নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রভাবপ্রতিপত্তি আজীবন থাকে না। প্রতারকরাও প্রতিরিত হয়। ক্ষমতাচ্যুত হলে ক্ষমতাসীনের কী হবে? কবর অথবা শ্মশানে প্রতিদিন মৃতসৎকার হয়। ©_Mohammed Abdulhaque [www.mohammedabdulhaque.com]

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক

অন্তত একবার সত্যকে তার সম্বন্ধে কিছু বলতে দাও। আমরা কে কী, অন্যরা তা জানতে এবং দেখতে পারবে।

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরমাত্মীয় (পৃষ্টা ৭-১০)

১৪ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:০০



পৃষ্টা ৪-৬

কথা না বলে মাতিন কপাল কুঁচকে ইশারা করে এবং দ্রুত হেঁটে উদাসিনী চলে গেলে দুজন হাঁটতে শুরু করে। এক পথিক তাদেরকে ডেকে দ্রুতে পাশে যেয়ে নন্দিরগাঁওর দিশপাশ জানতে চাইলে আরমান বলল, ‘কোণাভিমুখী হলে র্নৈঋতকোণে শ্রীনগর, বায়ুকোণে নন্দিরগাঁও এবং অগ্নিকোণে দিগন্তরপুর। এখন আপনি দিগ্দর্শন করুন আমরা বাজারে যাব।’
‘ঈশানকোণের গ্রামের নাম নিশ্চয় জ্ঞাতব্য?’
‘বৈরাগীরগাঁও। ঠিকাছে? এখন আমরা চলে যাব। এক দমে পুকুর পারাতে পারলে দিগ্বলয়ে দেখা হবে।’ বলে আরমান হাত নাড়লে লোক মাথা দুলিয়ে বলল, ‘কিছু কষ্ট আছে যা কখনো ভোলা যায় না এবং কিছু সুখ আছে যা আমরা পলকে ভুল যাই। চাইলেও কষ্টকে ভুলতে পারি না আমি নয়নজলে সলতে জ্বালিয়ে দিগভ্রান্ত হয়ে দিগন্তরপুর এসেছি।’
‘আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। আপনার একটা কথাও আমি বুঝিনি। সদয় হয়ে আরও থোড়া সামান্য খোলাসা করতে পারবেন?’
‘নিশ্চয়, বেহায়া মন আমাকে দিগম্বর বানিয়েছে। মনকে দেখা যায় না এবং ধরাও যায় না। ধরতে পারলে মটকিবন্দি করতাম। পারি না, সে পবনে বসে হাসে। আখিজলে কালি বানাবার জন্য বেয়াড়া মন আমাকে বাল্যকালে বাধ্য করেছিল। সেই থেকে বিরহনলে কষ্টকে পুড়িয়ে আমি রাত জেগে কেঁদে নোনাজলে ছাই মিশিয়ে সুখের বারোমাসী লেখি।’
‘রে মূর্খ, অল্পবিদ্যা ভয়ংকর এবং কুসংস্কারের অর্থ অভিশাপ তা তুই জানিস না। শোন, তত্বজ্ঞানহীনরা শোনা কথা শুনিয়ে সুধীর সূরি হতে চায়। সমাজে প্রতিবিধান নেই বিধায় নারীরা আজো অসহায় এবং অপণ্ডিতরা অভিশপ্ত। সুতরাং, সংবিধান অমান্য করে অম্লধর্মী অবস্থায় পড়লে হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যায়, গুরুবাক্য অনিতিক্রমণীয় এবং বিধাতার বিধান অবশ্যপালনীয়।’
‘হে মণি, আপনার হাবভাবে এত রেষারেষি কেন?’
‘অগা ওরে অকর্মার ধাড়ি তোর মনে কি ঋষি হওয়ার শখ?’
‘জি না। আমি হলাম ভাটিতে ভাসা নায়ের নাইয়া। দাড় বৈঠা নেই। হাতে লগি, অতই জলে থই পাই না। বিবেক হতবাক হয়েছে। দিশাহারা হয়ে আমি ঠায় বসেছি। দিনান্তে রাত পোহায়, খিল খিল করে ভানুমতী আর হাসে না। গোমড়া মুখে বলে, কী যে হল? মনে সুখ নেই।’
‘ওহে মন্ত্রদ্রষ্টা মুনি, কানা আমি কানে কম শোনি।’
‘হে দেশহিতব্রতী, আপনি নিশ্চয় জানেন, উন্নয়নশীল শব্দের অর্থ অনুন্নত অবস্থা অতিক্রম করে উন্নতিসাধনে সচেষ্ট।’
‘হে শ্রীভ্রষ্ট, স্বেচ্চায় হুমড়ি খেয়ে আমার পায়ে পড়ে তুই ডাক্তারের আজুরা উদ্ধারে ব্রতী হয়েছিস। বিব্রত হয়ে থানায় তারবার্তা পাঠাতে হবে নাকি?’
‘আপনি তো ভাই জবর প্যাঁচোয়া মানুষ, ঝামেলার প্যাঁচে তিন গিরা দিয়ে বলছেন তাগায় টান দেননি।’
‘আউলার মত ঝাউলিয়ে কথা বললে কাউয়ারা কথা বুঝে না। তা কি জানিস?’
‘কার মনে কী জট পাকে তা মনের মালিক জানেন।’
‘বুঝেছি মুগুর মেরে তোমাকে দুরস্ত করতে হবে। দাঁড়া এখুনি সুবন্দোবস্ত করব।’ বলে আরমান দাঁত কটমট করে ডানে বাঁয়ে তাকালে পথিক বিরক্ত হয়ে চলে যায়। মাতিন বিদ্রুপহেসে হাঁটতে শুরু করে বলল, ‘আরমান শোন, মূর্খামী এবং অতীত ভুলে বর্তমান সম্বন্ধে চিন্তা করলে তুই সাফল্যমণ্ডিত হবে।’
‘তুই না জানলেও আমি জানি, ঠাট্টা করলে মাথায় ঠাঠা পড়ে।’
‘শোন, ছন্দ শিখে সবাই ছান্দসিক হতে পারে না এবং জ্ঞান অর্জনে জ্ঞানী হওয়া যায় না।’
‘এই মাতিন, তুই না বুঝলে আমার মনের দুঃখ কে বুঝবে, দুঃখে ভারাক্রান্ত বিরহের গল্প কে শুনবে?’
‘আমার সামেন কথার তুবড়ি না ছুটিয়ে আমড়াগাছি দিয়ে ঘাসুয়ার হাত পা বাঁধলে দরদি হয়ে দুঃখের বান্ধব হবে। আগড়ম-বাগড়ম এবং প্রেম পিরিতির জবরজং অর্থ আমি বুঝি না।’
‘চোখ মুখ বুজে দৌড়ে বাড়ি যা।’
‘তুই কোথায় যাবে?’
‘ঘাসুয়াকে ঘোষ দিয়ে খালিবাড়ি নিয়ে যাব।’
‘আরমান শোন, আব্বা আম্মা বারণ করলে আমি পানি পান করি না। বাড়ি চল, কান্নাকাটি করে মশলা পিষে দিলে আমাদের কষ্টে অতিষ্ঠ হয়ে ভাবী সুন্দরী জা খুঁজে আনবেন।’
‘তোর সাথে কথা বলে লাভ হবে না।’
এমন সময় বাঁশির সুর বাতাসে ভাসলে আরমান দৌড়াতে শুরু করে। মাতিন হেঁকে বলল, ‘কোথায় যাচ্ছিস?’
‘কদমতলে।’
কথা না বলে মাতিন দ্রুত হেঁটে বাড়ি গেলে বিদ্রূপ হেসে ভাবী বললেন, ‘নয়নে দেখে মন মিনমিন করে বলছে, খোদার খাশির গতরে মাস লাগতে শুরু করেছে। বিষয় বিষাদযুক্ত হলেও জবরদস্ত বিরিয়ানির সুবন্দোবস্ত করতে হবে।’
মাতিন গাল ভরে হেসে বলল, ‘ছাওয়াল কালে শুনেছিলাম, অত্যন্ত হৃষ্টপুষ্ট অথবা নাদুসনুদুস হলে জাঁকজমকওয়ালি বউকে বাসরঘরে জব্দ করা যায়। যাক, আমি বলছিলাম কী, আরমানকে বিয়ে করাতে হবে। মানে, এক কথায় বিষয় আশয় বাজেয়াপ্ত করতে হবে নইলে কুলমান যাবে এবং কুলকন্যা কুলটা হবে। তা গ্রহণযোগ্য নয় এবং পরিস্থিতি নীতিবিষয়ক কি না আমি জানি না কিন্তু সুনিশ্চিত কেলেঙ্কারি সম্বন্ধীয় ব্যাপার।’
‘ও ধাইমা গো, উনার ভাইয়ে একী কথা শুনাল গো?’ বলে ভাবী ডান হাত মুখের কাছে নিয়ে মির্মির করে তাকালে গম্ভীরকণ্ঠে মাতিন বলল, ‘ভাত সালন গরম করে দাও। ভুখে পেট আমলাচ্ছে।’
ভাবী চিন্তিতকণ্ঠে বললেন, ‘তার কী হয়েছে?’
‘সে…ই কবে ঘোড়ারোগে জেঁতেছিল। সত্বর কবিরাজি না করালে নিমরাজি হওয়ার জন্য সম্মিলিতভাবে চিরাত চিবাতে হবে।’
‘তোমার জন্য সুন্দরী একটা জুটেছে। দেখলে মন গুনগুন করে বলে, তোমার খুঁজে সব পেয়েছির দেশ থেকে পালিয়ে এসেছে।’
‘ভাবী, ভুখ লাগলে ভদ্রলোকরা অভদ্রের মত কথা বলে। এখন আমার ভুখ লেগেছে, ভাত দাও।’
‘এত নীরস হয়েছ কেন?’
‘অজ্ঞরা বলে নারীরা ভোগের পণ্য, আমি জানি নারীরা অনন্য। বিয়ে করে আমি সশরীরে স্বর্গভোগ করব। তুমি হয়তো জানো, মানসিক অভিপ্রায়সূচক ভাবভঙ্গি অথবা স্থায়িভাবের উদ্ভবজনিত দৈহিক বিকার সঞ্চারের অভিধা হল অনুভব।’ বলে মাতিন বিদ্রুপ হাসলে ভাবী আড়চোখে তাকিয়ে মুখ বিকৃত করে বললেন, ‘চাইলে যেয়ে দেখতে পারবে।’
‘ভাগ্যরেখা দেখলেও ভাগ্যলেখাপড়া যায় না। আমি মূর্খ মানুষ, ভাগ্যচক্রে চক্কর খেয়ে ভাগ্যহত হতে চাই না।’ বলে মাতিন মৃদু হাসলে ভাবী বিরক্ত হয়ে বললেন, ‘আগামী মাসে বিয়ে হবে।’
আঙুলে গুনে ভাবীর মুখের দিকে তাকিয়ে চিন্তিতকণ্ঠে মাতিন বলল, ‘তিন হায়ন কপচিয়ে মাত্র চারটা শব্দ উচ্চারণ করলে?’
‘আরমানের কী হয়েছে?’
‘বিয়ে করতে চায়।’
‘কী বললে?’
‘সব বলব পরে আগে বলো আরকান কোথায়, দুপুরে ভাত খেয়েছে না বাউরামি শিখতে গিয়েছে?’
‘তুমি তাকে খামোখা ধমকাও কেন? একমাত্র তোমার ভয়ে বাড়ি আসে না।’
‘দুরস্ত করার জন্য আজ তাকে আমড়ার ডালে লটকাব।’
‘আম্মা শুনলে তোমাকে লটকাবেন।’
‘বুঝেছি, ভরা কটালে উজিয়ে কাজ হবে না, মরা কটালে ভাটিতে ভাসতে হবে। যাক আমি এখন বাজারে যাব, তোমার কিছু লাগবে?’ বলে মাতিন থা‍লে হাত ধুয়ে দাঁড়ালে, মাথা দিয়ে ইশারা করে ভাবী বললেন, ‘বর্তন বাটির কী হবে?’
‘জোয়ান বয়সে গতর খাটিয়ে কাজ করলে বুড়া বয়সে কষ্ট কম হয়। এখন টাকা দাও। আর হ্যাঁ, গত মাসে আলতা কুমকুম আনিয়েছিলে, এখনো টাকা দাওনি।’
‘কী বললে, মাত্র এক তুলা কুমকুমের জন্য আর কত টাকা চাও?’
‘আনার সময় মনে হয়েছিল কয়েক মণ, তুমি বলছ মাত্র এক তুলা, কম হলেও হাজার টাকা দাও।’ বলে মাতিন হাত পাতলে অধরদংশে এদিক-ওদিকে তাকিয়ে ভাবী বললেন, ‘দাঁড়াও, আজ তোমাকে তুরুমঠোকা দেব।’
মাতিন যখন ভাবীকে রাগায় আরমান তখন নাদীর পাড়ে বসে গুনগুন করে, ‘আমারে কাঁদিয়ে তোমরা কী আনন্দ পাও? দুঃখ ভালোবাসি আমি জানি সুখ তোমরা চাও। মন ময়না হয়ে উড়তে চায়, ময়ূরসিংহাসন হয় দখিনা বাও। সুখপাখিকে দেখি মির্মির চোখে, হায়, সুখ হয়ে যায় উধাও। ষোলো আনা দিলাম পেটরা খুলে তবু বলে আরও দাও, আমি এখন পর হতে চাই আমার লাগি বাসর সাজাও।’
এমন সময় মাতিনের বড় ভাই তাকে ডেকে বলল, ‘আরমান, এদিকে আয়।’
‘জি ভাইজান।’ আরমান চমকে জবাব দিয়ে প্রায় দৌড়ে যেয়ে চোখ কপালে তুলে বলল, ‘চিতল কোথায় পেলেন?’
‘বেড়াজালে পুঁটি ধরতে চেয়েছিলাম। আমার সাথে কুস্তি করার জন্য পাড়ে উঠেছিল, লেজে ধরে আছড়া মেরেছিলাম।’
‘খুব ভালো করেছেন ভাইজান। ভাবীকে বললে কোপ্তা বানিয়ে দেবেন। সমস্যা হলো, খেতে চাইলে মশলা পিষতে হবে।’
‘তা তোর সমস্যা।’
‘জি ভাইজান।’ বলে আরমান চিতল কাঁধে লয়ে দ্রুত হেঁটে যেয়ে পাকঘরে প্রবেশ করে চিতল নামিয়ে ধপাস করে বসে বলল, ‘ভাবী গো, মশলা পিষতে পারব না।’
‘তোমার বউকে দিয়ে পিষাব।’ বলে ভাবী চিতল দেখে দূরে সরে শিউরে চোখ কপালে তুলে বললেন, ‘জলজ্যান্ত জলন্ধরকে কোন গাঙে ধরেছ?’
‘কুস্তি করার জন্য পাড়ে উঠে ঠেকছিল, ভাইজান আমাকে বলেছিলেন।’ বলে আরমান মাথা কাঁত করে চিতলের দিকে তাকিয়ে চোখ বুজে শিউরে ওঠে। মাথা দিয়ে ইশারা করে ভাবী বললেন, ‘ও ঘোড়ারোগী, আমার মনভোমরা গুনগুন করে এতবড় চিতল ধরলেন কেমনে?’
‘আমি জানি না গো ভাবী। তাকিয়ে দেখো, খাবি খাওয়ার জন্য আই-ঢাই করছে।’
‘এখনো জ্যান্ত নাকি?’
‘থিরথিরানি দেখে মন বলছে, হয়া হায় যায় যায়। হয়ে এসেছে এখন তখন। যমে মানুষে টানটানি। বাঁচে কি মরে ঘাটের-মড়া এখনো মরেনি গো ভাবী।’ বলে আরমান মাথা নেড়ে চিতলের দিকে তাকালে ভাবী কপাল কুঁচকে বললেন, ‘তোমার কী হয়েছে?’
‘বিবাগী আমি বিরহীর দুঃখ শোনার দরদি নাই শান্তি আমার মনে অনল। অশান্তি বুকে তুষেরাগুন জ্বলে অষ্টপ্রহর নয়নে জল।’ বলে আরমান হাসার চেষ্টা করলে মাথা দিয়ে ইশারা করে ভাবী বললেন, ‘তুমি এত ম্যাদা হয়েছ কেন?’
‘মরদা হব কেমনে?’ বলে আরমান হাসার চেষ্টা করলে দুষ্টুহাসি হাসে ভাবী বললেন, ‘দুপুরবেলা বাঁশি বাজালে, ঠাট ঠমক ঠসক করে হেঁটে যেয়ে ইনিয়ে বিনিয়ে বলবে, বাঁশি আর বাজাইও না বন্ধু ঘরে রইতে পারি না আমি অবলা।’
‘ও ভাবী, আর জ্বালা দিয় না।’
‘মশলা পিষে দিলে মেন্ধি পিষে দেব।’ বলে ভাবী সভয়ে বসবেন এমন সময় এক যুবতী পাকঘরে প্রবেশ করে চিতলের সাথে আরমানকে ধস্তাধস্তি করতে দেখে গলারজোরে চিৎকার করে। চিঁকের দাপটে আরমান চিৎপটাং হলে মাতিন হাসতে হাসতে বলল, ‘কী হয়েছে?’
‘ডরের চোটে চিত্তবিকল হয়ে আমার কলিজায় ছ্যাঁৎ করে উঠেছিল।’ বলে আরমান শিউরে উঠলে মাতিন বিদ্রুপহেসে বলল, ‘বিয়ে করলে সব ঠিকঠাক হবে। বিয়ে করতে চাস?’
‘না রে ভাই ওকে আমি বিয়ে করব না। ভাবী বলেছেন দুপুরবেলা বাঁশি বাজালে ঠাট ঠমক ঠসক করে হেঁটে যেয়ে বলবে, বাঁশি আর বাজাইও না বন্ধু ঘরে রইতে পারি না আমি অবলা।’
‘ঠিকাছে। কোথায় বসে বাঁশি বাজাতে চাস?’ বলে মাতিন মাথা দিয়ে ইশারা করলে আরমান হাঁটতে শুরু করে বলল, ‘গাঙ পাড়ে চল।’
এমন সময় মাতিনের ভাই হেঁকে বলল, ‘আরমান, মালেক কোথায়?’
‘হাওয়াখানায়।’
‘চিতলের কল্লা কেটেছিস?’
‘জি না ভাইজান, আমার সাহসে কুলায়নি। উদাসিনীকে কোথায় পেলেন?’
‘চিতলের কোপ্তা খাওয়াবার জন্য এনেছি।’
মাতিন কপাল কুঁচকে তাকালে কপট হেসে উদাসিনী বলল, ‘বাজান, কী হয়েছে?’
‘আমাকে বাজান ডাকো কেন?’
‘বাবার ভাই বান্ধবকে আমি বাজান ডাকি।’ বলে উদাসিনী মৃদু হাসলে গম্ভীরকণ্ঠে মাতিন বলল, ‘আমাদের গ্রামে এসেছ কেন?’
‘আমার আম্মা আমাকে বলেছিলেন, দরদিবাড়িতে এতিম অনাথের আত্মীয়রা থাকে। এতিম আমি অনাথিনী।’
‘তোমার আম্মা সত্য বলেছিলেন। কিছু খেয়েছ?’
‘বাজান, আমার হাত লাগলে ঠাস করে মটকি ফাটে। আমার পাতে ভাত দিলে বজ্জাতের জাত যায়। আমার স্পর্শে পঞ্চামৃত বিষাক্ত হয়। বিষকন্যা আমি সর্বনাশিনী।’ বলে উদাসিনী বিচলিত হলে হাসার চেষ্টা করে মাতিন বলল, ‘আমাকে তুমি বাজান ডেকেছ। মেয়ের বিয়ের বয়স হলে বাপ চিন্তিত হয়। আমি চিন্তামুক্ত হতে চাই।’
‘বাজান, আমি কুলটা হয়েছি। কলঙ্কিনীকে কেউ কুলে তুলবে না।’

এই বই দুই খন্ডে আমাজনে প্রকাশ করেছি
Poromatthio: Volume 1 (Bengali) Paperback – 21 Jun 2016
by Mohammed Abdulhaque (Author)
Product details
Paperback: 596 pages
First edition (21 Jun. 2016)
Language: Bengali
ISBN-10: 1534824596
ISBN-13: 978-1534824591
Product Dimensions: 12.7 x 3.4 x 20.3 cm
এক সাথে পড়তে চাইলে আমাজন থেকে কিনতে পারবেন
অথবা অনলাইন পড়তে চাইলে আমার সাইটে আছে

মন্তব্য ৪৯ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৪৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৬

টমাটু খান বলেছেন: সুখ পাঠ্য। আপনার সাধনার ধন। বেশ যত্ন সহ সাজিয়েছেণ। আল্লাহ আপনাকে হায়াতে তায়্যেবা দান করুন। যেন এভাবে বাংলা সাহিত্যকে আরো সমৃদ্ধ করতে পারেন।

১৪ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৮

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: দোয়ার বদলে দোয়া। আল্লাহ আপনাকে দুনিয়া আখেরাতে আনন্দিত করবেন। আমিন।

২| ১৪ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৮

ওমেরা বলেছেন: পড়লাম তো নানাজান কিন্ত এখনো তাল পাচ্ছি না ।আরো পড়তে হবে ।

১৪ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০১

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: নানাভাই, এখনও পলাশমিঞার জন্ম হয়নি। কয়কেবার পড়ার পর মজা পাবে।

৩| ১৪ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


এটাকে সিনেমা বা নাটকে পরিণত করার কথা ভাবুন।

১৪ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৫

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমি মনে করি উপন্যাস থাকলে লাভ হবে। নাটক বানাতে চাইলে ওরা সর্বনাশ করে ফেলবে।

এখন আমার হাতে টাকা নেই, পরে হয়তো।

কিছু কি পড়ছেন?

৪| ১৪ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৮

রক্তিম ভালবাসা বলেছেন: আপনার লেখা সুধু বার বার পড়া লাগে অর্থ বোঝবার জন্য

১৪ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:০৫

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: জি ভাই, অন্তত তিনবার পড়তে হবে।
পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

৫| ১৪ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৫

সত্যের ছায়া বলেছেন: ‘হে দেশহিতব্রতী, আপনি নিশ্চয় জানেন, উন্নয়নশীল অর্থ অনুন্নত অবস্থা অতিক্রম করে উন্নতিসাধনে সচেষ্ট।’

জাতির দ্বন্দ নিরসনে সহায়ক।

১৪ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:০৬

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: পড়ে মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

৬| ১৪ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:০৪

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আপনার পঁচিশ বছরের সাধনার ধন ভালো না লেগেই পারেনা। এবারের পর্বও পড়েছি আকর্ষিক মনেই। মনোযোগ ধরে রাখার যন্ত্র ফিট করে রেখেছেন গল্পে। ভালো লাগা রেখে গেলাম ভাই।

ভাই, মতিনের ভাইয়ের কথায় একটু ডরাইছিলাম। কল্লা কাটার কথা শুনলে ভয় লাগে আমার।

শুভকামনা জানবেন।

১৪ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:০৮

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: কল্পগল্প হলেও অনেক বাস্তব ঘটনা আছে।

আপনার মঙ্গল হোক।

৭| ১৪ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:৩৭

সত্যের ছায়া বলেছেন: সাহিত্য এবং শব্দের মান খুঁজতে গেলে আপনি অনেক উঁচু মানের শব্দ ব্যবহার করেছেন। কিন্তু আমাদের মত পাঠকদের আত্মস্থ করতে ধম সাড়া!

১৪ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:৪৭

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আপনারাতো অবসর সময়ে আমার লেখা পড়বেন, তা-ও মনে চাইলে, মন না চাইলে অন্যের লেখা পড়বেন। এই উপন্যাসের কারণ আমি ফতুর হয়েছি। আমি বুঝতে শুরু করেছিলাম আমি যে পায়ে কুড়াল মারছি তারপরেও শেষ করেছি। নিষ্কাম এবং অসুস্থ হয়েছিলাম। এখন ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছি। আমার কিডিনির ৩০ ভাগ কাজ কমেছে। আমি এখন আর কাজ করতে পারব না। টাকার চিন্তা এখন আর করি না, আর কয়দিন বাঁচ তা নিয়ে মাঝে মাঝে চিন্তা করি।

বাংলা আমার জন্য যথেষ্ট করেছে, আমি কিছু করতে চেয়েছিলাম এই বলে মনকে প্রবোধ দেই। আমি মনে মনে জানি, আমার লেখা পাঠকপ্রিয় হবে না। তাই মন ঘোড়ার লাগাম ছেড়ে দিয়েছি।

মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

৮| ১৪ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:৫৫

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
মোটামুটি কঠিন শব্দ দিয়ে গল্প সাজানো ......... অনেক শব্দের মানে জানি না । ;)

১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:০০

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: তা আমি জানি, প্রথম শব্দকোষ ব্যবহার করতাম। নয় পৃষ্টা হওয়ার পর মাথায় বাড়ি পড়েছিল। ঠিকঠাক করতে যেয়ে ১২ পৃষ্টায় যায় এবং পরে... থাক আর বলে লাভ নেই। আপনারা যে কয়েক পৃষ্টা পড়েছেন এতেই আমি খুশি।

৯| ১৪ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:৫৬

সত্যের ছায়া বলেছেন: আপনি যদি সাহিত্য মান ধরে রাখতে চান তাহলে আপ্নাকে অনেক কিছু যোগ বিয়োগ করতে হবে। আর যদি বাণিজ্য ধরতে চান তাহলে কিছু পলিসি এপ্লাই করতে হবে। যেটা হয়ত আপনার জানার কথা না।

আপনার শারীরিক অবস্হার কথা শুনে চিন্তায় পড়ে গেলাম।

১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:০৭

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: এই বই পরে আবার সম্পাদনা করা হবে। এখন শুধু প্রকাশ করেছি যদি মরে যাই তখন সব হারিয়ে যাবে। এই বই মাত্র কয়েক শো কপি হয়তো বিক্রি হবে। এখন আর বাণিজ্যিক চিন্তা করি না। ১২ খান প্রকাশ করেছি হাতে আরো চার খান আছে। তবে ইংলিস বইয়ে কিছু আশা আছে। হাতো আরো তিনখান ইংলিস উপন্যাস আছে, একখান প্রকাশ করেছি।
বই বিক্রি করে আমার পাতে ভাত পড়বে না তা আমি জানি। বাণিজ্যিক বই আমি লিখতে পারব না। তবে সাহিত্যিক হতে চাই, জানি না পারব কি না। না পারলেও তেমন আর ক্ষতি হবে না যা হয়েছে তা-ই যথেষ্ট।

জানি আজগুবি এবং কঠিন শব্দ আছে। পড়ে আপনার কাছে কেমন লাগলো জানতে চাই? কাহিনী এখনও শুরু হয়নি। এটা আসলে পলাশমিঞার কাহিনী।
আমার জন্য দোয়া করবেন।

১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:১১

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: চাইলে সম্পাদনায় সাহায্য করতে পারবেন। ফেইসবুকে কি আছেন? থাকলে এই বিষয়ে কথা বলব।

১০| ১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:০৫

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
১২ পৃষ্টার পরে কি আরো কঠিন শব্দের মেলা বা খেলা, তাহলে আমি শেষ !! আচ্ছা, ভাই সময় করে আপনার লেখা আস্তে আস্তে পড়ে নিব ।

১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:০৮

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: পরে আর বেশি কঠিন শব্দ নেই আর যা আছে তা পরিস্থিতির বিশ্লেষক।

১১| ১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:১৩

সত্যের ছায়া বলেছেন: আমি এটা আপনার সাইট থেকে পিডিএফ ভার্সণ ডাউনলোড করেছি। যেহেতু মহাপন্যাস তাই অনেক দীর্ঘ। কয়েক পাতা পড়েছি। পড়ালে গভীরে টেনে নিয়ে যায়।

১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:১৬

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: সফল না বিফল?

বাণিজ্যিক বই কয়েকটা আছে। এই বই অন্য কারণে লিখেছি। অনেকে বলেছে আমি নাকি কাচ্চি ভাষায় কথা কই, চলিত ভাষায় লিখে শেষ করেছি। :P

১২| ১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:১৬

সত্যের ছায়া বলেছেন: শুনেছি মেলাতে এবার একটা না দুইটা রম্য এসেছে। আপনি চাইলে রম্য লিখতে পারেন। রম্যের চাহিদা আছে।

১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:১৮

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আপনি তাইলে আমার অন্য বই পড়েননি?

অপ্সরা, নীলকমল, ধাধসপুরে বারবেলা, পূর্বরাগ। অন্যগুলা ছোট এবং মজার বই।

১৩| ১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:২৪

সত্যের ছায়া বলেছেন: সত্যি বলতে কি আসলে পড়িনি। কুরবানি ঈদের পর ম্যালা সময় হাতে থাকবে, তখন আপনার বই এক এক করে সব পড়ব।

১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:২৫

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমি কিন্তু সত্যি অপেক্ষা করব।

আপনার মঙ্গল হোক।

১৪| ১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:২৫

সত্যের ছায়া বলেছেন: ভাল থাকবেন। দেহঘড়ি বলছে এখন শুয়ে পড়।

১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:৪৫

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: স্বপ্ন মধুর হোক।

১৫| ১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:২৬

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: এতো সব কঠিন শব্দ ব্যাবহার করেছেন যে অর্থই জানি না।। আর অর অর্থ না জানায় বোঝার আশায় ক্ষ্যামা দিলাম।।
অনেক বই পড়েছি কিন্তু এমনটা না!!
অনেক কষ্ট আর অর্থ ব্যায় করেছেন।। কিছুটা হলেও শান্তনা পান সেই কামনায়।।
ভাল থাকবেন।।

১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:৪৯

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমার সবচাইতে বড় পাওয়া হলো, এই বইয়ে আমি সমাপ্ত লিখতে পেরেছি।
অবশেষে আমিও বিশ্বাস করেছি, টাকাটুকা পাব না। তবে কী পেয়েছি আমি জানি। এই তো আজ আম্মা ফোন করে বলেছিলেন, 'জলদি আয়, তুই ছাড়া সোনা কে আনবে। তোর বাপ তোর জন্য অপেক্ষা করছেন।" আমি দৌড়ে গিয়েছিলাম। ঘরে ঢুকার পর আব্বা আমাকে জড়িয়ে ধরেছিলেন। নাকে নাক লাগিয়ে আদর করেছিলেন।
এসব কিন্তু এই বইর কারণ!
এই বই যারা পড়ে শেষ করবে তার উপকৃত হবে এবং আমার জন্য দোয়া করবে।

সবার মঙ্গল হকো।

১৬| ১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:৪৩

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
কঠিন শব্দকে ভয় পেলেও চলবে না, পড়তে পড়তে এক সময় কঠিন শব্দ ছাড়া আর কিছু ভালো লাগবেনা,,

১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:৫৩

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: চানাচুরওয়ালারা বইর পাতা দিয়ে ঠোঙা বানায়। আমার বই না হয় তাকেই থাকবে!

আমার অর্ধাঙ্গিনী কপাল চাপড়িয়ে মাথা নেড়ে বলেছিল, টিকা দিতে হবে নইলে ওদের মাথা নষ্ট হবে। দয়া করো দয়া করো।

আমি বলেছিলাম, বই পড়া মুখের কথা নয়, অনেক কিছু জানতে হয়। যারা জানতে চাইবে না তাদেরকে কাউয়ায় কামড়াবে।
হাহাহাহাহা
=p~

১৭| ১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:৫৩

ধ্রুবক আলো বলেছেন: পড়লাম, বরাবরের মত ভালো লাগলো।

ঠাট ঠমক ঠসক এর অর্থ কি ভাই?

১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:৫৬

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ঠাট2 [ ṭhāṭa2 ] বি. 1 বাইরের চালচলন, মানসম্ভ্রম (ঠাট বজায় রাখা); 2 কাঠামো (প্রতিমার ঠাট); 3 ভাবভঙ্গি, ছলাকলা, ঠমক (কত ঠাট জানে); 4 ঢং, ধরন (নতুন ঠাট)। [ঠাট1 দ্র]। ঠমক বি. চালচলন; মানসম্ভ্রমযুক্ত চালচলন। বাট বি. জাঁকজমক; পশার-প্রতিপত্তি; লোকলৌকিকতা; শোভনতা। ঠাটারি বি. কাঁসারি (ঠাটারি-বাজার)।

আমি আসলে Catwalk বুঝিয়েছি :P

১৮| ১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:৫৬

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
হা, হা ,হা ...... লেখা একটা নেশা । হুম লিখতে থাকুন দেখি আর কে আটকায় !! B-)

১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:৫৭

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমাকে আর আটকাতে পারবে না, ব্রেইক ফেইল করেছে :D


দোয়া করবেন, মৃত্যুর আগে যেন ইংলিস তিনটা বই যেন সম্পাদনা করে প্রকাশ করতে পারি।

১৯| ১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১:০৫

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
অবশ্যই দোয়া করি ভাই !

১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১:১২

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আপনাদের দোয়াই আমার বড় প্রাপ্তি।

সবার মঙ্গল হোক।

২০| ১৫ ই মে, ২০১৭ ভোর ৪:৩১

উম্মে সায়মা বলেছেন: আপনার লেখা পূর্ণ মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। নাহয় বোঝা যাবেনা। সময় করে পড়ে মন্তব্য করব।
উপরের মন্তব্যের প্রতিমন্তব্য থেকে জানলাম আপনি অসুস্থ। আল্লাহ আপনাকে সুস্থতা দান করুন।

১৫ ই মে, ২০১৭ ভোর ৫:২৬

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: জি বোন, আক্কেল দোষে অসুস্থ হয়েছি। একটানা ১০ বছর দৈনিক ১৪ ঘণ্টা ব্লগিং এবং লেখালেখি করেছি। তারপর গত কয়েক বছর গাধার মত কাজ করেছি এবং একসাথে এই উপন্যাস এবং আরো ১১ টা উপন্যাসে কাজ করেছি। সব মিলিয়ে ডিপ্রেশন হয়েছিল। এখন অনেক সুস্থ তবে ডাক্তার বলেছে আমার কিডনি নাকি ৩০ ভাগ কাজ করা কমিয়েছে। দোয়া করবেন, আমিও আপনাদের জন্য দোয়া করব।
তবে মনে শান্তি আছে এখন, অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করেছি, বাবার আক্ষেপ দূর করেছি, আমি সর্বমোট ২০ টার মতো উপন্যাস লিখেছি, ৪ টা ইংলিসে লিখেছি। ইংলিস একটা প্রকাশও করেছি। মা বাবা স্ত্রী এবং মেয়েরা খুশি, আমিও খুশি। অসম্ভব সম্ভব করেছি আল্লাহর দয়ায়। আমি নিজে এখন প্রকাশক, অন্য এক লেখকের দুইটা বই প্রকাশ করেছি যা উনার জন স্বপ্ন ছিল। বই দুইটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
লেখালেখি এখন আমার জন্য সাধনা হয়েছে। বাংলা বানান এবং ব্যাকরণ শিখতে শুরু করেছি।
সবার মঙ্গল হোক। স্বপ্ন হোক বাস্তব।
আমিন।

২১| ১৫ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:২৩

সিনবাদ জাহাজি বলেছেন: :)
আপনার সাইট বুকমার্কে রেখেছি পড়ার জন্য

১৫ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৬

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ধন্যবাদ জাহাজি ভাই।

২২| ১৫ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫০

নীলপরি বলেছেন: ভালো লাগলো।

১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:১৫

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

২৩| ১৭ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৩

উম্মে সায়মা বলেছেন: আপনার ধৈর্য্য আর সাধনা দেখে মুগ্ধ হয়েছি। আপনি লিখে তৃপ্তি পেয়েছেন এবং পরিবারের সবাইকে খুশি করতে পেরেছেন এটাই অনেক বড় পাওনা। আল্লাহ আপনাকে আরো সাফল্য দান করুক।
তবে সুস্থতা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই নিজের যত্ন নিতে হয়। দোয়া করি সুস্থ হয়ে উঠুন। আমাদের জন্য দোয়া করায় কৃতজ্ঞতা।

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:৩৫

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: দোয়ার বদলে দোয়া। আল্লাহ সবার মঙ্গল করবেন। আমিন।

২৪| ১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:০৭

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সরি টাইপো হয়েছে গুরু শব্দটি আগের মন্তব্যটি মুছে দিবেন।

গুরু আপনার পরমাত্মীয় মহাউপন্যাসের এ অশংটুকু অনেক ভালো লেগেছে। আল্লাহি অাতি আল অাফি।

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:৪২

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: শুরু খুব কঠিন তা আমিও জানি, তার করার কারণ অনেক বিষয় বিশ্লেষণ করতে হয়েছিল যা পরে বুঝতে পারবেন।

মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.