নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যা জানাতে চাই

বিজ্ঞান হলো প্রকৃত সত্য উদঘাটনের চলমান প্রক্রিয়া, নিরেট সত্য নয়।

বৈজ্ঞানীক

যে কোন জ্ঞানের পদ্ধতিগত বিশ্লেষণই বিজ্ঞান। বৈজ্ঞানীকগণ প্রকৃতি ও সমাজের নানা মৌলিক বিধি ও সাধারণ সত্য আবিষ্কারের চেষ্টা করেন।

বৈজ্ঞানীক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামের পরিচয় ও গুরুত্ব

১৭ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ৮:৪৮

ইসলাম আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ অনুগত হওয়া, আনুগত্য করা, আত্মসর্ম্পণ করা, শান্তির পথে চলা ও মুসলমান হওয়া। শরীয়াতের পরিভাষায় আল্লাহর অনুগত হওয়া, আনুগত্য করা ও আল্লাহর নিকট পূর্ণ আত্মসমর্পণ করা। আর যিনি ইসলামের বিধান অনুসারে জীবন যাপন করেন তিনি হলেন মুসলিম বা মুসলমান।

ইসলাম আল্লাহ তাআলার মনোনীত একমাত্র দ্বীন- একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত এ ব্যবস্থার আলোকে একজন মুসলমানকে জীবনযাপন করতে হয়। ইসলামে রয়েছে সুষ্ঠু সমাজ, রাষ্ট্র ও অর্থব্যবস্থা। রয়েছে জাতীয় ও আনর্-জাতিক নীতিমাল। মানব চরিত্রের উৎকর্ষ সাধন, ন্যায়নীতি ও সুবিচার ভিত্তিক শান্তি-শৃঙ্খলাপূর্ণ গতিশীল সুন্দর সমাজ গঠন ও সংরক্ষণে ইসলামের কোন বিকল্প নেই, হতেও পারে না। আল্লাহ পাক বলেছেন-

“ইসলামই আল্লাহর একমাত্র মনোনীত ধর্ম।” [আলে ইমরান-৩-১১]

দুনিয়ার যত রকম ধর্ম রয়েছে তার প্রত্যেকটির নামকরণ হয়েছে কোন বিশেষ ব্যক্তির নামে। অথবা যে জাতির মধ্যে তার জন্ম হয়েছে তার নামে। যেমন-ঈসায়ী ধর্মের নাম রাখা হয়েছে তার প্রচারক হযরত ঈসা (আ.)-এর নামে। বৌদ্ধ ধর্মের নাম রাখা হয়েছে তার প্রচারক হযরত ঈসা (আ.)-এর নামে। বৌদ্ধ ধর্মের নাম রাখা হয়েছে মহাত্মা বুদ্ধের নামে। জবদশতি ধর্মের নামও হয়েছে তেমনি তার প্রতিষ্ঠাতা জরদশতের নামে। আবার ইয়াহুদী ধর্ম জন্ম নিয়েছিল ইয়াহুদা নামে বিশেষ গোষ্ঠীর মধ্যে। দুনিয়ায় আরো যেসব ধর্ম রয়েছে, তাদেরও নামকরণ হয়েছে এমনিভাবে। অবশ্য নামের দিক থেকে ইসলামে রয়েছে একটি অসাধারণ বৈশিষ্ট্য। কোন বিশেষ ব্যক্তি বা জাতির সাথে তার নামের সংযোগ নেই; বরং ইসলাম শব্দটির অর্থের মধ্যে আমরা একটি বিশেষগুণের পরিচয় পাই সেই গুণের প্রকাশ পাচ্ছে এ নামে।



ইসলামের গুরুত্বঃ

আল্লাহ পাক বলেছেন, ‘কেউ ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দ্বীন গ্রহণ করতে চাইলে তা কখনো কবুল করা হবে না।’ (আল ইমরানঃ ৮৫)

রাসূল পাক (স) বলেছেন, “ইসলাম হলো আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (স) আল্লাহর রাসূল বলে সাক্ষ্য দেয়া, সালাত আদায় করা, যাকাত প্রদান করা, রমযানের রোযা পালন করা এবং যাতায়াতের সামর্থ থাকলে বায়তুল্লাহ শরীফে হজ্জ আদায় করা।” (বুখারী, মুসলিম)

হযরত ইব্রাহীম (আ) তাঁর সন্তানদের প্রতি অসিয়্যত করে বলেন- “তোমরা মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ কর না।’ (বাকারাঃ ১২৩২)

ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। এতে কোন খুঁত নেই। এতে কোন অপূর্ণতা নেই।

আল্লাহ পাক বলেনঃ

“আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন মনোনীত করলাম।” (মায়িদা : ৩)

০ আল্লাহ পাক সমগ্র বিশ্বজাহানের একমাত্র মালিক।

০ পুরস্কার ও শাস্তি দেয়ার একমাত্র মালিক হলেন আল্লাহ।

০ মানুষ আল্লাহ কর্তৃক নির্দেশিত পথে চলতে পাবে ইহকালে শান্তি ও পরকালে মুক্তি।

০ মানুষ আল্লাহ কর্তৃক নির্দেশিত পথে না চললে পরে ইহকালে লাঞ্ছনা ও পরকালে শাসি-।

০ আল্লাহর একমাত্র মনোনীত দ্বীন হলো ইসলাম।

০ ইসলামে আছে পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থার নির্দেশনা।

০ ইসলামে জীবন, সম্পদ, সমপ্রমের নিরাপত্তা রয়েছে-পূর্ণমাত্রায়।

০ ইসলাম শান্তি ও সমপ্রীতির ধর্ম।

উপরিউক্ত নানা কারণে মানুষের একমাত্র মুক্তির পথ হলো ইসলাম। ইসলামের মধ্য দিয়েই মানুষ নিজেকে চির শান্তির মধ্যে স্থাপন করতে পারে। মানুষের জীবনে ইসলামের কোন বিকল্প নেই। আল্লাহ কর্তৃক একমাত্র দ্বীন যেহেতু ইসলাম তাই সকলের উচিত ইসলামের মধ্যে জীবন যাপন করা।



ইসলাম হলো প্রকৃতির দ্বীনঃ

ইসলাম মানুষের স্বভাবজাত বা প্রকৃতির দ্বীন-দ্বীনের ফিতরাত। আল্লাহ পাক মানুষকে যে সহজতা প্রকৃতি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন, তাই হলো ফিতরাত।

হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে-

“প্রতিটি শিশুই সহজাত প্রকৃতি তথা ইসলামের উপর জন্মগ্রহণ করে।”

এখানে ফিতরাত বা ইসলামের কথা উল্লেখ করে হিদায়াত গ্রহণের যোগ্যতার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। এ কারণেই প্রতিটি মানুষের মধ্যে উচ্চতর শক্তির সামনে আত্মসমর্পণের সহজতা প্রেরণা পরিলক্ষিত হয়। ভক্তি আপ্লুত হৃদয়ে সে নিজেকে একান- করে সঁপে দিয়ে পেতে চায় আত্মিক পরম তৃপ্তি। এ সুপ্ত প্রেরণা-জযবাকে বাস-বে রূপায়িত করতে গিয়ে কখনো কখনো মানুষ হয়েছে দিকভ্রান-। কেউ তো চন্দ্র-সূর্যকে মহাশক্তি মনে করে সেগুলোর কাছে মাথা নত করেছে। কেউবা আগুনের পূজা করেছে। আবার কেউ নিজের চাইতে অধিকতর শক্তিমান মানুষের পূজায় আত্মনিয়োগ করেছে। কখনো তারা নিজেদের কল্পিত দেব-দেবীর মূর্তী তৈরি করে সেগুলোর সামনে পতশীর হয়েছে। আবার কখনো অহংকারে স্ফীত হয়েছে নিজেকে প্রভু বলে ঘোষণা করেছে। এক কথায় মানবতার ক্রমবিকাশের সকল স্তরে এ সহজাত প্রেরণা‌ মানুষের মধ্যে বিদ্যমান ছিল। পক্ষান্তরে মানুষের এ সহজাত প্রেরণার চাহিদা এটাই ছিল যে মানুষ এমন এক মহান ও শাশ্বত সত্তার সামনে নিজেকে উৎর্গিত করবে যিনি সকল শক্তি, সকল ক্ষমতা ও সৌন্দর্যের উৎস, মানুষের জ্ঞান-বুদ্ধির সীমাবদ্ধতার উর্ধ্বে যাঁর অবস্থান, যিনি মানুষের সকল দাবী ও চাহিদা পূরণে এবং তাদের সহজাত প্রেরণা ও উচ্ছাসকে তৃপ্ত করতে সক্ষম। এই পূর্ণতম সত্তাই হলেন মহান রাব্বুল আলামীন-সারা জাহানের ঘোষণা করা হয়েছে-

“তুমি এক নিষ্ঠ হয়ে নিজেকে দ্বীনে প্রতিষ্ঠিত কর। আল্লাহর ফিতরাত তথা প্রকৃতির অনুসরণ করো, যে প্রকৃতি অনুযায়ী তিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর সৃষ্টির কোন পরিবর্তন নেই‌ এটাই সরল দ্বীন কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না।” (রূম : ৩০)

০ মানুষের হাত দিয়ে খায়, কাজ করে, কিন্তু দেখার কাজ করে চোখ।

০ মানুষ রুকু-সেজদা করতে পারে-গরু পারে না।

০ কান দিয়ে শুনে চোখ দিয়ে নয়।

০ মাথা দিয়ে বুঝে-পেট দিয়ে নয়।

এভাবে মানুষের প্রতি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নির্দিষ্ট কাজের জন্য সৃষ্টি করেছেন একটির কাজ অন্যটি দিয়ে সম্ভব নয় (কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া)। প্রকৃতিগতভাবেই মানুষের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে উপায় সহজ করা হয়েছে।

০ মানুষের বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

০ চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা করেছে।

০ যৌন চাহিদা মেটাবার জন্য এবং বংশধর বৃদ্ধির জন্য আল্লাহ বিয়ের ব্যবস্থা করেছেন।

০ সম্পদের চাহিদা মেটাবার জন্য হালাল পথে ধন-সম্পদের অধিকারী হতে উৎসাহিত করেছেন।

ইত্যাদি নানাভাবে দেখা যায় যেখানে মানুষ প্রভাবিত হতে পারে। মানুষের চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে আল্লাহ পাক সেই চাহিদা মেটাবার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করেছেন।



উপরিউক্ত আলোচনায় দেখা যায় মানুষ প্রকৃতিগতভাবে যেমন ঠিক সেই রকম ব্যবস্থাই ইসলামে রয়েছে-এর বিপরীত কিছু ইসলামে নেই। সুতরাং নিঃসঙ্গেহে প্রমাণিত হলো যে-

‘ইসলাম হলো’ প্রকৃতির দ্বীন।’

মানব জীবন দ্বীন মোতাবেক চলতে এটাই কাম্য। পৃথিবীতে কোন সমস্যাই থাকবে না যদি মানুষ ইসলামের উপর নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.