![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তবু ও মানুষ কাঁদে অধিকার চায় একটি শিশুর তবুও মানুষ বাঁচে কার হাতে অধিকার মানুষ না যীশুর............ অধিকার সবার চাই, মতপ্রকাশের অধিকার নামান্তরে মতদ্বৈততার আধিকার। ইতিহাস সাক্ষী সর্বদা বিজয়ীর ভাষ্য লেখা হয়, রক্তলোলুপ মানুষেরা তরবারি দিয়ে কেটে ইতিহাস লিখে, আমজনতার কথা লিখে রাখে দীক্ষ দ্রাবিড়, সেসব দ্রাবিড়দের মুখপত্র ইতিহাসে ছিলো না, দ্রাবিড়রা কখনই ক্ষমতার বলয়ে যেতে পারে নি, ফিনিশিয়, সুমেরিয় মিশরিয় ,পারসিয় সভ্যতার কিছু কিছু নিয়ে সেমিটিক ধর্মের উদ্ভব, কালের প্রবাহে সেমিটিক ধর্মই টিকে গেছে, অস্ত্রের জোড়ে, শিল্পের জোড় ছিলো না তাদের, আর অনার্য সবাই পৈত্তলিক, শয়তানের অনুচর হয়ে টিকে আছে একত্ববাদী ধর্মগ্রন্থে, আমি এসব দ্রাবিড়দের অধিকার চাই, সভ্যতার ইতিহাসে এরা শিল্পে সংস্কৃতিতে সব সময় গুরুত্বপুর্ন অবদান রেখেছে, তাদের দাবীর সপক্ষে আমি কণ্ঠ মেলালাম।
ব্যভিচারের সংজ্ঞা কি? সামাজিক স্বীকৃত সম্পর্কের বাইরে গিয়ে কারো সাথে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন। বেশ্যাবৃত্তি কি কোনো সামাজিক সম্পর্কের পর্যায়ে পড়ে? বেশ্যাবৃত্তি কি ব্যাভিচারের বাইরের কোনো নিয়ম? মদিনায় কি সে সময়ে বেশ্যাবৃত্তি প্রচলিত ছিলো? ইতিহাস ঘেঁটে দেখতে হবে- তবে ব্যভিচারের বিষয়ে খড়গহস্ত ছিলো মোহাম্মদ, ওমর, আবু বকর, এমন কি আলীকেও দেখা যায় এই বিধান দিতে- সবই মোহাম্মদের বরাতে দেওয়া- কিন্তু মোহাম্মদ পতিতাবৃত্তিকে সম্ভবত ব্যভিচারের কাতারে ফেলেন নি- আমাদের ইসলামি বিশ্বাসেই পতিতাবৃত্তিতে অংশগ্রহন করা সম্ভব।
Volume 7, Book 63, Number 195:
Narrated Jabir:
A man from the tribe of Bani Aslam came to the Prophet while he was in the mosque and said, "I have committed illegal sexual intercourse." The Prophet turned his face to the other side. The man turned towards the side towards which the Prophet had turned his face, and gave four witnesses against himself. On that the Prophet called him and said, "Are you insane?" (He added), "Are you married?" The man said, 'Yes." On that the Prophet ordered him to be stoned to the death in the Musalla (a praying place). When the stones hit him with their sharp edges and he fled, but he was caught at Al-Harra and then killed
ইসলাম ব্যভিচার নিষিদ্ধ করেছিলো। ব্যাভিচারীর শাস্তি বিবাহিত হলে পাথর ছুড়ে হত্যা করা আর অবিবাহিতের জন্য নির্ধারিত শাস্তি হলো ৮০ থেকে ১০০ চাবুকাঘাত।
ইহুদিদের সাথে মৈত্রিতার বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার চেষ্টার সময় মোহাম্মদ একত্ববাদী ধর্মের ঐতিহ্য মেনে নিজেকে ইহুদিদের উল্লেখিত সর্বশেষ নবী বলে প্রচারের চেষ্টা করেন। জিব্রাঈল সংক্রান্ত জটিলতায় তার এই সমঝোতা প্রস্তাব আটকে যায়। সেটা ভিন্ন গল্প।
তবে যেহেতু মোহাম্মদ এর পরে মদিনায় অবস্থিত খ্রীষ্টানদের সাথেও মৈত্রিতার বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাই যীশুর মহান কীর্তি কিংবা বিখ্যাত মিথটিকে ব্যবহারের চেষ্টা করেন।
যিশু একদা রাস্তা দিয়া যাইতেছিলেন সেখানে দেখিলেন একজন ব্যভিচারিনীকে পাথর ছুড়ে হত্যার চেষ্টা চলছে, যীশু কহিলেন তোমাদিগের মধ্যে যারা কোনো পাপ করে নাই তাহারাই শুধুমাত্র এই ব্যাভিচারিনীকে পাথর ছুড়ে মারিবার যোগ্য-
অতঃপর সবাই চলিয়া গেলো।
সে সময়েই বিখ্যাত কিংবা কুখ্যাত পাথর ছুড়ে হত্যার আয়াত নাজেল হইলো।
প্রিয় মদীনাবাসী এই পাথর ছুড়ে ব্যাভিচারি শিকারের উদ্যোগ ভালো চোখে দেখতে পারে নি- তারা প্রতিরোধ করিলো এবং মোহাম্মদও এই আয়াতের কার্যকরিতা স্থগিত ঘোষণা করিলেন। এটা অনেক আগে লেখা কোরান সংকলনের ইতিহাসে পাওয়া যাবে।
পাথর ছুড়ে হত্যার আয়াত প্রথম সংকলিত কোরানে ছিলো না, পরে ওমরের কথায় এটা সংশোধনী হিসেবে কোরানে স্থান পায়-
তবে পাথর ছুড়ে মারবার গল্প আছে বুখারীতে। বেশ কয়েকবারই পাথর ছুড়ে ব্যভিচারি হত্যা করা হয়েছে।
তবে আজ আবারও একটু বেকায়দায় পড়লাম- বেশ ভালোমতোই বেকায়দায় পড়লাম।
ইসলাম পতিতাবৃত্তি নিষিদ্ধ করে নি, বরং পতিতার দালাল হতে নিষেধ করেছে।
Volume 7, Book 63, Number 259:
Narrated Abu Juhaifa:
The Prophet cursed the lady who practices tattooing and the one who gets herself tattooed, and one who eats (takes) Riba' (usury) and the one who gives it. And he prohibited taking the price of a dog, and the money earned by prostitution, and cursed the makers of pictures.
ইসলামে কি পতিতাবৃত্তি নিষিদ্ধ নয়? লালনের গান মনে পড়লো, গোপনে যে বেশ্যার ভাত খায়, তার জাতের কি ক্ষতি হয়।
বেশ্যার ভাত খেতে মানা তবে বুখারী পড়লে মনে হয় বেশ্যাবৃতিকে ইসলাম নিষিদ্ধ করে নি।
নিষিদ্ধ না করবার কারণ কি? কোনো সম্মানিত বিশ্বাসী মহিলার পতিতাবৃত্তিতে অংশগ্রহন করবার কথা নয়- সেখানে নানাবিধ সমস্যার সাথে একটা চলমান সমস্যা হলো ব্যাভিচারের অভিযোগ-
ব্যভিচারের জন্য বীভৎস হত্যার উদ্বুদ্ধ আমাদের সম্মানিত আলেমগণ। পাকিস্তানে পাথর ছুড়ে হত্যা একটা বড় মাপের উৎসব হয়ে যায়- সেখানে এই সুন্নাহভিত্তিক প্রমাণ দাখেল করলে অন্তত নিহত মেয়েরা বেঁচে থাকতে পারতো।
২| ২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১২:২৪
প্রবাস কন্ঠ বলেছেন: কালে কালে আরো কতকিছু আবিষ্কার হবে !
৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১২:২৯
মাইনুল বলেছেন: এই সাধারন ব্যাপারটা বুঝতেছেন না কেন? মুসলিমরা কি শুধু মুসলিম দেশে থাকে? তারা কি ক্রীশ্চান বা অন্যধর্মের দেশে থাকতে পারেনা। সেক্ষেত্রে এই বিধান কার্যকর।
২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৩
অপ বাক বলেছেন: যদি কোনো মুসলিম পতিতা গমন করে সেটা কি বৈধ? মেনে নিলাম যে অন্য ধর্মের মানুষদের জন্যই এই নিয়ম, তবে যদি কোনো মুসলিম মেয়ে সজ্ঞানে এই পতিতাবৃত্তি বেছে নেয় সে কি পয়সা নিতে পারবে না?
বিধান কোন ক্ষেত্রে কার্যকর এটা নির্ধারণে সম্ভবত আমাদের আলেমদেরও সমস্যা হয়- তাই যখন পতিতাপল্লী উচ্ছেদ হয় তখন সেখানে সবার আগে লাঠি হাতে থাকে জোব্বা পড়া মোল্লারা।
কথা হলো তারা কোনো পয়সা পায় না, এবং মোহাম্মদ বলে গেছেন এটা থেকে পয়সা নেওয়াটাও বৈধ নয়- আপনার কথা মতো অন্য ধর্মের মানুষদের জন্য এটা ইসলামি দেশেও বৈধ- তবে কেনো আলেম এবং তথাকথিত দাড়ি-টুপি-জোব্বা মিছিল করে পতিতাপল্লী উচ্ছেদ করে শুক্রবারের জুম্মার পরে?
৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১২:৩৯
টিপটিপ বলেছেন: অদ্ভুত রকম জঘন্য একটা ব্যাখ্যা !
৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১:০২
কিবরিয়ারাফি বলেছেন: ঘুম আসে পরে পড়ুম।
৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১:২৯
হ্যারি সেলডন বলেছেন: জামাতি আর অতি নাস্তিক ছাঘলদের থেকে দুরে থাকতে হবে। মাইনাস। কাঠালপাতার ব্যবস্থা করা হচ্ছে আপনার জন্য!
৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১:৫০
সমালোচনাকারী বলেছেন: হ্যারি সেলডন বলেছেন: জামাতি আর অতি নাস্তিক ছাঘলদের থেকে দুরে থাকতে হবে। মাইনাস। কাঠালপাতার ব্যবস্থা করা হচ্ছে আপনার জন্য
৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ২:০০
রামন বলেছেন: এই কথাডাকি যিশু কইছিল কি তা জানা নাই, তবে জুম্মন ডাকু নাইচ্যা গাইয়্যা পাবলিকগো কইছিল যারা এক পতিতাকে পাথ্থর মারবার ছিল..সম্ভাবত "এক মুঠো ভাত " ছবিতে।
৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ২:০১
নাজিরুল হক বলেছেন: স্বজ্ঞ্যানে মাইনাস।
১০| ২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ২:০২
রামন বলেছেন: যীশু কহিলেন তোমাদিগের মধ্যে যারা কোনো পাপ করে নাই তাহারাই শুধুমাত্র এই ব্যাভিচারিনীকে পাথর ছুড়ে মারিবার যোগ্য-
এই প্রসংগে বলিয়াছি।
১১| ২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ২:১৪
ঘাতক বলেছেন: সমালোচনাকারী বলেছেন: হ্যারি সেলডন বলেছেন: জামাতি আর অতি নাস্তিক ছাঘলদের থেকে দুরে থাকতে হবে। মাইনাস। কাঠালপাতার ব্যবস্থা করা হচ্ছে আপনার জন্য
১২| ২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ২:১৫
সোনার বাংলা বলেছেন:
কলিকালে আরো কত কি শুনুম!!!!!!!!!!!
মাইনাস দেয়ার ও উপযুক্ত নয়।
১৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ২:১৭
সুধী বলেছেন: আপনার ব্যাখ্যার সাথে একমত নই।
১৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৩:১৫
ফজলে এলাহি বলেছেন: "অপবাক" নামের জন্য যথার্থ লেখা।
১৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ৯:০০
ধেড়ে হুলো বেড়াল বলেছেন: ভালো পয়েন্ট ধরেছেন । ++++
১৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ৯:৩০
সূর্য বলেছেন: এভাবেই বের করে আনতে হবে সব অসঙ্গতি।
প্লাস+
১৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ৯:৫২
দ্বিতীয়নাম বলেছেন: হ...+
১৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১০:৩২
gladiator বলেছেন:
চিন্তার উদ্রেককারী পোস্ট
১৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১০:৪২
রাজিবসিএসই বলেছেন: পড়ে নিবেন........
(১) গর্ভপাতঃ
১৯৬৮ সালে ইংল্যাণ্ডে গর্ভপাতকে বৈধতা প্রদান করার পর সেখানে কেবল রেজিস্টার্ড গর্ভপাতের ঘটনাই বৃদ্ধি পেয়েছে দশগুণ। এর মধ্যে মাত্র শতকরা একভাগ (১%) স্বাস্থ্যগত কারণে আর বাকী ৯৯%-ই অবৈধ গর্ভধারণের কারণে ঘটেছে। ১৯৬৮ সালে যেখানে ২২,০০০ রেজিস্টার্ড গর্ভপাত ঘটানো হয় সেখানে ১৯৯১ সালে এক লক্ষ আশি হাজার আর ১৯৯৩ সালে তা দাঁড়ায় আট লক্ষ উনিশ হাজারে। এর মধ্যে পনের বছরের কম বয়সী মেয়ের সংখ্যা তিন হাজার। এটা তো গেল যুক্তরাজ্যের অবস্থা। এখন আসুন যুক্তরাষ্ট্র বা আমেরিকার দিকে দৃষ্টি দেয়া যাক। সেখানকার পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ। রেজিস্টার্ড পরিসংখ্যান অনুযায়ী কেবলমাত্র ১৯৯৪ সালেই যুক্তরাষ্ট্রে দশ লক্ষ গর্ভপাত ঘটানো হয়। The Alan Guttmachere Institute নামের একটি গবেষণা-প্রতিষ্ঠানের মতে প্রকৃত গর্ভপাতের সংখ্যা উক্ত সংখ্যার তুলনায় ১০%-২০% বেশি। এক্ষেত্রে কানাডার পরিস্থিতি কিছুটা 'ভালো'। অর্থাৎ, যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধেক। তবে জাপানের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিগুন । অর্থাৎ, জাপানে প্রতি বছর প্রায় বিশ লক্ষ রেজিস্টার্ড গর্ভপাত ঘটানো হয়ে থাকে। তথাকথিত সভ্য-জগতে 'ইচ্ছার স্বাধীনতা'-র জন্য বিগত ২৫ বছরে এক বিলিয়ন অর্থাৎ দশ কোটিরও অধিক ভ্রুণকে হত্যা করা হয়। উক্ত সংখ্যা কেবলমাত্র রেজিস্টার্ড পরিসংখ্যান থেকে নেয়া হয়েছে । প্রকৃত সংখ্যা আরো ভয়াবহ। 'বর্বরযুগে' কন্যা-সন্তানদের হত্যা করা হতো অর্থনৈতিক কারণে। কিন্তু আজ তথাকথিত সভ্য-জগতে ব্যাভিচার, অবৈধ-মিলন আর অনৈতিকতার চিহ্ন মুছে ফেলতে এইসব হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। এ-সবই হলো বেপর্দা আর নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশার কুফল।
(২) ধর্ষণঃ
ধর্ষণের প্রকৃত সংখ্যা জানা সহজ নয়। অনেক ক্ষেত্রেই ভুক্তভোগী এ-বিষয়ে রিপোর্ট করে না। ফলে, যে-সংখ্যা পাওয়া যায়, বাস্তবে তা অনেক বেশি ঘটে। ব্রিটিশ পুলিশের মতে ১৯৮৪ সালে, এই এক বছরে, বৃটেনে ২০,০০০ (বিশ হাজার)-এর অধিক নিগ্রহ এবং ১৫০০ (পনের শ') ধর্ষণের ঘটনা রেকর্ড করা হয়। The London Rape Crisis Center -এর মতে বৃটেনে প্রতিবছর অন্তত পাঁচ থেকে ছয় হাজার ধর্ষণের ঘটনা রেকর্ড হয়ে থাকে, আর প্রকৃত সংখ্যা তার চাইতেও বেশি। ১৯৯৪ সাল নাগাদ এই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩২,০০০ হাজারে। উক্ত সংস্থার মতে "If we accept the highest figures, we may say that, on average, one rape occurs every hour in England." মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি সবচাইতে ভয়াবহ। এখানে বিশ্বের সর্বাধিক সংখ্যক ধর্ষণের ঘটনা ঘটে থাকে। সে সংখ্যা জার্মানীর সংখ্যার চাইতে চারগুণ, বৃটেনের চাইতে ১৮ গুণ আর জাপানের চাইতে প্রায় বিশগুণ বেশি। সবচাইতে উদ্বেগজনক এবং বাস্তবতা এই যে, ৭৫% ভাগ ধর্ষণের ঘটনাই ঘটে থাকে পূর্ব-পরিচিতের দ্বারা আর ১৬% নিকট-আত্মীয় বা বন্ধুর দ্বারা। National Council for Civil Liberties নামক সংস্থার মতে ৩৮% ক্ষেত্রে পুরুষ তাঁর অফিসিয়াল ক্ষমতা বা কর্তৃত্ব প্রয়োগ করে নারীকে ধর্ষণ করে থাকে। আর ৮৮% মহিলা কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির স্বীকার হয়ে থাকেন। এই হলো তথাকথিত উন্নত ও নারী-স্বাধীনতার দাবীদার দেশগুলোর অবস্থা।
(৩) বিবাহ-বিচ্ছেদঃ
বিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে বিবাহপূর্ব সহবাস এবং 'Live Together' -এর প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। ১৯৬০ সালে জন্ম গ্রহণকারী বৃটেনের নারীদের প্রায় অর্ধেক প্রাক-বিবাহ সহবাসের অভিজ্ঞতা অর্জন করে। এর পক্ষে তাঁদের যুক্তি ছিল যে, এর ফলে নর-নারী একে অপরকে ভালোভাবে জানতে পারে এবং এর পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে তা স্থায়ীত্ব লাভ করে থাকে। কিন্তু বাস্তবতা তার সম্পূর্ণ বিপরীত। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ইংল্যাণ্ডেই সর্বাধিক বিবাহ-বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটে থাকে। ১৯৮৩ সালে যুক্তরাজ্যে যেখানে এক লক্ষ সাতচল্লিশ হাজার বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটে, ১৯৯৪ সালে তার সংখ্যা দাঁড়ায় এক লক্ষ পঁয়ষট্টি হাজারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৭০ সালে বিবাহ-বিচ্ছেদের সংখ্যা ছিল সাত লক্ষ আট হাজার, আর ১৯৯০ সালে তা দাঁড়ায় এগার লক্ষ পঁচাত্তর হাজারে। পক্ষান্তরে, বিবাহের হারে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য-সংখ্যক পরিবর্তন হয়নি।
(৪) কুমারী-মাতৃত্ব ও একক-মাতৃত্বঃ
পশ্চিমা-বিশ্বের তথাকথিত "নারী স্বাধীনতার" আরেক অভিশাপ হলো কুমারী-মাতৃত্ব। বৃটেনে এক জরিপে দেখা যায় যে, ১৯৮২ সালে যেখানে কুমারী-মাতার সংখ্যা ছিল নব্বই হাজার, ১৯৯২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় দুই লক্ষ পনের হাজারে। ১৯৯২ সালে জন্ম নেওয়া শিশুদের ৩১% ছিল অবিবাহিতা মাতার সন্তান। এই অবিবাহিতা বা কুমারী-মাতাদের মধ্যে আড়াই হাজারের বয়স ১৫ (পনের) বছরের নীচে। বৈধ বিবাহের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া শিশুর তুলনায় অবৈধ শিশুর জন্মের হারও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপরদিকে, অবৈধভাবে জন্ম নেওয়া শিশুর দায়ভার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বর্তাচ্ছে কুমারী-মাতা বা একক-মাতৃত্বের (single mother) উপর। নারীর উপর কুমারী-মাতৃত্বের এই দায়ভার পশ্চিমা-বিশ্বে নারী-নিপীড়নের এক নিষ্ঠুর উদাহরণ।
(৫) মদ্যপান ও ধুমপানঃ
পশ্চিমা ধাঁচের নারী-পুরুষের সমানাধিকার নারী সমাজের মধ্যে অনেক মন্দ অভ্যাসের জন্ম দিয়েছে। একসময় মদ্যপান ও ধূমপানকে কেবল পুরুষের বদঅভ্যাস হিসাবে চিহ্নিত করা হতো। কিন্তু আজ নারীও তাতে আসক্ত হয়ে পড়েছে। The Sunday Times - এর এক রিপোর্টে দেখা যায় যে, নারীরা "নির্দ্ধারিত মাত্রার" চাইতে অধিক পরিমাণে মদ্যপানে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। আর ধুমপানের ক্ষেত্রে এর সংখ্যা এবং পরিমাণ পুরুষের সমান সমান।
২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৭
অপ বাক বলেছেন: এই বিশাল আলোচনার সাথে এই লেখার যোগসুত্র খুঁজে পেলাম না- প্রশ্নটা ছিলো আসলেই কি ইসলামে পতিতাবৃত্তি বৈধ না কি এটা অবৈধ। যতটুকু হাদিসের বয়ান দেখা গেলো তাতে পতিতাবৃত্তি অবৈধ না হলেও এটা থেকে উপার্জিত অর্থ গ্রহন অবৈধ-
আপনার অবাধ মেলামেশা তত্ত্ব এবং কুমারি মাতৃত্ব এবং গর্ভপাতজনিত তথ্য থেকে কোনো ভাবেই এই আলোচনার জায়গায় পৌছানো যায় না।
২০| ২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১১:১৮
মামু বলেছেন:
এই পুষ্ট নিয়া আবার কবে ক্যচাল শুরু হইব?
আবালীয় পুষ্ট....
২১| ২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:৩২
স্বাধীন জামিল বলেছেন: আমার কিছুই বোধগম্য হইতেছে না.....
তবে ধেঢ়ে হুলো বেড়াল মনে হয় সব কিছুতেই মজা পায়.........
২২| ২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:৫২
অপ বাক বলেছেন: অনেকের ভেতরেই ধর্ম নিয়ে একটা কোমলতার জায়গা আছে- সমস্যা হলো ধর্মকে আমরা যে স্থানে নিয়ে রাখি- ধর্ম কি আসলেও সে জায়গায় থাকবার যোগ্য? নিজস্ব স্ববিরোধিতা এবং পশ্চাৎপদটার বিষয়টাকে সামনে আনা প্রয়োজন।
তবে এখানে শুধু একটা প্রশ্ন ছিলো যেহেতু কোরানে পতিতাবৃত্তি সম্পর্কে স্পষ্ট কিছুই বলা নেই- আমাদের সামনে সাহিহ বুখারি আছে- সেটাও না কি শরিয়া আইনের উৎস-
সেই শরিয়া আইনের উৎসে দেখা যাচ্ছে বেশ্যার দালালি করাটা নিষিদ্ধ তবে বেশ্যাবৃত্তির বিষয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
হালাল- হারাম- মুস্তাহাব- নানাবিধ ব্যখ্যায় আমাদের খাওয়ার টেবিলে খাদ্যবস্তু উঠে- শুওয়ের গোবরে চাষ করা খাদ্য বৈধ কি না এ নিয়েও কোনো কোনো ইসলামি সাইটে আলোচনা চলে- এটাও বৈধ খাদ্য নির্ণয়ের কৌশল।
এখানে যে প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে সেটার সহযোগী আরও ৩টা হাদিস দেওয়া যায়- কথা হলো এই সহযোগী ৩টা হাদিসে কি পতিতাবৃত্তি বৈধ হয়ে যাবে?
২৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৪:২৮
মাহবুব সুমন বলেছেন: পড়ে বেশ মজা পেলাম। নির্মল ও বিনা মুল্যে আনন্দ লাভ করিতে ব্লগ খাসা জায়গা ।
কেহ কেহ যুক্তির কথা বলিয়া থাকে তবে উহারে সেই সব যুক্তিই মানিয়া থাকে যাহা উহাদের মনঃপুত হইয়া থাকে।
কেহ কেহ নিজের যুক্তিকে অন্যকে গুলিয়ে খাইয়ে দিতে বড়ই ভালো বাসে।
অল্প পড়িয়া অন্যকে বড় বড় কথা বলে, আচরন করে এবং অন্যের কাছে নিজেকে জাহির করিতে বড়ই পছন্দ করে।
কেহ কেহ নিজের বিশ্বাষে আঘাত হানিলে সেই আঘাতের প্রতিউত্তরে আঘাত করিতে মড়িয়ে হইয়া উঠে অথচ সেই মানব সন্তানই স্বগ্যানে অন্যের বিশ্বাষে আঘাত হানিতে তৎপর ও অন্যের বিশ্বাষকে তুচ্ছ গ্যান করিয়া থাকে।
আবারো হাসিলাম।
২৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৪
মাহবুব সুমন বলেছেন: কেহ কেহ আবার ধর্ম বলিতে ইসলামকেই বুঝিয়া থাকেন। স্মৃস্টিকর্তার অস্তিত্বে বিশ্বাষী না হইলেও উহারা শুধু মাত্র ইসলামকেই আক্রমন করিয়া থাকেন। এই সব অতি গ্যানি মানব সন্তানকে একবারের জন্যও দেখা যায় না হিন্দু/ক্রিস্চিয়ান/বৌদ্ধ বা ইহুদি ধর্মকে অসার প্রমান করিতে !!
ইহারা ইসলামে বিশ্বাষে করেন না , স্মৃস্টিকর্তায় বিশ্বাষ করেন না কিন্তু ইহারাও উগ্রপন্থি মৌলবাদীর মতো ইসলামকেই বাছিয়া লন নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করিতে।
ইহারাও একধরনের ব্যবসায়ী।
---
পোস্ট বহিঃভূত মন্তব্যের জন্য দূঃখিত।
ব্যক্তিগত ভাবে না নেবার জন্য অনুরোধ।
২৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৩
দ্বিতীয়নাম বলেছেন: সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট, একমাত্র, সকল মানবজাতির গতি ইত্যাদি কইয়া গলা ফাটাইলে তো এমন হইবোই।
২৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৫:২৮
নেমেসিস বলেছেন:
সোনার বাংলা বলেছেন:
কলিকালে আরো কত কি শুনুম!!!!!!!!!!!
>>>> হাদিস বলে কথা
২৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৯:১০
অপ বাক বলেছেন: মাহবুব মনে করিবার কোনো কারণ নাই। কেহ কেহ অল্প পড়িয়া জাহির করতে ভালোবাসে আর কেহ কেহ না পড়িয়াই নিজের অজ্ঞতার গর্ব করিতে ভালোবাসে।
যে পড়ে তাহার একটা খোঁজের জায়গা থাকে, তবে যে পড়ে না নিজের অজ্ঞতাকেই গর্বভরে লালন করে তাহার সান্তনা টাহার নিজের অন্ধবিশ্বাস।
যাহা হউক ঘটনা যেভাবেই সামনে আসুক, মূল বক্তব্য হইলো, কোনো একসময় মদিনার এক দাসীর মালিক চেষ্টা করিয়াছিলো তাহার দাসীকে দিয়ে পতিতাবৃত্তি করানোর।
এটা তেমন অপ্রচলিত প্রথা ছিলো বলিয়া মনে হয় না- যদি এটার প্রবনতা না থাকিত তাহলো হয়তো আনসারির ভাবনায় এহার উদ্রেক হইতো না।
সেই সম্মানিত আনসারীর নাম ছিলো আব্দুল্লাহ বিন উবায় বিন সালুল, তাহার দুইটি দাসি ছিলো- একজনের নাম মুসাইকা এবং অন্য জনের নাম উমাইমা, আল্লাহর ভদ্র বান্দা আব্দুল্লাহ মুসাইকাকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করিতেছে এমন অভিযোগ নিয়া মুসাইকা হাজির হইলো মুহাম্মদের দরবারে-
সেখানে কোরানের আয়াত নাবিয়া আসিলো
সুরা নুরের ৩৩ নম্বর আয়াতে যাহা বর্ণিত আছে-
তোমরা তোমাদের দাসীদের পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করিও না যাহারা সতী থাকতে চায়-
যাহাই হউক, ঘটনার ভিন্ন ভিন্ন পাঠ থাকিতে পারে তবে উল্লেখিত শব্দদ্বয় বিভ্রান্তিকর=
তোমরা সেইসব দাসীদের পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করিও না যাহারা সতীত্ব অক্ষুন্ন রাখিতে চায় কিংবা সতী থাকিতে চায়-
যাহাদিগের এই কামনা নাই তাহারা কি পতিতাবৃত্তির অনুমতি পাইতো-
অনুমাণ করা চলে এটা তেমন দোষনীয় কিছু ছিলো না সে সময়, আপন অধিকারভুক্ত দাসীকে দিয়ে পতিতাবৃত্তি করানোর অধিকার কোরআন মালিককে দেয়-
তবে সেইসব পতিতাদের সন্তানদের যাহার সদ্যমৃত তাহাদের জানাযা হইবার অধিকার ছিলো-
যাহারা মৃত অবস্থায় ভুমিষ্ঠ হইয়াছে তাহাদের বিবেচিত করা হইবো গর্ভপাতে মৃত হিসেবে তাহাদিগের মৃতদেহের সৎকারের প্রয়োজন নাই-
এইখানে পতিতার সন্তানের কথাই বিশেষ করিয়া উল্লেখ করা হইয়াছে বিধায় এই প্রসঙ্গ আনা।
পতিতার অর্থ গ্রহন নিষিদ্ধ তবে পতিতাগমনে স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা দেখিলাম মাত্র একটা হাদিসে- যদিও সেটা তেমন বলিষ্ট কারো হাদিস নয়, সাহীহ হিসেবে স্বীকৃতি মুসলিম কিংবা বুখারিতেও এই বিষয়ক নিষেধাজ্ঞা নেই- নেই আবু দাউদেও-
যাহাই হোক-
প্রতিটাতেই লিপিবদ্ধ রহিয়াছে পতিতাবৃত্তির ফলে উপার্জিত অর্থ ভোগ করিতে পারিবে না মুসলিম মালিক।
২৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৯:১৬
চিকনমিয়া বলেছেন: অতি আনন্দে মাইনাচ দিচি
২৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১১:০২
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আমাদের মূল সমস্যাটা হল, ধর্ম সম্পর্কে এক ধরনের ভয় ও গর্ব আছে। ভয় - না আবার কোন বেয়াদবি হয়ে ধর্ম থেকে খারিজ হয়ে যাই। গর্ব - আমার ধর্মই সেরা, এটার মধ্যে কোন ভুল নাই, থাকতে পারে না, এ ধরনের চিন্তাও পাপ।
কিন্তু বাস্তব জীবনে তীব্র আলোর মধ্যেও যেমন ছায়া বেঁচে থাকে, তেমনি ধর্মের মধ্যে রয়ে গেছে অনেক অসঙ্গতি। এসব অসঙ্গতি নিয়ে কথা বলতে গেলেই সবাই ক্ষেপে ওঠে। যার জন্য এসব অসঙ্গতি দূর করা তো দূরের কথা, বরং আলোচনার অপরাধে আলোচনাকারীকে সমাজ থেকে দূর করে দেয়া হয়। এই অবস্থা চলছে যুগের পর যুগ।
অনেক জ্ঞানী ও শিক্ষিত লোককেও দেখেছি, ধর্ম সম্পর্কে যুক্তিযুক্ত আলোচনা করার সময়ে পিছিয়ে যায়, ক্ষেপে যায়, যুক্তিহীন কথা বলে, জোর খাটায়, মনগড়া কথা বলে এবং সবাইকে তার প্রতিপক্ষ মনে করে।
৩০| ২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১১:১২
জানি বলেছেন:
All based on anticipation that if money is forbidden then it was approved.
The thing is too much anticipation is a sin. Its written in Quran. Hope writer will read that and realize.
৩১| ২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১১:৪৩
অপ বাক বলেছেন: সকল বিষয়ই অনুমাণ জনি- মুহাম্মদ ঘোষণা দিলো আমি আল্লাহর প্রেরিত বান্দা- এটা তার অনুমাণও হতে পারে- এই অনুমানটাকে বাস্তব অনুমান বলা যায়- এখন এই অনুমানের ফলাফল কি? ১২০ কোটি মানুষ এবং এটা বাড়ছেই-
সকল অনুমানের একটা বাস্তব ভিত্তি থাকে, এখানেও সেটা আছে- পতিতাবৃত্তি নামক বিষয়টা সকল সমাজে সকল সময়ে বর্তমান ছিলো সেসবের আত্তীকরণের জায়গাটা কোথাও ছিলো না- এমন কি ইসলামেও নেই- ইসলামে এমন কি ব্যভিচারী নর- নারির বিবাহের অধিকারও নেই- তবে কোথাও বলা নেই ব্যভিচারী নর- নারী যদি নিজেদের ভেতরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চায় তাহলে কি হবে-
৩২| ০৪ ঠা মে, ২০০৮ রাত ৯:৪৮
কানা বাবা বলেছেন:
@অপ বাক,
আপ্নে কৈছেন, "পাথর ছুড়ে হত্যার আয়াত প্রথম সংকলিত কোরানে ছিলো না, পরে ওমরের কথায় এটা সংশোধনী হিসেবে কোরানে স্থান পায়-"
কুরআনের কুথায় আছে এই আদেশ? দেখতে সাধ জাগে; পাল্লে দ্যাহায়েন...
আমার তো যদ্দুর জানা আছে, অ্যাডাল্টারির লিগা বোথ মেল এ্যান্ড ফিমেল পার্টনারের জন্য শাস্তি সমান এবং সেইটা হৈলো একশো কষাঘাত (২৪:২)। ব্যাভিচারের জইন্য এরচে' বড় মাত্রার কুনু শাস্তির আদেশ কুরআনে নাই; তা আপনি যতই খুঁইজা মরেন না ক্যান। ইবনে মাজা' কিম্বা বুখারি /মুসলিম /ইবনে হিশাম থিকা রহস্যময় ছাগলের উপাখ্যান কৈয়া যুদি হেইডারে কুরআন বৈলা চালাইতে চান তাইলে তো বিপদ! ঐ ছাগলের গপ্পো বিশ্বাস করাডা চূড়ান্ত ছাগলামির নিদর্শন...
রজমের ভূয়াত্ব(?) সম্পক্কে আরো খুলাশা হৈতে চাইলে ৪:২৫দেকতে পারেন...
৪:১৬ দেকলেও হেলেপ হৈবেক আশা করি...
আর ব্যাভিচারী নর/নারীর বিয়া সম্পক্কে আপ্নে কৈলেন "ইসলামে এমন কি ব্যভিচারী নর- নারির বিবাহের অধিকারও নেই- তবে কোথাও বলা নেই ব্যভিচারী নর- নারী যদি নিজেদের ভেতরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চায় তাহলে কি হবে-"
আপ্নের এই দাবীডাও সইত্য না; আপ্নে দ্যাহেন ২৪:৩, ২৪:২৬ যেইখানে এই ব্যাপারে বলা আচে... টাইম কৈরা দেইখা লৈয়েন...
০৫ ই মে, ২০০৮ রাত ১২:১৩
অপ বাক বলেছেন: কুরানে ব্যভিচারের শাস্তি ১০০ ঘা চাবুকের বাড়ি এটা নিয়ে কোনো দ্বিধা নাই আমার, উমর চাইছিলো এইটাকে কোরানের অংশ করতে এমন কি সংশোধনী হিসেবে এটাকে অন্তর্ভুক্তও করা হয়েছিলো। আমি এই কথাই লিখেছিলাম, কোথাও বলি নি এটা এখন বর্তমান কোরানের অংশ।
বর্তমান কোরানে এটা নেই কিন্তু ওমর খলিফা থাকা কালে এ বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য দিয়ে গেছে যে এটা মুহাম্মদের উপরে অবতীর্ণ হয়েছিলো এবং এটা কোরানের অংশ। এবং এই বিধিমোতাবেক মুহাম্মদ অনেক ব্যভিচারিরে পাথর ছুড়ে হত্যা করেছে।
এই প্রথা অব্যহত ছিলো।
আমি গলা ফাটায়া চিৎকার করে কি হবে ভাই বলেন। আমি গলা না ফাটাইলেও এইটা রহস্যময় ছাগলের উপখ্যান হিসেবে থেকে যাবে
যেমনটা, তোমাদের ভেতরে যারা একই মায়ের দুধ ১০ চুমুক খেয়েছো তাদের ভেতরে বিবাহ হারাম।
এটা পরিবর্তিত হয়ে এসেছিলো, তোমাদের ভেতরে যারা একই মায়ের দুধ অন্তত ৫ চুমুক খেয়েছো তাদের ভেতরে বিবাহ হারাম।
Book 30, Number 30.2.12:
মালিকের মুয়াত্তা-
Book 30, Number 30.2.13:
সঙ্গমপাগল স্বামীকে সঙ্গমনিরত রাখবার এই প্রচেষ্টাকে কি বলবেন আপনি কানাবাবা?
যদি প্রথম ২ বছরের ভেতরে বুকের দুধ খাওয়ানো হয় তবেই দুধ মা'র ছেলে মেয়েদের ভেতরে এবং দুধ মায়ের জ্ঞাতিদের ভেতরে বিবাহ হারাম হবে। যদি এটা ২ বছরের পরে খাওয়ানো হয় তবে সেটা খাদ্য হিসেবে গন্য হবে।
গরুর দুধ দুইয়ে খেয়ে যাচ্ছে মানুষ, গরুর সাথে কিংবা গরুর মা বোন, ভাইয়ের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছে না তেমন ভাবেই মিল্কমেইড ২ বছরের বড় শিশুকে দুধ খাওয়ালেই সে দুধ মা হয়ে যায় না।
৩৩| ০৪ ঠা মে, ২০০৮ রাত ৯:৫৬
হিমু রুদ্র বলেছেন: পতিতাবৃত্তি একটা আদিম ও প্রাচীন পেশা...!
দার্শনিক সক্রেটিস এর নিজেরই একজন 'দাসী' ছিলো... (সক্রেটিসের জবানবন্দী)
সক্রেটিসের আমল থেকেই পতিতাবৃত্তি চলে আসছিলো ।
ইসলামে পতিতাবৃত্তি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বলা হয়েছে :
"তোমরা হালাল ওউত্তম বস্তু দ্বারা জীবিকা নির্বাহ কর"
এই আয়াত থেকে বুঝতে পারার কথা।
ব্যাংকক তো ইসলামিক কান্ট্রি না, সেখানে এত বেশি পতিতালয় কেন ?... ঐ দেশে গিয়া "পতিতাবৃত্তি" নিয়ে সেমিনার করেন দেখি !
আর বাংলাদেশে বহু আগে থেকে কিছু পতিতালয় চলছে (পড়ুন মধ্যাহ্ন, রঙিলা নটিবাড়ী, হুমায়ূন আহমেদ )।
এর জন্য দায়ী কে ? সমাজ, মানুষ, দৃষ্টিভঙ্গি, পুরুষের জৈবিক প্রয়োজন (অর্থাৎ আমরাই !)
কম জেনে কম লিখবেন। বেশি না।
৩৪| ০৪ ঠা মে, ২০০৮ রাত ১০:৫৭
কানা বাবা বলেছেন:
সক্রেটিসের "দাসী" ছিলো মানেই সেটা যৌনদাসী কিম্বা সেবাদাসী ধরে নিতে হবে? তার মতোন উন্নত নৈতিকতাসম্পন্ন একজন মহান মানুষের "দাসী" আছে শুনেই যারা সেই "দাসী" শব্দের যেন-তেন গাল্পিক ব্যাখ্যা দাড় করায় তাদেরকে আমার অসুস্থ মনে হয়...
আপনি বল্লেন:
"ইসলামে পতিতাবৃত্তি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বলা হয়েছে :
"তোমরা হালাল ওউত্তম বস্তু দ্বারা জীবিকা নির্বাহ কর"
এই আয়াত থেকে বুঝতে পারার কথা।"...
এই আয়াতে কোথায় বলা হয়েছে যে প্রস্টিট্যুশান অসিদ্ধ? "হালাল ও উত্তম বস্তুর" তালিকার ভেতর প্রস্টিট্যুশান পড়ে কি না; সেটা কিভাবে নিশ্চিত হলেন? ইলহাম পেয়ে?
রেফারেন্স হিসাবে হুমায়ূন আহমেদের মতোন তরল ধাতুর লেখককে টেনে আনার ফলে আপনার তথ্যগত অবস্থান অকল্পনীয় সুদঢ় হয়েছে স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছি; কিন্তু তারচেয়ে ভাল লেগেছে আপনার আপ্তবাণীটি: কম জেনে কম লিখবেন। বেশি না।
কথাটা নিজের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করার সময় নিশ্চয়ই ফুরিয়ে যায়নি!
@হিমু রুদ্র
৩৫| ০৪ ঠা মে, ২০০৮ রাত ১১:০৭
মাইনুল বলেছেন: ইসলামে পতিতা পেশা এলাউড এর চেয়ে হাস্যকর জোক্স আমি জীবনে শুনি নাই। এই লিঙ্কটিতে বিস্তারিত ব্যাখা আছে-
Click This Link
৩৬| ০৪ ঠা মে, ২০০৮ রাত ১১:৪৪
অপ বাক বলেছেন: Volume 8, Book 82, Number 800e:
Volume 8, Book 82, Number 801:
Volume 8, Book 82, Number 802:
Volume 8, Book 82, Number 803:
Volume 8, Book 82, Number 806:
Volume 8, Book 82, Number 810:
Volume 8, Book 82, Number 813:
Volume 8, Book 82, Number 815:
উমরের ভাষ্য যে পাথর ছুড়ে ব্যভিচারিকে হত্যা করতে হবে এটা কোরানের অংশ ছিলো-
Volume 8, Book 82, Number 816:
Narrated Ibn 'Abbas:
'Umar said, "I am afraid that after a long time has passed, people may say, "We do not find the Verses of the Rajam (stoning to death) in the Holy Book," and consequently they may go astray by leaving an obligation that Allah has revealed. Lo! I confirm that the penalty of Rajam be inflicted on him who commits illegal sexual intercourse, if he is already married and the crime is proved by witnesses or pregnancy or confession." Sufyan added, "I have memorized this narration in this way." 'Umar added, "Surely Allah's Apostle carried out the penalty of Rajam, and so did we after him."
সম্পূর্ণ বর্ণনা আছে এর পরের হাদিসে।
Volume 8, Book 82, Number 817:
হাদিসের বর্ণনার পাওয়া যাচ্ছে মুহাম্মদ বিবাহিত মানুষদের ব্যভিচারের শাস্তি হিসেবে পাথর ছুড়ে হত্যার নির্দেশই দিয়েছেন। তবে অবিবাহিতদের জন্য শাস্তি হচ্ছে ১০০ ঘা চাবুক। এটাই আল্লাহর নির্ধারিত শাস্তি, এছাড়া অন্য কোনো অপরাধের জন্য ১০ চাবুকের বাড়ির বেশী দেওয়া নিষিদ্ধ। একই সাথে পড়তে পড়তে গেলে পাওয়া যাবে দাসীরা যদি ব্যভিচার করে তবে তাদের শাস্তি হবে ৫০ ঘা চাবুক, এরপরের বার করলেও ৫০ ঘা, এর পরের বার করলেও ৫০ ঘা,তার পরে করলে ৫০ ঘা চাবুকের বাড়ি এবং তাকে নামমাত্র মূল্যে হলেও বিক্রী করে দিতে হবে।
৩৭| ০৪ ঠা মে, ২০০৮ রাত ১১:৫১
অপ বাক বলেছেন: উপরের সবগুলো হাদিসই সাহীহ আল বুখারীর।
আলী যখন এক মহিলাকে ব্যভিচারের জন্য শুক্রবারে পাথর ছুড়ে হত্যা করলো তখন কিন্তু সুরা আল নুর প্রতিষ্ঠিত। উসমান তখন কোরানের সংকলন করে শেষ করেছে। এরপরেও আলী মহিলাকে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করেছিলো মুহাম্মদের রীতি অনুসারে।
এটা বুখারীর হাদিস সংখ্যা-
Volume 8, Book 82, Number 803:
৩৮| ০৫ ই মে, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩৩
কানা বাবা বলেছেন:
অপ বাক, আপ্নে যুদি দয়া কৈরা ৪:২৫ আর ৪:১৬ দ্যাখতেন তাইলে বুধয় ইরমের জেহাদি জোশ লৈয়া "মুহাম্মদের রীতি"র সিদ্ধতার পক্ষে হাদিসের ফালতু (রিয়্যালি স্যরি) যুক্তি দিবার পার্তেন্না।
যাউকগা, আপ্নের সময়ের অভাব থাকতে পারে; তাই পঙক্তিগুলানের বাঙলা অর্থ যতটুকুন বুঝি, তুইলা দিলাম...
"বিয়ের পর যদি তারা ব্যভিচার করে, তারা ভোগ করবে স্বাধীন ব্যভিচারিণীকে দেয় শাস্তির অর্ধেক। এটাই আইন তোমাদের মধ্যে তাদের জন্য যারা পাপ করতে ভয় পায়। কিন্তু তোমরা যদি বিরত থাকো, এটা তোমাদের পক্ষে হবে অনেক ভালো। আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়ালু। (৪:২৫)
ক্রীতদাসীদের ক্ষেত্রে ব্যভিচারের শাস্তি প্রসঙ্গে উক্ত বাণী এসেছে। এবার; আপনার দেওয়া তথ্যমতে ব্যভিচারিণীর স্বাভাবিক শাস্তি যদি প্রস্তরাঘাতে মৃত্যু (রজম) হয়ে থাকে, তবে ক্রীতদাসীদের ক্ষেত্রে শাস্তি কী হবে? কিভাবে নির্ণিত হতে পারে "মৃত্যুর অর্ধেক" পরিমাণ শাস্তি?
আদৌ কি "অর্ধমৃত্যু" বলে কিছু আছে, নাকি থাকা সম্ভব?
তাছাড়া আপনার বুখারিকে যদি তর্কের খাতিরেও সত্য ধরে নিই তবে তার মানে দাঁড়াচ্ছে যে রজম সেক্ষেত্রে অবশ্যপালনীয় বা ফর্জ বিধান হিসেবে নাজিল হয়েছিলো। তবে আল্লাহ কেন আবার একথা বললো যে "কিন্তু তোমরা যদি বিরত থাকো, এটা তোমাদের পক্ষে হবে অনেক ভালো..."। তাহলে আদেশদ্বয় কি কন্ট্রাডিক্টরি হয়ে যাচ্ছে না? কন্ট্রাডিকশন কি কুরআনের কথিত বৈশিষ্ট্যের সাথে যায়?
আরো বলা আছে "তোমাদের মধ্য হইতে যেই দুইজন সেই কুকর্মে লিপ্ত হয়, তাহাদিগকে শাস্তি প্রদান করো। অতঃপর যদি উভয়ে তওবা করে এবং নিজেদেরকে সংশোধন করে, তবে তাহাদের হইতে হাত গুটাইয়া লও। আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়ালু। (৪:১৬)
এইখানেও তো ঈশ্বরকে আমরা ক্ষমাশীল হিসেবেই পাচ্ছি। তারপরও কি ঐ গাঁজাখুরি হাদিসের গপ্পোনুযায়ী ধরে নিতে হবে যে ঈশ্বর আসলেই চান যে ব্যভিচারের শাস্তি হিসাবে খুন করা হোক? তাছাড়া ব্যভিচারের শাস্তি হিসেবে খুন করলে সেক্ষেত্রে ২৪:৩ এবং ২৪:২৬-এ বলা বিয়ের অর্থইবা কী দাঁড়াবে? মরা পুরুষের সাথে মরা মহিলার বিয়ে হবে? আপনার তথ্যসূত্রানুযারী রজমকে কুরআননির্দেশিত বিধান ধরলে তো সেটাই করতে হবে মনে হচ্ছে...
আপনারে আগেই এক পোস্টে আমি কৈছিলাম যে হাদিসের নামে চালু গাঁজাখুরি গপ্পের উপর আমার বিশ্বাসের পরিমাণ প্রায় শূণ্যের কোঠায়। কিন্তুক আপ্নে তথ্যসুত্র হিসাবে হাদিসের চটি বইগুলারে বারংবার উদ্ধৃত কোর্তাচেন। হাদিসের অভ্রান্ততার ওপর এতোখানি বিশ্বাস আপনার পয়দা হৈলো ক্যান বুজদার্লাম্না; নিদারুণভাবে ব্যর্থ হৈলাম...
ব্যভিচারের প্যাঁচালের মইধ্যে দুধ-মা কিম্বা দুধের চুমুকের হিসাব আইলো ক্যামতে হেডাও বুজলাম্না...
(এবং যথারীতি এইডারও তথ্যসূত্র "মাননীয়" হাদিসের চটি...
হাহ্ হাহ্ হাহ্...)
@অপ বাক
০৭ ই মে, ২০০৮ রাত ১২:০৮
অপ বাক বলেছেন: বিবাহিত এবং অবিবাহিত ব্যভিচারীদের জন্য শাস্তির ভিন্নতা মানতে আপনার আপত্তিকে সম্মান করতেই হচ্ছে। তবে প্রচলিত বিধি যা ইহুদী সমাজে প্রচলিত ছিলো সেটাকে গ্রহন করা নিয়ে বিপত্তি ঘটেছে।
হাদিসের গালগপ্পোগুলো নিয়ে আপনার অবস্থান আপনার বাস্তব পৃথিবীর কাছে গ্রহনযোগ্য হতে পারে।
আমার নিজের কাছে এটার অর্থ ভিন্ন। অন্তত এই অংশটাতেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে সামাজিক চেতনা আর সামাজিক বিশ্বাসকে। মানুষ কি কি কারণে নেতার কাছে যেতে চায়, নেতার অধীনস্ততার দায় গ্রহন করে, নেতাকে অজর, অমর বিবেচনা করে, এইসব মানবীয় আবেগের জায়গাটা স্পষ্ট হয় হাদিসে।
পরস্পর স্ববিরোধী হাদিস খুঁজে পাওয়া যাবে- পরিস্থিতির ভিন্নতায় ভিন্ন ভিন্ন মতামত দেওয়ার ব্যখ্যা খুঁজে পাওয়া যাবে। সুরা তালাকের বর্ণনা মতো কেনো বিশেষ এক মহিলাকে ইদ্দতকালীন সময়ে ভরণপোষণের মতো অনুগ্রহ না দিয়ে মুহাম্মদ তাকে পরিজনের কাছে পাঠিয়ে ছিলেন, কেনো অন্য কোথাও যাওয়ার জায়গা না থাকায় একজনকে পাঠানো হলো এক অন্ধের বাসায়- সেখানে সে গৃহে নিজের মতো থাকতে পারবে। উল্লেখিত ব্যক্তির অন্ধতা তার পর্দার কাজে সহায়ক হবে, সে বস্ত্র উন্মোচন করলেও তার লজ্জা কিংবা পর্দার বরখেলাপ হবে না।
এই একই ব্যক্তির সাথে ভিন্ন আচরণও প্রকাশিত হবে মুহাম্মদের। সেখানে তার মনে হবে সেই ব্যক্তি তার বিবিদের সাথে ঠাট্টা মশকরা করছে। অন্ধ একজন মানুষকে গৃহে প্রবেশের অধিকার দিয়ে তারা ঠিক কাজ করে নি।
তখন সুরা নিসার পর্দা সংক্রান্ত আয়াতও নাজিল হয়েছে- এ কারণেই এত বক্তব্য-
এই যে পারস্পরিক স্ববিরোধিতা- আলী যে একজনকে মুহাম্মদের রীতি মেনে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করলো- এটাকেও আপনার গালগল্প মনে হতে পারে।
তবে সামাজিক বিশ্বাস আর বিধির অনুলিখন- সেটা ইসলামসম্মত কিংবা কোরান সম্মত হবে এমন আশা না রেখেই বলছি, আরবের তৎকালীন সময় ধর্মান্তরিত মুসলিমদের ভেতরের দ্বিধা এবং প্রথা নির্মিত হওয়ার দৃশ্যটা স্পষ্ট হয় হাদিসে। সেই বুখারী মুসলিম, মালিকি সিনানে আবু দাউদের কাছেই এসব হিসাব রয়ে যায়।
রয়ে যায় আবু ইসহাকের মুহাম্মদ জীবনি নামক গল্পগ্রন্থে, রয়ে যায় ইবনে হিশামের মুহাম্মদের জীবনিনামক গল্পগ্রন্থে। এসবও আসলে গল্পগুচ্ছে- ব্যক্তি মুহাম্মদের গুণাবলীকে স্পষ্ট করে না।
অবশ্য এখানেই খুঁজে পাওয়া যায় সুরা নূরের ব্যভিচার সংক্রান্ত বিধির জন্মনির্দেশ।
নামাজ আদায়ের নিয়মকানুন জানা যায়- কুরানে যে সালাত কায়েমের নির্দেশনা সেটার সময়বিন্যান কি রকম হবে, দুপুরের ঠিক পর পর জুম্মা হবে না কি সুর্য্য একটু ঢলে যাওয়ার পর- এইসব বিধিও নির্মিত হচ্ছে হাদিসের পাতা থেকেই।
তবে কুরান মেনে চললেই কিংবা বিশ্বাস করলেই সব আয়ত্ব হয়ে যায় না-
যে কারণে যে প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে একটা সময় হাদিস সংগ্রহ শুরু হয়েছিলো সেটার প্রয়োজনীয়তা এখন বর্তমানে কতটুকু এটা নিয়ে আমার কোনো আলোচনা করবার প্রয়োজন নেই- আমার কাছে এইসব হাদিসের সংগ্রহ পড়বার আগ্রহ তৈরি হয় এই সামাজিক বিবর্তন বুঝবার প্রয়োজনে।
সামাজিক বিবর্তন আর সামাজিক প্রথার পরিবর্তন গ্রহন করা বিদ্রোহ করা এবং পাশ কাটানোর নানান প্রক্রিয়ার দেখা পাচ্ছি আমি এখানে- সেটা আমার কৌতুহল নিবৃত করে- এবং সাথে সাথে এটাও বিশ্বাস করায় যে অনেকগুলো বিধিও তৎকালীন সামজিক বিশ্বাসের প্রকাশ। সামাজিক কুসংস্কার- সামাজিক ভাবে নিন্দনীয় অপরাধসমুহের মাশুল কি রকম হবে এটাও প্রকাশ হচ্ছে এখানে।
আপনার হাদিসের চটি নিয়ে বিস্তর আপত্তি রয়েছে- আপনার আপত্তির কারণ নির্ধারণ আমার কাজ না- হাদিসের উৎস বিনা এটা কিভাবে প্রমাণিত হবে যে এটা তৎকালীন সমাজে প্রচলিত শাস্তি ছিলো- যদি আপনার বিশ্বাস বলে এটা সামাজিক ভাবে গ্রহনযোগ্য শাস্তি ছিলো না তাহলে সে সময়ের ইতিহাসবিদদের সহয়তা গ্রহন করা কাম্য। হাদিসের চটি থেকেই উদ্ধৃতি দিতে হচ্ছে কারণ মাননীয় কোরানের সংশোধন পরিবর্তন পরিবর্ধন সংক্রান্ত গালগল্প সংশোধিত হওয়ার পরের কোরানে নেই।
যা মুছে দেওয়া হয়েছে তা খুঁজতে হলে খালি শ্লেট ঘষে লাভ নেই-
এরপরও যদি আপনার দাবি থাকে এটা কোরানে নেই কেনো? কেনো কোরানের বিধিগুলো কয়েকবার পরিবর্তিত হয়ে একটা স্পষ্টতা পেয়েছে- সেটা জিব্রাঈলের তথ্যপাঠানোর ক্ষমতার ব্যর্থতা।
বেচারা মুহাম্মদের মেমোরি চিপ ঠিক মতো আপডেট করে নি কিংবা তার প্রসেসর তেমন ভালো মানের ছিলো না। তাই আল্লাহর কাছ থেকে বার্তা নিয়ে আসবার সময় সে ভুল বার্তা নিয়ে আসতো, মাঝে মাঝে সিস্টেম হ্যাং করতো তখন সঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারতো না।
আপনি বিদ্বান মানুষ- সুরা আহজাবের ৫১ এবং ৫২ নং আয়াতটা উদ্ধৃত করে একটু ব্যখ্যা দিবেন কি দয়া করে?
এখানে মুহাম্মদের জন্য যেসব নারী নিষিদ্ধ( বোধ হয় কোরানই পৃথিবীর একমাত্র ধর্মগ্রন্থ যেখানে ধর্মপ্রচারকের বহুগামীতা দমনের জন্য ইশ্বরকে জিব্রাঈল মারফত খবর পাঠাতে হয়েছে-
সুরা আহজাব ৫২- এরপর তোমার জন্য কোনো নারী বৈধ নয় আর তোমার স্ত্রীদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহনও বৈধ নয়, যদি ওদের সৈন্দর্য্য তোমাকে মুগ্ধও করে,
তবে তোমার ডান হাতের অধিকারভুক্ত দাসীদের ব্যপারে এ বিধান প্রযোজ্য নয়।
ঠিক এর আগে ৫০ নং আয়াতে যা বলা আছে-
হে নবী আমি তোমার জন্য তোমাদের স্ত্রীকে বৈধ করেছি([ তোমাদের স্ত্রীকে বৈধ করেছি এই তোমাদের ব্যক্তিসকল কারা?]) যাদেরকে তুমি দেনমোহর দিয়েছো- ও বৈধ করেছি তোমার ডান হাতের অধিকারভুক্ত সকল দাসীদেরকে যাদের আমি তোমাকে দান করেছি।
এবং বিয়ের জন্য বৈধ করেছি তোমার চাচাতো, ফুপাতো, মামাতো, খালাতো বোনদের যারা তোমার সাথে দেশত্যাগ করেছে-আর কোনো বিশ্বাসী নারী নবির কাছে নিবেদন করলে এবং নবী তাকে িয়ে করে বৈধ করতে চাইলে সেও বৈধ। এ বিশেষ করে তোমার জন্য, অন্য কোনো বিশ্বাসীদের জন্য নয়, যাতে তোমার কোনো অসুবিধা না হয়। বিশ্বাসীদের স্ত্রী এবং তাদের দাসী সম্পর্কে আমি যা নির্ধারণ করেছি তা আমি জানি।
প্রশ্ন হলো এই ৫২এর এরপর তোমার জন্য আর কোনো নারী বৈধ নয়ের বিবেচনায় পরে কিংবা পরতে পারে এমন অবৈধ নারী আসলে কোথা থেকে আসবে?
৩৯| ০৭ ই মে, ২০০৮ রাত ৮:৫৬
কানা বাবা বলেছেন:
আহযাব:৫০য়ের বাঙলা সম্ভবত এইরকম: "রসূল, আমরা (খেয়াল করুন, আমি নয় কিন্তু...) তোমার জন্য বিধিসঙ্গত করেছি সেইসব স্ত্রীদের...", "তোমাদের স্ত্রী"-কে নয়...
এজন্য অন্যান্য অনুবাদ দেখা যেতে পারে...
তবে আপনি মন্তব্যের শেষে যে প্রশ্নটি তুলেছেন, সেটা প্রসঙ্গে "কিছুমিছু" বলার মতোন এলেমও আমার নাই। আমার কাছেও এইটা একটা বিরাট ক্যার্ফা... এইরকমের ক্যার্ফা আরো আছে...
"কোরানে নেই কেনো?" বলে দাবী তুল্লাম কখন আবার!!
কিছু পয়েন্ট শুধু তুলে ধরতে চেয়েছি যেসব পয়েন্টের বেসিসে আমার মনে হয়েছে যে রজমের বাণী কুরআনে থাকার এই দাবী সত্য নয়।
আপনার দৃষ্টিতে সেসব পয়েন্ট ভ্যালিড না-ও হতে পারে...
তথ্যসূত্র হিসাবে হাদিসকে নির্ভুল ধরে নিয়ে "সামাজিক বিবর্তন আর সামাজিক প্রথার পরিবর্তন" সম্পর্কে প্রাপ্ত সিদ্ধান্ত কতটুকুন নির্ভুল হবে তা নিয়ে আমার ঘোরতর সন্দেহ আছে; সৌভাগ্যক্রমে আপনার সম্ভবত তা নেই। বলেছেন হাদিস আপনাকে বলে দেয় নামাজের ওয়াক্ত এবং নিয়ম-কানুন। কথাটায় বেশ মজার খোরাক পেলাম। বাকি কথা বাদ থাকুক, নামাজের ওয়াক্ত কয়টি সেটাই কি এখনো বলতে পেরেছে আপনার হাদিস? তবে?
(এধরনের মৌলিক অবস্থানগত বৈপরিত্য নিয়ে আলোচনা করে কারুরই ফায়দা খুব একটা হবার কথা নয়, তাই অফ গ্যালাম।
আপনার সহনশীলতার জন্য ধন্যবাদ।)
@অপ বাক
৪০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৭
প্রভাষ প্রদৌত বলেছেন: ছাগু ।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১২:১৭
নেমেসিস বলেছেন: ভালো পয়েন্ট ধরেছেন ।
পোস্টটা পর্যবেক্ষনে রাখলাম ।