নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার জন্ম টাঙ্গাইলের হামজানি গ্রামে। শৈশব, কৈশোরে দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে ছিলাম; বাবার সরকারী চাকুরীর জন্যে। কলেজ ছিল টাঙ্গাইল জেলায়। তারপর পড়াশুনা ঢাবি\'র ফিন্যান্স বিভাগ। গত নয় বছর যাবত প্রাইভেট ব্যাংকে কর্মজীবন চলছে। www.facebook.com/khokonz

খোরশেদ খোকন

এই শহরে কিছু কিছু শব্দ কলম নয় হ্রদয় থেকে নেমে আসে, একা। এই শহরে বিনয় ঝুলে থাকে মরা গাছের ডালের মতো, একা।

খোরশেদ খোকন › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ মেঘলা আকাশ (পর্ব-০৫)

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২০

গল্পের নামটা “মেঘলা আকাশ” হওয়াতে আপনাদের মনে কি কোন সন্দেহ কাজ করছে? সন্দেহকে দানা বাঁধতে দিন। দৈনন্দিন জীবনে আমরা যদি সব কিছুতেই তৃপ্তি পেয়ে যাই, যেমন ধরুন খাবার-দাবার, বসবাসের পরিবেশ, হাতের কাজের সকল যন্ত্রপাতি, সিনেমা কিংবা টিভির অনুষ্ঠান; তাহলে জীবনটা স্বস্তির কিংবা যাকে বলে শান্তির হতে পারে।

কিন্তু সমাজের কিছু মানুষকে কোন কিছুই ঠিক মতো তৃপ্তি দিতে পারে না? যারা কোন কিছুতে তৃপ্তি পায়না; তারা এক প্রকারের অসুখী মানুষ। তারা ঠিক যেই কারনে অসুখী, সেটার একটা বিহীত তারা করতেই চায়। আর সেই বিহীত করতে গিয়েই নতুন কিছু একটা আবিষ্কার করে ফেলে।

যারা তৃপ্তি পায়; তারা সমাজকে শান্তি দেয় একথা যেমন সত্য। যারা তৃপ্তি পায়না; তারা আবিষ্কার করে; নিজে তৃপ্তি খুঁজে আর অন্যকে তৃপ্তি দেয়। এসবের মাধ্যমেই সমাজটা প্রগতির দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যায়।

আমার ছেলেবেলায় আমি ময়মনসিংহ শহরের আকুয়া নামের একটা এলাকায় ছিলাম। সেখানে আনন্দমোহন কলেজের এক অধ্যাপকের সাদা রঙয়ের বাড়ী ছিল। বাড়ীর নামটা ছিল “সংশয়”। কি নামটা অদ্ভুত লাগছে, তাই না?

তো একদিন আমি পদার্থ বিজ্ঞানের সেই অধ্যাপককে বলেছিলাম, স্যার বাড়ীর নামটা “সংশয়” কেন রেখেছেন। তিনি বলেছিলেন “সংশয়” মানে সন্দেহ। তুমি জেনে আনন্দিত হবে যে, পৃথিবীর যে সকল মানুষ প্রচলিত নিয়ম-কানুন, রীতি-পদ্ধতি, ধারণা-বিশ্বাস কে সন্দেহ করেছে। তারা ব্যাক্তিগত জীবনে অসুখী ছিল; কিন্তু তারাই একদিন সামগ্রিক সমাজের জীবনের জন্য সুখ বয়ে নিয়ে এসেছিল। তারা সেদিন সন্দেহ করেছিল বলেই কিন্তু পদার্থ বিজ্ঞান আজ এতদূর এগিয়ে আসতে পেরেছে।”

আমি আর কথা বাড়ালাম না। ভাবলাম, এই সমাজে এখনও যে মানুষটা কথায় কথায় কোনকিছুকে সন্দেহ করে, তাকে বাকিরা কি নির্মমভাবে ছোটমনের মানুষ মনে করে! আর অন্যদিকে, যারা কোন কিছুতেই তৃপ্তি পায়না, তাদের সমাজের মানুষ ভবে লোকটার চরিত্রে (মানসিকও হতে পারে) সমস্যা আছে। অল্পতে সন্তুষ্ট না হলে কি আমাদের জীবন চলে?

যাই হোক, সন্দেহ আর তৃপ্তি নিয়ে সেই প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে যে খেলা চলছে, সেটা মনে হয় আগামীতে অনন্তকাল ধরেই চলবে। আমরা এবার গল্পে ফিরে আসি। কি বলেন?

মেঘলা আকাশ শব্দ দুইটা একত্রে শুনলে; যে পরিবেশের সৃষ্টি হয় সেটা বিষণ্ণ একটা পরিবেশ। আকাশে মেঘ উড়ে এলেই আমরা বলি “মেঘলা আকাশ” মানে বৃষ্টির সম্ভাবনা।

মানুষের যেই শ্রেণীটা কৃষিকাজ নির্ভর; তারা আজীবনই মেঘলা আকাশকে আশীর্বাদ জেনে এসেছে।
অন্যদিকে, শহরের খেটে-খাওয়া নিম্নবিত্ত কিংবা সংগ্রামী মধ্যবিত্তের জীবনে বৃষ্টি কোন আশীর্বাদ হয়ে উঠে না। বৃষ্টি মানেই কাঁদা-জল, কাজের ব্যঘাত, ঘরের মেঝেতে নোংরা ড্রেনের পানি আর রাতের ঘুম হারাম। তাই না?

এখানে বলে রাখি, “মেঘলা আকাশ” মানে গল্পের কোথায়ও একটা ভীষণ ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। যে বৃষ্টি একদিন ধুয়ে মুছে দিবে নাগরিক কোলাহল, ব্যাক্তিগত দুঃখবোধ, শূন্যতা আর প্রতিদিন বেঁচে থাকা নিয়ে হাকাকার।

এবার গল্পে ফিরে আসি।এখন রাত ৯.০০টা

মেঘলা দেখলো, তার মেসেঞ্জারে একটা গান মেসেজ পাঠিয়েছে আকাশ। আকাশ বলেছে তুমি গানটা শুনতে শুনতে আজকের আলাপ শুরু করবে। সেই গানটা হচ্ছেঃ
“কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে রাতের নির্জনে।
জোনাকীর আলো নেভে আর জ্বলে
শাল মহুয়ার বনে।।
কবিতার সাথে চৈতী রাতে
কেটেছে সময় হাত রেখে হাতে।
সেই কথা ভেবে পিছু চাওয়া মন
স্মৃতির নকশা বুনে।।
অতীতের ছবি আঁকা হয়ে গেলে
চারিদিকে এই চোখ দুটি মেলে।
পলাতক আমি কোথা চলে যাই
আঁধারের হৃদয় শুনে।।”
মেঘলা গানটা খুঁজে বের করলো, তারপর শুনতে থাকলো... কখন আকাশ মেসেঞ্জারে আসবে? অবশেষে আকাশ কে মেসেঞ্জারে পাওয়া গেল।
মেঘলাঃ এই তুমি সারাদিন এতো কি কাজ করো?
আকাশঃ কেন বলতো?
মেঘলাঃ না, তোমাকে রাত ছাড়া পাওয়া যায় না।
আকাশঃ আচ্ছা, যাও আমাকে দিনেও এখন থেকে পাওয়া যাবে। হলো তো, এবার খুশি?
মেঘলাঃ এই আজ একটা গল্প বল আমাকে, মনটা খুব উদাসী লাগছে...
আকাশঃ কেন, কি হয়েছে সুন্দরী?
মেঘলাঃ ধুত, আমাকে সুন্দরী বলছ কেন? আমি কি তোমার লাভার?
আকাশঃ লাভার না, কিন্তু তার চেয়েও বেশি কিছু।
মেঘলাঃ আচ্ছা ঠিক আছে। হিরো, তোমার কথা মেনে নিলাম।
আকাশঃ শোন, আমি তো তোমকে; তোমার দুই বান্ধবী মানে মিলি আর শিলার গল্প বললাম। এবার বাকি থাকলো মেঘলা...মানে তুমি...!
মেঘলাঃ আমার আবার কি গল্প?
আকাশঃ আচ্ছা তুমি স্কুল শেষ করার পরে তো কলেজে ঢাকায়ই পড়েছিলে। কিন্তু তারপর আর তোমার কোন খোঁজ পাইনি কেন?
মেঘলাঃ আমি কলেজ শেষ করে গ্রাজুয়েট করতে ভারত চলে গিয়েছিলাম।
আকাশঃ তাই নাকি?
মেঘলাঃ কেন তুমি জানো না?
আকাশঃ নাতো, আমাদের স্কুলের সহপাঠী; মানে তোমার পাড়ার ছেলে শুভর সাথে আমার কথা হয়েছিল। কিন্তু সে কোনদিন বলেনি যে, তুমি ভারত চলে গিয়েছ।
মেঘলাঃ যাক সে কথা। এবার বল কি জানতে চাও?
আকাশঃ আমি তোমার ভারতের কথা জানতে চাই।
মেঘলাঃ আমি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতন মানে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স আর মাস্টার্স পড়েছি।
আকাশঃ তুমি দেশে এতো কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থাকতে ভারত কেন গেলে? সেখানে কি তোমার কোন আত্মীয় ছিল?
মেঘলাঃ কেউ ছিল না। কেন জানি একবার মনে হল, একবার ভারত গিয়ে ঘুরে আসি। ভারত যাবার পরে মনেহল, খোঁজ নিয়ে যাই যদি পড়ার কোন সুযোগ থাকে। একদিন সেখানে কিছু বাংলাদেশের ছেলেমেয়েদের সাথে কথা হয়, তারা আমাকে শান্তি নিকেতনের খোঁজ দেয়। আমি ভর্তি হয়ে যাই। ব্যাস ঘটনা শেষ।
আকাশঃ এই তোমার ফেইসবুক টাইম লাইন দেখে তো কিছুই বুঝিনা!? তুমি কোথায় কাজ করো, মানে চাকরী কোথায় কর?
মেঘলাঃ এতো দিন পর এই কথা?
আকাশঃ কেন?
মেঘলাঃ তুমি না সেদিন আমাকে বললে, ইংরেজি সাহিত্যে পড়া মেয়েদের দেখলে তোমার মাস্টার মাস্টার লাগে?
আকাশঃ হ্যা বলেছি। মনেহয় বলেই তো বলেছি। কেন তাতে কি?
মেঘলাঃ হিরো, তুমি ঠিক জিনিসটাই অনুমান করেছিলে সেদিন!
আকাশঃ তার মানে; তুমি ইংরেজি পড়াও বাচ্চাদের?
মেঘলাঃ বাচ্চাদের না জনাব। পড়াই বড় বাচ্চাদের, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে। কি এবার জেলাসি লাগছে, তাইনা?
আকাশঃ আমি এখন এই মাস্টার ম্যাডামকে নিয়ে কই যাই? সারা জীবন ইংরেজি পড়া পারিনি স্কুলে। আর তুমি কিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি পড়াও! আমার কপালে সত্যিই খারাপ আছে?
মেঘলাঃ আরে বাদ দাও তো, এসব অফিসের কাজের কথা বাদ দাও। অন্য কথা বল।
আকাশঃ সুন্দরী, আজ আর অন্য কথা আসবেনা। কথা যা বলার তোমাকেই বলতে হবে।
মেঘলাঃ তাই নাকি?
আকাশঃ হ্যা তাই। আচ্ছা শান্তিনিকেতেন থাকতে কোনদিন দেশের জন্য খারাপ লাগতো না। মানে স্কুলের সেই আমাকে মনে পড়তো না?
মেঘলাঃ শোন, তোমাকে তো আমি স্কুলে দেখছি (তাও ভাল করে দেখতে পেরেছি কই?)। বড় হবার পর তুমি দেখতে কেমন তাতো জানতাম না। তাই বড় কোন ছেলের সাথে কোনদিন তোমাকে মেলানোর চেষ্টাই করিনি। হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ
আকাশঃ তারপরও আমাকে মনেপড়ে নি?
মেঘলাঃ জী না, ভাবিনি। তুমি কে আমার? যে শুধু শুধু ভাববো?
আকাশঃ ঠিক আছে ভাবতে হবে না।
মেঘলাঃ আচ্ছা তুমি সেই স্কুল থেকে চলে যাবার পর... আর কোনদিন আমাদের স্কুলে গিয়েছিলে? স্কুলের বন্ধুদের সাথে দেখা করেছিলে?
আকাশঃ জী ম্যাডাম গিয়েছিলাম। একবার দু’বার না; রীতিমতো ৫ বার গিয়েছিলাম।
মেঘলাঃ আমাদের বাড়ী গিয়ে আমাকে একবার সারপ্রাইজ দিতে পারতে!
আকাশঃ আমার ঘাড়ের উপর কটা মাথা যে তোমাদের বাড়ী যাবো?
মেঘলাঃ এই, আমরা কি আর সেই ছোট আছি নাকি?
আকাশঃ তাই নাকি! অনেক বড় হয়ে গেছি?
মেঘলাঃ এই শোন, তুমি আমার বাড়ী গেলে। আমার বাড়ীর কেউ কিছুই মনে করতো না। সেখানে আমার একটা পারসোনালিটি আছে না?
আকাশঃ তাহলে তো বিশাল ভুল হয়ে গেছে, হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ
মেঘলাঃ তুমি কিন্তু আমাকে মনে করনি?
আকাশঃ শোন, লক্ষ্মী আমার, সোনা পাখী। আমি ভয় পেতাম; তাই সাহস করি নি।
মেঘলাঃ তোমার সেই দুই বন্ধু (সজীব আর রাজীব) নিশ্চয়ই তোমাকে আমার কথা বলেছিল?
আকাশঃ বলেছিল; কিন্তু ঠিক সেভাবে বলেনি। যেভাবে বললে এক স্কুল ফ্রেন্ড মেয়ের বাড়ী যাওয়া যায়, সেভাবে কেউ কিছু বলেনি। আর তুমিতো বলছো যে তুমি ভারতে ছিলে।
মেঘলাঃ হ্যাঁ, আমি ভারতে ছিলাম। তবুও দেখা হতে পারতো।
আকাশঃ এই তুমি কিন্তু তোমার শান্তিনিকেতন নিয়ে কিছুই বলছ না?
মেঘলাঃ কি বলবো বল? আমি সেখানে পড়তে গিয়েছিলাম। পড়েছি আর ফিরে এসেছি। তেমন কিছুতো নেই।
আকাশঃ না, আছে। তুমি অবশ্যই একটা প্রেম করেছ। তুমি দেখতে কি যে সুন্দরী। প্রেম না হয়ে পারেই না!
মেঘলাঃ শোন, তোমাকে একটা কথা বলি। আমি দেখতে সুন্দর আর ভাল ছাত্রদেরকে পছন্দ করতাম, কথাটা সত্যি। কিন্তু দেশটাতো বাংলাদেশ ছিল না; তাই কাউকে আপন ভাবতে পারিনি। বিশ্বাস করো।
আকাশঃ যাও বিশ্বাস করলাম। তারপর কি?
মেঘলাঃ জানো, আমি কখনও কাউকে ভালবাসতে পারিনি। আমাকে স্কুলে আর কলেজে পড়তে অনেকেই ভালবাসতে চেয়েছে। চিঠি দিয়েছে। কিন্তু আমি তাদের ভালবাসিনি। ভালবাসতে পারিনি। বারবার আমার মনে হয়েছে, আমার ভালবাসার মতো সময় হয়নি। কিংবা নিজেকে ঠিক ভালবাসার মতো যোগ্য করে গড়ে তুলতে পারিনি।
আকাশঃ চালাকি করছ তাই না?
মেঘলাঃ শোন, একদিনের একটা স্মৃতির কথা বলি। আজ থেকে ১০ বছর আগে একদিন শান্তিনিকেতনে আমি এক ছেলেকে দেখি। দেখে তোমার কথা মনেপড়ে যায়। সেই ছেলেটাকে আমি তোমার কথা বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু কি দুর্ভাগ্য জানো সেই ছেলেটি না জানে ইংরেজি; না জানে বাংলা। তাকে আমি তোমার কথা বলতেই পারলাম না!
আকাশঃ এই অনেক রাত হয়ে গেছে, তুমি কিন্তু আগে শুভ রাত্রি বল, আজ কেন বলছ না?
মেঘলাঃ এই তুমি ঋতুপর্ণ ঘোষের রেইনকোট ছবিটা দেখেছিলে। যেখানে, অজয় দেবগান আর ঐশরিয়া রাই অভিনয় করেছিল। যেই ছবিতে অজয় দেবগানের নাম থাকে মানু আর ঐশরিয়ার নাম থাকে নিরু। গল্পটা মনে আছে?
আকাশঃ হ্যাঁ দেখেছি, গল্পটাও মনে আছে। কেন?
মেঘলাঃ সেই ছবিটা দেখার পর বুকের ভিতর কি যে শূন্যতাবোধ কাজ করেছিল। জানো আমি দুই রাত ঠিক মতো ঘুমাতে পারি নাই। বার বার মনে হয়েছে যদি স্কুলের সেই তোমাকে কোনদিন ফিরে পেতাম!? তাহলে আমাদের জীবনের গল্পটা ছবির মানু আর নিরুর মতো হতো না। কি যে কষ্ট! তোমাকে কোনদিন আমি সেটা বোঝাতে পারবো না।
মেঘলাঃ শুভ রাত্রি
আকাশঃ তোমাকেও শুভ রাত্রি

এখানেই আজকের মতো আমরা গল্পটাকে শেষ করে দেই, কি বলেন। আপনার যারা রেইনকোট ছবিটা দেখেন নাই, তারা দেখে নিবেন। আমি ছবির গল্পের সারাংশটা একটু বলে দিচ্ছি। পড়তে থাকুন।

সেই ছবির গল্পে মানু তার চাকরীটা হারানো পর নতুন একটা ব্যাবসা শুরু করার জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে নামে। তো সে তার প্রাত্বন প্রেমিকার সাথে দেখা করতে কোলকাতা শহরে আসে। মানু আর নিরু দুজনের দেখা হবার পর; তারা তাদের অতীতের গ্রামীণ জীবন নিয়ে অনেক গল্প করে। এক সময় জানা যায়, নিরু এক ধনী লোককে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বলেই মানুর সাথে নিরুর বিয়েটা ভেঙে যায়।
যাই হোক, মানু গল্পের শেষটায় এসে বুঝতে পারে নিরু ভাল নেই। নিরু’র নিঃসঙ্গতা আর দুঃখবোধ ক্রমেই মানুকে গ্রাস করে...।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৬

প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৪

খোরশেদ খোকন বলেছেন: আপনার সুদৃষ্টি আর গল্প পড়ার আগ্রহ দেখে ভাল লাগছে। ভাল থাকবেন। শুভেচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.