![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই শহরে কিছু কিছু শব্দ কলম নয় হ্রদয় থেকে নেমে আসে, একা। এই শহরে বিনয় ঝুলে থাকে মরা গাছের ডালের মতো, একা।
সেই সময়টা ছিল ব্রিটিশ শাসনের আমল। তখনও ইংরেজি শিক্ষা গ্রাম অঞ্চলে বিস্তার লাভ করেনি। টাঙ্গাইলের অজপাড়াগাঁয়ের লোকজন ইংরেজি বলতে বুঝতো A থেকে Z পর্যন্ত ২৬টা অক্ষর। তার মানে সেই সময় তারা অক্ষর জ্ঞান কেবল শুরু করেছিল…।
সেই সময় গ্রামের লোকেরা একদমে ২৬টা অক্ষর মুখস্ত বলতে পারতো; আর সেই গ্রামের রুস্তম আলী নামের লোকটি এক দমে ২৬টা অক্ষর বলতে পারতো ৩/৪ বার। এই নিয়ে রুস্তম আলীর গর্বের সীমা ছিলনা। এদিকে অশিক্ষিত গ্রামের মানুষ মনে করতো তাদের রুস্তম আলী একজন ভাল ইংরেজি জানা মানুষ। গ্রামের সবার মুখে মুখে তখন রুস্তম আলীর সুনাম ছড়িয়ে পড়েছিল…।
সেই সময় চৈত্র মাসের তীব্র গরমে ঘামতে ঘামতে এক ইংরেজ ঘোড়া দৌড়ে সেই গ্রামে এসে উপস্থিত হয়। তারপর সেই ইংরেজ সাহেব ঘোড়ায় বসেই, পথের পাশের এক লোককে দেখে পানি তৃষ্ণায় কাতর হয়ে বলে, গিভ মি এ গ্লাস অব ওয়াটার। লোকটি তো কিছুই বুঝে না; তো তার মনেপড়ে রুস্তম আলীর কথা…।
সেই লোকটি দৌড়ে গিয়ে রুস্তম আলীকে ডেকে আনে। রুস্তম আলী ইংরেজকে পেয়ে খুশি হয়ে এক দমে A থেকে Z পর্যন্ত ২৬টা অক্ষর বলে। ইংরেজ লোকটি পানি তৃষ্ণার জ্বালায় ছিল অস্থির; সে এই ধরণের ইংরেজি নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য দেখে ক্ষেপে যায়। তারপরও সেই ইংরেজ লোকটি শান্ত হয়ে বলে, প্লীজ গিভ মি এ গ্লাস অব ওয়াটার…।
এদিকে রুস্তম আলী আবারও এক দমে A থেকে Z পর্যন্ত ২৬টা অক্ষর দু’বার করে বলে। তারপর ইংরেজ লোকটি যতই পানি চায়; রুস্তম আলী ততই ২৬টা অক্ষর বড় বড় দম নিয়ে চিৎকার করে বলে…।
এভাবে রুস্তম আলী সর্বশেষ একদমে ৫ বার ২৬টা অক্ষর বলে। এইবার ইংরেজ লোকটি চূড়ান্ত উত্তেজিত হয়ে যায়, রাগে দুঃখে সে ঘোড়ার চাবুক দিয়ে রুস্তম আলীকে বেদম পেটায় আর চিৎকার করে বলে, ইউ সান অব এ বিচ…।
তারপর সেই ইংরেজ লোকটি ঘোড়া দৌড়ে চলে যায়…।
এদিকে গ্রামবাসী উৎকণ্ঠা নিয়ে, রুস্তম আলীর কাছে জানতে চায়; কি ব্যাপার ইংরেজ তাকে কি বলেছিল? আর এতো উত্তেজিত হয়ে চাবুক দিয়ে তাকে কেন পেটালো?
রুস্তম আলী গ্রামবাসীকে বলে, ইংরেজ আমাকে বলেছিল, তুই এতো ভাল ইংরেজি জেনেও কেন এই অজপারাগায়ে পড়ে আছিস, বিলাত কেন আসছিস না!
(ছেলেবেলায় মুরুব্বীদের কাছে শোনা গল্প-০১)
...
২৩-০১-২০১৬
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২২
খোরশেদ খোকন বলেছেন: ধন্যবাদ
ভাবলাম ছোটবেলায় শোনা গল্পগুলি একটু মনে করি।
তারপর ভাবলাম কেউ কি লিখেছিল এসব গল্প;
কোথায় এখনো পাইনি তাই ইচ্ছে হলো লিখে রাখি।
ভাল থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৩
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হা হা| আমি শুনেছিলাম এটার ইয়েস নো ভেরি গুড ভার্সনটা