নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

:)

খোকন জিও

খোকন জিও › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলার গান্ধী বিজ্ঞানী সতীশ চন্দ্র দাস গুপ্ত

১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৩৮

গোটা পৃথিবীর মানুষ যাকে প্রফেট না হয়েও প্রফেটের মত মহা মানব ভেবে শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় সিক্ত করেন তার নাম মহাত্মা গান্ধী। সেই মহামানব মহাত্মা গান্ধী জনৈক শ্রী সতীশ চন্দ্র দাসগুপ্ত সর্ম্পকে ১৯৩৫ সালে বৃটিশ পার্লামেন্টের সভ্য অমধঃযধ ঐধৎৎরংড়হ কে এক পত্রে লিখেছেন-''ওং ড়হব ড়ভ ঃযব ঃৎঁবংঃ ড়ভ সবহ রঃ যধং নববহ সু মড়ড়ফ ভড়ৎঃঁহব ঃড় সববঃ''- অর্থাৎ সতীশ চন্দ্র দাশ গুপ্ত আমার দেখা বিশুদ্ধতম ব্যাক্তিদের অন্যতম। মহামানব গান্ধী যে মহান ব্যাক্তিকে তার দেখা বিশুদ্ধতম ব্যাক্তি হিসেবে এ মন-ব্য করেছিলেন তিনি আর কেউ নন কুড়িগ্রামের কৃতি সন-ান সর্বভারতীয় বিজ্ঞানী বাংলার গান্ধী শ্রী সতীশ চন্দ্র দাস গৃপ্ত। শ্রী সতীশ চন্দ্র দাসগুপ্ত বৃহত্তর রংপুর জেলার কুড়িগ্রাম মহুকুমা শহরে পিতা ডাঃ পূর্ণচন্দ্র দাস গুপ্তের ঔরশে আনুমানিক ১৮৮২ খ্রীষ্টাব্দে জন্ম গ্রহন করেন এবং সম্ভত ১৯৭৮ সালে মৃত্যু বরণ করেন।। তার প্রাথমিক শিক্ষা সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। তবে তিনি কোচবিহারে মাধ্যমিক পড়েছিলেন।তিনি সেখান থেকে প্রবেশিকা পাশ করে কলিকাতার বিখ্যাত রিপন কলেজ থেকে আই.এ এবং বিখ্যাত প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে রসায়ন শাস্ত্র নিয়ে বি.এ ও এম.এ পাশ করেন। তিনি ছাত্র হিসেবে ছিলেন অসাধারন মেধাবী। রিপন কলেজে পড়বার সময় তিনি সুনজরে এসেছিলেন বিখাত দেশপ্রেমিক শিক্ষক অধ্যাপক সুরেন ব্যানার্জীর। তিনিই যৌবনের ঊষালগ্নে সতীশ চন্দ্রের হৃদয়ে দেশপ্রেমের প্রদ্বীপ জ্বালিয়েছিলেন। সেই প্রদ্বীপের আলো প্রবল বেগে বিকিরন ঘটাতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন তারা হচ্ছেন প্রেসিডেন্সী কলেজের শিক্ষক তথা সর্বভারতীয় গৌরব বিজ্ঞানী শ্রী আচার্য্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় ও বিজ্ঞানী প্রফেসর জগদীশ চন্দ্র বসু।



সতীশ চন্দ্র দাস গুপ্ত এম.এ ডিগ্রী পাশ করে চাকুরীতে যোগ দেননি। এম.এর ব্যাবহারিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই আচার্য্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় তাকে সোজা বেঙ্গল কেমিক্যালের কারখানায় নিযে গিয়ে গোটা কারখানার সুপারেন্টডেন্টের চেয়ারে বসিযে দেন। এ প্রসঙ্গে সতীশ চন্দ্র দাসগুপ্ত নিজেই বলেছেন ’’ কোন অঢ়ঢ়ষরপধঃরড়হ কোন ওহঃবৎারব িকোন ঋড়ৎস ভর্তি-কিচ্ছুনা। ১৯০৬ সালে রাতারাতি আমি রাজা হয়ে গেলাম বেঙ্গল কেমিকেলের।আর আমার সহকারী হলেন ভবিষ্যতের বাংলা ভাষার বিখ্যাত গবেষক ও রস সাহিত্যের দিকপাল রাজ শেখর বসু’’।স্বদেশী আন্দোলনের সেই প্রথম যুগে আচার্য্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় অনুভব করেছিলেন দেশের নিজস্ব প্রয়োজনীয় শিল্পের উৎপাদন ও শিল্প ভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তোলার প্রয়োজনীযতা। সেই চিন-া থেকেই আচার্য্য প্রফুল্ল চন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন বেঙ্গল কেমিকেল। এ প্রতিষ্ঠানটি ছিল তার সন-ানের চেয়েও অধিক প্রিয়। সেই প্রিয় সন-ানকে তিনি তার প্রিয় ছাত্র সতীশ চন্দ্র দাশ গুপ্তের হাতে অর্পন করেন। তিনি যখন বেঙ্গল কেমিকেল প্রতিষ্ঠা করেন তখন রসায়ন শিল্পের কাঁচামাল মৌল উপাদান ভারতে বিদেশ থেকে আমদানী করতে হত। প্রফুল্ল রায় তার ছাত্রদের বলতেন তোরা কেমিষ্ট্রি পাশ করছিস কি করতে-বানা-বানা স্বদেশী পদ্ধতিতে ইধংরপ ঈযধসরপধষ তৈরী কর। সতীশ চন্দ্র দাসগুপ্ত সেদিন গুরুর আবেদনে সারা দিয়ে গুরুর তত্বাবধানে অল্পদিনের মধ্যেই একজন সহযোগীকে নিয়ে তৈরী করলেন সমস- রকমের প্রয়োজনীয় ইধংরপ ঈযধসরপধষ- চুৎরঃবং( পরিশ্রুত লৌহসালফেট বা মাক্ষিক) ঋবৎৎড়-ধষঁস,ঈধভভরহ,ঝঃৎুপযহরহব মাত গুড় থেকে অষপড়যধষ ধহফ জবপঃরভরবফ ঝঢ়ৎরঃ এবং সর্বোপরি ঝঁষঁৎরপ অপরফ. সে সময় বলা হত ঞযব চৎড়ংঢ়বৎরঃু ধহফ রহফঁংঃৎরধষ ধফাধহপবসবহঃ ড়ভ ধ ঈড়ঁহঃৎু রং সবধংঁৎবফ নু ঃযব য়ঁধষরঃু ড়ভ ংঁষভঁৎরপ ধপরফঝযব পড়হংঁসবং. দেশে যখন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ভয়াভয় প্রভাব সে সময় ভারতে অগ্নিনির্বাপক গ্যাস বিদেশ থেকে আসা বন্ধ হয়ে যায়। দেশ তখন মহাবিপদে পড়েছিল সে বিপদ সতীশ চন্দ্র দাসগুপ্ত সেদিন অগ্নি নির্বাপক ঋরৎব করহম আবিস্কার করে সমাধান দিয়েছিলেন। তিনি বিলেতি টিউবওয়েলের চেয়ে অনেক হালকা,ছোট ও পরিচালনযোগ্য টিউবওয়েল তৈরী করেন।

সতীশ চন্দ্র দাসগুপ্ত শুধূ বিজ্ঞানী ছিলেননা। তিনি একজন একনিষ্ঠ কমীও ছিলেন।তিনি সাধারন কর্মীদের সাথে কাজ করতেন। তিনি কোন কাজের নির্দেশ দেবার আগে নিজে সেই কাজটির বিষয়ে জ্ঞান আয়ত্ব করতেন। তিনি নিজে হেমন- বসুর কাছে স্বদেশী যুগে তাঁত বোনার কাজ শিখে পড়ে কর্মীদের শিখিয়েছিলেন। স্বয়ং গান্ধীজী তার স্বদেশী শিল্প দেখতে এসে অবাক হয়েছিলেন। সতীশ চন্দ্র দাসগুপ্ত নিজ হাতে টাইপ কম্পোজ করে প্রেস চালাতেন।

১৯২২ সালে উত্তরবঙ্গে বিরাট বন্যা হয় সেই বন্যায় রংপুর জেলা শহর ডুবে গিয়েছিল। এমন কোন বাড়ী ছিলনা যেখানে জল উঠেনি। এ বন্যায় আচার্য্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় খুবই বিচলিত হন।তিনি উত্তরবঙ্গের মানুষের জন্য একটি বিশেষ রিলিফ টিম পাঠান সেই রিলিফ টিম সান-াহারে এসেছিল। এর দায়ীত্ব দিয়েছিলেন সতিশ চন্দ্র দাস গুপ্তকে। তিনি বন্যা এলাকায় এসে শুধু রিলিফ বিতরন করেননি। তিনি তিনি নিজ চেষ্টায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস'দের জন্য ১০হাজার ঘর তৈরী করে দেন। বন্যা ক্ষতিগ্রস'দের সহায়তার জন্য আচার্য্য দেশবন্ধু চিত্ত রনজন দাসকে পাঠালে তিনি ২/১ দিন দেখে শুনে ফিরে গিফে রিপোর্ট দেন-সতীশ চন্দ্র দাসগুপ্ত এত সুন্দর ভাবে সব সম্পন্ন করে রেখেছেন যে আমার আর করার মতন কিছুই বাকি নাই।

রিলিফের পর তিনি আচার্য্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের সাথে দক্ষিন ভারতে গিয়েছিলেন সেখানে মহাত্মা গান্ধীর কাছা কাছি এসেছিলেন। তিনি তখনই গান্ধীর কাজে নিজেকে নিয়োজিত করতে চাইলেন। গান্ধী তাকে দেশের প্রয়োজনে যে কাজ করছিলেন সেই কাজ করতে বলে ফিরিয়ে দেন। কিন' গান্ধী সতীশ বাবুকে বলেছেন-ও ফড়হঃ হববফ ুড়ঁ.ুড়ঁ ধৎব ফড়রহম হধঃরড়হধষ ড়িৎশ ঁহফবৎ অপযধৎুধ জড়ু.উড় রঃ ধৎবহফঃষু. ওঃ রং সঁপয সড়ৎব রসৎড়ৎঃধহঃ.ুড়ঁ পধহ ঢ়ৎড়ঢ়ড়মধঃব ঢ়ৎরহপরঢ়ষবং ড়ভ শযধফর ড়হষু রহ ুড়ঁৎ ংঢ়ধৎব ঃরসব. সতীশ চন্দ্র দাসগুপ্ত গান্ধীজির কথায় কিছু কাল কাজ করলেও সে কাজে বেশীদিন তার মন বসে নাই। পরে ১৯২৩ সালে তিনি বেঙ্গল কেমিকেল ছেড়ে সরাসরি গান্ধীজির স্বদেশী আন্দোলনে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। তিনি ঝাপিয়ে পড়েন গরিব দেশের কুটির শিল্প,খাদি ও গোজাতির উন্নয়ন এবং স্বাধীনতার কাজে। তিনি যখন বেঙ্গল কেমিকেল ছাড়েন তখন আচার্য্য রায় তাকে তার আবিস্কৃত ফায়ার কিং বিক্রির লভ্যাংশ থেকে দুই লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। সেই টাকার পুরোটাই তিনি তিনি মহাত্মা গান্ধীর হাতে দিয়েছিলেন। গান্ধী সে টাকা দিয়ে খাদি ও কুটির শিল্পের উন্নতির কাজে তার অভূতপূর্র্ব বৈজ্ঞানিক প্রতিভাকে কাজে লাগাতে বলেন। তারপর সে টাকায় পশ্চিম বাংলার সোদপুরে ১৯২৬ সালে জমি কিনে প্রতিষ্ঠা করেন খাদি প্রতিষ্ঠান। যা পরে গান্ধী আশ্রম নামে পরিচিত হয়।



খাদি প্রতিষ্ঠানে গান্ধীজির অনুসৃত সুতো কাটা, প্রার্থনা এবং পায়খানা পরিস্কারের মত কাজও তার নেতৃত্বে সেখানে চলেছে।তিনি প্রতিষ্ঠানটিকে একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলেন। উভয় বাংলায় গান্ধীজির কাজের কোন চিহ্ন কোথাও আছে কিনা তা অন্বেষন সাপেক্ষ কিন' সতীশ চন্দ্র দাসগুপ্ত প্রতিষ্ঠিত সোদপুরের গান্ধী আশ্রম আজও বাপুজির(মহাত্মা গান্ধীর) পূর্ণ স্মৃতিকে ধারন করে আছে।সতীশ বাবু ছিলেন গান্ধীজির একনিষ্ট অনুগামী। তার কথা বার্তা অভ্যাস এমনকি বসার ভঙ্গিটিও ছিল গান্ধীজির মতন। যদিও তিনি গান্ধীর সাথে দেখা হওয়ার অনেক আগে থেকে(১৯১০) খাদ্যাভাস পরিবর্তন করে মাছ মাংস ত্যাগ করেছিলেন। একবার এক ক্ষুদে রির্র্পোটার সতীশ চন্দ্র দাসগুপ্তের কাছে মন-ব্য করেন সুভাস বসু ছাড়া কোন ভদ্র লোক নাই অন্য সকলে শকুনির দল সতীশ বাবু সেই রিপোর্টার কে থামিয়ে দিয়ে বলেন থামো হে ইয়াংম্যান গান্ধীজির চিন-া ধারা বোঝার সাধ্য কারো নেই। সুভাষ আর কংগ্রেসের চিন-া ধারার মধ্যে অসংগতি তার চেয়ে ভাল আর কেই জানতেন না।(অসৎরঃধনধুধৎ চধঃৎরশধ-২৪.১০.৭৮) সুভাষ চন্দ্রের প্রতি গান্ধীর অপ্রতিসাম্য বিরোধীতার কথা সতীশ চন্দ্র যেমন জানতেন তেমন জানতেন কেতাদুরস- বাবু জওহরলাল নেহেরুর প্রতি তার স্নেহের অযৌতিক অপব্যয়েরসতীশ বাবু গান্ধীর বিরুদ্ধাচারন গ্রহন করতেন না। তিনি সকল যুক্তির উপড়গান্ধীর প্রতি বিশ্বাস ও নির্ভরতাকে স'ান দিতেন।



খাদি প্রতিষ্ঠান স'াপনের আগে কাপড় রং করা শেখার জন্য মানুষ যেত সদূও জার্মানি। তিনি ভারতের অনারম্বও কাঁচা কুটিরের ল্যবরেটরিতে উদ্ভাবন করেন তার নতুন রনজন পদ্ধতি,যা ছিল শত ভাগ স্বদেশী । তিনি ব্যয় সাধ্য ঠধপঁধস পদ্ধতি ছাড়াই বের করেন ঈড়হফবহংবফ গরষশ তৈরীর নতুন উপায়। তিনি প্রচন্ড অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে খাদি প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনে তৈরী করেন গোবর গ্যাস প্লান্ট। যা দিয়ে খাদি প্রতিষ্ঠানের আলো ও জ্বালানীর ব্যবস'া হয়।

১৯৪৩ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও সময় যখন .৬ পয়সার সাদা কাগজ ১.৫০ পয়সা উঠেছিল, তখন ছাত্ররা স্বল্প মূল্যে কাগজের দাবীতে রাজপথে আন্দোলন করছিল- সে সময় দেশের টানে বিজ্ঞানী সতীশ চন্দ্র দাসগুপ্ত বাঁশের ছিলকা দিয়ে কাগজ তৈরীর এক সুলভ পদ্ধতি আবিস্কার করেন।থেকে আবিস্কার করেন। দোকানে যখন ১.৫০ ঠাকা কাগজের দিস-া তখন খাদি প্রতিষ্ঠান মাত্র .১০ আনায় এক দিস-া কাগজ বিক্রি করেছিল। সতীশ চন্দ্র দাসগুপ্ত চামড়া ট্যানের কাজেও বিশেষ দক্ষতা দেখিয়েছিলেন। তিনি ছোট একটি মেশিন তৈরী কওে তা দিয়ে চট কলের মত দড়ি ও সুতলি তৈরীর ব্যবস'া করেন। তার তৈরী এ ধরনের মেশিন দিয়ে ৪০ এর দশকের গোড়ার দিকে রংপুরের ষ্টেশন রোডে দড়ি ও সুতলি তেরী হত।

সতীশ চন্দ্র দাসগুপ্ত স্বরাজ আন্দোলনের সাথে সক্রিয় ভাবে যুক্ত ছিলেন।ব্রিটিশ ভারতে কোন রাজনেতিক সংগ্রাম শুরু হলেই তিনি জেলখানার নিমনত্রন নিয়মিত পেতেন এবং পুলিশী দয়ায় তিনি সে নিমন্ত্রন পালনে বাধ্য হতেন। তিনি ছিলেন কাজের লোক, ভারতের উন্নয়ন চিন-াই ছিল তার ধ্যান জ্ঞান। তিনি জেলে অন্য সকল বন্দিদের মতন অবসর জীবন তিনি পালন করেননি। সেখানেও ব্যস' থেকেছেন কাজ আর আবিষ্কার নিয়ে। ১৯৩১ সালে স্বরাজ আন্দোলনের সময় তিনি যখন আলীপুর জেলে বন্দি ছিলেন তখন জেলের ছুতারশালা অবস'া বেজায় খারাপ ছিল। তিনি সেই ছুতারশালার প্রভূত উন্নয়ন সাধন করেন। তিনি গোশালা দায়ীত্ব নেবার আগে ৫০টি পানজাবী গরু অযত্ন অবহেলায় মাত্র দেনিক দুধ দিত১০/১২ সের করে। তিনি গোশালায় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রয়োগের পর গরুও স্বাস'্যকর পরিচর্যার ফলে দ’বছরের মাথায় দৈনিক দুধের পরিমান দাঁড়ায় ৯ মনে। আলীপুর জেলে বসেই তিনি লিখেছেন তাঁর প্রামানিক গ্রন'- ঈড়ংি রহ ওহফরধ ও মেথর। সতীশ চন্দ্র দাসগুপ্তের সাথে শুধু মহাত্মা গান্ধীর ভারতের বহু বরেণ্য রাজনীতিকের সাথে তার সখ্যতা ছিল। অনেকের উপড় ছিল তারবিশাল প্রভাব। সর্ব ভাতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নেতাজী সুভঅষ চন্দ্র বসুকে যে গোপন সভায় অরপপ-ও সভা থেকে সরানোর শলা পরা্‌মর্শ হয় সতীশ চন্দ্র দাসগুপ্ত তার অন্যতম প্রত্যক্ষ সাক্ষী। তিনি ঘটনা প্রবাহ খুব কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করেন। গান্ধীজি একবার সোদপুরে সভাষ বসুকে নিমন্ত্রন করে রাজেন্দ্র প্রসাদের অনুকুলে কংগ্রেসের সভাপতি পদ ছেড়ে দেবার অনুরোধ করলে সুভাষ বসু তা হাসি মুখে সম্মতি দিয়েছিলেন। সতীশ বাবুর খাদি প্রতিষ্ঠানটি ছিল গান্ধীজির বিশ্বাস আর ভরসার স'ল আর সতীশ চন্দ্র দাসগুপ্ত স্বয়ং ছিলেন তার পছন্দেও বিশুদ্ধতম মানুষ।

সতীশ চন্দ্র দাসগুপ্ত তার কাজের জন্য সর্ব মহলে শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন। তাকে বাংলার মানুষ এবং গবেষকরা বাংলা গান্ধী হিসেবে অভিহিত করেছেন। এ মহামানব তাঁর বৃদ্ধ বয়সেও সৃষ্টি কর্ম থেকে নিজেকে বিরত করেননি। তিনি বাকুড়ার মরুময় এলাকার জমি দিয়ে ঈড়ষষড়রপধষ পদ্ধতিতে একটি দীঘি তৈরী কওে সেখান থেকে সেচ দিয়ে বছওে তিনটি করে ফসল তুলতে সক্ষম হন। সে জন্য ওহফরধহ ঈড়ঁহপরষ ড়ভ অমৎরপঁষঃঁৎধষ জবংবধৎপয তাকে প্রশংসিত করে।

সতীশ চন্দ্র দাসগুপ্ত বৃহত্তর রংপুরের কুড়িগ্রাম মহুকুমায় জন্ম নিলেও তিনি নিজেকে সর্ব ভারতীয় নাগরিক ভাবতেন। তিনি মনে করতেন ভারতের কল্যাণের ভেতরেই জন্ম স'ানের কল্যাণ নিহিত আছে। তিনি নিজেকে তার উদ্ভাবনি শক্তি আর আবিষ্কার এবং দেশের সেবার ভেতর দিয়ে নিজেকে দেশ ও কাল উর্ত্তীণ মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

সতীশ চন্দ্র দাসগুপ্ত এমন একজন মানুষ যিনি কারো দয়ায় নয়, বরং তাঁর সৃষ্টি কর্মের জন্য হাজারো বছর মানুষের মাঝে বেচেঁ াকবেন। গান্ধীর অনুসারী হিসেবে এ বাণীটি তিনি মানতেন- যা দান পাবে হাসি মুখে নেবে, প্রত্যাখান পেলেও তা হাসি মুখেই নেবে এবং তোমার আচরনের কোন ব্যত্যয় হবেনা। হয়তো দূরত্বের কারনে রংপুর তা কুড়িগ্রামের মানুষ আজকে তাকে চর্চাও অভাবে ভুলতে বসেছে। হয়তো এও এক ধরনের প্রত্যাখান, হয়তো এজন্য সতীশ দাসগুপ্তের আত্মা অখুশী বা অভিমানী হবেনা।কিন' আমরা রংপুরের মানুষ জন কি এজন্য বড় বেশী ছোট হবোনা? আমাদেও মর্যাদা কি ধূলায় ভূলন্ঠিত হবেনা। আমরা রংপুর কুড়িগ্রামের মানূষ আমাদের মাটিতে জন্ম নেয়া একৃতি পুরুষের স্মৃতির জন্য নতুন করে কিছু করতে পারিনা।



তথ্যসুত্রঃ

প্রতীতি, রংপুর সম্মিলনী পত্রিকা কলিকাতা-১৯৮৭ইং ৮ই মার্চ সংখ্যা- লেখক ডাঃ বিমল সেনগুপ্ত,সতীশ দাসগুপ্তের ভাগ্নে ডাঃ নওন্দ্ের নাথসেনের স্ত্রী নীলিমা সেনের নিকট থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও পেপার কাটিং থেকে উপাত্ত নিয়ে লিখিত সতীশ চন্দ্র দাসগুপ্ত শীর্ষক নিবন্ধ, ডঃ সুলেখা মুখার্জী-অধ্যাপক কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় পশ্চিম বাংলা,প্রফেসর মোতাহার হোসেন সূফী, হারুন অর রশীদ লাল মুক্তিযুদ্ধ গবেষনা সেল সলিডারিটি কুড়িগ্রাম।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.