নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট › বিস্তারিত পোস্টঃ

তসলীমা-অশ্লীলতা ও অন্যান্য- একটি বানোয়াট-ভিত্তিহীন গল্প

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৪

গ্রামের এক গরীব কৃষক একটা ফল গাছের চারা রোপণ করলেন। কিছুদিন পর দেখা গেলো চারাটি ছাগলে খেয়ে চলে গেছে।
তারপর একজন মাঝি , একজন শ্রমিক, একজন ক্ষেতমজুর, একজন কাঠুরে গাছের চারা লাগালেন- কিন্তু সেই একই অবস্থা। ছাগলে খেয়ে চলে যায়।

এবার গাছ লাগালেন একসাথে তসলীমা নাসরিন আর জর্মানে আশ্রিত নব্য দুজন অশ্লীলতার ফেরীওয়ালারা। যারা ইদানীং এতো নোংরা আর অশ্লীল স্ট্যাটাস প্রসব করে চলেছেন -যা শব্দে ধারণ করতেও লজ্জা পাচ্ছি।প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া ইভেন্টের চূড়ান্ত ফ্লপের পর রাগে,ক্ষোভে গতকালতো পুরো বাঙ্গাল জাতিটাকেই ধিক্কার জানালেন সদ্য প্রসব করা উনাদের একটা মেটাফোর গল্পে।

কিন্তু অবাক কাণ্ড। উনাদের লাগানো চারাগাছটি ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে। ছাগলে আর খায়না। না গাছের চারপাশে কোনো বেড়া দেয়া হয়নি। এই বিশাল খবর পত্রিকায় ফলাও করে প্রচার হলো। টিভির পর্দা খুললেই উনাদের সাক্ষাৎকার। রিফিউজি টাকা বাড়ছে, প্রশংসাপত্র আসছে, জর্মানে পার্মানেন্ট থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত হচ্ছে। আহা! কী আনন্দ আকাশে বাতাসে।

উনারা সাক্ষাৎকার দিলেন- গোঁড়া,সেকেলে, আদিম, বর্বর বাঙ্গালগুলো আমাদের চিনলোনা। কিন্তু একটা অবুঝ ছাগল আমাদের মর্যাদা অনুধাবন করতে পারলো। এসব গোঁড়াদের মাথায় আসলে ছাগলের বুদ্ধিও নেই। আহা! এইসব মূর্খ, ইতর বাঙ্গালগুলো যদি অন্ততঃ ছাগল হতো।

কিছুদিন পর- মূল ব্যাপারটা জানা গেলো ছাগলের মালিকের কাছ থেকে। এই ছাগল অপবিত্র কিছুর স্পর্শ আছে -এমন কিছু খাবেতো দূরের কথা এসবের আশেপাশ দিয়েও যায়না। কৃষক, শ্রমিক,মজুর, খেটে খাওয়া মানুষগুলোর রোপণ করা চারায় ছিলো পবিত্র হাতের স্পর্শ।

তসলীমারা একথা শুণে হোহো করে হেসে স্ট্যাটাস লিখলেন- হায়রে বেয়াকুবের দল। তোদের কি আর এমনিতেই বুরবক আর মূর্খ বলি। আগেতো গাছের চারা বাঁচুক। গাছটা বড় হোক। ফল ধরুক। ফল ধরলেতো তোরাই খাবি নাকি? গাছই বাঁচাতে পারিসনা। আর আসছিস পবিত্রতা আর অপবিত্রতা, শ্লীলতা আর অশ্লীলতা মারাতে। তোদের মান-সম্মান, ইজ্জত এতোই নড়বড়ে আর কচুপাতার পানির মতো কেন? এই যে আমরা এতোসব লিখি,এতো কিছু দেখাই, উদোম করি, চটি সাহিত্য চর্চা করি, শরীরের যাবতীয় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ,ভিতরের-বাহিরের মুক্ত প্রদর্শণ করি-কই আমাদের ইজ্জততো যায়না। শুধু তোদের দেখে আর পড়েই ইজ্জত যায় কেন?

স্ট্যাটাসের নীচে- এই মূর্খবান্দা কমেন্ট লিখলো- ইজ্জত যার আছে তারইতো যাবে।সানি লিওনেরতো আর ইজ্জত যাবেনা। ইজ্জত যার নাই তার আর যাবে কি? তারপরও আপনাকে ধন্যবাদ-ইজ্জত নিয়ে অন্তত চিন্তা করার জন্য। ভালো খুব ভালো।

যাইহোক, চারাগাছটি দিনদিন বড় হচ্ছে। ওনাদের প্রশংসা সব মিডিয়ায়। একসময় ফলও ধরলো।কী সুন্দর ফল গাছে ঝুলছে !পত্রিকা, ফেসবুকের পাতা ভর্তি ছবি। হাজারে হাজারে শেয়ার।

পরদিন সকালে গাছের নীচে গিয়ে দেখা যায়-এক ঝাঁক পাখী গাছটির নীচে মরে পড়ে আছে। প্রতিটি পাখীর ঠোঁটে লেগে আছে পাকা ফলের রস।

কারো বুঝতে আর বাকী রইলো না- অপবিত্র হাতে লাগানো গাছটির ফলগুলোও মারাত্মক বিষাক্ত হয়েছে। আর অবুঝ পাখীগুলো ঠোঁটে লাগা মাত্রই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে।

গ্রামবাসীরা সিদ্ধান্ত নিলো-এই বিষাক্ত ফল নিজেরা খাওয়াতো দূরের কথা এই গাছের আশে পাশেও যাওয়া যাবেনা।আর বাকি সবাইকেও এইসব বিষাক্ত ফল খাওয়া থেকে বারণ করতে হবে। শুধু তাইনা- খেয়াল রাখতে হবে- এসব পাপ ফলের চাষাবাদও যেন এই পবিত্র বাংলাভূমির এক ইণ্চি মাটিতেও যেন না হয়।যেকেউ যদি কোনোভাবে এই পাপগাছ লাগানোর চেষ্টা করে তবে নিমিষেই তা উপড়ে ফেলতে হবে।

শুধু একটা প্রগতিবাদী বিজ্ঞানমনস্ক পত্রিকায় লিখলো- এটা সম্পূর্ণ বানোয়াট, ভিত্তিহীন একটা গল্প। এই সব বস্তাপচা গল্পের সাথে বিজ্ঞানের আদৌ কোনো সম্পর্ক নেই।
©আরিফ

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২০

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: উনাদের প্রগতিশীলতার ধরণ দেখলে হাসি পায়! উনারা শিক্ষার জন্য আন্দোলন করে না। শিক্ষার আলো যেখানে যায় নি সেখানে শিক্ষার আলো জ্বালানোর উনাদের কর্ম পন্থায় নেই। আছে কিছু আজগুবি জিনিস। প্রকাশ্য চুম্বন কিংবা প্রকাশ্যে সেক্স দিয়ে উনারা সমাজ বদলাবেন। প্রকাশ্যে চুম্বন কিংবা সেক্স করলে কিভাবে সমাজ প্রগতিশীল হবে টা বুঝতে অপারগ।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:১৮

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ প্রিয় ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.