নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুনিয়ার কোনো ভুলও নাই , দোষও নাই।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:১১

মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে রুপসী হওয়া দূরের কথা শুধু মেয়ে হলেই যে পরিমাণ হেনস্তা হতে হয় তা একমাত্র ভুক্তভোগিরা জানে। আর সে মেয়ের উপর যদি কোনো গডফাদারের চোখ পড়ে মেয়ে শুদ্ধ মেয়ের পরিবারের নেমে আসে নরক যন্ত্রণা। ফেসবুকের ইলিউশনের জগতে বাস করে একটা মেয়েকে সহজে দোষারুপ করা যায়। কিন্তু এইসব পরিবারের প্রতিমুহুর্তের জীবন যন্ত্রণা উপলব্ধি করা যায়না।


এলাকার পাতি মাস্তান, বড় মাস্তান, পেটি মাফিয়া, বড় মাফিয়ার সাথে আপোষ না করায় কত মেয়ে ঘর হতে বের হতে পারছেনা, স্কুল কলেজে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে, ইজ্জত বাঁচাতে বিয়ে দিতে হয়েছে, কত মেয়েকে তোলে নিয়ে গেছে, কত মেয়ে ধর্ষিতা হয়ে গোপনে কেঁদে ফিরছে তার হিসাব নেই। অনেকেই বলবেন মুখ ঢেকে রেখে চললেই হতো। হিজাব সহ মুখ এসিডে ঝলসে গেছে-এরকম ঘটনা পত্রিকায় খুঁজলেই পাবেন। শয়তান আর দানবের লালসার চোখ কাপড়ে দিয়ে আটকে রাখা যায়না।

অন্যকে দোষ দেয়ার আগে বুকে হাত দিয়ে বলুন- আপনি ক্ষমতাবান কোনো মানুষের সাহচর্য পেয়ে সুখ অনুভব করেন না। যদি না করেন তবে এতো রথি মহারথিদের সাতে প্রতি মুহুর্তে মুহুর্তে সেলফি দিয়ে কিসের ইংগিত প্রদাণ করেন। আপনার বন্ধু যদি ডিসি, এসপি, সচিব হয়ে যায় তবে তার গা ঘেষে কেন থাকতে চান। যেখানে আপনার ঝরে পড়া কোনো স্কুল বন্ধুর সাথে দু মিনিট কথা বলারও আপনার সময় হয়না। কারণ- আমরা মুখে স্বীকার করবোনা । কিন্তু বুকে সবাই বিত্ত, অর্থ, আর ক্ষমতাবান মানুষের কাঙ্গাল।

সেখানে একটি মেয়ে- যে এখনো জীবনের ঘাতপ্রতিঘাত বুঝতে শিখেনি। যেখানে এলাকার চিঁছকে মাস্তানের যন্ত্রণায় একটা মেয়ের জীবন নরক হয়ে যায়। সেখানে বসুন্ধরা যারা ধরাকে সরাজ্ঞান করার ক্ষমতা রাখে- পুরো দেশটাকে যারা একটা টিস্যু পেপার মনে করে- তাদের কাছ থেকে এই কিশোরী মেয়েটি বাঁচবে কিভাবে। অডিও বার্তায় মেয়েটির কান্না, তার আর্তনাদ আপনার হৃদয়টাকে কি এতোটুকু স্পর্শ করেনা। যখন আপনি বলেন- বুঝলাম আনভিরের দোষ বেশি কিন্তু মেয়েটির দোষও কম না। বিশ্বাস করেন- এই কিন্তুর জন্য এরা পার পেয়ে যায়। ফাঁসির দড়ি থেকে মুক্তি পেয়ে যায়। আপনার প্রতিটি কিন্তু একেকটা দানবকে বাঁচার পথ তৈরি করে দিয়ে যায়।

মুনিয়ার দোষ হতো যদি সে সালমান এফ রহমান কিংবা কোনো মন্ত্রীর মেয়ে হতো। কারণ দানবের কাছ থেকে বাঁচার শক্তি থাকার পরও যদি কেউ জড়িয়ে যায়। তখন তাকে দোষ দেয়া যায়। কিন্তু যার বাবা নেই, মা নেই, ভাই থেকেও নেই। এমন একটি মেয়েকে দোষ দেয়া যায়না। আমি চাইনা মুনিয়ার এই নৃশংস হত্যাকান্ডের ইস্যুটি যেন চাপা পড়ে যায়। তাই, যত পারি এই ব্যাপার নিয়ে পোস্ট দিতেই থাকবো।


মুনিয়া আমার বোন। মুনিয়ার এই মর্মন্তুদ মৃত্যুর জন্য আমি কাঁদছি। মুনিয়ার নৃসংশ খুনের জন্য জড়িতদের ফাঁসী দাবী করছি।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৫৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

বিচারের বাণী যদি নিভৃতে কাঁদে
তবে আমি আপনি কি করতে পারি?
তিব্র নিন্দা জ্ঞাপন করলে মুনিয়াকি
ফিরে আসবে? প্রতিবাদের শক্তি
আমাদের আছে কি? আমরা
নতজা্নু বিত্ত ও শক্তির কাছে।

২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৪১

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: অসম্ভব যৌক্তিক এবং বাস্তবতাপূর্ণ পোস্টে ++
আমাদের আশেপাশে প্রতিনিয়তই এসব ঘটছে এবং কেন ঘটছে তা আমরা বুঝেও না বোঝার ভান করি ।

৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৫৬

আমি নই বলেছেন: তিতা হলেও কথা সত্য, পোষ্টে লাইক। অপরাধিদের ফাসির দাবী জানাই।

৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৪৪

লাতিনো বলেছেন: এই কিন্তুর জন্য এরা পার পেয়ে যায়না। এদের পার পাওয়ার লাখ লাখ কারণ আছে।

তবে মেয়েটির কষ্টে আমারো বুক ফেটে যায়। এই মেয়েটিই যদি আমার বোন হত, কেমন লাগত এখন?

৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৪২

স্থিতধী বলেছেন: ২১ বছর বয়সে প্রচণ্ড বাস্তব জীবন কেবল শুরু হয়। যে ব্যাক্তি তাঁর অনেক আগেই বাবা মা দুজনকেই হারিয়েছে তাঁর জীবনের ভুল সিদ্ধান্ত গুলোর ব্যাপারে সহজে জাজমেন্টাল মন্তব্য করাটা অবিবেচকের কাজ। বাবা মা বেঁচে থাকতেই বাবা মার সামনে আপন ভাই তাঁর ছোট বোনকে অমানুষের মত মারধর করেছে, যে অপরাধে মেরেছে সেই অপরাধ সেই বিবাহিত ভাই নিজেই তাঁর জীবনে করেছে; এমন ঘটনা আমি জানি । সেখানে আমাদের সমাজে যেই মেয়ে বাবা-মা হারিয়েছে তাঁর কৈশোরে,তাঁর ভাই-বোনেরা কতটা ভালো অভিভাবক হতে পারে এটা নিয়ে সন্দেহ করার অবকাশ থেকেই যায়। আর আত্মহত্যা কোন সহজ কাজ নয় । এই ঘটনার বিচার হওয়াটা আবশ্যক। আপনাকে ধন্যবাদ লেখাটির জন্য।

৬| ০৫ ই মে, ২০২১ রাত ১২:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: বিচার শব্দটাই এখন একটা তামাশা। আইন, আদালত, গনমাধ্যম সব হাতের মুঠোয় অপরাধীদের। তারা যেভাবে বলে, সেভাবেই পরিচালিত হয় সব কিছু। তৈল মর্দন করে যে শ্রেনী বড় হয় তাদের কাছ থেকে আর যাই হোক ন্যায় অন্যায়ের বোধ পাবেন না।
মেয়েটা বিচার পাক আর না পাক, দেশের মানুষ অনেক সত্য জেনে গেছে। এই অন্যায়ের বোঝা যখন অনেক ভারী হবে তখন বহন করবার ক্ষমতা থাকবে না এই অন্যায় কারীদের।
অর্থ মানুষ কে ক্ষমতবান করে আর তা যদি হয় কালো টাকা। ক্ষমতা মানুষকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করে। অন্যায় একটা সময় পর্যন্ত চলতে পারে সকল সময়ের জন্য পারে না। অন্যায়ের শেষ আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.