নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট › বিস্তারিত পোস্টঃ

যারা আসলেই জানে- তারা তোমার মতো এতো মাতামাতি করেনা।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫০

এক কবি বলেছেন- আহা আজি এ বসন্তে কত ফুল ফোটে, কত পাখি গায়।
আরেক কবি বললেন- ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক আজ বসন্ত। কবিদের কতাবার্তাও দেখি টকশো স্টাইলের। পাবলিক এখন কোনটা ফলো করবে?
এক কবি বললেন- নাই মামার চেয়ে কানা ভালো। আরেক কবি বললেন- দুষ্টু গরুর চেয়ে শূণ্য গোয়াল ভালো।
পাবলিক তুমি যাবা কই, খাবা কি?? তোমারে কবিরা কনফিউজড করে দিবে।
আরেক কবি বললেন- ঋতুরাজ বসন্ত। তবে ঋতু রানীর কথা কোনো কবি বলেন নি। কারো খেয়ালে আসলে নিশ্চয়ই বলে দিবেন।
তখন সুবিধা হবে। রাজা বসন্ত। রানী হেমন্ত। আর অন্যান্যগুলো এদের বাচ্চা কাচ্চা।
তবে দেশ হলো আবার রানী। সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্মভূমি। কিন্তু কেউ তাদের রানীকে ছেড়ে দূরে না গেলেও। যে যেভাবে পারে আমাদের রানীকে ছেড়ে সবাই দূরে যেতে চায়। সাকিব আল হাসান থেকে শুরু করে- ব্যারিস্টার সুমন , রাজনৈতিক বড় নেতা- তাদের পুত্র কন্যা, বড় আমলা সবাইরই কিন্তু রানী থেকে দূরে থাকার সুবন্দোবস্ত করা আছে। সমস্যা দেখা দিলেই কোকিলের মতো ফুড়ুৎ করে উড়াল। ছোটকালে পড়েছিলাম- সুসময়ের বন্ধু কোকিল। ঋতুরাজ বসন্তে নাকি কোকিল ডাকে। ঢাকা শহরে যে হারে উঁচু উঁচু দালানকোটা গড়ে ওঠেছে-সেখানে শেষ কবে আপনি কোকিল দেখেছিলেন- মনে পড়ে? তবে কোকিল নিয়ে একটা বিখ্যাত গান আছে- ঘুম ভাঙ্গাইয়া গেলোরে মরার কোকিলে। এখানে কোকিলের দোষ কি? কোকিল কি রাতে ডাকে? জ্বিনা। আপনি কাজ কাম ফেলাইয়া দিনে ঘুমাবেন। আর কোকিল ডাকলেই দোষ। এই জন্যই এখন আর কোকিল ডাকেনা। তুই এবার সারাদিন নাক ডাকাইয়া আরাম করে ঘুমা।
এই গানের বিখ্যাত শিল্পী মমতাজ- একবার আটলান্টার ফোবানা সম্মেলনে গান ধরলেন- আমার ঘুম ভাঙ্গাইয়ে গেলো রে মরার কোকিলে। উনি আবার গানের ফাঁকে ফাঁকে নানা রকমের বয়ান দেন। মন্চের পাশে ছিলো এক আফ্রিকান আমেরিকান সিকিউরিটি অফিসার। তো শিল্পী উনাকে দেখিয়ে পাবলিকের উদ্দ্যেশ্যে কালো সিকিউরিটি অফিসারকে ব্যঙ্গ করে বললেন- ভাইরে ভাই- আমাগো দেশের কোকিল এই কাইল্যার চেয়ে কালো।- একথা বলে উনি খিলখিলিয়ে হাসছেন- পাবলিকও হাসছে।
ভাবলাম- এখানে আর থাকা যায়না। শিল্পী যদি বুঝতেন- উনি কত বড় একটা রেসিজমের কথা বলে গেলেন- তাহলে উনার অন্তরাত্মা কেঁপে ওঠতো। আর অফিসার যদি সে সময় বুঝতে পারতেন- কী নিয়ে এতো হাসি তামাশা হচ্ছে। তবে আপাকে আর হয়তো দেশে ফিরে যেতে হতোনা।
যাক, বসন্তেই ফিরে যাই। আমার এক প্রিয় বন্ধুর নাম বসন্ত। কিন্তু বাসন্তি নামক কোনো বান্ধবী ছিলোনা। তবে, "তিতাস একটি নদীর নাম" উপন্যাসের অন্যতম চরিত্র ছিলো বাসন্তি। অমিতাভ বচ্চনের একটা ম্যুভির বিখ্যাত চরিত্র ও ছিলো বাসন্তি। ছবিটির নাম মনে আসছেনা। ও আসছে আসছে। শোলে ছবি। বাসন্তি ভালোবাসতো -কিশোর আর সুবলকে। কিন্তু কিশোরের দর্শন ছিলো- “বিবাহ তাকেই করা যায়, যার সাথে কোনদিন কোন পরিচয় থাকে না……নতুন করে মন তাঁকে চিনবে, জানবে, তাতেই মনের সুখ’’। তাই কিশোরকে নিয়ে ঘর করার স্বপ্ন আর পূরণ হয়নি বাসন্তির।
বসন্ত আসে আর যায়। কিন্তু কত বসন্ত আর বাসন্তির স্বপ্ন অপূর্ণ রয়ে যায়। বসন্ত নিয়ে এতো উথাল পাতাল হলো। কিন্তু আজ বাংলা কোনো সনের কোন বসন্ত? এই খবরটা কি কেউ জানে? শতকরা ৯৯ জনই জানেনা। আমিও জানিনা। কিন্তু ধুমাইয়া শুভেচ্ছা দিয়েছি এবং নিয়েছি। জানে শুধু গ্রামের কৃষকরা। বাংলা মাসের দিন, তারিখ সব খবর উনারা রাখেন। গ্রামের চাচাকে বাসন্তি শুভেচ্ছা জানাতে গেলে চাচা বললেন-
"যারা আসলেই জানে- তারা তোমার মতো এতো মাতামাতি করেনা।
আর যারা তোমার মতো এতো মাতামাতি করে - তারা আসলেই জানেনা"।















মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:২৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সুবোধ তুই পালিয়ে যা!
এই অভিশপ্ত শহর ছেড়ে তুই দূরে চলে যা।
যেখানে অনেক সুবোধরা রয়েছে, পুরো লোকালয় জুড়ে
শুধুই মানুষের বসবাস যেখানে- তুই সেখানে চলে যা।
সুবোধ তুই পালিয়ে যা, এখানে কখনো আর ভোর হবে না,
অভিশপ্ত হয়ে আছে চারপাশ, এখানে তুই কিছুই পাবি না,
ধূসর এ সমাজ কলঙ্কিত চারপাশ, সুবোধ তুই পালিয়ে যা,
তুই আলোর পথে যা।

২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা

অমন করে কইতে নাই ভায়া!
সত্য যে বড্ড তেতো। সবাই সইতে পারেনা।

উল্টো চোখে আঙুল দিয়ে সত্য দেখাল যে সেই মন্দ হয়ে যায় ;)

হুম শেষ লাইনই চিরন্তন সত্য।

ফাল্গুনি শুভেচ্ছা।


৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:০২

রাজীব নুর বলেছেন: লেখা ভরতি আপনার অভিজ্ঞার ফসল।
ভালো লাগলো।

৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:১৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: খুবই ভালো লাগলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.