নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডানে গেলে জঙ্গীবামে গেলে নাস্তিক;দ্বন্দ্বেতে নেই বাপুআছি হেথা মাঝ ঠিক

কি করি আজ ভেবে না পাই

ডানে গেলে জঙ্গী বামে গেলে নাস্তিক; দ্বন্দ্বেতে নেই বাপু আছি হেথা মাঝ ঠিক।

কি করি আজ ভেবে না পাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

রমযান সম্পর্কিত কিছু বিদআতের নমুনা

২৭ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৭:২৬

কোন কোন অঞ্চলে বা সমাজে রমযান মাসে এক এক প্রকার বিদআত প্রচলিত হয়ে পড়েছে। সে সকল বিদআত থেকে সাবধান করার জন্য এখানে কিছু বিদআত উল্লেখ করা সঙ্গত বলে মনে করছি।

১। রোযার নিয়ত মুখে উচ্চারণ করা।

২। ‘‘নাওয়াইতু আন আসূমা গাদাম মিন শাহরি রামাযান’’ বলে বাঁধা নিয়ত বলা।

৩। রমাযানের রাত্রে কুরআন পড়ার জন্য ভাড়াটিয়া ক্বারী ভাড়া করা।[1]

৪। মাইকে এক রাত্রে কুরআন খতম (শবীনা পাঠ) করা।

৫। মীলাদ বা মওলূদ পাঠ করা এবং তার শেষে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর শানে দরূদ পাঠ করার জন্য উঠে দাঁড়িয়ে মনগড়া দরূদ পড়া। সেই সাথে মুনাজাতে আমলের সওয়াব আম্বিয়া ও আওলিয়া বা কোন আত্মীয়র রূহের জন্য বখশে দেওয়া।[2]

৬। পূর্বসতর্কতামূলক কর্ম ভেবে ফজর হওয়ার ৫/১০ মিনিট আগে খাওয়া বন্ধ করা এবং সূর্য অস্ত যাওয়ার ৩/৫ মিনিট পরে ইফতার করা।[3]

৭। সেহরী ও ইফতারের সময় জানানোর উদ্দেশ্যে তোপ দাগা।[4]

৮। সেহরী খেতে জাগানোর উদ্দেশ্যে আযানের পরিবর্তে কুরআন ও গজল পাঠ করা।

৯। মসজিদের মিনারে সেহরী ও ইফতারের জন্য নির্দিষ্ট লাইট ব্যবহার করা। যেমন, সেহরীর সময় শেষ হলে লাল বাতি এবং ইফতারীর সময় শুরু হলে সবুজ বাতি জ্বালিয়ে দেওয়া।[5]

১০। সেহরী না খেয়ে অধিক সওয়াবের আশা করা।[6]

১১। কুরআন খতম হওয়ার পর বাকী রাতে তারাবীহ না পড়া।[7]

১২। প্রথমে পানি না খেয়ে আদা ও লবণ দিয়ে ইফতারী করাকে ভালো মনে করা।

১৩। ইফতারের আগে হাত তুলে জামাআতী মুনাজাত করা।

১৪। ইফতারের সময় ‘‘আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা বিরাহমাতিকাল্লাতী অসিআত কুল্লা শাইইন আন তাগফিরা লী’’ বলে দুআ করা।[8]

১৫। ইফতারের সময় ‘‘আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু, অবিকা আ-মানতু, অআলাইকা তাওয়াক্কালতু, অআলা রিযক্বিকা আফতারতু, বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামুর রা-হিমীন’’ বলে দুআ করা।

১৬। বিশেষ করে রজব, শাবান ও রমাযানে মৃতদের কল্যাণের উদ্দেশ্যে দান-খয়রাত করা।[9]

১৭। সারা বছর নামায না পড়ে এবং তার সংকল্প না নিয়ে কেবল রমাযান মাসে রোযা রেখে (ফরয, সুন্নত ও নফল) নামায পড়া ও তসবীহ আওড়ানো।[10]

১৮। শবেকদরের ১০০ বা ১০০০ রাকআত নামায পড়া।

১৯। শবেকদরে বিশেষ করে ‘সালাতুত তাসবীহ’ নামায পড়া।

২০। কেবল ২৭শের রাতকে শবেকদর মনে করা এবং কেবল সেই রাত জাগরণ করা ও বাকী রাত না জাগা।

২১। বিশেষ করে শবেকদরের রাতে উমরাহ করা।[11]

২২। বিশেষ করে ২৭শের রাত্রি জাগরণ করে জামাআতী যিক্র করা, নানা রকমের পানাহার সামগ্রী তৈরী বা ক্রয় করে পান-ভোজন করা, মিষ্টি বিতরণ করা ও ওয়ায-মাহফিল করা।[12]

২৩। নির্দিষ্ট কোন রাতে একাকী বা জামাআতী নির্দিষ্ট যিকির পড়া।[13]

২৪। সাতাশের রাত্রে লোকেদের মিষ্টি কিনতে ভীড় করা, (তা খাওয়া ও দান করা)।[14]

২৫। ঈদের রাত্রি জাগরণ করে ইবাদত করা। পূর্বে উল্লেখিত হয়েছে যে, এ ব্যাপারে বর্ণিত হাদীসটি জাল।[15]

২৬। রমাযানের শেষ জুমআহ (বিদায়ী জুমআহ) বিশেষ উদ্দীপনার সাথে পালন করা।

২৭। মা-বাপের নামে বিশেষ ভোজ-অনুষ্ঠান করা।[16]

২৮। শাবানের ১৫ তারীখের রাতে নামায ও দিনে রোযা রাখা।[17] বলা বাহুল্য এ ব্যাপারে কোন সহীহ হাদীস নেই।

সবশেষে এ কথা সকল মুসলিমের জেনে রাখা উচিত যে, নিশ্চয় উত্তম বাণী আল্লাহর গ্রন্থ এবং উত্তম পথ-নির্দেশ মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) -এর পথ-নির্দেশ। সব চেয়ে মন্দ কর্ম দ্বীনের অভিনব রচিত কর্মসমূহ। এবং প্রত্যেক নব কর্মই বিদআত, আর প্রত্যেক বিদআত্ই ভ্রষ্টতা।’’ ‘‘এবং প্রত্যেক ভ্রষ্টতার স্থান দোযখে।’’[18]

মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি কোন এমন কাজ করে যার উপর আমাদের কোন নির্দেশ নেই তা প্রত্যাখ্যাত।’’[19] তিনি আরো বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি আমাদের এ (দ্বীন) বিষয়ে কিছু এমন কর্ম উদ্ভাবন করবে যা ওর পর্যায়ভুক্ত নয়, তা প্রত্যাখ্যাত।’’[20]

ফুটনোট
[1] (মু’জামুল বিদা’ ২৬৮পৃঃ, দুরুসু রামাযান অকাফাত লিস্-সায়েমীন ৪০পৃঃ)

[2] (আহকামুল জানায়েয, আলবানী ২৬০-২৬১পৃঃ)

[3] (ফাতহুল বারী ৪/১৯৯, তামামুল মিন্নাহ, আল্লামা আলবানী ৪১৫পৃঃ, মু’জামুল বিদা’ ২৬৮, ৩৬১পৃঃ)

[4] (মু’জামুল বিদা’ ২৬৮পৃঃ)

[5] (ফাতহুল বারী ৪/১৯৯, মু’জামুল বিদা’ ৩৬১পৃঃ)

[6] (মু’জামুল বিদা’ ৩৬১পৃঃ)

[7] (ঐ ২৬৮পৃঃ)

[8] (এ ব্যাপারে আসারটি যয়ীফ। দ্রঃ যয়ীফ ইবনে মাজাহ, আলবানী ৩৮৭, ইরওয়াউল গালীল, আলবানী ৯২১নং, আর ইফতারীর বিবরণে আলোচিত হয়েছে যে, ‘‘যাহাবায যামাউ---’’ ছাড়া ইফতারীর জন্য অন্য কোন দুআ বিশুদ্ধভাবে প্রমাণিত নয়।)

[9] (আহকামুল জানায়েয, আলবানী ২৫৭নং বিদআত, মু’জামুল বিদা’ ২৬৯পৃঃ)

[10] (মু’জামুল বিদা’ ২৭০পৃঃ)

[11] (আশ্শারহুল মুমতে’ ৬/৪৯৬, ৪৯৭)

[12] (মাজাল্লাতুদ দা’ওয়া, ইবনে বায ১৬৭৪/১৪ রমাযান ১৪১৯হিঃ)

[13] (ঐ)

[14] (মু’জামুল বিদা’ ২৬৯পৃঃ)

[15] (দ্রঃ সিলসিলাহ যায়ীফাহ, আলবানী ৫২০, ৫২১, ৫২২নং, মু’জামুল বিদা’ ৩৩২পৃঃ, দুরুসু রামাযান অকাফাত লিস্-সায়েমীন ১০০পৃঃ)

[16] (ফাসিঃ মুসনিদ ১০৪পৃঃ, তাযকীরু ইবাদির রাহমান, ফীমা অরাদা বিসিয়ামি শাহরি রামাযান ৫০পৃঃ)

[17] (মু’জামুল বিদা’ ৩৬২পৃঃ)

[18] (মুসলিম, নাসাঈ)

[19] (মুসলিম)

[20] (বুখারী, মুসলিম)

নেট থেকে সংগৃহীত।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৯:০৯

আহলান বলেছেন: নেটে পাইছেন আর মাইরা দিছেন .... নিজে তাফাক্কুল করেন নাই যে এগুলো কতটা সংগত আর অসংগত .... যা বলেছেন তার পক্ষেও হাজার হাজার যুক্তি নেট সার্চ করলেই পাবেন .... আপনি আপনার পথে থাকুন, অপরকে বিভ্রান্ত করবেন না

২৮ শে জুন, ২০১৫ ভোর ৫:২৮

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: ''নেটে পাইছেন আর মাইরা দিছেন'' ...কথাটা বুঝলামনা, হাদীস তো কেও আর বানাতে পারেনা, সংগ্রহ করে রেফারেন্স সহ উল্লেখ করা যায় মাত্র।আমি ঠিক তাই করার চেষ্টা করেছি।

''নিজে তাফাক্কুল করেন নাই যে এগুলো কতটা সংগত আর অসংগত ....'' কি করে বুঝলেন তা।আবার সেই এক কথা রেফারেন্স দিয়ে উল্লেখ করেছি। মানবীয় বিবেচনায় সংগত অসংগত বলার কোন সুযোগ নেই।আসল কথা সনদ/দলিল কি বলে।

''যা বলেছেন তার পক্ষেও হাজার হাজার যুক্তি নেট সার্চ করলেই পাবেন .... আপনি আপনার পথে থাকুন, অপরকে বিভ্রান্ত করবেন না''........ ইবলিশ শয়তানের নিজের পক্ষেও হাজার হাজার যুক্তি আছে, যুক্তি দিলেই কোন কিছু প্রতিষ্ঠিত হয়না,প্রমান লাগে।কেউ ভুল বললেই আপনি বিভ্রান্ত হবেন কেনো.........তথ্যসূত্র যাচাই করে সিদ্ধান্তে আসুন।
যাই হোক আমিও আপনারই মতন সত্যের অনুসন্ধান করছি। এ ব্যাপারে আপনার সাথে ফলপ্রসূ স্বাস্থ্যকর আলোচনা/মত বিনিময় হতে পারতো।সেটাই প্রত্যাশা করি।
সমালোচনার জন্য ধন্যবাদ। আমিও শিখছি..........

২| ২৭ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১০:৩৩

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আপনার পোস্ট পড়ে মনে হচ্ছে, কয়দিন পর ফতোয়া দিবে, বাসে/গাড়িতে চড়া বিদাত ! দয়া করে হাক্কানি আলেমের কাছে গিয়ে যাচাই বাছাই করুন।

২৮ শে জুন, ২০১৫ ভোর ৫:৪৬

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: ক্য়দিন পর বলছেন কেনো, অলরেডি মাইকে আজান দেয়া বিদআত, প্যান্ট-শার্ট;কোট-টাই পরা বিদআত, টিভি তে ইসলামিক প্রোগ্রাম বিদআত, কত নিত্য নতূন ফতোয়া শোনা যায়। আলেম সমাজ নিজেরাও আজ বহু বিভক্ত।একজন আরেকজনকে বাতিল বলে ফতোয়া দেয়।
চারদিকে বিভ্রান্তির ছড়াছড়ি। তবে আশার কথা প্রযুক্তির কল্যাণে আজকাল তথ্যসূত্র যাচাই করা অনেকটা সহজ। মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে প্রকৃত সত্য অনুধাবনের তওফিক দিন, আমিন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ২৭ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ২:০৫

জেকলেট বলেছেন: ভাই ১৭ নাম্বার পয়েন্ট টা কি নিজের মনের মত করে দিলেন??? ফরজ নামাজ না পড়াটা সবসময়ই সমান অপরাধ। কিন্তু কেউ যদি রমজানে ফরজ নামাজ আদায় করে তাহলে বেদায়াত হয়ে যাবে??? মাথা ঠিক আছে ত??
বস্তুত রামাদানকে বলা হয় ট্রেনিং এর মাস। এই মাসে আমাদেরকে স্বরন করিয়ে দেয়া হয় একজন মুসলমান কেমনে চলা উচিত। আপনার লেখা দেখে মনে হ্য় কেউ যদি সারা বছর নামাজ না পড়ে তাহলে রামাদানেও নামাজ না পড়া উচিত!!! আর বেদায়াতের মানে কি জানেন?? নিজের পোস্টেই তো অনেক বেদায়াত করলেন।

২৮ শে জুন, ২০১৫ ভোর ৬:০৯

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: এখানে বুঝার একটু ভুল হয়েছে। ১৭ নাম্বার পয়েন্টে মূলত বলা হয়েছে, অনেকেই শূধু মাত্র রমজান মাসেই ইবাদাতের নিয়ত করেন। রমজান শেষে আবার পূ্র্বের মতন নামাজ দোয়া সব ছেড়ে দেন। এই সমস্ত মানুষদের নিয়তকেই এখানে বিদআত বলা হয়েছে।
আপনি ঠিকই বলেছেন, এই মাস ট্রেনিং এর মাস, আত্মশুদ্ধির মাস। এই মাসের কঠিন অনুশীলনের মাধ্যমে আমরা নিয়ত করি সারাবছর একি ভাবে ইবাদাত বন্দেগী করবো। রমজানের পর যদি আত্মশুদ্ধি নাই হ্য়, তবে এই মাসের অনুশীলন তো কোনো কাজেই আসলনা।এবং মাগফেরাতও পেলামনা। হাদীস মতে তাওবা কবূল হয়েছে কিনা মুটামুটি বুঝার উপায় হলো সেই অপরাধ আর পরবর্তীতে না করা।এই পবিত্র মাসের নাজাতের তালিকায় আল্লাহ আপনাকে কবুল করুন এই দোয়া করি।
সুন্দর সমালোচনার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। সালাম।

৪| ২৭ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৫

অর্থহীন পথচলা বলেছেন: ভাই আপনারে আজীবন এর জন্য ব্লক করা দরকার । কারন আপনি অতীব ফালতু কতগূলা তথ্য দিয়ে মানুষকে ভূলপথের দিকে ধাবিত করার চেষ্টা করছেন

২৮ শে জুন, ২০১৫ ভোর ৬:১০

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: ভয় পাইছি.........

৫| ২৮ শে জুন, ২০১৫ ভোর ৬:১৩

শাহ্‌ ফখরুল ইসলাম আলোক বলেছেন: মাশা'আল্লাহ্। পোস্টটিতে প্রচুর পরিশ্রম করেছেন বোঝা যাচ্ছে।
তবে ১৭ নম্বর পয়েন্টটি পড়ে একটু খটকা লাগলো, যেহেতু রমজান মাস আত্মশুদ্ধির মাস, তাই যদি বেনামাজি কেউ এ মহান মাসে নামাজি হয়ে যায় এবং যদি তা অব্যাহত রাখে, তাহলে?

২৮ শে জুন, ২০১৫ ভোর ৬:২৩

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: এই কিছুক্ষন আগে মাত্র জেকলেট ভাই কে রিপ্লাই করেছি.....
''১৭ নাম্বার পয়েন্টে মূলত বলা হয়েছে, অনেকেই শূধু মাত্র রমজান মাসেই ইবাদাতের নিয়ত করেন। রমজান শেষে আবার পূ্র্বের মতন নামাজ দোয়া সব ছেড়ে দেন। এই সমস্ত মানুষদের নিয়তকেই এখানে বিদআত বলা হয়েছে।
আপনি ঠিকই বলেছেন, এই মাস ট্রেনিং এর মাস, আত্মশুদ্ধির মাস। এই মাসের কঠিন অনুশীলনের মাধ্যমে আমরা নিয়ত করি সারাবছর একি ভাবে ইবাদাত বন্দেগী করবো। রমজানের পর যদি আত্মশুদ্ধি নাই হ্য়, তবে এই মাসের অনুশীলন তো কোনো কাজেই আসলনা।এবং মাগফেরাতও পেলামনা। হাদীস মতে তাওবা কবূল হয়েছে কিনা মুটামুটি বুঝার উপায় হলো সেই অপরাধ আর পরবর্তীতে না করা।এই পবিত্র মাসের নাজাতের তালিকায় আল্লাহ আপনাকে কবুল করুন এই দোয়া করি।''
যাক অন্তত একজন পেলাম যিনি আমার পরিশ্রমকে এপ্রিশিয়েট করেছেন।অনেক অনেক ধন্যবাদ।সালাম।

৬| ২৮ শে জুন, ২০১৫ ভোর ৬:৩৩

শাহ্‌ ফখরুল ইসলাম আলোক বলেছেন: দুঃখিত ভাই, মন্তব্য করার পরেই দেখি 'জেকলেট' -এর সাথে আমার প্রশ্নটি হুবহু মিলে গেছে।

যাহোক, যৌক্তিক উত্তর দিয়েছেন আপনি। এমন উপকারী পোস্ট আরো আশা করবো। ধন্যবাদ আপনাকে।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৪

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ বন্ধুবর।
পাঠে কৃতজ্ঞতা।

৭| ২৮ শে জুন, ২০১৫ ভোর ৬:৩৯

শাহ্‌ ফখরুল ইসলাম আলোক বলেছেন: আমি আরো একটি পয়েন্টে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।


আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে যে, রমজানের প্রথম ১০ দিন রহমত, এরপরের ১০ দিন মাগফিরাত এবং শেষ ১০ দিন নাযাত। কিন্তু পুরো রমজান মাসই তো রহমত, মাগফিরাত আর নাযাতের মাস -এগুলোকে এভাবে ক্লাসিফাই করা কি বিদ'আত নয়? আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় -

২৮ শে জুন, ২০১৫ ভোর ৬:৫২

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: ঠিক আমার মনের প্রশ্নটিই করেছেন। আমিও অনেকদিন ধরে এর উত্তর খুজছি।খুজে পেলে অবশ্যই জানাবো, এটা আমার কর্তব্য।একি প্রত্যাশা আপনার কাছেও থাকলো।আপনার সত্যানুসন্ধান আমাকে মুগ্ধ এবং উৎসাহিত করেছে।
অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ এবং দোয়া রইল।দোয়া করবেন।

৮| ২৮ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৮

শাহ্‌ ফখরুল ইসলাম আলোক বলেছেন: ভাই, প্রথম ১০ দিন রহমত, এরপরের ১০ দিন মাগফিরাত এবং শেষ ১০ দিন নাযাত নিয়ে কোন সহীহ্ হাদীছ পেলাম না।

২৯ শে জুন, ২০১৫ ভোর ৫:৫৭

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: গত ২৬/০৬/২০১৫ দৈনিক প্রথম আলো সংখ্যায় একটি আর্টিকেল ছিলো ''মাহে রমজান,রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের রমজান'' এই শিরোনামে। লিন্কটি দিলাম।পড়ে দেখতে পারেন।মন্তব্য জানাতে ভুলবেন্না।
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/562351/রহমত-মাগফিরাত-ও-নাজাতের-রমজান

৯| ৩০ শে জুন, ২০১৫ রাত ১:১২

শাহ্‌ ফখরুল ইসলাম আলোক বলেছেন: আপনার দেয়া লিংকটি পড়লাম। লেখক ওখানে বলেছেন যে, হাদীছ শরীফে আছে; কিন্তু কোন হাদীছে আছে তা স্পষ্ট বলেননি। যদি বলে দিতেন, তাহলে আমাদের মত অর্ধশিক্ষিতদের সুবিধা হতো, তাই না?

৩০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৪

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: ঠিক বলেছেন, রেফারেন্স ছাড়া তথ্য নিয়ে এই হলো সমস্যা।একটা সন্দেহ রয়েই যায়।দেখি বোখারি ঘেটে কিছু পাই কিনা।পেলে অবশ্যই জানাবো।একি প্রত্যাশা আপনার কাছেও থাকল।

১০| ০৩ রা জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫

শাহ্‌ ফখরুল ইসলাম আলোক বলেছেন: ভাই, ফেসবুকে এক ভাই এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তার দেয়া তথ্যটি এখানে পেস্ট করলাম-

প্রথম ১০ দিন রহমতের! দ্বিতীয় ১০ দিন মাগফিরাতের!! তৃতীয় ১০ দিন নাজাতের!!!
-
রমাজান মাসটাকে এভাবে ৩ ভাগে কচুকাটার মতো ভাগ করলো কে শুনি?
.
স্বয়ং নাবী (সঃ)? নাকি আমাদের পেট মোটা বিদ'আতী মৌলভী??
.
১। ১০ম রমাজানের পর আল্লাহ্ তা'আলা কি রহমত করা বন্ধ করে দেন??
২। অথবা শুধুমাত্র রমাজানের শেষের দশদিনেই কি মানুষকে জাহান্নাম থেকে নাজাত দিয়ে থাকেন?? এর আগে কি কাউকেই নাজাত দেয়া হয় না??
৩। অথবা শুধুমাত্র মাঝের দশ দিনেই কি ক্ষমা করা হয়??
.
আসুন কুরআন সুন্নাহর আলোকে সঠিকটা জেনে নিই।
.
আমাদের দেশে রমাজান সম্পর্কিত বহুল প্রচারিত জঈফ তথা দুর্বল হাদীসগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি জঈফ হাদীস হলো, রমাজানের প্রথম দশদিনকে রহমত, মাঝের দশদিনকে মাগফিরাত এবং শেষের দশদিনকে নাজাতের সাথে সম্পর্কিত যে হাদীসটি প্রচার করা হয় সেটি।
.
এটি সুস্পষ্টভাবে সহীহ হাদীসের সাথে সাংঘর্ষিক!! মুহাদ্দিসগণ এই হাদীসকে মুনকার
(ভিত্তিহীন) বলেছেন। শাইখ বিন বায (রহঃ) ও এই সম্পর্কিত হাদীসকে মুনকার বলেছেন।
.
সহীহ হাদীস থেকে আমরা জানতে পারি যে রমাজান মাসের পুরোটাই অর্থাত্, প্রত্যেকটি দিন ই রহমত, মাগফিরাত আর নাজাতের। আসুন এবার দলিলগুলো জেনে নেয়া যাক।
.
নাবী (সঃ) বলেন, "যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় রমাজান মাসে রোযা রাখবে, তার
পূর্বের সকল গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।" (সহীহ বুখারী, হাঃ নং ১৯১০; সহীহ মুসলিম,
হাঃ নং ১৮১৭)
.
নাবী (সঃ) বলেন, "(রমাজানের) প্রতি দিন ও রাতে (জাহান্নাম থেকে) আল্লাহর কাছে বহু বান্দা
মুক্তিপ্রাপ্ত হয়ে থাকে। তাদের প্রত্যেক বান্দার দো'আ কবুল হয়ে থাকে (যা সে রমাজান মাসে
করে থাকে)।" (আহমাদ, হাঃ নং ৭৪৫০)
.
নাবী (সঃ) বলেন, "প্রত্যেক ইফতারের সময় আল্লাহর মুক্তিপ্রাপ্ত বান্দা রয়েছে আর তা
প্রত্যেক রাতে। (ইবনু মাজাহ্, হাঃ নং ১৬৪৩)
.
এই সহীহ্ হাদীসগুলো থেকে এটা সুস্পষ্টভাবে প্রমানিত যে, পুরো রমাজান মাসটাই
হচ্ছে রহমতের, মাগফিরাতের এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তির।
.
আল্লাহ্ তা'আলা আমাদেরকে জঈফ ও জাল হাদীস থেকে হিফাজত করে সহীহ্ আমল করার তৌফিক দান করুক, আমীন।

তথ্যসূত্র

০৫ ই জুলাই, ২০১৫ ভোর ৬:০৭

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: আমিন, সুম্মা আমিন
সেল্যূট ব্রাদার,ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা দুটোই জানাই অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে।
জাযাকআল্লাহ খায়ের।

১১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৩৭

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: এতো কিছু জানিনা, যা সঠিক জানি এবং ভাবি সেটাই করি। নিজে বুঝে পড়লে আজেবাজে নিয়মের প্রভাব কমে যাবে। এজন্যই বলা হয়েছে, 'পড়"।

০৫ ই জুলাই, ২০১৫ ভোর ৬:৫৯

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: কি সৌভাগ্য আমার,
চুপকথা দেখি বলছে, ভারী ভারী জ্ঞানের কথা, তাও আবার অহীর জ্ঞান (বহুত গেহেরা বাঁতে.....আদাব আরজ)
'নিজে বুঝে পড়লে আজেবাজে নিয়মের প্রভাব কমে যাবে। এজন্যই বলা হয়েছে, 'পড়"।'
চমৎকার বলেছেন।প্রথম বাণীই হলো ''ইক্বরা'' অর্থাৎ পড়।নিজে বুঝে পড়লে ঠাকূর/পুরোহিত/মৌলভী/ফাদার কিছুই লাগেনা।
সত্য স্ফটিক স্বচ্ছ।সরল সোজা.......নো বক্রতা নো লেফট/রাইট টার্ন
কিন্তু প্যাঁচ না মারলে যে বাপু ব্যবসা(ধর্ম) আর চলেনা।চাই একদল পাঠবিমূখ পাঠা।
এই হলো মোদ্দা কথা।
অথচ পবিত্র কোর'আনে বারবার বলা হয়েছে এখানে জ্ঞাণীদের/চিন্তাশীলদের জন্য রয়েছে নিদর্শন।জ্ঞাণী তারাই যারা ভাবে এবং পড়ে(অধ্যয়ন)।
ভীষন সুন্দর মায়াবী মন্তব্যের(রূপকথা নয় গভীর ভাবকথা) জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
''হাসতা প্রনতো''

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.