নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যই সুন্দর

আমি সত্য জানতে চাই

কোবিদ

আমি লেখালেখি করি

কোবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইদানিং বাংলা ভাষায় বিভিন্ন ব্লগের নব্য কবি এবং তাদের অত্যাধুনিক গদ্য কবিতা

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫০



বিশ্বের আর কোন দেশে আমাদের দেশের মতো এতো কাক আছে কিনা জানিনা, তবে কাকের সংখ্যা যে অগুনিত তা অনস্বীকার্য। কালো কাকের সাথে সাদা কাকও আছে কোন কোন দেশে।



আমার আজকের বিষয় কাক নিয়ে গবেষণা নয়। আমি বাংলা ভাষায় বিভিন্ন ব্লগের নব্য কবিদের নিয়ে আমার পর্যবেক্ষণ ও ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করছি। শুরুতেই আমি বিনয়ের সাথে সকল কবিদের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলেতে চাই এটা শুধুই আমার ব্যক্তিগত মতামত। যেহেতু কোন বিষয়ে মতামত প্রদান আমার নাগরিক অধিকার তাই কারো কাছে আমার মতামত গ্রহনীয় না হেলে আপনারা যুক্তি দিয়ে তা খণ্ডন করতে পারেন । আপনাদের মুক্ত মতামত আমার ভুল ভাঙ্গাতে সহায়তা করবে। কারণ কোন ভুলের উপর দাড়িয়ে সত্য প্রতিষ্ঠা করা বাতুলতা।



যে কাক নিয়ে আজকের কথার অবতারনা; বিজ্ঞজনেরা বেলেন বাংলাদেশে নাকি কাক ও কবির সংখ্যা সমান সমান। তার প্রমানও মিলছে। বেশ কিছু দিন যাবৎ লক্ষ্য করছি বাংলা ভাষায় বিভিন্ন ব্লগে কিছু ব্লগার বন্ধুরা ধুমছে কবিতা লিখছেন। পঞ্চমুখ বলে একটা কথা শুনেছিলাম। তবে কাদের পঞ্চমুখ আছে তা আজও দর্শনের সুযোগ হয় নাই। পাঁচ মুখের সমাহারে পঞ্চমুখ হয় বলে আমার ধারণা। বিভিন্ন ব্লগের এই সকল নব্য কবিদের কবিতা পাঠ করে (!) (পাঠ না করেও হতে পারে) অনেক বন্ধুরা উচচ্ছাসিত প্রশংসা করে। এক কথায় প্রশংসায় পঞ্চমুখ। বিশেষ করে সেই কবি যদি বিপরীত লিঙ্গের হন। আমার বিশ্বাস কবিতা লেখা বা বুঝার ক্ষমতা সবার থাকে না। আমি সেই দলের। মোটা মাথার কবিতা পাঠক বলা যায়। ছন্দের মিল না থাকলে আমার কাছে সেটা কবিতা বলে মনে হয়না। ছন্দের মিল না থাকলে বা ছন্দপতন কবিতার অংগহানী করে বলে আমার মোটা মাথার উদ্ভট থিউরি।



তবে আধুনিক কবিদের সেই চিন্তা করতে হয়না। এটার নাম গদ্য কবিতা। আধুনিক কবিরা গদ্য লিখে যান ইচ্ছামত, নাম দেন কবিতা। অনেকে ভূয়সী প্রশংসা। এমন প্রসংশা যে কবিতার লেখক ও হয়তো লজ্জাবোধ করেন তাদের প্রশংসা বাক্যে। পাঠকদের যদি ক্ষমতা থাকতো তা হলে হয়তো নোবেল পুরস্কার দিয়ে দিতেন জাতীয় বাক্য প্রয়োগ করেন তারা তাদের মন্তব্যে। আমি বিব্রত বোধ করি। যারা সত্যি কবিতার সমঝদার বা যারা কবিতার বিজ্ঞ পাঠক তারও নিশ্চয়ই এই সকল নব্য কবিদের লেখার মন্তব্যকারীদের মন্তব্য দেখে মুচঁকি হাসেন। নব্য কবি আর তাদের চাটুকারী পাঠকদের প্রশংসাসূচক মন্তব্য দেখে শুধু বলতে ইচ্ছা হয় হায় সেলুকাস ! কি বিচিত্র আমাদের ব্লগের নব্য কবি ও তার পাঠক।



কবিতা লেখা বা লিখবার চেষ্টা অবশ্যই দোষের কিছু নয়। তবে কবিতা লিখতে হলে যা প্রয়োজন তা হলো বেশী বেশী করে প্রতিষ্টিত কবিদের কবিতা পাঠ করা ও লেখার চর্চা করা। এর কোন বিকল্প নাই। তা ছাড়া কবিতাটি কোন ব্লগে পোস্ট করার পূর্বে কোন একজন বিজ্ঞজনকে দিয়ে তার ভুল ত্রুটি সংশোধন করে নেওয়া। আর যারা সত্যিই কবিতা বোঝেন তাদের উচিৎ যথার্থ সমালোচনা করা। শুধু কবিকে সন্তষ্ট করার জন্য বা তার কাছে আসবার চেষ্টা পরিহার করে তার গঠনমূলক পরামর্শ দিন যেন সে আরো ভালো লেখায় উদ্বুদ্ধ হন; ভালো লেখা উপহার দিতে সক্ষম হন।



প্রতিটি মানুষের জীবনে একটা সময় আসে যখন সব কিছুই ভালো লাগে। নিজেকে কবি কবি ভাবতে ইচ্ছা করে। আপনারও হয়তো সেই সময় এসেছে বা আসবে। হয়তো আমার মতো সে সময় পেরিয়ে গেছে। আমিও একসময় কবি হবার ইচ্ছা হতো। ইচ্ছার সময়টাতে বেশ কিছু কবিতা লিখে খাতার পাতা পূর্ণ করে ফেলেছি। তারপর তা পত্রিকার পাতায় প্রকাশের খায়েস জাগলো। দ্বারস্থ হলাম আমার পরিচিত এক প্রকাশকের । তিনি মনোযোগসহকারে কবিতাগুলো পাঠ করে মন্তব্য করলেন. "কবিতাসমূহে আমার আবেগ ও যত্নের ছাপ থাকলেও কবিতার অন্তরা ও ছন্দের পতন হয়েছে।" তিনি প্রথিতযশা কবিদের লেখা বেশী বেশী করে পড়ার এবং আরও লিখবার পরামর্শ দিলেন। তিনি আরও পরামর্শ দিলেন ” গদ্য কবিতা লেখার চেষ্টা করতে পার ”। আমি গদ্য কবিতা লেখার নিয়ম কানুন জানতে চাইলে তিনি যা বললেন তাতে আমার আক্কেল গুড়–ম। তার পরামর্শ - ”প্রথমে যেকোন একটা বিষয়ে রচনা লিখবে। গরুর রচনা হলেও ক্ষতি নাই। তার পার রচনাটির দুই পার্শ্ব থেকে এক ইঞ্চি করে ছেটে ফেলবে দেখবে চমৎকার একটি গদ্য কবিতা রচনা করে ফেলছ।” আমি সেদিন তার সেই কথার মানে না বুঝলেও এখন বুঝতে পারছি বিভিন্ন ব্লগরে কিছু নব্য কবিদের কবিতা পঠ করে। আমার বিজ্ঞ সম্পাদক সাহেবের উপদেশবানী ও তার মন্তব্যে হতাশ হয়ে কবি হবার বাসনাকে নির্বাসন দিয়ে গদ্য ও কলাম লেখায় মনোযোগী হয়েছি।



বিঃদ্রঃ আমি সম্মানের সাথে সেই সকল প্রতিথযশা ও গুণী গদ্য কবিদের আমার এ লেখার আওতামূক্ত রেখেছি যারা সত্যিই অনেক গদ্য কবিতা লিখে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। আমার লেখা তাঁদের জন্য নয়, আমি ইদানিং বিভিন্ন ব্লগের নব্য কবিদের লেখা নিয়ে আমার স্বাধীন মত প্রকাশ করছি মাত্র। আমার লেখার সাথে যারা একমত তাদের মন্তব্য আশা করি । আর যারা দ্বিমত পোষণ করেন তাদের কাছ থেকে ব্যাখ্যা । আমার লেখা কারো মনোপীড়ার কারন হলে নিজগুণে ক্ষমা করবেন এই প্রত্যাশায়।



বিঃদ্রঃ আমার আরো একটি পর্যবেক্ষনঃ

সামু ব্লগে পাঠক ও মন্তব্যবারীদের সম্পর্কে আমার পর্যবেক্ষণঃ তথ্যনির্ভর গঠনমূলক, সচেতনামূলক লেখা থেকে হাল্কা চটুল ও বিতর্কিত পোস্ট বেশী পছন্দ পাঠকদের

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮

লোনলিফাইটার বলেছেন: ;) B-)) :P

২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০০

বোকামন বলেছেন: সহমত

৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০৫

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: আপনার সাথে সহমত।

৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০৭

মোঃ নুর রায়হান বলেছেন:
বুঝলাম ভাই আপনার কথা। কিন্তু সহমত হতে পারলাম না। গদ্য ছন্দও একটি ছন্দ। সবার কথা বলবো না, অনেকেই ভালো গদ্য কবিতা লিখেন। আমি এমনও দেখেছি যে আপনি যে ভাবটি অনেক সুন্দরভাবে গদ্যকবিতায় তুলে ধরতে পারছেন টা ছন্দ কবিতায় পারছেন না।

৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০৭

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: কবিতা লেখা সবচাইতে সহজ কাজ। বাক্যের শব্দগুলো উলটা পালটা করে বসিয়ে দিলেই কবিতা হয়ে যায়। যেমন, আমিও মোটা মাথার পাঠক। এটার কাব্য রূপ হবে, মোটা মাথার পাঠক আমিও। আবার যেমন, তুমি আমাকে ছ্যাকা দিয়ে চলে গেল। এটার পদ্যরূপঃ চলে গেলে ছ্যাকা দিয়ে গেলে আমাকে তুমি :D


তবুও চলুক কবিতা লেখা। সবার বুকেই থাকুক কাব্যের আকাঙ্ক্ষা। মনের ভাব ফুটে উঠুক কাব্যের অক্ষরে। যত মন্দই হোক এই যে কাক সম কবির সংখ্যা এটাও তো অনেক বড় এক প্রাপ্তি। পৃথিবীর এমন দ্বিতীয় জাতি কি পাওয়া যাবে যার একটা বিশাল অংশ চায় কবিতা লিখতে! জয়তু সব ভুলে ভরা কাব্যের কবি।

ব্যাক্তিগত বয়ানঃ কবিতা আমিও তেমন বুঝিনা বা বুঝতে চাইনা আর লেখা তো দূরের কথা। তবে কাব্যচর্চার বাঙ্গালী জোয়ার আমাকে আপ্লুত করে।

৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২০

১১স্টার বলেছেন: এই পোস্ট তো আগেও একবার দেখছি মনে হয়।

৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৬

রাইসুল নয়ন বলেছেন: বাহ !!!

দারুন বিশ্লেষণ ।
ভালো লাগলো আপনার পোস্ট ।
সহমত ।।

আমিও নব্য (কবি), সমালোচকদের চোখে দুই দিনের বৈরাগী :D
তবে আমার মনে হয় কি ভাই ব্লগে কবিতা লেখা দোষের না,
গঠন মূলক মন্তব্য একজন নতুন লেখকের জন্য জরুরী, যদি সে শিখতে চায় ,

কবিতা যারা লেখে তারা তাদের মনের ভাবটা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করে, কেউ পারে কেউ পারেনা,
আর যে পারেনা দেখবেন সে ভালো লেখার চেষ্টা করছে।
একদিনেই হিমালয় জয় সম্ভব নয়,
আর জানিনা মানবেন কিনা যে, কোন কবির সবগুলো কবিতাই পাঠক মনে সাড়া জাগায় না ।


আর যারা সত্যিই কবিতা বোঝেন তাদের উচিৎ যথার্থ সমালোচনা করা।

আমার মনে হয় পরামর্শ দেয়া উচিৎ, যদি দয়া হয় তবে উদাহরণ !!

কবিতা লেখা আসলেই অনেক কষ্টের,

আপনার পোস্ট পড়ে ঘুম ভাঙ্গল, আসলেই তো কি সব হাবিজাবি লিখি,
কেউ পড়ে কেউ পড়েনা,
আর কবি ব্লগার ছাড়া তেমন কেউ কবিতাও পড়েনা ।

বিজ্ঞজনেরা বেলেন বাংলাদেশে নাকি কাক ও কবির সংখ্যা সমান সমান। তার প্রমানও মিলছে।

মজা পাইছি !!

প্রথম ভালোলাগা রইলো ।

ভালো থাকুন নিরন্তর ।



৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৮

ইন্সিত বলেছেন: বিজ্ঞজনেরা বেলেন বাংলাদেশে নাকি কাক ও কবির সংখ্যা সমান সমান।

৯| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৮

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: নিজের জন্যে লিখতে ভালবাসি, তারসাথে যদি আর কারো ভালো লাগে খুশি হই। নিজেকে কবি দাবি করিনা....

১০| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৯

বিপদেআছি বলেছেন: *কুনোব্যাঙ* বলেছেন তবুও চলুক কবিতা লেখা। সবার বুকেই থাকুক কাব্যের আকাঙ্ক্ষা। মনের ভাব ফুটে উঠুক কাব্যের অক্ষরে। যত মন্দই হোক এই যে কাক সম কবির সংখ্যা এটাও তো অনেক বড় এক প্রাপ্তি। পৃথিবীর এমন দ্বিতীয় জাতি কি পাওয়া যাবে যার একটা বিশাল অংশ চায় কবিতা লিখতে! জয়তু সব ভুলে ভরা কাব্যের কবি।

আশিক মাসুম বলেছেন:মিয়া বাঙ্গাদেশের ২০ কুটি মানুষ কবিতা লিখবে আপনার প্রবলেম কি??? পারলে নিজেও লিখেন। আজাইরা পোস্ট দেন, যারা কবিতা লিখে তাদের ছোট করার কোন অধিকার আপনার নাই।

১১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৩

তামিম ইবনে আমান বলেছেন: আমি হাটছিলাম রাস্তায়
কাক উড়ে এল
হেগে দিল মাথায়।


এইটা কোন ক্লাসের মধ্যে পরে?

১২| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬

সকাল রয় বলেছেন:
আমি বাংলা ভাষায় বিভিন্ন ব্লগের নব্য চাটুকার ও আতেলদের নিয়ে আমার পর্যবেক্ষণ ও ব্যক্তিগত মতামত থেকে বলছি। শুরুতেই আমি আনন্দের সাথে সকল চাটুকার ও আতেলদের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলেতে চাই এটা শুধুই আমার ব্যক্তিগত মতামত। যেহেতু কোন বিষয়ে মতামত প্রদান আমার নাগরিক অধিকার তাই কারো কাছে আমার মতামত গ্রহনীয় না তাতে আমার কিছু করার নেই । কাকের মতো দেশে কুকুরেরও কিন্তু অভাব নেই। এটা আমার কথা নয় বিজ্ঞ জনের মতামত।

কবি বা কাক দুটো জিনিসকে যাদের চোখে অপছন্দনীয় মনে হয় তারা বোধহয় জগৎ সংসারে সৃষ্টিশীল বা সৃষ্টি মুখাপেক্ষী নয়। মানুষ যেমন হিংসা করতে পারে ভালো কাজের, তেমনি অনুপ্রেরণা বা উৎসাহ দিতে কৃপনতা বোধও করে।

পাকিস্থানীদের একটা সূত্র ছিল একটা দেশকে পঙ্গু করতে হলে সে দেশের কৃতী (কবি, সাংবাদিক ও আছে)মানুষদের হত্যা কর। তো এই কবিতা লেখা বা কাকের মতো কা- কা করা বা হাটু গেড়ে দাড়ানোকে অন্যরকম কিছু ভাবে তারা আসলে হিংসুটে।


সব শেষে একটা কথা বলবো বিন্দু বিন্দু বালুকনা বিন্দু বিন্দু জল গড়ে তোলে মহাদেশ সাগরও অতল।
যে মানুষগুলো লেখালেখি বা সামান্য গান -সঙ্গীত নিয়ে আছে থাকুক না। কে জানে হয়তোএদের মাঝখান থেকেই বেড়িয়ে আসবে আগামীদিনের কৃতী মানুষ।


বয়স কম থাকলে মানুষের ভেতরে কথার মর্ম কম ঢোকে তাই জানার আরো প্রয়োজন আছে আমাদের সকলে। কিছু মনে করবেন না যারা লিখলে তারা কিন্তু আমাদেরই ভাই-বোন ওদের ভুল ধরতে পারি কিন্তু আশাহৃত করতে পারিনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.