নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যই সুন্দর

আমি সত্য জানতে চাই

কোবিদ

আমি লেখালেখি করি

কোবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রতিথযশা কবি, প্রবান্ধিক ও গল্পকার; সাহিত্য-সংস্কৃতিক আন্দোলনের প্রধান সংগঠক হাসান হাফিজুর রহমনের মৃত্যুদিবসে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি

০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৭



বাঙালি সংস্কৃতির একজন অসাধারণ কৃতীপুরুষ হাসান হাফিজুর রহমান। কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, রাজনৈতিক কলাম, সমালোচনা যা কিছু লিখেছেন, সব কিছুতেই আছে তার অসামান্যতার স্বাক্ষর। মৃত্যুর পূর্বে ১৬ খণ্ডের 'স্বাধীনতার দলিল পত্র' সম্পাদনা করে সর্বোচ্চ মহৎ কাজের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। তা ছাড়া প্রথম 'একুশে ফেব্রুয়ারি' সঙ্কলনের প্রকাশক হিসেবে বিখ্যাত হয়ে আছেন। প্রথিতযশা কবি, সাংবাদিক ও সমালোচক হাসান হাফিজুর রহমান ১৯৮৩ সালের ১ এপ্রিল মস্কোর সেন্ট্রাল ক্লিনিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুদিনে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।



হাসান হাফিজুর রহমান ১৯৩২ সালে ১৪ জুন বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার জামালপুর শহরে তাঁর নানা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈত্রিক বাড়ি ছিলো বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার ইসলামপুর থানার কুলকান্দি গ্রামে। তাঁর বাবার নাম আবদুর রহমান এবং মায়ের নাম হাফিজা খাতুন। হাসান হাফিজুর রহমান ছিলেন পিতার দ্বিতীয় স্ত্রীর প্রথম সন্তান। প্রথম স্ত্রী নিঃসন্তান অবস্থায় মারা যাওয়ার পর আবদুর রহমান দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন এবং ১৯৩২ সালে ১৪ জুন তাঁর প্রথম সন্তান হাসান হাফিজুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন। তাঁরা ছিলেন সাত ভাই ও তিন বোন। তাঁর ভাই-বোনদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয় অপরিণত বয়সে।

হাসান হাফিজুর রহমান ১৯৩৮ সালে ঢাকার নবকুমার স্কুলে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে সরাসরি তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হন। ১৯৩৯ সালে তাঁর বাবা বরিশালে বদলি হয়ে গেলে তিন বছর জামালপুরের সিংজানী হাইস্কুলে পড়াশুনা করেন তিনি। ১৯৪২ সালে তাঁর বাবা ঢাকায় বদলি হয়ে এলে হাসান হাফিজুর রহমান ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি হন এবং মাধ্যমিক পরীক্ষা পর্যন্ত এই স্কুলেই পড়াশুনা করেন।



১৯৪৬ সালে হাসান হাফিজুর রহমান ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে দ্বিতীয় বিভাগে মাধ্যমিক পাস করেন এবং এ বছরই ঢাকা কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীতে মানবিক শাখায় ভর্তি হন। ১৯৪৮ সালে তিনি ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন এবং এ বছরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে বি.এ. অনার্স শ্রেণীতে ভর্তি হন। কিন্তু অনার্স ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ না করে ১৯৫১ সালে তিনি পাস কোর্স-এ বি.এ. পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হন এবং এ বছরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে প্রথম পর্ব এম.এ. শ্রেণীতে ভর্তি হন।



অনার্স শ্রেণীর ছাত্র থাকা অবস্থায় আকস্মিকভাবে মুসলিম লীগের ছাত্র সংগঠনের সাথে জড়িয়ে পড়েন তিনি এবং ফজলুল হক হলের মুসলিম লীগের ছাত্রফ্রন্ট থেকে নির্বাচনে এ.জি.এস. পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয় লাভ করেন। হাসান হাফিজুর রহমানের হল সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ সচেতন রাজনীতিসম্পৃক্তি না হলেও এই ঘটনার মধ্য দিয়েই তাঁর রাজনীতি সচেতনতার সূত্রপাত হয়। তিনি ১৯৫২ সালের আগস্ট মাসে কুমিল্লা শহরে অনুষ্ঠিত 'পূর্ব পাকিস্তান সাংস্কৃতিক সম্মেলন'-এর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব তিনি দক্ষতার সঙ্গে পালন করেন। ১৯৫৪ সালে ডাকসুর (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ) সাহিত্য সম্পাদক নির্বাচিত হন। এবং এই দায়িত্ব পালনকালে (১৯৫৪-১৯৫৫) তিনি 'Spectra' নামক ইংরেজি পত্রিকা সম্পাদনা করেন।



১৯৫৫ সালে এম.এ. দুই পর্ব এক সাথে পরীক্ষা দিয়ে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন হাসান হাফিজুর রহমান এবং এ বছরই তিনি 'ইত্তেহাদ' পত্রিকার সহকারী সম্পাদক হিসেবে চাকুরি গ্রহণ করেন।

১৯৫৭ সাল পর্যন্ত তিনি 'ইত্তেহাদ' পত্রিকায় চাকুরি করেন । ১৯৫৭ সালেই তিনি জগন্নাথ কলেজে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ড্রামা সার্কেল (১৯৫৭-৫৮) গঠিত হলে তিনি তার সভাপতি হন। ১৯৫৭ সালে সিকান্দার আবু জাফর ও হাসান হাফিজুর রহমান যৌথ উদ্যোগে 'সমকাল' নামে একখানা উন্নত শ্রেণীর মাসিকপত্র বের করেন।



(শামসুর রাহমান, আলাউদ্দিন আল-আজাদ, বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর, আক্তারুজ্জামান ও আমিনুল ইসলাম এর সাথে হাসান হাফিজুর রহমান)

১৯৪৯ সালে 'সোনার বাংলা' পত্রিকায় হাসান হাফিজুর রহমানের প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয় । ১৯৫০ সালে 'পূর্বাশা'-য় তাঁর কবিতা 'যে কোন সর্বহারার প্রার্থনা' গুরুত্ব দিয়ে ছাপা হলে রাতারাতি সাহিত্যাঙ্গনে তিনি আলোচিত হয়ে ওঠেন। ১৯৫০ সালে আশরাফ সিদ্দিকী এবং আবদুর রশীদ খান সম্পাদিত বিভাগোত্তর কালের প্রথম আধুনিক কবিতা সংকলন 'নতুন কবিতা'য় 'কোন একজনের মৃত্যুর মুহূর্তে' কবিতাটি অন্তর্ভুক্ত হয়। তাঁর দাঙ্গাবিরোধী অনবদ্য গল্প 'আরো দুটি মৃত্যু' ১৯৫০ সালে প্রথমে 'অগত্যা'য় এবং পরে 'দিলরুবা' পত্রিকায় মুদ্রিত হয়।



১৯৬৩ সালে 'বিমুখ প্রান্তর', ১৯৬৮ সালে 'আর্ত শব্দাবলী' ও 'অন্তিম শরের মত', ১৯৭২ সালে 'যখন উদ্যত সঙ্গীন', ১৯৭৬ সালে 'বজ্রচেরা আঁধার আমার', ১৯৮২ সালে 'শোকার্ত তরবারি', ১৯৮৩ সালে 'আমার ভেতরে বাঘ' ও 'ভবিতব্যের বাণিজ্য তরী' নামক তাঁর কবিতার বইগুলি প্রকাশিত হয়। এছাড়া ১৯৬৫ সালে সমালোচনা গ্রন্থ-'আধুনিক কবি ও কবিতা', ১৯৭০ সালে 'সাহিত্য প্রসঙ্গ' ও 'মূল্যবোধের জন্য', ১৯৭৭ সালে 'আলোকিত গহ্বর' ও ১৯৭৫ সালে 'দক্ষিণের জানালা' নামক প্রবন্ধ-নিবন্ধের বই, ১৯৫০ সালে 'দাঙ্গার পাঁচটি গল্প', 'অমর একুশে' কবিতাটি তিনি ১৯৫২-এর মার্চ/এপ্রিলের দিকে লেখেন এবং জুন মাসে কুমিল্লা সাহিত্য সম্মেলনে প্রথম জনসম্মুখে কবিতাটি পাঠ করেন।



১৯৫৩ সালের জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে 'একুশে ফেব্রুয়ারি' কবিতাটি তাঁর সম্পাদিত 'একুশে ফেব্রুয়ারি' সংকলনেই প্রথম পরকাশিত হয় যিদিও তা বাজেয়াপ্ত হয়ে যায় ২০শে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায়। এছাড়া তাঁর একটি উল্লেখযোগ্য ছোট গল্পের বই হচ্ছে 'আরও দুটি মৃত্যু'। তাঁর বহু রচনা ইংরেজী, উর্দু, ও রুশসহ অন্যান্য ভাষায় অনূদিত হয়েছে। তাঁর মোট গ্রন্থের সংখ্যা ৩০টির অধিক।



১৯৫৮ সালের ১৭ই এপ্রিল হাসান হাফিজুর রহমান সাঈদা হাসানের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। হাসান হাফিজুর রহমান ও সাঈদা হাসানের প্রথম সন্তানের নাম হাসান সাঈদ দিশা। দ্বিতীয় সন্তানের নাম এশা হাসান মুন্নী। বিবাহিত জীবনে হাসান হাফিজুর রহমানকে চাকরিহীন-বেতনহীন জীবনযাপন করতে হয়েছে একাধিকবার। তিনি যখন জগন্নাথ কলেজে অধ্যাপনা করছিলেন তখন সেখানকার অধ্যক্ষ শিক্ষকদের স্বার্থবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হয়। সেই প্রিন্সিপালের কার্যকলাপের বিরোধিতা করার ফলে হাসান হাফিজুর রহমানকে চাকরিচ্যুত করা হয়। পরে জগন্নাথ কলেজের নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ পুনরায় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করেন হাসান হাফিজুর রহমানকে। ষাটের দশকে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান কর্তৃক বাংলার অক্ষর বদলিয়ে আরবি অক্ষরে রূপান্তরের ষড়যন্ত্র ও রেডিও টিভিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্যকর্ম প্রচারের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবার দাবিতে জোরালো আন্দোলনে অংশ নেন। হাসান হাফিজুর রহমান কম্যুনিস্ট ভাবধারায় বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি বাঙালি কৃষ্টি ও সংস্কৃতিতে অবিচল আস্থাশীল ছিলেন। ১৯৬৫ সালের ১লা জানুয়ারিতে তিনি তৎকালীন 'দৈনিক পাকিস্তান' পত্রিকায় সহকারী সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সূচনা পর্যন্ত উক্ত পদেই কর্মরত ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি সরাসরি অংশ নেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তাঁর কনিষ্ঠ দুই ভাই ফারুক হাসিবুর রহমান ও কায়সার আমিনুর রহমান পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে শহীদ হন। মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি যোগ দেন তাঁর পুরনো কর্মক্ষেত্র 'দৈনিক বাংলা'য় ('দৈনিক পাকিস্তান' পত্রিকার পরিবর্তিত নাম)। ১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসে 'দৈনিক বাংলা'র সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি হিসেবে হাসান হাফিজুর রহমানের পরবর্তী কর্মজীবন শুরু হয়। স্বাধীনতার পর প্রকাশিত 'বিচিত্রা'র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদকও ছিলেন তিনি। তারপর তাঁকে মস্কোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস কাউন্সিলর নিযুক্ত করা হয়। উনিশ মাস মস্কোয় কাটানোর পর ১৯৭৪ সালের ১১ ডিসেম্বর হাসান হাফিজুর রহমান দেশে ফিরে এলেন।



মস্কো থেকে প্রত্যাবর্তনের পর হাসান হাফিজুর রহমান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্থাপন শাখার (Establishment Division) ও.এস.ডি. হিসেবে থাকেন ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের অভাবনীয় রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর আড়াই বছর প্রায় চাকরিহীন-বেতনহীন জীবনযাপন করেন তিনি। যিনি জীবনে কখনো Crisis দেখেননি, তাঁর জন্যে সত্যিকার অর্থেই এ সময়কাল ছিলো সংকটময়, যন্ত্রণাদায়ক।



১৯৭৮ সালে হাসান হাফিজুর রহমান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও বেতার মন্ত্রণালয়ের 'মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস প্রকল্প'-এর প্রধান নিযুক্ত হন। তাঁর সম্পাদনায় ষোল খণ্ডে পরিকল্পিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্র সংকলনের কাজ সম্পন্ন হয়। প্রকল্পের পরিচালকের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা অবস্থায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ১৯৮৩ সালের ১৭ জানুয়ারি চিকিৎসার জন্য তাঁকে সোভিয়েত ইউনিয়নের মস্কোতে প্রেরণ করা হয়। মস্কোর সেন্ট্রাল ক্লিনিক হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর প্রথম দিকে অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠলেও পরে আবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং ১৯৮৩ সালের ১ এপ্রিল হাসান হাফিজুর রহমানের কর্মবহুল ও বৈচিত্র্যময় জীবনের অবসান ঘটে। ৫ এপ্রিল মঙ্গলবার মস্কোর শান্তি সরণীর মসজিদে জানাজার পর তাঁর মরদেহ ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণে দ্বিতীয়বার জানাজার পর বনানী কবরস্থানে হাসান হাফিজুর রহমানকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রায়।



সাহিত্য ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য হাসান হাফিজুর রহমানকে ১৯৬৭ সালে লেখক সংঘ পুরস্কার, ১৯৬৮ সালে আদমজী পুরস্কার, ১৯৭১ সালে বাংলা একাডেমী পুরস্কার, ১৯৭৬ সালে সূফী মোতাহার হোসেন স্মৃতি পুরস্কার, ১৯৮২ সালে অলক্ত সাহিত্য পুরস্কার এবং ১৯৮২ সালে সওগাত সাহিত্য পুরস্কার ও নাসিরউদ্দিন স্বর্ণ পদক এবং ১৯৮৪ সালে মরোনোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।



কবি, প্রবন্ধকার ও গল্পকার, সাহিত্য-সংস্কৃতিক আন্দোলনের প্রধান সংগঠক হাসান হাফিজুর রহমনের মৃত্যুদিবসে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪

ম.র.নি বলেছেন: উনার কয়েকটা লেখা পড়েছিলাম।ভালো লেগেছিল, দারুন শক্তিমান লেখা।পোস্টে প্লাস ও ধন্যবাদ।

২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫৫

অন্ধকার রাজপুত্র বলেছেন: হুম. উনার সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম ধন্যবাদ

৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৪৪

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: শেয়ার করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.