নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভারতবর্ষের ইতিহাসে বিপ্লবী নেতা এবং ব্রিটিশ শাসনামলে ১৮৫৭ সালের ভারতীয় বিদ্রোহের অন্যতম পথিকৃত হিসেবে চিরস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব লক্ষ্মী বাঈ। অন্যায়-অবিচার আর বঞ্চনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এক হিন্দু নারীর অসাধারণ প্রতীক হয়ে আছেন ঐতিহাসিক নারী চরিত্র ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাঈ। সর্বসাধারণের কাছে তিনি ঝাঁসীর রাণী বা ঝাঁসী কি রাণী হিসেবেও ব্যাপকভাবে পরিচিত। ব্রিটিশ শাসনামলে ভারতবর্ষের ইতিহাসে তিনিই ছিলেন মোটামুটি প্রথম সফল নারী যোদ্ধা। সিনেমার কাহিনীর মতই টানটান উত্তেজনায় ভরপুর এই মহিয়সী নারীর বীরত্বগাঁথা। শাসনকাজ পরিচালনা করতে গিয়ে লক্ষ্মীবাঈ উপলব্ধি করেন এ দেশে ব্রিটিশদের অন্যায়মূলক ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণের কঠিন চাপ। প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন তিনি। একজন অতি সাধারণ মেয়ে মানু থেকে হয়ে ওঠেন রানি লক্ষ্মীবাঈ। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান তিনি, লড়াই ঘোষণা করেন, নিজের হাতে অস্ত্র তুলে নেন এবং অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করেন তাঁর মতো লড়াইয়ে অংশ নিতে। রাণী লক্ষ্মী বাঈ ভারতীয় তথা হিন্দু মেয়েদের সাহসীকার প্রতীক। ভারতবর্ষের ইতিহাসে বিপ্লবী নেত্রী হিসেবে চিরস্মরণীয় এই নারী ১৮৫৮ সালের আজকের দিনে শহীদ হন। আজ তার ১৫৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। ঝাঁসীর রাণীর মৃত্যুদিনে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।
(১৮৫০ সালে রানির ১৫ বছর বয়সে তোলা দুর্লভ ছবি)
লক্ষ্মী বাঈ ১৮৩৫ সালের ১৯ নভেম্বর তার জন্ম বারানসীর কাশীতে মহারাষ্ট্রের ব্রাহ্মণ পরিবারে। তার প্রকৃত নাম মণি কর্ণিকা এবং ডাক নাম মনু। তার পিতা মরোপান্ত তাম্বে এবং মাতা ভগীরথি বাঈ তাম্বে। বিথুরের পেশোয়া আদালতে কর্মজীবন অতিবাহিত করেন তার পিতা। সেখানে পরবর্তীতে নিজ কন্যাকে মনের মতো করে গড়ে তুলতে থাকেন মরুপান্ত তাম্বে। বাড়িতেই তার পড়াশোনা। মাত্র চার বছর বয়সে মাকে হারান লক্ষ্মীবাঈ। শৈশবে তার বয়সী মেয়েদের চেয়ে তিনি ছিলেন ব্যতিক্রম। বাবা কোর্টের কাজ-কর্মে জড়িত থাকায় রাণী লক্ষ্মী বাঈ ঐ সময়ের অধিকাংশ নারীদের তুলনায় অধিক স্বাধীনতা ভোগ করতে পেরেছিলেন। আত্মরক্ষামূলক শিক্ষালাভের পাশাপাশি ঘোড়া চালনা, আর্চারী শিক্ষাগ্রহণ করেছিলেন তিনি। এছাড়াও তিনি তার বান্ধবীদেরকে নিয়ে নিজস্ব একটি বাহিনী গড়ে তুলেছিলেন।
১৮৪২ সালে ঝাঁসীর মহারাজা গঙ্গাধর রাও নিওয়াকরের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন লক্ষ্মী বাঈ। এভাবেই তিনি ঝাঁসীর রাণী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। বিয়ের পরই তাঁর নতুন নামকরণ হয় লক্ষ্মী বাঈ। ১৮৫১ সালে তাদের একটি পুত্রসন্তান হয়।নাম রাখা হয় দামোদর রাও। কিন্তু চার মাস পর ছেলেটি মারা যায়। পুত্রশোক ভুলতে রাজা-রানী উভয়ই আত্মীয়র ছেলেকে দত্তক নেন। ১৮৫৩ সালে গঙ্গাধর রাও মারা যান। স্বামীর মৃত্যুর পর কম বয়সেই তাকে ঝাঁসির রাজত্বভার গ্রহণ করতে হয়। ক্টিন্তু আত্মীয়র ছেলেকে দত্তক নেয়ায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির গভর্নর জেনারেল লর্ড ডালহৌসির দখলস্বত্ব বিলোপনীতির কারণে তার সিংহাসনারোহণে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। ডালহৌসি জানান, ঝাঁসির সিংহাসনের প্রকৃত উত্তরাধিকারী নেই এবং ঝাঁসিকে কোম্পানির নিয়ন্ত্রণাধীনে নেয়া হবে। ১৮৫৪ সালে রানীর নামে বার্ষিক ৬০ হাজার ভারতীয় রূপি ভাতা মঞ্জুর করা হয় এবং তাকে ঝাঁসির কেল্লা পরিত্যাগ করতে হুকুম জারি করা হয়। লক্ষ্মী বলেছিলেন, ‘আমি দিব না! আমি আমার ঝাঁসি ছেড়ে দিব না! কেউ আমার ঝাঁসি কেড়ে নিতে পারবে না; যার সাহস আছে সে চেষ্টা করতে পারে!’ ঝাঁসির দুঃসাহসী রানী এ আহ্বানের মাধ্যমেই ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করেছিলেন। তার পর ইংরেজদের বিতাড়িত করে ঝাঁসির রানী শুরু করেছিলেন তার রাজ্য শাসন।
সাধারণত তিনটের সময় পুরুষের পোশাকে তিনি দরবারে যেতেন। গাঢ় নীল রঙের জামা, পায়জামা ও মাথায় একটি সুন্দর পাগড়িসদৃশ টুপি পরতেন। কোমরে জড়িয়ে রাখতেন একটি নকশা করা দোপাট্টা, যার পাশে থাকত মূল্যবান রত্নখচিত তলোয়ার। এই বেশভূষায় তাকে গৌরীর মতো দেখাত। মাঝে মাঝে তিনি নারীর পোশাকও পরতেন। তার স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি আর কখনো নথ অথবা সেরকম কোনো অলংকার পরেন নি। তার হাতে থাকতো হীরার বালা, গলায় মুক্তার ছোট মালা এবং কনিষ্ঠ আঙুলে একটি হীরার আংটি। তার চুলগুলো পিছনে বাঁধা থাকতো। সাদা অন্তর্বাসের সাথে তিনি একটি সাদা শাড়ি পরতেন। এভাবেই তিনি কখনও পুরুষবেশে, কখনও নারীবেশে দরবারে উপস্থিত হতেন। দরবারে সমবেত ব্যক্তিরা কখনই তার সাক্ষাৎ পেত না। কেননা তার বসার কক্ষটি ছিল আলাদা এবং এটি দিয়ে শুধু দরবারের সভাকক্ষেই প্রবেশ করা যেত। স্বর্ণালঙ্কিত দরজাগুলো সুতি ছিট কাপড়ের সোনালি পর্দায় ঢাকা থাকতো। প্রখর বুদ্ধিমতী রানী তার সামনে আনা যে কোনো বিষয় খুব দ্রুত উপলব্ধি করতে পারতেন এবং তার আদেশগুলো হতো স্বচ্ছ, নির্দিষ্ট ও চূড়ান্ত। মাঝে মাঝে তিনি নিজেই আইন প্রণয়ন করতেন। আইন প্রয়োগের ব্যাপারে খুবই সচেতন ছিলেন এবং অধিকার ও অপরাধ সম্পর্কিত বিষয়ে যোগ্যতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেন।
১৮৫৭ সালের ১০ মে মিরাটে ব্রিটিশগেদর বিরুদ্ধে ভারতীয় বিদ্রোহের সূচনা হয়। চারদিকে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, লি ইনফিল্ড রাইফেলেরআচ্ছাদনে শুকরের মাংস এবং গরুর চর্বি ব্যবহার করা হয়। এরপরও ব্রিটিশ শাসকগোষ্ঠী রাইফেলে শুকরের মাংস এবং গরুর চর্বির ব্যবহার অব্যাহত রাখে। তারা বিবৃতি দেয় যে, যারা উক্ত রাইফেল ব্যবহারে অসম্মতি জানাবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবং আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও শুরু করে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ। এই বিদ্রোহে সিপাহীরা অনেক ব্রিটিশ সৈন্যসহ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীতে নিযুক্ত কর্মকর্তাদেরকে হত্যা করে। ব্রিটিশ বিরোধী বিপ্লব চূড়ান্ত আকার ধারণ করলে সমগ্র ভারতবর্ষে প্রবল গণ-আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। রানীও তাতে অংশ নেন। সেই ভয়াবহ যুদ্ধের সময়েও তাঁর সুদূরপ্রসারী নেতৃত্বে ঝাঁসীর পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ছিল। সেই সময় ব্রিটিশ সৈন্যরা লর্ড স্ট্রাথনায়র্নের নেতৃত্বে ঝাঁসীর কাছেই ঘাঁটি গেড়ে বসে। অবশেষে ১৮৫৮ সালের ২৩শে মার্চে ঝাঁসী অবরোধ করে ফেলে ব্রিটিশরা। লক্ষ্মী বাঈ কাপুরুষের মত চুপ করে এই ভাবে অবরুদ্ধ অবস্থায় থাকার মত মানুষ ছিলেন না। তিনি তাঁর সৈন্যদল নিয়ে ইংরেজদের সামনে এসে দাঁড়ান। তাঁকে সহায়তা করতে বিশ হাজার সৈন্য নিয়ে তাতিয়া তোপে নামক আরেক বিদ্রোহী এগিয়ে আসেন। খুব অবাক করা বিষয় হল ইংরেজ সৈন্যসংখ্যা ছিল এই তুলনায় খুব কম, মাত্র পনেরশ। কিন্তু সৈন্য কম হলে হবে কী, ওরা ছিল অনেক বেশি দক্ষ আর উন্নত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। সেই তুলনায় অনেক বেশি অনভিজ্ঞ সৈনিকদল নিয়ে তাতিয়া তোপে সুবিধা করতে পারে নি। কম সৈন্য নিয়েও তাই ৩১শে মার্চ অবস্থা পুরোপুরি ইংরেজদের আয়ত্ত্বে চলে যায় এবং তারা ভয়াবহ আক্রমণ শুরু করে। এই আক্রমণের তিন দিন পর ঝাঁসীর দুর্গের দেয়ালে ফাটল ধরে এবং ব্রিটিশরা অনায়াসেই পুরো শহরের দখল নিয়ে নেয়।
লক্ষ্মী বাঈ এর আগেই বিপদের আঁচ করেছিলেন। এই চরম মুহূর্তে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ অন্যত্র মনোযোগের চেষ্টা চালায়। তাদের অমনযোগের সুযোগে সন্তানকে বুকে নিয়ে রাতের আঁধারে দুর্গের দেয়াল থেকে লাফ দিয়ে পালান রাণী লক্ষ্মী বাঈ। সিপাহী বিদ্রোহের সময়ে লক্ষ্মী বাঈয়ের বীরত্বপূর্ণ অবদানের কারণে নিরাপদে তাঁর সৈন্যরা ঝাঁসী ত্যাগ করতে পেরেছিল। এ সময় তাঁর নিরাপত্তার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মেয়েদের একটি দল তাঁকে পরম মমতায় ঘিরে রেখেছিল। এরপর রাণী আনন্দ রাওকে সাথে নিয়ে তার বাহিনী সহযোগে বাণিজ্যিক বিনিয়োগের উর্বর ক্ষেত্র কাল্পীতে যান। ব্যবসা-বাণিজ্যে এই শহরটি বেশ সুনাম কুড়িয়েছিল। সেখানে তিনি তাতিয়া তোপেসহ অন্যান্য বিদ্রোহী বাহিনীর সাথে যোগ দেন। রাণী এবং তাতিয়া তোপে গোয়ালিয়রের দিকে যাত্রা শুরু করেন। সেখানে তাদের যৌথবাহিনী গোয়ালিয়রের মহারাজার বাহিনীকে পরাজিত করে। পরাজিত এই সৈন্যরা পরে রাণী ও তাতিয়ার যৌথবাহিনীতে যোগ দেয়। এই বাহিনীতে অন্যতম নেতৃত্বপ্রদানকারী হিসেবে লক্ষ্মী বাঈ গোয়ালিয়রের কেল্লা দখল করে নেন।
(ভারতের ঝাঁসী/গোয়ালিয়রে স্থাপিত ব্রোঞ্জ নির্মিত লক্ষ্মী বাঈএর ভাস্কর্য)
১৮৫৮ সালের ১৭ই জুন ভারতের গোয়ালিয়রের ফুলবাগ এলাকার কাছাকাছি কোটাহ-কি সেরাইয়ে নামক জায়গায় ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে বীরবিক্রমে লড়াই করে নিহত হন ঝাঁসির রানী লক্ষ্মী বাঈ। তার মৃত্যুর তিনদিন পর ব্রিটিশরা গোয়ালিয়র দখল করে।মৃত্যুর পরে রানী লক্ষ্মী বাঈ ভারতবর্ষের 'জাতীয় বীরাঙ্গনা' হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি পান। তাঁকে ভারতীয় রমণীদের সাহসের প্রতীক ও প্রতিকল্প হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে। সাম্প্রতিককালে, ২০১১ সালের ২১ জুলাই লক্ষ্মী বাঈকে বিশ্বের শীর্ষ ১০ জন ডানপিটে রমণীদের একজন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যারা তাদের স্বামীদের কাছ থেকে সক্রিয় সহযোগিতা পেয়েছিলেন। টাইম ম্যাগাজিনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। তালিকায় ঝাঁসীর রাণীর অবস্থান ছিল ৮ম। আজ তার ১৫৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। ঝাঁসীর রাণীর মৃত্যুদিনে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।
১৭ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৪৮
কোবিদ বলেছেন:
ধন্যবাদ অন্যমনস্ক শরৎ
সম্ভবত আপনি অন্যমনস্ক ছিলেন তাই
বিষয়বস্তু না দেখেই মন্তব্য দিয়েছেন।
লক্ষ্য করে দেখবে শিরোণামটি আমার দেওয়া নয়।
সাম্প্রতিককালে, ২০১১ সালের ২১ জুলাই লক্ষ্মী বাঈকে বিশ্বের শীর্ষ ১০ জন ডানপিটে রমণীদের একজন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যারা তাদের স্বামীদের কাছ থেকে সক্রিয় সহযোগিতা পেয়েছিলেন। টাইম ম্যাগাজিনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
২| ১৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:০৫
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: তাহলে আপনি এবার শিরোনামটিতে ব্লগার হিসেবে পরিবর্তন আনার কথা ভাবতে পারেন। "ডানপিটে" শব্দটি যে নেগেটিভ কোনোটেশন তৈরি করে তা বীরত্বের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে মনে করি।
এরপর আপনার অতি দ্রুত গতির পূর্বানুমান বিষয়ে আলোচনাটা এগিয়ে নেই একটু। আপনি যদি মুখ্যত কপি-পেস্টার মানে, একটি মাধ্যমের জন্য লিখে বা অনুবাদ করে সেটিই ছড়িয়ে দেবার বাধ্যবাধকতায় আটকে থাকেন তবে সেটাতে আপনার শিরোনাম পরিবর্তন জনিত যে আতংক তা প্রায় চাকরী চলে যাবার ত্রস্ততায় উজ্জ্বল বলে মনে হল। তা না হলে যে নির্বোধ আমি আবারো জোর দিচ্ছি, নির্বোধ অনুমান আপনি করেছেন তা ভ্রান্ত। প্রমাণ দিচ্ছি: এই মাত্র মানে দুপুর ১২:০৮ এ নেয়া স্ক্রীণশট এ স্পষ্ট যে আপনার পোষ্ট দিয়েছে সকাল ১১:২৭ এ। আর আপনার পোষ্ট ফেইসবুকে শেয়ার করেছি ২৩মিনিট আগে। অর্থাৎ আপনার পোষ্ট পুরোটা পড়ে কমেন্ট করেছি, শেয়ার করেছি।
আপনি ভালো লেখক। বিশেষ দিবস এবং ঘটনায় আপনার দক্ষতা চমৎকার। তবে সেটা যাতে আপনাকে অন্ধ করে না দেয় সেইজন্য এই বক্তব্যটা দেয়া।
ফলে মনষ্ক আর অন্যমনষ্কতার মানদন্ডে অন্যকে বিচার করার আগে নিজের প্রস্তুতি যাচাই করবেন আশা করি।
১৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৩০
কোবিদ বলেছেন:
ধন্যবাদ দাদা আপনাকে আবারো।
আপনার অনুভূতিকে সম্মান জানাচ্ছি।
তবে ডানপিটে শব্দটিকে নেগেটিভ অর্থে নয়
বরং গুনবাচক বিশেষণে ব্যবহ্রত হয়েছে।
ডানপিটে শব্দের আভিধানিক অর্থ বিণঃ অসমসাহসী, দূর্দান্ত
(সংসদ বাঙ্গালা অভিধান ২৮৮ পৃষ্ঠা দৃষ্টব্য)
আশা করি ভুৃল বোঝার অবসান হবে!
ধন্যবাদ আপনাকে।
৩| ১৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৩২
সোহানী বলেছেন: সহমত অন্যমনস্ক শরৎ। কারন টাইম ম্যাগাজিনে নিশ্চয় বাংলায় লিখা হয়নি তাই যারা অনুবাদ করেছে আরেকটু মনোযোগী হওয়া উচিত ছিল... তাই নয় কি !!!!
১৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৪২
কোবিদ বলেছেন:
ধন্যবাদ সোহানী আপু
আপনার মন্তব্যের জন্য
আপনারা চাইলে ডানপিটে শব্দটির
প্রতিশব্দ অসম সাহসী শব্দটি প্রতিস্থাপন
করতে পারি। তবে তার কি খুব আবশ্যকতা আছে?
ধন্যবাদ
৪| ১৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৫
ঢাকাবাসী বলেছেন: একজন স্বাধীনতার যোদ্ধাকে ডানপিটে বলা তাকে খাটো করে দেয়াই। অন্যমনষ্ক শরতের সাথে একমত। লেখক ডানপিটে অর্থ নিয়ে নিশ্চিত নন। এটার ব্যাবহার পড়লেই বোঝা যেত, অভিধানে যাই বলুক। এন্জেলা মরকেল বা শেখ হাসিনাকে ডানপিটে বলবেন? দুজনেই সাহসী, বললে হাটুরে কিল পড়বে। ধন্যবাদ।
১৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৩
কোবিদ বলেছেন:
হা হা হা., দারুন লাগছে এই ডানপিটে বিতর্ক
তাই সহসাই এটার পরিবর্তন করছিনা। চলতে থাকুক
ডানপিটি বিতর্ক। আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম
কিশোর বয়সে ছিলেন অসম্ভব ডানপিটে। বহু লেখায় তা বহুবার
ব্যবহৃত হয়েছে। নজরুল মানেই ডানপিটে স্বভাবের দুরন্ত কিশোর।
আশা করি তার বেলায় প্রযোজ্য এই ডানপিটে শব্দটি তাকে কোন ভাবেই
খাটো করে লেখেন নি আমাদের কথা সাহিত্যিক ও গুণী জনেরা। ধন্যবাদ
ঢাকাবাসী মুক্ত মত দেবার জন্য।
৫| ১৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:০৮
শাহরিয়ার নাজমুল বলেছেন: "ডানপিটে "তো ভালোই, খারাপ বা বেমানান লাগেনি।
১৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৪৯
কোবিদ বলেছেন:
ধন্যবাদ শাহরিয়ার নাজমুল
আসলে আমরা নিজেদের
আত্মবিশ্বাস নিয়ে কথা বলতে
দ্বিধান্বিত হই। "পাছে লোকে কিছু বলে"
ভাবাবেগে তাড়িত হই বলে গোলক ধারার
বাইরে আসতে ভয় পাই। ডানপিটে শব্দটি কোন
ভাবেই নেগেটিভ নয় বলে আমার বিশ্বাস।
ধন্যবাদ আবারো।
৬| ১৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:১২
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাঈ। এ সম্মদ্ধে আগেই পড়েছিলাম।
আপনার কাছে আরো জেনে ভাল লাগল।
১৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৫২
কোবিদ বলেছেন:
ধন্যবাদ হাসান ভাই
আপনার মন্তব্যের জন্য।
ভালো থাকবেন
৭| ১৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:১৯
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: বাহ! চমৎকার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। শিরোনাম বিষয়ক আপনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। আমি কেবল আমার কথাটুকু বলতে চেয়েছি, সেটা মনষ্কতার সাথেই।
অশেষ ধন্যবাদ কোবিদ। ভুল বোঝাবুঝি অবসান হওয়াই উত্তম। আপনাকে বৃষ্টির শুভেচ্ছা।
১৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৫৫
কোবিদ বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ অন্যমনস্ক শরৎ
মুক্ত মত মুক্ত চিন্তার প্লাটফর্ম ব্লগ
এখানে সকলে সবার মুক্ত মত প্রকাশ
করবে এটাই স্বাভাবিক। আমওি আপনার
মতকে শ্রদ্ধা জানাই। ঝাঁসির রাণীর প্রতি
আপনার শ্রদ্ধা থেকেই এমন মন্তব্য তা বুঝতে
পেরেছি। ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা আপনার জন্যও!
৮| ১৭ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৩
আম্মানসুরা বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। তবে আমার মনে হয় তিনি নারী বলেই তাকে ডানপিটে বলে কৃতিত্ব ছোট করা হচ্ছে। তাকে বিশ্বের সেরা ১০ নারী বীরের মধ্যে একজন বলতে ম্যাগাজিন ওয়ালাদের সমস্যা কোথায়? তার মতন যদি সব রাজারা এমন সাহসী হত তাহলে ব্রিটিশদের অর্ধেক পৃথিবী শাসন করার সুযোগ পেত না।
১৭ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:২২
কোবিদ বলেছেন:
সুন্দর বলেছেন, ছেলেরা দুষ্ট হলেও মেয়েরা হয় মিষ্টি
যেমন একটি দুষ্ট ছেলের গল্পে থাকে একটি মিষ্টি মেয়ে।
সুতরাং ছেলেদের ডানপিটে বলা হলে মেয়েদের বেলায়
আরো একটু সচেতনতার সাথে নান্দনিক বিশেষণে
ভূষিত করা যেতো। যা হোক এমন একজন সাহসী
মহিয়সী নারীকে টাইম ম্যাগাজিন ১০ জনের মধ্যে
৮ম স্থান দেবার জন্য ধন্যবাদ।
৯| ১৭ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:২৮
নীল জোসনা বলেছেন: রানী লক্ষীবাঈ কে নিয়ে নির্মিত সিরিয়াল টা মোহগ্রস্থ এর মতো দেখেছি । অসাধারন মেধা , যোগ্যতা ,বীরত্ব , সবকিছুর মিশেলে যেন দুর্দমনীয় এক নারী ।
ধন্যবাদ আপনাকে ।
১৭ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫
কোবিদ বলেছেন:
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ নীল জোসনা
আমার ব্লগে স্বাগতম। আগামীতেও সাথে
পাবো সেই প্রত্যাশায়, অসংখ্য শুভকামনা
১০| ১৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:৪৪
শাহ আজিজ বলেছেন: ঝাসি তে দল বেধে গেছি আগ্রা হতে অনেক আগে । নেমেই কাঠ বডি বাসে বসলাম । গন্তব্য খাজুরাহো মন্দির। ঝাঁসির রানির কথা আগে থেকেই মনে ছিল ।ভেবেছিলাম আমরা ওখানে থাকব আর রানির ঐতিহাসিক স্থানগুলো দেখব । আমাদের দলনেতা বলল দেরি হয়ে যাবে কারন আমরা জঙ্গলের মাঝ দিয়ে ভ্রমন করব তাই সন্ধ্যার আগেই আমাদের পৌছাতে হবে । যুক্তি আছে কারন ওটা ফুলন দেবির এলাকা। আর কি জীবনে এই পথে আসা হবে , দুঃখ বুকে নিয়ে বাস তার যাত্রা শুরু করল । ধন্যবাদ ব্যাথা জাগিয়ে দেবার জন্য ।
১৮ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৯:৩৭
কোবিদ বলেছেন:
ধন্যবাদ আজিজ ভাই,
ঝাঁসির রাণীর স্মৃতিবিজড়িত
স্থান দেখতে না পাওয়ার বেদনা
আমাকে স্পর্স করেছে। আশা করি
কোন এক শুভদিনে আপনি আপনার বুকের
ব্যাথার ভার লাঘব করতে সক্ষম হবেন সেই প্রত্যাশায়।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৩৪
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: পোষ্ট ভালো তবে পোষ্টের শিরোনাম পছন্দ হয় নাই।