নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন বিদ্রোহীর গর্জন

কবি ও কাব্য

একজন বিদ্রোহী বলছি ঃ যেখানে দেখিবে কোন অন্যায় অত্যাচার সেইখানে পাইবে শুনিতে আমার হুংকার সময় এসেছে সাথিরা সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে আবার নতুন করে গর্জে উঠার।

কবি ও কাব্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি কোনদিন অস্বীকার করতে পারবোনা এই ছবিগুলো বাংলাদেশের না!!!!!!!!

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৭:১১







বন্ধুরা তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানে ১৯৫৪ সালে প্রয়াত আব্দুল জব্বার এর ''মুখ ও মুখোশ'' দিয়ে এদেশে প্রথম চলচ্চিত্র বা সিনেমা শিল্পের যাত্রা শুরু। আজ ২০১২ সালে দীর্ঘ ৫৮ টি বছর পর আমাদের এই শিল্প আজ চরম হুমকির মুখে !!!! কেন? তার জবাব কে দিবে? আসুন সেই সুখ দুঃখের কিছু কথা আজ আপনাদের জানাই।

আব্দুল জব্বার এর হাত ধরে যে শিল্পের শুরু সেই শিল্পকে তিলে তিলে যত্ন করে বড় করেন জহির রায়হান, খান আতাউর রহমান, সুভাষ দত্ত, এহতেশাম, নারায়ণ ঘোষ মিতা, শেখ নিয়ামত আলী,আলমগীর কবির, মোস্তাফিজ এর মত কিংবদন্তীরা। তাঁদের হাতে বাংলা চলচ্চিত্র উপমহাদেশের একটি গৌরবময় শিল্পে পরিণত হয়। "আসিয়া" "তিতাস একটি নদীর নাম'' "সূর্যকন্যা" "এ দেশ তোমার আমার'' "ধীরে বহে মেঘনা" "অ আ ক খ গ ঘ ঙ " "হারানো সুর" এর মতো শিল্প সমৃদ্ধ ছবি বাংলা চলচ্চিত্র পেয়েছিল। আর পেয়েছিল রহমান, রাজ্জাক,কবরি,শবনম,শাবানা র মতো অভিনেতা অভিনেত্রীদের । স্বাধীনতার পর আবার পুরো দমে কাজ শুরু হলে খান আতাউর রহমান জহির রায়হান কে ছাড়া নিঃসঙ্গ হয়ে গিয়েছিলেন। সেই সময়ে খান আতাউর রহমান তার পুরনো সঙ্গী সুভাস দত্ত, নারায়ণ ঘোষ মিতা, এহতেশাম কে নিয়ে এই শিল্পের হাল ধরেন। এ সময় তাঁদের সাথে যোগ দেন গীতিকার, কাহিনীকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার। মাজহারুল আনোয়ার যুদ্ধের আগেও তাঁদের সাথে ছিলেন তবে নিয়মিত পুরোপুরি হোন যুদ্ধের পর। চাশী নজরুল, সিদ্দিক জামান নানটু , আমজাদ হোসেন, জহিরুল হক , আব্দুল্লাহ আল মামুন সেই সময় পুরো পেশাদার মনোভাব নিয়ে চলচ্চিত্রে আসলে শুরু হয় এক নতুন বিপ্লব। যে বিপ্লবের সাক্ষী আবার তোরা মানুষ হো (খান আতাউর), ওরা ১১ জন (চাসী নজরুল), "আলোর মিছিল" (মিতা), "কলমীলতা" (শহিদুল হক খান) , সীমানা পেরিয়ে , সূর্য দিঘল বাড়ী (শেখ নিয়ামত আলী), সারেং বউ (আব্দুল্লাহ আল মামুন) "নয়নমণি" (আমজাদ হোসেন), এর মত সব কালজয়ী ছবি। এসব সামাজিক ছবির মাঝে তখন পুরো শিল্পের জয়গান চলছিল ঠিক তখনই জহিরুল হক '' রংবাজ'' ছবির মাধ্যমে প্রথম অ্যাকশন দৃশ্য নিয়ে আসেন। বাংলা চলচ্চিত্র পরিচিত হয় নতুন এক ধারার সাথে। শুরু হয় সামাজিক গল্পের সাথে অ্যাকশন দিয়ে 'সামাজিক অ্যাকশন" ছবির যুগ শুরু সেখান থেকে। এরপর আজমল হুদা মিঠুর " দোস্ত দুশমন" দেওয়ান নজরুল এর 'দোস্তি' সেই ধারাকেই এগিয়ে নিয়ে গেছে। তখন সারা দেশে বাংলা ছায়াছবির ব্যবসা মানেই নিশ্চিত মুনাফা। তাই তো ধীরে ধীরে গ্রামে,শহরে,নগরে,গঞ্জে সব জায়গায় সিনেমা হল তৈরির হিড়িক পড়ে যায়।ঢাকার উচ্চবিত্ত শ্রেণী জড়িত হয় সিনেমা বানানো ও প্রদর্শন এর ব্যবসায়। এদের মধ্য যে নামটি প্রথম উচ্চারিত হবে তিনি 'আলগীর পিকচারস' এর কর্ণধার এ কে এম জাহাঙ্গীর খান (কণ্ঠ শিল্পী ও চিকিৎসক ঝুমু খান এর বাবা) । তাঁকে আজও বাংলা চলচিত্রের 'মোঘল' নামে ডাকা হয়। এতে আরও যে কয়টি প্রযোজনা সংস্থার নাম উল্লেখ যোগ্য সেগুলো হলো 'সোনামণি ফিল্মস' "মেট্রো ফিল্মস" ''আনন্দমেলা চলচ্চিত্র'' 'আশীর্বাদ কথাচিত্র'' ছিল অন্যতম। ৭০ দশকের শেষ দিকে এ যে মিন্টু, কাজী হায়াত,আজিজুল রহমান বুলি, ইবেন মিজান, সাইফুল আজম কাশেম, হাস্মত, আজিজুর রহমান ,বেলাল আহমেদ এর মত মেধাবী ছবি পরিচালনায় আসতে থাকে। যুবকরা শুরু হয় সারাদেশে ছবি দেখার হিড়িক। নিম্নবিত্ত - উচ্চবিত্ত সবার বিনোদনের একটি বড় ও প্রিয় মাধ্যম হয় হলে গিয়ে সিনেমা দেখা। এমনকি যেসব পরিবারে বিধিনিষেধ কঠোর ছিল সেসব পরিবারের ছেলে মেয়েরাও লুকিয়ে অভিভাবকের চোখ ফাকি দিয়ে দিনের পর দিন সিনেমা হলে যেতো। মেয়েরা বোরকা পড়ে সিনেমা হলে ঢুকত যাতে রাস্তায় পরিচিত কেউ না চিনতে পারে। তখন এমন কোন পরিবার নেই যারা সিনেমা হলে ছবি দেখতো না।

আমার নিজের পরিবার থেকেই আমি বাংলা ছায়াছবির প্রেমে পড়েছিলাম। আমার আব্বু,আম্মমু,মামা,খালা ,চাচা ,চাচী খালু এমনকি পাড়া প্রতিবেশীরা মিলে বিশাল সদলবলে হলে যাওয়ার কথা আমার এখনও মনে আছে। আমি সিনেমা হলে ছবি দেখতে যাওয়া ব্যাপারটা বুঝতে শিখেছিলাম আমার ৫/৬ বছর বয়সে। আমার অভিভাবকদের মুখে অনেকবার শুনেছি আমাকে খুব ছোট (১/৪ বছর)বেলায় দুপুরে ঘুম পাড়িয়ে দাদী ও বাসার বুয়ার কাছে রেখে সবাই ছবি দেখতে যেতো। আমি নাকি সেসময় হলে গেলে ভয়ে শুধু কান্না করতাম । এজন্য আমাকে নেয়া হতো। আমি যখন সিনেমা দেখা বুঝতে ও আন্দদ পেতে শুরু করি তখন আর আমাকে রেখে যাওয়া হয়নি। আমি হলে যাওয়ার নাম শুনলেই সবার আগে কাপড় চোপর পড়ে রেডি হওয়ার জন্য চিৎকার করতাম।

সেই খুব ছোট বেলায় হলে আমার দেখা ছবিগুলোর নাম এখনও মনে আছে "অবুঝ মন" (রাজ্জাক শাবানা), 'নুরী' (ওয়াসিম) ''পুরস্কার '' ''দায়ী কে '' ''বাঁধনহারা'' এই ছবিগুলো ছিল সম্পূর্ণ সাদাকালো। শৈশবে ৮০র দশকেআমার পরিবারের সাথে রঙ্গিন যুগের ছবির মাঝে ছিল 'কুসুমকলি' "স্বর্গ নরক" (রহমান ,শবনম) "ভাত দে'' ''অপেক্ষা '' চ্যালেঞ্জ'' ''দেশ বিদেশ' ''নীতিবান'' ''ধনী গরীব'' ''ফুলশয্যা'' ''হুশিয়ার'' ''বাঞ্জারান' "জারকা" ''লড়াকু'' ''ওস্তাদ সাগরেদ'' ''সারেন্ডার'' ''সবুজ সাথী'' ''আগমন'' ''ঝিনুক মালা'' ''দুই জীবন'' ''বৌমা '' ''সন্ধান'' ''যোগাযোগ'' ''তিন কন্যা'' ''লটারি'' ''বিজয়'' ''অপরাধী' ''বলবান'' ''নিষ্পাপ'' ''চেতনা'' ''বারুদ" ''উসিলা '' ''দূরদেশ'' ''স্বাক্ষর'' ''অশান্তি'' 'চাঁপা ডাঙ্গার বউ', ''জিনের বাদশা'' ''পালকী'' ''ক্ষতিপূরণ'' ''ভাইজান'' ''বিশ্বাসঘাতক'' ''ব্যবধান' ''দুনিয়া '' 'চেতনা' ''সত্য মিথ্যা' ''অন্ধ বিশ্বাস'' ''বীরপুরুষ ''বজ্রমুসঠি, ''শিশমহল '' ''ভেজা চোখ'' ছবিগুলো অন্যতম। সপ্তাহে একদিন হলে ছবি না দেখলে শান্তি পেতাম না।





সেই শৈশব থেকে পরিবার এর মাধ্যমে হলে বাংলা ছায়াছবির সাথে আমার পরিচয় ও প্রেমের শুরু। যা ৯০ দশকের শুরু থেকে আমার দুরন্ত কিশোর বেলায় এসে চরম রূপ ধারণ করে। ৯০ দশকের শুরু থেকে আমার পরিবার হলে যাওয়া একেবারে বন্ধ করে দেয়। তখন শুরু হলো আমার ও পাড়ার বন্ধুরা মিলে দিনের বেলায় হলে যাওয়া এবং সন্ধ্যার আগে ঘরে ফেরা যাতে বাসার কেউ টের না পায়। বাসায় ফিরলে আম্মা জিজ্ঞেস করতেন '' দুপুরে ভাত খেয়েই কয় গিয়েছিলি "? আমার সাফ উত্তর ''মাঠে খেলতে'' গিয়েছিলাম। আমার কনফিডেনটলি উত্তর দেয়ার ধরন দেখে আম্মু সন্দেহ করতেন না। সেই কিশোর বেলায় শুরু হলো সালমান-অমর সানীর যুগ। পাড়ার বন্ধুদের সাথে দেখতে দেখতে একসময় স্কুলের বন্ধুদেরও ছবি দেখানো শিখিয়ে ফেললাম। আর পায় কে?? শুরু হলো এক চরম আনন্দের সময়। ক্লাসে আমরা একটা গ্রুপ ছিলাম যারা নিরীহ -বোকা শোকা ছেলেদের খুব যন্ত্রণা দিতাম। ওদের কে দায়িত্ব দিলাম আমরা যেদিন ক্লাসে আসবো না সেদিন এর সব ক্লাসের পড়া যেন আমাদের পরেরদিন জানানো হয় এই শর্তে তারা আমাদের সকল অত্যাচার থেকে মুক্তি পাবে এবং তাঁদের কে খেলায় সুযোগ দেয়া হবে। তারাও রাজি হয়ে গেলো/ ব্যস ,শুরু হলো আমাদের সিনেমা গ্রুপের স্কুল পালিয়ে 'মর্নিং শো'' ছবি দেখা। বাসা থেকে বের হতাম একটা শান্ত -ভদ্র স্কুল ছাত্র সেজে যার স্কুলের প্যান্টের ভিতরে অন্য আরেকটা ফুল প্যান্ট!! এভাবে বাসার চোখ ফাকি দিয়ে স্কুল পালিয়ে ছবি দেখা নেশায় পরিণত হলো। এই নেশা চলতে থাকলো পুরো কলেজ জীবন পর্যন্ত যা এই শতকের শুরুতে শেষ হয়। এর কারন ছিল সহপাঠীরা একেকজন একেক জায়গায় ভর্তি হলো, আবার কেউ বিদেশে চলে গেলো।

৯০ দশকেও আমাদের চলচ্চিত্রের অবস্থা আজকের মতো এতো শোচনীয় ছিল না। ৮০র দশকে যে জোয়ার শুরু হয়েছিল ৯০ দশকে তা পরিপূর্ণ লাভ করে। তখনকার ছবিগুলোর মাঝে '' প্রেমের প্রতিদান'' পিতা মাতা সন্তান, "ন্যায় অন্যায়", ''মাস্তান রাজা'' ''লক্ষ্মীর সংসার'' 'বাংলার বধূ'' 'কালিয়া'' 'সন্ত্রাস'' ''বন্ধু আমার'' 'দাঙ্গা' ''লাভ ইন আমেরিকা'' ''মা মাটি দেশ'''' টপ রংবাজ'' ''ত্রাস'' সহ অসংখ্য অসংখ্য ছবি আজও মনে পড়ে যা আমার সোনালি দিনের সোনালি স্মৃতির পুরোটা জুড়েই আছে।



গাজী মাজহারুল আনোয়ার , এ জে মিন্টু ,শিবলি সাদিক, দেওয়ান নজরুল, সাইফুল আজম কাসেম, কবির আনোয়ার, মতিন রহমান, আওকাত হোসেন, দেলোয়ার জাহান ঝনটু, ফজল আহমেদ বেনজির, সুভাষ দত্ত, চাষি নজরুল, ইবনে মিজান, আমজাদ হোসেন, হাসমত, সিদ্দিক জামান নানটু, মতালেব হোসেন ,আজিজুর রহমান , ও জহিরুল হক এরা সামাজিক অ্যাকশন ও প্রেমের ২ ধরনের ছবির কিং পরিচালক ছিলেন। যাদের নাম পোষ্টারে থাকলেই হতো, ছবিতে কে আছে সেইটা কোন বিষয় ছিল না। এদের ছবি মানেই হলে 'হাউসফুল' লিখা থাকতো। আর ফোক ফ্যান্টাসি র জন্য তজাম্মেল হক বকুল একাই একশো , পুরো অ্যাকশন ছবির জন্য শহিদুল ইসলাম খোকন, আবুল খায়ের বুলবুল , দেওয়ান নজরুল, আজমল হুদা মিঠু ছিল চরম, আর রাজনৈতিক ছবির জন্য কাজী হায়াত একাই একশো। যাদের বিকল্প আজ আর বাংলা চলচ্চিত্রে নেই। তারা যেভাবে যত্ন নিয়ে একটা গল্পকে সিনেমায় রূপ দিতেন তা আজ দেখা যায় না বললেই চলে। যখন প্রযুক্তির উন্নয়ন এর ছোঁয়া লাগেনি তখন আমাদের দর্শকরা অনেক অনেক ভালো গল্পের ছবি পেয়েছিলেন। যার শুধু গল্প নয় গান, শিল্পীদের অভিনয় সব কিছু দর্শকের মনে গেঁথে যেতো।





৯০ দশকে মনোয়ার খোকন,জিল্লুর রহমান,শাহ আলম কিরণ ,সহান এরা মোতালেব হোসেন দেওয়ান নজরুল এর অভাব টা একটু হলেও ঘুচিয়েছে। ৯০ দশক তবু পুরানো অনেক পরিচালক কে পেয়েছিল এ জে মিন্টু, সাইফুল আজম কাশেম, বকুল, ঝনটু,কামাল আহমেদ, শিবলি সাদিক,মতিন রহমান,বেনজির সবাইকে পেয়েছিল কিন্তু ২০০০ এসে তাঁদের অনেকেই একেবারেই ছিল না। এদের মধ্য মিন্টু অন্যতম। মিন্টুর অভাব এখনও চলচ্চিত্র কেউ পূরণ করতে পারেনি। কাজী হায়াত এর যন্ত্রণা, দাঙ্গা,ত্রাস , চাঁদাবাজ, সিপাহি,দেশপ্রেমিক এগুলো অসাধারণ সাহসী ছবি। কাজী না থাকলে একটানা এতো সাহসী ছবি বাংলা চলচিত্রে পাওয়া যেতো না। বকুল ফোক ছবি যেভাবে দর্শক কে খাওয়াত তা কেউ পারবেনা। ফোক ছবি কে আলাদা শিল্পে পরিণত করেন বকুল। আর তিনি সেই পরিচালক যিনি নতুন এর মতো জনপ্রিয় ও সিনিয়র নায়িকার সাথে কমেডিয়ান দিলদার কে একক নায়ক করে "আব্দুল্লাহ" বানিয়েছিলেন যা দর্শক চরম গিলছে। তার নাম তজাম্মেল হক বকুল । সালমান,অমরসানি,জসীম, রুবেল ,মান্নার সেরা সময়ে দিলদার কে নায়ক বানানোর মত সাহস কয়টা পরিচালকের ছিল? একমাত্র বকুল প্রমান করেছে গল্প ও মেকিং সুন্দর হলে দর্শক সিনেমা দেখতে আসবেই। চিন্তা করতে পারেন যে একজন সিনিয়র নায়িকার সাথে পুরো কমেডিয়ান একজন কে নায়ক বানানোর মত রিস্ক কেমন কলিজা থাকলে একজন পরিচালক করতে পারে? ভারতের পরিচালক রাও তো এই রিস্কে যাবেনা ও যায়নি আজ পর্যন্ত। বলেন তো কোন ছবিতে জনি লিভার নায়ক এর সাথে শ্রীদেবী কে নায়িকা চরিত্রে দেখেছেন?

আজ এই শিল্প ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে!! যা মনের ভেতর প্রতিনিয়ত রক্তক্ষরণ করে যাচ্ছে!! আমাদের দর্শকরা আজ হিন্দি ছবির জোয়ারে ভাসছে। তারা বাংলার চেয়েও বেশী হলো ভারতপ্রেমি যা অনেক ভারতীয়কেও হার মানাবে। আমার শৈশব- কৈশোর বেলায় তো হিন্দি সিনেমা আমরা প্রতিনিয়ত দেখতাম কিন্তু তাই বলে কোনদিন আমার বাংলা সিনেমা কে আমি ভুলে যাইনি। আমার হলে যাওয়া আমি ছেড়ে দেইনি সেই গত শতাব্দীর শেষ দশকের পুরোটা সময় কেটেছিল ছবি বাংলা ও হিন্দি সিনেমা দেখে। কই আমিতো আমার মনের মাঝে আজ যে হিন্দি সিনেমা দেখিনা তার জন্য একবারও দুঃখ লাগেনা। বরং গত ১০ টি বছর হলে গিয়ে দলবেঁধে বাংলা ছবি না দেখার কষ্ট খুব পোড়ায়। আসুন না একবার আমরা সবাই আমাদের দেশের এই শিল্পকে রক্ষার জন্য কাজ করি। এই শিল্পের মাঝেও যে আমার বাংলাদেশের সংস্কৃতি মিশে আছে। এই সংস্কৃতিকে আমরা কি বিলীন হতে দিতে পারি? একবার নিজের মন কে প্রশ্ন করেন যারা বলেন ''আমাদের ছবির মান ভালো না, রুচিহীন তারা কি এই শিল্পকে উন্নত করার জন্য কোন পদক্ষেপ নিয়েছেন? নেননি? তাহলে আপনার বাংলা সিনেমাকে খারাপ, মানহীন বলে চিৎকার করার কোন অধিকার আপনার নেই। আমি মনে করি ঐসব শিক্ষিত আধুনিক সমাজ এক দেশের শিল্পের পক্ষে দালালি করছে আর আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প ধ্বংস হওয়ার পেছনে ঐসব দর্শকদের অনেক অবদান আছে যারা আমাদের শিল্পকে ধ্বংস করে বিদেশী সংস্কৃতিকে এদেশে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। আজ সময় হয়েছে চলচ্চিত্র শিল্পকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার এবং এই শিল্পের ধ্বংসের পেছনে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করার ।













































আরও অনেক কিছু এই লিঙ্কে

মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +২৬/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৭:২২

তন্ময়০১৩ বলেছেন: :-B :-B :-B আগে + লন

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৭:২৭

কবি ও কাব্য বলেছেন: ধন্যবাদ তন্ময় ভাই। আগে ছবিগুলা দেইখা লন!!!

২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:০৩

বিডি আইডল বলেছেন: চ্রম..

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:৫৪

কবি ও কাব্য বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ

৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:০৯

দেশী পোলা বলেছেন: পুরান বাংলা ছবিগুলার প্রিন্ট কোথা থেকে পাওয়া যায় বলতে পারবেন?

যে ছবিটা খুজছি তার পরিচালক মারা গেছেন, কেউ বলতে পারতেছে না কোন প্রিন্ট আছে না নাই


২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:৫৬

কবি ও কাব্য বলেছেন: পুরানো ছবিটার নাম বলেন। আমার কাছে পাবেন। আমি সব পুরানো ছবি আমার আর্কাইভে রাখছি

৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:২০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

শোকেসে ++++

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:৫৮

কবি ও কাব্য বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:২৬

শুধু প্যচাল বলেছেন: শেষের আপনার কৃত আবেদন দেয়ালে ধাক্কা লেগে আবার পুনরায় আপনার নিকট পৌছে গেছে- আশা রাখি আপনে তা বুঝিতে পেরেছেন।

ইহা একটি চক্র। যেমন ক্রেতা বলে বইর দাম অনেক, বই পাওয়া যায়না, আবার প্রকাশক বলেন ক্রেতা নেই তাই বই বেশি ছাপাইনা, দাম বেশি রাখতে হয়।

আসলে আমাদের মুল/ গোড়াতেই গন্ডোগোল আছে। শিশুরা তার বাবা মা'র কাছ থেকে প্রাথমিক শিক্ষা নেয়, এমনকি স্বভাব বীজ তৈরী হয় পিতা মাতার কাছ থেকে। আমাদের দেশীয় রাষ্ট্রিয় পিতা মাতা যারা, অর্থাৎ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রধান নেতা নেত্রীরা, তাদের ভিতরেইত দেশ প্রেম নেই, সাধারনের ভিতর অ্যাসবে কিভাবে ? তারাত আমাদের পথ প্রদর্শক নয় কি?

আমি হাসি, মনে মনে বহুত হাসি। এই ভারতীয় বিষটা নিয়ে বড়োই হাসি। ইহা সম্ভব না, আমরা যা আছি তা থাকবই। আমরা যারাই গালি দেইনা কেন, আমাদের নিজেদের ভিতরেই গন্ডোগোল।

আমরা ছাড়ব না ভারতীয় ছবি, পন্য। আবার যারা ছবি এখন বানায় তাদের কথাই ধরুন। মানি দুই একটা সুন্দর ছবি যে বানাচ্ছে না, তা নয়। তাই বলে বাকি গুলো? আগেকার সেই পরিচালকরা একটা সাধনা ছিল, একটা প্রেম ছিল। আজকাল দেখুনত আপনে? নৃত্য??? সঙ্গিত??? ভারতের তুলনায় আসুন, দেখুনত ??? বলুনত??? আমাদের ভিতর অনেক প্রতিভা আছে, ইহা আপনেও জানেন, মানেন, আমরাও জানি মানি কিন্তু এই প্রতিভা প্রকাশের মাধ্যম, ব্যক্তিরাত দুষিত।

প্রতিটা ক্ষেত্রে আপনে দেখুন মাথাগুলোতে সমস্যা। সাধারনের ভিতর এখনও সমস্যা নেই। কিন্তু মাথাগুলো দূষিত। সুতরাং -----/

থাক । ভাল থাকবেন।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:০১

কবি ও কাব্য বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য। এখন কে দোষী আর কে নির্দোষ সেইটা খোজার সময় নেই। এখন সময় হয়েছে এই বাঁচানোর জন্য কারো না কারো এগিয়ে আসা। আমাদের সবেচেয়ে বড় সমস্যা হলো আমরা সবাই সমস্যা কে বা কারা করছে তা নিয়ে বসে থাকি কিন্তু সমাধান করার জন্য কেউ এগিয়ে আসি না। এই অবস্থা থেকে আমাদের বের হতে হবে।

৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:৪৩

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: খুবই চমৎকার পোষ্ট। সোজা শো কেসে।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:০১

কবি ও কাব্য বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ

৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:৪৮

ক্রন্দসী বলেছেন: ভাই ব্যাপক লাগছে।একটা মজার কাহিনী শেয়ার করি-হলে সাসপেন্সের সময় কিছু দর্শক এতোটাই তন্ময় হয়ে যেতো-বিজলী চলে গেলে "সীন কাটলে খবর আছে বলে দাড়িয়ে যেতো"

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:০৩

কবি ও কাব্য বলেছেন: এইরকম ঘটনা নিত্যদিনই ঘটতো। ছবি একটু বন্ধ হয়ে গেলেই সেইরকম চিৎকার হতো!!!!!!!! যা না দেখলে বিশ্বাস করবে না কেউ। আমিও অনেক দিন চিৎকার দিতাম পাবলিকরে সাপোর্ট দিয়া মজাই পেতাম

৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:৫০

ক্রন্দসী বলেছেন: ভাই ১৩নম্বর ফেকু উস্তাগার লোন ছবিটার কথা মনে আছে?চরম ছবি

৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:৫৮

সুইট টর্চার বলেছেন: অনেক যত্ন করে লিখেছেন । ভাল লাগল পড়ে। আপনি সম্ভবত আমার সমবয়সি হবেন আপনার দেখা অনেক ছবিই আমি দেখেছি। তবে আমার দেখা কিছু ভাল ছবিও মনে হয় আপনি দেখেননি যেমন: মধু মিলন, কথা দিলাম, ফুলের মালা, তাসের ঘর, নাজমা, লাল কাজল, হিংসা, আবে হায়াৎ, সওদাগর, লাইলী মজনু, আনারকলি, বন্ধু, অনুরাগ, ফেরারী বসন্ত, আলাদীন আলীবাবা সিন্দাবাদ, চন্দন দ্বীপের রাজ কন্যা, বৌরাণী, মাসুম ইত্যাদি ;) ;) ;)

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:০৯

কবি ও কাব্য বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আমার মতো একজন পুরনো দর্শক পেলাম আপনাকে। জি আমি দেখেছি আলিবাবা ৪০ চোর, চন্দন দীপের রাজকন্যা (জাভেদ), লাইলি মজনু (রাজ্জাক ববিতা) সওদাগর (সাত্তার/ জাভেদ) ,আলোমতি প্রেমকুমার (রোজিনা), অরুণ বরুণ কিরণ মালা (সাত্তার ,রোজিনা) হিরামতি (সোহেল চৌধুরী দিতি) আমার ফোক ছবি বকুল এর ২/৩ টি ছাড়া আর কোন ফোক ছবি ভালো লাগতো না। এগুলো দেখেছি শৈশব কালে পরিবারের সাথে।

১০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:১৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: খুব তথ্যবহুল পোস্ট। এবং অনেক উপভোগ্য, যদিও সময়ের অভাবে পুরোটা পড়তে পারলাম না।

আমি দুটো পুরোনো ছবি খুঁজছি- সুন্দরী এবং কসাই। কোথায় পাওয়া যাবে জানা থাকলে বলুন। কোনো ক্লিপ থাকলে জুড়ে দিন এখানে।

ভালো লাগার মতো পোস্ট।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:১০

কবি ও কাব্য বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। সুঁদরি ও কসাই আমি আগামীতে প্রচার করবো। মূল প্রিন্ট এর অর্ডার দিয়েছি। চলে আসবে।

১১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:২০

গরম সিঙ্গাড়া বলেছেন: পাপ্রি ( প্লাস+ প্রিয়)

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:১৩

কবি ও কাব্য বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। আপনার প্রোফাইলের মচমচে সিগারাটা দেখে আমার খুব খেতে ইচ্ছে করে।

১২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:২৫

এমদেশ বলেছেন: "১৩ নম্বর ফেকু ওস্তাগার লেন" ছবিটি রুচিশীল, মার্জিত ছবি। এ ধরনের ছবি আজ বানানো হয় না।
আমাদের বাংলাদেশী চ্যানেলগুলোতে প্রতিদিন বিভিন্ন রদ্দি বাংলা ছবি দেখানো হয়, অথচ এই ছবিটি দেখানো হয় না।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:১৩

কবি ও কাব্য বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আমি দেখবো

১৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৩৪

দিবা স্বপ্ন বলেছেন: সোজা প্রিয়তে। ++++++

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:১৫

কবি ও কাব্য বলেছেন: আপনাকেও প্রিয়তে ও ++++++ ধন্যবাদ

১৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৪৩

আগামি বলেছেন: দারুণ পোস্ট।

তবে আপনার লড়াকু ছবিটা দেখতে গিয়ে অশ্লীলতার অজুহাতে হল থেকে বের হই গেছিলাম। =p~ ওইটা মনে লয় রুবেলের প্রথম ছবি (নাকি বীরপুরুষ ?)

আমার মনে আছে মুক্তাগাছায় মেইন রোডের পাশে তখন পাশাপাশি তিনটা নতুন হল বানানো হচ্ছিল। (৮৬/৮৭ সালের কথা) দুটো আগে থেকেই ছিল। হলগুলোর নাম মনে করতে পারছিনা এখন। একটার নাম মনে হয় ঝলক, আরেকটার নাম রানা বা এমন কিছু ছিল মনে হচ্ছে।

আর এখন সিনেমা হল সব বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

লাভের পেছনে দৌড়াতে দৌড়াতে বাণিজ্যিক ছবি বানাতে বানাতে তারা আসলে লাভ থেকে, বাণিজ্য থেকে সরে গেছে। কারণ যে শিল্পের কারণে মানুষ আনন্দ পায় সেই শিল্পটাই যদি অবহেলিত হয় তা বেশিদিন মানুষ ধরে রাখতে পারেনা।

আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের দুর্দশার জন্য এর নির্মাতারাই দায়ী। দর্শকদের দায়ী যারা করেণ আমি তাদের সাথে একমত নই।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:১৭

কবি ও কাব্য বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। লড়াকু রুবেল এর প্রথম ছবি। লড়াকু তে তেমন অশ্লীলতা নেই। লড়াকুর প্রযোজক ও পরিচালক কেউ অশ্লীল ছবির না। আপনি কি মুক্তি পাওয়ার পরপরেই দেখেছেন নাকি তার অনেক পরে দেখেছেন?

১৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৫৮

সুহাসলেলিন বলেছেন: সেইরাম পুষ্ট বস :)

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:১৮

কবি ও কাব্য বলেছেন: আপনাকেও সেইরাম ধন্যবাদ বস

১৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:১১

সাকিন উল আলম ইভান বলেছেন: দারুন পোষ্ট ;।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:১৯

কবি ও কাব্য বলেছেন: ইভান ভাই আপনাকেও দারুণ ধন্যবাদ। তবে আপনার উপরে আমার একটু মনকষ্ট আছে।

১৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:১৫

েক আিম বলেছেন: আবারও আপনারে ছোট করতে হইতেছে। স্বশ্রদ্ধ সালাম। আমাদের হাত ধরেই বাংলা সিনেমা আবার তার স্বর্নযুগে ফিরে আসবে।

আপনার এই প্রানন্ত চেষ্টায় সংগে আছি।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:২০

কবি ও কাব্য বলেছেন: বস আপনারে লইয়া কিন্তু স্বর্ণযুগে যামু। আপনারে না নিয়া জামুনা কইলাম। অনেক ধন্যবাদ

১৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:১৯

ক্ষ্যাত বলেছেন: ভালো লাগলো।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:২২

কবি ও কাব্য বলেছেন: আপনার নাম শুনেই বুঝে গেছি আপনার ভালো না লেগে যেতে পারে না। কারন আপনিও আমার মতো শুধু আমি নাম লাগাই নাই আপনি নামটা শুদ্ধ লাগাই দিছেন 'খ্যাঁত'। অনেক ধন্যবাদ

১৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:২৭

সহ্চর বলেছেন:

বিরাট কাজ কইরালছেন। :-B :-B


++

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:২৩

কবি ও কাব্য বলেছেন: হায় হায়! আমাদের আর যে ভাই দেখি এতদিন পরে আমার ব্লগে আইলেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

২০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৪৫

ময়ূখ বলেছেন: খাইছে :)

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:২৫

কবি ও কাব্য বলেছেন: কে খাইছে? কারে খাইছে? কি খাইছে? কখন খাইছে? কিভাবে খাইছে? কতটুকু খাইছে? একা একা না আরও কেউ খাইছে?

২১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:০৪

মাইন রানা বলেছেন: ভাল পোস্ট

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:২৫

কবি ও কাব্য বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

২২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৩১

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
সুন্দর পোস্ট।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:২৭

কবি ও কাব্য বলেছেন: দুর্জয় ভাই আপনার কাছ থেকে শুধু ধন্যবাদ চাইনা, সাথে বানীও চাই ।

২৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৩৭

স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো... বলেছেন: কি চমৎকার দেখা গেল। B-)) B-))

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:২৭

কবি ও কাব্য বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

২৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৩০

সাকিন উল আলম ইভান বলেছেন: কেনো ভাই :((

ব্লগে বলতে না পারলে ফেবু বলে ফেলেন , আমাকে মানুষ গালি দিলেও মাইন্ড খাই না :)

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৩৬

কবি ও কাব্য বলেছেন: আরে ভাই গালি দিমু কেন? আপনি তো আমার বহুত পেয়ারা লোক । মন কষ্ট কারন আপনি রেডিও তে যান কিন্তু কোন কথা কন না, আড্ডাও দেন না এই জন্য।

২৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৩০

বেঈমান আমি বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ পাপ্পু ভাই।মনে করেন আপনি আমার মনের কথা গুলো আপনার ভাষায় লিখেছেন।আপনার লগে তো আমার অনেক কিছু র মিল আছে সেটা তো জানেন?কিপ ইট আপ ব্রো।আপনার সাথে আছি।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৩৭

কবি ও কাব্য বলেছেন: ধন্যবাদ মসারফ ভাই। আপনার সাথে আমার অনেক মিল সেই প্রথমদিন থেকেই ,তাইতো আপনার সাথে আমার প্রেমটাও অনেক কিন্তু ইদানীং আপনি আমারে খুব বেশী বিরহের জালা দিচ্ছেন।

২৬| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪০

বেঈমান আমি বলেছেন: :P :P :P :P :P :P :P :P :P :P :P :P :P :P

২৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:০৪

মেহ্‌দী হাসান বলেছেন: I have to say I don’t have much idea about BD movies after 90ies but still I remember we saw BD movies in every week(most probably in Friday). One of the reason the it falls from its peak something related to new technologies specially “Cable TV” and VCR/VDC/DVD. Middle class people who had some money started buying VCR and TV, plus cable fees reduce drastically which means you can see any movies in your safe home any time. The same effect also happened in west also, I read an article where they mentioned the real booming age for cinema hall was in 60 and 70ties.For us the disaster happened due to people related to this business was lazy to accept this reality, they should emphasis on mass production of those movies in VCR /VCD/DVD which could be a good source of money. I remember when there was hundreds/thousands of Hindi and English VCR we rent from video rents we rarely find any Bengali movies, sometimes we only some very bad quality hall prints. When I left BD in 2005 still there was no commercial VCD/DVD plant to print, I talked with those shop owner they said they bought those mainly from Malaysia. If someone had to blame then we should blame marketing people related to BD film business.

২৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৪৩

রাইসুল জুহালা বলেছেন: চমৎকার একটা লেখা।

আমি আশাবাদী মানুষ। স্বপ্ন নিয়েই বেঁচে থাকি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি আমাকে বাংলা ছবি নিয়ে তেমন কোন আশা দেখায় না। আর পাঁচ বছর পর যে কি হবে, ভাবতেই পারি না। কিছু কিশোর, সদ্য তরুন ভাস্তে/ভাস্তি/ভাগ্নে/ভাগ্নি আছে এখনও দেশে। তাদের অনেকে ঠিকমত জানেই না যে বাংলা ছবি বলে একটা জিনিস পৃথিবীতে আছে। অথচ এদের বাবা-মায়েরা কত ঝামেলা করে, স্কুল পালিয়ে, ঘরের পয়সা চুরি করে ছোটবেলা অসংখ্য ছবি দেখেছে (আমিও ছিলাম তাদের সাথে :P )!

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:০৫

কবি ও কাব্য বলেছেন: ধন্যবাদ বস। আমিও সেই ধরনের এক পাগল দর্শক ছিলাম। কিন্তু আজ ১০ বছরেরও বেশী হলে গিয়ে ছবি না দেখার কষ্ট খুব পোড়ায় । নতুন প্রজন্ম সম্পর্কে কিছু বলার নাই। শুধু বলবো আমাদের আফসোস হয় এমন একটা বিদেশ প্রেমী প্রজন্ম আমরা পেয়েছি যারা দেশকে জানতে চায় না শুধুই বিদেশ কে ভালবাসতে চায়, জানতে চায়।

২৯| ১১ ই মার্চ, ২০১২ রাত ২:৩৭

ভালো থাকতে চাই বলেছেন: অনেক গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট সোজা প্রিয়তে

৩০| ০১ লা এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৩:২২

এম. মাসুদ আলম. বলেছেন: হারানো সুর খুঁজে পেলাম।

৩১| ২৫ শে জুন, ২০১২ রাত ৮:৫৮

মুহাম্মদ শামসুল ইসলাম বলেছেন: আমি এখনো মাঝে মাঝে পুরানো দিনের বাংলা গানগুলো শুনি। তখনকার গানগুলো এখনকার কিছু বস্তাপচা গান (বিশেষ করে হিন্দী) গান থেকে বহুগুণে ভালো লাগে। আর আমি আপনার পুরোনো দিনের বাংলা গান সমৃদ্ধ রেডিও বিজি২৪ বেশ ভক্ত। সেখানে আমার প্রিয় বেশ কিছু গান পেয়েছি :)

যাহোক, এবার মূল প্রসংগ অর্থাৎ বাংলা সিনেমার কথায় আসি। জীবনে দুইবার মাত্র সিনেমা হলে গিয়েছি। প্রথমবার ৮০ এর দশকের শেষ ভাগে বাবা মা ও ভাই বোনের সাথে। ২য় ও শেষ বার বিংশ শতাব্দীর একেবারে প্রথম ভাগে। দু'টোই সাধারন সিনেমা হলে দেখা। পার্থক্য হল: আশির দশকের সেই ছবিগুলো মানুষের চমৎকার বিনোদনের খোরাক যোগাত যা বুঝেছিলাম হল ভর্তি (সকল পেশা সকল শ্রেনীর) মানুষ দেখে। আর শেষ বারের বেলায় পুরো হলের ১০০ ভাগের ৫ ভাগ পুরেছিল কিনা সন্দেহ আছে।

যদিও বাংলা সিনেমা প্রথম দেখেছিলাম ঘরে বসে। তখনকার সময় ভিসিপি/ভিসিআর এর বেশ প্রচলন ছিল। আমার দেখা প্রথম ছবি ছিল সোহেল রানা ও নূতন অভিনীত "প্রহরী"। পরে ছবিটি অনেক খুঁজেছি কিন্তু পাইনি :( যাহোক পরবর্তীতে দেখেছিলাম অঞ্জু ঘোষ ও চিরঞ্জীব অভিনীত ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্র বেদের মেয়ে জোসনা। যদিও চলচ্চিত্রটি খুব সম্ভবত ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায় ছিল।

আর এখনকার তথাকথিত বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রগুলো হলতো দূরে থাক, ঘরে বসে একা একা দেখতেও ইচ্ছা জাগেনা।

যাহোক, পুরানো সেই বাংলা ছবিগুলার প্রিন্ট কোথা থেকে পাওয়া যায় বলতে পারবেন ভাই?

২৫ শে জুন, ২০১২ রাত ১১:০১

কবি ও কাব্য বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যর জন্য। 'প্রহরী' সোহেল রানার ছবি। আছে আমার কাছে। আমার হলে দেখা ৮০-৯০ দশকের সব ছবি আমি সংগ্রহ করে যাচ্ছি। প্রায় অনেক দুর্লভ ছবি সংগ্রহে এনেছি যেমন - টাকা আনা পাই, ছুটির ঘণ্টা, খোকনসোনা,অশান্তি, সম্মান, দায়ী কে, যন্ত্রণা, সারেন্ডার, রাঙ্গাভাবী, কালিয়া, সহ আরও অনেক ছবি। আমি ইউটিউব আমার চ্যানেলে সেখান থেকে অনেক ছবি আপলোড করেছি বাকিগুলো করবো।

৩২| ২৫ শে জুন, ২০১২ রাত ১১:৫৫

মুহাম্মদ শামসুল ইসলাম বলেছেন: খোকন সোনা ও ছুটির ঘন্টা; এই দুটো ছবি আমার কাছে মাস্টারপিস মনে হয়। বিশেষ করে খোকন সোনা ছবিটি সে সময়ে উপমহাদেশ তথা এশিয়ার অণ্যতম সেরা সেন্টিমেন্টাল ও পারিবারিক ছবি বলে আমার মনে হয়।

যাহোক, এই মুহূর্তে আমি মূলত প্রহরী, তিন কন্যা ও লটারী ছবিত্রয় খুঁজছি। আপনার নিকট দুটি অনুরোধ:
--> যদি সম্ভব হয় তাহলে ছবিগুলো ইউটিউবের পাশাপাশি মিডিয়াফায়ারে hjsplit দিয়ে ভাগ ভাগ করে দিয়েন।
--> যদি সম্ভব হয় তাহলে আপনার ইমেইল এড্রেস দিয়েন। সেইসাথে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের অ্যাড্রেস দিয়েন।

আর একটি বিষয় জানতে চাচ্ছি (যদি কিছু মনে না করেন):
--> ছবিগুলো যদি ভিসিডি/ডিভিডি/ব্লুরে আকারে সংগ্রহে রাখতে চাই তাহলে কোথা থেকে সংগ্রহ করবো।
--> ছবিগুলোর প্রিন্ট কোয়ালিটি কি রকম পাবো?

ধন্যবাদ।

২৬ শে জুন, ২০১২ রাত ১২:০৩

কবি ও কাব্য বলেছেন: আমার ইউটিউব চ্যানেল এর লিংক - Click This Link
ছবিগুলো আমি মাস্টারপিস বের করেছি পরিচিত প্রযোজনা সংস্থার এক বন্ধুকে দিয়ে। সেই তাকে নাম বলে দিলেই সে ছবিগুলো যে কোম্পানি ডিভিডি বের করেছিল তাঁদের কাছ থেকে আমাকে সংগ্রহ করে দেয়।

৩৩| ২৬ শে জুন, ২০১২ রাত ১২:৩০

মুহাম্মদ শামসুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

প্রহরী, তিন কন্যা ও লটারী ছবিত্রয় আপলোড করার আপনার নিকট দুটি অনুরোধ রইলো। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.