নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডানে গেলে জঙ্গীবামে গেলে নাস্তিক;দ্বন্দ্বেতে নেই বাপুআছি হেথা মাঝ ঠিক

কি করি আজ ভেবে না পাই

ডানে গেলে জঙ্গী বামে গেলে নাস্তিক; দ্বন্দ্বেতে নেই বাপু আছি হেথা মাঝ ঠিক।

কি করি আজ ভেবে না পাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

আম্মু,খুব বেশী মনে পড়ছে তোমাকে.............

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১২

চার বছর হলো মা-কে দেখিনা। চার বছর আগে ঠিক এই সময়ে স্কয়ারের আইসিইউর দরোজা খুলে বেরুলেন ডক্টর, ''সরি উই ট্রাইড এভরি পসিবল ওয়েজ, সি'জ বিয়ন্ড এভরিথিং ওয়েটিং ফর ইওর এ্যাসেন্ট টু টুক অফ দ্য সাপোর্ট''। ইন্নালিল্লাহে.........রাজেউন পড়ে আল্লাহু আকবার বলে সাথে সাথে আইসিইউর ফ্লোরে সিজদায় পড়ে গেলাম। শুকরিয়া জানিয়ে আম্মুর মাগফেরাতের জন্য দোয়া করে বিপদ মোকাবেলার সাহস এবং শক্তি চাইলাম আল্লাহর কাছে (ঠিক যেমনটি চেয়েছিলাম তিন মাস আগে আব্বুর ইন্তেকালে)। কারণ সামনে যে মহা সংকট। ছোট দুটি ভাইবোন, মাথায় রাজনীতি পাপের মামলা, নবাবী কায়দায় শেষ চাকরী ছেড়ে দেয়ার পর ছয় মাস ধরে বেকার। দু'দিন থেকেই আম্মু লাইফ সাপোর্টে ছিলেন, তাছাড়া সকাল থেকেই অন্য সকলের গোপন ফিসফাসে মনে মনে এমন কিছুই আঁচ করে আগেই নিজেকে প্রস্তুত করে নিয়েছিলাম। মাত্র তিন মাসেই পুরো ইয়াতীম, কোথাও কেউ নেই। তবে মাশাআল্লাহ আমরা তিন ভাইবোনই বড় শক্ত ছাঁচে গড়া।সদ্য ডেন্টালে ভর্তি হওয়া ছোট্ট বোনটিতো আরো অনেক বেশী শক্ত। মা-বাবার থেকেই পাওয়া। শোকের চেয়েও সামনের মহাসংকট মোকাবেলার জন্য তিন ভাইবোনই মনে মনে প্রস্তুত। সে এক কঠিন সময় গেছে আমাদের। মাত্র চার বছরেই পিচ্চি দুটি মাশাআল্লাহ পোক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে গেছে। এমনই পোক্ত যে আমাকেই ছুড়ে ফেলেছে।সাব্বাস।আমি খুশী।ভালো থাক তোরা।

আজ একা একা ভাবি ইয়াতীম বোধহয় আমি একাই হয়েছি। খুব বেশী মিস করি মা-বাবাকে। সালাতে কাঁদি অঝোরে। কাল রাত থেকেই মা-র কথা বেশী মনে পড়ছে। বুকটা ভারী হয়ে আছে। সারাক্ষন বাঁদরামীতে মেতে আছি, কাউকে বুঝতে দেইনা। কিন্তু আমার ভেন্টিলেশনের বড্ড বেশী প্রয়োজন। ভার আর নিতে পারছিনা। মা-র ইন্তেকালের পর আবেগী কাঁচা হাতে মাকে নিয়ে আর্টিকেল লিখেছিলাম। প্রিয় সামুতে শেয়ার করতে খুব ইচ্ছে হলো। সামু কি জানে আমি আমার প্রচন্ড মন খারাপ করা বিষন্ন সময় গুলো সামুতে কাটিয়ে হাল্কা হই?

[প্রতি বছরের ৭ই ডিসেম্বরের সময়টা আমার জন্য কোনো না কোনোভাবে বিশেষ স্মরণীয়। কখনোবা জেলে,কখনো প্রিয় সন্তানের আগমনের সুসংবাদ, কখনোবা রিহ্যাব বাস(৫ই জানুয়ারীর নির্বাচন পূর্ব গ্রেফতার এড়ানোর কৌশলগত অবস্থান)। এবছরও তার ব্যাতিক্রম নয়। মহা দুঃসময়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি। সম্ভবত এক নিশ্চিত পরিণতির দিকেই ছুটছি]।
প্রিয় পাঠকবৃন্দ, আমার মা-বাবার মাগফেরাতের জন্য দোয়া করবেন। অনেক অনেক দোয়া।








আমার আম্মু

গত ৭ ডিসেম্বর ২০১১ ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে আমার আম্মা ইন্তেকাল করেন। মাত্র চার মাসের ব্যবধানে আব্বা-আম্মা দু'জনকেই হারালাম। আমরা ইয়াতীম হয়ে গেলাম। পৃথিবীতে আমাদের মত আরো অনেক ইয়াতীমতো আছেই। আব্বু-আম্মু কে হারিয়ে সেই ইয়াতীমের তালিকা একটু দীর্ঘ হলো বৈকি।
আম্মু যদিও কক্সবাজারের মেয়ে কিন্তু শৈশব থেকেই বড় হয়েছেন কুমিল্লা শহরে। তিনি কক্সবাজারের তিন দিকপাল অধ্যাপক গোলাম সোবহান, এডভোকেট আব্দুল জলিল, অধ্যাপক এন, এম, হাবিব উল্লাহ এর যথাক্রমে কন্যা, পুত্রবধূ এবং জীবনসঙ্গিনী। কক্সবাজারের এই তিন মহারথীর সাথে পারিবারিকভাবে সম্পর্কিত হয়ে আমার আম্মু কক্সবাজারের ইতিহাসেরই অংশ হয়ে রইলেন। আমার নানা ছিলেন কক্সবাজারের প্রথম ছাত্র যিনি আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এস.সি. পাশ করেন। পরবর্তিতে সুদীর্ঘ ৩০ বছর তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের রসায়নের শিক্ষক হিসেবে অধ্যাপনা করেন। মেঘনা থেকে শুরু করে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত তৎকালীন এমন কেউ ছিলেননা যাঁরা তাঁকে চিনতেননা। এখনো সমগ্র বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সর্বত্র ছড়িয়ে আছে তাঁর গুনমুগ্ধ স্নেহধন্য ছাত্ররা। আমার দাদা এডভোকেট আব্দুল জলিল কক্সবাজারের প্রথম প্রজন্মের ছাত্র হিসেবে কলকাতা থেকে এল.এল.বি. পাশ করেন। কক্সবাজারের শিক্ষা বিস্তারে তাঁর যে অবদান তা চিরস্মরণীয়। তিনি নিজেই ছিলেন একটি প্রতিষ্ঠান। আর আমার বাবা ছিলেন কক্সবাজারের প্রথম ছাত্র যিনি পাকিস্তানের পেশোয়ার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিত শাস্ত্রে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হন। আমার বাবার বর্নাঢ্য কর্মময় জীবনের মূল্যায়ন করার ধৃষ্টতা এবং যোগ্যতা কোনটাই আমার নেই।
এই তিন ব্যক্তিত্বের সাহচর্যে এসে আমার আম্মু ও হয়ে উঠে ছিলেন অসাধারণ বৈশিষ্টের অধিকারিনী। বাবার রাশভারী ব্যক্তিত্বের প্রভাব সত্ত্বেও আমার আম্মুর ব্যক্তিত্বের স্বাতন্ত্র আলাদাভাবে প্রকাশ পেতো। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পলিটিকেল সায়েন্স-এ মাস্টার্স করার পরও পুরোদস্তর ছিলেন একজন গৃহিনী এবং এ নিয়ে তাঁকে কোনদিন বাবার কাছে কোনো আফসোস কিংবা অভিযোগ করতে শুনিনি। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ থেকে ডিগ্রীপ্রাপ্ত হয়েও তিনি সারাজীবন ব্যয় করেছেন তাঁর সংসারের পিছনে। আমার দাদাভাই ইন্তেকাল করেছেন আমার মায়ের কোলে মাথা রেখে। তিনি শেষ পানিটুকু পর্যন্ত পান করেন আমার মায়ের হাতে। আমার চার ফুফু থাকা সত্ত্বেও আমার আম্মা-ই ছিলেন দাদাভাইয়ের জান-প্রাণ। তিনি সবাইকে দেখিয়ে বলতেন এই দেখ, এ হচ্ছে আমার মা। শশুর-শাশুড়ির এত স্নেহধন্য আশীর্বাদপুষ্ট পুত্রবধূ আমি আর দেখিনি । তাঁর শশুর-শাশুড়ি তাঁর জন্য প্রানভরে দোয়া করেছেন এবং করছেন। একজন পুত্রবধূ হিসেবে এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কিছু হতে পারেনা। আমার বাবা ছিলেন একজন চির সংসার বিবাগী মানুষ। জীবনে তাঁকে একগ্লাস পানি পর্যন্ত ঢেলে খেতে দেখিনি। তিনি ছিলেন হার্টের রোগী, ডায়াবেটিসের রোগী। অথচ কোনগুলো তাঁর ঔষুধ এবং কোনটা কখন খেতে হবে তিনি তাও জানতেননা ।আম্মা-ই সব দেখাশোনা করতেন। এমনকি আমার মায়ের কাঁধে ভর দিয়েই তিনি হাসপাতালে যান এবং শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ।আব্বু ছিলেন চির আম্মুর উপর নির্ভরশীল। তাঁর ব্যাপক বৈচিত্রময় কর্মজীবনে আম্মুর পরশ ছাড়া তিনি এক মুহূর্তও চলতে পারতেন না। কি রংপুর, জামালপুর, ঢাকা, চট্টগ্রাম কিংবা লন্ডন, সারা বিশ্বময় আব্বু যেখানেই গেছেন সেখানেই ছিল আম্মুর অদৃশ্য অবাধ পদচারণা। কি খাবেন, কোনদিন কোন কাপড়টা পরবেন, কিভাবে যাবেন সব কিছু আম্মু ঠিক করে দিতেন। আব্বুর কোনদিন কোনো অসুবিধা হয়নি। হয়তো এই কারণেই সৃষ্টিকর্তা বেশিদিন তাদেরকে আলাদা করে রাখেননি। 'ইদ্দতকাল' পূর্ণ করার পরপরই আমার আম্মু চলে যান আব্বুর কাছে।
বাবার কত পাগলামি যে আম্মু সহ্য করেছেন তা বলে শেষ করা যাবেনা। সারাজীবন বাবা ছিলেন তাঁর কর্মজগত, বন্ধুজগত নিয়ে ব্যস্ত। দিন নেই, রাত নেই যখন-তখন মেহমান নিয়ে উপস্থিত হতেন। অথচ বাসায় বাজার আছে কি নেই , সংসার কিভাবে চলছে তা নিয়ে তাঁর কোনো মাথা ব্যথা ছিলনা। মা হাসিমুখে সারাজীবন আব্বুর এসব পাগলামি সহ্য করেছেন। আমার 'সুপার অনেষ্ট' বাবার সীমিত আয়ের সংসার যে তিনি কি করে সামলেছেন তা কেবলমাত্র আল্লাহই ভালো জানেন। অথচ আম্মু কোনদিন কাউকে কোনো কিছুর অভাব বুঝতে দেননি। শুধু বাবার কথাই বা কেন বলি, আমি নিজেই কি কম! স্কুলের বন্ধু, কলেজ বন্ধু, বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু, পাড়ার বন্ধু, অফিস কলিগ-আমার পরিচিত এমন কেউ নেই যে আমার আম্মুর হাতের রান্না খায়নি। ঈদ কিংবা যেকোনো উৎসবে সে বাবার বন্ধু হোক কিংবা আমার বন্ধু, সবাই আগে আসত আমাদের বাসায়, আগে মায়ের হাতের রান্না খাওয়া চাই। তাইতো দাদা-নানা কিংবা বাবার সূত্রে পরিচিত যত নামী-দামী গুনীজন, সকলেই একনামে আমার আম্মুকে চিনতেন এবং সবাই ছিলেন আমার মায়ের প্রসংশায় পঞ্চমুখ। এই ছিলেন আমার আম্মু, আমার স্নেহময়ী মা।
"মা", পৃথিবীর সংক্ষিপ্ততম শব্দ, অথচ কি জাদুকরী তার ক্ষমতা! কি দুর্বার তার সম্মোহনী আকর্ষণ তা সন্তান মাত্রই জানে। আর এসব যেন আমার মায়ের একটু বেশিই ছিল। সিক্সথ সেন্স, থার্ড আই, টেলিপ্যাথি কিংবা ই.এস.পি. যাই বলিনা কেন আমার মধ্যে তা ছিল অবিশ্বাস্যভাবে বিদ্যমান। আম্মু আমার চেহারা দেখে বলে দিতে পারতেন আমি কি ভাবছি বা আমার মনে কি আছে ! লুকিয়ে লুকিয়ে যতই অন্যায় কিংবা নিষিদ্ধ কিছু করেছি, ঠিকই আম্মুর কাছে ধরা পরেছি। এমনকি মনে মনে কোনো একটি খাবার খেতে ইচ্ছা করেছে, বাসায় গিয়ে দেখি আম্মু সেই খাবার বানিয়ে আমার জন্য অপেক্ষা করছেন! এ এক অবিশ্বাস্য ব্যপার!! একেই কি বলে নারীর টান!! স্নেহময়ী মায়ের চাইতে রহস্যময়ী জাদুকরী কিছু স্রষ্টার সৃষ্টি জগতে আর নাই। একটা ছোট্ট উদাহরণ দেই, কলেজে অধ্যয়নকালীন কোনো এক রাজনৈতিক কারণে আমি এরেষ্ট হয়েছিলাম, তিনদিন ছিলাম ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে। জেলে থাকার চাইতেও বড় ভয় ছিল, আব্বু জানতে পারলে নির্ঘাত মৃত্যুদন্ড। তাই বাসায় বন্ধু মারফত খবর পাঠানো হলো যে, বন্ধুর বড় ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষে বন্ধুরা সবাই মিলে ব্রাক্ষণবাড়িয়া গেছি। একটা চিঠিও লিখে পাঠিয়েছি। জেল থেকে বাসায় ফিরলাম, মা চেহারা দেখে প্রথম কথাটিই বললেন যে, তুই জেলে ছিলি। কি আশ্চর্য্য ! মায়ের চাইতে বড় ম্যাজিশিয়ান বোধহয় এই পৃথিবীতে আর কেউ নেই।
আমার সেই মা আজ আর নেই। আমি হতভম্ব, বোধশক্তিহীন, নির্বাক! চোখে জল নেই, কিন্তু বুকের ভেতরে কোথাও সারাক্ষণ চিৎকার করে কাঁদছে। এ কান্না থামবার নয়। হৃদয়ে প্রচন্ড রক্তক্ষরণ। বড় কষ্ট, ভীষণ কষ্ট।এই কান্না, এই কষ্ট কেউ কোনদিন বুঝবেনা, কেউ কোনদিন জানতেও পারবেনা। বড্ড অভিমানী হয়ে জন্মেছিলাম। সেই ছোট্টবেলায় কারণে-অকারণে মায়ের সাথে অভিমান করে রাস্তায় রাস্তায় হাঁটতাম আর ভাবতাম একদিন হারিয়ে যাব, আম্মুকে ফেলে অনেক দূরে চলে যাব। হারাতে আমি পারিনি, হারিয়ে গেছ মা তুমি। চলে গেছ না ফেরার দেশে। আমার আম্মু, তোমার সেই অভিমানী ছেলেটি আজ আবার পথে পথে হাঁটছে। সে আবার অভিমান করেছে। কি তীব্র সে অভিমান তুমি জানো না। আমার এই অভিমান আমি কাউকে দেখাবো না মা।এ অভিমান কোনদিন যাবার নয়, এ তুমি ভাঙ্গাতে পারবেনা। এ আমার স্বেচ্ছা অভিমানের নির্বাসন। আমৃত্যু আমি হাঁটবো আর তা বুকে লালন করব।
"সে-ই বড় দীন, যে পিতামাতাহীন "
কথাটি এতদিন শুনেছি, আর আজ তা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করছি। একি সাংঘাতিক কষ্ট! একি ভীষণ যাতনা! এ কাউকে বুঝাবার নয়।
আমার আম্মু, কে এখন বলবে আমার জেসনের মন খারাপ কেন? কে বুঝবে আমার মনের কথা? কে আমার জন্য পছন্দের খাবার বানাবে? কে বুঝবে আমার অভিমান? শত অন্যায়, শত অপরাধ সত্ত্বেও কে আমায় বুক আগলে বাঁচাবে? আর কেউ কোনদিন ডাকবেনা আমার আব্বা, আমার বাবা বলে! উফ , এ কষ্ট আমি কোথায় রাখি! নিজ হাতে তোমাকে কবরে শুইয়েছি, মাটি দিয়েছি, এ কি করে সম্ভব! একি দুঃস্বপ্ন, নাকি কল্পনা!
"কি দুঃসহ যন্ত্রণা, দুঃসাধ্য দায়
সারাক্ষণ এই আমায় বয়ে নিয়ে যায় "
হে আল্লাহ, এ তুমি আমায় কোন পরীক্ষায় ফেললে! আমি এখন এই গ্রহের সবচেয়ে বড় ইয়াতীম! হে পরওয়ারদেগার, হাদীসে এসেছে তুমি ইয়াতীমের দোয়া ফিরিয়ে দিতে লজ্জা পাও। তোমার কাছে এই ইয়াতীমের দাবী, তুমি আমার আব্বু-আম্মুকে জান্নাতুল ফেরদাউস নসীব করে দিও, তাদের কবরগুলোকে জান্নাতের নূর বানিয়ে দিও। তোমার জান্নাতে আবার আমাদের একত্রিত করে দিও ।
প্রিয় আম্মু আমার, যেখানেই থাকো ভালো থেকো। ইনশাআল্লাহ, জান্নাতে আবার দেখা হবে। "রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বায়ানি সগীরা"।


উৎসর্গঃ সামুর সকল সহব্লগারবৃন্দকে।
প্রিয় ব্লগারদের উষ্ণ সাহচর্যে মায়ের সস্নেহ পরশ খুঁজে পাই।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৮

জুন বলেছেন: "রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বায়ানি সগীরা"।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৮

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: দ্যাটস দ্য অনলি থিং উই ক্যান ডু ফর আওয়ার লেট পেরেন্ট্স্‌।

২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৪

প্রামানিক বলেছেন: ভাই আপনার মত আমিও ইয়াতিম। আমারও বাবা মা নেই। তাদের কথা মনে হলে খুব কষ্ট পাই। আপনার আম্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আল্লাহ যেন তাকে বেহেস্ত নসীব করে।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৮

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: আমিন,,,ছুম্মা আমিন।

৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: খুব কষ্ট লাগলো । ভালো থাকুন সবসময় । শুভ কামনা রইলো ।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৯

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: পাঠে কৃতজ্ঞতা।

৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: :( :( মনটা খুব খারাপ লাগলো........ দোয়া করি তিনি যেখানেই থাকেন....... ভাল থাকেন। :( :(

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১১

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: থ্যাংকস্‌ বাডি

৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৭

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমার জন্য ৫ই ডিসেম্বর।। মাকে সারাটা জীবনে একটুও সুখ দিতে পারি নি।। থাকি নি কাছেও।। আজ ভাবতেই একটা দীর্ঘশ্বাস নিজের অজান্তেই বেড়িয়ে গেল।।
মাথায় রাজনীতি পাপের মামলা,, পেয়েছেন তো দিল্লীর লাড্ডু।। একটা কথা বলি কিছু মনে করবেন না, দেশকে ভালবাসি আমরা সাধারনরাই।। এজন্য জেল-জুলুম তো দুরের কথা মৃত্যুকেও বলি দুরে থাক।। যা দল বা নেতা-নেতৃদের মাঝে পাবেনই না।। বায়নুকুলার দিয়ে হলে ছিটে-ফোটা।।
ভাল থাকুন,সুস্থ হয়ে ফিরে আসুন-এই কামনায়।।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:২৭

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমার জন্য ৫ই ডিসেম্বর।। মাকে সারাটা জীবনে একটুও সুখ দিতে পারি নি।। থাকি নি কাছেও।। আজ ভাবতেই একটা দীর্ঘশ্বাস নিজের অজান্তেই বেড়িয়ে গেল।।

সব দুঃখ ভুলা সম্ভব, কিন্তু এই যাতনার দহন ছাড়া মুক্তি নেই :(
মন্তব্য এবং শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার জন্যও অনেক দোয়া...........

৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৩২

সুলতানা রহমান বলেছেন: কারো কান্না দেখতে ভাল লাগেনা আমার। কেউ কান্না করছে সেখানে আমি কখনোই থাকিনা। কান্নাটা বড় ছোঁয়াচে।
একজন মুসলিম হিসেবে যেমন দোয়া করার তেমনি দোয়া করবো।
আর আপনি ও ভাল থাকেন। আমরা সবাই কত কত কষ্ট জমিয়ে রেখে হেসে চলি অবিরাম, হাসাতে থাকি অন্যদের।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৪৭

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: কারো কান্না দেখতে ভাল লাগেনা আমার। কেউ কান্না করছে সেখানে আমি কখনোই থাকিনা। কান্নাটা বড় ছোঁয়াচে।

সেম হিয়ার।

হাসি আর হাসাই
ভালোবাসি আর বাসাই
সুখ স্রোতে ভাসাই
বেঁচে আছি নিয়ে আশাই।

৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৩৯

এহসান সাবির বলেছেন: প্রাণ ভরে দোয়া রইল।

জুন বলেছেন: "রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বায়ানি সগীরা"।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৪৭

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: জাযাকাল্লাহ খায়ের

৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৫

বনমহুয়া বলেছেন: মা ও আপনার জন্য প্রার্থনা। উনি ভালো থাকবেন নিশ্চয়ই।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৫

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: প্রার্থনা পূর্ণ হোক।
ধন্যবাদ।

৯| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: প্রার্থনা থাকলো । উনার মঙ্গলময় পরকাল কামনা করছি ।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০১

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: ধন্যবাদ, প্রিয় ব্লগার,মানুষ,কবি,বন্ধু,,,,,,,আরো অনেক কিছু।

১০| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৪

দর্পণ বলেছেন: মায়ের জন্য দোয়া রইলো ভাই।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৩

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: ধন্যবাদ মোর আরেক মায়ের পেটের ভাই,,,

১১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৪

দর্পণ বলেছেন: মন্তব্যে + দিলাম ভাই।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:২৬

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: আমি অন্তরে তোমায় + করে নিলুম

১২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:

অনেক কইছু জানা হলো এ পোস্টে; আপনার মা-বাবা নিশ্চয় শুখী ছিলেন, আপনাদের মতো সন্তান পেয়ে।

আমি তো বুঝতে পারি যে, আপনি রাজনীতিতে আছেন, ও এ কারণে জেলে যেতে হয়েছে; তাই, আপনি জিয়া জিয়া করেন! জিয়া আমার সেক্টর কমান্ডার ছিলেন, বেশ সময় কাছাকাছি থেকে দেখেছি!

আপনার মন ভালো থাকুক, মা-বাবা'রা চিরদিন হৃদয়ে থেকে যান।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৩৫

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: অনেক কইছু জানা হলো এ পোস্টে; আপনার মা-বাবা নিশ্চয় শুখী ছিলেন, আপনাদের মতো সন্তান পেয়ে।

না গো দাদা,
টেনশান আর ঝামেলা ছাড়া এক সেকেন্ডের সুখ দিতে পারিনি। কেস মাথায় নিয়ে আত্মগোপনে ছিলাম। সংবাদ পেয়ে এসে স্রেফ বাবার জানাজা পড়েছি। :(



১৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার বাবা শিক্ষিত ও গুণী লোক ছিলেন; আমি শিক্ষকতাকে সবার উপরে মনে করি।

যাক, আপনি রাজনীতিতে যুক্ত; ভালো খবর; সরকারের বিপক্ষের একজনকে ব্লগে পাবার সুযোগ হলো, আনন্দের ব্যাপার!

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৮

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: আওয়ামিলীগ,বিএনপি বুঝিনা
সবার আগে ধর্মীয় মুল্যবোধ,দেশ,মানবতাকে প্রাধাণ্য দেই।অতীতের সমস্ত ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেকে শোধরাতে চাই।আলোকিত হতে চাই।আর সেজন্য চাই আপনার মতোন আলোকিত মানুষদের সঙ্গ এবং আশীষ।
তাই নিজেরই স্বার্থে লেগে থাকি জোঁকের মতন,যতই বিরক্ত হোন না কেনো।

১৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০০

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া।:(


অনেক অনেক ভালোবাসা।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৯

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপুনি,
ভালোবাসি জেনো..........

১৫| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫১

সুমন কর বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে মন খারাপ হয়ে গেল। মা'কে হারিয়েছি ২০১৩ সালে !! বেশীদিন হয়নি!! প্রতিটি দিন কেমন করে যায়, রাতে বোঝা যায় !! কষ্টগুলো শেয়ার করার মতো কেউ নেই!!
কোন এক ঝামেলার কারণে কাল রাতে ঘুম আসেনি। কিন্তু কাউকে বলিনি, কেউ জানে না কিংবা বোঝে না !! আমিও বুঝতে দেই না। জীবনটা আসলেই এক নাট্যশালা !!

বুকটা ভারী হয়ে আছে। সারাক্ষন বাঁদরামীতে মেতে আছি, কাউকে বুঝতে দেইনা। কিন্তু আমার ভেন্টিলেশনের বড্ড বেশী প্রয়োজন। ভার আর নিতে পারছিনা।

আপনার বাবা-মা'র প্রতি রইলো গভীর শ্রদ্ধা।

ভালো থাকুন, সব সময়।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৫৫

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: কোন এক ঝামেলার কারণে কাল রাতে ঘুম আসেনি। কিন্তু কাউকে বলিনি, কেউ জানে না কিংবা বোঝে না !! আমিও বুঝতে দেই না। জীবনটা আসলেই এক নাট্যশালা !!
যার নেই সে ছাড়া কেউ বুঝবেও না................
মা ছাড়া জীবন কোনো জীবনই না

১৬| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩২

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: মন খারাপ হলো খুব। বলার কিছু নেই।

মা বাবা ভালো থাকুক ,একসাথে থাকূক।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৫৭

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: মা বাবা ভালো থাকুক ,একসাথে থাকূক।
আমীন.........

পাঠে কৃতজ্ঞতা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.