![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মরুদ্যানের মুসাফির
আল ওয়ালা ওয়াল বারা এর অর্থ হচ্ছে আল্লহর জন্য কোন ব্যক্তি/বস্তু/কাজকে ভালবাসা ও আল্লহর জন্যই কোন ব্যক্তি/বস্তু/কাজকে ঘৃণা করা।যে কয়টি মুল স্তম্ভের উপর ঈমান গঠিত তার মধ্যে একটি হচ্ছে আল ওয়ালা ওয়াল বারা।এই বিষয়টি সাধারণ মুসলিম ভাইরা খুব কমই জানা ও বুঝা ও উপলব্ধির সুযোগ পেয়ে থাকে।তাই অনেক দিন ধরে চিন্তা করছিলাম বিষয়টি নিয়ে লিখার।শেষ পর্যন্ত আল্লহর নাম নিয়ে লিখতে বসলাম।ধর্য ধরে পড়তে পারলে অনেক কিছুই জানতে পারবেন ইনশাল্লাহ যা আগে হয়ত পড়েন নি।
আমরা পৃথিবীতে যা করি সবকিছু ভালবাসা ও ঘৃণার ভিত্তিতে হয়ে থাকে।যেমন ধরুন আমরা যদি কারো সাথে বন্ধুত্ব করি এমন কারো সাথে বন্ধুত্ব করি যাদের আমরা ভালবাসি।বিয়ে করলেও তাদেরকেই বিয়ে করতে চাই যাদের ভালবাসি।কারো সাথে বিজনেস করতে গেলেও তাদের সাথেই করি যাদের প্রতি ভালবাসা আছে,তাদের সাথে করিনা যাদের প্রতি ঘৃণা আছে।কোন রাজতৈনিক দল সমর্থনের ক্ষেত্রেও সেই দলকেই সমর্থন করি যাদের প্রতি আমাদের মনে ভালবাসা আছে।সেই দলকে কখনই সমর্থন করিনা যাদের প্রতি ঘৃনাবোধ সৃষ্টি হয়।গোটা ওয়ার্ল্ডে ইসলামিক স্কলার অনেক আছে।সবার বক্তব্য আমরা শুনি না।সবাইকে কেয়ার করিনা।তাদের বক্তব্য শুধুমাত্র শুনি যাদের আমরা ভালবাসি। বন্ধু,বৌ,দল,পার্টনার,লেকচারার ইত্যাদি শ্রেণীর প্রতি আমাদের ভালবাসা এতই প্রবল যে আমরা অনেক সময় বন্ধু দল বা গোষ্ঠীর জন্য জীবন পর্যন্ত দিয়ে দেই,তাদের পক্ষ নিয়ে তর্ক বিতর্ক করি,মারামারি করি,কলমযুদ্ধ করি,অনেক সময় ব্যয় করি।আমাদের যত দলাদলি কোন্দল ভালবাসা ও ঘৃনার জন্যই জন্যই।
এই যে তাদের প্রতি ভালবাসার জন্য আমরা এত কিছু করি কিন্তু কিসের জন্য এই ভালবাসাটা? অবশ্যই স্বার্থের জন্য।হতে পারে আমার নিজের স্বার্থের জন্য,আমার নিকটবর্তী আত্মীয় কারো জন্য কিংবা মানুষের তৈরী করা বর্ডার দিয়ে ঘেরা দেশের জন্য।আল্লহ পাকের কথা হচ্ছে আপনি ঈমান আনার পরে অর্থাৎ কালেমা পড়ার পরে ব্যক্তি,দেশ,জাতি বা যেকোন কিছুর স্বার্থের ভিত্তিতে কাউকে ভালবাসতে বা ঘৃণা করতে পারবেন না।ভালবাসতে হবে শুধু আল্লহর জন্য ঘৃনাও করতে হবে শুধু আল্লহর জন্য।আল্লহর জন্য বলতে বুঝায় আল্লহ ও তার রাসুল (সঃ) যাতে সন্তুষ্ট তা করা ও যাতে অসন্তুষ্ট তা পরিহার করা।অর্থাৎ আমরা আমাদের নিজদের পছন্দ/সুবিধামত কারো সাথে বন্ধুত্ব করতে পারব না,নিজের পছন্দ মত কাউকে বিয়ে করতে পারব না,নিজের ইচ্ছে মত কোন দল করতে পারব না,নিজের ইচ্ছে মত যা খুশি যা খুশি তাই করতে পারব না,করতে হবে আল্লহ ও রাসুলের সন্তুষ্টির ভিত্তিতে।যদি না করি করি তা লে তা হবে আল ওয়ালা ওয়াল বারার খেলাপ।এই খেলাপের অর্থই হচ্ছে ঈমানের খেলাপ।
আল ওয়ালা ওয়াল বারা এই ব্যাপারে আমাদের রাসুল (সঃ) কি বলেছেন আমরা দেখে নিই আমাদের বুঝতে সুবিধা হবে,
“যে কেউ আল্লাহর জন্যই ভালবাসে এবং আল্লাহর জন্যই ঘৃণা করে এবং (কাউকে কিছু) দিয়ে থাকে আল্লাহর জন্যই এবং (কাউকে কিছু) দেয়া থেকে বিরত থাকেও আল্লাহরই জন্য; তাহলে তার ঈমান পরিপূর্ণ হলো।” [আবু দাউদ: ৪০৬১, দ্বাদশ খণ্ড, পৃ-২৯১]
হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত—যার মাঝে তিনটি বৈশিষ্ট্য পাওয়া যাবে
যারই নিম্ন লিখিত তিনটি গুণ থাকবে সে ঈমানের স্বাদ পাবে
(১) তার কাছে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল অন্য যেকোন কিছুরতুলনায় অধিক প্রিয় হবে৷
(২) যে একজনকে ভালবাসে এবং তাকে ভালবাসে শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য৷ (
৩) এবং সে কুফরীতে ফেরত যাওয়াকেএমনভাবে ঘৃণা করে যেমন সে আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়াকে ঘৃণা করে৷"
(জামে তিরমিযি : হাদিস ২৬২৪, বুখারি : হাদিস ৬৯৪১)
হজরত আমার ইবনে জামুহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছেন—বান্দা ততক্ষণ পর্যন্ত স্বচ্ছ ঈমান লাভ করতে পারবে না যতক্ষণ না আল্লাহর ওয়াস্তে মহব্বত করবে এবং আল্লাহর ওয়াস্তে সম্পর্ক ছেদ করবে। আর বান্দা যখন আল্লাহর ওয়াস্তে মহব্বত করে এবং আল্লাহরই ওয়াস্তে সম্পর্ক ছিন্ন করে তখন সে ওলি হওয়ার হকদার হয়ে যায় (মুসনাদে আহমদ : হাদিস ১৫৫৪৯, জামেউল উলুম ওয়ান হিকাম ১/৩৪)।
হজরত আবু যর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘মানুষের আমলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় আমল হচ্ছে ওই ভালোবাসা যা আল্লাহর জন্য হয় এবং ওই শত্রুতা যা আল্লাহর জন্য হয়। (সুনানে আবু দাউদ : হাদিস ৪৫৯৯
আল্লহর জন্য ভালবাসা ও ঘৃণার প্রতিদনঃ
আল্লাহ কিয়ামত দিবসে বলবেন, আমার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পরস্পর ভালোবাসা স্থাপনকারীরা কোথায় ? আজ – যে দিন আমার ছায়া ব্যতীত কোন ছায়া থাকবে না- আমি তাদের ছায়া দেব। (সহীহ মুসলিম:৪৬৫৫)
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, সাত ধরনের মানুষকে আল্লাহ তায়ালা ছায়া দেবেন, এর মধ্যে এমন দুই ব্যক্তি রয়েছে যারা আল্লাহর ওয়াস্তে পরস্পরকে মহব্বত করত। আল্লাহর মহব্বতের ওপরই তারা একত্র হতো, আবার আল্লাহর মহব্বতেই পৃথক হতো (সহিহ বুখারি : হাদিস ৬৬০, সহিহ মুসলিম : হাদিস ১০১৩)।
জরত মোয়ায (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, আল্লাহ তায়ালা বলবেন—যারা পরস্পর একে অপরকে মহব্বত করেছে আমার জন্য, নূরের মিম্বর তাদের জন্য রয়েছে। নবী ও শহীদরা তাদের দেখে ঈর্ষা করবে (জামে তিরমিযি : হাদিস ২৩৯০, আততারগিব : হাদিস ৪৪৪২)
হজরত ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন—‘আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে কিছু ভাগ্যবান বান্দা আছে যারা নবী নয়, শহীদও নয়। তবে কেয়ামতের দিন অনেক নবী ও শহীদ তাদের নৈকট্যের কারণে তাদের প্রতি ঈর্ষা করবেন। সাহাবারা বললেন, ইয়া আল্লাহর রাসুল! আমাদেরকে তাদের কথা জানাবেন? তিনি উত্তর দিলেন তারা হলো ওইসব লোক যারা কোনো আত্মীয়তা ছাড়াই এবং অর্থ সম্পদের লেনদেন ছাড়াই কেবল আল্লাহর রুহের (দ্বীনের) কারণে একে অপরকে ভালোবাসে। আল্লাহর শপথ, কেয়ামতের দিন তাদের মুখমণ্ডল হবে আলোকোজ্জ্বল এবং আলোর মেলা, আর তারা নূরের মিম্বরের ওপর থাকবে। সাধারণ লোকজন যখন ভীতবিহ্বল থাকবে তখন তারা থাকবে নির্ভয়-নিশ্চিন্ত। লোকেরা যখন দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকবে তখন তারা দুশ্চিন্তামুক্ত থাকবে। তারপর তিনি এই আয়াত তেলাওয়াত করলেন—মনে রেখ, যারা আল্লাহর বন্ধু তাদের কোনো ভয় থাকবে না এবং তারা চিন্তিতও হবে না’ (আবু দাউদ-৩৫৭২, ৩৫২৯, ইবনে হিকাম ৫৭৩)।
আল্লহর জন্য ভালবাসা ও ঘৃণা করা ঈমানের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ ও ফজীলতপূর্ণ আমরা নিশ্চয় এতক্ষনে বুঝতে পেরেছি।আমরা এমন কারো সাথে ভালবাসা ভিত্তিতে সম্পর্ক করলাম যাতে দুনায়া ও আখিরাতে কোন কল্যাণ নেই তাকে ভালবেসে আমাদের কি লাভ? কেন আমরা তার হয়ে যুক্তি তর্ক করব,সময় ও মেধা ব্যয় করব যার প্রতি আল্লহ ও তার রাসুল অসুন্তুষ্ট অথবা যে আল্লহর শত্রু?
এটা খুবি অপদার্থের মত কাজ যে এমন ব্যক্তিকে ভালবাসা যে এমন ব্যক্তি/গোষ্ঠীকে ভালবাসা যারা আল্লহ ও রাসুলের শত্রু।তথাপি মুসলিমদের মধ্যে এমন কিছু লোকদের দেখা যায় যারা ইসলাম নিয়ে কথা বলে একই সাথে ঐসমস্ত ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সাথে সম্পর্ক রক্ষা করে চলে যারা সুস্পষ্টভাবে আল্লহ রাসুল ও মসুলিমদের প্রমাণিত শত্রু ।শুধু সম্পর্ক রক্ষা বললে কমই বলা হবে রীতিমত দালালিও করে।এটার কারন কি?
সবকিছু জেনে বুঝে তো মানুষের নিজেরপায়ে নিজে এভাবে কুড়াল মারার কথা না।
এর কারন অনেক গভীর।এই লেখায় আমি ঐসমস্ত বিষয় আলোচনা করতে যাব না।জাস্ট এটুকুই বলছি,আল্লহ ও তার রাসুল (সঃ) এর দুশমন এমন কাউকে ভালবাসা,তাদের দালালি করা কেবল মাত্র তখনি সম্ভব যখন কোন ব্যক্তি আল্লহর চেয়ে দুনিয়াবি কোন ব্যক্তি বা বস্তুকে বেশি ভালবাসতে পারে।আল্লহর চেয়ে দুনিয়াবি বস্তুকে তখনি বেশি গুরুত্ব দেয়া সম্ভব যখন কেউ দুনিয়াবি ভোগে মত্ত হয় ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস কমে যায়।এধরনের ব্যক্তি যত বড় বুজুর্গ বা মানুষের নিকট সম্মানিত শায়খ হোক না আল ওয়ালা ওয়াল বারা এর দাবি হচ্ছে এদের ঘৃনা করা।ইভেন এদের যারা অনুসারী তাদেরকেও ঘৃনা করা ও পাশ কাটিয়ে চলা।এ ব্যাপারে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন,
হে মুমিণগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ জালেমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না।(সুরা মায়েদা-আয়াত-৫১)
উক্ত আয়াত মতে যে কাফেরদের বন্ধু রুপে গ্রহন করবে সে তাগুতের দালাল ও নিজেও তাগুত।এই তাগুতের দালালের সাথে যে বন্ধুত্ব করবে সেও তাগুত যদিও সে নামি দামি শায়খ বা পীর বুজুর্গ টাইপ কেও হয়।আবার এই বুজুর্গের অনুসারী যারা জেনে বুঝে শায়খকে অনুসরন করে তারাও তাগুত।কিন্তু যারা শুধু মাত্র শায়খের কিছু ভাল দিক দেখে তার অনুসারী হয়েছে তাদের ব্যাপারটা আলাদা।এরা ভ্রান্তির মধ্যে আছে কিন্তু তাগুত নয়।অর্থাৎ যারা যারা কাফেরদের সাথে বন্ধুত্ব করেছে তারা তাগুত,যারা জেনে বুঝে তাগুতের অনুসরন করে তারাও তাগুত,আবার তাগুত অনুসরনকারী তাগুতের অনুসারীরাও তাগুত।আর আল ওয়ালা ওয়াল বারার দাবি হচ্ছে এদেরকে ভালবাসা যাবে নাএদের সাথে কোন সম্পর্ক করা যাবে না,এদের সকলকে ঘৃনা করতে হবে যদিও তারা অনেকের কাছে সম্মানিত হয়।
বিষয়টা একটু কঠিন হয়ে গেল,প্র্যক্টিকাল উদাহরণ দিলে সহজ হবে,
আমেরিকা হচ্ছে কাফের,আমারিকার সাথে বন্ধুত্ব করেছে মুসলিম নামধারী সৌদি,তাদের সমর্থন ও ফতোয়া দিয়ে সহায়তা করেছে শায়খ নামধারী তাগুতেরা,এসব ফেমাস দরাবারি শায়খদের গুন গান বর্ণনা করে তাদের গ্রহণঅযোগ্য করেছে বিভিন্য দেশের লোকাল শায়খেরা,এসব লোকাল শায়খদের গুনা গান বর্ণনা করে তাদের গ্রহণযোগ্য করেছে এদের লোকাল অনুসারীরা।ইসলামের ভাষায় এরা সিকলেই তাগুত (অজ্ঞরা বাদে)।আল ওয়ালা ওয়াল বারার দাবি হচ্ছে এদের প্রত্যেককে ঘৃনা ক্রতে হবে,এদের সাথে কোন রকম সম্পর্ক করা যাবেনা।তবে দাওয়ার উদ্দেশ্যে লোক দেখানো সম্পর্ক করা যেতে পারে কিন্তু কখনই মন থেকে এদের ভালবাসা যাবে না।এদের ভালবাসার অর্থই হচ্ছে আল্লহর শত্রুদের ভালবাসা।
যেভাবে আমরা পরিপূর্ণ আল ওয়ালা ওয়াল বারা এর অনুসরণ করতে পারি হতে পারিঃ
আমরা এত প্যাচ গোচে না গিয়ে খুব সহজেও আল ওয়ালা ওয়াল বারা অনুসারণ করতে পারি হতে পারি।আল্লহর জন্য ভালবাসার খুব সহজ সরল পন্থা হচ্ছে তাকে ভালবাসা যাকে আল্লাহ ভালবাসেন।আর আল্লহর জন্য ঘৃণার সহজ পন্থা হচ্ছে তাদের ঘৃণা করা যাদের আল্লহ ঘৃনা করেন।
‘(হে মুহাম্মদ) আপনি বলে দিন যদি তোমরা আল্লাহর ভালবাসা পেতে চাও তবে আমাকে (নবীকে) অনুসরণ কর। আল্লাহ্ তোমাদের ভালবাসবেন এবং তোমাদের গুনাহ্ সমূহ ক্ষমা করে দিবেন। আর আল্লাহ মহাক্ষমাশীল ও পরম করুণাময়।”(সূরা আলে ইমরান-৩১)
উপরের আয়াত থেকে স্পষ্ট আল্লহর ভালবাসা পেতে হলে আমাদের রাসুল (সঃ) কে অনুসরন করতে হবে।এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যেন আমরা দুনিয়াবি নেতা,পীর বুজুর্গ শায়েখ মাশায়েখদের আল্লহর রাসুল (সঃ) এর চেয়ে বেশি আনুগত্য কিংবা রাসুল (সঃ) এর পরিবর্তে অনুসরণ নাকরে ফেলি। ।যেসব বিষয়ে দললিক মতভেদ আছে সেসব বিষয়ে আমরা অবশ্যই সেসকল বিষয়ে পন্থা অবলম্বন করব না।মতভেদপূর্ণ বিষয়ে বারাবারি করা আল্লহ ও তার রাসুলের প্রতি বেশি ভালবাসা দেখানো নয়,বরং উম্মাহর মধ্যে ফাটল ধরিয়ে শয়তানকে সুযোগ করে দেয়া।এ বিষয়টি আমাদের স্মরণ রাখতে হবে।
আমরা একনজরে দেখে নিই আল্লাহ আর কাদের ভালবাসেন ও কাদের ঘৃনা করেন।
আল্লহ যাদের ভালবাসেনঃ
►নিশ্চয় আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন, যারা সীসাঢালা প্রাচীরের ন্যায় সারিবদ্ধভাবে আল্লাহর পথে লড়াই করে । [সূরা আলে সাফ,৪]
► আল্লাহ সৎকর্মশীলদিগকেই ভালবাসেন। [ আলে ইমরান ১৩৪ ]
► আল্লাহ অনুগ্রহকারীদেরকে ভালবাসেন। [ আল-বাক্বারা ১৯৫ ]
► অবশ্যই আল্লাহ পরহেজগারদেরকে ভালবাসেন। [ আলে ইমরান ৭৬ ]
►নিশ্চয় আল্লাহ তাওবাকারীদের ভালোবাসেন ভালোবাসেন । [সূরা বাকারা ,২০৫]
► আল্লাহ পবিত্র লোকদের ভালবাসেন। [ আত-তাওবা ১০৮ ]
► আল্লাহ তাওয়াক্কুল কারীদের ভালবাসেন। [আলে ইমরান : ১৫৯]
►নিশ্চয় আল্লাহ সুবিচারকারীদেরকে ভালবাসেন। [মায়িদা : ৪২]
►আর যারা সবর করে, আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন। [আলে ইমরান : ১৪৬]
►আল্লাহ ইনসাফকারীদেরকে ভালবাসেন। [আল-মুমতাহেনা : ৮]
►বস্তুতঃ আল্লাহ সৎকর্মশীলদিগকেই ভালবাসেন। [আলে ইমরান : ১৩৪]
►আল্লাহ সাবধানীদের পছন্দ করেন। [আত-তাওবা : ৪,৭]
আল্লাহ যাদের ভালোবাসেন না এবং পছন্দ করেন নাঃ
►আল্লাহ কাফেরদিগকে ভালবাসেন না। [আলে ইমরান : ৩২]
►আল্লাহ অত্যাচারীদেরকে ভালবাসেন না। [আলে ইমরান : ৫৭]
►আল্লাহ দাম্ভিকদেরকে ভালবাসেন না। [আল-কাছাছ : ৭৬]
►আল্লাহ বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদেরকে পছন্দ করেন না। [আল-কাছাছ : ৭৭]
►নিশ্চয়ই আল্লাহ ধোকাবাজ, প্রতারককে পছন্দ করেন না। [আল- আনফাল : ৫৮]
►নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদে রকে পছন্দ করেন না। [আল- বাক্বারা:১৯০;আল-মায়িদা:৮৭]
►আল্লাহ ফাসাদ ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা পছন্দ করেন না। [আল-বাক্বারা : ২০৫]
►তিনি অপব্যয়ীদেরকে পছন্দ করেন না। [আল-আরাফ : ৩১]
►আল্লাহ পছন্দ করেন না তাকে, যে বিশ্বাস ঘাতক পাপী হয়। [আন- নাস : ১০৭]
►আল্লাহ কোন বিশ্বাসঘাতক অকৃতজ্ঞকে পছন্দ করেন না। [আল- হাজ্জ্ব : ৩৮]
নিজদের স্বার্থ, দলপ্রীতি, সজনপ্রীতি,জাতীয়তাবাদ ইত্যাদিকে পাশ কাটিয়ে তাদেরকে ভালবাসতে শিখি যাদের আল্লহ ভালবাসেন,তাদেরকে ঘ্রৃনা করতে শিখি যাদের আল্লহ ভালবাসেন না।তাহলেই পরিপূর্ণ আল ওয়ালা ওয়া্লা বারা এর অনুসরণ করতে পারব।আল্লহ আমাদের সকলকে পরিপূর্ণভাবে আল ওয়ালা ওয়াল বারা এর অনুসরণ এর তৌফিক দান করুন আমিন
ধন্যবাঃ সোহাগ আহমদ
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৫৫
জমীরউদ্দীন মোল্লা বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখেছেন।