নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার জন্ম টাঙ্গাইলের হামজানি গ্রামে। শৈশব, কৈশোরে দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে ছিলাম; বাবার সরকারী চাকুরীর জন্যে। কলেজ ছিল টাঙ্গাইল জেলায়। তারপর পড়াশুনা ঢাবি\'র ফিন্যান্স বিভাগ। গত নয় বছর যাবত প্রাইভেট ব্যাংকে কর্মজীবন চলছে। www.facebook.com/khokonz

খোরশেদ খোকন

এই শহরে কিছু কিছু শব্দ কলম নয় হ্রদয় থেকে নেমে আসে, একা। এই শহরে বিনয় ঝুলে থাকে মরা গাছের ডালের মতো, একা।

খোরশেদ খোকন › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ শেষ দেখা

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৭

আবীর ঘুম ভেঙে দেখে এখনও সকাল হয়নি; অন্ধকার মিলিয়ে যাচ্ছে ক্রমশ আর একটি হালকা আলোর রেখা এগিয়ে আসছে বারান্দায় দিকে। আকাশে কিছুটা কালো মেঘ জমে আছে তাই সূর্য ঠিক পূর্ব দিক থেকে উঠে আসতে বাঁধা পাচ্ছে। কেমন যেন গা ছম ছম করা একটা পরিবেশ।

দৌলতপুর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক হিসেবে আবীরের আজ শেষ দিন। সাড়ে তিনবছর চাকরী শেষে আজ বিকেলেই সে চলে যাবে জামালপুর। সরকারী চিকিৎসকদের চাকরীর এই এক সমস্যা; কোন একটা থানায় একটু গুছিয়ে উঠলেই বদলির চিঠি এসে দরজায় কড়া নাড়ে। দৌলতপুর থানা শহরটা একটা গ্রামের মতোই। মানিকগঞ্জ জেলা সদরের সাথে এই থানার কোন বাস যোগাযোগ নেই। মানিকগঞ্জ থেকে বাসে ঘিওর; ঘিওর থেকে রিক্সা/ভ্যানে শ্রীধামনগর এসে ছোট্ট একটা নদী পার হতে হয়। কাঠের নৌকায় নদীর ওপারে গিয়ে পায়ে হেঁটে অথবা ঘোড়া গাড়ীতে ইট বিছানো ভাঙা-চোরা একটা পথ তিনঘণ্টা ধরে এগিয়ে গেলেই পাওয়া যায় দৌলতপুর।

শীতের দিনের সকালে হাতে চায়ের কাপ নিয়ে আবীর একা একা বারান্দায় হাঁটছে একদিকে কাপ থেকে ধোঁয়া উড়ছে অন্যদিকে সে ভাবছে, আজ কার কার সাথে দেখা করবে আর বিদায় নিবে?

নিত্যদিনের মতোই তার অফিস শুরু হল; কেবল পার্থক্য বলতে এইযে, সবাই হাত বাড়িয়ে বিদায় নিয়ে নিচ্ছে আর গত সাড়ে তিনবছরে যদি কোন ভুল-ত্রুটি করে থাকে তার জন্য ক্ষমা চাইছে। মানুষ বিদায় নামক কষ্টের বিষয়টাকে এতো সহজ করে ফেলেছে, ভেবে অবাক হচ্ছে আবীর। বিদায় মানে আর দেখা না হওয়ার একটা সম্ভাবনা; এই বিষয়টা কেউই ভেবে দেখছে না...!

দৌলতপুর থেকে পায়ে হাটা পথেই যাওয়া যায় পদ্মা নদীর পাড়ে। শহরের আশেপাশের গ্রামের সীমানা পেড়িয়ে গেলেই নিচু আবাদি জমি আর সেই জমি বর্ষাকালে বিল-ঝিল হয়ে একাকায় হয়ে যায়। সেই বিল-ঝিলে নানা জাতের পাখীর কল কাকলিতে সারাটা বিকেল এক উৎসবের আমেজ নিয়ে পরে থাকে এই থানার লোকজন। এই শহরকে আবীরের মাঝে মধ্যে মনে হয় স্বপ্নের দেশ।

আবীরের ভাড়া করা ট্রাকটি বাসার সব আসবাবপত্র নিয়ে দৌলতপুর থেকে নাগরপুর হয়ে জামালপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে দুপুরে। আবীর অফিস আর প্রতিবেশীদের সাথে শেষ দেখা করে; বিকেল পাঁচটায় জামাপুরের উদ্দেশ্যে একটা প্রাইভেট গাড়ীতে রওনা হলো। কাঁচা মাটির পথ দিয়ে তিন কিলোমিটারের মতো এগিয়ে যাবার পর একটা ছোট্ট সেতু পার হতে গিয়ে গাড়ীটার চাকা ফেসে গেলো। ফেসে যাওয়া পেছনের চাকাটি উঠাতে গিয়ে জানা গেলো গাড়ীর ইঞ্জিনও বিগড়ে গেছে। কোন ভাবেই আর এগিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না...।

সময়টা ১৯৯২ সালের নভেম্বর মাস; গ্রামের গাছ-পালার ছায়ায় এই সন্ধায়ই শীত নেমে আসছে। রাস্তার পাশে এক ভদ্রলোককে পাওয়া গেলো, সে একদিন আবীরের কাছে চিকিৎসা নিয়েছিলো। সে লোকটি বললো, “ডাক্তার সাহেব আজ রাতে আমার বাড়ীতে চারটা ডালভাত খেয়ে যান, আমি গাড়ী ঠিক করার ব্যাবস্থা করছি”।

উপায় না দেখে আবীরকে রাজি হতেই হলো। রাতের খাবার দাবার ডালভাত বলা হলেও, মাছ মাংস পোলাও কিছুই বাদ গেলো না। যাই হোক, রাতের খাবার শেষে গাড়িও ঠিক হলো আর আবীর সেই বাড়ী থেকে বিদায় নিয়ে জামালপুরের দিকে রওনা হয়ে গেলো।

আবীরের গাড়ী নাগরপুর থানা পেড়িয়ে ধলেশ্বরী নদীর দক্ষিণ পাড়ে এলাসিন ঘাটে পৌঁছালো। পৌঁছে দেখে যানবাহন পারাপারের একটা ফেরী ওপারে চলে যাচ্ছে। সে রাতে, সেই ছেড়ে যাওয়া ফেরীটাই ছিল শেষ ফেরী। নদীর দু’পাড়ের দূরত্ব এমন যে, ইচ্ছা করলে খুব জোরে ডাক দেয়া যায় কিন্তু কেউ ওপার থেকে স্পষ্ট শুনতে পাবে কিনা নিশ্চিত করে বলা যায় না। যাই হোক, এপারে সেই রাতে পাঁচটা গাড়ী দাড়িয়ে থাকল ফেরীর জন্য যার মধ্যে চারটা ট্রাক আর একটা আবীরের প্রাইভেট কার।

আবীর তাকিয়ে দেখে আকাশে পরিপূর্ণ একখানি চাঁদ। উথাল-পাথাল জ্যোস্নায় ভেসে যাচ্ছে চরাচর। আশেপাশে কোন গ্রাম নেই, শুধুই নদীর বালু আর ধুধু প্রান্তর...। নদীর স্রোতের মতোই একটা শীতল হাওয়ার স্রোত ক্রমশ এগিয়ে আসছে, আর ক্রমশ জেঁকে বসছে চারপাশে...।
ফেরীঘাট বলতে তেমন কিছু নেই, পাঁচ-সাতটা দোকান যা ছিল তা রাত আটটার আগেই সম্ভবত বন্ধ হয়ে গেছে। আবীর ঘাটে পৌঁছতে-পৌঁছতে রাত দশটা বেজে গিয়েছিল। সে গাড়ী থেকে নেমে ঘাটের কাছাকাছি একটা বন্ধ টং দোকানের সামনে রাখা বাশের বেঞ্চিতে বসে পড়লো।
আশেপাশে কেউ নেই, সামনে কুয়াশায় ঘেরা নদীটা আবছা হয়ে শুয়ে আছে একা। একজোড়া শূন্য চোখ নিয়ে এই জ্যোস্নায় কুয়াশার চাদর জড়িয়ে বসে থাকা ছাড়া আর কোন কাজ খুঁজে পেলো না সে।
রাতটা আরও ঘন শীতল হয়ে গেলো, শীতের তীব্রতা বাড়ছে দেখে ট্রাক ড্রাইভার আর হেল্পারেরা গাড়ীর সব আলো নিভিয়ে ঘুমিয়ে গেলো গাড়ীর সীটে। এদিকে আবীরের গাড়ীর ড্রাইভারও সামনের সীটটার একটু পেছনে নামিয়ে ঘুম দেবার ব্যবস্থা করে নিলো। আবীর কিছুক্ষণ গাড়ী আর কিছুক্ষণ সেই টং দোকানের বেঞ্চিতে বসে থাকতে লাগলো।
না, আবীরের চোখে ঘুম নেই।
একটু তন্দ্রার মতো হয়েছিল, এমন ঘোর লাগা আবছা আঁধারে সে দেখলো একটি পচিশ বছর বয়সী মেয়ে একবার হেঁটে সামনে নদীর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আবার ঘাটের দিকে ফিরে আসছে। শীতের রাতে কারডিগান গাঁয়ে মেয়েটি কাছে এলে সে দেখল, মেয়েটি বার বার কেঁপে উঠছে আর জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে। সে ভেবে পাচ্ছে না; কি এমন ব্যস্ততা মেয়েটির?
আবীর এগিয়ে গেলো প্রাইভেট গাড়ীর দিকে; ড্রাইভারের কাছে গিয়ে দেখলো ড্রাইভার ঘুমিয়ে কাঁদা হয়ে গেছে। তারপর গাঁয়ের চাদরটা আরও একটু ঘুছিয়ে নিয়ে হাটতে হাটতে ফিরে এলো দোকানের বেঞ্চিতে। বেঞ্চিতে বসে একা একা একমনে একটার পর একটা সিগারেট ধরিয়ে ধোঁয়া উড়িয়ে সে ভাবছে, এতক্ষণে নিশ্চয়ই তার বাসার আসবাবপত্র জামালপুরে পৌঁছে গেছে।
মেয়েটি আবীরের কাছে এসে বলল, “আপনি কি বলতে পারবেন, আজ রাতে ফেরী এপারে আসবে কিনা?”
কণ্ঠ শুনেই আবীর চিনতে পারলো, মেয়েটির হচ্ছে তার সহপাঠী তমা।
সে অবাক তাকিয়ে বলল, তমা তুমি এই এলাসিন ঘাটে?
তমাঃ এই, তুমি আবীর; তাই না?
আবীরঃ হ্যা, কিন্তু তুমি তো বললে না, তুমি এখানে কেন?
তমাঃ আর বলো না, আমি গিয়েছিলাম নাগরপুর।
আবীরঃ নাগরপুর?
তমাঃ হ্যা, নাগরপুর। কেন তোমার মনে নেই, তুহিনের গ্রামের বাড়ী নাগরপুর!
আবীরঃ হ্যা, এবার মনে পড়েছে। তোমার বিয়ের দিন আমি জেনেছিলাম, তুমি বিয়ের পর কিছুদিন টাঙ্গাইলের নাগরপুর থাকবে, শশুরবাড়ী মানে তুহিন ভাইদের বাড়ী। তোমার শশুরবাড়ীতে আমাদের অনেক বন্ধু-বান্ধবও গিয়েছিল সে সময়।
তমাঃ হ্যা, আমার মনে আছে তুমি নাগরপুর ভ্রমণে ছিলেনা। যাই হোক, সে ভ্রমণের এক সপ্তাহ পরেই আমরা সুইডেন চলে গিয়েছিলাম।
আবীরঃ হ্যা, আমি জেনেছিলাম তুমি আর তুহিন ভাই সুইডেন চলে গেছো।
তমাঃ হ্যা, সেখানে গিয়ে নতুন করে সবকিছু শুরু করা; মানে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া আর তুহিনের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষকের চাকরী সব মিলিয়ে পাঁচবছর পর বাংলাদেশে বেড়াতে এসেছিলাম।
আবীরঃ হ্যা, আমাকে মাসুম বলেছিল, তুমি দেশে এসেছো। ততদিনে তোমার বাসা আর আত্মীয়দের সাথে আমার দূরত্ব অনেক বেড়ে গেছে। এদিকে ডাক্তারি করতে গিয়ে একটার পর একটা থানায় বদলীর হয়ে ঢাকার সাথে যোগাযোগহীন হয়ে গেছি।
তমাঃ হ্যা, সেবার ঢাকায় এসে একমাস ছিলাম কিন্তু তোমার দেখা পাইনি।
আবীরঃ আজ তুমি এতো রাতে এখানে কি করে এলে?

প্রশ্নটা করে আবীর ভাবছে; তার কি তেমন কোন কথা জমে আছে গত দশবছর যাবত? তার তো সবই আছে, তাহলে কি নেই? মানুষ কি জানে, মানুষের কি থাকলে কি থাকেনা? আবীর ভাবতে ভাবতে এক সময় সিদ্ধান্ত নিল, না সে তমাকে জানাবে না, তমার বিয়েটা তার জন্য কতটা দুঃস্বপ্ন ছিল।

আবার ভাবলো, কি আসে যার যদি তমাকে আজ বন্ধু মনে করে নিজের লুকানো বেদনাটা খুলে বলে? কতো মানুষই তো এখন তার বন্ধু, কত জনের সাথেই তো সে তমার সাথে কাটানো দিনগুলির স্মৃতি নিয়ে কথা বলেছে। তবুও আবেগ সামলাতে পারাটা একটা খেলার মতো, একবার একজন জয়ী হলে অন্যজনকে পরাজিত হতে হয়, দু’জনে জয়ী হলেই সর্বনাশ। সেদিন তমা আবেগকে সামলে নিয়েছিল, আর আবীর পরাজিত হয়েছিল। আজ কার অবস্থান কি?

আবীর ভাবল, ধুত... কি ভাবছি আবোল তাবোল। কেন এতো চিন্তা করছি। তমা সুইডেন প্রবাসী, আমি গ্রাম বাংলায় চিকিৎসা নিয়ে থাকি, আমাদের সুযোগ কোথায় দেখা হবার?

মাঝরাত্রির নির্জনতায় নদীর তীর ঘেঁষে দুধসাদা চাঁদের আলোর বিছানা; দশ বছর পর দেখা হয়ে যাওয়া দুটি মানুষ পাশাপাশি বসে আছে কেউ কাউকে কিছুই বলছে না; শুধু ভেবেই যাচ্ছে। পায়ের নীচে শুকনো বালিতে শিশির পড়ছে। চারপাশে হিমশীতল বাতাসে ঝাপসা নদীর জল, জলের ঢেউ এলোমেলো। এই থই থই জ্যোস্নায় হঠাৎ শব্দ শোনা গেলো, মানে তমা কথা শুরু করলো...।
তমাঃ শোন, আমি আজ রাত ১০.০০ টার দিকে তুহিনের সাথে রাগ করে নিজেই গাড়ী নিয়ে বাড়ী থেকে বের হয়েছি ঢাকা যাবার জন্য। এলাসিন ঘাটে এসে দেখি কোন ফেরী নেই। এমনকি কথা বলার মতো কোন জনমানবও অবশিষ্ট নেই। একবার নদীর দিকে একবার ঘাটের দিকে অনেকবার গেলাম কিন্তু কাউকেই পেলাম না। অবশেষে তোমাকে পেয়েছি। তুমি এভাবে শীতের মধ্যে একা একা বসে আছো কেন? আর এতো সিগারেট খাওয়া শিখেছ কবে? তোমার বউ কিছু বলে না?

আবীরঃ প্রথম কথা হলো, তোমার রাগ করে এতো রাতে বাড়ী থেকে বেড়িয়ে আসা উচিৎ হয়নি। দ্বিতীয় কথা হলো, আমি দৌলতপুর চাকরী করি, আজ বদলীর কারনে জামালপুর যাচ্ছি। পথে গাড়ী খারাপ হয়েছিল তাই দেরিতে এলাসিন ঘাটে এসেছি আর ফেরী মিস করেছি। তৃতীয় কথা হলো, আমি একা থাকি আর একাকী থাকার বদঅভ্যাস হলো অহেতুক সিগারেট খাওয়া; হা হা হা আর সর্বশেষ মানে চতুর্থ কথা হলো আমি এখনও বিয়ে করিনি, তাই আমাকে সিগারেট নিয়ে কেউ কিছু বলেনা।

তমাঃ কি অসম্ভব একটা সম্ভাবনা, আমাদের দেখা হবার। তাইনা?

আবীরঃ এই যে এতোদিন বিদেশে ছিলে তখন কখনো কি আমার কথা মনে পড়েছে? যেমন ধরো কখনো কোনো সন্ধ্যায় কোনো কাফেতে যখন কফি খাচ্ছিলে?

তমাঃ আমি যেখানেই থাকি, যতো দূরেই থাকি - তুমি আমার মনের মধ্যে ছিলে। এটা সত্যি। যদিও তোমাকে আমার অনুভূতি দেখানোর সম্ভাবনা ছিল খুবই সীমিত।

আবীরঃ এসব কথা কেন বিশ্বাস করবো? আমিতো জানি; আমি তোমার প্রেমে পড়েছিলাম। তুমিতো কোনোদিনই আমার প্রেমে পড়নি?
তমাঃ তুমি আমার প্রেমিক নও; এটা সত্যি। তুমি আমার বিশেষ একটি বন্ধু এটাও সত্যি।
আবীরঃ তাহলে?
তমাঃ বলেছি তো। তোমার দৃষ্টিতে; আমি তোমার আজন্ম প্রেমিকা। আমার দৃষ্টিতে; তুমি আমার একটা বিশেষ অনুভূতি...। একটা ব্যথা...। আমি চাই বা না চাই সেই রকম একটা ব্যথা...। যে ব্যথার ব্যাখ্যা আমি জানিনা...। আমি চাই বা না চাই; এই ব্যথাটা সত্যি...। এর বেশি আমি কিছু জানিনা। এর বেশী হয়তো বোঝানো যায় না?

একটি আলোর রেখা এগিয়ে এলো মৃদু পায়ে আবীরের শরীরের দিকে; ড্রাইভার আবীরের গাঁয়ে আলতো করে হাত রেখে একটু ঝাকুনি দিয়ে বলল, “স্যার সকাল হয়ে গেছে। ঐ যে তাকিয়ে দেখুন আমাদের পারাপারের জন্য একটি ফেরী এগিয়ে আসছে। আমি এক বোতল পানি এনেছি আপনি মুখ ধুয়ে নিন। এই ফেরীটা ধরতে পারলে, আমরা দশটা বাজার আগেই জামালপুর পৌঁছে যাবো”।

আবীর ঘুম ভেঙে নদীর দিকে তাকিয়ে দেখে চারটা ট্রাক আর একটি পাইভেট গাড়ী। তাহলে তমা কি গতরাতে এলাসিন ঘাটে আসেনি?
---------------
© খোরশেদ খোকন । ১৫.০৯.২০১৫

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ভালই| প্রকৃতির বর্ণনাগুলো সুন্দর ছিল| শীত প্রিয় ঋতু বলে কিনা জানিনা, শীতের পটভূমিতে রচিত গল্প পড়লে অন্য ধরনের একটা রোমান্স কাজ করে

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০০

খোরশেদ খোকন বলেছেন: আপনি পড়েছেন? যাক নিজেকে সার্থক মনে হচ্ছে। আসলে আমার লেখা মানেই কবিতা; ইদানীং দেখলাম মানুষ কবিতা নয় ছোট গল্প বেশি পছন্দ করে, তাই একটু চেষ্টা করলাম। একটু দোয়া করবেন। আর ভাল থাকবেন সব সময়। শুভেচ্ছা।

২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আপনার কবিতা আমার ভাল লাগে| আর নিয়মিত পাঠকও বলতে পারেন

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৩

খোরশেদ খোকন বলেছেন: তাই নাকি! আমি জানতাম না।
আমার ভীষণ লাগছে। দু’লাইন আমার জন্য মন্তব্য করবেন প্লীজ; আমি ভীষণ উপকৃত হবো কেননা কবিতা/গল্প লেখা কেমন হচ্ছে তা জানা প্রয়োজন। ভাল থাকবেন সব সময়। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.