![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তিনি ছিলেন দলের ২য় পছন্দের গোলকীপার।কোচের ১ম পছন্দ গিভেন এর ইনজুরিতে দলে সুযোগ পেলেন।সুযোগ পেয়েই এমন পারফর্ম করলেন যে দলের ফার্স্ট চয়েস গোলকিপারকে বেঞ্চে ঠেলে দিয়ে নিজে হয়ে গেলেন ১ম একাদশের রেগুলার স্টার্টার।পেশাদার ক্যারিয়ার শ্রেউসবুরি টাউনে শুরু করলেও ২০০৬ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে যোগ দিলেন ম্যানচেস্টার সিটিতে।ব্ল্যাকপুলে লোন স্পেল শেষ করে ম্যান সিটিতে ফেরার পর কোচ সভেন জরান এরিকসন আইস্যাকসন কে রেখে হার্টকে করলেন প্রধান গোলরক্ষক। নিউক্যাসলের বিপক্ষে একটি ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স এর পর তিনি বলেছিলেন, "one of the biggest talents in this country as a goalkeeper" এর মাসখানেক পরেই ইংল্যান্ডের হয়ে অভিষেক হয় তার।
পরবর্তী সিজনে কোচ পরিবর্তন হলে নতুন কোচ তাকে ২০০৯-১০ সিজনের জন্য বারমিঙ্গহামে লোনে পাঠান।সেখানে একের পর এক ম্যাচে করেন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স,চোখ ধাঁধানো সব সেভ।তিনি সেবার হন বারমিংহাম সিটির প্লেয়ার অব দ্যা ইয়ার,মনোনীত হন পিএফএ ইয়াং প্লেয়ার অব দ্যা ইয়ার অ্যাওয়ার্ড এর জন্য। শেষ পর্যন্ত তা না পেলেও পিএফএ টিম অব দ্যা ইয়ারে ঠিকই জায়গা করে নেন।
মানচিনির অধীনে ২০১০-১১ সিজনে টটেনহ্যামের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই হন ম্যান অব দ্যা ম্যাচ।চেলসি,ম্যান ইউ,লিভারপুলসহ বিভিন্ন দলের বিপক্ষে দেখান একের পর এক অসাধারণ পারফরম্যান্স।এমনকি স্যার এলেক্স ফারগুসন পর্যন্ত বলেছিলেন, ‘জো হার্টই ইংল্যান্ডের ভবিষ্যৎ’। হার্ট এফএ কাপ ফাইনালে দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে সাহায্য করেন।এক সিজনে সর্বচ্চো ২৯ টি ক্লিন শীট রেখে ক্লাব রেকর্ড করেন।১৮ টি ক্লিন শীট রেখে জিতেন প্রিমিয়ার লীগ গোল্ডেন গ্লোভ অ্যাওয়ার্ড।এসব অতিমানবীয় পারফরম্যান্সের মাধ্যমে পূর্ববর্তী ১ম গোলকিপার গিভেনকে বাধ্য করেন ক্লাব ছাড়তে।
এরপর ২০১১-১২,২০১২-১৩ তেও জেতেন গোল্ডেন গ্লোভ অ্যাওয়ার্ড।২০১১-১২ তে সিটিকে ৪৪ বছর পর লীগ শিরোপা জিততে সাহায্য করেন,জায়গা পান পিএফএ টিম অব দ্যা ইয়ার ২০১১-১২ তে।সে সময়ের জো হার্ট কি ছিলেন তা এসব লেখার মাধ্যমে বুঝানো যাবে না।যারা তখন তার খেলা দেখেছিল,কেবল তারাই হয়তো বুঝবে।
মূলত ২০১২-১৩ থেকেই অসম্ভব প্রতিভাবান হার্টের ডাউনফলের শুরু।এফএ কাপ ফাইনালে উইগানের ওয়াটসনের হেডারে শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে শিরোপা হারানো,চেলসির সাথে ৯০তম মিনিটে তার ভুলে তরেসের গোলে ২-১ হার,রিয়াল মাদ্রিদের সাথে ইউসিএল এর অ্যাওয়ে ম্যাচে অদ্ভুতুড়ে ভুলসহ আরও অনেক ভুলের কারনেই কোচের আস্থা হারান।২০১৩-১৪ তে এসে আরও কিছু খারাপ পারফরম্যান্সের খেসারত দেয় দল।জায়গা হারান ২য় গোলরক্ষক প্যান্টিলিমনের কাছে।এবার যে ১ নং জায়গাটা ধরে রাখতে আরও পরিশ্রম করতে হবে তা নিশ্চিত হয় কাবালেরোর আগমনে।
এখনকার সেরা তরুন গোলকিপারদের কথা উঠলেই যাদের নাম আসবে তারা হলেন বায়ার্নের নুয়্যার,চেলসির করতোয়া। কিন্তু মনে রাখতে হবে মেধাবী হার্ট তাদের অনেক আগেই সময়ের অন্যতম সেরা গোলকিপার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।তাকে ভাবা হত ক্যাসিয়াস,বুফনদের যোগ্য উত্তরসূরি।কিন্তু খারাপ ফর্মের কারণে হয়তো তার আত্মবিশ্বাসের যে ঘাটতি দেখা দিয়েছে,তাতেই হয়তো কিছুটা পিছিয়ে গেছেন।তার পারফরম্যান্সের উথান না হোক,যে ফর্মে ছিলেন তা ধরে রাখতে পারলেই হয়তো আজকের নুয়্যার,করতোয়াদের চেয়ে অনেক উপরেই থাকতেন। Form is temporary, class is permanent. আশা করি জো হার্ট আবার তার জাদুকরী ফর্মে ফিরবেন।
©somewhere in net ltd.