নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট › বিস্তারিত পোস্টঃ

সূর্যের জাত কি???

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:২৯

সূর্যের জাতিত্ব কি? বাংলাদেশি, ভারতীয়, রাশিয়ান, নাকি আমেরিকান? সূর্য কারোরই না। সূর্যের আলো সবার জন্য।যারা দেখতে চায়। জলের ধর্ম কি? না খৃষ্টান,না হিন্দু, না মুসলমান,না বৌদ্ধ? জলের ধর্ম হলো মানুষের তৃষ্না মেটানো। মৃত্তিকা কোন সম্প্রদায়ের,কোন বংশের? মৃত্তিকা সবার। নিজের ওপরে সবাইকে হাঁটতে দেয়, মরে গেলে বুকে টেনে নেয়। মহাকাশ কার? আরবের, সাদাদের, কালোদের, আফ্রিকানদের, ককেশাসদের? বাতাসের রঙ কি? বাদামী, সাদা, কালো? বাতাস কারো না,নিঃশ্বাস নেয়ার জন্য বাতাস সবার। চাঁদের আলো কার? কারোরই না। সৌন্দর্য্য পিপাসু প্রতিটি মানুষের। পৃথিবীব্যপী বিস্তৃত সবুজ সমারোহ যা প্রতিনিয়ত অক্সিজেন দিচ্ছে বাঁচার জন্য-এগুলোর ভাষা কি? ইংরেজি, ফার্সি, হিন্দি, উর্দু, আরবি,বাংলা? এদের ধর্ম কি, জাতীয়তা কি, রঙ কি, বর্ণ কি, গোত্র কি?
এগুলো সবই সার্বজনীন। কোনো বংশের,কোনো গোত্রের, কোনো দেশের, কোনো সাম্রাজ্যের, কোনো অধিপতির,কোনো সংস্কৃতির, কোনো ভাষার না। প্রবাহমান জলে বাঁধ দিয়ে ক্ষমতার দম্ভ করা যায়- কিন্তু মেঘের পায়ে শিকল পরানোর শক্তি কি কারো আছে? বাতাস, মেঘ, সমূদ্র, সূর্য, চন্দ্রের আলোর কি কোনো সীমানা আছে? কোনো বাঁধ দিয়ে এদের আটকানো যায়। কোনো সীমানা দিয়ে কি এদের আলাদা করা যায়? এগুলো কারো অধীনে না, কোনো সীমানার শৃংখলে এদের আটকানোও যায়না। কিন্তু সার্বজনীনভাবে সবার উপভোগের জন্য। যদি অনুধাবন করা যায়- বুঝতে পারবেন-স্রষ্টা এসব সার্বজনীন করে দিয়েছে পুরো বিশ্ববাসীর জন্য। মানুষের একটি মুহুর্ত যাদের ছাড়া চলেনা-তারা সবাই বিশ্বজনীন। কোনো জাতি,দেশ,বংশ, গোষ্ঠি,সম্প্রদায় তাদের মালিকানা দাবী করতে পারেনা।অথচ মানুষ নিজ ধর্ম, সংস্কৃতি ,বর্ণ,গোত্র, জাতীয়তা,ভাষার অহংকার করে? একজন আরেকজনের বিশ্বাসকে তুচ্ছ করে, তাচ্ছিল্য করে। হুজুর কেনো দাড়ি রাখলো, কেনো মাথায় পাগড়ি,কেন লম্বা জোব্বা পরলো-এটা নিয়ে ব্যঙ্গ করে-এ করাটাই সাম্প্রদায়িকতা। ব্রাহ্মন কেনো ধুতি পরে এটা নিয়ে তামাশা করা সাম্প্রদায়িকতা। হুজুর দেখলেই কাঠমোল্লা বলে বিদ্রুপ করাই সাম্প্রদায়িকতা,হিন্দুকে মালাউন বলে কটাক্ষ করাই সাম্প্রদায়িকতা, হিন্দু মহিলার চুলে সিঁদুর কেনো, মুসলিম মহিলার মাথায় হিজাব কেন, হিজাব মুক্ত দেশ চাই- এটা বলাই সাম্প্রদায়িকতা। সবচেয়ে বড় সন্ত্রাস হচ্ছে কারো মতের ওপর আঘাত করা। সবচেয়ে বড় সাম্প্রদায়িকতা হচ্ছে - কারো বিশ্বাসকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা। প্রতিটি জিনিসের নিজস্ব একটা ধর্ম আছে। যেমন -বাতাস, পানি ,লোহা, মাটি,আগুন সবার নিজ নিজ ধর্ম আছে। পানি তার নিজ ধর্ম থেকে বিচ্যুতি ঘটার কোনো শক্তি নেই। যদি বিচ্যুতি ঘটে পানি আর পানি থাকেনা। এরা কেউ নিজেদের জাহির করেনা। অথচ মানুষ নিজ নিজ ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব জাহির করে, কিন্তু মানুষ হিসাবে 'মানুষ ধর্ম'র কতটুকু পালন করে?

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৪৯

কানিজ রিনা বলেছেন: খুব ভাল লাগল ধন্য়বাদ।

২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৩

টুনটুনি০৪ বলেছেন: আপনার কথাগুলো খুব ভালো লেগেছে।

৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২৬

ভাবুক কবি বলেছেন: ভাল লিখা বটে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.