নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার জন্ম টাঙ্গাইলের হামজানি গ্রামে। শৈশব, কৈশোরে দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে ছিলাম; বাবার সরকারী চাকুরীর জন্যে। কলেজ ছিল টাঙ্গাইল জেলায়। তারপর পড়াশুনা ঢাবি\'র ফিন্যান্স বিভাগ। গত নয় বছর যাবত প্রাইভেট ব্যাংকে কর্মজীবন চলছে। www.facebook.com/khokonz

খোরশেদ খোকন

এই শহরে কিছু কিছু শব্দ কলম নয় হ্রদয় থেকে নেমে আসে, একা। এই শহরে বিনয় ঝুলে থাকে মরা গাছের ডালের মতো, একা।

খোরশেদ খোকন › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ মেঘলা আকাশ (পর্ব-০৭)

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৩

এদিকে আষাঢ়ের সাদা সাদা মেঘ এলোমেলো করে দিচ্ছে আকাশের মানচিত্র। আকাশ নামের ছেলেটি আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবছে মেঘলা নামের মেয়েটার কথা আর দুহাতে মাখছে নরম আলোর রোদ।

ওদিকে নীল আকাশ থেকে মেঘের ফাঁক ফোঁকর দিয়ে আসা রোদটা গায়ে মাখার জন্য দুপুর বেলার স্নান শেষে ভেজা চুলে মেঘাল নামের মেয়েটিও এসে দাড়িয়েছে তার ঝুল বারান্দায়।

এমন সময়, না রোদ আসেনি। আকাশ থেকে নেমে এসেছে আষাঢ়ের বৃষ্টি। যে বৃষ্টির ছন্দে দুপুরটা ঘুম ঘুম হয়ে যায়। এমনই ঘুম ঘোর সময়কে আরেকটু রাঙিয়ে দিতে মেঘলা ঘরের সব দরোজা জানালার থাইগ্লাসগুলো টেনে দিলো, তারপর টেলিভিশনের রিমোট চাপতে লাগলো। হ্যা, সে একটা রোমান্টিক গান পেয়ে গেছে। আপনারা কি গানটা শুনতে চান?
ঠিক আছে দিয়ে দিচ্ছিঃ
----
“Here comes the rain again
Falling on my head like a memory
Falling on my head like a new emotion
I want to walk in the open wind
I want to talk like lovers do
I want to dive into your ocean
Is it raining with you
So baby talk to me
Like lovers do
Walk with me
Like lovers do
Talk to me
Like lovers do
Here comes the rain again
Raining in my head like a tragedy
Tearing me apart like a new emotion
Oh
I want to breathe in the open wind
I want to kiss like lovers do
I want to dive into your ocean
Is it raining with you
So baby talk to me
Like lovers do
Here comes the rain again
Falling on my head like a memory
Falling on my head like a new emotion
(Here is comes again, here it comes again)
I want to walk in the open wind
I want to talk like lovers do
I want dive into your ocean
Is it raining with you”
----
গান শেষ হতেই মেঘলা অলস দুপুরে কি করা যায় ভাবছে এমন সময় পেয়ে দেখলো সনি টিভিতে শুরু হচ্ছে আমির খান অভিনীত ছবি “PK”। মেঘলা, দেখতে থাকলো। ছবির নাম দেখানো পর্ব শেষ হতেই না হতেই মেঘলার মোবাইলে আকাশের মেসেজ। আসুন আমরা এগিয়ে যাই।
আকাশঃ কি করো?
মেঘলাঃ PK দেখি
আকাশঃ তাই, বৃষ্টি দেখনা?
মেঘলাঃ দেখ, আমি রাতের বৃষ্টি বেশি ভালবাসি। চারদিকে কোলাহল নেই। একাধারে ঝরে যাচ্ছে শ্রাবণের জল; কেমন একটা মহনীয় ছন্দের তাল, তাইনা? যে ছন্দে শুয়ে থাকা যায় কিন্তু ঘুম আসেনা। কেবলি মনেহয়, দূরে কোথায় দূরে আমাদের কোথায়ও যাওয়ার আছে। কিন্তু আমরা আসলে ঠিকানাটা, ঠিক মতো জানিনা?
আকাশঃ এই আমি একটু কাজে যাচ্ছি। রাতে কথা হবে।
মেঘলাঃ এই জানো, ছবিতে আমির খান মানুষের হাত ধরে “মনটা” কেমন পড়তে পারে। দেখেছো?
আকাশঃ আমিও পারি, সুন্দরী শুধু তুমি সুযোগ দিলে না!
মেঘলাঃ যাহ, তাই আবার হয় নাকি?
আকাশঃ হয়, শুধু তুমি জানো না। এই Bye
মেঘলাঃ Bye ।
এখন রাত্রি ৯.০০ টা
মেঘলাঃ এই তুমি আমাদের বাড়ী কোনদিন এসেছিলে?
আকাশঃ কেন একথা বলছ?
মেঘলাঃ না; আমার মনে হল, তুমি আমাদের বাড়ী কখনও আসো নাই।
আকাশঃ হ্যা, আমি তোমাদের বাড়ী যাই নাই।
মেঘলাঃ তোমার বন্ধুরা সবাইতো কারনে অকারণে আমাদের বাড়ী এসেছে, তুমি কেন এলেনা?
আকাশঃ আমি তোমাদের বাড়ীর কাছে এক সময় খুব ঘন ঘন গিয়েছি। তুমি জানো না?
মেঘলাঃ কেন বলতো?
আকাশঃ সেটা বললে, তুমি আমাকে খ্যাপাবে নাতো?
মেঘলাঃ না, খ্যাপাবো না। তুমি বল।
আকাশঃ সত্যি বলছ?
মেঘলাঃ হ্যাঁ বাবা সত্যি বলছি।
আকাশঃ তাহলে শোন, একটা মানুষের জীবন আসলে অনেক বড়।
আকাশঃ ধরো, তুমি একটা ছেলেকে জানো। সেই ছেলে যদি কোন সিরিয়াস প্রেমে জড়িয়ে না থাকে; তাহলে তার চোখের দিকে তাকালেই দেখবে; সে মনে মনে একটা মেয়েকে খুঁজছে। এই তাকানো বিষয়টা মেয়েরা খুব দ্রুতই ধরতে পারে। আর তাই যে ছেলেকে ভাললাগে না, তাকে তারা পাত্তা দেয় না। বলতে পারো, একটু দূরে দূরে রাখে কিংবা ভয় পায়। হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ
মেঘলাঃ আর মেয়েদের বেলা কি হয়, শুনি?
আকাশঃ মেয়েদের বেলা। শোন, একটা ছেলে কোনদিনই একটা মেয়ের চোখে তাকিয়ে বুঝতে পারেনা, সেই মেয়েটা আসলে কি বলতে চায়? তাই সে বার বার ভুল করে। ভুল করে বলেই প্রতিদিন সেই মেয়ের প্রেমে পরে। অন্যদিকে কাণ্ডজ্ঞান মেয়েদের একটু বেশিই থাকে। কাণ্ডজ্ঞান থাকে বলেই, একটি মেয়ে তার নিজের চাইতে বয়সে বড় একটি ছেলেকে ইশারায় নাচাতে পরে। হা হা হা
মেঘলাঃ এই, তুমি এসব দার্শনিক কথা বাদ দিবে?
আকাশঃ আচ্ছা বাদ দিলাম, এবার কাহিনী শোন।
মেঘলাঃ ঠিক আছে বলো, শুনছি।
আকাশঃ তোমাদের বাড়ীর পাশের একটি মেয়েকে নিয়ে ঘটনা
মেঘলাঃ এই আমি শুনবো না, জেলাস হচ্ছি
আকাশঃ কেন?
মেঘলাঃ ইটিমধ্যে তুমি মিলি আর শিলার গল্প শেষ করেছে। তারপর এখন আমার মাথা খাচ্ছ। আজ আবার কোত্থেকে নতুন একটা মেয়ের গল্প বলতে চাও, শুনি?
আকাশঃ জেলাস হও আর যাই হও, ঘটনা কিন্তু সত্যি?
মেঘলাঃ আচ্ছা, যাও শুনবো।
মেঘলাঃ তার আগে তোমাকে বলছি; এখানে দুপুরের মতোই আবারও আষাঢ়ে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। কি যে রোমান্টিক পরিবেশ; বলে বোঝাতে পারবো না। আর রাতের বৃষ্টি আমার কতো প্রিয়; সে তুমি জানো না!
আকাশঃ আমি চাই সেই বৃষ্টি ক্রমশ আমার বাড়ীর দিকে এগিয়ে আসুক, আমিও ভিজতে চাই আষাঢ়ের জলে...
মেঘলাঃ আমি পুরোটা ভিজতে পারছি না... শুধু হাতটাই ভেজাচ্ছি... কি শীতল এই জল, যেন কোন সুদুর ঝর্ণা থেকে নেমে আসছে ঢল...
আকাশঃ এই আমার জানলায় এখন ঠাণ্ডা বাতাস বইছে... তোমার বৃষ্টি মনে হয়; আমার বাড়ীর ঠিকানা জানে...
মেঘলাঃ এই তোমার গল্পটা বল
আকাশঃ বলছি, শোন। তোমাদের বাড়ীর রাস্তা দিয়ে গিয়ে মেইন রাস্তার ঐপারে, একটা বিদ্যুৎ অফিস আছে না। সেই আফিসের পরেই কমলদের বাড়ী। আমি ওদের বাড়ী প্রায়ই যেতাম, কেন জানো? সেখানে একটা হিন্দু মেয়ে থাকতো (ওই মেয়েটার বাড়ীটা কমলদের বাড়ীর পাশেই)। সেই মেয়েকে দেখেই সেই বয়সে আমার হৃদয়টা প্রথম ক্রাশ করে!?
আকাশঃ মেয়েটার চোখ ছিল নায়িকা সুনেত্রা’র মতো। এখন বল সুনেত্রাকে চিনতে পারছ না?
আকাশঃ এতো সুন্দর চোখের মেয়ে; আমার জীবনে আর দ্বিতীয়টি দেখিনি!
মেঘলাঃ আমার মনে আছে, নায়িকা সুনেত্রা কে। তুমি কাহিনী বল।
মেঘলাঃ আমাদের পাড়ায় সুনেত্রা’র চোখের মতো সুন্দর চোখের মেয়ে! এই, আমি কিন্তু চিনতে পারছি না?
আকাশঃ আমি কিভাবে বর্ণনা করলে তুমি চিনবে?
আকাশঃ এই তুমিতো কমলকেই চিনতে পাড়ছ না, আর ঐ মেয়েটাকে কিভাবে চিনবে?
মেঘলাঃ জানো, আজ রাতের এই রোমান্টিক আবেশটা এখন তোমার জন্যই পানসে লাগছে...
আকাশঃ আমি আবার কি করলাম?
মেঘলাঃ উফ, কি করে যে তুমি এতো সুন্দর চোখের মেয়ে আমার পাড়ায় পাও? নাম বল?
মেঘলাঃ আমার চায়নিজ মেয়েদের মতো চোখ বলেই আমাকে পাত্তা দেও নি। তাইনা? এইবার বুঝলাম?
আকাশঃ আরে ভাই, নাম তো শুনেছিলাম সেদিন (এখন মনে নেই, কমলকে পেলে তার খোঁজ নিতাম!?)
আকাশঃ সেই মেয়েটা, যে কিভাবে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল...!
আকাশঃ আমি এখনও বুঝি না? সেই ১৯৯৩ সালের এক বিকেল বেলা তোমাদের বাড়ীর সামনে যে মাঠ আছে তার পাশ দিয়ে কাঁচা রাস্তা পেড়িয়ে আমরা চলে গেলাম বড় রাস্তায়। তারপর বড় রাস্তার ওপারে যাচ্ছিলাম কমলদের বাড়ী। পথে কে যেন কমলকে ডাক দিলো। আমি আর কমল গেলাম রাস্তার পাশের সেই বাড়ীতে। দেখি মেয়েটা বিকেল বেলা কি একটা জিনিস দিয়ে ছোট একটা বাচ্চায় সাথে দুষ্টামি করছে। আমি তাকালাম মেয়েটার দিকে...। সে অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নিলো। তারপর কমল যখন সেই মাঝ বয়সী লোকারটার সাথে কি একটা জরুরী কথায় আটকে গেল; তখন আলসেমি মাখা চোখে সেই মেয়েটি আমাকে একবার দেখে নিলো। তারপর, যখন আমি তার দিকে ফিরে ফিরে তাকাচ্ছিলাম...। সে তার সেই বিখ্যাত চাহুনিটা তখন আমার দিকে দিল...!? জানো, আমার মনে হয়েছিল আমি আর বাসার ফেরত আসতে পারবোনা। মনে হয়েছিল, সেই মেয়েটি আমার বহুদিনের পরিচিত। আমরা একে অন্যকে বহুদিন যাবত চিনি। কি যে একটা সম্মোহন ছিল সেই তাকানোতে, আমি একদম ডুবে গেলাম...।
তারপর, প্রতিদিন বিকেল বেলা আমার মনের ভেতর সেই মেয়েটার চোখ মোচড় দিয়ে উঠত। আমার বার বার মনে হতো; কোথায়ও একটা কিছু হারিয়ে যাচ্ছে। আমি সেই কোন একটা কিছুকে কিছুতেই ধরতে পারছি না। কি যে একটা চাহুনি!
মানুষ যে এভাবে তাকাতে পারে...! একবার তাকিয়ে একটা মানুষকে একদম শুন্য করে দিতে পারে, আমি তা আগে কোনদিন দেখিনি।
আজ পর্যন্ত আমি অনেক চোখে চোখ রেখেছি, কিন্তু কেউ আমাকে এভাবে নিঃস্ব করে দেয়নি। আমি আমার মধ্যে এভাবে ডুবে যাই নি।
মেঘলাঃ উফ, তুমিতো আমার মাথা খারাপ করে দিবে? মেয়েটার নাম মনে রাখলে না? আর কমল কে বলেছিলে সেই মেয়ের কথা?
আকাশঃ শোন, তখন আমি ৮ম শ্রেণীতে পড়তাম। কমল ছিল একটা হিন্দু ছেলে, পূজা অর্চনা করতো। আমি জানতাম হিন্দু মুসলমানে কখনও ভালবাসা হয় না। এজন্য কমলকে আমি বললাম, ওদের বাড়ী আমার খুব ভাল লাগে, ওদের বাড়ীর পাশের পুকুর ঘাট আর তার পাশের বাতাবী বনের ধারে যে আঙিনা সেটা আমার খুব প্রিয়। আমি বললাম, স্কুল ছুটি হলে বিকেলে আমি সেই আঙিনায় যেতে চাই। কমল ছিল সহজ সরল এবং ভাল একটা ছেলে। সে আমার বন্ধুতা পাওয়ার লোভে প্রতিদিন আমাকে স্কুলের পরে ওদের বাড়ী নিয়ে যেতো, আমি শুধু ঐ মেয়েদের বাড়ীর দিকে চেয়ে থাকতাম; যদি দেখতে পাই সেই মেয়েটিকে।
মেঘলাঃ দেখতে পেয়েছিলে আবার?
আকাশঃ হ্যা, দেখতে পেয়েছিলাম। কিন্তু সে কিছুই বলতো না। শুধু সুযোগ পেলে আমার দিকে গভীর একটা দৃষ্টি দিয়ে তাকাতো। আমি ভেবে পেতাম না, সে আমাকে কিছু বলছে না; কিন্তু আমি তার সবই বুঝতে পারছি। কি অদ্ভুত তাইনা?
মেঘলাঃ সে সত্যিই অদ্ভুত! আরও বেশি অদ্ভুত আমি মেয়েটাকে চিনি না; আর তুমি মেয়েটার কোন খোঁজ রাখো নাই।
আকাশঃ এই অনেক রাত্রি হয়ে গেলো, ঘুমাতে চাই
মেঘলাঃ আমার ঘুম কেড়ে দিয়ে এখন বলছ, আমি ঘুমাতে যাই?
মেঘলাঃ আমি তোমাকে ছাড়বো না। দেখি তুমি কি করে ঘুমাও?
আকাশঃ হা হা হা
মেঘলাঃ আচ্ছা তুমি আমার একটা উপকার করে দিবে?
আকাশঃ কি করতে হবে বল?
মেঘলাঃ দেখো, আমার ইমেইল আর ফেইসবুক আইডি করে দিয়েছিলো আমার এক বন্ধু। তার সাথে আমার তেমন যোগাযোগ নেই। কিন্তু সে চাইলেই তোমার আমার কথাগুলো পড়তে পাড়বে, তাই আমি চাই তুমি আমার পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে দাও। আমি মোবাইলে অপশন খুঁজে পাচ্ছি না।
আকাশঃ শোন, তুমি বলেছ, তোমাকে ফোন আর SMS না করতে। আমি কিভাবে কাজটা করবো?
মেঘলাঃ আমি তোমাকে আমার ফোন নাম্বার, ফেইসবুক আইডি আর পাসওয়ার্ড আগামীকাল সন্ধ্যায় দিয়ে দিবো। তুমি SMS করে নতুন পাসওয়ার্ড জানালেই হবে।
আকাশঃ শোন, আমার কেন জানি মনে হচ্ছে; তুমি আমার কাছ থেকে ছুটি চাচ্ছ।
মেঘলাঃ সেটা কেন হবে?
আকাশঃ হ্যা, সেটাই হবে। ধরো তোমার ফেইসবুক আইডি আর পাসওয়ার্ড দিয়ে আমি নতুন পাসওয়ার্ড তোমাকে পাঠালাম আর দেখলাম তোমার ফোন কাজ করছে না। তাহলে ঘটনা কিন্তু তাই দাড়ায়।
মেঘলাঃ তুমি ঘটনা ঘটার আগেই এতোটা নিশ্চিত হলে কি করে?
আকাশঃ আমিতো নিশ্চিত বলিনি। আমি বলেছি, “কেন জানি মনে হচ্ছে”।
আকাশঃ আর আমার “কেন জানি মনে হওয়াটা” অন্যায় নয়। একটা সম্ভাবনা মাত্র।
মেঘলাঃ আচ্ছা ঠিক আছে, যদি আমার সেই ফ্রেন্ড আমার সব কিছু চেঞ্জ করে দেয় আর আমাদের মধ্যে যোগাযোগ না থাকে তখন তুমি কাকে দোষ দিবে, শুনি?
আকাশঃ শোন, এখন পর্যন্ত আমার কাছে তোমার ফেইসবুক আইডি ছাড়া আর কিছুই নেই। আর আমি তোমার বাড়ীতে যেতে পারবো না। তাই সম্ভাবনা কিন্তু খারাপের দিকেই যায়।
মেঘলাঃ এই তুমি ব্যাপারটাকে স্বাভাবিকভাবে চিন্তা করো, এতো হতাশার দিকে যেয়ো না।
আকাশঃ সুন্দরী, আমি জানি। কিন্তু আমি ভাবছি দুইটা ফেইসবুক আইডি দিয়ে আমি তখন কি করবো?
মেঘলাঃ আচ্ছা যাও, তোমার কিছুই করতে হবেনা। শুভ রাত্রি।
আকাশঃ শুভ রাত্রি
মেঘলাঃ তোমার ফেইসবুক আইডি আর তাতে তোমার ফোন, ইমেল, ঠিকানা সবই আছে। যদি সেরকম কিছু হয় তাহলে আমি তোমাকে খুঁজে নিবো।
আকাশঃ “আমি তোমাকে খুঁজে নিতে পারবো না!” এটাই এখন সব চাইতে বড় সত্যি। আর আমার যন্ত্রণার কারন কিন্তু সেটাই, সুন্দরী।
মেঘলাঃ ঠিক আছে, তোমাকে কিছুই করতে হবে না। তুমি তো মনে হয় আমাকে কাজটা করে দিবে না, তাই এতো রাতে এতোগুলো কথা খরচ করেছ।
আকাশঃ অন্যভাবে নিও না। আমি তোমাকে ভালবাসি। আমার কাছে এখন সেটাই একমাত্র সত্যি। আর এই ভালবাসাটা নির্ভর করছে তোমার ইচ্ছার উপর। হা হা হা
মেঘলাঃ ঠিক আছে, আমি কথা বাড়াবো না। তোমার কিছুই করতে হবে না। শুভ রাত্রি
মেঘলাঃ তোমাকে তো ইচ্ছে হলেই পাই না। তাই মাঝে মাঝে তোমাকে একটা গান শোনাতে ইচ্ছে করে। শুনবে একটা?
আকাশঃ দাও, শুভ রাত্রি
মেঘলাঃ আচ্ছা, শুভ রাত্রি
মেঘলাঃ
----
“পিয়াল শাখার ফাঁকে ওঠে চাঁদ” – (অখিলবন্ধু ঘোষ)
পিয়াল শাখার ফাঁকে ওঠে একফালি চাঁদ বাঁকা ঐ
তুমি আমি দুজনাতে বাসর জেগে রই
তোমার আছে সুর আর আমার আছে ভাষা
মনের কোনে আছে কিছু পাওয়ার আশা
এবার কিছু শুনি আর আমিও কিছু কই
তুমি আমি দুজনাতে বাসর জেগে রই
বাতাস যে গান গায় আর ঐ তো ফোটে ফুল
আর এই যে প্রহর জাগায় তোমার দুল
মোর আঁখির পানে চেয়ে তোমার আঁখি হাসে
তবে হঠাৎ কেন এই রাত শেষ হয়ে আসে
ফুরিয়ে যাব ভেবেই এতই ব্যকুল হই”
-----
আপনারা গল্পের একটা পর্যায়ে এসে গেছেন, যেখানে মেঘলা আর আকাশকে একটা পরীক্ষা দিতে হবে। তারা কি ফোনে কথা বলবে? তারা কি নিজেদের গুটিয়ে নেবে? নাকি দুজনই তাদের হ্রদয় আর হাতকে প্রসারিত করে এগিয়ে যাবে? আমি লেখাটার এখানে এসেই গল্পটার সামনে কি হবে, ভাবছি...। ইচ্ছা হলে আপনারাও ভাবতে পারেন।

আপনারা সুযোগ দিলে, আমি একটু সময় নিতে চাই। এই সময়ে, মেঘলা আর আকাশের পরিবার আর তাদের কাজের পরিবেশ বা অফিসে যেতে চাই। আমি চাই মেঘলা আর আকাশের ব্যাক্তিগত পরিচয় নিয়ে এগিয়ে যেতে; কেননা আপনারা এখনও জানেন না মেঘলা আর আকাশ কেউ বিবাহিত কিনা? বিবাহিত হলে, প্রতিরাতে এতোটা সময় তারা একজন অন্যজনের জন্য কিভাবে ব্যায় করে?

আপনারা আমার মতোই ভাবুন। আমি একটু বিরতি নেই। মনে রাখবেন, আমাদের সবার জীবনেই গল্প আছে, আমরা শুধু গুছিয়ে বলতে পারছি না; একটা গল্প ঠিক কখন শুরু করে আবার কখন শেষ করতে হয়।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৮

প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৬

খোরশেদ খোকন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, ভাল থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.