নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক স্বপ্নদ্রষ্টা কীর্তিমান মানুষ ডঃ ইউনুসের আনস্মার্ট, ক্ষ্যাত, বোকা,প্রতিভাহীন, মেডিওকারদের জন্য কিছু অসাধারণ কথা

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৬

"এক স্বপ্নদ্রষ্টা কীর্তিমান মানুষ ডঃ ইউনুসের আনস্মার্ট, ক্ষ্যাত, বোকা,প্রতিভাহীন, মেডিওকারদের জন্য কিছু অসাধারণ কথা"

ডঃ ইউনুসের বক্তৃতা শুণার এবং উনার সাথে কথা বলার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। পৃথিবীর সব কীর্তিমান মানুষগুলোই খুবই বিনয়ী হন এবং জটিল বিষয়গুলো খুবই সহজ, সরল, প্রাণ্জল এবং হৃদয়গ্রাহী করে বুঝানোর এক অদ্ভূত ক্ষমতা উনাদের রয়েছে। একটা জিনিস খেয়াল করলাম গুণি মানুষগুলো জটিল বিষয়গুলোকে অতি সাধারণ করে তোলে ধরেন। আর অল্পজানা মানুষগুলো সাধারণ বিষয়গুলোকে অতি জটিল করে তোলেন। গত কয়েকদিন আগে আমেরিকার কোনো এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উদ্দেশ্যে দেয়া উনার বক্তৃতার কিছু সারাংশ এখানে অনুবাদ করে দেয়ার লোভ সামলাতে পারলামনা।

আমি একেবারেই ভুলপথে আমার কর্মজীবন শুরু করেছিলাম। কিন্তু সেই ভুল উপায়গুলোই আজ এতো সুন্দরভাবে,সাবলীলভাবে সঠিক হয়ে গেলো চিন্তাই করতে পারিনি। এটা খুবই মজার ব্যাপার। সেই মজার ব্যাপারটিই তোমাদের না বলে পারছিনা।

আমি প্রথম গরীব, অসহায় মানুষগুলোকে ঋণ দেয়া শুরু করলাম। আর তা দেখে সবাই খুবই হাসাহাসি করলো। ওরা বললো- আমি মূর্খের মতো একটা কাজ করছি। শুধু মূর্খই না। এতো বড় বেকুব লোক ওরা পৃথিবীতে আর দেখেনি।
তারপরও আমি একবারে হতাশা থেকেই কাজটা শুরু করলাম। বাংলাদেশের মতো একটা গরীব দেশে এছাড়া আর কোনো উপায়ও ছিলোনা । এখানে আপনি চিন্তা করবেন একটা, স্বপ্ন দেখবেন একটা কিন্তু হবে তার উল্টোটা। তখন, সবকিছু দিন দিন খারাপের দিকেই যাচ্ছিলো। আমারও একটা কাজ শুরু করা দরকার। তাই শুরু করে দিলাম।

আর আমি এমন একটা কাজ শুরু করলাম, বিশ্বাস করেন যে বিষয়ে আমার বিন্দুপরিমাণ ধারণা নেই।জানিনা ব্যাংক কি? কেমন করে চালাতে হয়। অথচ দেখেন- এই না জানা কাজটিতেই আমি আজ সফল হলাম।

যখন সবাই জানতে চায়- আমি কেমন করে ক্ষুদ্র ঋণর কাজ শুরু করলাম। আমি তাদের সত্যি কথাটাই বলি- ব্যাংকিং সম্পর্কে আমার কোনো ধারণাই নাই। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা। যদি এবিষয়ে জানতাম-তবে কোনোদিনই, কোনো উপায়েই একাজ আমি শুরু করতে পারতাম না। তাই একথা ধ্রুব সত্যি -অনেক সময় না জানাটাই একটা বড় আশীর্বাদ হিসাবে দেখা দেয়।

না জানা মানেই হলো কোনো একটা বিষয়ে তোমার মনটা এখনো মুক্ত। তোমাকে তখন প্রতিষ্ঠিত কোনো নিয়ম, কোনো কর্মধারা ইত্যাদি নানা জটিল ব্যাপারগুলো নিয়ে আর ভাবতে হবেনা। কোনো চিন্তা করতে হবেনা। এরপর-আমাকে বলা হলো-তবে একেবারে না জেনেই কীভাবে গ্রামীণ ব্যাংকের কাজ শুরু করলেন?

দেখেন, আমি আগেই বলেছি-ব্যাংকিং এর কিছুই আমি জানিনা। ফলে একটা লাভ হলো। আমি দেখলাম সাধারণ প্রতিষ্ঠিত কনভেনশনাল ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম কি? কীভাবে ওরা কাজ করে? খুবই সতর্কতার সাথে আমি তাদের কার্যক্রম অনুসরণ করলাম।
তারা যা করতো আমি সম্পূর্ণ বিপরীতভাবে শুরু করলাম। যেমন-কয়েকটি উদাহরণ দিলেই বুঝতে পারবে।
তারা ধনীলোকদের কাছে যায়- আমি গেলাম গরীবের কাছে।
ওরা যায় পুরুষ মানুষের কাছে। ৯৭% ঋণ গ্রহীতা ওদের পুরুষ। আমি গেলাম মহিলাদের কাছে।৯৭% আমাদের ঋণ গ্রহীতা হলো মহিলা।
সাড়ে ৮ মিলিয়ন মহিলা আমাদের কাছ থেকে এ পর্যন্ত ঋণ নিয়েছে।
কনভেনশনাল ব্যাংকের মালিক হলো একচেটিয়া ভাবে ধনীরা। গ্রামীণ ব্যাংকের মালিক হলো শুধু গরীবরা।
কনভেনশনাল ব্যাংকের জামানত দরকার। গ্রামীন ব্যাংকের ঋণ গ্রহীতারা নিজেরাই চলতে পারেনা। তাদের আবার জামানত কি? তাই জামানতের পুরো ব্যাপারটিই আমরা গ্রামীন ব্যাংক থেকে বাদ দিয়ে দিলাম।

একথা শুণে সবাই যেন আকাশ থেকে পড়লো।হাসাহাসি শুরু করলো। এটাও একটা ভালো ব্যাপার। যখন কেউ হাসাহাসি করবে, বিদ্রুপ করবে তখনই বুঝতে হবে। তোমার কাজ আলাদা। এই হাসাহাসিটাকে পজিটিভলি নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। ওরা শুধু হাসলোই না। আরো বললো- আরে এই লোক পাগল নাকি ?এটা কীভাবে সম্ভব! আমি বললাম-চেষ্টা করে দেখতে দোষ কি? ঐ যে আগেই বলছিলাম না- আমি প্রকৃত ব্যাংকিং এর ব্যাপারে কিছুই জানিনা বলেই এভাবেই শুরু করতে পেরেছিলাম।

যেহেতু আমাদের জামানতের কোনো বালাই নাই। সেজন্য আমাদের কোনো আইনজীবীরও দরকার নাই। আপনারা শুণে আশ্চর্য্য হবেন- পৃথিবীতে গ্রামীণ ব্যাংকই একমাত্র ব্যাংক যেখানে কোনো আইনজীবী নাই।কোনো আইনজীবী ছাড়া, কোনো জামানত ছাড়া বিলিয়ন ডলার গরীবদের ঋণ দিলাম। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এমনকি আমেরিকার মতো ধনী দেশেও গরীবদের জন্য নিউইয়র্কে ৫ টি গ্রামীনব্যাংকের শাখা রয়েছে। ৃণ গ্রহীতা ১০০% মহিলা এবং ৃণ পরিশোধের হার প্রায় ৯৯% ।

এসব কথা বলার কারণ হলো- কোনো বিষয়ে না জানলে ভয় পাওয়ার,থেমে থাকার, নিথর হয়ে বসে থাকার কোনো কারণ নাই।
কখনো মনে করবে না যে- কোনো একটা বিষয়ে শুরু করতে হলে তোমাকে খুবই স্মার্ট হতে হবে, দারুন প্রতিভাবান হতে হবে।
আমাদের মতো স্টুপিড লোকেরাই কাজ শুরু করে এবং সফল হয়।আর এখানেই হলো সত্যিকারের মজা। তাই তোমাদের বলছি- কোনো ব্যাপারে চ্যালেন্জ মোকাবিলায় ভয় পাওয়ার কিছুই নাই।

কনভেনশনাল ব্যাংক সবসময় বলে আসছিলো- গরীব মানুষের ঋণ গ্রহণের কোনো সক্ষমতা নাই। ওরা ক্রেডিট ওয়ার্থি নয়- এ কথা আমি মিলিয়ন বারের চেয়েও বেশী শুণেছি। শুণতে শুণতে বললাম- গরীব মানুষরা "ক্রেডিট ওয়ার্থি" এটা চিন্তা করার চেয়ে ব্যাংক "পিপল ওয়ার্থি" কিনা -সেটাই হলো আসল বিবেচনার বিষয়।

কাজেই স্রোতের বাইরে গিয়ে বিপরীতমূখি কাজ করা অথবা স্টুপিডভাবে কোনো কিছু শুরু করা খারাপ নয়। বসে না থেকে যেকোনো কিছু শুরু করাটাই আসল। পথ দেখানোর মতো হাজার লোক থাকবে। কিন্তু নিজের পথটুকু নিজেকেই হাঁটতে হবে। এই পথ অন্য কেউ আর পৃথিবীতে হেঁটে দিবেনা। আমিও আমার পথে হাঁটা শুরু করলাম। আর শুরু যখন করেছি- অবশ্যই একজায়গায় গিয়ে শেষ হবে।
হাঁটার পথ মসৃণ হবে নাকি পিছঢালা হবে, কাঁদা হবে নাকি শুকনো হবে-এসব চিন্তা করে ঘরে বসে থাকলে হবেনা। মাটিতে পা রাখাটাই আসল।
ডঃ ইউনুসকে সুদখোর হিসাবে গালি দিয়ে অনেকে খুবই তৃপ্তি পান। কিন্তু উনারা চিন্তা করে দেখেন না আমাদের পুরো রাষ্ট্র ব্যবস্থাটাই সুদের উপরে।পোস্টের কলেবর বৃদ্ধি পাবে বলে শুধু দুটো কথা বলেই শেষ করছি।বাংলাদেশে ঠিক এ মুহুর্তে যে শিশুটি জন্ম নিলো তার ৃণ হলো ২২০ ডলার বা একটু এদিক ওদিক হতে পারে যা টাকায় ১৭,৬০০ টাকা।১৯৭৩-১৯৭৪ সালে যা ছিলো মাত্র ৫৪ ডলার। এই ৃণের সুদ আমার আপনার প্রিয় জন্মভুমিকেই পরিশোধ করতে হচ্ছে। অর্থ্যাৎ যে মাটির ওপর আপনি হাঁটেন সেটাও ৃণগ্রস্থ। এই গেলো একটি কথা।আরেকটি কথা হলো-বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে শুরু বাংলাদেশের প্রতিটি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ষোল আনা অথবা চৌদ্দ আনা ৃণ-সুদের সাথে জড়িত। কিন্তু সুদখোর হিসাবে গালি খান-শুধু ইউনুসই।
প্রেসিডেন্ট ওবামা দাঁড়িয়ে গলায় মেডেল পরিয়ে দিয়ে বলেন- আজ পুরো আমেরিকাবাসী গৌরবান্বিত হলো- আর আমরা গালিদেই- যা বেটা সুদখোর।
পৃথিবীর দশজন শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তির একজন হিসাবে নির্বাচিত হয়ে পুরো দেশকেই গৌরবান্বিত করেন- আমরা বলি- তুই বেটা মহাজন, সুদখোর।
বার্সেলোনা মাঠে ডঃ ইউনুসের জন্য মানপত্র পাঠ করা হয়-আমরা বলি বেটা খুবই ধুর্ত, মহাজন, সুদখোর। এই হলো গুণীমানুষকে সম্মান দেয়ার নমুনা।আর এই গালির পরিমাণ বেড়েছে উনার নোবলে পুরস্কার পাওয়ার পরপরই।
যেন-এটা দেশের জন্য কোনো গৌরবের না- এই প্রাপ্তিটা যেন বিরাট একটা অপরাধ। মাঝে মাঝে এতো অবাক হই নিজের বাকশক্তিই রুদ্ধ হয়ে যায়।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:১৪

পুলহ বলেছেন: "একটা জিনিস খেয়াল করলাম গুণি মানুষগুলো জটিল বিষয়গুলোকে অতি সাধারণ করে তোলে ধরেন। আর অল্পজানা মানুষগুলো সাধারণ বিষয়গুলোকে অতি জটিল করে তোলেন।" - খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা পর্যবেক্ষণ!

'না জানা মানেই হলো কোনো একটা বিষয়ে তোমার মনটা এখনো মুক্ত। তোমাকে তখন প্রতিষ্ঠিত কোনো নিয়ম, কোনো কর্মধারা ইত্যাদি নানা জটিল ব্যাপারগুলো নিয়ে আর ভাবতে হবেনা।'
'যখন কেউ হাসাহাসি করবে, বিদ্রুপ করবে তখনই বুঝতে হবে। তোমার কাজ আলাদা। এই হাসাহাসিটাকে পজিটিভলি নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।'
'গরীব মানুষরা "ক্রেডিট ওয়ার্থি" এটা চিন্তা করার চেয়ে ব্যাংক "পিপল ওয়ার্থি" কিনা -সেটাই হলো আসল বিবেচনার বিষয়।'
-- প্রতিটা কথাই অত্যন্ত গভীর, এবং একই সাথে শক্তিশালি চিন্তার সরল বহিঃপ্রকাশ; আপনি আগেই যেমনটা বলেছেন...

'যেন-এটা দেশের জন্য কোনো গৌরবের না- এই প্রাপ্তিটা যেন বিরাট একটা অপরাধ। মাঝে মাঝে এতো অবাক হই নিজের বাকশক্তিই রুদ্ধ হয়ে যায়...'- আমারো অবস্থাও মাঝে মাঝে আপনার মতই হয়, কিছু বলার পাই না...

পোস্ট ভালো লেগেছে ভাই :)

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৩৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ রইলো।

২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:২৪

চাটগাইয়া জাবেদ বলেছেন: সত্যিকারের গুণীর কদর করা আমরা বাঙালী শিখি নাই, হয়তো কখনো শিখবেও না! শান্তিতে নোবেলটা যদি না পেত তাইলে আজকে তিনি এক শ্রেণীর কাছ থেকে খুবই সম্মান পেত! অবশ্যই ঐ শ্রেণীর মানুষেই আজক্তে তাকে সুদখোর বলে আখ্যায়িত করে।

তাদের কে আগেও বলেছি এবং আপনার এ পোস্টের মাধ্যমে এখনো বলবো,- আপনাদের হেডামে পারলে দেখি সুদ নেওয়া ছাড়া নিজের পকেটের টাকা দিয়ে অন্য ব্যাংক থেকে কোন ঋণ না পাওয়া আমাদের মত গরীব পরিবার কে আপনি সুদছাড়া ঋণ দেন? তখন ইউনুস স্যারকে সুদখোর বলিয়েন এবং আমি নিজেও মাইক নিয়ে তার বাড়ির সামনে "ইউনুসয়া সুদখোর" বলে চিল্লাব। বিনিময়ে আরো অন্য কোন খারাপ রাস্তা অবলম্বন করবো! তো, পারবেন কি নিজের টাকা কোন দিয়ে ব্যাংক ও কর্মী কাটিয়ে গরীবকে বিনা সুদে ঋণ দিতে?? পারবেন?

[ দুঃখিত! হয়তো ভাষা একটু খারাপ করার জন্য! ]

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৩৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: না ঠিক আছে। আপনার মন্তব্যে +++++++++++++++++++

৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৩০

সায়েল বলেছেন: উনাকে প্রাপ্য সম্মান না দিয়ে অসম্মান করা হয়েছে।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৩৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: ধন্যবাদ রইলো।

৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৩৪

সুমন কর বলেছেন: উনার বক্তৃতাটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

ভালো বলেছেন।

৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:০০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ডঃ ইউনুস যা বলেছেন, তার সব কথার সাথে আমি একমত নই। এ ছাড়া কর অব্যাহতিসহ গ্রামীন ব্যাংকের আরও অনেক অপ্রীতিকর বিষয় তিনি তার ভাষণে এড়িয়ে গেছেন।

ধন্যবাদ লেখক।

৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫৬

বিজন রয় বলেছেন: যার যেমন বোধ।

৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০০

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সত্যি বলতে কনভেনশনাল না গ্রামীন ব্যাংক কোনটারই সুদের ধারণায় একমত নই। সে ব্যক্তিগত মতের বাইরে গেলে আপনার পোস্টের বাকি অংশ অসাধারণ লেগেছে। সফল মানুষের জীবন অনুপ্রেরনার উৎস।যখনই হতাশ হই তখনি এমন কিছু খুঁজি, উদ্যম পাই।তাই এমন পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। :)

৮| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩০

আবু শাকিল বলেছেন: গুণীর কদর আমাদের দেশে হয় না।
পোষ্টের সুদ টুদ বুঝি আরিফ ভাই।সফল মানুষের কথা ভাল্লাগছে।
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২২

মুদ্‌দাকির বলেছেন:
জনকের কন্যাকে নমস্কার জানাইলে সুদ টুদে কিছু হত না।

১০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এই হলো গুণীমানুষকে সম্মান দেয়ার নমুনা।আর এই গালির পরিমাণ বেড়েছে উনার নোবলে পুরস্কার পাওয়ার পরপরই।
যেন-এটা দেশের জন্য কোনো গৌরবের না- এই প্রাপ্তিটা যেন বিরাট একটা অপরাধ। মাঝে মাঝে এতো অবাক হই নিজের বাকশক্তিই রুদ্ধ হয়ে যায়।

+++

দু:খজনক চর্চা। বন্ধ হোক। গুনিজনের সম্মান কারো মূখাপেক্ষি নয়। বরং যে সম্মান দিতে জানলোনা সেই অসম্মানীত হলো।

১১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১১

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: কখনো মনে করবে না যে- কোনো একটা বিষয়ে শুরু করতে হলে তোমাকে খুবই স্মার্ট হতে হবে, দারুন প্রতিভাবান হতে হবে।
আমাদের মতো স্টুপিড লোকেরাই কাজ শুরু করে এবং সফল হয়।
আমাদের মতো স্টুপিড লোকেরাই কাজ শুরু করে এবং সফল হয়।আর এখানেই হলো সত্যিকারের মজা।

অসাধারণ.......
কথা শুনলেই ভায়া
লোম হয় খাড়া;
সেই তারে বলি মোরা
পাজী সুদখোরা?!?

ওবামাই একা নয়
যা বলে গোটা বিশ্ব;
বুঝবে কি মর্ম সে
মননে পুরো নিঃস্ব।

১২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য ..

১৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৯

মহা সমন্বয় বলেছেন: সত্যিকারের গুণীর কদর করা আমরা বাঙালী শিখি নাই।

ড: ইউনুসের কথাগুলো শুনে অনুপ্রানীত হলাম।

১৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪০

অগ্নি কল্লোল বলেছেন: ধন্যবাদ লেখক।।

১৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৫১

মাসূদ রানা বলেছেন: লেখাটা পড়ে খুব ভালো লাগলো খেয়া ঘাট। অনেক কিছু দিয়েছেন দেশ ও জাতিকে, আরো অনেক কিছু পাওয়ার ছিল ওনার কাছ থেকে :)

১৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৫৭

মোঃ ইয়াসির রহমান বলেছেন: স্রোতের বাইরে গিয়ে বিপরীতমূখি কাজ করা অথবা স্টুপিডভাবে কোনো কিছু শুরু করা খারাপ নয়। বসে না থেকে যেকোনো কিছু শুরু করাটাই আসল। পথ দেখানোর মতো হাজার লোক থাকবে। কিন্তু নিজের পথটুকু নিজেকেই হাঁটতে হবে। এই পথ অন্য কেউ আর পৃথিবীতে হেঁটে দিবেনা। আমিও আমার পথে হাঁটা শুরু করলাম। আর শুরু যখন করেছি- অবশ্যই একজায়গায় গিয়ে শেষ হবে।
হাঁটার পথ মসৃণ হবে নাকি পিছঢালা হবে, কাঁদা হবে নাকি শুকনো হবে-এসব চিন্তা করে ঘরে বসে থাকলে হবেনা। মাটিতে পা রাখাটাই আসল।


কথাগুলো বুকের মাঝে ধাক্কার মত লাগলো, শিহরিত অনুভূত হচ্ছে। গুণী মানুষদের চিন্তা ভাবণা বোধহয় এমনই হয়।
চমৎকার পোস্টের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ নিবেন।

১৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:




আমি ড: ইউনুসের ভালো খারাপ সবকিছু মিলে এখনো উনাকে সাপোর্ট করি।

আপনি উনার যে বক্তব্য তুলে ধরেছেন, সেটা কি উনার, না আপনার? ড: ইউনুস, অর্থনীতিতে পিএইচডি, বারবার বলছেন যে, উনি ব্যাংক কিভাবে চালাতে হয় জানতেন না। ***এটা সমস্যা

১৮| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:৩৪

খেয়া ঘাট বলেছেন: এটা উনার বক্তৃতা। ইউটিউবে সার্চ করলে পেয়ে যাবেন। ধন্যবাদ।

১৯| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: কিচ্ছু বলার নেই।

২০| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১০

আছিমভ বলেছেন: এক হীরক রাজা ও তার হুক্কা হুয়া রাজ্য শাসনের যে রূপক চিত্র আমাদের উপহার দিয়েছিলেন যুগ যুগ ধরে তা ছিল অতুলনীয়, অবিস্মরনীয়। সত্যজিত বাবুর হীরক রাজ্য এখন আর কল্পলোকের গল্প নয়, উজির নাজির কোতোয়াল সহ ফাংশনাল একটা সোসাইটি। কোন এক সকালে মনে হল ড: ইউনুস খারাপ ব্যাস শুরু হয়ে গে্ল দলীয় বুদ্ধিজীবী সমাজ, সম্পাদকদের প্রতিবাদ প্রতিভার বিস্ফোরণ। এক এক জন হয়ে গেল ক্ষুদ্র ঋন বিশেষজ্ঞ আর ইউনুস সাহেব হয়ে গেলে সুদখোর। শেয়ার মার্কেট, হলমার্কে কিংবা বেসিক ব্যাংকে এদের টনক নরেনা টনক শুধু ড: ইউনুসে।

শীতকালে গ্রামাঞ্চলে শিয়ালের ডাক শুনেছেন, গ্রাম্য জীবন নির্জীব হওয়ার সাথেই শুরু হয় ওদের রাজত্ব। প্রথম হুক্কা হুয়াটা আসে এককভাবে। দ্বিতীয়টায় যোগ দেয় আরও দুয়েকটা, কেবল তারপর শুরু হয় আল-আউট হুক্কা হুয়া সিম্ফনি। চাইকোভস্কী, বেতহোভেন, মজার্ত, সেস্তাকোভিচ... রাত যত বাড়তে থাকে গোটা গ্রাম জুড়ে চলতে থাকে শেয়াল সিম্ফনির মোহনীয় রাজত্ব।

২১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৪

আছিমভ বলেছেন: কথাগুলি এক সময় বলে ছিলেন ব্লগার ওয়াচডগ৫৭ তার শেয়াল রাজ্যের হুক্কা হোয়া ও একজন ইউনূস মাস্টারের পতন...ব্লগে

২২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৬

গরল বলেছেন: যে জাতি গুনীদের সম্মান দিতে জানে না সে জাতির কখন উন্নতি হয় না। পাকিস্তান তাদের পরমানু গবেষণার জনক আব্দুল কাদেরকে জেলে পাঠিয়েছে আর ভারত রাষ্ট্রপতি বানিয়েছে। পাকিস্তান একটি ব্যার্থ রাষ্ট্রে পরিণত হতে খুব বেশী দেরি নাই। জাতির আচরণই বলে দেয় তাদের পরিণতি কি হবে।

২৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০১

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: পাহাড়কে কোনো শীর্নকায় ব্যক্তি সর্বশক্তি প্রয়োগ করে ঠেললেও পাহাড়ের কিছু হয় না, বরং ওই দুর্বল ব্যক্তি তার পশ্চাদদেশে প্রচন্ড ব্যথা পায়

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.