নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডানে গেলে জঙ্গীবামে গেলে নাস্তিক;দ্বন্দ্বেতে নেই বাপুআছি হেথা মাঝ ঠিক

কি করি আজ ভেবে না পাই

ডানে গেলে জঙ্গী বামে গেলে নাস্তিক; দ্বন্দ্বেতে নেই বাপু আছি হেথা মাঝ ঠিক।

কি করি আজ ভেবে না পাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার দেখা ২১শে অগাষ্ট

২১ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৫৪



প্রচন্ড রোদ। সেদিনের গরমও বাবা। প্রায় সাড়ে পাঁচটার পড়ন্ত বিকেলেও যেনো টিএসসি কাকফাটা রোদে তাতিয়ে আছে। তার উপর চলছে আবার ফিলিংসের হ্যাং ওভার(দুষ্টু গিয়াস লিটন আর টেটনা মিম মাশকুর ছাড়া এ কথার শানে নুযুল এবং ফজিলত কারও বোঝার কথা না অবশ্য)। ঘামে চুপচুপা হয়ে বসে আছি 'ডাস'এর বিপরীত পার্শ্বের টিএসসি ভবনের সঙ্গে লাগোয়া নব নির্মিত যাত্রী ছাউনিতে। সাধারণত তৎকালীন 'মোস্ট সিনিয়র'(আদু ভাই!!) আমাদের আড্ডা ছিলো 'ডাস'এর অপর পাশের রোকেয়া হলের দেয়াল লাগোয়া যাত্রী ছাউনীতে। কিন্তু সেদিন অন্যপাশে আলাদা বসবার কারণ ছিলো সদ্য আগত চাঁটগা'র কিছু 'উটকো' বন্ধুবান্ধব। উটকো বলার কারণ হলো কোন এক কুক্ষনে হয়তো কারও মাধ্যমে 'হাই-হ্যালো' হয়েছিলো ব্যাস হয়ে গেছি ওদের 'জানের জান' 'হরিহর আত্মা'। ক্যাম্পাসে ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতি করার এই হলো জ্বালা। 'ঘেট' কিংবা 'নাঙ'এর অভাব হয়না। কোত্থেকে কোত্থেকে যে পিলপিল করে আসে এরা! আর এলে যাওয়ার নাম নেই। 'হল' হয়ে যায় এদের স্থায়ী 'আপন নিবাস'। এই টোকাইয়ের দলরা সবার প্রথমে বন্ধুত্ব করবে ক্যান্টিনের বয় বেয়ারাদের সাথে। তারপর হলের মামাদের সাথে। এই পরিচিতি পেতে পেতে এক সময় কি করে যেনো হলের পরিচিত মুখ হয়ে যায়! নেতাদের পা-চাটা উঠাবসার কারণে অনেকেই এদেরকে হলের হোমড়াচোমড়া ভাবতে শুরু করে! এদের কুকীর্তির শুরু হয় হলের আশেপাশের টঙ দোকানের বাকী খাওয়া দিয়ে। ধীরে ধীরে এদের ডানা গজাতে শুরু করে। ডানা ঝাপটানোর রেশ শেষমেষ এ্যালিফেন্ট রোড, ঢাকা কলেজের মার্কেট পর্যন্ত গিয়ে ঠেকে। আর কিছু কিছু তো উড়তে উড়তে মাশাল্লাহ শীর্ষ টোকাই সন্ত্রাসীই হয়ে উঠে! ক্যাম্পাসের সমুদয় কুকীর্তির বারো আনা সংঘটিত হয় এদেরই দ্বারা। অযথা মিছেই রাবার টানছি। যাই হোক সেদিন এমনি কিছু অনাহুত 'টোকাই' অতিথি নিয়ে বসে আছি টিএসসিতে। কুলুকুলু ঘামছি। হ্যাঙ ওভারের বিস্বাদ বিরক্তি নিয়ে ভকভক ধোঁয়া ছাড়ছি আর চুকচুক 'দুধচিনি ডাবল' চা খাচ্ছি। হঠাৎ মনে হলো কিছু একটা চাঞ্চল্য তৈরী হয়েছে। টিএসসি'র রাস্তায় গাড়ীঘোড়ার ছুটোছুটির হিড়িক পড়ে গেলো। মাইক্রোবাসের সংখ্যা বেশী। আবার সিএনজি'র ছুটোছুটিও লক্ষণীয়। কিছু কিছু মাইক্রোর চালকের পাশে বসা ব্যক্তিটি জানালায় গলা বাড়িয়ে বাঁশী বাজিয়ে কিংবা কাপড় নেড়ে রাস্তা ফাঁকা করার সংকেত দিচ্ছে। কিছুক্ষন লক্ষ্য করতেই চোখে পরলো রক্তাক্ত আহত সব শরীর। অনেক গাড়ীতে মহিলাও দেখা যাচ্ছে। বেশিরভাগ গাড়ী ছুটছে পিজি হসপিটালের দিকে। আবার কিছু বা বাঁয়ে বাঁক নিয়ে ছুটছে এ্যালিফ্যান্ট রোড জেনারেল হসপিটালের দিকে। চিৎকার-গোঙানী-আতঙ্ক মিলেমিশে এক ভয়ার্ত পরিবেশ তৈরী হয়ে গেলো নিমিষে। বোঝে গেলাম আজ বিরোধীদলের ঘোষিত সমাবেশে খারাপ কিছু একটা ঘটেছে। হঠাৎই ফোন এলো জহুরুল হক হলের ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাইনুদ্দিন বাবু ভাইয়ের। সমাবেশে নাকি গ্রেনেড হামলা হয়েছে! তিনি সুস্থ আছেন কিন্তু প্রচুর লোক নাকি নিহত হয়েছে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু ভাইয়ের(বর্তমানে এমপি) অবস্থা নাকি শোচণীয়। হয়তো বাঁচবেন না। নেত্রীর খবর কেউ জানেনা! তার উপর নাকি গুলি বর্ষনও হয়েছে!

রোকেয়ার লাগোয়া ছাউনীতে বসা ছিলো বন্ধু জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সূর্যসেনের সভাপতি টিটু, এফ রহমানের সভাপতি আজম, এসএম হলের সভাপতি লিঙ্কন এবং আরও অনেকে। সবাই ছুটলাম ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে আহতদের রক্ত দিতে। ঢাবি'র ছাত্রসমাজের এই কালচারটি অসাধারণ। যে কোন দুর্যোগে আমরা এক হয়ে যেতাম। অবশ্য এখন কি হাল জানি না। যাই হোক, চাঙ্খারপুল বাবুবাজারের মোড়ে গিয়ে আটকে গেলাম। রাস্তা বন্ধ। মানুষ আর মানুষ। সবাই বিক্ষুদ্ধ। হঠাৎ দেখি বিক্ষুদ্ধ জনতা পুলিশকে ধাওয়া করছে। এই প্রথম সচক্ষে দেখলাম পুলিশকে প্রাণ ভয়ে পড়ি কি মরি ছুটতে। 'খোদার কসম' এই স্প্রিন্ট দক্ষতা অলিম্পিকে প্রদর্শিত হলে ট্র্যাক এন ফিল্ডের সমস্ত রেকর্ড আর পদকের গর্বিত মালিক হতো বাংলাদেশ পুলিশ। একটা পুলিশ ছুটতে ছুটতে আমাদের সামনে পরে গেলো। তার চোখেমুখে যেনো মৃত্যূভয়। ছুটন্ত তাকে পালাতে আমরা সরে জায়গা করে দিলাম। সঙ্গে থাকা সেদিনের এক চাঁটগার হারামী দিলো পা'খানি বাড়িয়ে। সেই পুলিশ হুঁচোট খেয়ে ডিগবাজি খেতে খেতে না হলেও বিশ হাত সামনে গিয়ে পরলো!! কোনমতে হাঁচড়ে পাচড়ে উঠে তার বন্দুক ফেলেই দে দৌড়! সেই হারামী বন্ধু(!!) এবার গেলো বন্দুক ধরতে! সাহস কাহারে কয়!! রাম ধমকে রঙবাজি ছুটালাম। হেঁটে হেঁটেই পৌছেছি মেডিকেলে। এত বেশী উৎসাহি ডোনারের ভীড় ছিলো যে রক্ত দেয়ার সুযোগ হয়নি। অনেক ছাত্রলীগের বন্ধুর সাথে দেখা হলো। সূর্যসেনের এক্স ছাত্রলীগ ক্যাডার বন্ধু মোমিন(মাগুরা) আমাকে জড়িয়ে ধরে ঝরঝর করে কাঁদলো। ফোঁপাতে ফোঁপাতে চাক্ষুষ দর্শনের যে ভয়াবহ বর্ণনা দিলো গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছিলো মাইরি। বন্ধুর কান্নায় নিজেদের চোখও কেমন ভিজে উঠছিলো বারবার। এত রক্তাক্ত আহত শরীর সহ্য করতে না পেরে বন্ধু সূর্যসেনের সাগর হড়হড়িয়ে বমি শুরু করলো। এ এক অন্যরকম আবহ। ভাষায় অপ্রকাশ্য শব্দহীন ভিন্নতর কোন অনুভূতি। সেদিনের যে দৃশ্য নিজ চোখে দেখেছি, দেখেছি রক্ত, বিভৎসতা, পুলিশের প্রাণভয়ে দৌড়, দেখেছি গণরোষ আর পরস্পরের প্রতি সহমর্মিতা- সেই স্মৃতি কখনও ভুলার নয়। মারুফা আক্তার পপি আপা আহত হয়েছিলেন। আমার দুই বন্ধু আহত হয়েছিলো (প্রায় মৃত্যূর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছিলো, আজও ওদের শরীরে স্প্লিন্টারের চিহ্ন)। এক বন্ধুর মা আইভী আপার সাথে শাহাদাত বরন করেছিলো। বাংলাদেশের রাজনীতির সে ছিলো এক ন্যক্কারজনক অধ্যায়। কত জল ঘোলা হলো, রাজনৈতিক সমীকরণ পাল্টেছে, হিসেবের ব্যাখ্যা বদলেছে, তবু পাওয়া হয়নি সেদিনের সেই সংঘটিত নারকীয় হত্যাযজ্ঞের প্রকৃত বিচার। জানা হয়নি ঘটনার প্রকৃত কারণ।

কেনো জর্জমিয়া নাটক?
কেনো প্রশাসনের একাংশের নিষ্কৃয়তা?
কেনো নির্ধারিত সময়ের মাত্র পনেরো মিনিট পূর্বে সমাবেশের স্থান পরিবর্তন হলো?
কেনো সেদিন প্রধানমন্ত্রীকে যেতে দেয়া হয়নি আহত বিরোধীদলীয় নেত্রীকে দেখতে?
কেনো আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল পরেরদিনই চেকাপের জন্য ছুটলেন ভারত?(সারা বছর যেখানে যেতেন সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ)
আওয়ামীলীগের সময়ও কেনো বারবার বিচার কার্যক্রম প্রলম্বিত হচ্ছে?

প্রশ্ন অনেক। প্রকৃত সত্য একদিন বেড়িয়ে আসবেই। সেদিন ইতিহাস হয়তো অনেককেই ক্ষমা করবে না, আবার অনেককেই হয়তো মিথ্যা অভিযোগের দায়ভার থেকে নিষ্কৃতি দেবে। তবে যে রক্ত ঝরেছে আর এই রক্তের যেই চড়া মূল্য জাতিকে আজও দিতে হচ্ছে সে ক্ষতি আদৌ কতদিনে পূরণ হবে সময়ই বলে দেবে।

সেদিনের একুশে আগষ্টের সেই রক্তাত্ত স্মৃতি আজও ভাবায়, পোড়ায় আর তাড়িত করে। জাতির জীবনে এমন কালো অধ্যায় আর রচিত না হোক।
২১শে আগষ্টের সকল নিহত আত্মার শান্তি কামনা করছি।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:২৬

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া ২১শে আগস্টের ওমন ভয়াবহ স্মৃতি আর কখনও কারো জীবনে লিখতে না হোক।

২১শে আগস্টের সকল নিহত আত্মার শান্তি কামনা করি।

২১ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৩৯

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: ...
স্মৃতি যা পোড়ায় পোড়ার ক্ষত কি
স্মৃতিলেখনীতে সারে?
স্মৃতি না কখনও এত ভারী হয়
পাঁচটনি ট্রাক ঘাড়ে। |-)

২| ২১ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৩৫

ইসিয়াক বলেছেন:






ভয়াবহ স্মৃতি। ভাবলে এখনও গায়ের লোম খাড়া হয়ে ওঠে।
২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় সকল নিহত আত্মার শান্তি কামনা করছি। আর আহত সকলের জন্য সমবেদনা রইলো।

২১ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৪২

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: এখনও অনেকে শরীরে স্প্লিন্টার নিয়ে ঘুরছেন। আর স্মৃতির স্প্লিন্টার সারানোর ডক্টর কই? চাক্ষুষ দেখার স্মৃতি ভুলতে পারছি না। আর অনেকে স্প্লিন্টার বহন করেও ভুলে গেছেন!!

৩| ২১ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৫৯

ডার্ক ম্যান বলেছেন: আবদুল জলিল ভারতে চেকআপের জন্য ছুটে গিয়েছিলেন সেটা আজ জানলাম।
বিএনপির মাথামোটা রাজনীতির নগ্ন প্রদর্শন এই গ্রেনেড হামলা। যার রেশ বিএনপিকে আরও অনেক বছর টানতে হবে।

২২ শে আগস্ট, ২০২১ ভোর ৫:১০

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: যাক বাবা, একটা তথ্য আপনাকে দেয়া গেলো।

তা বিচার এখন কেনো প্রলম্বিত হচ্ছে এ ব্যপারে আপনার সুক্ষ মাথার দর্শন কি বলে?

৪| ২২ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: ২১ শে আগষ্ট!
দুপুর তিনটায় আমি গুলিস্তান ছিলাম গোলাপ শাহ মাজারের উত্তর পাশে আমার চাচার দোকানে। সেখানেই দুপুরের খাবার খাই।
সেদিন আমার মনটা খুব খারাপ ছিল। কথা ছিল বিকেলে শহীদ মিনারের সামনে আসবে সুরভি। আমরা রাত আট টা খুব আড্ডা দিব। কিন্তু সুরভি বলল সে আজ আসতে পারবে না। আমি মন খারাপ করে চাচার দোকানে বসে আছি।
বিকেলে গেলাম পার্টি অফিসে। নেতাদের বক্তব্য শুনছি খুব মন দিয়ে। তখনও শেখ হাসিনা এসে উপস্থিত হননি। আমি একেবারে ঠেলে ঠুলে ট্রাকের সামনে চলে গিয়েছি। দূর থেকে বক্তব্য শুনে মজা নেই।চারদিকে অসংখ্য মানুষ। নেতারা একের পর এক এসে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। ঠিক এরকম সময় দু'টা ঘটনা ঘটে।
মাইকে ঘোষনা দেয় শেখ হাসিনা এসে উপস্থিত হয়েছেন। এবং আমার মোবাইলে ম্যাসেজ দেয় সুরভি সে শহীদ মিনারের সামনে এসেছে।
আমি সাথে সাথে সমাবেশ থেকে বের হয়ে গুলিস্তান পার্কের কাছে এসে রিকশা নিই। তারপরের ঘটনা সবাইই জানেন। সুরভি ফোন না দিলে সেদিন কি হতো কে জানে! নিজের চোখে দেখেছি ভয়াবহ অবস্থা। রিকশায় করে, ভ্যানে করে আহতদের নিয়ে যাচ্ছে ঢাকা মেডিকেল।

২২ শে আগস্ট, ২০২১ ভোর ৫:১৬

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: সেদিনের চাক্ষুষ স্মৃতির ভয়াবহতা কারও পক্ষে ভোলা সম্ভব নয়। আপনার অভিজ্ঞতা তো আরও রোমাঞ্চকর!!

ভাগ্যিস সুরভী ভাবীর ফোনটি পেয়েছিলেন। আল্লাহর হাজার শোকরিয়া। সত্যিই পয়মন্ত বউ আপনার। সেদিনের নিহত ১৮জনের ২জন আমার পরিচিত যারা একেবারে নেত্রীর ট্রাকের সামনে অবস্থান করছিলেন।

৫| ২২ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১:৩৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা একটি রাজনৈতিক দলকে নেতৃত্বশুন্য করতে পরিকল্পিত হামলা।
বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচাইতে কাপুরুষচিত নৃসংশ রাজনৈতিক মোটিভেটেড হামলা।


আবদুল জলিল ভারতে চেকআপের জন্য ছুটে গিয়েছিলেন - এতে কিছু প্রমান হয়?
একজন কবি হয়েও দলমতের উর্ধে উঠতে পারলেন না!

গ্রেনেড হামলার মাসখানেক আগে সিলেটে কামরান ও ব্রিটিশ রাষ্ট্রদুত আনোয়ারচৌধুরির উপর সেইম টাইপ গ্রেনেড হামলা হয়েছিল।
২০০৫এ বিম্পি-জামাত সরকার থাকতেই বৃটেন ও ইওরোপিয় ইউনিয়নের প্রবল চাপে গ্রেনেড হামলা ও অনোয়ার চৌধুরী হত্যা প্রচেষ্টা মামলা তদন্ত শুরু হয়। বৃটেন ও ইওরোপিয় দুতাবাসও তদন্ত ফলোআপ করছিল।
এতে মুফতি হান্নান ওবিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টু সংস্লিষ্টতা খুজে পায়। মুফতি হান্নান সহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছিল বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালিনই।
পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসলে জ়োড়দার তদন্ত শুরু হয়, ও আরো কিছু বিএনপি নেতার সংস্লিষ্টতা পায়। জজমিয়া ভুয়া প্রমানিত হয় তত্তাবধায়ক আমলেই।

২২ শে আগস্ট, ২০২১ ভোর ৫:৩৮

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: প্রিয় সুহৃদ, প্রত্যাশিত সুঁচালো মন্তব্যই পেয়েছি।

আপনি বলেছেন, আবদুল জলিল ভারতে চেকআপের জন্য ছুটে গিয়েছিলেন - এতে কিছু প্রমান হয়?
একজন কবি হয়েও দলমতের উর্ধে উঠতে পারলেন না!


একটিবারও ভাবলেন না স্মৃতিকাতরতায় তাড়িত হয়েই পোষ্টখানি দিয়েছি। যেই গভীর মমত্ববোধ নিয়ে সেদিন রক্ত দিতে ছুটে গিয়েছিলাম, ঠিক সেই ভালোবাসা ধারণ করি বলেই প্রিয়জন হারানোর ব্যথাতুর ভারাক্রান্ত হৃদয়ে তাদের স্মরণ করেছি। দেখলেন না আমার খটকার প্রথম দুটি পয়েন্ট আমার নিজ ভালোবাসার দলটির বিপক্ষে।

স্যারজী, সব কথা সব সময় বলা যায় না। বলা উচিৎও নয়। কখনও রাজনীতিতে খুব ওতোপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেম বলেই এমন কিছু জানি বা বুঝি যা বলতে নেই। মাওলানা আবুল কালাম আজাদ তার রচিত স্মৃতিকথা প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন তার মৃত্যূর তিরিশ বছর পর। রাজনীতির এমন কিছু অন্ধকার দিক আছে যা সমসাময়িক বর্তমান হজম করতে পারে না। ২১শে আগষ্ট এমন একটি ঘটনা যা বাংলাদেশের রাজনীতির ধারা বদলে দিয়েছে। এমন এক প্রেক্ষাপট তৈরী হয়েছে যে সাধের গণতন্ত্র গুম হয়ে গেছে। কোন এক অশুভ শক্তি সুতো নেড়েছিলো। সেই সুতোর জালে জড়িয়ে তৎকালীন নেতৃবৃন্দের কেউই স্মার্ট রাজনীতি করতে পারেননি। ঐ রাজনৈতিক ধ্বসের জন্য সার্বিক রাজনীতি দায়ী। আওয়ামী নেতৃবৃন্দ নিজেরাও কি সাফার করেনি? নেত্রী স্বয়ং করেননি? প্রায় তো মাইনাসই হতে যাচ্ছিলেন! খোদ জলিল ভাইয়ের মুখে শোনা কিছু ঘটনা জানি। সব কথা বলা যায় না।

আপনার দেয়া তথ্যের প্রায় চৌদ্দ আনা সঠিক। প্রয়োজন সঠিক সকল তথ্যের সন্নিবেশ এবং সুক্ষ বিশ্লেষন। কবিটবি তো মোটেই নই তবে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ছাত্র। দেখার তরিকাটা থোড়া আলাদা। এটুকুন জানি এই ২১শে আগষ্ট বাংলাদেশের রাজনীতির মোড় বদলেছিলো, এই ২১শে আগষ্টের সঠিক বিশ্লেষনই আবার একদিন মোড় বদলে দেবে। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। কোন বৃহৎ শক্তিকেও নয়।

৬| ২২ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:০৫

কলাবাগান১ বলেছেন: সাফাই টা বেশী জোরালো হয় নাই। কারা এটা করেছে সেটা এখন সবাই জানে? সন্দেহ বপন করার কোনই স্কোপ নাই। এক শব্দ জজমিয়া।

২২ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৫৩

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: হা হা হা
আগের মতন সোজা ব্যাটেই খেললেন।

কথিত(কল্পিত) মাইন্ডমাইন্ড তো ২০০৬ পর্যন্তই দুর্দন্ড প্রতাপশালী ছিলেন। সেকেন্ড চান্স কেনো নিলেন্যা ভাব্বার বিষয়। 8-|

৭| ২২ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:৫৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: একুশে আগষ্টের সঠিক বিশ্লেষণ এখনো হয়নি! আপনি কি মনে করেন শেখ হাসিনা ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে গিয়েছেন?

২২ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৫৪

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: আপনার গিয়ানে বিমুগ্ধতা

৮| ২২ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৪১

আজব লিংকন বলেছেন: RIP To ভালো লাগা একজন ব্যাক্তিত্ব আই ভি রহমান।

২৩ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ৮:১০

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: শুদ্ধ এবং নির্মলা এক মানুষ ছিলেন। আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদাউস নসীব করুন।

৯| ২৩ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য।

২৩ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ৮:১১

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: আবার আসার জন্য আপনাকেও থ্যাংকুশ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.