নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ ২৯ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে দশম সংসদের প্রথম অধিবেশন। সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিটে ৯ম সংসদের স্পিকার শিরীন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের প্রথম অধিবেশনের প্রথম বৈঠক বসবে। এই সংদের বিরোধী দলের নেতা হয়েছেন জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদ। সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা পদটি একজন পূর্ণ মন্ত্রীর পদমর্যাদার। ১৯৯১ সালের পর এবারই প্রথম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী বা বিরোধীদলীয় নেতার পদে থাকবেন না।
১০ম সংকদের নতুন সরকার শপথ নেওয়ার সাথে সাথে বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে খালেদা জিয়ার সব সরকারি সুযোগ-সুবিধা প্রত্যাহার করার কথা। বিরোধীদলীয় নেতার পাশাপাশি মন্ত্রীর পদমর্যাদায় খালেদা জিয়া সরকারি যেসব সুবিধা পেতেন, নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পরপরই তাও রইলো না।
বিগত সংসদে যোগ না দিলেও বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যে সকল সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেতেনঃ
১। বিরোধীদলীয় নেতা বেতন পান ৫৩ হাজার ১০০ টাকা। এ ছাড়া চিকিৎসা, ভ্রমণসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও মন্ত্রীর মতো পেতেন।
২। তাকে ঢাকা মহানগর পুলিশ থেকে একজন হেড কনস্টেবল, একজন নায়েক, ছয়জন কনস্টেবলসহ আটজন হাউস গার্ড দেওয়া হতো।
৩। এর বাইরে স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) থেকে দু'জন গানম্যান পালাক্রমে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করতেন।
৪। বিরোধীদলীয় নেতা সরকারি একজন একান্ত সচিব (পিএস), একজন সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস), দু'জন ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, একজন বাহক, দু'জন এমএলএসএস ও একজন বাবুর্চি পেতেন।
৫। গাড়ির সুবিধাও পেয়ে থাকেন বিরোধীদলীয় নেতা। বিরোধীদলীয় নেতার পদ হারানোর ফলে খালেদা জিয়া এসব সুযোগ-সুবিধা আর পাবেন না।
জেনারেল এরশাদের দেয়া কেন্টনমেন্টের ১টাকার বাড়িটি হারিয়ে, সংবাদ সম্মেলনে অঝরে কেদেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। দেখার বিষয়, ১৯৯১ সাল থেকে ভোগ করা সুযোগ-সুবিধা হারিয়ে খালেদা জিয়া আবারও সংবাদ সম্মেলন করে কাঁদেন কিনা! তবে দশম সংসদ নির্বাচন বাতিলের দাবি ও সংসদ বসানোর প্রতিবাদে বিএনপি সহ ১৯দলের কালো পতাকা মিছিল হবার কথা আছে আজ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১২
মিতক্ষরা বলেছেন: বিএনপিকে বিরোধী দলে না দেখে আওয়ামীদের হা হুতাশ যেন আর থামছে না। রওশনকে নিয়ে তাদের সমস্যাটা কি? ২০৪১ সাল পর্যন্ত তো এই রওশনকে নিয়েই তাদের থাকতে হবে।