![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মরুদ্যানের মুসাফির
প্রথম নাম্বার কথা
হল, কবরে ফেরেস্তারা
যেই ৩ টা প্রশ্ন করবেন
তার মধ্যে এই প্রশ্নের
লেশ মাত্র ও খুঁজে
পাওয়া যায়না। তবে কেন
এতো বিতর্ক? যার মস্তিষ্কের
মধ্যে গোবরের পরিমাণ
বেশি একমাত্র সেই আমার
জিন্দা নবীকে নূরের তৈরী
বলে নবীর মান সম্মান
নষ্ট করবে,কোনো
সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ
কখনোই নবীকে নূরের
তৈরী বলতে পারেনা।
আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন
প্রায় ১৮ হাজার মাখলুক
সৃস্টি করেছেন। আর মাটির
মানুষকে উপাধী
দিয়েছেন আশরাফুল মাখলুকাত
তথা সৃস্টির শ্রেষ্ঠ
জাতি। আপনার মাথায় যদি
গোবর না থাকে তবে
বলুনতো! ১৮ হাজার
মাখলুক্বাতের মধ্যে
কোন জাতির মধ্যে নবীকে
সৃস্টি করলে নবীর
সম্মান বাড়ে? আপনি যদি
সুস্থ মষতিষ্ক সম্পন্ন
মানুষ হোন তবে অবশ্যৈ
বলবেন,সৃষ্টির স্রেষ্ঠ
জাতি তথা মানুষ জাতির
মধ্যে। আর আমাদের গ্রামের
মাখন পাগলায় ও বুঝে
মানুষ মাটির তৈরী। আল্লাহর
জাতিগত নূরে কোনো
শরীকদার নেই এবং
ফেরেস্তারা নূরের তৈরী।
সুতরাং যারা আমার প্রিয়
নবীকে নূরের তৈরী বলে
তারা হয়ত নবীকে আল্লাহর
সাথে শরীক করে(নাউজুবিল্লাহ)
আর না হয় ফেরেস্তাদের কাতারে
নবীকে নিতে চায়। অথচ
নূরের তৈরী ফেরেস্তাদেরকে
আল্লাহ তায়ালা আশরাফুল
মাখলুক্বাত বলেননি।
বলেছেন মাটির তৈরী
মানুষকে। এখন প্রশ্ন
হলো, কুর'আন শরীফে
আল্লাহ তা'ইয়ালা নবীকে 'নূর'
বলেছেন কিনা? অবশ্যৈ
কুর'আন শরীফে আল্লাহকে ও
নূর বলা হয়েছে/নবীকে ও
নূর বলা হয়েছে/কুর'আন কে ও
নূর বলা হয়েছে। কুর'আন কে
যখন নূর বলা হয় তখন
এর অর্থ হয় হেদায়েতের
মাধ্যম,তথা কুর'আনের
মাধ্যমে আমরা হেদায়েত
পাই। নবীকে যখন নূর
বলা হয় তখন ও এর অর্থ
হয় হেদায়েতের মাধ্যম,
তথা নবীর মাধ্যমে
আমরা হেদায়েত পাই। আল্লাহকে
যখন নূর বলা হয় তখন
এর অর্থ হয় হেদায়েতের
মালিক। সুতরাং নবী নূর
আর নবী নুরের তৈরী এক
কথা নয়। নবীকে আল্লাহ
তায়ালা নূর তথা মানব
জাতির হেদায়েতের মাধ্যম
হিসেবে প্রেরণ করেছেন।
তাই আপনার কাছে অনুরোধ
নবীকে হেদায়েতের মাধ্যম
হিসেবে 'নূর' বলুন,তবে নূরের
তৈরী বলে আল্লাহর পরেই
যার মর্যাদা সেই নবীর
মান সম্মান নষ্ট
করবেন না।
©somewhere in net ltd.