|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
পুরো ভারতীয় উপমহাদেশে রাজনীতির পাশাপাশি যে কয়েকজন মানুষের একাডেমিক  পড়ালেখা এবং প্রজ্ঞাকে   প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্য দুজায়গায় বেশ সমীহ করে চলে  তাদের  একজন হলেন কংগ্রেসের শশি তারর আরেকজন প্রো বিজেপির তাত্ত্বিকগুরু  সুব্রণ্যম স্বামী।   শশী তারর আপন চাচা বিশ্ববিখ্যাত জনপ্রিয় ম্যাগাজিন রিডার্স ডাইজেস্টের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি নিজেও মাত্র ২২ বছর বয়সে মার্কিন মুল্লুক থেকে  পিএইচডি পাঠ শেষ করেছেন। আর সুবণ্যম স্বামী হার্ভাড থেকে উচ্চতর ডিগ্রী নিয়েছেন। বিজেপি বলয়ে থাকলেও সুব্রণ্যম স্বামীর সাথে মোদির এখন চলছে ঠান্ডা লড়াই। তিনি বলেছেন- মোদি অর্থনীতির কিছুই বুঝেনা। সেইজন্য ৬৪% শিক্ষিত গ্রাজুয়েট ভারতে বেকার। অর্থনীতির বেহাল দশা। বর্তমানে কংগ্রেসের এমপি শশী তারর তাই এক ডিবেটে  জানতে চান- এরকম চললে দেশের অর্থনীতি  ভালো হবে কেমনে?
 সুব্রন্যম স্বামী বলেন- পুরো ভারতের অর্থনীতি ভালো হয়ে যাবে যদি রুপি থেকে গান্ধীর ছবি মুছে দিয়ে দেবী লক্ষীর ছবি ছাপানো হয়। শশী তারর বলেন- এরপর আর কোনো ডিভেট চলেনা।  হার্ভার্ড থেকে পিএইচডি করা মানুষের চিন্তার যদি হয় এই অবস্থা।  সেইজন্যই সুইস চমস্কি হিসাবে খ্যাত এল্যাইন ডি বটম বলেন-ওয়েল এডুকেটেড মাইণ্ডের চেয়ে ওয়েল ফর্মড মাইন্ডের গুরুত্ব বেশি। মন শুধু উচ্চ শিক্ষিত হলেই হবেনা যদিনা এটা ওয়েল ফর্মড মন না হয়। এভিল মানুষের মগজে  শিক্ষা প্রবেশ করলে মানুষকে ওয়েল ফর্মডের পরিবর্তে ইল ফর্মডও বানাতে পারে। মন  ইল ফর্মড হয়ে যাওয়া  খুবই ভয়ঙ্কর। ওয়েল ফর্মড মন সমস্যার ভিতরে সবসময় সল্যুশন খোঁজে। আর ইল ফর্মড মন সল্যুশেনের ভিতরে সবসময় সমস্যা খোঁজে। 
এই  ইল ফর্মড মনের জন্য যে  কারণে হার্ভার্ড ডক্টরেট একজন শিক্ষিত মানুষ রুপিতে দেবীর ছবি বসিয়ে  ভারতের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে চান- সেই একই কারণে-বাঙ্গালী হুজুর নাসা কর্তৃক  পশ্চিম আকাশে সূর্যকে ওঠাবার ঘোষণাও শুণতে পান।  আরেক হুজুর এইডসের ভিতরে গোল গোল জীবানুর অস্তিত্ব খোঁজে পেয়ে নিজেই বিজ্ঞানী বনে যান। আরেকজন পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী বিল গ্রেডের মাঝে টিকটিকির দেখা পেয়ে নিজের অহংকার আর দেমাগকে ছাড়িয়ে যান। ভাগ্য ভালো সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসাবে তিনি বিল গ্যেটসকে   বেল গ্রেড বলেছেন-   বিলকিস বলেন নি। শাব্দিক ভুল উচ্চারণ হয়তো তামাশা যোগায়। কিন্তু একজন মানুষকে টিকটিকি বলে ফেলা সত্যিই ভয়ঙ্কর। হুজুর হয়তো জানেননা - বিল গেটস শুধুমাত্র ধনীই নন। তিনি পৃথিবীর বিখ্যাত কয়েকজন ফিলানথ্রোপিস্টদের মাঝে একজন। পৃথিবীর হয়তো এমন কোনো দেশ নেই যেখানে কোনো না কোনোভাবে তাঁর দান পৌঁছায়নি। 
দেশে এবং দেশের বাইরে এভাবেই বিনোদন বাড়ে।    কিন্তু  এদের চেয়েও  ভয়ঙকর হলো যারা রাষ্ট্রীয় কোষাগারকে একেবারে ব্যক্তিগত ওয়ালেট মনে করে। -উচ্চ শিক্ষিত হয়ে-  বিসিএস পাশ দিয়ে যারা  আলু, পটল,মুলা, বেগুনের চাষ শিখতে গিয়ে রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা নষ্ট করেন-   এরাতো ভুল ওয়াজে বিনোদন দেয়া হুজুরদের চাইতেও  আরো  বেশী ভয়ঙ্কর। এরাইতো   শিক্ষিত তস্কর। ব্যক্তিগত ভাবে কোনো ওয়াজে না গেলে আপনি হয়তো  নাসা সায়েন্টিসদের  ওয়াজ থেকে বেঁচে যাবেন। কিন্তু ক্রমাগত রাষ্ট্রীয় কোষাগার হরিলুট করে নেয়া এই কোর্ট টাই পরা শিক্ষিত তস্করদের কাছ থেকে আপনি বাঁচবেন কেমনে?????
 ৬ টি
    	৬ টি    	 +১/-০
    	+১/-০২|  ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২০  রাত ৮:৩৩
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২০  রাত ৮:৩৩
ঢাবিয়ান বলেছেন: ধর্ম যখন মানুষকে অন্ধ করে দেয়, তখন মানুষ আর গরু গাধার মাঝে কোন পার্থক্য্য থাকে না
৩|  ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০  সকাল ৯:৩৩
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০  সকাল ৯:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: বিনোদনের জন্য এসবের দরকার আছে।
৪|  ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০  দুপুর ১২:৩২
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০  দুপুর ১২:৩২
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বিসিএস পদ্ধতি বন্ধ করা উচিত। এটা ঘুষখোর প্রজন্ম তৈরি করে...
৫|  ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০  দুপুর ১:০৪
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০  দুপুর ১:০৪
পদ্মপুকুর বলেছেন: শেষের দিকে এসে আরেকটু গুছিয়ে লিখতে পারতেন। বাই দ্য ওয়ে, 'বেলগ্রেড' ব্যাপারটা কি?
৬|  ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০  রাত ১:৫৪
২০ শে জানুয়ারি, ২০২০  রাত ১:৫৪
অখ্যাত নবাব বলেছেন: প্রত্যেকেই ব্যবসা খুঁজে! এখনকাল ৯৯% ঘরেই শুনতে পারবেন! ভালো করে পড়ে ভালো একটি চাকুরী নিবি! কিন্তু কেউ বলে এটা বলে না, ভালো করে পড়ে ভালো একজন মানুষ হবি! সেযুগ এখন শেষ। 
ধর্মকে পুঁজি করেও ব্যবসা চলে! 
রাষ্ট্রকে পুঁজি করেও ব্যবসা চলে। 
রাজনীতিকেও পুঁজি করে ব্যবসা চলে।
বিশ্বাস নিয়েও ব্যবসা চলে।
চারদিকেও ব্যবসা চলে! 
এই যে, যারা সামুর ব্লগ! এদেরও একটা ব্যবসা আছে। নইলে গুগলের এডসেন্স দেখা যেতো না ব্লগে।
সবই ব্যবসা ভাই। সবই ব্যবসা।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২০  রাত ৮:২৪
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২০  রাত ৮:২৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভারতীয় অনেক শিক্ষিত মানুষও বাংগালীদের মত দুষ্ট