নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে বেশীতো আর বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসতে পারবোনা।

০১ লা মার্চ, ২০২০ রাত ৮:০৫

একটি ঘোষণা দিয়েই পৃথিবীর সব বড় নেতাদের থেকে অন্ততঃ এক ধাপ এগিয়ে গেছেন কিউবার প্রয়াত নেতা ফিডেল ক্যাস্ট্রো। জীবিত থাকতে যেমন তাঁর কোনো মনুমেন্ট কিংবা স্ট্যাচু হয়নি ঠিক তেমনি তিনি অসুস্থ থাকা অবস্থায় বলে গিয়েছেন- তাঁর মৃত্যুর পরও যেন কিউবার কোথাও কোনো মনুমেন্ট কিংবা স্ট্যাচু তাঁর জন্য তৈরি করা না হয়। সান্টিয়াগো ডি কিউবার বিশাল জনসমাবেশে ফিডেল ক্যাস্ট্রোর ছোট ভাই রাউল ক্যাস্ট্রো যিনি বর্তমানে কিউবার প্রেসিডেন্ট তিনি বলেন-তাঁর ভাইয়ের অন্তিম ইচ্ছে আপনাদের হৃদয়ের নেতাকে যেন পাথর আর মেটালের বিলবোর্ডের নেতা বানানো না হয়। AFP ঠিক এইভাবে রাউলের উক্তিকে কোট করেছে- "Castro’s dying wish was that no monuments be erected in his honor in Cuba and that a cult of personality be avoided, according to his brother, Raul ". রাউল বলেন -ফিডেলকে কোনো অবস্থাতেই কাল্টের বস্তু বানিয়ে পুজো অর্চনা করতে দেয়া হবেনা।

AFPর সাংবাদিক কিউবান এক বয়ষ্ক মহিলার কাছ থেকে এ বিষয়টি তাঁর কেমন লাগছে জানতে চাইলে ৬৮ বছর বয়সি মহিলা বলেন- পাথরের বিশাল মূর্তি আমি বুকে বহন করতে পারবোনা। কিন্তু তাঁর আদর্শকে আমি সবসময় আমার হৃদয়ে বয়ে নিয়ে যেতে পারবো। আজ কিউবার কোথাও ফিডেল ক্যাস্ট্রোর স্ট্যাচু নেই কিন্তু কিউবার প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে তাঁর ইমেজ রয়ে গেছে। এই মহান নেতা আরেক মহান নেতা সম্পর্কে কিংবদন্তিতুল্য কথাটি বলেছিলেন-'আমি হিমালয় দেখিনি, কিন্তু শেখ মুজিবকে দেখেছি।' সেই ফিডেল ক্যাস্ট্রো যদি আজ দেশে আসতেন- তবে তার প্রিয় বঙ্গবন্ধুকে বাজারের থলিতে দেখতে পেতেন।

বঙ্গবন্ধু থাকার কথা ছিলো আদর্শে চলে গেছেন নানা আইটেমে। থাকার কথা ছিলো মননে চলে গেছেন রন্ধনে। থাকার কথা ছিলো বুকে, চলে গেছেন মুখে। থাকার কথা ছিলো মানসে, আজ উনাকে নামাতে নামাতে এখন আশ্রয় দিয়েছি একবারে মুখোশে। লেজার লাইটে বঙ্গবন্ধুর মূর্তি বানিয়ে সেখানে ফুল ছিটাচ্ছি। রান্না করার বইয়ের প্রচ্ছদ বানিয়ে খাওয়ার আইটেম বানিয়ে নিয়েছি। তেল দিতে দিতে বঙ্গবন্ধুকে আজ আমরা বাজারের থলি বানিয়ে বাজারজাত করে দিয়েছি।

শুধু তাই নয় তাঁর ৫৫ বছরের সুদীর্ঘ জীবনের প্রায় ১৫ টি বছর তিনি জেলে কাটিয়েছেন। যতবার তিনি রাজনীতির জন্য জেলে যাচ্ছেন- চাওয়ালা তখন চা বানাচ্ছেন। যখন তিনি তর্জনি উঁচিয়ে ভাষণ দিচ্ছেন চাওয়ালা তখন সেই আঙ্গুল দিয়ে চামচ ধরে চা নাড়ছেন। যখন তিনি পুরো পূর্ব পাকিস্তানে রাজনীতির মাঠ গরম করে তোলছেন- চাওয়ালা তখন উনুনে চায়ের কেটলি গরম করছেন। এমনি একজন রাজনৈতিক নেতার আদর্শকে যদি একজন চাওয়ালার মুখে তোলে দিতে হয়- তখন অবাক হয়ে চেয়ে থাকার চেয়ে আর করার কিছুই নেই। আমিতো শুধু আফসোসই করতে পারবো। রান্নার আইটেমও বানাতে পারবোনা, বাজারের থলি বানিয়েও ঘুরতে পারবোনা, বঙ্গবন্ধুর ছবি মুখোশ বানিয়ে বাঁদরামিও করতে পারবোনা। প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে বেশীতো আর বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসতে পারবোনা।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মার্চ, ২০২০ রাত ৮:২০

একাল-সেকাল বলেছেন:
"বঙ্গবন্ধু" নামের তালিকা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড এর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

------- ভালবাসতে পারবোনা সত্য, তবে এটাও সত্য যে, শেখ সাহেবকে খেলনা বানাতে পারবোনা।

২| ০১ লা মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৫২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: Right

৩| ০১ লা মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


নামগোত্রহীন লেখকেরা শেখ সাহবেকে নিয়ে ২৬টা বই লিখেছে; এগুলো কি স্বাভাবিক?

৪| ০১ লা মার্চ, ২০২০ রাত ১০:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালীদের কাছে আকাশের মতো বিশাল। তার মতো বা তার সমতুল্য আর কেউ নেই। ৭৫ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে প্রতিটা বাঙ্গালীর কপাল পুড়ে যায়।

যদিও বহু সস্তা বাঙালি শেখ মুজিবকে কচলে কচলে তিতা বানিয়ে ফেলেছে। তাতে অবশ্য বঙ্গবন্ধুর কীর্তি মলিন হবার নয়।

৫| ০১ লা মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৩০

রাজীব নুর বলেছেন:

৬| ০২ রা মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৫৩

একাল-সেকাল বলেছেন:
গুজরাট দিল্লী র খুনি যখন মুজিব মঞ্চ মাতাবে, তখন মুজিব প্রেমিদের বুকে রক্তক্ষরন হবে না ? নাকি খুশিতে বগল বাজাবে ??
মোদীর পুলিশের গুণ্ডামি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.