![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশের বর্তমান অবস্থায় আমি খুবই চিন্তিত!!
বর্তমান মুসলিম সমাজ শিরক ও বিদআতে ভরপুর। এগুলো সমাজে এমনভাবে মিশে গেছে যে, কোন মুসলিমের জন্য সঠিক ইসলাম থেকে এসব শিরক ও বিদআত আলাদা করা এখন অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। ইসলাম নিয়ে এখন একেক আলেমের একেক মত। আর আমরাও সেইসব আলেমদের কথাগুলো অন্ধের মত বিশ্বাস করে নেই। অথচ একবারের জন্যও যাচাই-বাছাই করিনা যে কথাগুলো পবিত্র কোরআন ও হাদীসের আলোকে কিনা?? বর্তমানে এক শ্রেনীর আলেম দেখা যায় যারা ইসলামে নিত্য-নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করে সমাজের সহজ-সরল, মূর্খ মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করে অর্থ আয় করছে। যেন বিনা পুজিতে এক বিশাল ব্যবসা এটি।
এর মধ্যে সবচেয়ে বড় বিষয়টি হচ্ছে, নবী করীম (সাঃ) এর প্রতি অতিরিক্ত ভালোবাসা দেখাতে গিয়ে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন করা।
আর এ বিষয়টিকে পূজি করেই পবিত্র রবিউল আঊয়াল মাসে চলে এক শ্রেনীর কথিত নবী (সাঃ) প্রেমীক আলেমদের (যারা ইসলামে নিত্য-নতুন পদ্ধতি আবিষ্কারক) জন্য টাকা আয়ের এক মহাউৎসব। আর একারনেই আমার মনে হয় তারা এ দিনটিকে প্রচার করে থাকেন, "সব ঈদের বড় ঈদ, ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ)।" (যদিও তারা এটা কখনও প্রকাশ করে না)।
যারা ঈদে মিলাদুন্নবী সেই ভাবে বিশ্বাস করে তাদের অনেকের নিকট জানতে চেয়েছিলাম যে, ১২ রবিউল আউয়াল যে ঈদে মিলাদুন্নবী বা অন্যান্য দুই ঈদের চেয়েও বড় ঈদ এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআন ও হাদীসের কোন রেফারেন্স আছে কিনা? অথবা আমরা যেভাবে এদিনটিতে আনন্দ-উৎসব, মিছিল, খাওয়া-দাওয়া করে উৎযাপন করি এ ব্যপারেও কোন দলীল আছে কিনা? এবং বাংলাদেশের গতকালের বিভিন্ন পত্রিকাও দেখি কোন উত্তর পাওয়া যায় কিনা??
কারও নিকট কোরআন-হাদীসের আলোকে কোন উত্তর পাইনি। তবে অনেকেই উত্তর দিছেন দলীল না থাকলে বড় বড় অনেক আলেম কেন পালন করে যার কোন ভিত্তি নেই??
তবে হ্যাঁ গতকালের ইনকিলাব পত্রিকায়, "আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ)" শিরোণামে প্রকাশিত লেখায় এদিনটি পালনে আল্লাহর নির্দেশ বলে পবিত্র কোরআনের একটা আয়াত উল্লেখ করা হয়েছে যা পবিত্র কোরআনের অপব্যাখ্যা বলেই প্রমানিত।
তিনি আয়াতটি কোন আলেমের নিকট (যারা ঈদে মিলাদুন্নবীর সাথে একমত) থেকে নিয়ে লিখেছেন নাকি রিপোর্টারের নিজস্ব জ্ঞান থেকে লিখেছেন কিনা জানিনা। তবে রিপোর্টের শেষে ঈদে মিলাদুন্নবী আয়োজন কারী কিছু আলেমের উদ্ধৃতি দেয়ায় মনে হয় উল্লেখিত আয়াত ও ব্যাখ্যার সাথে সংশ্লিষ্ট আলেমরাও একমত। আলেমরা একথাও বলেছে যারা ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের বিরুধী তারা নবীর দুশমন।
আমি রিপোর্টিতে প্রকাশিত আয়াতের অংশটুকু উল্লেখ করছি, "আল কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, 'হে প্রিয় হাবিব (সা.) ! বলে দিন, এসব কিছু আল্লাহর ফজল এবং তার রহমতের পরিচায়ক। *(যা হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) কে প্রেরণের মাধ্যমে তোমাদের উপর করা হয়েছে) সুতরাং মানুষের বিশেষ করে ঈমানদারদের উচিত রাসূল (সা.) এর আগমনে আনন্দ প্রকাশ করা। ইহা সে সকল হতে কত উত্তম, যা তারা সঞ্চয় করে বলেছে।' (সূরা ইউনুস - ৫৮)।
click
এখানে প্রথম বন্ধনীতে যে কথাটি (*) উল্লেখ করা আছে সেটি লেখক অথবা যে তাফসীর থেকে রিপোর্টার সংগ্রহ করেছেন সেই তাফসীর কারকের নিজস্ব মতামত। এবং উক্ত মতামতের কারনে আয়াতের শেষে "রাসূল (সা.) এর আগমনে" কথাটিও লাগানো হয়েছে যা পবিত্র কোরআনে উল্লেখ নেই।
আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে এবং যতটুকু কোরআন পড়েছি বা জেনেছি তা থেকে বলতে পারি মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনের কোন আয়াতের কোন শব্দে অস্পস্টতা রাখেননি। তবে হ্যাঁ কোন আয়াতে কিছু বিষয় উজ্জ থাকলে তা আগের আয়াত বা পরের আয়াতে পরিষ্কার করে দিয়েছেন।
'হে প্রিয় হাবিব (সা.) ! বলে দিন, এসব কিছু আল্লাহর ফজল এবং তার রহমতের পরিচায়ক।' এখানে এসব কিছু বলতে আল্লাহ কি বুঝিয়েছেন তা পুর্বের ৫৭ নম্বর আয়াতেই আল্লাহ পরিষ্কার করে দিয়েছেন। এখানে নিজস্ব মতামত প্রয়োগের কোন প্রশ্নই আসে না।
সুরা ইউনুসে ৫৭ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, "হে লোকেরা! তোমাদের কাছে তোমাদের রবের পক্ষ থেকে নসীহত এসে গেছে। এটি এমন জিনিস যা অন্তরের রোগের নিরাময় এবং যে তা গ্রহন করে নেয় তার জন্য পথনির্দেশনা ও রহমত।"
এবং তার পরেই ৫৮ নং আয়াতে উল্লেখ করেছেন, "তুমি বলে দাও - আল্লাহর এই দান ও রহমতের প্রতি সকলেরই আনন্দ হওয়া উচিত; তা এটা (পার্থিব সম্পদ) হতে বহুগুনে উত্তম যা তারা সঞ্চয় করছে।" (তাফসীরে ইবনে কাসীর)
আর উক্ত তাফসীরে 'আল্লাহর এই দান' বা পত্রিকায় উল্লেখিত 'এসব কিছু' বলতে একমাত্র পবিত্র আল কোরআন শরীফকেই বুঝানো হয়েছে। এছাড়া পবিত্র কোরআনে অসংখ্য জায়গায় পবিত্র কোরআন শরীফকে মুমিনদের জন্য হেদায়াত বা নসিহত অথবা পথনির্দেশক ও রহমতও বলা হয়েছে।
সর্বশেষ আমি সমস্ত ইসলাম ধর্মের অনুসারীগনকে বলতে চাই পবিত্র কোরআনের কিছু অংশ পড়ে বা কোন সূরার দু/একটি আয়াত অথবা আয়াতের কিছু অংশ পড়ে পুরো কোরআনকে বা ইসলামকে বুঝার চেষ্টা করবেন না। পবিত্র কোরআন পড়ে নিজে নিজে কোন অর্থ ধরে নেয়ার বা নিজের সুবিধার্থে নিজস্ব কোন মতামত প্রকাশ করারও কোন সুযোগ নাই। তাই সাবধান পবিত্র কোরআন অথবা হাদীস থেকে নিজে যাচাই-বাছাই না করে বিশ্বাস করবেন না।
এখন ঈদে মিলাদুন্নবী সুন্নাত না বিদআত এ বিষয়ে পরবর্তীতে লিখব ইনশাহ্ আল্লাহ। দোয়া করবেন আল্লাহ যে সহায় হন। আমীন।।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৮
কে এম সুমন বলেছেন: ভাই ধন্যবাদ সুন্দর প্রশ্ন করার জন্য। ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা হচ্ছে স্পস্ট বিদয়াত। তাই এই উপমহাদেশে যেভাবে ঈদে মিলাদুন্নবীর নামে রসুলের জন্মদিন পালন করা হয় তা গুনাহের কাজ। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনের সূরা মা'য়েদায় স্পস্ট বলে দিয়েছেন যে, "আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ন করে দিয়েছি, আমার নিয়ামত তোমাদের প্রতি সম্পূর্ণ করেছি এবং তোমাদের জন্য ইসলামকে তোমাদের দ্বীন হিসেবে গ্রহন করে নিয়েছি (কাজেই তোমাদের ওপর হালাল ও হারামের যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে তা মেনে চলো।)"
আর আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে একটি পরিপূর্ণ কোন জিনিসে নতুন করে ঢুকানোর বা সংযোজন করার থাকে না। তাই ইসলামেও নাই।
আবু দাউদ, তিরমিযি ও ইবনে মাজাহ হাদীস গ্রন্থে স্পস্ট করে আল্লাহর রসূল (সাঃ) বলে দিয়েছেন যে, "আমি জীবিত না থাকা অবস্থায় ইসলামের মধ্যে অনেক মতভেদের সৃষ্টি হবে আর তখন তোমরা আমার ও আমার খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাহ মেনে চলবে, এবং দন্ত দ্বারা শক্ত করে কামড়ায়া ধরবে।"
এছাড়াও রসূল করীম (সা.) বিদায় হজ্জ্বের ভাষনে বলেছেন, "তোমরা দুটি জিনিসকে আঁকড়ে ধরবে আর তা হল কোরআন ও আমার সুন্নাহ তাহলে কখনো পথভ্রষ্ট হবে না।"
এখন আপনি বলেন যে কাজ আল্লাহর রসূল এবং তার সাহাবীরা কেউ কখনো করেননি এমনকি তাবেইনরাও কখনো করেননি সেই কাজ আমরা করে কেন ইসলামে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করব??
আর যে কাজ পরিপূর্ণ ইসলামে ছিল না সেই কাজ নতুন করে নিজেরা আবিষ্কার করে সমাজে প্রচলিত করা কি গোনাহের কাজ নয়??
২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২১
Ahmed Musa বলেছেন: একমত
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৯
কে এম সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৪
আনোয়ার ভাই বলেছেন: কোন মাওলানা কয় পীর- মাজার বেদায়েত । তিনি চ্যালেঞ্জ করে যান এটা কোরআনে আছে । আরেক মাওলানা এসে বলেন- পীরের হাত ধরতেই হবে। মাজার ঠিক পন্থা। তিনিও চ্যালেঞ্জ করেন- তার এই কথা কোরআনে আছে ।
কি করব আমরা ?
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৩
কে এম সুমন বলেছেন: আপনার দায়িত্ব হল নিজে পবিত্র কোরআনের তাফসীর পড়ে সঠিকটা যাচাই করা। নিজের বিবেককে প্রয়োগ করা। আমি সূরা ইঊনুস এর ৫৭ ও ৫৮ নং আয়াতের শুধু অর্থটা তুলে ধরেছি আর ইনকিলাব পত্রিকায় শুধু ৫৮ নং আয়াতের অর্থটা তুলে তার সাথে নিজস্ব মতামত তুলে ধরেছেন। এখন আপনি কোনটাকে সঠিক বলে মনে করছেন??
৫৮ নং আয়াতে রসূল এর কথা বলা হয়েছে নাকি কোরআনকে বুঝিয়েছে??
৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪২
অস্তমিত সুর্য বলেছেন: আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর পেতে view this link ক্লিক করুন
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৬
কে এম সুমন বলেছেন: ভাই আপনি যে লিঙ্ক দিছেন তা থেকে ঐসব বিদয়াত সৃষ্টি কারীদের সম্পর্কে কিছু জানতে পারব তাই লিঙ্ক দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
এখন লিঙ্কে অনেকগুলো প্রশ্ন এবং উত্তর দিয়েছে যা পড়ে তার ভিত্তিতে যুক্তি খন্ডানো অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার এবং মন্তব্যে লিখলে দির্ঘ মন্তব্য হয়ে যাবে তাই সময়মত পরে এর উপর একটা পোস্ট দেয়ার ইচ্ছা পোষণ করছি। এখানে শুধু এতটুকু বলতে চাই যে তারা সূরা ইউনুস এর শুধূ ৫৮ নং আয়াত উল্লেখ করে নিজের মনগড়া ভাবে রসুলের নামটা বসিয়ে দিয়েছে তার প্রমান আমি আমার লেখাতেই দিয়েছি। কারন ৫৭ আয়াত পড়লেই স্পস্ট বুঝা যায় যে আল্লাহ রসূল সা. এর আগমনের জন্য নয় বরং কোরআনের জন্য খুশি হতে বলেছেন।
সাহাবীগন যে এ দিন পালন করেছেন আর রসূল মেনে নিয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন তার প্রেক্ষিতে সহীহ হাদীস গ্রন্থগুলো থেকে কোন দলীল দেখাতে পারেনি। সূত্রে কিতাবুত তানবীর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান নাযীর, সুবুলুল হুদা ফী মাওলিদে মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হাক্বীক্বতে মুহম্মদী ও মীলাদে আহমদী নামে যে কিতাবের কথা উল্লেখ করেছে তা তাদেরই মতবাদের কোন ব্যক্তির লেখা কোন কিতাব হবে হয়তো? অর্থাৎ এ গ্রন্থ যে বিশুদ্ধ তার কোন ভিত্তি নেই।
৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৪
অস্তমিত সুর্য বলেছেন: আমি সত্যটা আপনাকে জানিয়ে দিলাম, বাকিটা আপনার উপরে
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৫
মুদ্দাকির বলেছেন:
আর বইলেন না ভাই, কি যে হইসে আমাদের??? যে যার মত ইচ্ছা যেমনে ইচ্ছা কুরয়ানের ব্যাখ্যা দিয়া ফালায়। আর ভাই ঈদে মিলাদুন নবী পালন করলেই বা কি হয়? এখানে কি কুফরী কিছু আছে নাকি ? না কি না পালন করাটা ইমানের অংশ ?