![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন বিদ্রোহী বলছি ঃ যেখানে দেখিবে কোন অন্যায় অত্যাচার সেইখানে পাইবে শুনিতে আমার হুংকার সময় এসেছে সাথিরা সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে আবার নতুন করে গর্জে উঠার।
এই লিখাটি 'শামু' ব্লগের একজন জনপ্রিয় ব্লগার, ''রেডিও বিজি ২৪'' এর একজন বন্ধুরুপী অভিভাবক ,আগাগোড়া এই বাংলা প্রিয় মানুষ এবং বন্ধুবরেষু রাইসুল জুহালা ভাইকে উৎসর্গ করলাম।
কাহিনীঃ- ঢাকা শহরের নিম্নমধ্যবিত্ত এক সংসারের অল্পশিক্ষিত একটি ছেলের নাম ''নাসির''। সংসারে এক পরিপূর্ণ আদর্শ বাংলার গৃহিণীর মতো এক স্ত্রী শাহানা ছাড়া আপনজন বলতে আর কেউ নেই। তাঁদের অর্থের অভাব ছিল, ছিল দীর্ঘদিন নিঃসন্তান থাকার যাতনা কিন্তু স্বামী স্ত্রী র মাঝে ভালোবাসার কোন কমতি ছিলনা, ছিলনা সংসারে কোন অসুখ। তাঁদের ৮ বছরের খুব সুখের সংসারে কোন সন্তান ছিলো না। এই নিয়ে নাসির এর মনে কষ্ট থাকলেও স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা বেশী ছিল বলে সেই কষ্ট কখনও স্ত্রীর সামনে প্রকাশ করতো না। কিন্তু নারীর মন সব সময় একটি সন্তান এর জন্য ব্যাকুল থাকে শাহানাও এর ব্যতিক্রম নয়। তাই সে প্রায়ই পীর ফকির এর কাছে যেত দোয়া নেয়ার আশায়।
ওহ ভালো কথা ! নাসির পেশায় বাংলাদেশ শুটিং ফেডারেশন এর একজন 'সিকিউরিটি'। শুটিং এ তাঁর হাতের নিশানা খুব দুর্দান্ত ছিল বলে ফেডারেশন এর চেয়ারম্যান এর বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে ফেডারেশন এর অনুশীলন কক্ষে অনুশীলন করার সুযোগ পেতো। সেখানে একদিন তাঁর হাতের নিশানা দেখে ঢাকা শহরের একজন জুয়েলারী ব্যবসায়ী তাঁর দোকান এর নিরাপত্তার জন্য মাসিক ৪০০০ টাকা বেতনে যোগ দেয়ার জন্য প্রস্তাব দেয়। যা ছিল তাঁর বর্তমান বেতনের তিন গুন। এইভাবেই মোটামুটি সুখেই যাচ্ছিল তাঁদের সংসার।
একদিন পীরের দোয়া ও শাহানার আল্লাহর উপর অগাধ বিশ্বাস করে ধৈর্যের পুরস্কার স্বরূপ এর অবশেষে শাহানা গর্ভধারণ করে। সেই সময় একদিন তাঁর বর্তমান কর্মস্থল জুয়েলারি দোকান এর ম্যানেজার নাসির এর স্ত্রী অসুস্থের মিথ্যে সংবাদ দিয়ে নাসির কে কিছু সময়ের জন্য বাসায় যাওয়ার অনুমতি দেন। কিন্তু নাসির ঘরে গিয়ে তাঁর স্ত্রীকে সুস্থ দেখে বুঝতে পারে যে ম্যানেজার তাঁকে মিথ্যে খবর দিয়ে বাসায় পাঠিয়েছে। নাসির পুনরায় দোকানে ফেরত যায় তবে ইতিমধ্যে তাঁর অনুপস্থিতিতে দোকানে স্বর্ণডাকাতির একটি ঘটনা ঘটে যায় যার জন্য নাসির কে সন্দেহবশত পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যায় । কিন্তু নাসির ঠিকই বুঝতে পারে যে এখানে ঐ ম্যানেজার এর হাত আছে যে তাঁকে মিথ্যে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। কিন্তু দোকানের মালিক তা বিশ্বাস করেনা। নাসির গ্রেফতার হওয়ার কয়েকঘণ্টারমাঝেশহরের অপরাধ জগতের এক ডন স্বেচ্ছায় নাসির কে জামিনে মুক্ত করে আনে যা নাসির ছাড়া পাওয়ার পর জানতে পারে। সেই ডন একসময় নাসির কে শুটিং ক্লাবে অনুশীলনের সময় নাসির এর দুর্দান্ত নিশানা দেখে তাঁর নজরে পড়ে। সেই ডন তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য নাসির কে কাজে লাগাতে চায় এই স্বার্থে তাঁকে জামিনে মুক্ত করে আনে। থানা থেকে বের হয়েই ডন নাসির কে তাঁর জেলে যাওয়ার পেছনে যে ম্যানেজার আছে তাঁকে খুন করতে বলে যে ম্যানেজার অপরাধ জগতের শীর্ষ আরেকজনের লোক যার সাথে ডন এর চরম বিরোধ রয়েছে। নাসির ডন এর নির্দেশে প্রতিশোধ নিতে ঐ ম্যানেজার কে খুন করতে যায় কিন্তু নাসির গুলি করার আগেই ডন এর লোকেরাই ম্যানেজার কে গুলি করে হত্যা করে যা ছিল সৎ ও সাহসী নাসির কে কব্জায় আনার একটি কৌশল। খারাপ পথে পা বাড়ানোর জন্য স্ত্রী শাহানার সাথে নাসির এর দূরত্ব তৈরি হয় । একদিন ঘরে ফিরে নাসির দেখে তাঁর ভালোবাসার প্রাণ প্রিয় স্ত্রী তাঁকে ঘৃণা করে চলে গেছে। নাসির স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার জন্য ডনের কাছ থেকে মুক্তি পেতে যায় কিন্তু ঐ মুহূর্তেই ডনের বিরোধী পক্ষের লোকেরা ডন কে হত্যার উদ্দেশ্য আক্রমণ করে । প্রথমবার নাসির এর বিচক্ষণতা ও সাহসী কতার ফলে ডন বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি ,ঐ আততায়ীদের সম্মিলিত আক্রমণের ফলে ডন গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরন করে। আর অপরাধ জগতের শীর্ষব্যক্তি ডন এর শূন্যস্থান পূরণ করতে ডন এর আসন গ্রহণ করে সেই সৎ , সাহসী, নির্লোভী ও ভালোবাসার স্ত্রী হারানো যুবক নাসির যাকে সবাই 'টপ রংবাজ '' নামে চিনতে শুরু করে। তারপর...........? না ! আর বলবো না, এরপরের গল্পটি শুধুই এক দুর্ধর্ষ 'টপ রংবাজ'' এর নিষ্ঠুর পরিণতির গল্প যা জানতে হলে দেখতে হবে -
আরও যা বোনাস পাবেনঃ- ''টপ রংবাজ'' এর কাহিনী দেখতে গেলে উপহার স্বরূপ পাবেন বাংলা ছায়াছবির সুরের যাদুকর ও একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত যাদুকর আলম খান এর মিষ্টি মধুর সুরের কিছু গান । যার মধ্য '' তুমি থাকলে কাছে ,এতো মধুর লাগে, মনে হয় পৃথিবীতে আছি বেঁচে'' ছিল সেই সময় টেলিভিশন ও রেডিও কাঁপানো গান।
আরও পাবেন সোহেল রানা, শাবানার একজনের প্রতি আরেকজনের অগাধ ভালোবাসা ও নীতিগত দ্বন্দ্বমুখর অসাধারণ অভিনয়। হুমায়ূন ফরিদীর মতো একজন অতি ভয়ানক ও কুট কৌশলী মানুষের দেখা পাবেন, তবে ঘাবড়ানোর কিছু নেই! ফরিদী আপনাদের কোন ক্ষতি করবেনা বরং দিবে ১০০% আনন্দ । আরও পাবেন রাস্তার গরীব এক পরোপকারী রুবেল নামের এক এতিম তরুণ যে মারামারিতে অনেক দক্ষ আর মারামারি করাই তার অভ্যাস। আরও পাবেন দুষ্ট এক বস্তিবাসী তরুণী চম্পাকে ।
কে। ধুর ররররররররররর যা! সবকিছু বলে দিচ্ছি কেন? না এখানেই শেষ করছি, আপনাদের মন চাইলে দেখবেন! দেখলে পরিপূর্ণ বিনোদন পাবেন এইটুকু বলতে পারি। আর না ইচ্ছে হলে দেখবেন না! আমার কি? নিজেই পরে না দেখার যন্ত্রণায় পুড়বেন !
খোদা হাফেজ!!!!!!!! টা টা... বাই......বাই...। আবার যেন দেখা পাই!!!!!!
ওহ রে ! আসল কথাই তো কইলাম না!!!!! এই '' টপ রংবাজ'' এর কাহিনীটা করছে কিন্তু আমাদের ডাইরেক্টর সাহেব '' শহীদুল ইসলাম খোকন'' ভাই। যারে সবাই চিনেন। না চিনলে আজকে চিনে নেন যে উনি কত বড় একখান '' জটিল পিস''। হেলাফেলা কইরেন না! ''টপ রংবাজ '' কিন্তু আজ থেকে ২০ বছর আগে কাঁপাই দিছিলো পুরো দেশ রে!!!!!!!!!
খবরদার ভুলেও নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে বিপদে পরবেন না!
সব অশিক্ষিত ও খ্যাঁত পাবলিকের আড্ডা !!
কবি ও কাব্য এর একটি নিকৃষ্ট ও জঘন্য নিবেদন !
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:২২
কবি ও কাব্য বলেছেন: @পল্লব ভাই দিলেন তো আর কোন লিখা পোষ্ট না করার ব্যবস্থা!!!!!!!!!!!!!! আপনাদের মাথা নষ্ট হোক এ আমি চাইনা। কারন দেশে হুদা কামে মাথা নষ্ট লোকের অভাব নাই তার উপর আপনাদের মতো ভালা পলাগো মাথা নষ্ট হইলে দুঃখের শেষ থাকবে না!!!!!!!!
তবে মাথা নষ্ট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ না দিয়ে থাকতে পারছি না। ভালো থাকবেন
২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:১৭
ছাইরাছ হেলাল বলেছেন:
উৎসর্গের জন্য ধন্যবাদ ।
আমার প্রিয় রাইসুলের জন্য শুভ কামনা অনেক ।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:২৩
কবি ও কাব্য বলেছেন: যাক এই একজন মানুষ পাইলাম যার মাথা নষ্ট হয় নাই। এর জন্য মনে মনে কষ্ট পাইলাম!!!!! তবুও হেলাল ভাইকে ধন্যবাদ। চামে চামে লুকাইয়া ছবিটা দেখলেই খুশি।
৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:৫৬
সবুজ ভীমরুল বলেছেন: অনেক দিন আগে। শুধু ট্রেইলারের কথা আবছা ভাবে মনে আছে, একদল লম্বা চুলওয়ালা লোক লাইন ধরে হেটে আসছে, আর ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে কে যেন বলে উঠল "টপ রংবাজ"!!
ধন্যবাদ।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৪৬
কবি ও কাব্য বলেছেন: এখন পুরো ছবিটাই দেখুন ভিমরুল ভাই ।ধন্যবাদ
৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:২৬
ছাইরাছ হেলাল বলেছেন:
ছবি দেখতে পারমু না ,
তয় গান শুনতে পারব ।
৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:৪৭
ফাইয়াদ ইফতিখার রাফী বলেছেন: একুশে টিভি তে দিছিল ... দেখেছি মনে হয় ... ভাল পোস্ট
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৫৮
কবি ও কাব্য বলেছেন: ধন্যবাদ রাফী ভাই
৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:৫৫
ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: ভাই নস্টালজিক করে দিলেন। ছবিটা আমি অনেক শখ করে হলে জিয়ে দেখেছিলুম। তখন রুবেলরে মনে হইত অনেক বড় মার্শাল আর্টিস্ট। কিন্তু এখন আর মনে হয়না। কেন হয়না? কি কারনে হয়না? কে দিবে তার জবাব?
হ্যা ভাই এই প্রশ্নের এমন মেলোড্রামাটিক উত্তর এই ছবির নায়িকা শাবানা ছাড়া আর কেউ দিতে পারবেনা। আমিও ট্রাই করিনা, আপনারাও কইরেননা। তাইলে আবার আমার কান্দন চইলা আসতে পারে। শাবানার চিক্কুর হুনলে আমার মাইগ্রেনের ব্যাথাডা বাইড়া যায় কিনা!!!
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:০৩
কবি ও কাব্য বলেছেন: জটিল বলছেন ভাই। ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো
৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:০২
সুহাসলেলিন বলেছেন: কি বস, আমাগো খ্যাত বানাইয়া দিলেন ?!?!?!?!
মাগার কাহিনী জব্বরভাবে লেখছেন
৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৪৫
রাইসুল জুহালা বলেছেন: আর কত কৃতজ্ঞতার বাঁধনে বাঁধবেন আমাকে, অথবা আমাদের?
টপ রংবাজ নিয়ে আমার কিছু স্মৃতি বলি। এই ছবি মুক্তি পেয়েছিল ৯১ সালের ডিসেম্বরের একদম শুরুতে বা নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে। আমার তখন তেমন কোন কাজকর্ম নাই। তখন তো দুপুরবেলা রেডিওর বিজ্ঞাপনতরঙ্গের যুগ (এখন কি হয় এটা?)। ফরিদীর ঢাকাইয়া ভাষার সংলাপ শুনে আমি মহা উত্তেজিত, দিন গুনছি কবে ছবিটা দেখব। আমি জানতাম না যে আমার ভ্রাতাও আবার একই ভাবনা ভেবে রেখেছে! ওই ব্যাটার স্কুলের ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হবে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি। এতদিন বসে থাকা মুশকিল। একদিন আম্মাকে কিভাবে যেন ফাঁকি দিয়ে আমরা দুই ভাই দেখে এলাম টপ রংবাজ, খুব সম্ভব রাজমনি বা জোনাকিতে। শো' এর সময় আর আমাদের দু'জনের বাইরে থাকার সময়কে দু'য়ে দু'য়ে চার মিলিয়ে আম্মা বিষয়টা বুঝে ফেললেন। পরীক্ষা ছিল ওই ব্যাটার, কিন্তু দায়িত্বজ্ঞানহীনতার দোষে বকাটা আমি খেলাম। আহা! সেই আমাদের নানান রঙের দিনগুলি!!
ভন্ড, ঘাতককে মাথায় রেখেও বলব টপ রংবাজ হুমায়ুন ফরিদীর বেস্ট পারফর্মেন্স। এটা একটা অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতা ছিল। আমার মনে হয় না আমি এমন কোন ছবি দেখেছি জীবনে যেখানে নায়কের সিনে যত হাততালি/চিৎকার পড়ে, ভিলেনের সিনে পড়ে তার তিনগুন। ফরিদীর প্রতিটা সংলাপে হাততালি। বিশেষভাবে উল্লেখ করব, ছেলের লাশ দেখার পর তার অভিব্যক্তি।
সবকথার শেষ কথা - অনেক ধন্যবাদ। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:১০
কবি ও কাব্য বলেছেন: কৃতজ্ঞতার বাধনে নয় মায়ার বাধনে জড়ানো আপনি ও আপনারা সবাই। কারন বাংলা গান ও সংস্কৃতিকে বিশ্বসেরা স্বীকৃতি আদায়ের জন্য আমার এই যুদ্ধের প্রিয় সাথী হলেন আপনি ও আপনার মতো বাংলা প্রিয় সব মানুষেরা।
এই ছবিটি আমিও সিলেটের 'মনিকা' সিনেমা হলে বন্ধুদের নিয়ে দেখেছি ( তখন রুবেল এর সব ছবি শুধু মাত্র মনিকা হলেই সবার আগে প্রদর্শন করতো। ) আর দারুণ উপভোগ করেছিলাম। হল থেকে বের হয়ে সবাই ঢাকাইয়া ভাষায় কথা বলার চেষ্টা শুরু করলাম। কিন্তু পুরো সফল হইনি। সেটাই প্রমান করলো যে পুরো ছবিতে ফরিদি কত কঠিন অভিনয়টাই না করেছেন। এরপর দ্বিতীয় সপ্তাহে টিকেটের দাম একটু কম হওয়ায় আরও ২ বার দেখেছিলাম আর সেই ২১ বছর পর গতকাল দেখলাম।
আপনার সাথে একমত যে হল ভর্তি তালি পেয়েছিল ছবির ঐ খারাপ মানুষটা ফরিদি আর সবাই একটা সংলাপ সহজে বলতে পারতো '' বেশী প্যাঁচাল পাইরোও না''!!!
একটা মজার তথ্য দেই - রুবেল এর লড়াকু থেকে শুরু করে একটানা ৯২ এর ''চোখের পানি'' ছবি পর্যন্ত যত ছবি মুক্তি পেয়েছিল তার সবগুলো ছবিই শুধু মাত্র সিলেটের মনিকা সিনেমা হল প্রদর্শন করতো মুক্তি পাওয়ার সাথে সাথেই। এরপর মনিকা সিনেমা হলের ব্যবসায়িক সফলতা দেখে অন্য হলের মালিকরাও আসতে আসতে রুবেল ছবি প্রথম সপ্তাহেই প্রদর্শন করতে লাগলো আর আমাদের জন্যও কষ্ট বেড়ে গেলো কারন রুবেল ছবি কোন হলে আসবে সেইটা মুখস্থ ছিল সবার টাই রাস্তায় সিনেমার পোস্টার দেখার সময় হলের নাম দেখতে হতো না ,কিন্তু পরে অন্যরা প্রদর্শন করা শুরু করলে রুবেল এর ছবির পোস্টার এর সাথে হলের নামটাও দেখতে হতো। উফফফফফফ সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে চোখে জল আসে!!!!!!!
চমৎকার মন্তব্য ও স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়ার জন্য চিরকৃতজ্ঞ রইলাম।
৯| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৬
ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: রাইসুল জুহালার সাথে একমত হতে পারলামনা। ফরিদির সেরা অভিনয় ছিল ত্যাগ ছবিতে। আর উনার সেই গান "তেল গেলে ফয়রাইয়া বাতি যায় নিভিয়া, কি হবে আর কান্দিয়া" - একটা মাইলফলক। ঐ ছবিটা সুপার হিটও হইছিল ফরিদির কারণেই।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:১৩
কবি ও কাব্য বলেছেন: ত্যাগ ছবিটাও খারাপ না। শিবলি সাদিক এর ৯০ দশকের একটি অন্যতম চমৎকার ছবি। আসলে সেই সময়ে ফরিদির অভিনয় ভালো লাগে নাই এমন ছবি পাওয়া খুবই কষ্টকর বিষয়। এদের মধ্য এ জে মিন্টুর "বাংলার বধূ'', ফজল আহমেদ বেনজির এর 'বেপরোয়া', মাসুদ পারভেজ এর ''চোখের পানি', শহিদুল ইসলাম খোকন এর 'সতর্ক শয়তান'', ''অপহরণ'' ,মমতাজুর রহমান আকবর এর ''প্রেম দিওয়ানা'' হাফিজউদ্দিন এর ''টাকার অহংকার'' শিবলি সাদিক এর ''অনুতপ্ত'' এমন কোন ছবি আপনি বাতিল এর খাতায় ফেলবেন? এখনও এসব ছবি যদি দেখার ইচ্ছে জাগে শুধুই হুমায়ূন ফরিদির জন্য।
১০| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৪
রুদ্রপ্রতাপ বলেছেন: দারুণ লাগলো রিভিউ!
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:১৫
কবি ও কাব্য বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রতাপ দা ।
১১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৮
ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: আসল ছবির ক্লিপস পাইলামনা তাই গান শেয়ার করলাম
এই ছবিটাও হলে গিয়ে দেখছিলাম।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:১৬
কবি ও কাব্য বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় একটি গান শুনানোর জন্য
১২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:১৭
রেজোওয়ানা বলেছেন: বাংলাদেশী সিনেমা নিয়ে সিনেমা রিভিউ পোস্টের খড়ায় আপনার লেখাটা পড়ে ভাল লাগলো।
আমাদের এক সময়কার বাংলা সিনেমা এবং নাটকের (এটা এখনও) অভিনয়ের মান, গল্প সব কিছুই পার্শ্ববর্তী দেশটির চাইতে অনেক বেশি উন্নত মানের ছিল। তবু কেন যা এই শিল্পটা সারভাইব করতে পারছে না!
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:১৮
কবি ও কাব্য বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ । মনের দুঃখ শোনার মত কেউ নেই।তাই পাথর বুকে বেঁধে শুধু পুরনো গুলো দিয়েই মনের তৃষ্ণা মেটাই
১৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:০১
স্বর্ণমৃগ বলেছেন: +++++
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:২১
কবি ও কাব্য বলেছেন: আপনাকেও অনেক ++++
১৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৫১
ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: সেইসময় ফরিদীর উপাধি ছিল শয়তানের উড়িজাহাজ।
১৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:০৩
রাইসুল জুহালা বলেছেন: একটা কথা আপনাকে কখনো জিজ্ঞেস করা হয় নাই বোধহয়। অশ্লীলতা যুগ শেষ হবার পরের অর্থাৎ গত ৫ বছরের বাংলা ছবি সম্বন্ধে আপনার কি মত? ডিপজল বা শাকিব খানদের ছবি দেখেন? ডিপজলকে আজকাল জসীমের ধারার নায়ক হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে, এই বিষয়ে আপনি বলেন? শাকিব খান, তার মেয়েলি মেকআপ বিশেষ করে লিপিস্টিক নিয়ে যে পরিমান কৌতুক চলে, সে কি আসলেই এতটা হাস্যকর নাকি আন্ডাররেটেড?
যে বাংলা ছবিগুলো আপনি নিজে আপলোড করেন, সেগুলোর টাইটেলে বাংলা শব্দ ব্যবহার করা প্রশংসনীয়। কিন্তু সাথে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে এখনও খুব কম লোক কম্পিউটারে বাংলা লিখতে পারে। বিশেষ করে এই ছবিগুলোর দর্শকেরা যে প্রজন্মের, তারা খুব একটা টেকনোলজি প্রিয় না। তারা ইউটিউবে ইংরেজিতে Top Rongbaz লিখে সার্চ দিবে, কিন্তু কিছুই পাবে না। তাই সবার সুবিধার জন্য এবং বাংলা ছবিকে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেবার জন্য টাইটেল বা ট্যাগে বাংলার সাথে ইংরেজি বানান ব্যবহার করার অনুরোধ করছি।
১৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:২৯
কবি ও কাব্য বলেছেন: ধন্যবাদ রাইসুল ভাই। আমি কখনও শাকিব খান ও ডিপজল (টাকার পাহাড় ছাড়া)এর একক নায়ক চরিত্রের কোন ছবি দেখেছি বলে মনে পড়ে না। হলে তো দেখিই নাই এমনকি ভিসিডি তেও দেখি নাই। শাকিব খান একটা নায়ক বলে আমার কাছে কোনদিন মনে হয় নাই। মনে হয়েছে একটা হিজড়া। এর চেয়ে যদি অপু বিশ্বাস (নায়িকা) কে ছেলে সাজিয়ে অভিনয় করতে দিলে অপুকে নায়ক মনে হবে। আর আমি ২০০১ এর পর সিনেমা হলে নিয়মিত বা অনিয়মিত কোনটাই করিনি। একেবারে বন্ধ করে দিয়েছি। দীর্ঘ ১০ বছর পর আমার ছোট বেলার বন্ধু ও সিনেমার দর্শক সহ আরও কয়েকজন চাকরিজীবী বন্ধুরা মিলে পুরনো মজা পাওয়াটা পরীক্ষা করার জন্য ২০১১ তে নষ্ট (মান্না)ছবিটা দেখতে হলে গিয়েছিলাম এবং বিরতির সময় চলে এলাম। দেখলাম আগের মজাটা নাই। সেদিন পুরো আড্ডায় আমরা আমাদের গত ৯০ দশকের স্মৃতি স্মরণ করে কাটিয়ে দিলাম ।
এই ব্যাপারটা আমার প্রথমে মনে ছিল না, পরে বুঝেছি তাই শেষ ২ টা ছবির বাংলা নামের পাশে ব্র্যাকেট দিয়ে ইংরেজিতেও টাইটেল টা লিখেছি। অনেক ধন্যবাদ
১৭| ২০ শে মে, ২০১২ বিকাল ৪:৪৮
হাবিবউল্যাহ বলেছেন: কবি ভাই,পোষ্টে যোগ দেয়ার পূর্বে আপনার এই কথাটি আমার অপছন্দ হয়েছে সেটা জাআনিয়ে দিতে চাই।
"আমি কখনও শাকিব খান ও ডিপজল (টাকার পাহাড় ছাড়া)এর একক নায়ক চরিত্রের কোন ছবি দেখেছি বলে মনে পড়ে না। হলে তো দেখিই নাই এমনকি ভিসিডি তেও দেখি নাই। শাকিব খান একটা নায়ক বলে আমার কাছে কোনদিন মনে হয় নাই। মনে হয়েছে একটা হিজড়া। এর চেয়ে যদি অপু বিশ্বাস (নায়িকা) কে ছেলে সাজিয়ে অভিনয় করতে দিলে অপুকে নায়ক মনে হবে।"
১২ /১৩ বছর ধরে যে অভিনয় করছে তাকে আমি আর আপনি এভাবে বলাটা মনে হয় ভাল দেখায়না।৯০ দশককে আকড়ে ধরে বাকি ১যুগ অস্বিকার করার উপায় আছে বলেও আমার মনে হয়না।
আমি ২০০৫ পর্যন্ত মুভি দেখেছি সিনেমা হলে।মাঝে দেশে গিয়েও সিনেমা হলে যাওয়া বাদ দেইনি।
শাকিবের লিপিষ্টিক আর ঘুঙরু পরা কয়েকটা ছবি দেখে এই জেনারেশনের মত আপনিও আচরন করুন আমি চাইনা।
শাকিব যতদিন নায়ক ছিল ততদিন তার অভিনীত মুভিতে তার কাজ দেখার মত ছিল।
যখন সুপারষ্টার তকমা লাগাইল(মান্না মারা যাওয়ার পর) তারপর থেকে তার ইমেজটাকেই পরিচালকেরা ব্যাবহার করেছেন।তার অভিনয় আদায়ের দিকে কেউ মনোযোগ দেয়নাই।
তারপর ও কিছু মুভিতে সে তার অভিনয়ের ঝলক দেখিয়েছে।কিছু অশ্লীল মুভিতে সে অভিনয় করেছে এটা সত্য কিন্তু সেটা তার পুরা ক্যারিয়ারকে নাই করে দেয় বলে আমি মনে করিনা।
আপনি মুনমুন আর ময়ুরিকে নিয়ে যদি পজেটিভ ভাবতে পারেন আশা করি শাকিবকে নিয়েও পজেটিভ ভাবতে পারবেন।
সে যখন অশ্লীল মুভিতে অভিনয় করে তখন আমাদের প্রিয় রুবেল ও সেই একই কাজ করে।নায়ক হয়েই শুধু নয় পরিচালক প্রযোজক হয়েও।সেটা আমাদের দুঃখ।
সেখান থেকে শাকিব টিকে গেল গেল আর বাকিরা হারিয়ে গেল কেন?
যেসব বাংলা মুভি আমি আগে দেখেছি সেসব মুভিও আমি ইন্টারনেটে খুঁজে আবার দেখি।ভাল সময়ের মুভি যেমন সেখানে থাকে খারাপ সময়ের মুভিগুলাও বাদ পরেনা আমার লিষ্ট থেকে।
আশা করি ভুল বুঝবেননা।
রাতে আবার আলোচনায় যোগ দিতে পারব সেই আশা করে এখন থামলাম।
২১ শে মে, ২০১২ রাত ১২:৪৯
কবি ও কাব্য বলেছেন: হাবীব ভাই আমাকে ভুল বুঝেছেন। আমি বাংলা ছায়াছবির ভীষণ পাগল এক ভক্ত। আমি এই দশকের কয়েকটা ছবি হলে না দেখলেও ডিভিডি তে দেখেছিলাম। দেখে কোন মজা পাইনি। কারন আগের সব মেধাবী পরিচালক এখন নেই। তবে পুরনোদের মধ্য ০এই দশকে এফ আই মানিক, সোহানুর রহমান সোহান এবং নতুন দের মাঝে বদিউল আলম খোকন রা ঠিকই ভালো কিছু ছবি করেছে। বদিউল আলম খোকন পুরাই আমাদের ৯০ দশকের নুর হোসেন বলাই ও নাদিম মাহমুদ এর মতো পাঙ্খা সিনেমা বানায়।
রাতে আসুন, তখন আরও কথা হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:১৩
আহমেদ সাব্বির পল্লব বলেছেন: গুরু মাথা নষ্ট পোস্ট ........... আমার এই মুভির কথা মনে পড়ে না... ঐ সময় অনেক ছুডু আছিলাম তাই........ কিন্তু কাহিনী আর বর্ণনা জোস হইছে......।
++++++++