নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাকাই বাংলাদেশ না, বাংলাদেশেরই ঢাকা

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪৬

নিউইয়র্কের সবচেয়ে ব্যস্ততম শহর হলো ম্যানহাটান। কিন্তু রাজধানী হলো আলবেনি। দেশে থাকতে এই শহরের নামও শুনিনি।ঠিক তেমনি নাম শুনিনি ফ্লোরিডার রাজধানী তালাহাসি, ক্যালিফোর্নিয়ার রাজধানী সাক্রামেন্টো ইত্যাদি। অথচ লসএন্জেলস, মায়ামি, অরল্যান্ডো, টেম্পা, সান ফ্রান্সিসকো এগুলোই সবচেয়ে নামকরা প্রসিদ্ধ শহর।

এছাড়া, আরেকটি জিনিস খেয়াল করলাম- ব্যাংক অফ আমেরিকার হেডকোয়ার্টার হলো নর্থ ক্যারোলিনার একটি ছোট শহর শার্লটে,পৃথিবী বিখ্যাত নামকরা প্রতিষ্ঠান ওয়ালমার্টের হেডঅফিস আরকানসাসের ছোট শহর বেনটনভিলে,আরেকটি বিখ্যাত ব্যাংক ওয়েলসফার্গোর মূলকেন্দ্র সানফ্রান্সিকোতে, হোমডিপো'র মূল অফিস আটলান্টায়। ওয়ার্ড বিখ্যাত সিএনএনের মূলকেন্দ্র আটলান্টায়। বলতে গেলে পুরো আমেরিকার বিভিন্ন জায়গায় এরা বিখ্যাত কোম্পানীগুলোকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখেছে। শুধু ওয়াশিংটনে আর নিউইয়র্কে না। এরা অনুধাবন করতে পেরেছে- সবশহরগুলো মিলেই আমেরিকা আর সবশহরের উন্নয়ন মানে আমেরিকার উন্নয়ন।

একভাই বললেন- ওদের জায়গা বেশি। সেজন্য পেরেছে। আমাদেরতো জায়গা কম।
আমি বললাম-জায়গা কম বলেইতো সবকিছু আরো গুছিয়ে সুন্দরভাবে করতে হবে। যাতে এক জায়গার ওপর বেশী চাপ না পড়ে।

আটলান্টা শহরের ভিতর একটা বড় স্টেডিয়াম আছে। সেটা সরিয়ে নেয়ার কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। উনারা বুঝেছেন হাজারটা গাড়ী আর হাজারটা রেল নির্মাণ করে দিলেও- যানজট কমবেনা। কারণ- মানুষইতো যানজট তৈরী করে। গাড়ী হোক আর রেল হোক,প্লেন হোক আর হেলিকপ্টার হোক। মানুষগুলোকেতো মাটিতে নামতে হবে। আকাশ ওড়ে ওড়েতো আর কেউ চলবেনা। আর যখনই নামবে তখনই শুরু হবো মানুষজট। এই মানুষের মিছিলই যান চলাচল জট লাগিয়ে বসবে। যানে করবে মানুষ জট আর মানুষে তৈরী করবে যানজট।

ঢাকা শহরে প্রতিদিন কমলাপুর, সায়েদাবাদ, গাবতলী,আরিচা, সদরঘাট ইত্যাদি হয়ে পিঁপড়া মতো মানুষ ঢুকছে। কারণ- প্রতিটি কোম্পানীর-প্রতিটি সদর ভবন ঢাকা শহরে। শিক্ষাভবন, দীক্ষাভবন(সংসদ) রেলভবন, তেলভবন(সচিবালয়),সড়ক ভবন, নরক ভবন(অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পেনশনের টাকা তোলার ভবন)সহ সবরকমের ব্যাংকের মূলভবন, ইন্সুরেন্সভবন ইতাদী সহ এমন কোনো কার্যক্রম নাই যেগুলোর মূলভবনগুলো ঢাকা শহরে নাই। এর ওপর রয়েছে ঢাকার শহরের একেবারে নাভীরওপর অবস্থিত ক্যান্টনমেন্ট।
ফ্লাইওভার আর মেট্রেোরেল, পাতাল রেল আর আকাশরেলে মানুষকেতো আর পাতালেও নিয়ে যাবেনা, আকাশেও ওড়াবেনা।মানুষকেতো মাটিতেই নামতে হবে। এই মানুষগুলো ধারণ করার ক্ষমতা ঢাকার জমিনের আছে নাকি। ঢাকা শহরের মানুষদের এমনকি কট্টর নাস্তিকদেরও প্রতিদিন দুই ওয়াক্ত খাসদিলে নামাজ পড়া দরকার। কারণ-ঢাকা শহর মাটির নীচে এতোদিন দেবে যাচ্ছেনা কেনো??

তবে,যদি একবার ভূমিকম্পে খায়। এই ঢাকা শহরকে উদ্ধার করতে ৫০ বছর, জ্বি একেবারে হিসাবে নিকাশে ৫০ বছর সময় লাগবে।
শুধু একটা রানাপ্লাজা উদ্ধারে কত সময় লাগছিলো-মনে আছে??এরচেয়ে অবাক করা কথা হলো- প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধারের জন্যও কোনো ব্যবস্থা থাকবেনা। কারণ-বাইরে থেকে যে উদ্ধার করতে কোনো হেলিকপ্টার আসবে- ওদের ল্যান্ডিংএর জায়গাটাও ভূমিকম্পের পেটের ভিতর চলে যাবে। পুরনো ঢাকার অবস্থাতো আরো বেহাল। দুপাশ থেকে জায়গা খেতে খেতে রাস্তা, গলি এমন চিকন হয়েছে গাড়ি চলাতো দূরের কথা ভালো করে হাঁটতে গেলে মোটা দুজন মানুষের পেটে পেটে ধাক্কা লাগে।

যদি সত্যিকারভাবে ঢাকা শহরকে বাঁচাতে চান- তবে কারিনা না কারিনা,জরিনা, সখিনা,ক্যাটরিনা সহ ওদের চৌদ্দগুষ্টিকে নিয়ে আসলেও কিছু হবেনা। জনসচেতনতা জনগনের ঠিকই আছে।কিন্তু ষোলকোটি মানুষের চেতনা একজায়গা করে ধাক্কা দিলেতো কোনো ভবনের একটা ইটও নড়াতে পারবেনা। যদি কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নেয়।

বেকার মানুষগুলো যাবে কই। পঙ্গপালের মতো ঢাকা শহরের দিকে ছুটছে। এই চাকরীর বাজার পুরো দেশেই ছড়িয়ে দিন। বিভিন্ন কোম্পানী,সরকারী প্রতিষ্ঠানের মূলভবন অন্যান্য শহরে নিয়ে যান। ঢাকাকে যেমন উত্তর-দক্ষিণে ভাগ করেছেন-ঠিক তেমনি সচিবালয়কেও বিভিন্ণ মন্ত্রলায়ভাগে ভাগ করে যাবতীয় কার্যক্রমকে কমপক্ষে দেশের আরো ২০ টি শহরে ছড়িয়ে দিন । আর দলে দলে সচিবলায়ে মানুষের মিছিল নিয়ে ঢুকারও দরকার কি?
ডিজিটাল রাষ্ট্রের মন্ত্রণালয়ের কাজতো এখন ফোন, ফ্যাক্স, ইমেইল, স্কাইপে করার কথা।

ঢাকা শহরের ওপর কোনোদিন মাছকে সাঁতার কাটতে কিংবা দৌড়াতে দেখেছেন- পানি জমে গেলে না হয় ভিন্ন কথা। তবে মৎস্যভবন ঢাকায় কেন?
এয়ারপোর্টের দুহাত ওপরে ওঠলেই দেখা যায়- বিল্ডিং আর বিল্ডিং -গাছপালা সব বিল্ডিং এ হজম করে ফেলেছে- তবে পর্যটনভবন ঢাকায় কেন?
ঢাকার শহরে কয়টা বিল্ডিংএর ছাদের ওপরে ধান ক্ষেত আছে -তবে কৃষি উন্নয়নের অফিস মতিঝিলে কেন?
ঢাকা শহরে কোন বিল্ডিংএর ওপর থেকে কি কোনো বিল্ডিংএর ওপর সেইচতা দিয়ে পানি সেঁচ হয়-তবে সেচভবন মানিক মিয়া এভিনিউতে কেন?
এইরকম শত শত উদ্ভুট চিন্তাভাবনার ভবনে ঢাকা শহরের আজ নাভিশ্বাস ওঠছে।
এছাড়া রয়েছে অরুন সংঘ, বরুন সংঘ, ফকিরাপুল পানির ট্যাংকি সংঘ নানা রকমের বাহারি সংঘের হেড অফিস।
যট ঢাকা শহরে লাগবে না তো কি জুরিখে লাগবে???

শুধু বাইরে এসে ভ্রমণবিলাস আর সরকারের টাকা শ্রাদ্ধ করে গেলেতো হবেনা। লেখার শুরুতে বিকেণ্দ্রিকরণ কীভাবে করতে হয়-তার একটা উদাহরণ দেয়া আছে। অন্যশহর গুলোকে দিয়ে ঢাকা শহরকে বাঁচান। যে হারে মানুষ বাড়ছে আর মানুষের যে স্রোত ঢাকামুখী হচ্ছে-তাতে সামনে আরো ভয়াবহ সময় আসছে। ভয় হয়-ভূমিকম্পে ঢাকা শহরকে দাবাতে হবেনা, ঢাকা শহর মানুষের আর ভবনের চাপে এমনিই দেবে যাবে। মানুষের নিঃশ্বাসে নীচে ঢাকা শহরের প্রাণ ঢাকা পড়ছে। মনে রাখতে হবে-ঢাকাই বাংলাদেশ না। বরং বাংলাদেশের ঢাকা।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৯

শুভ্রা হক বলেছেন: ভালো লিখেছেন। ভুমিকম্প ছাড়া ঢাকা ঠিক হবে না !
আর ঢাকায় ধনী মানুষদের তেমন চিন্তা নাই। তাদের জীবন শেষ পর্যায়ে। ছেলে-মেয়েরা সব দেশের বাইরে। তাদের কেন ঢাকার মানুষদের নিয়ে চিন্তা থাকবে?

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩১

খেয়া ঘাট বলেছেন: সেটাই। ওদের চিন্তা কি? ঠিক সময় কেটে পড়বে।

২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৩

কল্লোল পথিক বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।
শতভাগ সহমত।
পোস্টটি স্টিকি করা হলে বেশী ভাল হত।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩১

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

৩| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৩

বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: Good writing. Bangladesh is nothing but Dhaka.

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: ধন্যবাদ রইলো।

৪| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৯

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: নিউইয়র্কের রাজধানী বাফেলো না, আলব্যানি ।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১০

খেয়া ঘাট বলেছেন: জ্বি, এটা ভুল হয়েছে। আলবেনি লিখতে গিয়ে কেন যে বাফেলো লিখলাম বুঝতে পারছিনা। ধন্যবাদ ভাই,ঠিক করে দিচ্ছি।

৫| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১১

গার্ডেড ট্যাবলেট বলেছেন: নিউইয়র্ক স্টেটের রাজধানী অলব্যানি (Albany); বাফেলো নয়। বিভিন্ন বড় ব্যবসায়ের প্রধান কার্যালয় নিউইয়র্ক কিংবা ডিসির বাইরে অবস্থান বাণিজ্য বিকেন্দ্রীকরণের ফলাফল নয়। আবার বড় প্রতিষ্ঠানগুলো রচনায় উল্লেখিত বড় শহর-বিমুখীও নয়। কর সুবিধা পাওয়ার জন্য অনেক বড় প্রতিষ্ঠানের প্রধান কেন্দ্র ভিন্ন স্টেটে স্থানান্তরের ঘটনাও হালে নৈমিত্তিক হয়ে দাড়িয়েছে।

প্রশাসনিক এবং বাণিজ্য বিকেন্দ্রীকরণ ঢাকার মত অপরিকল্পিত শহরকে বাসযোগ্য করে তুলতে লাগসই হলেও আমাদের দেশে প্রচলিত রাজনীতি, সরকার-প্রশাসন এমনকি আমাদের সবার সুবিধাভোগী মানসিকতা এক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে না।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভুলটা ঠিক করে দিয়েছি।

৬| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: প্রচণ্ডভাবে সহমত।
সবকিছুই ঢাকায় বলে সেখানের এই অবস্থা। বিকেন্দ্রীকরণ করা উচিৎ। সব সমস্যার সমাধান অনেকটা এতেই পাওয়া যাবে।

৭| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: এদেশে ঢাকাকে বাসযোগ্য করার জন্য সুন্দর করার জন্য যারা ক্ষমতা রাখে তারা দুনিয়াতে সবচাইতে নিকৃস্ট অদক্ষ অশিক্ষিত অসৎ মানুষ।

৮| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৭

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: ঢাকাবাসী বলেছেন: এদেশে ঢাকাকে বাসযোগ্য করার জন্য সুন্দর করার জন্য যারা ক্ষমতা রাখে তারা দুনিয়াতে সবচাইতে নিকৃস্ট অদক্ষ অশিক্ষিত অসৎ মানুষ। B-)

৯| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২২

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট। অনেক ভাল লাগল। ধন্যবাদ

১০| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১০

রাজীব বলেছেন: ছাগল দিয়ে তো হাল চাষ হবেনা।
সব অশিক্ষিত, মাস্তান, দখলদার, চাদাবাজরা হচ্ছে দেশের নেতা, এদেরকে দিয়ে কি আশা করা যায়।
শিক্ষিত ভালো মানুষের নেতা হবার অবস্থা আছে কি?

১১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১১

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: "বেকার মানুষগুলো যাবে কই। পঙ্গপালের মতো ঢাকা শহরের দিকে ছুটছে। এই চাকরীর বাজার পুরো দেশেই ছড়িয়ে দিন। বিভিন্ন কোম্পানী,সরকারী প্রতিষ্ঠানের মূলভবন অন্যান্য শহরে নিয়ে যান। ঢাকাকে যেমন উত্তর-দক্ষিণে ভাগ করেছেন-ঠিক তেমনি সচিবালয়কেও বিভিন্ণ মন্ত্রলায়ভাগে ভাগ করে যাবতীয় কার্যক্রমকে কমপক্ষে দেশের আরো ২০ টি শহরে ছড়িয়ে দিন । আর দলে দলে সচিবলায়ে মানুষের মিছিল নিয়ে ঢুকারও দরকার কি? ডিজিটাল রাষ্ট্রের মন্ত্রণালয়ের কাজতো এখন ফোন, ফ্যাক্স, ইমেইল, স্কাইপে করার কথা। "

১২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আপনি অনেকগুলো ভ্যালিড প্রশ্ন করেছেন। সবগুলোর উত্তর ইন্সটিটুশনাল দৃষ্টি কোন থেকে অগ্রসর নাগরিকের জানা উচিত মনে করি।

চোথা এবং কাগুজে ফাইল চালাচালি, তথ্য যোগ-রিভিউ, কন্টেন্ট ভ্যালূ এড না করেও সাধারণ কর্মকর্তা, সহ-যুগ্ম-অতিরিক্ত-যৌথ- জ্যেষ্ঠ এই সব সচিবের (বা প্রকল্প ভিত্তিক আমলা) একই ফাইলে স্বাক্ষর দেয়া ভিত্তিক (অতি নিচু) আমলাতান্ত্রিক প্রশাসনিক ব্যবস্থা, সকল নির্বাহী ক্ষমতার কেন্দ্র সচিবালয় এবং প্রধানমন্ত্রী অফিসে হবার কারনে সব অফিস ঢাকায় এসেছে। এতে ঘুষের নিয়ন্ত্রণ এবং সর্বত্র দলীয়করণ সহজ হয়েছে।

১। প্রশাসনের চূড়ান্ত বিকেন্দ্রীকরণ চাই, আমাদের ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় প্রশাসনিক কাঠামোকে নিজ জিন ক্ষমতা দেয়া হোক। প্রাইমারী স্কুলের স্যারের বদলিও ঢাকায় হয়, ঘুষ তদবির ভিত্তিক এইসব জুচ্চরি আর গাঁজাখোরি প্রশাসনিক ব্যবস্থার নিপাত চাই।
২। অঞ্চল ভিত্তিক ট্যাক্স প্রণোদনা (ছাড়) আর নিরাপত্তা দিয়ে বেসরকারি কোম্পানিকে ঢাকার বাইরে প্রথমে বিভাগীয় শহরে এবং পরে জেলা শহরে যেতে উদ্ভোদ্য করা যায়। এতে কয়েকটি মৌলিক কাজ করতে হবে। মান সম্পন্ন অবকাঠামো-আবাসন-সছুল-হসপিটাল এবং নিরাপত্তার (চাঁদাবাজি মুক্ত) ব্যবস্থা করতে হবে।

৩। সরকারি অফিস ঢাকার বাইরে পাঠানো।


লিখতে থাকুন। নাগরিক ভাবনা ছড়িয়ে যাক। দুর্বিত্তায়ন নিপাত যাক!

১৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৫২

অগ্নি কল্লোল বলেছেন: সহমত প্রকাশ করলাম।।

১৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: লেখার প্রতিটি কথা সত্য। তবে আমি বলি কী, ঢাকার ব্যাপারে যত প্রকার দাওয়াই দেন না কেন, এই শহরের মৃত্যু কখনো ঠেকানো যাবে না। ভুমিকম্প বা অন্য কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা বাদ দিন। মানুষই মেরে ফেলবে এই শহরটাকে। আমলা রাজনীতিবিদদের কিছুই যায় আসেনা। কারণ মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোমের মতো অনেক বিকল্প ব্যবস্থা তাদের আছে। আর আছে তাদের মোটা মোটা গোবর ঠাসা মাথা। ঢাকাকে বাঁচানোর কোন উপায় নেই। একদিন এই কোলাহলময় প্রাণচঞ্চল ঢাকা নিস্তব্ধ হয়ে যাবে। সে দিন খুব দূরে নেই।

ধন্যবাদ লেখক।

১৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩০

আহসানের ব্লগ বলেছেন: :(

১৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫৩

সুমন কর বলেছেন: চমৎকারভাবে যুক্তিসংগত কথাগুলো তুলে ধরেছেন।

সহমত।

১৭| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: রাক্ষুসে ঢাকা। কেবল গিলছে আর গিলছে। একসময় ফটাস করে পেটটা ফেটে যাবে কি না...

১৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৮

রাশেদ রাহাত বলেছেন: ভািয়া... কেনো সবাই মিললে এই ভূমিকম্পের কথা মনে করিয়ে দেন...?
নিজ জেলা শহরেই খমি ভালো ছিলাম। শুধুমাত্র নিজ, নিজ পরিবারের ভাগ্যউন্নয়নে এই ঢাকাতে আসা। প্লিজ। দোয়া করবেন।

১৯| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২২

আরাফআহনাফ বলেছেন: সুচিন্তার বহি:প্রকাশ আপনার লেখনি।
যাদের উদ্দেশ্যে আপনার এই প্রয়াস, তাদের চোখে পড়লে তো!
+++
ভালো লাগা জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.