নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট › বিস্তারিত পোস্টঃ

আত্ম সমালোচনার চেয়ে বড় মহৌষধ আর নেই।

১২ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১২:৩৬

না কোনো মাজার নেই, ওরশ নেই, তাবলিগ নেই, রাস্তার মোড়ে মোড়ে কোনো মসজিদ নেই, রাত জেগে ওয়াজ নেই, নসিহত নেই, স্কলার নেই, , পীর নেই, মুরিদ নেই, কুতুব নেই, আবদাল নেই, মোটিভেশন নেই, আমরা শ্রেষ্ঠ জাতি বলেও কোনো কিছুই নেই। এগুলোর সব কিছু ছাড়াই জাপান একটা সুশৃঙখল জাতিতে পরিণত হয়েছে।

গত ত্রিশ বছরের মধ্যে কোনো দূর্নীতি নেই, কোনো ঘুষ নেই, কোনো ধর্ষণ নেই, স্কুলে কোনো ছাত্রকে বেত্রাঘাতের একটা রেকর্ড পর্যন্ত নেই। কোনো কাজের জন্য কোনো ফাইল আটকে পড়ার নজির নেই। কারো সুপারিশ ছাড়া কোনো ছাত্র স্কুলে ভর্তি হতে পারছেনা, কারো প্রমোশন হচ্ছেনা- এমন দৃষ্টান্তও নেই। দলীয় ভাবে জাপানের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষকের নিয়োগও নেই। রাস্তায় পড়ে থাকা বুভুক্ষু মানুষও নেই।

আছে শুধু কর্মনিষ্ঠা, শৃঙখলা । ভূমিকম্পের সময় সব খাবার ক্যাম্পে রেখে দেয়া হয়েছিলো। নিজের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কেউ একটা রুটিও নিয়ে যায়নি। ত্রান কেন্দ্রে একজন প্রহরীকেও পাহারাদার রাখতে হয়নি। লাইন দাঁড়িয়ে সবাই যার যার মতো প্রয়োজনীয় খাবার নিয়ে গেছে। লাইন দাঁড়ানো শেষ ছেলেটির হাতে খাবার প্যাকেট দেয়ায় -সে সেই প্যাকেট আবার লাইনের সামনে রেখে এসেছে। যদি তার সামনে দাঁড়ানো কারো খাবার কম পড়ে যায়।

জাপানে কোনো কালো বাজারি দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে মানুষকে জিম্মি করেনা। কেউ খাবারে ভেজাল মেশায় না। রাস্তাঘাট গুলো এতো ঝকঝকে পরিষ্কার। বাড়িয়ে বলছিনা- নিজের চেহারা রাস্তায় দেখা যায়। শুধু বয়স্ক কিংবা যুবকরা না একজন শিশুও জাপানের রাস্তায় যেখানে সেখানে ময়লা ফেলে রাখেনা। কোনো প্রোগ্রাম এক মিনিট দেরিতে শুরু হয়নি। এক মিনিট ট্রেন লেট করেছিলো বলে - পত্রিকার পাতায় ক্ষমা চাওয়া হয়েছিলো।

টেকনোলজি আর ডেভেলপমেন্টে জাপান পৃথিবী থেকে দশবছর এগিয়ে আছে। পুরো পৃথিবীর খাবার ফুরিয়ে গেলেও জাপানে আগামি ত্রিশ বছরের জন্য খাবার মজুদ আছে। বোমায় কয়লা হয়ে যাওয়া জাপান পুরো দুনিয়ার গাড়ীর বাজারে নেতৃত্ব দিচ্ছে। অথচ, জাপানে ভার্চুয়ালি কোনো ন্যাচারাল রিসোর্স বলতে গেলে কিছুই নেই।

জাপানের মানুষের মাঝে আছে শুধু বিনয় আর বিনয়। আর ক্ষমাপ্রার্থনা। অবসরে যাওয়া জাপানি প্রধানমন্ত্রী বারবার বলছেন- কি করতে পেরেছি তার জন্য দয়া করে গুন কীর্তন করবেন না। বরং যা করতে পারিনি। সেটার জন্য ক্ষমাপ্রার্থণা করছি। দু হাত একসাথে করে- জনগনের সামনে মাথা নীচু করে- (যেটা জাপানি কালচার) - বারবার ক্ষমা চাচ্ছিলেন জাপানের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী সিনজো আবে।

সামনে রোজা আসছে। দেখবেন রোজার আগমনে অন্যান্য মুসলিম দুনিয়া শান্ত হয়ে আসছে। মানুষের মাঝে একটা ভাবগম্ভীর পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশে শুরু হয়ে যাবে কেনা কাটার মচ্ছব। যার দুই কেজি পিঁয়াজ দরকার সে কিনবে বিশ কেজি। যার এক কেজি চিনি দরকার সে কিনবে- দশ কেজি। এমন করে খাবার মজুদ করা শুরু হবে - যেন সারা বছর আমার না খেয়েছিলাম। রোজার পরও আর কোনোদিন খাবার খাবোনা। দুনিয়ার সব খাবার এই ত্রিশ দিনেই খেয়ে শেষ করে ফেলতে হবে। এই সুযোগে পবিত্র রমজানের ব্যানার টাঙ্গিয়ে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে ব্যবসায়ীরাও অপবিত্র কাজ করা শুরু করে দিবে।

আমাদের মোড়ে মোড়ে এতো এতো মসজিদ, মাঠে মাঠে এতো ওয়াজ , গলিতে গলিতে এতো মাজার হওয়ার পর কি এমন পরিবর্তন হলো। ধর্মের দোষ দিচ্ছিনা, মসজিদেরও না, মাজারেরও না। শুধু আত্মসমালোচনা করছি। নিজের বিবেকের কাছে নিজেই প্রশ্ন রাখছি। এই যে রাস্তার ময়লার আবর্জনা। এটা কোনো ইসলাম করতে বলেছে। এগুলো কারা করেছে। ইহুদি, নাসারা নামক নাপাকরা। নাকি ঈমানদার বলে পরিচয় দেয়া মুসলমানরা। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ণ থাকা না আমাদের ঈমানের অঙ্গ। তবে, এই ঈমান এতো নোংরা হলো কেমন করে? এই নোংরা ঈমান নিয়ে কি করে আমরা আল্লাহর কাছে হাজির হবো।

জানিনা কোনো সিস্টেমে জাপান এতো উন্নতি লাভ করলো। এতো পরিচ্ছন্ন হলো, এতো বিনয়ী আর সততার এতো অনন্য নজীর তৈরি করলো। শুধু জানি, তারা মুসলমান না। আর, দেশটির রাষ্ট্র ধর্মও ইসলাম না।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মার্চ, ২০২১ রাত ২:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



জাপানের ১২ ক্লাশ শেষ করা ছেলেমেয়ের সমান জ্ঞান বাংলাদেশের কোন ডিগ্রিধারীদের কাছে আছে?

২| ১২ ই মার্চ, ২০২১ রাত ২:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


জাপানের ১২ ক্লাশ শেষ করা ছেলেেয়ের সমান কম্প্যুটিং জানে বাংলাদেশের কাহারা?

৩| ১২ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৩:০১

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: মুসলমান ম্যাজরিটি করেদেন দুইদিনে বাংলাদেশ বানিয়ে ফেলবে।এই যে আনবিক বোমা ফেলে এতো ক্ষতি করলো, কয়টা আমেরিকানকে তারা গায়ে বোমা বেঁধে উড়িয়ে দিয়েছে।আমাদের মুল সমস্যা ধর্মে।ধর্মের জিহাদী শিক্ষায়।

৪| ১২ ই মার্চ, ২০২১ ভোর ৬:৩৯

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: আমাদের সমস্যা- নৈতিক শিক্ষায়।
নৈতিক শিক্ষা যে কি জিনিষ- আমাদের মাঝে কেউ কেউ মরার আগেও তা জানতে পারে না।
বিয়ের আগে জানতে চাওয়া হয়- জামাই কত টাকা ঘুষ খায়?
কোন সরকারী চাকরির ঘুষ কত তা তো আজকাল ওপেন সিক্রেট।

বল্লে তো মাস ঘুরে বছর শেষ হয়ে যাবে।

৫| ১২ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:০৭

অগ্নিবেশ বলেছেন: ধার্মিকরা কোথায়? আল্লার সন্তুষ্টি অর্জনে ব্যস্ত?? নাকি ইহুদী নাসারাদের যড়যন্ত্র খুজতেছে??

৬| ১২ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশের মানুষ গুলো অমানবিক। অবশ্য সরকার নিজেই অমানবিক।

৭| ১৩ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১০:১২

স্থিতধী বলেছেন: জাপানের শুধু পতাকাটাই নকল করলাম আমরা। ওদের চরিত্র নকলের সাধ্য নাই।

আত্মসমালোচনা হচ্ছে সবচেয়ে বড় সততা, ঐ গুণ নাই তো শুদ্ধিও নাই।

৮| ১৪ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৭:৫৫

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আত্মসমালোচনা করার সময় নাই কারো। আর ধর্মকে যুগ যুগ ধরে যে যার মতো কাস্টমাইজ করে ফেলেছে মানুষ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.