নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট › বিস্তারিত পোস্টঃ

মনোবচনঃ চার

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৪:৫৭

১) শুধু ধর্মের ভিত্তিতে দ্বেষ হয় কিন্তু দেশ হয়না।
২) ভাস্কর্য আর মূর্তির পার্থক্য বুঝ । শুধু ক্ষুধা আর উপবাসের পার্থক্য বুঝনা।
৩) বদ্ধ নর্দমার উপচে পড়া গন্ধে আবদ্ধ ট্রাফিক জ্যামে হাপিত্যেস করে, গ্যাসের অভাবে চুল্লি আর পানির অভাবে দৈনিক কাজ বন্ধ করে, লোড শেডিংএ আক্রান্ত আর বায়ু দূষণের একটা নগর দুয়েকটা ভাস্কর্য্ তৈরি করলেই শৈল্পিক শহরে পরিণত হয়না।
৪) জীবনে অনেক ভাস্কর্য দেখেছি। তবে, সুপ্রীম কোর্টের সামনের ভাস্কর্যটিকে শিল্প না বরং একটা কাকতাড়ুয়াই মনে হয়।
৫) বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ভাস্কর্য শিল্পীরা হলেন-গ্রামের কৃষক। শহরের নান্দনিকতা ছেড়ে একটু গ্রামে গেলে শস্য ক্ষেতে অসংখ্য কাকতাড়ুয়া শিল্প দেখতে পাবেন। এসব কাকতাড়ুয়া নিয়ে হুজুরদের অভিমত কি?
৬) পাথরে তৈরি ভাস্কর্যে কেউ প্রার্থণাও করেনা, ফুলও দেয়না। কিন্তু মৃত লাশের মাজার ভাস্কর্যে মানুষ পুজা করে, ফুল দেয়, প্রার্থণা করে। হুজুরেরা পাথরের তৈরী ভাস্কর্যের ব্যাপারে সরব আর লাশের ভাস্কর্যের ক্ষেত্রে নীরব।
৭) হেফাজতের কাছে থেকে ভাস্কর্য রক্ষা পেলেও মূর্খ কাকের কাছে থেকে পাওয়া যাবেনা। সে সুযোগ পেলেই পটি করে দেবে।
৮) পুরো জীবনই কারো কাছে শুধুই একটা মুহুর্ত। আবার এক মুহুর্তই কারো কাছে পূর্ণ একটা জীবন।
৯) শত সূর্যালোকও যেমন মনের এক কণা অন্ধকার দূর করতে পারেনা। ঠিক তেমনি, পৃথিবীর সব অন্ধকার মিলেও হৃদয়ের আলোকে আঁধার করতে পারেনা।
১০) যে ডাক্তারের চেম্বারে সযতনে রাখা চারা গাছটি মারা গেছে-সেই ডাক্তারের কাছে কখনো চিকিৎসা নিতে যেয়োনা।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৫:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনারা অনেকেই বাণী দিচ্ছেন; আপনারা কি প্রেসিডেন্ট, প্রাইম মিনিস্টার?

২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৩৫

আল রাকিস বলেছেন: tik blesen

৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:১১

করুণাধারা বলেছেন:
বরাবরের মতই ভাল লিখেছেন। বেশি ভাল লাগল-


১)পাথরে তৈরি ভাস্কর্যে কেউ প্রার্থণাও করেনা, ফুলও দেয়না। কিন্তু মৃত লাশের মাজার ভাস্কর্যে মানুষ পুজা করে, ফুল দেয়, প্রার্থণা করে। হুজুরেরা পাথরের তৈরী ভাস্কর্যের ব্যাপারে সরব আর লাশের ভাস্কর্য এর ব্যাপারে নীরব।

২)যে ডাক্তারের চেম্বারে সযতনে রাখা চারা গাছটি মারা গেছে-সেই ডাক্তারের কাছে কখনো চিকিৎসা নিতে যেয়োনা।

৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:১৯

সৌমিক আহমেদ খান বলেছেন: ৫) বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ভাস্কর্য শিল্পীরা হলেন-গ্রামের কৃষক। শহরের নান্দনিকতা ছেড়ে একটু গ্রামে গেলে শস্য ক্ষেতে অসংখ্য কাকতাড়ুয়া শিল্প দেখতে পাবেন। এসব কাকতাড়ুয়া নিয়ে হুজুরদের অভিমত কি?
৬) পাথরে তৈরি ভাস্কর্যে কেউ প্রার্থণাও করেনা, ফুলও দেয়না। কিন্তু মৃত লাশের মাজার ভাস্কর্যে মানুষ পুজা করে, ফুল দেয়, প্রার্থণা করে। হুজুরেরা পাথরের তৈরী ভাস্কর্যের ব্যাপারে সরব আর লাশের ভাস্কর্যের ক্ষেত্রে নীরব।

চরম কইসেন

৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:১৪

মামুন ইসলাম বলেছেন: আপনার চমৎকার ভাবনা।

৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২২

হাফিজ রাহমান বলেছেন: হুজুর খাজুর কোনো প্রসঙ্গ নয়। তাদের সরবতা নীরবতাও কোনো ফ্যাক্টর নয়। ভাস্কর্য সম্বন্ধে ইসলামিক আইন ও দর্শন কি বলে ? এ প্রশ্নের যথার্থ উত্তর অন্বেষণ করা অবশ্য কর্তব্য। পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় নিয়ে হলেও এ সম্বন্ধে পরিস্কার ধারনা লাভ করা চাই। এরপর আসবে মত অভিমতের প্রশ্ন। ইসলামিক আইনের গভীর অধ্যয়নে বোধ হয় কাকতাড়ুয়া শিল্প আর ভাস্কর্য শিল্পের মাঝে খুব বেশ ব্যবধান ফুটে উঠবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.