নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছু কিছু মৃত্যুশোক কখনোই ভোলা যায় না।কিছু কিছু শোক বয়ে বেড়াতে হয় সারা জীবন। আজ তেমনি একটি শোকের দিন। দেশের ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাকাণ্ড, পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ৪র্থ বার্ষিকী আজ।
২০০৯ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর সদস্যরা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা পিলখানা এলাকায় অবস্থিত বিডিআর সদরদপ্তরে বিডিআর থেকে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের কর্তৃত্বের অবসান, রেশন ও বেতনবৈষম্য দূর করাসহ বেশ কিছু দাবিতে সশস্ত্র বিদ্রোহ করে।
বিডিআর এর ১৫,০০০ উচ্ছঙ্খল জোয়ানের গুলিবর্ষণে প্রান হারায় বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ সহ ৭৭জন উর্ধ্বস্থানীয় কর্মকর্তা। বিদ্রোহী জোয়ানরা হত্যা ছাড়াও পিলখানা অভ্যন্তরে বসবাসরত বিডিআর কর্মকর্তা ও তাদরে পরিবার পরিজনকে জিম্মি করে।
(উপর থেকে নীচে ১ম সারির ৪র্থ শহীদ কর্ণেল বি,এম জাহিদ হোসেন)
এ ছাড়াও বিদ্রোহী বিডিআর এর গুলিতে কয়েকজন পথচারী ও ছাত্র নিহত হয়। তবে ভিতরে আটকে পড়া শিশু ও মহিলাদের বিডিআর সদরদপ্তরের ভিতর থেকে বের করে আনা সম্ভব হয়েছিলো।
(শহীদ কর্ণেল বি,এম, জাহিদ হোসেনের স্ত্রী ছন্দার আহাজারী)
ঘটনার পরে ২৫শে ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্রোহীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করলে বিডিআর এর সদস্যদের একাংশ আত্মসমর্পণ করে। ২৬শে ফেব্রুয়ারি সকালে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত বিডিআর ক্যাম্পে উত্তেজনার খবর পাওয়া যায়। ঐদিন প্রধানমন্ত্রী জাতীর উদ্দেশ্যে ভাষণে, বিডিআরকে আবারও তাদের দাবি দাওয়া মেনে নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।
২৬শে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বিদ্রোহী বিডিআর এর সকল সদস্যগণ তাদের অস্ত্র জমা দেন এবং বাংলাদেশ পুলিশ বিডিআর সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে সংঘটিত বর্বরোচিত এই হত্যাকাণ্ডের বিচার এখনও শেষ না হলেও বিদ্রোহের বিচার সম্পন্ন হেয়েছে। সারাদেশে ১১টি বিশেষ আদালতে ৫৭টি মামলায় দোষীদের বিভিন্ন মেয়াদে সাদা দেয়া হয়েছে।
২০০৯ সালের এইদিনে বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানার দরবার হলে ঘটে যাওয়া নৃশংস হত্যাকাণ্ডে শহীদ সেনানীদের মৃত্যুতে আজো স্বজনদের আহাজারি,আকাশ বাতাস করে তোলে প্রকম্পিত।
দেশবাসী আজ সেইসব শহীদদের স্মরন করছে গভীর বেদনায়। তাদের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা।
২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪২
অদৃশ্য বলেছেন:
সেই রাত্রিতে
________
সেই রাত্রিতে
যখন বায়ান্ন বাজার
তেপ্পান্ন গলির মুখ বন্ধ ছিলো
পিলখানার অভ্যন্তরের শূন্যতায়
অবিরত রক্তক্ষরণ-
পোশাকের অভ্যন্তরে রক্তাক্ত দেহে
বুলেট ও বায়নেটের ছোয়ায়
শেষদৃশ্যের অপেক্ষায়
জলন্ত নক্ষত্রে তাকিয়ে
ক্ষমার প্রার্থনায়,
ঠিক তার অল্পপরেই
কুয়াশায় আচ্ছন্ন হলো সমস্থ রাজপথ,
গলিপথের ভেতর ও বাহির।।
__________________
...... গভীর শ্রদ্ধা .....
শুভকামনা...
৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮
ফার্ুক পারভেজ বলেছেন: আহ হৃদয় ফাঁটা কান্না,
হে আল্লাহ তুমি তাদের বেহেশত নসীব কর।
৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০১
বাংলার আকাশ বলেছেন: আবার মনে করাইয়া দিলেন !! সেদিন কেন আমরা আমাদের বীরদের বাচাতে পারলাম না ?? খুব কষ্ট লাগে । আল্লাহ তুমি তাদের বেহেশত নসীব কর ।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১৫
কোবিদ বলেছেন:
কোটি বাংগালীর মতো সেই বেদনাদায়্ক স্মৃতি আমাকে আজও ব্যথাতুর করে।
যার চলে যায় সেই বোঝে, বিচ্ছেদের কী যন্তনা।
ধন্যবাদ আপনাকে বাংলার আকাশ আপনার সহমমি'তার জন্য
৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৩
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: Please read This in 3 part
Part 1
Click This Link
part2
Click This Link
Part 3
Click This Link
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮
কোবিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার তথ্যবহুল পোস্টের জন্য।
অনেক বিতর্ক আছে সেখানে, আমি বিতর্কে যেতে চাইনা,
বাংলাদেশের বীর সেনানীদের মত্যুর ৪র্থ বছরে কি হবে
বিতর্কে ? আজ তারা না ফেরার দেশে আছে সেখানে
তাঁরা ভালো থাকুক, তাদের বিদেহী আত্মার
মাগফেরাত কামনা করছি।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য
৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬
মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে হাসান কালবৈশাখীর সাম্প্রতিক পোষ্ট ও কিছু ভুল
বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে হাসান কালবৈশাখীর সাম্প্রতিক পোষ্ট ও কিছু ভুল। ২য় পর্ব
বিডিআর বিদ্রোহের এি দিনে পুরনো একটি লেখা আমার চোখে পড়ল । তা আপনার লেখায় শেয়ার দিলাম । আশা করি মনে কিছু করবেন না ।
বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতায়, ২৫ শে ফেব্রুয়ারী কী হয়েছিল সেটা জিজ্ঞাসা করলে কী ফলাফল আসবে তা আমরা জানিনা।
কিভাবে কিভাবে যেনো আমাদের মিডিয়া ২৫ শে ফেব্রুয়ারীকে ভূলিয়ে দিয়েছে। ৫৭ জন অফিসারের হৃদয়ে রক্তক্ষরণরত পরিবার ছাড়াও এই ক্ষত ধারন করবে বিএসএফ এর গুলিতে নিহত শতশত নিরীহ নির্বিরোধ বাংলাদেশি "গরীব মানুষ" গুলোর পরিবার।
কর্নেল গুলজারদের হাতের সেই বিডিয়ার থাকলে হয়ত এরকম পাখির মত গুলি করে বাংলাদেশের মানুষ মারা সম্ভব হত না। বাংলাদেশকে উপহার দেওয়া যেত আরো অনেক রৌমারি কিংবা পাদুয়ার বিজয়। আল্লাহ তো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেনই শহীদদের জন্য মহা পুরস্কারের। কর্নেল গুলজারের পরিবার, ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তার পরিবারে পক্ষ থেকে বিডিয়ার হত্যাকান্ডের বিচার দাবী করছি। --- anudip
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৪
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সেইসব শহীদদের স্মরন করছে গভীর বেদনায়। তাদের প্রতি গভীর
শ্রদ্ধা ।