নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অপাংক্তেয় সুমন

অপাংক্তেয় সুমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

চেলসি ম্যানেজমেন্টের দক্ষতা

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৪

চেলসির স্কাউটিং টিম আর ট্রান্সফার এর সাথে জড়িত লোকেরা যে তাদের কাজে খুবই দক্ষ তার প্রমান তারা প্রতিনিয়ত রেখে চলেছেন। শিকারি চিলের মত অন্যের টার্গেট ছোঁ মেরে কেড়ে নিতে চেলসির জুড়ি মেলা ভার। এডেন হ্যাজার্ড চেলসিতে যোগ দেয়ার আগে তাদের ঘিরে কোন গুজবও তেমন শোনা যায়নি। হ্যাজার্ডের সাথে সবচেয়ে বেশি লিংকড ছিল ম্যান সিটি ও ম্যান ইউ। এমনকি এই দুই ক্লাবের যেকোন একটিতে তার যোগ দেয়া মোটামুটি নিশ্চিত ছিল। ইতিহাদে অনুষ্ঠিত ম্যানচেস্টার ডার্বিতে খেলা দেখতে এসেছিলেন হ্যাজার্ড। সেখানে সাংবাদিকেরা তার ট্রান্সফারের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেছিলেন, “লাল না নীল? আমার মনে হয় নীলেই আমাকে ভাল মানায়”। এরপর ম্যানচেস্টারের দুই ক্লাবকে হতাশ করে যোগ দিল চেলসিতে, যাদের নিয়ে তেমন কোন আলোচনাই হয়নি। এরপরই ইউনাইটেড কিনলো কাগাওয়াকে।আর সিটির লেফট উইংটা মোটামুটি খালিই থাকলো।

উইলিয়ানকে স্কাউটিং করলো লিভারপুল, কিন্তু তাদের ছেড়ে সে মেডিকেল করলো লন্ডনের ক্লাব টটেনহ্যামে। কিন্তু দৃশ্যপটে আবির্ভূত হল চেলসি, বিস্ময়করভাবে বগলদাবা করলো উইলিয়ানকে। অতি সম্প্রতি সালাহকেও প্রায় একই প্রক্রিয়ায় দলভুক্ত করে চেলসি। সালাহ এর সাথে লিভারপুল প্রায় ৩ মাস লিংকড ছিল। স্কোয়াড গভীরতা বাড়াতে জানুয়ারি ট্রান্সফারে হন্যে হয়ে প্লেয়ার খুঁজছিল লিভারপুল,কেনার কথা ছিল সালাহকে। যে চেলসির আগে সালাহ এর ব্যাপারে তেমন ইন্টারেস্টই ছিল না,তারাই কয়েকদিনের মধ্যেই ডিল কনফার্ম করে ফেললো।সালাহ চেলসির জন্য তেমন প্রয়োজনীয় ছিল না। হয়তো সে সময় লিভারপুল শিরোপার দাবিদার হয়ে উঠায় মরিনহোর পরিকল্পনা মতে এটি করা হয়।

চেলসির সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল তারা যখন কোন প্লেয়ারের সাথে লিংকড হয়, তখন বেশ জোরালোভাবেই হয়। আর যাকে টার্গেট করে তাঁকে প্রায় নিয়েই ছাড়ে।আর উড়ে এসে জুড়ে বসার মত ট্রান্সফারের উদাহরণ তো দিলামই। অবশ্য লন্ডনের ক্লাব,প্লেয়ারদের বেতন, মরিনহো ফ্যাক্টর ইত্যাদি কিছুটা কাজ করে। এবারের ট্রান্সফারই ধরুন।কস্তা,ফ্যাব্রিগাসকে তারা এক হিসাবে কিছুটা কমেই পেয়েছে।আর চেলসি বোর্ড যেখানে প্লেয়ার লাগে, সে পজিশনের প্লেয়ারই কিনে,অযাচিত খরচ করে না। রিয়াল মাদ্রিদ বা অন্যদের মত জগা খিচুড়ি তৈরি করেনা। শুধু টাকা খরচ করলেই হয় না,জায়গামত খরচ করতে হয়।

শুধু মূল একাদশ নয়,তারা একাডেমী ও বয়সভিত্তিক পর্যায়েও ভাল কাজ দেখাচ্ছে। চেলসির একাডেমী এখন অনেক ভাল করছে।এছাড়া তাদের স্কাউটিং টিমও বেশ ভাল। করতোয়ার মত প্লেয়ার পাওয়া অবশ্যই অনেক বড় একটা ব্যাপার।ক্যাহিলকে তারা কিনেছিল বোল্টন থেকে।এছাড়া ব্রাজিলিয়ান অস্কারকেও তারা এমন সময়ে কিনেছে যখন ইয়োরোপের আরও অনেক ক্লাবেরই চোখ ছিল। আর শুরলের মত প্রতিভাবান প্লেয়ারকেও তারা পেয়েছে।চেলসির রয়েছে জুমা,ব্যামফোর্ড,আটসুর মত প্রতিভাবান তরুন খেলোয়াড় যারা ভবিষ্যতে বড় তারকা হতে পারে।এ সিজনে চেলসির ২৩ জন প্লেয়ার ইউরোপের বিভিন্ন ক্লাবে লোনে খেলছে।
প্লেয়ার ক্রয়ের সাথে বিক্রিতেও সমান দক্ষ চেলসি। বিভিন্ন প্লেয়ার থেকে সম্ভাব্য সর্বচ্চো মূল্য আদায় করেছে তারা। সর্বোপরি ক্লাব ম্যানেজমেন্টে দারুণ দক্ষতা দেখিয়ে এফএফপি যুগে বেশ ভালোই অবস্থান তৈরি করেছে চেলসি। ‘অতিরিক্ত খরচ করা চেলসি’ আজ তাই এক্ষেত্রে অন্যান্য অনেক ক্লাবের জন্য রোল মডেল।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৯

মাইকেল কলিয়নি বলেছেন: Samu te Chelsea fan ache or Chelsea niye positive otha hoy jantam i na
dekhe onek valo laglo. Bangali to football bolte buje Messi ar Ronaldo. ask korle Barsa r Madrid er full squard i bolte parbo na.media & newspaper gula o tai.
ar baki jara football buje tara hoy Arsenal ,noy Liverpool or United fans.
Chelsea fans onek kom. tobe Chelsea fan der quality ache. ja onno club gular nai
#KTBFFH #Banglablues #CTID

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.