় বেলেল্লাপনা করার জন্য জুতোর বাড়ি দেয়- সেই ভয়!

আরে ভাই সেন্ট ভ্যালেন্টাইন ভালোবাসার জন্য চাবুকের আঘাত সহ্য করলেন। শুধু তাই না। নিজের মাথা দ্বিখণ্ডিত করে প্রিয়তমার জন্য জীবন দিলেন। আর একটা প্রকাশ্যে চুমু খাওয়ার জন্য জুতোর বাড়ি খেতে পারবেন না। এই আপনাদের ভালোবাসা? এই আপনাদের ত্যাগ!

আপনারা বিরিয়ানী খাবেন - পুলিশ লাগবে। প্রেমিকার বাসায় যাবেন-পুলিশ লাগবে। ফ্লাটে যাবেন-পুলিশ লাগবে।আজ বলছেন- প্রকাশ্যে চুমু খাওয়ার জন্য পুলিশ লাগবে। কাল আরেকজন বলবে- পতিতা বাড়ি যাচ্ছি। প্রাণের ভয় আছে। বিছানার পাশে পুলিশ লাগবে। পরশু বলবেন- আপনাদের বাসরঘরেও পুলিশ লাগবে।আর পুলিশ লাগবেই বা কি জন্যে? পুলিশ কি গুটিকয়েক কুলাঙ্গারদের রাজস্বের টাকায় চলে? নাকি আপনাদের বাপ-দাদার উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি। যেভাবে চাইলেন-সেভাবে ব্যবহার করলেন।

মুক্ত সংস্কৃতির চর্চা করেন তাই না? তবে পুলিশকে বাদ দিয়ে এই মুক্ত চর্চা নিজ পরিবার থেকে শুরু করেন না কেন? বাবা-মাকে বলুন। মা-বাবা এতো তারিখ ইভেন্টে আসো। প্রকাশ্যে চুমু খাবো। তোমাদের পাহারা দিতে হবে। একবার দেখতে চাই- আপনাদের বাবা মায়েরা কি বলেন? নাকি উনারাও এসে আপনাদের সাথে লালাবন্দী হন।

আরেকটা কথা প্রগতিবাদ আর পতিতাবাদ, মুক্তবাদ আর ফূর্তিবাদ, মুক্তমনা আর বেলেল্লাপনা এসবকে আপনারা একেবারে একাকার করে ফেলেছেন। । গায়ে পাণ্জাবী, গলায় চাদর, বিশ্ববিদ্যালয়ের বারান্দায় কয়েকবার হাঁটাহাঁটি, কয়েকটি কবিতা আবৃতি করলেই প্রগতিবাদী হওয়া যায়না। এরজন্য সাধনা করতে হয়। অধরে অধর লাগানো আর শরীর উদোম করে চলাফেরার নামই প্রগতিবাদ হলে - নিজের জীবনবিকিয়ে যে বারবনিতারা রোজ রাত পার করে তারাই হতো সবচেয়ে বড় প্রগতিবাদ।

এই ছদ্মবেশী প্রগতিওয়ালারা এইতো কিছুদিন আগে বলেছিলেন- হিজাব বাংলাদেশের সংস্কৃতির সাথে যায়না? বাহঃ খুবই ভালো কথা।
তবে রাজপথে প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া কি খুব যায়? আপনাদের পূর্বপুরুষরা কবে, কোথায় , কোনখানে এসব বেহায়াপনা করেছিলেন-একটু জানাবেন কি?

তাজউদ্দীন আহমেদের কন্যা শারমিনকে দেখেছিলাম। আমেরিকার একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান।ঠিক মাগরিবের আগে এক অনুষ্ঠানে আসলেন। এখানে নামাজ পড়ার সব জায়গায় তেমন ব্যবস্থা থাকেনা। তারপরও একটু জায়গার ব্যবস্থা করে বারান্দায় দাঁড়িয়ে নামাজটা পড়লেন। এরপর প্রায় ঘন্টাখানেক মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে যাওয়ার মতো বক্তৃতা করলেন।

টিউলিপ সিদ্দীকী , রোশনারা, রোপা হক বৃটিশ পার্লামেন্টে পুরো বাঙালী জাতির প্রতিনিধিত্ব করছেন।নিশাত মজুমদার এভারেস্টে ওয়াশফিয়া পৃথিবীর উঁচু সাত পাহাড়ের উপর বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছেন, এইতো মাত্র কয়েকদিন আগে ভারোত্তলনে স্বর্ণ জিতে জাতীয় সংগীতের সাথে গৌরবে, ভালোবাসা আর দেশের জন্য মমতায় ফুঁপিয়ে কাঁদলেন মাবিয়া আক্তার সীমান্ত। কই কেউতো এদেরকে বাঁধা দেওয়ার জন্য এগিয়ে আসেনি। পুলিশ পাহারা দেয়নি, তবে পুলিশ দাঁড়িয়ে স্যালুট জানিয়েছে। মাবিয়া আনন্দে আর আবেগে কেঁদেছে।দেশের গৌরবে মাবিয়ার সাথে আরো অনেকে কেঁদেছে।

এরাইতো মুক্তমনা, এরাইতো আমাদের অহঙ্কার, এরাইতো আমাদের প্রগতিবাদের বলিষ্ঠতম উদাহরণ। আর এসব করতে দরকার হয় অধ্যাবসায়,সাধনার,পরিশ্রমের। দরকার হয় দেশের প্রতি, পরিবারের প্রতি, জাতিরপ্রতি ,সমাজের প্রতি সত্যিকারের ভালোাবাসার। এরা জানে- দুইনাম্বারি করে -নগ্ন হয়ে, অধরে অধরে লাগিয়ে, দুচারটা উল্টাপাল্টা, অশ্লীল, বিকৃত রুচির কথা লিখে , রাস্তায় নেড়ি কুকুরের মতো বেলেল্লাপনা করে জার্মানের বেকার ভাতার টাকায় তাদের চলতে হবেনা। দেশের প্রতি , দেশের মানুষের প্রতি মিথ্যা অপবাদ তৈরী করে রিফিউজির কাগজও বানাতে হবেনা।

এর পাশাপাশি এই বিষয়টাও খেয়াল করা খুবই জরুরি। অনেকেই বলছেন- ইসলামে এসব কালচার নাই। এগুলো ইসলামের সাথে যায়না। আরে ভাই। সবকিছুতেই ইসলাম লাগান কেন? ইসলামের সাথেতো আরো অনেক কিছুই যায়না।
ঘুষ খাওয়াও তো ইসলামের সাথে যায়না।ঘুষের টাকা দিয়ে হজ্ব করাও তো ইসলামের সাথে যায়না, মদ আর শুকর বেচার টাকা দিয়ে মসজিদ বানান এগুলোতো ইসলামের সাথে যায়না। রাস্তা বন্ধ করে মিছিল করেন- এটাওতো ইসলামের সাথে যায়না। সারারাত মানুষকে, হাসপাতালের রোগীদের বিরক্ত করে নানা কিচ্ছাকাহিনী বানিয়ে ওয়াজ করেন-এগুলোও তো ইসলামের সাথে যায়না। ওয়াজ শুণতে যারা এসেছে তারাইতো শুণলে হয়। জোর করে অন্যকে শুনানোর দরকারই বা কি? আর দূর থেকেতো কেউ শুণেও না। মূল কথা হলো- মানুষের শান্তি বিনষ্ট করে, মানুষ বিরক্তবোধ করে এমন কোনো কিছুইতো ইসলামের সাথে যায়না।

এসব চিল্লাপা্ল্লা করে ইবাদত করা- কোরআনের সম্পূর্ন রুপে পরিপন্থি।বিশ্বাস হয়না। নিজের আয়াতগুলো দেখেন-
"তোমরা বিনীতভাবে এবং গোপনে তোমাদের প্রভুপালককে ডাক।"— সুরা আ’রাফ, আয়াত ৫৫
"যখন সে তাহার প্রভুপালককে আহবান করিয়াছিল নিভৃতে।" — সুরা মার্‌য়াম, আয়াত ৩
হাসান বসরী র. বলেছেন, উচ্চঃস্বরের দোয়া ও নিম্নস্বরের দোয়ার মধ্যে সত্তর হাজার গুণ পার্থক্য রয়েছে। প্রথম যুগের মুসলমানগণ দীর্ঘ সময় ধরে দোয়া করতেন। তাঁদের ওই দোয়ার সামান্য আওয়াজও শোনা যেতো না। শুধু দেখা যেতো চোখে অশ্রু আর শোনা যেতো ওষ্ঠ সঞ্চালনের শব্দ। নবী সাঃ এর বলা নীচে আরেকটি অতি উৎকৃষ্ট উদাহরণ দেয়া হলো-

হজরত আবু মুসা আশআরী বর্ণনা করেছেন, খয়বর যুদ্ধের সময় একটি প্রান্তর অতিক্রমকালে মুসলিম সৈন্যরা উচ্চঃস্বরে তক্‌বীর উচ্চারণ করেছিলেন। রসুলেপাক স. তখন বলেছিলেন, শান্ত হও। তোমরা কোনো অনুপস্থিত স্বত্বা তো আহবান করছো না। তোমরা ওই সত্তাকে ডাকছো - যিনি সর্বশ্রোতা এবং নিকটতম।

কিন্তু এখনতো সব লোক দেখানো।এমনকি ইবাদত করাটাও। কে কাকে কী কিভাবে দেখাতে পারবে। কার চেয়ে কে জোরে,চীৎকার চেচামেচি করে নিজেকে জাহির করতে পারবে। এই প্রকাশ্যে চুমু খাওয়াটাও কিন্তু জাহির করা, স্রেফ লোক দেখানো। না হলে যে কোনো মজা নেই, কোনো চার্ম নেই।প্রেমিক -প্রেমিকার ভালোবাসা শুধুমাত্র দুজনে জানলেইতো হয়। তোমাদের অধরের লালা কুকুরের মতো রাস্তায় ফেলার দরকার কি।নিজের ঘরে বসে ধুমাইয়া চুমু খেলেতো কেউ কাউকে কিছু বলার না। তোর চুমু তুই খা , না হয় গু খা। আপনি আর আমিতো বলার কিছু না।

নাকি বলবেন- আপনি আমার স্কুলগামী ছোট ভাইবোনের সামনে প্রকাশ্যে রাষ্ট্রীয় পুলিশের প্রহরায়- চুমু খাবেন-এটা দোষের কিছুনা। শুধু আমি বললেই-সেটা হবে প্রগতির বিরোধীতা। ছিঃ আপনাদের দ্বিচারিতা।










মন্তব্য ৫৩ টি রেটিং +২৪/-০

মন্তব্য (৫৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১৩

কল্লোল পথিক বলেছেন: আপনারা বিরিয়ানী খাবেন - পুলিশ লাগবে। প্রেমিকার বাসায় যাবেন-পুলিশ লাগবে। ফ্লাটে যাবেন-পুলিশ লাগবে।আজ বলছেন- প্রকাশ্যে চুমু খাওয়ার জন্য পুলিশ লাগবে। কাল আরেকজন বলবে- পতিতা বাড়ি যাচ্ছি। প্রাণের ভয় আছে। বিছানার পাশে পুলিশ লাগবে। পরশু বলবেন- আপনাদের বাসরঘরেও পুলিশ লাগবে।আর পুলিশ লাগবেই বা কি জন্যে?

প্রশ্ন গুলো অপামার জনতার?
ঊত্তর নেই!

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: উত্তর উনাদের জানার কথা। ধন্যবাদ ।

২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১৫

অগ্নি কল্লোল বলেছেন: বস্ লাল সালাম।কি লেখা লেখলেন গায়ের লোম খারা হয়ে গিয়েছে।এক্কেবারে যুক্তিতে ভরপুর।।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫০

আশমএরশাদ বলেছেন: পুলিশ প্রহরা আর পাহারার মধ্য পার্থক্য আছে । পুলিশী নজরদারী সত্তেও সেটা করবেন অথবা পুলিশী নিষেতাজ্ঞা ভাঙবেন এমনটিকে পাহারা হিসাবে দেখেছেন হয়তো।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩০

খেয়া ঘাট বলেছেন: সেটা যাই হোক, তবে প্রগতিবাদ আর পতিতাবাদ, মুক্তবাদ আর ফূর্তিবাদ, মুক্তমনা আর বেলেল্লাপনা এসবকে উনারা একেবারে একাকার করে ফেলেছেন। ধন্যবাদ।

৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৫

আরজু পনি বলেছেন: ...কয়দিন পর দেখবেন উলঙ্গ হয়ে রাস্তায় ধেই ধেই করে নাচছে...যার নাম দিবে প্রগতিশীল নৃত্য ।

ঘা আক্রান্ত মুখের কারণে কিন্তু এইডস ছড়াতে পারে... =p~

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩১

খেয়া ঘাট বলেছেন: যথার্থ। ++++++

৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৫

আহসানের ব্লগ বলেছেন: প্রথা বিরোধী এসব ইভভেন্ট মানিনা ।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩১

খেয়া ঘাট বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৯

মহা সমন্বয় বলেছেন: কিন্তু এখনতো সব লোক দেখানো।এমনকি ইবাদত করাটাও। কে কাকে কী কিভাবে দেখাতে পারবে। কার চেয়ে কে জোরে,চীৎকার চেচামেচি করে নিজেকে জাহির করতে পারবে। এই প্রকাশ্যে চুমু খাওয়াটাও কিন্তু জাহির করা, স্রেফ লোক দেখানো।

আসলেই তাই।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩১

খেয়া ঘাট বলেছেন: ধন্যবাদ রইলো।

৭| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৬

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সত্যিই অপূর্ব পোষ্ট। পোষ্টটি টিকি হোউক। আর কি বলব। প্রথা বিরোধী এসব ইভভেন্ট মানিনা ।এই সব আতলামী বন্ধ হউক।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩২

খেয়া ঘাট বলেছেন: স্টিকি হলে ভালো হতো। অনেক পাঠকের নজরে আসতো। ধন্যবাদ রইলো।

৮| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২০

সবুজ২০১২ বলেছেন: শত সহস্র শ্রধ্যা আপনার লেখাটির জন্য

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩২

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৯| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধারালো লেখা। (y)

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৪

খেয়া ঘাট বলেছেন: ধন্যবাদ রইলো।

১০| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৮

মুনতা বলেছেন: মুক্ত সংস্কৃতির চর্চা করেন তাই না? তবে পুলিশকে বাদ দিয়ে এই মুক্ত চর্চা নিজ পরিবার থেকে শুরু করেন না কেন? বাবা-মাকে বলুন। মা-বাবা এতো তারিখ ইভেন্টে আসো। প্রকাশ্যে চুমু খাবো। তোমাদের পাহারা দিতে হবে। একবার দেখতে চাই- আপনাদের বাবা মায়েরা কি বলেন? নাকি উনারাও এসে আপনাদের সাথে লালাবন্দী হন।

দারুণ লেখা......
+++

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ।

১১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসাধারন!

একেবারে ফাটিয়ে দেয়া যাকে বলে! ;)

ওরাতো নিজে নড়েনা.. ওদের লেজে নাড়ায় তাই ওরা নড়ে! সারমেয়রা বুঝি লজ্জ্বায় দেশ ছাড়লো!!!!

+++++++++++++++++++++++++

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনম্র ধন্যবাদ।

১২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৫

আমি তুমি আমরা বলেছেন: আরে ভাই সেন্ট ভ্যালেন্টাইন ভালোবাসার জন্য চাবুকের আঘাত সহ্য করলেন। শুধু তাই না। নিজের মাথা দ্বিখণ্ডিত করে প্রিয়তমার জন্য জীবন দিলেন। আর একটা প্রকাশ্যে চুমু খাওয়ার জন্য জুতোর বাড়ি খেতে পারবেন না। এই আপনাদের ভালোবাসা? এই আপনাদের ত্যাগ!

চমৎকার লেখা।সহমত আপনার সাথে। :)

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

১৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: উত্তম ঝাঁ ঝাঁ লেখা ...

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।

১৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১৬

যুগল শব্দ বলেছেন:
কেউ কেউ আমাদের জাতিগত পরিচয় নিয়ে সন্তুষ্ট নন।
তারা ভুলে যেতে চায় আমাদের ইতিহাস আর ঐতিহ্য।

আরে এ দেশ তো আমেরিকা নয়,
হিপ্পি, পাঙ্ক কিংবা বিট জেনারেশনের সাথে আমাদের কি মিলে যেতে হবে !!

ভালোলাগা জানুন, সুন্দর আর পবিত্র ভালোবাসায় ভরে উঠুক এ সমাজ। ++++

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১৭

খেয়া ঘাট বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

১৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৩

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: Khub valo likhechen vaiya

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩০

খেয়া ঘাট বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রইলো

১৬| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

বাপরে কী শিরোনাম... আর কী লম্বা লেখা....!

পৃথিবীতে ফ্রেম বলে কিছু নেই... :(

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: বেশী লম্বা লেখা কেউ পড়তে চায়না :(

১৭| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪১

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: আরেকটা কথা প্রগতিবাদ আর পতিতাবাদ, মুক্তবাদ আর ফূর্তিবাদ, মুক্তমনা আর বেলেল্লাপনা এসবকে আপনারা একেবারে একাকার করে ফেলেছেন।
মোক্ষম বলেছেন।
শ্রদ্ধা এসে গেলো মশাই................

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ।

১৮| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

কিন্তু আমি পড়েছি.... :(
সময় নেই বলে মনমতো মন্তব্য করতে পারলাম না.... প্রয়োজনও মনে করি নি।
কারণ আপনি কিছু বাকি রাখেন না।

আপনার লেখায় প্রকাশিত অভিমত সবসময়ই আমার সাথে মিলে যায়।
মন্তব্যে আলাদাভাবে কী প্রকাশ করবো....!

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: আমি জানি.....দূরে থাকলেও মনের মিলে অনেক কাছের আমরা প্রিয় মইনুল ভাই।

১৯| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৮

রুবায়েত ইসলাম বলেছেন: যথার্থ

২০| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২০

মশিকুর বলেছেন:

এটাই হয়তো সঠিক জবাব...

২১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আপনি কি সবাইকে নিশাত মজুমদার, টিউলিপ ইত্যাদি হতে বলছেন?

২২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০১

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: ফেসবুকে আগেই পড়েছিলাম।

খুব ভাল লিখেছেন এই বিষয়টা নিয়ে। যারা এটা উস্কে দিয়েছে তারা তো জার্মান থাকে। আর তাদের তালে তাল মিলিয়ে আরেকদল নাচানাচি করছে।

২৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০২

আরজু পনি বলেছেন: এতোই যদি প্রগতিশীল তবে বাবা-মায়ের সামনে প্রকাশ্যে চুমু খাক... না করেছে কে ?

২৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৯

ধমনী বলেছেন: দুর্দান্ত লিখেছেন বস।

২৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩১

জনসাধারণের মধ্যে একটি মলিন পট্টবস্ত্র বলেছেন: এসকল মুত্রমনাদের কাছে এর চেয়ে বেশি কিছু আশাকরা ভুল :)

২৬| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:২২

আহনাফ নীল বলেছেন: ভাই, তাদের জন্য একটা অভিধান রচনা করব, Without Privacy Modern Dictionary। এখানে
Dick শব্দের অর্থ থাকবে উন্মুক্তাঙ্গ। বেশি নাহ :-P , ট্রেইলার দেখালাম আরকি!!!
বাট লেখা টা অস্থির।

২৭| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:২৭

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: আমার মনে হয় এরা শুধুমাত্র আলোচনায় থাকার জন্যই এই ধরনের কর্মকাণ্ডগুলো করে।

২৮| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৫:৩৮

Saheyd বলেছেন: বাপরে বাপ! এত্ত মজার লেখা :D
আসলে এসব মাথায় আসলেও লেখার মত সাহস লাগে অনেক। এত লম্বা একটা পোস্ট লিখতে আপনার অনেক সাহস লেগেছে। আসলে ভালবাসা দিবস উদযাপন টা পৃথিবীর সবচেয়ে ফালতু একটা দিবস উদযাপন। কোনো মানেই বুঝিনা এটার।

২৯| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৫১

রাশেদ রাহাত বলেছেন: এই দিবস টাকে চেন্জ করে "বিরক্তিকর দিবস" দেওয়া উচিৎ। তাছাড়া এমন দিবস তো নেই ও।

৩০| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০০

ইছামতির তী্রে বলেছেন: মারাত্বক লিখেছেন বস! আপনার লেখণিতে ৯৯% মানুষের মতামত, বিশ্বাস প্রতিফলিত হয়েছে।

অনন্য আজাদের কথা আর কি বলব! 'বাপকা বেটা' একেবারে। বাপ চটি টাইপের লেখা লিখে, চুরি করে নাম(?) কামিয়েছে। পুত্রের ত কলমের জোর নেই। তাই নোংরামীতে নেমেছে। এতে ত পয়সা লাগে না। আল্লাহ ওদের হেদায়েত দান করুন। ওরা আসলে বাঙ্গালী, মুসলিম, সামাজিক, অবিশ্বাসী -এর কোন দলের মধ্যেই পড়ে না। বরং ওরা সমাজের শত্রু।

সামগ্রিকভাবে আপনার অবতারণা করা অন্যন্য বিষয়ের সাথেও সহমত প্রকাশ করছি।

আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুন, সবসময়।

৩১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪৪

হাসান নাঈম বলেছেন: অসাধারণ!
ঠিক আমার মনের কথাগুলিই লিখে দিলেন!

৩২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৮

আবুলের বাপ রিটার্নস বলেছেন: গোপন একটা তথ্য ফাস কইরা দেই!!!
আস্তিক শাহবাগী আর নাস্তিক শাহবাগীদের মধ্যে চুম্মার ইভেন্ট নিয়া বিশাল ক্যাচাল লাইগা গেছে।
কালকে এক বিখ্যাত আস্তিক শাহবাগীরে ইনবক্সে জিজ্ঞাসা করলাম,চুমার ইভেন্ট নিয়া আপনাগো মতামত কি?
সে বললো , 14 তারিখে যারা প্রকাশ্যে চুমা খাবে,তাগো আমরা প্রকাশ্যে পু** মাইরা দিমু।(চাইলে স্ক্রিন শট দিতে পারি)।
শুনে আমি শিহরিত হয়ে গেলাম।14 তারিখে লাইভ পু** মারামারি দেখবো,ভাবতেই আমার লোম খাড়াইয়া গেলো।
মর্দে মুমিনরা এবার অফ যান।খামাখা আর গালাগালি আর হুমকি না দিয়া , লাইভ পু** মারামারি দেখুন।

৩৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: একটা কমেন্টের জবাবে এইটা লিখেছিলাম। এখানেও দিলাম। একটু দেখে নিয়েন-
সমস্যা কী জানেন, আমরা ভাবছি, ও কী ভাববে, সে কী ভাববে, বাবা কী ভাববে ইত্যাদি।
বাবার কথা বললেন। হ্যাঁ, ভাই আমার বাবা আমার প্রকাশ্যে চুমু দেখার জন্য প্রস্তুত নন। কিন্তু তাকে প্রস্তুত করতে হবে। বোঝাতে হবে, এর মধ্যে পাপের কিছু থাকতে পারে কিন্তু অশ্লীল কিছু নেই। আর তাছাড়া তিনি প্রস্তুত নন বলে আমি পিছিয়ে যাবো কেন?
আচ্ছা, ব্যান্ডের গানগুলির কথা ভেবে দেখুন। এখন অ্যাশেজের গান না শুনলে আমার রাতের ঘুম হয় না ভালভাবে, মনে হয় কিচু একটা মিস করে যাচ্ছি। কিন্তু আমার বাবা এটাকে কোন চোখে দেখে? তার কাছে এগুলো চিৎকার ছাড়া কিছুই নই। তার মতে, আইয়ুব বাচ্চু থেকে শুরু করে জুনায়েদ ইভান পর্যন্ত সবাই শুধু চিৎকার করেই যায়, আর শ্রোতারা মিউজিক শুনেই লাফায়!
অথচ আমরা যারা নিয়মিত বিভিন্ন ব্যান্ডের গান শুনছি, তারা জানি আমাদের এই নাগরিক জীবনকে তুলে ধরতে শুধু তারাই পেরেছে। আমার বাবা অ্যাশেজ শোনে না বলে কিন্তু আমি তাদের গান শোনা ছেড়ে দেইনি।
বাবার কান তৈরি হয়েছে কুমার বিশ্বজিৎ এর গান শোনার জন্য। তিনি তাকেই সেরা গায়ক মনে করবেন, স্বাভাবিক।
চুমুর ব্যাপারটাও এমন। বাবার আমলে ছিল না এর প্রচলন। তখন হয়তো কারও হাত ধরে হাঁটা, দাঁড়িয়ে দুই মিনিট কথা বলা ইত্যাদিই ছিল বিশাল ব্যাপার, হয়তো ট্যাবু। তখন নিশ্চয়ই আপনার মতো কেউ বলেছে, “তুই তোর প্রেমিকাকে নিয়ে তোর বাবার সামনে হাতধরে হেঁটে যেতে পারবি? তোর বাবা কি এটা দেখার জন্য প্রস্তুত?”
কিন্তু আজ দেখুন! আজ শুধু হাত ধরে কেন, কেই যদি কোমর ধরেও হেঁটে যায় আমরা ভ্রূক্ষেপ করি না। কারণ, আমরা মানিয়ে নিয়েছি, সমাজ মেনে নিয়েছে, সেটা আর ট্যাবু না।
প্রথম প্রথম কিছু এলে সবার চোখে লাগে, কিন্তু আস্তে আস্তে সহ্য হয়ে যায়।
আরেকটা কথা, অনেকে বলছে, এটা বাড়াবাড়ি। হ্যাঁ, এটাই সময় উচ্ছ্বাসের। এ সময় কেউ যদি একটু বাড়াবাড়ি করেই, সেটা কি খুব ভুল? সমাজকে প্রতি নতুন প্রজন্মই ভাঙ্গে। আমাদের আগেরটাও ভেঙ্গেছে, আমরা ভাঙ্গছি, আমাদের পরবর্তী প্রজন্মও ভাঙ্গবে। হয়তো দেখা যাবে, তখন আমিই বাঁধা দিচ্ছি তাদের কারণ আমি তখন বৃদ্ধ হয়ে যাব মনে ও মননে। আর বৃদ্ধরাই এই ধরনের উচ্ছ্বাসকে বাঁধা দেয়।

৩৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৯

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: লেখা ভালো ছিল।প্রকৃত বোধ প্রয়োজন

৩৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪২

উল্টা দূরবীন বলেছেন: যুতসই লেখা। এসব অপসংস্কৃতিতে সবাই মাতাল হয়ে যাচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.