নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যই সুন্দর

আমি সত্য জানতে চাই

কোবিদ

আমি লেখালেখি করি

কোবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইতিহাসের খল নায়ক, বাংলাদেশের মীর জাফর খন্দকার মোশতাক আহমেদের মৃত্যুদিনে ঘৃনাসহ করুণা

০৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩০



(বিশ্ব ইতিহাসের মহা নায়ক হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান)

ইতিহাসের পাতায় যেমন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকে কিছু প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তিবর্গের নাম যাঁরা তাদের জীবনকে মানুষের কল্যানে উৎসর্গ করে গেছেন তেমনি ভাবে লেখা থাকে কিছু দানবের নাম যারা তাদের নিষ্ঠুর আচরণের কারণে ইতিহাসের কলঙ্কজনক ঘটনার খল নায়কে পরিচিতি লাভ করে যুগে যুগে মানুষের ঘৃনার পাত্র হয়েছেন। তাদের নেতিবাচক চরিত্র আমাদের জাতীয় অর্জন ম্লান করে দিয়েছে। এরা জাতীয় খল নায়ক। জাতীয় জীবনে এই সকল মানুষকে চিহ্নিত করতে হয় আগামী প্রজন্মের জন্য।



ইতিপূর্বে আমি আমার ব্লগে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন অনেক গুণী ও প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তিবর্গের জন্ম ও মৃত্যুদিনে শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁদের স্মরণ করলেও আজ এমন এক ব্যক্তির কথা লিখছি যার জন্য আমার আছে শুধুই ঘৃনা। ইতিহাসের এই খল নায়ক বাংলার মীর জাফর খন্দকার মোশতাক আহমেদ। বিশ্বের অনেক ট্রাজিক নায়কদের মতো হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ইতিহাসের এই খল নায়ককে চিনতে ভুল করার কারণে নিজের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে তার চরম মূল্য দিয়েছিলেন।



খন্দকার মোশতাক আহমেদ ১৯১৮ সালের কোন এক দিনে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার দশপাডা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয থেকে আইন বিষয়ে বি.এল ডিগ্রি লাভ করেন এবং ১৯৪২ সালে রাজনীতিতে যোগ দেন। ব্রিটিশ বিরোধি আন্দোলনে তিনি সক্রিয ভূমিকা রাখেন। তিনি পূর্ব পাকিস্তান আওযামী মুসলিম লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম মহাসচিব। ১৯৫৪ সালে তিনি যুক্তফ্রন্টের মনোনিত প্রার্থি হিসেবে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। কেন্দ্রিয সরকার ১৯৩৫ সালের আর্টিকেল ৯২-এ ব্যবহার করে যুক্তফ্রন্ট সরকার ভেঙ্গে দিলে ১৯৫৪ সালে তাকে কারাবরণ করতে হয। ১৯৫৫ সালে তিনি মুক্ত হয়ে আবার সংসদে যুক্তফ্রন্টের চিফ হুইপ হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসন জারি করার পর তিনি আবার বন্দি হন। ১৯৬৬ সালে ছয-দফার সমর্থন করায তাকে আবার কারাবরণ করতে হয। দেশের আটটি রাজনৈতিক দল ১৯৬৯ সালে আইয়ুব বিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রাম পরিষদ গঠন করলে তাতে খন্দকার মোশতাক আহমেদ পশ্চিম পাকিস্তান অংশের সমন্নযক ছিলেন। ১৯৬৯ সালে রাওযালাপিন্ডিতে আইয়ুব খানের ডাকা গোল টেবিল বৈঠকে তিনি আওযামী লীগের প্রতিনিধি দলের সদস্য ছিলেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে তিনি পাকিস্তান জাতীয সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন।



মুক্তিযুদ্ধের সময মুজিবনগর সরকারে তিনি পররাষ্ট্র, আইন ও সংসদ বিষযক মন্ত্রনালযরে দ্বায়িত্ব লাভ করেন। দেশ স্বাধীন হবার পর শেখ মুজিবুর রহমানের সরকারে তিনি বিদ্যুত, সেচ ও বন্যা নিযন্ত্রন মন্ত্রনালযরে দ্বায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে তাকে অর্থমন্ত্রীর দ্বাযত্বি দেওযা হয। তিনি বাকশালের কার্যকারি কমিটির সদস্য ছিলেন।



১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তার পরোক্ষ মদদে কিছু সেনা কর্মকর্তা কর্তৃক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হবার পর মোশতাক আহমেদ নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন। এই পদে তিনি মাত্র ৮৩ দিন ছিলেন। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ থেকে ৬ নভেম্বর ১৯৭৫ পর্যন্ত তিনি অঘোষিতভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দাযত্বি পালন করেন। রাষ্ট্রপতির দ্বাযত্বি নেবার পর মোশতাকের সহায়তায় জিয়া ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচারের পথ বন্ধ করেছিলেন। তিনি "জয বাংলা" স্লোগান পরিবর্তন করে এর স্থলে "বাংলাদেশ জিন্দাবাদ" স্লোগান চালু করেন। এই সময তিনি "বাংলাদেশ বেতার" এই নাম পরিবর্তন করে "রেডিও বাংলাদেশ" করেন। তার শাসনামলে চার জাতীয নেতা সৈযদ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমেদ, ক্যাপ্টেন মোঃ মনসুর আলী ও এ. এইচ. এম. কামরুজ্জামানকে ঢাকা কেন্দ্রীয কারাগারে (৩ নভেম্বর) হত্যা করা হয। মোশতাক আহমেদ ১৯৭৫ সালের ৫ নভেম্বর সেনাবিদ্রোহের দ্বারা অপসারিত হন।



১৯৭৬ সালে মোশতাক আহমেদ ডেমোক্র্যাটিক লীগ নামক এক নতুন দল প্রতিষ্ঠা করেন। একই বছর সামরিক শাসককে অপসারণের ষডযন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয। তার বিরুদ্ধে ২ টি দুর্নিতির অভিযোগ আনা হয এবং আদালত তাকে ৫ বছরের শাস্তি প্রদান করে। জেল থেকে মুক্তিলাভের পর তিনি আবার সক্রিয রাজনীতি শুরু করেন। ৫ মার্চ ১৯৯৬ সালে এই নেতা মৃত্যু বরণ করেন। একজন মানুষ বিশেষ করে মুসলমান হিসেবে মৃত ব্যক্তির কৃত সকল অপরাধের ক্ষমার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করা কর্তব্য হলেও ইতিহাসের এই ঘৃন্য খল নায়কের জন্য ঘৃনাসহ করুণা।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪২

সরদার হারুন বলেছেন: তাকে আল্লাহ তার কৃতকর্মের জন্য তার প্রাপ্য শাস্তি দিন ।

২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: oder jonno koruna ashena amar shudhu ghrina......ovishopto shoitan ara

৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৫৫

মীর্জা প্রীয়ম বলেছেন: যেমন কর্ম তেমন ফল, শেখ মুজিবের অনিবার্য পরিণতির জন্য তিনিই দায়ী। অন্যকে ঘৃণা করে-শাস্তি দিয়ে মজিবের ফ্যাসিবাদী শাসন ও ব্যর্থতা ঢাকা যাবে না।

৪| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা যুদ্ধের মহান স্থপতি.......

প্রশাসনে অনেকগুলো ভুল তিনি করেছেন

তবে তিনি মানুষ মানুষ ভুলের উর্ধ্বে নয়।

আজও ৭ মার্চ তার বক্তৃতা শুনার জন্য কান পেতে রই।

৫| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০

ফকির সাইঁ বলেছেন: ওরে থু থু থু............................

৬| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৪১

আহলান বলেছেন: থু দিয়েন না ... গোলাপ পানি দেন ... ঐ সময় দেশের পরিস্থিতি কি ছিলো সেটা বিবেচনা করেন।

৭| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৩০

হাসান পারেভজ বলেছেন: মীরজাফর। শালা মীরজাফর। ক্ষমতার লোভ তোর পুটকি দিয়া বাইর হইছে না।

৮| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৫

েরদওয়ান রহমান বলেছেন: মীর্জা প্রীয়ম বলেছেন: যেমন কর্ম তেমন ফল, শেখ মুজিবের অনিবার্য পরিণতির জন্য তিনিই দায়ী। অন্যকে ঘৃণা করে-শাস্তি দিয়ে মজিবের ফ্যাসিবাদী শাসন ও ব্যর্থতা ঢাকা যাবে না।

৯| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩১

রোহান খান বলেছেন: শুধুই হানাহানি, কাউ কে না কাউ কে তো চুপ হতে হবে....। এভাবে চললে তো আজ আমি ওকে মারব, কাল ও আমাকে মারবে, একদিন সবই শেষ হয়ে যাব...।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.