![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সোনামেঘ,
বাস্তববের খসখসে পৃথিবী কেঁড়ে নিয়েছে আমাদের আহ্লাদের আকাশ।
আকাশের ঠিকানা ভুলে, মেঘেদের পানে তোমার জন্য এই চিঠি।
তুমিতো আমার আমৃত্যু মেঘ। তাই মেঘেদের ঠিকানায় তোমার জন্য এ লিখা।
কেমন আছো? আবেগহীন ডিজিটাল সময়ের যান্ত্রিক প্রহর-
কিভাবে পাড়ি দাও ? সাংবিধানিক গণতন্ত্রের বারুদে রাজপথ, আতঙ্কিত অনুভবে- সাতান্ন ধারার মতো তোমাকেও দাবড়িয়ে বেড়ায়- গুমের দেশ হয়ে ? কাঁচের জারের সোনালী মাছের আদুরে ভালোবাসায় তুমিও কি, বি চৌধুরীর মতো- বেচারা চৌধুরী হয়ে গেছো? তোমাকে নিয়ে এমনই হাজারো প্রশ্ন, মহাজোটের মতো দাড়িয়ে যায়- গৃহপালিত বিরোধীদলের হয়ে।
আমি? বাহ্যিক অবস্থার মানচিত্র খানিক রোগাটে দেখালেও, হৃদয়ের স্ফীত জল- সীমা
আরও বেড়েছে। ভুলো মন, আরও ভুলো হচ্ছে- টের পাই...।
সেদিন হয়েছে কি-
আসরের নামাজ পড়তে গিয়ে বারবার সুরা ভুল করছি। নামাজ শেষে আবার নতুন করে
নামাজ পড়ছি। এভাবে কয়েকবার....। নিজের ছায়াটাও আজকাল ভুলে যাই।
কি করব বল- সারাজীবন ভুল জমির চাষাবাদ, এত সহজেই কি ভুলের দখল ভুলা যায়?
মাঝে মাঝে তোমাকে ভাবতে গিয়ে সারারাত শেষে ভোর হয়, শিশির শুঁকিয়ে সকাল,
তবু ভাবতেই থাকি....! অবহেলার সেই তুখোড় দিনের ভাবনা- অবাধ্য আবেগে আদ্র করে
মনের আকাশ। পরচুলার মতো নিশ্চল বেঁচে থাকা তখন- বড়ই পুড়ায়।
ভাবি- কোটিপতির হাত থেকেও নোংরা পুরানো তেলচটচটে দুই টাকার একটা নোট
পড়ে গেলে, সে আবার কুঁড়িয়ে নেয়। মনের হাত থেকে ভালবাসা একবার পড়ে গেলে,
তাকে আর কুঁড়িয়ে নেয়না- কেউই...। আহা-রে ইভিএমের ডিজিটাল মন!!!
খ্যাতির জোসনায় পোহানো আলোয়- পরাধীনতার মল, কেমন মানিয়েছে তোমায়?
কিভাবে কাটে তোমার রাতজাগা ভোর, বিষণ্ণ দুপুর, রোদহীন বিপন্ন বিকেলের- মেঘলা সন্ধ্যা?
মধ্যরাতের আকাশ আর জোসনার চোর- পুলিশ মাতামাতি, আগের মতোই কি
উদাস ছড়ায় হৃদয়ের নিতাইপুরে? এমন অগুন্তি ভাবনার সাত সমুদ্র তের নদী- ব্যাকুল করে আমায়।পরিচিত ভুলের প্রায়শ্চিত্ত আমাকে মুক্তি দেয়না । দাসত্বের ভোরে তবু-
সকাল আসে। জীবিকার তাগাদা ঘরের বাইরে টানে আমায়। দশটা- পাঁচটা দায়িত্ব সেরে,
আবার নিঃসঙ্গের কাছে ফিরে যাওয়া। এখানে পরাজিত মানেই- পদানত।
তাই মানুষের ভীড় সজ্ঞানেই এড়িয়ে চলার নিরন্তর চেষ্টা। আজ আর লিখছিনা।
কলমের অবস্থাও- অক্সিজেন দেওয়া রোগীর মতো- যাই যাই...। তুমি ভালো আছো- এটাই
শান্তনা। দুইটা লাশের চেয়ে, একটা লাশের বোঝা, অনেক হালকা- তাই না?
নিবিড় আকাশের শান্ত মেঘের স্নিগ্ধ বেঁচে থাকা- ঘিরে রাখুক তোমায়।
তোমার আজন্ম ভুলে থাকা-
"রোদ" ।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৬
কিরমানী লিটন বলেছেন: তখনও ভক্ত ছিল
পুঁজো হাতে দাঁড়িয়ে
দেবতার দেখা নেই
বেলা যায়- গড়িয়ে ....
ভালোবাসায় অনেক কৃতজ্ঞতা প্রিয় গাজী ভাই ..।
২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অসাধারণ!
হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া ছিন্ন পত্রাবলি....
শুভকামনা আপনাকে ।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৪
কিরমানী লিটন বলেছেন: অনেক উজ্জীবিত হলাম আপনার আন্তরিক মতামত জেনে। ভালোবাসা রইলো - শুভকামনা রইলো ..।
৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৩৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: সুন্দর ।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:১৯
কিরমানী লিটন বলেছেন: অনেক কৃতজ্ঞতা প্রিয় মনিরা সুলতানা আপু...
সশ্রদ্ধ শুভকামনা রইলো।
৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:০৫
ওমেরা বলেছেন: খুব সুন্দর লাগল ভাষার কারুকার্য।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:২১
কিরমানী লিটন বলেছেন: অনেক উজ্জীবিত হলাম আপনার আন্তরিক মতামত জেনে। ভালোবাসা আর শুভকামনা জানবেন- প্রিয় ওমেরা ..।
৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৪:৫১
সোহানী বলেছেন: আপনার কবিতাগুলো বরাবরেই অন্যমাত্রার। সুকান্তকে মনে করিয়ে দেয় বারবার। কোন সময়েই সুকান্তরা ভালো থাকে না.........। কারন এ পৃথিবী সুকান্তদের জন্য নয়, চাটুকারদের জন্য।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৪
কিরমানী লিটন বলেছেন: " যে জীবন শালিকের- কৃষ্ণচূড়ার
মানুষের সাথে তার হয় নাক দেখা...।"
সত্যের স্রোতে সৌন্দর্য সয় না- তবুও সত্যকে আঁকরে ধরে নিরন্তর ছুটে চলা। চোখের জলে ভাসিয়ে দেয়ার প্রানান্তর প্রচেষ্টা - শুকনো ধুলো যতো...
আপনার আন্তরিক মতামত বরাবরই উজ্জীবিত করে, আমার কাব্যের প্রতিটি পংতিমালা। ভালো থাকবেন- সবাইকে নিয়ে। শুভকামনা নিরন্তর।
৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:২৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কাব্যে সময়কে ধরার চেষ্টা।
চমৎকার !!!
২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৭
কিরমানী লিটন বলেছেন: ঠিক বলেছেন প্রিয় মিতা- মিথ্যা সময়ে- সত্য কাব্য ...
ভালোবাসা আর কৃতজ্ঞতা আপনাকে- সপরিবার ।
৭| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০২
মুক্তা নীল বলেছেন: "শান্তির ললিত বাণী শোনাইবে ব্যথ’ পরিহাস " এ লাইন হচ্ছে সুকান্ত ভট্টাচার্যেেের ছাড়পত্র বই এর কবিতা। তারপরও ভেঙে পরলে চলবে না, বাচঁতে হবে, বেচেঁ থাকতে হবে!!! অনেক
দায় দায়িত্ব আছে আপনার, পালন করতে হবেনা? অনেক সুন্দর কবিতা, মনটা ভরেগেল। ভালো থাকবেন।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৮
কিরমানী লিটন বলেছেন: ভয়ংকর গর্ত আছে জেনেও বিস্ময়করভাবে
সামনেই হাঁটতে থাকি বারবার ! স্থির এবং অবিচল
থাকতে থাকতে বড্ড বেশি রকমের কাঠখোট্টা হয়ে যাই
দিনকে দিন। বড্ড বাড়তি সময় জীবন থেকে ছেটে নেয়-
পাঁজর এবং চিবুক। চিবুকের মিঠেকড়া হাসি, চোখের তারায়
সত্যের গল্পগুলো সব কোথায় হারায় ?
কোথায় হারায় - শৈশব, নদী ধানক্ষেত, পাঠপুস্তকের পাতা
চেনা রক্তবিন্দু। যা কিনা অতীত, পরম্পরার চিত্রপট ছিলো
যা কিনা ভবিষ্যৎ আঁকতে পারতো - দক্ষতার সাথে;
সেই পুরোনো কাঠপেন্সিল...।
মরে যাওয়া খুব সহজ।
কিন্তু জীবনকে প্রতিবার পরখ করে চলতে থাকা খুব কঠিন। অনেক আন্দলিত হলাম- আপনার মননের আন্তরিক মতামত পেয়ে। ভালো থাকবেন- নান্দনিক ভালোলাগায়। শুভকামনা....
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আশাহীন, নৈরাজ্যের ভুমে জীবন যাপন মানে উদ্ধেশ্য দিন কাটানো