নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট › বিস্তারিত পোস্টঃ

মন্ত্রীমহোদয়দের ইচ্ছা আর ক্ষমতা

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০১

আমি শতাব্দী নামক সেই কিশোরী মেয়ের সাহসকে এবং তাঁর অধিকার আদায়ের প্রেরণাকে সম্মান জানাই। সেই সাথে শ্রদ্ধা জানাই মাননীয় মন্ত্রীমহোদয়কে যিনি তাৎক্ষণিকভাবে আদেশ দেন শতাব্দীদের জন্য বাসের ব্যবস্থা করতে। দেখে ভালো লাগলো-তাঁর আদেশের কত দ্রুত বাস্তবায়ন। ২৪ ঘন্টার মাঝেই শতাব্দীরা বাস পেয়ে আনন্দিত হয়েছে। তাঁদের চোখে মুখে দেখেছি এক অন্যরকমের বিজয়ের বহিঃপ্রকাশ।
এখানে- দুটো জিনিস খেয়াল করুন।
১) মন্ত্রী মহোদয়ের ইচ্ছা, ২) তাঁদের অসীম ক্ষমতা।
অনেকের ইচ্ছা থাকে কিন্তু করার জন্য ক্ষমতা থাকেনা। আবার অনেকের ক্ষমতা আছে কিন্তু করার ইচ্ছে থাকেনা। এই সহজ সূত্রটা নিশ্চয়ই না বুঝার কিছুই নাই। এই সূত্র ধরে এবার একটু সামনে এগিয়ে যাই।
ঘটনা একঃ বছর ঘুরতেই সাগর-রুনির এতিম শিশু মেঘকে তার বাবা-মায়ের কবরের সামনে দাঁড়িয়ে কাঁদতে দেখা যায়। এই কান্নার ছবিটা নিশ্চয়ই অনেক মন্ত্রিমহোদয়দের চোখে পড়েছে। কিন্তু, সেই নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার আজোও হয়নি। কেন হয়নি?
১) কারো বিচার করার সদিচ্ছা নেই, ২)অথবা, বিচার করার ক্ষমতা নেই।
ইচ্ছে যদি থাকে তবে খুনীর ক্ষমতা মন্ত্রীদের চাইতেও এতো বেশী তাদের বিচারের আওতায় আনার সাহস নেই। অথবা-বিচার করার ক্ষমতা যদি থাকে তবে কারো কোনো ইচ্ছে আর নাই।
ঘটনা দুইঃ একেবারে তাজা ঘটনা। ফেসবুক ব্যবহার করে কিন্তু জুনায়েদকে চিনেনা এমন কেউ আর বাকি নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর কারো চোখে ভালো, কারো চোখে খারাপ। উনার অশ্রুসজল ভিডিও ক্লিপটি ফেসবুকে ভিও হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার। আর জুনায়েদের ক্লিপটি ভিও হয়েছে প্রায় ৩ লাখের ওপরে। শুধু জুনায়েদের অরিজিনাল ক্লিপটিই না, ওকে নিয়ে নানা ব্যঙ্গাত্নক যে ক্লিপ গুলো বানানো হয়েছে সেগুলোরও শেয়ার আর ভিউ লাখের ওপরে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে একটা দলিল এর আগে ফেসবুকে শেয়ার হয়ছিলো মাত্র শ'তিনেক। আর পরী মনির বিয়ের কাবিন শেয়ার হয়েছে প্রায় ৭০ হাজারের ওপরে। এথেকেই বুঝা যায়- আমাদের আগ্রহ কীসে? যাই হোক, জুনায়েদকে সবাই চিনে গেছে। ভিক্টিম ছেলেটির টিভিতে সাক্ষাৎকার দেখলাম-বেচারার একেবারে কাহিল অবস্থা। দোষ নিশ্চয়ই দুজনের আছে। কিন্তু যেহেতু দেশে বিচারব্যবস্থা, আইনের শাসন বিদ্যমান। তাই, জুনায়েদকে কেন গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হলোনা। এ আজকে মারছে- কাল পরশুতো মার্ডার করে বসবে। এক্ষেত্রেও সেই সহজ ফর্মূলা।
১) ইচ্ছে নেই, ২) অথবা, ক্ষমতা নেই।
আপাততঃ এ দুটো ঘটনাতেই থাকি। এরকম আরো শত শত ঘটনার উল্লেখ করা যাবে। যেখানে মন্ত্রীমহোদয়দের ইচ্ছে আর ক্ষমতার যোগসূত্র একসাথে ঘটেনা। দৈবাৎ যদি ঘটে যায়, তবেই শতাব্দীরা অতি দ্রুত বাস পেয়ে যেমন খুশী হয়, ঠিক তেমনি দেশে বিচারব্যবস্থা, আইনের শাসনেরও প্রতিষ্ঠা হয়। মন্ত্রীমহোদয়দের মনে সদিচ্ছা আর অসীম ক্ষমতার সুন্দর যোগসূত্র সব জায়গায় একসাথে বেঁচে থাকুক।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:০২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ইচ্ছা আর ক্ষমতা যদি মিলতোই তবে বাংলাদেশ এই অবস্থানে থাকতো না। যাই হোক, আশা হারাতে ইচ্ছে করে না, ক্ষমতাও নেই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.