![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বামী বিবেকানন্দ ১৮৯৩ সালে শিকাগো শহরে আসেন ওয়ার্ল্ড পার্লামেন্ট রিলিজিয়ন কংগ্রেসে বক্তৃতা দেয়ার জন্য। পুরো ভারতের ইতিহাসে এমন অসাম্প্রদায়িক আর পণ্ডিত মানুষের জন্ম হয়নি। প্রতিদিন নাকি একটা বই পড়ে উনি শেষ করতেন। ইউটিউবে উনার বক্তৃতাটি আছে। কেউ চাইলে ইউটিউবে সার্চ দিয়ে শুনতে পারেন। ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়ন পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট ডঃ জন হেনরি-স্বামি বিবেকানন্দকে খাওয়ার জন্য নিয়ে গেলে- স্বামী বললেন- শুনেছি- শিকাগোর বীফ পৃথিবী বিখ্যাত। এই শহরে এসে বীফ না খেয়ে কেমনে যাই। আমি গরুর মাংসই খাবো। ডঃ হেনরি বললেন- কিন্তু আপনার ধর্ম?
শুধুমাত্র গোমাংস না খেলেই ধর্ম পালন হয়ে যায়না, আবার শুধুমাত্র গো মাংস খেলেই ধর্মের বিনাশ হয়ে যায়না। আমার ধর্ম শুধু খাবারেই নয়, আমার ধর্ম আচারে। জীবের প্রতি প্রেমও আমার ধর্ম। মানুষের প্রতি প্রেম তারচেয়েও বড় ধর্ম।
সাউথ আফ্রিকার রেল স্টেশান। দৌড়ে রেলে ওঠতে গিয়ে ভদ্রলোক দেখেন-তার ডান পায়ে জুতো আর বাম পা খালি। তিনি ডান পায়ের জুতোখানাও এবার ট্রেনের প্লাটফর্মে ছুড়ে দিলে- পাশে দাঁড়ানো যাত্রী বললেন- মশাই এটা কি করলেন?
ভদ্রলোক বললেন-ভালোই তো করলাম। একপায়ে জুতো পরতে কাউকে দেখেছেন কখনো? যে পরবে সে দুটোই পরুক।
এই ভদ্রলোক ছিলেন মহাত্মা গান্ধি। গিয়েছিলেন-একটা মুসলিল ল ফার্মের অধীনে ব্যরিস্টারি করার জন্য। কিন্তু রেলের কামরায় গান্ধিকে বসতে দেয়া হবেনা। কারণ-উনার বর্ণ কালো। এই ঘটনাই বদলে গেলো তাঁর জীবন। ভারতে ফিরে আসলেন -একটা অসাম্প্রদায়িক ভারতবর্ষ গঠন করার জন্য। গান্ধীর দরবারে প্রায় ৫০ হাজারেরও বেশি পোস্টকার্ড আর টেলিগ্রাম আসলো-গো হত্যা বন্ধ করার জন্য।
গান্ধী বললেন-সেটা সম্ভব না। গরু আপনারা পালন করে বড় করেন। তারপর অন্য দেশে পাচার করেন। যেসব দেশ ভারত থেকে গরু নিয়ে যায়-তারা কি পুজা করতে নিয়ে যায়? নিজে গরু জবাই করে পাপ করলেন না- কিন্তু যারা জবাই করবে তাদের কাছে তোলে দিলেন। তার মানে কি দাঁড়ালো- মাকে নিজে খুন করলেন না, কিন্তু অন্যের হাতে তোলে দিলেন খুন করার জন্য। মতিলাল নেহেরু উনার পত্নি রানী নেহেরুর পায়ে জুতো দেখিয়ে বললেন- এগুলোতো গরুর চামড়ায় তৈরি করা জুতো। মাকে খুন করা যায়না, কিন্তু মায়ের চামড়ায় তৈরি জুতো খুব পরা যায় বুঝি। তবে যেহেতু হিন্দুরা গোমাংস খায়না। সেই বিশ্বাসকে শ্রদ্ধা করে মুসলমানদেরও উচিত তাদের সামনে প্রকাশ্যে "বিফপার্টি"র আয়োজন করে কারো ধর্মকে কটাক্ষ না করা, ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ না করা ,অশ্রদ্ধা না করা। গরুর মাংস খেলেই মুসলমানিত্বের একেবারে ষোলকলা দূরে থাক এক আনাও পূর্ণ হয়না। হিংসায় শুধু হিংসা বাড়ায়, আর ঘৃণায় বাড়ায় ঘৃণা।
ভারতের গুজরাতে গরু জবাই করলে যাবতজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করা হয়েছে। আর মানুষ খুন করলে সরাসরি মন্ত্রী। স্বামী বিবেকানন্দ আজ জীবিত থাকলে ভারতবর্ষের এই দূর্গতি দেখে আফসোস করেই মারা যেতেন আর মহাত্না গান্ধীকে নথুরাম গডসের গুলিতে খুন হতে হতোনা, তিনি নিজেই সুইসাইড করতেন।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৮
খেয়া ঘাট বলেছেন: মজাও পেলাম , দুঃখও পেলাম। ধন্যবাদ জুনাপু।
২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:১৭
ফ্রিটক বলেছেন: কথাগুলি ভাল লিখেছেন। ধন্যবাদ
৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৯
সঞ্জয় নিপু বলেছেন: জুন, আপুর লিঙ্ক টা কিন্তু চমৎকার।
পৃথিবীতে আর একটা স্বামী বিবেকানন্দ, মহাত্মা গান্ধী মনে হয় না আর জন্ম নিবে। এভাবেই চলবে বিভেদ।
ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টের জন্য।
৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৯
খেয়া ঘাট বলেছেন: ধন্যবাদ রইলো।
৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৭
ভবঘুরের ঠিকানা বলেছেন: স্বামী বিবেকানন্দ আজ জীবিত থাকলে ভারতবর্ষের এই দূর্গতি দেখে আফসোস করেই মারা যেতেন আর মহাত্না গান্ধীকে নথুরাম গডসের গুলিতে খুন হতে হতোনা, তিনি নিজেই সুইসাইড করতেন ।
ঠিক বলেছেন।
৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫০
সুমন কর বলেছেন: হিংসায় শুধু হিংসা বাড়ায়, আর ঘৃণায় বাড়ায় ঘৃণা।
৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:০১
টারজান০০০০৭ বলেছেন: ভারতের গুজরাতে গরু জবাই করলে যাবতজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করা হয়েছে। আর মানুষ খুন করলে সরাসরি মন্ত্রী।
গোবৎস নরাধম মোদির কাছে এর চেয়ে ভালো আর কি আশা করা যায় ! বিবেকানন্দ , গান্ধীর সাথে ভারতের অসাম্প্রদায়িক চরিত্রের মৃত্যু ঘটেছে। নেহেরু , প্যাটেল , বল্লভ এরাতো নরাধম মোদিরই গুরুজী ছিল ! এদের কথা বলে আর লাভ কি। পুরো ভারতই এখন বিরাট গোয়ালঘরে পরিণত হতে চলেছে !
৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৩০
নতুন নকিব বলেছেন:
বর্তমান বিশ্বে যে কয়টি সাম্প্রদায়িক নরাধম তান্ডব চালনায় সব্যসাচী তার মধ্যে আটলান্টিকের ওই পাড়ের নরাধম ট্রাম্প, মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়া জংলী দঙ্গল হতভাগা নরাধম নেতানিয়াহু আর তার মিত্র ভারতের গুজরাটের খুনি নরাধমের নাম করতেই হয়।
৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৪১
সোহানী বলেছেন: ওওওও ভারত!!! তারা এ আইন করবে নাতো কারা করবে???? ওদের সত্যিকারের শিক্ষিত হবে আরো কয়েক হাজার বছর লাগবে....
১০| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৩:৪৬
রিফাত হোসেন বলেছেন: +
১১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৪:২৪
জগতারন বলেছেন:
এমন সুন্দর একটি প্রবন্ধ পোষ্ট করায় প্রিয় ব্লগার খেয়া ঘাট -এর প্রতি অভিন্দন জ্ঞাপন করছি।
১২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৩৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: গান্ধীজি বস মানুষ।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৪১
জুন বলেছেন: Click This Link
