নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যই সুন্দর

আমি সত্য জানতে চাই

কোবিদ

আমি লেখালেখি করি

কোবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিংবদন্তি সঙ্গীত শিল্পী বশির আহমেদ এর মৃত্যুতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৫৫



শিল্পী বিশির আহমেদের অনেক সাধের ময়না তার বাঁধন কেটে উড়ে গেছে অজানায়। বাংলা সঙ্গীত জগতের কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী, সুরকার, গীতিকার ও সঙ্গীত পরিচালক বশির আহমেদ। গতকাল শনিবার রাত ১২টার দিকে শ্বাসকষ্টজণিত সমস্যায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বশির আহমেদ।(ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাহে রাজেউন) মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৫ বছর। পরিবার সূত্রে যানা যায় বশির আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সার ও হৃদরোগে ভুগছিলেন। তবে তার শারীরিক অবস্থার খুব একটা অবনতি ছিল না। নিয়মিত চেকআপের ভেতরেই ছিলেন তিনি; কিন্তু রাতে হঠাতৎ করেই শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাকে ডাক্তারের কাছে নেবার প্রস্তুতি নিলে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।



১৯৩৯ সালের ১৯ নভেম্বর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন এই গুণী শিল্পী এবং য়াটের দশকে সপরিবারে ঢাকায় চলে আসেন। ৭০-৮০ দশকে এদেশের চলচ্চিত্রে অগনিত হিট গানের কণ্ঠশিল্পী ছিলেন তিনি। বিটিভির প্রারম্ভিক সময়কাল থেকেই সঙ্গীত বিভাগের অন্যতম কর্মকর্তা থেকে শুরু করে একাধিক গানের অনুষ্ঠানের রূপকার ও পরিচালক ছিলেন তিনি। তার দুই সন্তান রাজা বশির ও হুমায়রা বশির দেশের দুই গুণী দুই শিল্পী।



তার গাওয়া কাজী জহিরের ময়নামতির ছবির বিখ্যাত গান ‘অনেক সাধের ময়না আমার বাঁধন কেটে যায়’ গানটি আজো মানুষের মুখে মুখে। এছাড়াও বশির আহমেদের জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ যারে যাবি যদি যা পিঞ্জর খুলে দিয়েছি , আহা কিযে সুন্দর হারিয়েছে অন্তর, সবাই আমায় প্রেমিক বলে, ডেকোনা আমারে তুমি কাছে ডেকো না, সজনীগো ভালবেসে এত জ্বালা কেন বল না, ওগো প্রিয়তমা, আমাকে যদি গো তুমি এত বাস ভালো ইত্যাদি। একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন বশির আহমেদ। আজ সকালে মোহাম্মদপুর জহুরী মহল্লা জামে মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে দাফন করা হবে তার মরদেহ।



আর যে আমায় ডাকবে না সে সকাল দুপুর সাঝে- বলবে না আর মনের কথা .........গানের সুর ছড়িয়ে সঙ্গীত ভক্তদের মুগ্ধকরা শিল্পী বশির আহমদের আত্মার শান্তি ও রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১৯

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: অনেক সাধের ময়না আমার বাধন কেটে যায় ....নিজেই তারে শিকল দিলাম রাঙা দুটি পায় ..

২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮

স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: প্রিয় একজন শিল্পী চলে গেলেন....ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাহে রাজিউন

৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:২৭

সোহানী বলেছেন: অসাধারন একজন শিল্পী চলে গেলেন। তাঁর অাত্মার চির শান্তি কামনায়.......

৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৩২

ঢাকাবাসী বলেছেন: একজন নিবেদিতপ্রান গুনী শিল্পি চলে গেলেন। আমার বড় প্রিয় ছিলেন। তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।

৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৪৭

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাহে রাজেউন।
তাঁর আত্মার শান্তি ও রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।

৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:০৩

নাহিদ ইসলাম ৩৫০ বলেছেন:
ন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাহে রাজিউন



প্রযুক্তি বিষয়ক বাংলা ব্লগঃ আইডিয়া বাজ

৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:১০

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: প্রিয় শিল্পীর জন্য অনেক শ্রদ্ধা। তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।

৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:২৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ফিহা খালাকনাকুম
ওয়া ফিহা নইদুকুম
ওয়া মিনহা নুখরিজুকুম
তারাতান উখরা।।।

তোমাদের এই মাটি থেকেই জন্ম হয়েছে, এই মাটিতেই আবার ফিরে এসেছো, এই মাটি থেকেই আবার পুনরুত্থান হবে।
(কবরে মাটি দিতে দিতে পাঠ করে যে দোয়া)

কি মহা শূন্যতাময় জীবন-অথচ সারাটিজীবন কেবলই বস্তুর পিছনে উন্মাদ ছুটে চলা। যে বস্থু আর কোনই কাজে আসেনা-বিদায় বেলায়!!!!!!!

আল্লাহ উনার আত্মাকে শান্তি দিন।

৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:২৮

এহসান সাবির বলেছেন: তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা রইলো।

১০| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৮

ইছামতির তী্রে বলেছেন: কি অসাধারণ একজন শিল্পী!!!
মহান আল্লাহ তাঁকে বেহেশতবাসী করুন। আমিন।

১১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৫

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: আল্লাহ তাকে বেহেশত নসীব করুন।

১২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৫১

শাহ আজিজ বলেছেন: খুব ছোটবেলায় ৬০ এর দশকে পুজার সময় বাড়ির পিছনে মাইকে বাজত অনেক সাধের ময়না ----গান । বড় হয়ে জেনেছি এটির গায়ক বশির আহমেদ । গতকাল অনুজ তানিম ফেবুতে লিখল " ১৯৪৯ সালে উপমহাদেশের দুজন বিখ্যাত মুসলমান পুরুষ কণ্ঠশিল্পী দেশভাগ জনিত কারণে ঢাকায় আসেন স্থায়ীভাবে বসবাস করবেন বলে। ঢাকা তখন শিল্প সাহিত্যের দিক থেকে অনেকটাই পিছিয়ে। শিল্পীদের একজন এখানে মানিয়ে নিতে না পেরে কয়েকমাস থেকে আবার মুম্বাই ফিরে যান। আরেকজন স্থায়ীভাবে রয়ে যান। ষাটের দশক থেকে বাংলা চলচ্চিত্রে কণ্ঠদান করেন। তিনি বশির আহমেদ। ওস্তাদ বড়ে গোলাম আলী খাঁ'র কাছে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শেখা বশির আহমেদ এর মূল পরিচয় এ সময়ের অনেক জনপ্রিয় শিল্পীদের শিক্ষক তিনি।

আমাদের দেশের বেশিরভাগ লিজেন্ডদের আমরা যেভাবে ভুলে যাই, সেভাবেই তাকেও ভুলে গেছি। তিনি মারা যাবার পর সীমিত সংখ্যক মানুষ স্ট্যাটাস দিয়ে দায়িত্ব শেষ করছি, এভাবেই চলবে।

যাই হোক, এবারে অপর শিল্পী যিনি ক'মাসের মাথায় চলে গেলেন, তার নামটা বলি। তিনি তালাত মাহমুদ, উপমহাদেশের প্রখ্যাত শিল্পী। আমার মনে হয় তালাতজি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন...


একটা নিরব জীবন ছিল বশির আহমেদের শেষ দিকে । শুনেছি তিনি ভালোই ছিলেন একাকিত্তের মাঝে সামান্য কিছু বন্ধুদের মাঝে। এনটারটেইনার শেষ জীবন এমনই হয়, তারা নীরবে লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকতে ভালবাসেন ।
দেখি আজ যদি ডাউনলোড করা যায় ওর কিছু গান যা শুনে পুরনো দিনে ফেরত যাওয়া যায় ।

১৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:১৫

রাবার বলেছেন: আপনার লিখা পড়ে উনার সম্পর্কে জানলাম। ধন্যবাদ ।
+++্

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.