![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই শহরে কিছু কিছু শব্দ কলম নয় হ্রদয় থেকে নেমে আসে, একা। এই শহরে বিনয় ঝুলে থাকে মরা গাছের ডালের মতো, একা।
সেই জানুয়ারি মাসের শীতকালে হাড় কাঁপানো বোবা অথচ নিষ্ঠুর ঠাণ্ডা নেমে এসেছিল গ্রামের মাঠে, ঘাটে, ঘরের চালে আর গাছের পাতায় পাতায়। গ্রামে বিদ্যুৎ ছিল না, তাই সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে মানুষগুলো চাদর মুড়ি দিয়ে উঠানে আগুন জ্বেলে হাত পা গরম করায় লেগে যেতো। কনকনে ঠাণ্ডা রাতের শেষে কুয়াশার চাদর মুড়ি দেয়া সকালে আমি কাক ডেকে উঠতে দেখিনি, তবে মোরগের ডাকের কোন আলসেমি ছিল না।
আমার বাবা ১৯৮৮ সালের শুরুতে একটি দীর্ঘ মেয়াদী ট্রেনিং করার জন্য রাজশাহী শহরে চলে যান। আর আমরা জামালপুর সদর থেকে চলে আসি টাঙ্গাইলে মানে গ্রামের বাড়ীতে। আমার দাদা মারা যান ১৯৮২ সালে আর দাদি মারা ১৯৮৪ সালে। একমাত্র ফুপুর বিয়ে, দাদা-দাদি মারা যাওয়া আর ছোট চাচার আমাদের বাসায় চলে যাওয়ার মাধ্যমেই দাদার বাড়িটা পরিত্যাক্ত বাড়ীতে পরিণত হয়। আমরা গ্রামের বাড়ী চলে আসলেও ছোট চাচা আশেক মাহমুদ কলেজে পড়ার জন্য জামালপুর শহরেই একটা মেসে উঠে যান।
বাবা গ্রামে আমাদের জন্য যে বাড়ীটা কিনেছেন, সেটাকে সবাই বলে “পাল বাড়ী”। আর আমরা কাজিনরা দাদার বাড়ীকে বলি, “পুরাণ বাড়ী”। দাদার বাড়ীতে আসলে সেই সময় মানে ১৯৮৮ সালে কেউ থাকতো না। আমার শৈশবের বাড়ীটাতে তিনটা টিনের ঘর, একটা বিশাল বাশঝাড়, আম-জাম-কাঁঠাল আর পেয়ারার বাগান, একটা সুপেয় পানির কুয়া আর লাল লাল জবা ফুলের ছায়া বুকে ধারন করা একটি স্বচ্ছ পুকুর দিন যাপন করছিল, দাদা-দাদির স্মৃতির নীরব সাক্ষী হয়ে।
গ্রাম্য মানুষগুলোর হাত পা ঠোঁটের ফাটা দাগ; জীর্ণ মলিন পোশাক, চোখের নীচে লেগে থাকা নিরুত্তাপ ক্লান্তির দিকে তাকিয়ে মনে হতো, রূপকথার জগতটা আসলে এদের শীত রাতের গল্পের ভিতরেই লুকিয়ে থাকে। বাস্তবে হয়তো তারা তাকে কোন দিনই হাতের কাছে পায়না!
আমাদের বাড়ী দেখাশোনা আর গৃহস্থালি কাজ করার জন্য “মোকাররম আলী” নামের একজন বারোমাসি রাখাল মানে কাজের লোক ছিল। সে সারাদিন পাল বাড়ীতে কাজ করতো আর রাতের খাবার খেয়ে পুরাণ বাড়ী পাহারা দিতে চলে যেতো।
জামালপুর থেকে গ্রামে চলে এসেছিলাম কিন্তু তখনও আমি স্কুলে ভর্তি হইনি; চতুর্থ শ্রেণীর ক্লাশও শুরু হয়নি। সে সময় আমি সূর্য উঠার সাথে সাথেই ঘুম থেকে উঠতাম; দেখতাম বাড়ীর উঠানে মোকাররম চাচা আমাদের লাল রঙের গাভীটার গলায় হাত বুলিয়ে বুলিয়ে মনের সুখে কথা বলছেন। দেখতাম আদর যত্ন গালে মেখে গাভীটা বার বার মাথা এগিয়ে দিচ্ছে চাচার দিকে। মোকাররম চাচা গাভীটার দিকে হাত বাড়ালেই কি একটা নরম মায়া নেমে আসতো গাভীটার চোখে, আশ্চর্য!
আমাদের পাল বাড়ীর উঠানের দক্ষিন দিকেই পুকুর ঘাট। আমরা কাজিনরা বিকেলে পুকুর ঘাটে বসে, মোকাররম চাচাকে বলতাম গাছ থেকে ডাব পেরে দিতে। সে মহা উৎসাহে গাছে উঠে যেতো, একটা একটা করে ডাব পুকুরের পানিতে ফেলতো আর আমরা বাশ দিয়ে সেই ডাব ডাঙ্গায় নিয়ে আসতাম। তালের শাঁস আর ডাব কাটায় সে ছিল নিপুন কারিগর।
পাল বাড়ী থেকে ধুলো মাখা পথে হেঁটে আমরা রওনা দিতাম পুরাণ বাড়ীর দিকে। পুরাণ বাড়ীর পূর্ব পাশে আমাদের সবজির বাগান ছিল, আমরা জালী-লাউ, শিম, কাকরোল, ধুন্দল, ঢেঁড়স, কাঁচা মরিচ, মূলা আর পেয়াজের কালিম তুলতাম। পুরাণ বাড়ী থেকে পাল বাড়ী ফিরতে গিয়ে দেখতাম, মাঠের গরু ছাগল নিয়ে রাখাল বালকেরা বাড়ীর পথে চলেছে। ঝাকে ঝাকে নানান রকমের পাখী আকাশে উড়ে উড়ে নীড়ে ফিরে যাচ্ছে। ধোঁয়া ধোঁয়া আমাদের গ্রামের দিকে এগিয়ে যেতে যেতে দেখতাম, একরাশ কুয়াশা আমাদের ঘিরে ধরেছে।
বাড়ী ফিরে শীতের রাতে উনুনের পাশে বসে গল্প শুনতাম, মুরব্বীরা গল্প করতো, কে? কবে? কত বড় মাছ ধরেছিল বংশাই নদীতে?
একত্রে পাটিতে বসে রাতের খাবার খেতাম, বাড়ীর মুরব্বীরা বলতো, এই গ্রামের কাকে? কবে? কত বেশী পরিমাণ খাবার খেতে দেখেছে? আমি গল্পের কোন কিনারা পেতাম না।
তারপর নির্জন গ্রামের স্তব্ধতা ভেঙে দিতো ঝিঁঝিঁ পোকার এক ঘেয়ে ডাক। আমরা শীতে কাঁপতে কাঁপতে ঘুমাতে যেতাম।
ভোরের শিশির গাঁয়ে মেখে আমরা জটলা করে বসতাম আগুন পোহানোর জন্য, আমাদের রাখাল মোকাররম চাচা বাড়ীর উত্তর পাশের খেজুর গাছ থেকে রস পেড়ে আনতেন। শীতে কাঁপতে কাঁপতে খেজুরের রস পান করতাম আর দেখতাম পর্ব দিকের আকাশ থেকে নেমে আসছে নরম মিষ্টি রোদ আমাদের উঠানে।
কাঠের কালো স্লেটে সাদা চকে আমার ছোট ভাইকে মা শেখাতো বাংলা বর্ণমালা। পাল বাড়ীর পুকুরে সেই দশটা থেকে বারোটা কিংবা একটা পর্যন্ত রোদে বসে থাকতাম আর আলসেমি গাঁয়ে মাখতাম। দেখতাম স্বচ্ছ জলের পুকুরে গ্রাম্য রাখাল ডুবসাঁতার দিয়ে পাড়ি হচ্ছে শীতের সীমানা; কেঁপে উঠতাম তারপর বন্ধুরা মিলে চোখ বন্ধ করে জাপিয়ে পড়তাম পানির উপর। ওহ! কি ভয়ানক ছিল সে ঠাণ্ডা; জেনো ব্লেডের আঁচড়ে চামড়া কেটে এখনই রক্ত বেড়িয়ে যাবে...।
আমার বড়বোন আর কাজিনরা কাঁধে দু’টো বেনি ঝুলিয়ে স্কুলে চলে যেতো। মখমলের মতো নরম মোলায়েম সবুজ ঘাসের উপর জাম্প কেডস পরে আমি আর চাচাতো ভাই মিলে স্লিপ করতাম। হাঁটু পর্যন্ত ভিজে যেতো শিশিরের জলে। লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতাম, ঠোঁটে লিপস্টিক দিয়ে কাজিনরা মেয়েলি গল্পে মেতেছে। শুনতাম, তাদের স্কুলের কোন মেয়েকে কোন ছেলেটা ভালবেসে চিঠি লিখেছে।
এমনি এক নরম আলোর বিকেলে আলসেমি গাঁয়ে মেখে, বড়বোন রোজীর সাথে সাপ লুডু খেলছি আর বাদাম খাচ্ছি। মনে মনে দুজনেই আমাদের পয়সা জমানোর ব্যাগে কত জমা হল সেটার হিসাব করছি। এমন সময় আমার বড় চাচার বড়ছেলে দুলাল ভাই বলল, খোকনের জন্য বোর্ডিং স্কুলটা দেখে এসেছি। মা বলল, কবে যাবি খোকন কে নিয়ে? দুলাল ভাই বলল, সামনের শনিবার। সকালে টাঙ্গাইল গিয়ে বোর্ডিং স্কুলের জন্য বিছানা বেডিং, ড্রেস ইত্যাদি কিনতে হবে, তারপর দুপুরে ভর্তি করে, বিকেলেই গ্রামে ফিরে আসবো। আমি উঠানের শেষ মাথায় তাকিয়ে দেখলাম, বাতাবী লেবুর ডালে একটা পাখী একা একা বসে আছে!
যাই হোক, গ্রামের তীব্র শীতরাত শেষে সেই ভয়ানক শনিবার সকালটা আসলো, আমাদের বাড়ীর উঠানে। ঘুম ভেঙে লেপের আদর থেকে বাইরে আসা ছিল কষ্টের কাজ; আর হাত-মুখ ধোঁয়া ছিল বরফের ছুড়ির কাছে নিজেকে সপে দেয়া। কিছুই করার ছিল না, তাই ঘুম ঘুম নিজেকে হিম শীতল সকালের কাছে পরাজিত হতে দিয়েছিলাম আমি।
চাচাতো ভাইয়ের সাথে পায়ে হাটা পথে রওনা দিলাম টাঙ্গাইল শহরের দিকে। গ্রামের কাঁচা রাস্তা দিয়ে যাবার সময় ঘাসে লেগে থাকা শিশিরে নতুন কেনা কেডস ভিজে গেলো, কুয়াশা গাঁয়ে মেখে হাটতে হাটতে গাঁয়ের কাটার মতো বিঁধে গেলো শীত।
আমরা কদিম হামজানি গ্রামের শেষ মাথার বংশাই নদীর দিকে যাচ্ছিলাম, পথে দেখলাম গ্রামের মানুষগুলো তীব্র শীতের সকালে একফালি রোদের আশায় বাড়ীর উঠানে বসে বসে পাটের-সোলা, ধানের-খড়, আর নল-খাগড়ায় আগুন জ্বেলে “উত্তাপ খুঁজছে”।
আমরা হাটতে হাটতে গেলাম সেই ছোট নদীটার পাড়ে। নদীর জল থেকে তখনও ধোঁয়া উঠছিল, যেমন বরফের গা থেকে ধোঁয়া উঠে। ধোঁয়া আর কুয়াশায় মিলেমিশে ছিল ঝাপসা একটা নদী। আমরা সেই নদীটা পাড় হয়ে এগিয়ে গেলাম।
তারপর হাটতে হাটতে গেলাম সল্লা বাজারের পথ ধরে বড় একটা বটগাছের তলায়; যেখানে ভ্যান পাওয়া গেল। ভ্যানে চেপে রওনা হলাম সয়া বাসস্ট্যান্ডে। সয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে লোকাল বাসে চেপে কুয়াশার রাস্তায় ঠাণ্ডা বাতাসের জাপটায় কাঁপতে কাঁপতে একঘণ্টা পরে পৌঁছে গেলাম টাঙ্গাইল নতুন বাসস্ট্যান্ডে।
টাঙ্গাইল নতুন বাসস্ট্যান্ডের কাছে বাবার খালাতো ভাই (মিনহাজ চাচার) এর বাস-ট্রাক মেরামত করার লেদ-মেশিনের ওয়ার্কশপ, সেই ওয়ার্কশপের পেছনে কাকার বাসায় কিছুটা জিরিয়ে হালকা নাশতা করে রওনা হলাম রিক্সায় সন্তোষ।
বোর্ডিং স্কুলে আমার ভর্তির ফর্মালিটি শেষ হল। আমাকে সন্তোষ রাজবাড়ীর পুরানো একটা দালানের দোতলায় থাকতে দেয়া হলো। আমি দোতলার জানলা দিয়ে তাকিয়ে দেখলাম, আমার চাচাতো ভাই পায়ে হেঁটে পূর্ব দিকে এগিয়ে যাচ্ছে... হয়তো কিছুক্ষণের মাধেই দূরে মিলিয়ে যাবে...!
দুলাল ভাই আমাদের “পাল বাড়ী” আর “পুরাণ বাড়ী” ঘিরে রূপকথার রাজ্যে ফিরে যাচ্ছে...! এদিকে আমি পুরানো রাজবাড়ীর পুরানো জানালায় তাকিয়ে নিজের জীবনটাকে নতুন করে শুরু করতে যাচ্ছি...আর চোখের জলে গাল ভিজে যাচ্ছে...।
আমি জানি; এই কান্না নিয়েই বোর্ডিং স্কুলের দুষ্টছেলেরা কিছুক্ষণের মধ্যেই দুষ্টামি শুরু করে দিবে... আমাকে সবাই মিলে ভেংচি কাটবে...।
--------------------------------------------
© খোরশেদ খোকন । ১০ অক্টোবর ২০১৫
১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৭
খোরশেদ খোকন বলেছেন: ভাই, শীত নিয়ে তো দেখছি আপনার অনেক ভালো লাগা আছে। আপনি ইচ্ছা করলে আমার পোস্ট হওয়া অগের স্মৃতি কথাগুলো পড়তে পারেন। একটু যদি বলেন, ঠিক কোথায় ভাল হচ্ছে তাহলে এগিয়ে যাওয়াটা আরও সুন্দর আর সার্থক হবে। আপনার মন্তব্যের জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ভাল থাকবেন। শুভেচ্ছা।
২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫১
চ্যাং বলেছেন: গুড!! ভাইয়া!! চালাইয়া যান। গাঁওয়ে কি এখনো ভুত থাকে?
১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩০
খোরশেদ খোকন বলেছেন: হ্যা, গল্পের ভূত গ্রামেই থাকে।
ভুতের গল্প আরেক দিন হবে।
স্মৃতিকথা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২১
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: আপনার লেখায় বরাবরই বাস্তবের ছোঁয়া পাই । ভাল লাগা রইল ।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩৪
খোরশেদ খোকন বলেছেন: ভাই, আমার কথা বলার স্টাইলটা গল্পের মতো হলেও ঘটনা কিন্তু ১০০% বাস্তব। আর আমার এই লেখাগুলো ফেইসবুকে আমার আত্মীয়-স্বজন আর বন্ধুরাও পড়ে। তারা চায় আমি শৈশব কৈশোর যৌবন আর পেশা জীবনের দিনগুলিকে এভাবেই প্রতিনিয়ত লিখি... ধন্যবাদ
৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩২
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: বাস্তব মুখী গল্প ভালো লাগল ধন্যবাদ ।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০৭
খোরশেদ খোকন বলেছেন: স্মৃতি কথা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৩৮
সুমন আলী রাসেল বলেছেন:
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১৮
খোরশেদ খোকন বলেছেন: ধন্যবাদ
৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগলো। বোর্ডিং স্কুলের অভিজ্ঞতা নিয়েও লিখবেন।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২৪
খোরশেদ খোকন বলেছেন: ধন্যবাদ।
হ্যা, বোর্ডিং স্কুল, হাই স্কুল, কলেজ, প্রথম প্রেম, ভার্সিটি, প্রেম করে বিয়ে, তারপর চাকরী এই ৩৫ বছর জীবনের কতো শত স্মৃতি...। লিখবো,
সবই ভাবছি লিখবো...
কিন্তু শুক্র/শনিবার ছাড়া উপায় নেই।
আবার দেখা হবে স্মৃতি কথায়...।
৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৪৭
প্রলয়শিখা বলেছেন: শীত শব্দের ঋতুটা আমার এতই পছন্দের যে ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষার আগের রাত ছাদের উপর চাঁদের সাথে একাকার হয়ে কাটিয়ে দিয়েছি অনেক। শীতকালের আরেকটা জিনিস ভাল লাগে। রাস্তায় সিগারেট ফুকঁতে ফুকঁতে হাটার সময় কোন মুরুবী টাইপের কেউ পড়ে গেলে সিগারেটের ফিল্টারটা লুকিয়ে পেছনে ফেলে দিয়ে অযুহাত দেওয়া যায় ঠান্ডা বেশি পড়ছে আজকাল। তাই মুখ থেকে ধোয়া বের হচ্ছে।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২৭
খোরশেদ খোকন বলেছেন: পড়তে থাকুন, একদিন দেখবেন সিগারেট আর শীতের একটা গল্প পেয়ে যাবেন অচিরেই (মাথায় আছে লিখি নাই)। আপনার সাথে মিলে যাবে আশা করছি...। ধন্যবাদ
৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৯
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: দারুন স্মৃতিচারণ। খুব ভালো লাগল
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১৮
খোরশেদ খোকন বলেছেন: জাহেদ ভাই, ধন্যবাদ আনুপ্রেরনা পেলাম। ভাল থাকবেন।
৯| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৭
নীল-দর্পণ বলেছেন: কী চমৎকার স্মৃতিচারন!
আমি শহরে বড় হলেও বছরের তিনটি পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই প্রস্তুতি চলত গ্রামে যাওয়ার। বিশেষ করে পুরোটা শীত কাটাতাম গ্রামে। আপনার দাদা বাড়ীর মতই আমার দাদা বাড়ী অর্থাৎ পুরান বাড়ী এখন প্রায় পরিত্যাক্ত।
পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল আমার সেই দিনগুলোই দেখছি হয়ত আমি!
সকাল বেলা খেজুর রস আনতে নদীর পাড়ে যেতাম খেতের আইল দিয়ে। শিশিরভেজা পাটি স্যান্ডেলে আটকে পায়ের স্যান্ডেল একেকটা আধা কেজি ওজন হতো। পাট খড়ি দিয়ে সেই মাটি ছাড়াতাম
মাঝে মাঝে বুকটা হাহাকার করে সেই সব দিনের জন্যে!
১০| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:১০
জেন রসি বলেছেন: চমৎকার।সাবলীল লেখা।পড়তে ভালোই লাগছিল।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৭
প্রলয়শিখা বলেছেন: কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় এক গ্রামে বড় হয়েছি। ছোটবেলার প্রতিটি শীতকাল আমার শৈশবকে পূর্ণতা দিয়েছে আর আমার শৈশব শীতের সেই দিনগুলোকে দিয়েছে উষ্ণতা। মেট্রিক পরীক্ষা পর্যন্ত জেলা শহরে মাত্র কয়েকবার আসা হয়েছে। মেট্রিক পরীক্ষা দিয়েই যে বাড়ি থেকে বের হলাম সোজা চট্টগ্রামে। তাই নিজের জেলা শহরে গেলে এখনও মাঝে মাঝে পথ হারিয়ে ফেলি। এর পর থেকেই চট্টগ্রামের মেসগুলোতে আলু ভর্তা-ডাল খেয়েই বেচে আছি। আসল বেচে থাকাকে ফেলে এসেছি আমার গ্রামে। যে গ্রামে আমার ছোটবেলার প্রতিটি শীতকাল আমার শৈশবকে পূর্ণতা দিয়েছে আর আমার শৈশব শীতের সেই দিনগুলোকে দিয়েছে উষ্ণতা।
সুন্দর স্মৃতিচারণ। আরও জাবর কাটতে থাকুন। আগেরটির (বটগাছের স্মৃতিচারণ) চেয়ে আজকেরটি বেশ ভাল হয়েছে। চালিয়ে যান। শুভ কামনা রইল।