![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাড়ির আঙ্গিনায় আপনজনের মতো ঠাঁই করে নেয়া ডালিম গাছ।
ডালিম ফুল, ভালবাসি তাই ভুলতে পারি না
বেলি ফুল চাই না, এনে দাও ডালিম মুকুল
ডালিম ফল জোড়া জোড়া, পুতবো গাছ খাব মোরা
আমার মাটির গাছে ডালিম ধরেছে ......
বনসাই ডালিম চাই
চেহারার বর্ণনা দেওয়ার প্রয়োজন আছে কি?
মসৃণ খোসার আড়ালে আছে অসংখ্য দানা
ভেঙ্গে মোর ডালিম খানা ........
চর্বিমুক্ত কিন্তু ভিটামিন সি, আঁশ, পটাশিয়াম, ফসফরাস, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম, থায়ামিন, রাইবোফ্লাবিন, নিয়াসিন এবং আয়রনের উৎস
রক্তাক্ত ভালবাসা ....
খাবেন না কি ডালিম সালাদ?
ডালিম হৃদয়
ডালিম জুস। দিল ঠান্ডা তো দুনিয়া ঠান্ডা
ডালিম ফল খাইলে বল, না খাইলে দুর্বল
ডালিম গাছে মৌ .......
এতো ডাকি তবু কথা কয় না কেন বউ
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:২৬
সরকার আলী বলেছেন: হায় হায়!!! কন কি? সত্বর নিকটস্থ কৃষি অফিসে যোগাযোগ করুন অথবা অনুসরণ করতে পারেন-
ডালিমের রোগবালাই ও পোকা ব্যবস্থাপনা:
(১) পোকা ও তার প্রতিকার
ডালিমের প্রজাপতি বা ফলছিদ্রকারী পোকা
ডালিম ফলের মারাত্মক শত্রু হচ্ছে ডালিমের প্রজাপতি বা ফল ছিদ্রকারী পোকা। এই প্রজাতির শূঁককীট ফলের ক্ষতি করে থাকে। স্ত্রী প্রজাপতি ফুল ও ছোট ফলের ওপর ডিম পাড়ে। ডিম থেকে শূঁককীট বের হয়ে বর্ধনশীল ফলে ছিদ্র করে ভেতরে ঢুকে পড়ে এবং ফলের বীজ ও অন্যান্য অংশ খেয়ে ফেলে। পরে মূককীটে পরিণত হওয়ার পূর্বে ফলের ত্বকে গোলাকার ছিদ্র করে ফল থেকে বের হয়ে আসে। এই পোকায় আক্রান্ত ফলে মাধ্যমিক সংক্রমণ হিসেবে ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ হতে পারে।
প্রতিকার
আক্রান্ত ফল গাছ থেকে পেড়ে বা মাটিতে পড়ে থাকা ফল কুড়িয়ে নষ্ট করে ফেলতে হবে।
গাছে ফলধারণের পর ফলের বৃদ্ধি শুরু হলে কাপড় বা পলিথিন কাগজ দিয়ে বৃদ্ধিমান ফল ব্যাগিং করে দিলে এ পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
প্রতি লিটার পানিতে এক মিলিলিটার হারে ম্যালাথিয়ন বা কার্বরিল বা ফস্ফামিডন গ্রুপের কীটনাশক দিয়ে ১৫ দিন অন্তর অন্তর গাছে ও ফলে সেপ্র করতে হবে।
কাণ্ড ছিদ্রকারী পোকা
কাণ্ড ছিদ্রকারী পোকা সাধারণত পরিচর্যাবিহীন গাছে আক্রমণ করে থাকে। এই পোকার শূঁককীট রাতের বেলা কাণ্ড ও শাখার ছাল ছিদ্র করে ভেতরে প্রবেশ করে এবং ভেতরের অংশ খেতে থাকে। দিনের বেলা ডালের গর্তের মধ্যে এরা লুকিয়ে থাকে ও বর্জ্য পদার্থ ত্যাগ করে। কাণ্ড বা শাখায় ছোট ছোট ছিদ্র বা বর্জ্য পদার্থ দেখে এ পোকার আক্রমণ লক্ষ করা যায়।
প্রতিকার
গর্তের মধ্যে সরু তার ঢুকিয়ে পোকার কীড়াকে খুঁচিয়ে মারার ব্যবস্থা করতে হবে।
গর্ত থেকে এ পোকার কীড়ার বর্জ্য পদার্থ পরিষ্কার করে গর্তে ইনজেকশনের সিরিঞ্জ বা তুলার সাহায্যে কেরোসিন বা পেট্রোল ঢুকিয়ে, কাদা দিয়ে গর্ত বন্ধ করে দিলে পোকা মারা যাবে।
রস শোষণকারী পোকা
ছাতা পোকা, সাদা মাছি, শুল্ক বা আঁশ পোকা, জাব পোকা ও মাকড় ডালিমের রস শোষণকারী পোকা হিসেবে চিহ্নিত। এসব পোকার আক্রমণে পাতা, মুকুল, ফুল ও ছোট ফল খসে পড়ে। সাদা মাছি ও জাব পোকা পাতা ও কচি ডগার রস চুসে খায়, ফলে আক্রান্ত অংশ বিবর্ণ ও বিকৃত হয়ে যায়। এছাড়া এসব পোকা দেহ থেকে এক ধরনের রস নিঃসৃত করে যা পাতায় লেগে থাকে। পরে পাতার গায়ে এই নিঃসৃত রসের ওপর এক প্রকার ছত্রাক জন্মায়। ফলে গাছের খাদ্য তৈরি প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হয়। মাকড় পোকা পাতা, ফুলের বোঁটা, বৃতি ও দলমণ্ডলে ক্ষত করে এবং ক্ষত থেকে বের হওয়া কোষরস খায়। ফলে পাতার আগা কুঁকড়ে যায় এবং ফুল ঝরে যাওয়ায় ফলধারণ বিঘ্নিত হয়।
প্রতিকার
ছাতা পোকা ও শুল্ক পোকার কীট দমনের জন্য আক্রমণের প্রথম অবস্থায় আক্রান্ত অংশ কেটে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। এর পর প্রতি লিটার পানিতে এক মিলিলিটার হারে মনোক্রোটোফস বা ডায়াজিনন গ্রুপের কীটনাশক মিশিয়ে গাছে সেপ্র করতে হবে।
জাব পোকা বা সাদামাছি দমনের জন্য প্রতি লিটার পানিতে এক মিলিলিটার হারে ডাইমিথয়েট বা আধা মিলিলিটার হারে ফসফামিডন বা ডায়াজিনন গ্রুপের কীটনাশক মিশিয়ে ১৫ দিন অন্তর অন্তর গাছে দুই বার সেপ্র করতে হবে।
মাকড় দমনের জন্য প্রতি লিটার পানিতে এক মিলিলিটার হারে কেলথেন বা দুই গ্রাম হারে সালফার ছত্রাকনাশক মিশিয়ে গাছে সেপ্র করতে হবে।
(২) রোগবালাই ও প্রতিকার
ফলের দাগ রোগ
এটি একটি ছত্রাকঘটিত রোগ। এ রেগে আক্রান্ত ফলের ওপর ছোট ও অনিয়মিত দাগ পড়ে। দাগগুলোর চারিদিকে সবুজ হলদে দাগ থাকে। পরবর্তীতে দাগগুলো লম্বা দাগে পরিণত হয় এবং ফলের খোসার নিচের বীজগুলো বাদামি বর্ণের হয়ে যায়। আক্রান্ত ফলের গুণাবলী নষ্ট হয়ে যায় এবং ফলের বাজার মূল্য কমে যায়।
প্রতিকার
রোগাক্রান্ত অংশ কেটে পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
প্রতি লিটার পানিতে ২.৫ গ্রাম হারে মেনকোজেব বা ১ গ্রাম হারে কার্বান্ডিজম ছত্রাকনাশক গুলে ১০ দিন অন্তর অন্তর ৩-৪ বার ফলে ও গাছে ভালোভাবে সেপ্র করতে হবে।
ফল পচা রোগ
ছত্রাকঘটিত এ রোগটি সাধারণত বর্ষাকালে দেখা যায়। এ রোগের জীবাণু দ্বারা ফুল আক্রান্ত হলে ফলধারণ বিঘ্নিত হয় এবং কচি ফল ঝরে যায়। ফলের গায়ে, বিশেষ করে বোঁটায় হলদে বা কালো দাগ দেখে এ রোগের আক্রমণ বোঝা যায়। এ রোগের আক্রমণে ফলের খোসা কুঁচকে যায় ও ফলের ওজন কমে যায়। আক্রান্ত ফল কাঁচা থাকে, আকার ছোট হয় ও ফলের চাকচিক্য নষ্ট হয়ে যায় এবং শেষে ফল নরম হয়ে পচে যায়।
প্রতিকার
এ রোগের প্রতিকার ফলের দাগ রোগের প্রতিকারের অনুরূপ।
ফল ফেটে যাওয়া
ডালিমের ফল ফেটে যাওয়া একটি মারাত্মক সমস্যা। এটি কোন ছত্রাকজনিত রোগ নয়। এটি সাধারণত পুষ্টি উপাদানের অভাবজনিত কারণে বা মাটিতে রসের তারতম্যের কারণে হয়ে থাকে। ফলের বৃদ্ধির সময় শুকনো আবহাওয়ায় মাটিতে রসের অভাব দেখা দিলে ফলের বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এবং ফলের ত্বক শক্ত হয়ে যায়। এরপর হঠাৎ বৃষ্টি হলে মাটিতে রসের আধিক্য ঘটে, ফলে ফলের ভেতরের অংশ দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পায়, এতে ভেতরের চাপ সহ্য করতে না পেরে ফলের খোসা ফেটে যায়।
প্রতিকার
ফলধারণের পর থেকে ডালিম গাছে ঘন ঘন পানি সেচ দিতে হবে।
মাটিতে বোরনজনিত সার যেমন বোরিক এসিড গাছপ্রতি ৪০ গ্রাম হারে মাটিতে প্রয়োগ করতে হবে। এছাড়া ফলের বৃদ্ধির সময় প্রতি লিটার পানিতে পাঁচ গ্রাম হারে বোরিক এসিড এর মিশ্রণ ১০ দিন অন্তর অন্তর ফলে ও গাছে সেপ্র করতে হবে।
২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৫৮
রাখালছেলে বলেছেন: ছাদে আমার গাছেও ফল আসছে । দেখে কত ভাল লাগে ।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৩২
সরকার আলী বলেছেন: ছাদের গাছে ডালিম দেখতে তোমরা যদি চাও,
রাখাল ছেলের ছোট্ট বাড়ি ..........যাও।
কিছু ছবি দিলে কতই না ভাল হতো!!!!!!!
৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:০৪
এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন: অনেক সুন্দর!!
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০১
সরকার আলী বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভীনগ্রহী (Extraterrestrial) স্বর্ণা।
৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:০৩
@অরণ্য বলেছেন: ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। মামার বাসায় গেটের পাশে একটা ডালিম গাছে অনেক ডালিম ধরে থাকতো।
খুব সুন্দর ছবি পোস্ট।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:১৩
সরকার আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
আপনিও ডালিম গাছ লাগান। আশা করি আপনার বাসায় গেটের পাশে একটা ডালিম গাছে অনেক ডালিম ধরে থাকবে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৫৪
আরশী বলেছেন: আমার ডালিম গাছে পোকা ধরেছে