নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার জন্ম টাঙ্গাইলের হামজানি গ্রামে। শৈশব, কৈশোরে দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে ছিলাম; বাবার সরকারী চাকুরীর জন্যে। কলেজ ছিল টাঙ্গাইল জেলায়। তারপর পড়াশুনা ঢাবি\'র ফিন্যান্স বিভাগ। গত নয় বছর যাবত প্রাইভেট ব্যাংকে কর্মজীবন চলছে। www.facebook.com/khokonz

খোরশেদ খোকন

এই শহরে কিছু কিছু শব্দ কলম নয় হ্রদয় থেকে নেমে আসে, একা। এই শহরে বিনয় ঝুলে থাকে মরা গাছের ডালের মতো, একা।

খোরশেদ খোকন › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্মৃতির জোনাকিরা... (বৃদ্ধ ও বটগাছের কথা)

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৬

সেই সময় বাংলা সিনেমার খুব সুদিন ছিল। আমরা তিন বন্ধু মিলে নরসিংদী জেলার মনোহরদী থানার হাতিরদিয়া নামের একটা ছোট গ্রাম্য মফসল বাজারের একটা সিনেমা হলে বাংলা ছবি দেখছিলাম। ছবিটার নাম আর কাহিনী কিছুই মনে নেই। শুধু মনে আছে, জসিম নামের এক নায়ক সে ছবিতে অভিনয় করেছিল।

নায়ক জসিমকে একদিন ডাকাত দলের লোকেরা উঠিয়ে নিয়ে যায়। কিছু ঘোড়ার দৌড়ানো আর দস্যুদের গোলাগুলির পর আমরা দেখি একটা ধু ধু মরুভূমির মতো বিশাল একটা বিরান মাঠ। মাঠের এক প্রান্তের বড় একটা গাছের মগডালে নায়ককে কিছু বকা ঝকা দিয়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেয়া হয়।

সিনেমার ২০ মিনিট না যেতেই আমরা এমন অদ্ভুতভাবে নায়ককে মারা যেতে দেখবো ভাবিনি; তাই একটু অপ্রস্তুত লাগছিল। কারন আমরা জানতাম, সিনেমার নায়কেরা কখনো মরে না কিংবা পরাজিত হয় না। এক গুলিতে সিনেমার যে কোন লোক মারা গেলেও দশ/বিশটা গুলি নায়ক ঠিকই হজম করতে পারে।

যাই হোক, আমরা দেখলাম, সিনেমায় আমাদের নায়ক জসিমকে ফাঁসি দেয়া হলো সন্ধ্যার একটু আগে। তারপর রাতে ডাকাত দলের সবাই একে একে চলে গেলে দূরে কোথায়ও। রাতটা শেষ হয়ে সূর্য উঠলো...। আর আমাদের ঝুলতে থাকা নায়ক একটা লম্বা ঘুম শেষে বামহাতে ফাঁসির দড়ি ধরে, ডানহাত দিয়ে দড়ির গিট্টূ খুলে ফেললো। আর গিট্টূ খোলার পরেই লাফ দিয়ে সে মাটিতে নেমে আসলো। মানে সিনেমাটা নতুন করে শুরু হলো...।

নায়ক জসিম ফাঁসির দড়িটার দাগ লেগে থাকা গলার স্থানটাতে হাত বুলিয়ে বুলিয়ে বাংলার বিখ্যাত বকা “শালা” সহকারে বলল, যে ডাকাতরা একটা ফাঁসির দড়ি ঠিক মতো গিট্টূ দিতে জানেনা, তাদের মৃত্যু নিশ্চিত আমার হাতেই লেখা আছে...।

বাংলা সিনেমা আজকের লেখার বিষয় না, তাই একে বাদ দিয়ে দেয়া যেতো; তবুও স্মৃতিটা রেখে দিলাম...।

যাই হোক, সে সময় ছবিতে কি দেখানো হচ্ছে আর আমরা কি ভাবছি, সেটা বড় ছিল না। বড় ছিল নিজের নায়কের প্রতি অগাধ ভালবাসা আর অটল বিশ্বাস। বাংলা ছবিতে যতই প্রেম-ভালবাসা দেখিনা কেন, বাস্তবে কাউকেই প্রেম-ভালবাসাকে ভাল চোখে দেখতে দেখিনি। তবে মনে মনে সবাইকেই দেখতাম হৃদয়ে একটা শূন্যতা নিয়ে বেঁচে থাকছে মানে ঘর সংসার করছে। তখন রেডিও মানেই ছিল রাতে মান্না দে নামক বিখ্যাত গায়কের “দুঃখ/কষ্ট” বিলাসী রাত জাগা স্যাড (ছ্যাকা খাওয়া) গান। শূন্যতা ছিল বাস্তব জীবনে বাংলা সিনেমার মতো একটা প্রেম-ভালবাসা না করতে পারার দুঃখবোধ।

না, প্রেম-ভালবাসাও আজকের বিষয় না। একেও বাদ দিয়ে দেয়া যেতো, তবুও সেই দিনের স্মৃতিটাও লিখে রাখছি...।

আমার বয়স যেহেতু কম ছিল, তাই আমার বিষয়টা ঠিক মানুষের মানবিক শূন্যতা মানে প্রেম-ভালবাসা সংক্রান্ত ছিল না। সময়টা ছিল ১৯৯০ সাল। বাবা সরকারী চাকুরীর জন্য নরসিংদী জেলার মনোহরদী থানায় ছিলেন। আমরা পরিবারের সবাই সেখানে ছিলাম। আমি মনোহরদী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়তাম। বাসার পশ্চিম দিকে ছিল ছোট্ট ব্রাহ্মপুত্র নদী। সে নদী উত্তর দক্ষিন দিকে প্রাবাহিত ছিল। বর্ষাকালে উত্তর দিক থেকে পানি নেমে আসতো আর দক্ষিতে বয়ে যেতো। আমরা উজান থেকে সাঁতার দিতাম আর কিলোমিটার খানেক দূরে গিয়ে ডাঙায় উঠতাম।

বর্ষাকালে নদীর ভরা যৌবনে নদীর ওপারের গ্রাম আর এপারের মনোহরদী বাজারের মানুষেরা ছোট ছোট নৌকা দিয়ে সেই নদীটা পার হতো। সকাল বেলা নানান জাতের সবজি, ফল আর কৃষি কাজে নিয়োজিত মানুষ নিয়ে ছোট নৌকাগুলো এসে ভীর জমাতো এপারের মনোহরদী বাজারের ঘাটে। আমরা স্কুলে যাবার পথে ঘুম ঘুম চোখ নিয়ে সেই সব মানুষের কোলাহল আর জিনিসপত্রের বিকিকিনি দেখতাম...।

নদীর ওপারেই ছিল গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া থানা। শীতের সময় নদীর পানি একদম শুকিয়ে যেতো। বাশ দিয়ে বানানো ছোট সাঁকো দিয়ে লোকজন নদী পার হতো। ঘুম ভেঙে কুয়াশার সকালে নদীর পাড়ে হাঁটতে হাঁটতে আমরা দাত ব্রাশ করতাম। কুয়াশায় হিম হয়ে লুকিয়ে থাকা ওপারের গ্রামটাকে মনে হতো রুপকথার দেশ।

সেই রুপকথার দেশ থেকে আমার প্রিয় সবজি, মাছ আর দুধ বিক্রেতা বৃদ্ধলোকটা (নাম মনে নেই) আসতো এপারে আমাদের বাসায়। যার গল্পের ঝুড়ি কোন দিন শেষ হতো না...!? আমি সাপ্তাহিক শুক্রবারের ছুটিতে সেই বৃদ্ধ দুধওয়ালার বাড়ী বেড়াতে যেতাম। তার হাতে গড়া নানান জাতের শীতের সবজি বাগান; আম জাম কাঁঠাল কলা আতাফল গাছের জংগল, আর লাল সিঁদুরের মতো রঙয়ের দুইটা গাভীর মায়াবী চোখকে আমি না দেখে এক সপ্তাহের বেশী থাকতে পারতাম না।

নদীর ঘাটে; যেখানে নৌকাগুলো ভীরে থাকতো সেখানে একটা বিশাল বটগাছ ছিল। হিন্দু ধর্মের লোকেরা রাত-দিন পূজা দিতো। আমরা বটগাছের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শিকড় দেখে ভীষণ ভয় পেতাম। বছরে দুই/তিন বার সেই বটের মুলে পুজার আর উৎসবের আয়োজন হতো। গ্রাম্য মেলা বসে যেতো বটগাছের আশেপাশে। সারাদিন মাইকে সিনেমার গান বাজতো আর ঢাক-ঢোল পিটিয়ে দেবীকে উদ্দেশ্য করে নানান শ্লোক বলতো সনাতন ধর্মের মানুষ। সন্ধ্যার সাথে সাথেই ধুপ-ধুনোর ধোঁয়ায় সারাটা এলাকায় প্রাগৈতিহাসিক অন্ধকার নেমে আসতো।

শৈশবের সেই দিনগুলিতে আমি আর স্কুলের বন্ধু মাসুম বিকেলে বাই-সাইকেল চালাতাম থানা সদরের বাজার থেকে ডাক-বাংলো হয়ে স্কুল পেড়িয়ে উত্তরের হাসপাতালের দিকে...। কোন কোন দিন কলেজের দিক থেকে দক্ষিন দিকে বাজার হয়ে চলে যেতাম নরসিংদী যাবার বাস স্টেশনে...।

শীতের রাতে ব্যাটমিন্টন খেলতাম উপজেলা কোয়ার্টারের সবুজ মাঠে। ছুটিতে নদীর ওপারে সহপাঠী মামুনের বাড়ী বেড়াতে যেতাম। নৌকা দিয়ে নদী পার হতাম। তারপর নদীর পাড় ধরে হেঁটে হেঁটে মামুনের বাড়ী গিয়ে তিনজনে এই নদীতেই ঝাঁপাজাপি করে সাঁতার দিতাম। সারাদিন মামুনদের গ্রামের বাড়ীতে আড্ডা দিতাম। আম, জাম, কাঁঠাল কতো গাছ ছিল। বিকেল বেলা নদীর পাড়ে বসে তিন বন্ধুর গল্পের দিনগুলি ছিল আরও একটা রূপকথা।

নদীর ওপারে আমার প্রিয় দুধওয়ালা লোকটির বাড়ী যাবার পথে একটি মাঝারী আকারের বটগাছ ছিল। এক শীতের সকালে অনুমান ৬.০০টার মতো হবে আমি হাটতে হাটতে চলে গিয়েছিলাম নদীর ওপারের সেই বটগাছটার কাছে। মনে আছে, সেই সকালের আগের দিন রাতে কি কারনে জেনো মা/বাবা অথবা বড়বোনের সাথে কি একটা বিষয় নিয়ে খুব ঝগড়া করেছিলাম। সারারাত ঘুম হয়নি। বার বার মনে হয়েছিল, কোথাও পালিয়ে যাবো!? কিন্তু কোথায় পালাবো সেটাই ঠিক করতে পারছিলাম না! এদিকে তীব্র শীতের রাতে হয়তো কেউ পালাতেও সাহস করে না?

সকাল হলেই মনে হলো নদীর ওপারে পালিয়ে যাই। চলে গেলাম নদীর ওপারে, আর গিয়ে তীব্র শীতের সকালে কুয়াশা জড়ানো বাতাসের মধ্যে আশ্রয় নিলাম গাছের তলায়। চারপাশে কুয়াশায় হিম ধরা পরিবেশ; তখনও সূর্য উঠেনি, এদিকে নদী পার হয়ে মেঠো পথ ধরে স্যান্ডেল পায়ে হেঁটে যাবার কারণে দূর্বাঘাসের ডগায় জমে থাকা শিশিরে দুই পায়ের হাটু পর্যন্ত ভিজে গিয়েছিল...। শীতের সকালের ঠাণ্ডা হাতে, মুখে, নাকে, গালে আর পায়ে কতটা তীব্র কষ্ট দিতে পারে সেদিন বুঝেছিলাম হারে হারে...!?

সেদিন সূর্যটা চারপাশ আলোকিত করার পরে দেখলাম, আমার প্রিয় গল্পবলার মানুষটি মানে সেই বৃদ্ধ দুধওয়ালা তার বাড়ী থেকে এগিয়ে এলো বটগাছটির পাশে তারপর আমার চোখের দিকে তাকিয়েই বুঝে নিলো আমি অভিমান করে বাসা থেকে পালিয়ে এসেছি। সে আমাকে কিছুই জানতে না দিয়ে, তার বাড়ী নিয়ে গিয়ে ফলমূল আর মুড়ি খেতে দিয়েছিল।

তারপর তার সবজীর বাগান, গাছের বাগান, আর কৃষি কাজের মাঠ নিয়ে সকাল দুপুর বিকেল মানে সারাদিন কাটিয়ে সন্ধ্যায় বলেছিল, চলো এবার বাসায় ফিয়ে যাই...।

আমি তার হাতে হাত রেখে বাসায় ফিরে এসেছিলাম। সে বাসায় এসে আমার মাকে বলেছিল, সকালে আমাকে সে বাজার থেকে তার বাড়ী নিয়ে গিয়েছিল আর সন্ধ্যায় ফিরিয়ে দিয়ে গেলো...! কি অদ্ভুত মানবিক আর চমৎকার মানের মানুষ ছিল লোকটি; ভাবলেই চোখে জল চলে আসে!

আজ অনেকদিন পর, সেই দুধওয়ালা আর তার বাড়ীর কথা মনেপড়ে গেলো। আমি জানি ১৯৯০ সালের সেই বৃদ্ধলোকটি এখন আর বেঁচে নেই। তার বাড়ীর লোকজন হয়তো আমাকে চিনবেও না। কিন্তু আমি জানি আমাকে সেই বটগাছটি ঠিকই চিনবে। আমার আশা সেই বটগাছটি এখনও বেঁচে আছে আর আমার জন্যই দাড়িয়ে আছে। যদি কোনদিন আবারও আমার পালিয়ে যাবার ইচ্ছে হয়!? আমি নিশ্চিত; আমি সেই বটগাছটার কাছেই চলে যাবো...!?

আজ লেখার শুরুরে যে বাংলা সিনেমার নায়কের কথা লিখলাম; ভেবে দেখলাম নায়ক “জসিম” আসলে আমার স্বপ্নের নায়ক হতে পারেনি, নায়ক হতে পেরেছিল কৈশোরের সেই “দুধওয়ালা”। আর লেখার মাঝে যে “প্রেম-ভালবাসার” কথা বললাম, আমার প্রথম প্রেম? সেই বটগাছ যার আশ্রয় আমি এখনও খুঁজি...!?

... আর তাইতো সেই বটগাছটাকে ভেবে ভেবে সেদিন (১৭ ডিসেম্বর ২০১৪) আমি একটা কবিতা লিখেছিলাম। আপনারা কবিতাটা পড়ে দেখুন। আমি এই ফাঁকে সেই কৈশোরের দুধওয়ালা আর বটগাছটার কথা ভাবি।

-------------
মনে মনে ভাবি, বৃক্ষরাই সুখী
মানুষ হয়ে বেঁচে থাকার বিপুল যন্ত্রণা,
কোনদিন হয়তো তাকে পায় না।
একটি স্থানে দাড়িয়ে জীবন পাড় করে দেয়া, নিশ্চয়ই কষ্টকর কিছু না।
সারাদিন ভাবনার যন্ত্রণা নিয়ে ছুটে চলা
কোথা থেকে এলাম? কোথায় ফিরে যাবো?
আজীবন বুকের মধ্যখানে শীতল কষ্ট চেপে
হাতের মুঠোয় রোদ্দুরের তীব্র আকাঙ্ক্ষা।
কি ভয়ানক এই মানব জন্ম;
কি ভয়ানক এই বেঁচে থাকা!
---------------------------------
বৃক্ষ ভাবনা © খোরশেদ খোকন

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫০

কলাবাগান১ বলেছেন: চমৎকার

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৩

খোরশেদ খোকন বলেছেন: ধন্যবাদ। উৎসাহ পেলাম।

২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: সাবলীল লেখা। পড়ার মাঝখানে ক্রমছেদ লাগছিল। তবে স্মৃতিচারণটা খুব ভাল লেগেছে ভায়া।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩৬

খোরশেদ খোকন বলেছেন: স্মৃতি চারণ পড়েছেন জেনে ভাল লাগছে; লেখাটা সময় পেলে আবার রি-ব্রাশিং করার চেষ্টা করবো। কোথায় অসঙ্গতি লেগেছে জানলে ভালো হতো, ধন্যবাদ।

৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লেগেছে।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩৭

খোরশেদ খোকন বলেছেন: হাসান মাহবুব, ভাই ভাল আছেন? আপনার মন্তব্য পেয়ে ভাল লাগছে। একটু দোয়া করবেন। ধন্যবাদ

৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৬

সুমন কর বলেছেন: স্মৃতিচারণ ভালো লাগল।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩৮

খোরশেদ খোকন বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে সাহসী লাগছে, ভাল থাকবেন। শুভেচ্ছা

৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৩

ইংলিশ জহির বলেছেন: ভাই, লেখার শুরুটা আপনার সাথে মিলে, বাকিটুকু মিলাতে একটু কষ্ট হচ্ছে, btw ভালো লেগেছে।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩১

খোরশেদ খোকন বলেছেন: ইংলিশ জহির, এই আপনি কি আমার সাবেক কলিগ জহির (বর্তমান ইজিসি কর্মকর্তা)

৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১৮

কলাবাগান১ বলেছেন: "ঘুম ভেঙে কুয়াশার সকালে নদীর পাড়ে হাঁটতে হাঁটতে আমরা দাত ব্রাশ করতাম। কুয়াশায় হিম হয়ে লুকিয়ে থাকা ওপারের গ্রামটাকে মনে হতো রুপকথার দেশ। "

আহ.......চমৎকার

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৪০

খোরশেদ খোকন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের পর আমি লাইনটা আবার পড়লাম। ধন্যবাদ

৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৩:৪১

প্রলয়শিখা বলেছেন: আর আমার গ্রামের বটগাছটি স্মরণীয় হয়ে আছে অন্য এক দুঃখে। গাছের নিচে যখন বসে বসে স্কুল ফেরত ললনাদের দেখছিলাম তখন উপর থেকে কাক বাহিনী তাদের পায়ু নিঃসৃত সাদা সাদা তরল পদার্থ আমার মাথায় ঢালল। উপর থেকে মল, নিচে মেয়েদের বিদ্রুপের হাসি ছাড়া আর কিছু মেলে নাই।

যাই হোক, সুন্দর হয়েছে। মাঝখানে মনোযোগ সরে যাচ্ছিল। শেষে আবার ফিরে এসেছে।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৫

খোরশেদ খোকন বলেছেন: প্রলয়শিখা, ভাই এই যে মনোযোগ দিয়ে আমার লেখাটা পড়েছেন; এটা জেনে খুবই ভাল লাগছে। ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.