![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন বিদ্রোহী বলছি ঃ যেখানে দেখিবে কোন অন্যায় অত্যাচার সেইখানে পাইবে শুনিতে আমার হুংকার সময় এসেছে সাথিরা সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে আবার নতুন করে গর্জে উঠার।
আজ সারা পৃথিবীতে তথ্য আদান-প্রদান অনেক সহজ, অবাধ ও স্বাধীন। ইন্টারনেটের কল্যাণে আজ সারা পৃথিবী আমাদের হাতের মুঠোয়। এই ইন্টারনেট এর যুগে আজ ‘ফেইসবুক’ সামাজিক যোগাযোগের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। আমাদের দেশেও এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। আমাদের দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বা ঘরে ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীর সংখ্যা ১০%। কিন্তু ‘ফেইসবুক’ ব্যাবহারকারীর সংখ্যা তার চেয়ে অনেক বেশি। ৩০% এর মতো লোক ‘ফেইসবুক’ ব্যাবহার করেছে। এর কারন হলো মোবাইল। যার মোবাইল আছে সে ফেইসবুক ব্যাবহার করার জন্য মোবাইলে ইন্টারনেট একটিভ করেছে। এর থেকে বুঝা যায় যে ফেইসবুক কি পরিমান আমাদের নেশাগ্রস্ত করেছে।
যাক এবার মুল কথায় আসি। আমি ফেইসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলি ২০০৭ সালে আমার খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু বর্তমান আমেরিকায় বসবাসরত রেজা এর মাধ্যমে। সে আমার সব তথ্য পূরণ করে আমার ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে দেয়। যা আমি দীর্ঘ চার বছর পর গত পাঁচমাস ধরে নিয়মিত ব্যাবহার করছি একটি বিশেষ কারনে। আজ আমার বন্ধু রেজার কথা খুব বেশি মনে পড়ছে কারন সে সেইদিন এই অ্যাকাউন্টটা না খুলে দিলে হয়তো আমি নিজ ইচ্ছায় আজো ফেইসবুক খুলতামনা। তার কারনে আমি ফেইসবুক নামক এক রঙ্গমঞ্চ দেখতে পেলাম। আল্লাহ যেন তার মঙ্গল করেন এই কামনা করি। আমি ফেইসবুক ব্যাবহার করে যে ব্যাপারটা বুঝলাম তা খুবই দুঃখজনক। পৃথিবীর অন্য দেশের মানুষেরা যেভাবে ফেইসবুক ব্যাবহার করে আমরা করি অন্যভাবে। যা খুব বেদনাদায়ক। অন্য দেশের মানুষেরা ফেইসবুক এর মাধ্যমে শুধু সামাজিক যোগাযোগ রক্ষা করে না তারা এর মাধ্যমে অনেক তথ্য আদান প্রদানের একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যাবহার করে। যা তাদেরকে উপকৃত করে। অনেকে তাদের দেশকে তুলে ধরার চেষ্টা করে। কিন্তু আমরা ? আমরা ব্যাবহার করি শুধু মাত্র ফাজলামি ও নোংরামি করার জন্য। আমি কেন এই কথাটি বললাম তার কারন হলো – অর্থহীন স্ট্যাটাস দিই- ৯০% অর্থহীন ছবি ট্যাগ করি ৯৫%, সচেতনমূলক ও শিক্ষণীয় বিষয়ে কথা বলি – ১৫%, মেয়েদের সাথে ভাব জমানোর চেষ্টা করি -৯৮%, ভুয়া আইডি দিয়ে আকর্ষণ করার চেষ্টা করি -৯২% ,অচেনা মেয়েদের অপ্রয়োজনীয় স্ট্যাটাসে মন্তব্য করি-৮৫%, বিদেশের গান বা ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করি -৮০%। এই যদি হয় আমাদের ফেইসবুক ব্যাবহার কারিদের অবস্থা তা হলে বলেন আমি কি ভুল বলেছি? আমরা আমাদের দেশের কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে যদি আলোচনা করতে চাই তাহলে দেখা যায় যে খুব বেশি হলে ১৫-২০জনের বেশি কাউকে পাওয়া যাবেনা। কিন্তু কোন মেয়ে যদি শুধু লিখে “ আমার মন খুব খারাপ” বা ‘’আমার ঘুম আসছে না’’ তখন দেখা যায় যে ৫ মিনিটের মধ্যে সর্বনিম্ন ৫০ টি মন্তব্য এসে উপস্থিত। তাহলে এখন অনুমান করুন যে এক ঘণ্টায় কতগুলো মন্তব্য আসতে পারে। আর যারা সেই মেয়েটির কথায় মন্তব্য পাঠাচ্ছে তার ৯৮% হচ্ছে ছেলেদের। যেন তাদের অবস্থা দেখে মনে হয় তারা ঘাপটি মেরে বসে ছিল কখন মেয়েটি কোন কথা লিখে পাঠাবে। বেশিরভাগ সময় দেখা যায় যে মন্তব্যর পর মন্তব্য আসছে কিন্তু মেয়েটির কোন দেখা নেই। কারন সেই আইডিটা তো ভুয়া। তার হদিস থাকবে কেমন করে। কিন্তু কিছু নির্লজ্জ পুরুষ ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চার মত মন্তব্য করেই যাচ্ছে। যা খুব দুঃখজনক।
এবার বলছি মেয়েদের কথা। আমাদের দেশের মেয়েরা আধুনিকতার নামে যে কি পরিমান নির্লজ্জ ও নোংরা মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছে তা ফেইসবুক ব্যাবহার না করলে আমার অজানাই রয়ে যেত। ফেইসবুকে আপত্তিকর ছবির বেশির ভাগ ট্যাগ হয় মেয়েদের কাছ থেকে। দেখা যায় কোন ছেলের অ্যালবাম থেকে সে ছবিটা ট্যাগ করেছে। আবার অনেক মেয়েদের প্রোফাইল এর ভিতরের অ্যালবামে গিয়ে দেখা যায় তার ঐ অ্যালবাম এর ৭০% ছবিই হচ্ছে আপত্তিকর। হয়তো অভিবাবকের শাসনের কারনে সেই মেয়েটি বাহিরে বেশি বেরোতে পারে না কিন্তু অভিবাবকের চোখ ধুলা দিয়ে ঘরে বসেই সে নষ্ট হচ্ছে। এর পরিনাম যে কত ভয়াবহ তা আমরা কেউ ভাবছিনা। আজ আমরা দেখি যে ইভটিজিং এর ভয়াবহতা। এর পেছনে শুধু একটি ছেলেকে দায়ী করতে দেখা যায়। কিন্তু আমরা কেউ খুজিনা যে ঘটনার পেছনে ঐ মেয়েটির কখনো কোন ভুল ছিল কিনা? আমি খুব সহজে বুঝি যে আমি যদি ঠিক না হই তাহলে আমার সমস্যার সমাধান কোনদিন হবে না। আমি নিজে যদি যা শুধরাই তাহলে আমাকে কেউ শুধরাতে পারবেনা।
অথচ আমরা কি একবারও ভেবে দেখেছি যে আমরা চাইলে এই ফেইসবুক দিয়ে আমাদের দেশ, আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে সারা পৃথিবীর কাছে তুলে ধরতে পারি। আমাদের দেশ সম্বন্ধে পৃথিবীর অনেকের কাছে আজো অজানা। আমরা সেই অজানাকে জানাতে পারতাম। আমরা কেন ভুলে যাই যে আমরা এক একজন আমাদের দেশের প্রতিনিধি। আমরা যা করবো, যা বলবো সেটাই আরেক দেশের মানুষের কাছে আমাদের সমন্ধে ধারনা হবে। আমি নিজের ভালো লাগা প্রকাশ করতে গিয়ে যদি বিদেশি কোন গান বা ছবি প্রকাশ করি তাহলে আমি কিন্তু নিজের অজান্তেই সেই দেশেকেই মানুষের কাছে তুলে ধরলাম অথচ আমি ঐ দেশের নাগরিক নই। আমার মনে প্রস্ন জাগে যে ভালো লাগার অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য এমন কোন জিনিসটা আমাদের নেই যা আমরা বিদেশের কাছ থেকে ধার করে আনতে হবে। আমি নিজেও হিন্দি, ইংরেজি, উর্দু, আরবি গান শুনি। সেইটা ঐ শোনা পর্যন্ত ভালো লাগে। কিন্তু আমি কখনো ইন্টারনেটে কারো সাথে আদান-প্রদান করবোনা। আমি ইন্টারনেটে আদান-প্রদান করবো আমার দেশের ভালো সব কিছু। আমি অন্যকে অনুরোধ করবো আমার দেশের সেই ভালোটাকে গ্রহন করার জন্য। কারন আমি বাংলাদেশের নাগরিক। হিন্দি কোন গান আদান-প্রদান করে সেইটা শুনতে আরেকজনকে উৎসাহ আমি দিতে পারিনা। কারন আমি তাদের কেউ না। ঐ দেশ আমার না। আমি আমার দেশের জন্য সংকীর্ণ মনের হতেও আমার কোন আপত্তি নেই। কারন আমার জন্ম এই দেশের মাটিতে ও মৃত্যুর পরেও এই দেশের মাটিতেই আমাকে থাকতে হবে। এই দেশের কাছে আমার ও আমাদের অনেক ঋণ। কখনো বড় হতে গিয়ে যেন এই দেশকে অপমান না করি সেইটা যেন আমরা সবাই একটু খেয়াল করি। আমাদের দেশের নেতা-নেত্রিরা যা ইচ্ছে করুক কিন্তু আমরা যেন অন্তত বিশ্বের প্রতিটা প্রান্তে আমাদের দেশকে সুন্দরভাবে তুলে ধরতে পারি। এই ফেইসবুক এর মাধ্যমে আমরা সারা পৃথিবীকে বাংলাদেশ সমন্ধে যেন ভালো কিছু জানাতে পারি,তুলে ধরতে পারি। তারা যেন একদিন বলতে পারে বাংলাদেশের মানুষের মত সত্যিকারের দেশপ্রেমিক হও। বাংলাদেশের গান,মানুষের মন, আচার আচরণ, সংস্কৃতি এক অনন্য ও অসাধারন। তাই ফেইসবুক কে শুধু হাসি-তামাশার কোন জায়গা না ভেবে এটাকে মানুষকে সচেতন করার ও দেশের জন্য ভালো কিছু করার শক্ত হাতিয়ার হিসেবে আমরা এর যথার্থ ব্যাবহার করি।
যারা বাংলাদেশ কে মনে প্রানে ভালোবাসেন তাদের জন্য নিচের এই লিংক দিলাম ( ১০৫০ এরও বেশি বাংলার সেরা গান)
https://www.facebook.com/kokbd24
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৭
কবি ও কাব্য বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, এই কথাটা কেউ স্বীকার করতে চায়না।
২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৩
নরকের দেবদূত বলেছেন: বেঈমান আমি বলেছেন: ভালো বলেছেন।কিছু কিছু মানুষ আসলেই ফেসবুকের মান ইজ্জত নস্ট কইরা দিছে।
সহমত
৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৬
রক্তভীতু ভ্যাম্পায়ার বলেছেন: ভাই এক্কেরে মনের কথা কয়ছেন-ভাল কাজ না কইরা ওখানে পোলাপাইন আজাইরা কাজ বেশি করে!
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:০১
বেঈমান আমি বলেছেন: ভালো বলেছেন।কিছু কিছু মানুষ আসলেই ফেসবুকের মান ইজ্জত নস্ট কইরা দিছে।