নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহিত্যের পথে, সংস্কৃতির রথে

কবি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ

কবিতা এবং সাহিত্যের ছাত্র

কবি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানব ও দর্শন পর্ব-৩

০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:১৭

চোখের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য, তাতে মায়া আছে!
হৃদয়ের স্বভাবগত বৈশিষ্ট্য, তাতে কল্পনা আছে।
এই চোখ এবং হৃদয়ের রসায়ণে বিবেক প্রতিনিয়ত পৃথিবীকে পরিচয় করিয়ে দেয় তার নিজস্ব সব গবেষণা কর্মের সঙ্গে।

চোখ, তাতে
জল তরঙ্গের ক্ষুদ্র সত্তা ভেদ করে বিশ্বলোকের প্রদর্শন স্পষ্ট হয়। এ সকল দৃশ্যপট থেকেই হৃদয়ের উজার বাসনায় গঠিত হয় যতসব কল্পিত রাজ্য । পৃথিবীর চেয়ে সহস্রগুণ প্রকৃতি নিবিড় জল্পনা অঙ্কিত হয় এই পটে।

অপরদিকে হৃদয়, এতে
রয়েছে অসম্ভব সব অনুভূতি!
চোখের দৃশ্যগ্রহণ করে অথবা কানের অন্ত গহীণে শব্দের ধ্বনি শোষণ করে বিবেক যেটুকু ফলাফল হৃদয়ের উপড় চাপিয়ে দেয়, তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশী আবেগ আপ্লুত হয়ে হৃদয়ের স্বাভাবিক স্পন্দন বেড়ে যায় এবং কখনো কখনো আবার সেই চোখের উপরেই প্রতিফলিত হয় জল।
সুতরাং আমার নিজস্ব দর্শন বলছে, যে জল ভেদ করে মানব পায় তার অন্বেষণ সেই জলের লোনা অশ্রুতেই মাঝে মাঝে ভেসে যায় তার স্বপ্ন।

পৃথিবীর সকল উদ্ভিদ কিংবা প্রাণি অথবা যে কোন বস্ত থেকেই তৈরী হয়, জিবন চলার দর্শন।
অর্জিত সে সকল দর্শনের রুপরেখায় যুক্ত থাকে প্রকৃতি নির্ভর মানবীয় সব মুক্তি।

পরিশ্রম > ফশল
ফশল > পরিশ্রম
অর্থাৎ পরিশ্রম করলেই ফশল পাওয়া যায়, এ ক্ষেত্রে পরিশ্রম বড়।
আবার প্রকৃতির নিজস্ব স্বকীয়তায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যে ফশল পাওয়া যায় তাতে পরিশ্রম নেই বল্লেই চলে তাই এখানে পুর্বের তারতম্য অনুযায়ী পরিশ্রম ক্ষুদ্র।
সুতরাং বড় হোক কিংবা ছোট,
বাঁচতে হলে পরিশ্রম আবশ্যক।
তাই বলা যায় যে যেটুকু দৌড়াবে সে ততটুকুন ই পথ পারি দিবে।

মহিলাদের কাজে পুরুষ অনুপযোগী নয়,
বরং তাদের এ বিষয়ে অদক্ষ রাখা হয় শৈশব থেকেই।
চেষ্টা এবং অধ্যাবসায় নারী কিংবা পুরুষ দেখেনা, বরং পরিশ্রম এবং মনযোগের ফশলেই যে কেউ সফল নির্ণীত হয়।
তবু সমাজে নারী-পুরুষের বিদ্ব্যেষ লক্ষণীয়, কারণ-
বিভিন্ন দুর্যোগ, অনুকূল পরিবেশের সঙ্গে মানুষ মাঝে মাঝেই বাধাগ্রস্থ হয়। ফলে স্বভাবত তাদের মাঝে সৃষ্টি হয়ে যায় স্বার্থপরতার বেড়া।
তাই
পুরুষ যদি পুরুষের কাছ থেকেই নারীকে বিবেচনা করে,
এবং নারী একই ভাবে নারীত্ব থেকে পুরুষকে বিবেচনা করে, তবে কখনোই সমাধান আসবে না বরং দুই শ্রেণীই একে অন্যের ঈর্ষার ব্যক্তিতে পরিণত হবে।

হৃদয় বড় হয় না!
বরং মানুষের মানবীয় প্রকৃত শিক্ষা, তার আচরণে প্রকাশিত হয়।
এই মানবীয় শিক্ষার উদ্দেশ্যেই, জ্ঞান দেয়া-নেয়ার বাজারে পৃথিবী নেমেছিল প্রতিযোগিতায়, তৈরী হয়েছিল বিদ্যালয়।
কিন্ত আজ ভন্ডদের দর্শনে সেখানেই চলছে স্বার্থপরতার কুশিক্ষা। চাকরির লোভ লালসায় লোলুপ দৃষ্টির দর্শনে মানব আজ অমানবীয়। হৃদয় বড় হবে কি কচু খেয়ে ?

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৩৬

প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ

০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:০৪

কবি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৪৪

শায়মা বলেছেন: এ ধরণের দর্শন পড়লেই আমার লালন সাঁইজিকে মনে পড়ে।

অনেক ভালো লাগলো ভাইয়ামনি।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:০৫

কবি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


একটু উদ্ভট টাইপের লেখা

০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:০৫

কবি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেছেন: হুম, হতে পারে।

৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:১৬

বিজন রয় বলেছেন: অনেক গভীরের লেখা।
++++

০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:০৬

কবি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.