নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন বিদ্রোহীর গর্জন

কবি ও কাব্য

একজন বিদ্রোহী বলছি ঃ যেখানে দেখিবে কোন অন্যায় অত্যাচার সেইখানে পাইবে শুনিতে আমার হুংকার সময় এসেছে সাথিরা সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে আবার নতুন করে গর্জে উঠার।

কবি ও কাব্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই সমাজেরই একটি অস্রুশিক্ত ভালোবাসার কিছু প্রেমপত্র!

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৭







চিঠি ১ - ০৬/০৬/২০১১ (সময়-রাত ১ টা ৫০)

প্রিয়তমেসু



আশা করি ভালো আছো। আজ অনেকদিন পর লিখতে বসলাম। হয়তো আমি ক্লান্ত তবুও আমি লিখতে বসলাম। আমি জানিনা! কেন আমি আজও এলোমেলো রয়ে গেছি। তুমি আমাকে 'পাগল' বলে ডাকতে, আজ বহুদিনপর মনে হয় তোমার দেয়া নামটাই ঠিকছিল। আমি সেই পাগল যে কিনা তার জীবনটা নিয়ে আজও ভাবতে পারেনি, যে কিনা তার স্বার্থের জন্য সব কিছু ভুলে যেতে পারেনি। কিন্তু, তুমি কি জানো যে আজ এই পাগলটা অনেক শক্ত, অনেক কঠিন একটা মানুষ। যার কোন অনুভূতি নেই, কোন



আবেগ নেই। পৃথিবীর আর দশটা মানুষের মত কোন চাওয়া নেই, কোন পাওয়া নেই। কারণ, তার জীবনের শুরুতেই সব চাওয়া-পাওয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু বেঁচে থাকার জন্যই শুধু বেঁচে থাকা। আমার এই পরিবর্তনের কথা জানলে তোমার কেমন লাগতো তা খুব দেখতে ইচ্ছে করছে। জানি, আমার অনেক ইচ্ছের মত এই ইচ্ছেটাও



অপূর্ণ থেকে যাবে। তুমিতো জানতে যে আমার নাপাওয়ার অভ্যাস আছে। না পেতে পেতে আমার সহ্য হয়ে গেছে যে এতে আমার মনে কোন দুঃখ আসেনা। বরং পেলেই ভাবি যে আমি পেলাম কেন! না পেলেই ভালো হতো। শেষবার যখন তোমার সাথে দেখা হয় তখন প্রশ্ন করেছিলে 'কেমন আছো'? আমি কোন উত্তর না দিয়ে চলে এসেছিলাম। আজ তোমার প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি 'তোমাকে ভালবেসেই ভালো আছি' এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারবোনা। আজও আমি রাত করে ঘরে ফিরি, কাউকে কিছু না বলে হঠাৎ হারিয়ে যাই, মানুষের প্রয়োজনে রাত-বিরাতে বের হয়ে যাই। যা ছিল তোমার কাছে কখনো ভালো লাগা,



কখনো বিরক্তিকর। কিন্তু আমি একটুও বুঝতে পারিনি যে কখন কেমন করে আমি তোমাকে হারিয়ে ফেলেছি। হয়তো তোমার লুকোচুরি খেলা পছন্দ ছিলনা, তাই তুমি আমার মত লুকোচুরি না খেলে একেবারেই চলে গেছো। আর আমি আজ শুধু আমার জীবন থেকে পালিয়ে বেড়াই , কিন্তু তোমার কাছ থেকে পালাতে পারিনি। প্রতিদিন



প্রতিক্ষণ শুধু নির্বাক আর্তনাদ করে যাই। তুমি বলতে 'আমার লিখাগুলো কেন আমি ছাপাইনা? তোমার একটা কষ্ট সবসময়য় ছিল যে তুমি অনেকবার অনেক চেষ্টা করেও, আমাকে লিখা ছাপানোর জন্য রাজী করাতে পারলে না। আমার চেয়ে তোমার মাঝে আক্ষেপ ছিল বেশি আমার লিখা নিয়ে। তোমার আক্ষেপটাকে আমি হেসে উড়িয়ে দিতাম "পাগলের লিখা কে পড়বে?" বলে। আজ একটা কষ্ট বারবার আমাকে পোড়ায় যে আমি কোনোদিন তোমার কোন কথা শুনিনি, কোন কথা রাখতে পারিনি। এটাই ছিল আমাকে নিয়ে তোমার একমাত্র অভিযোগ। মাঝে মাঝে রাগ করে বলতে ' তুমি কথা রাখতে জানোনা, তুমি একটা ভুলো মনের মানুষ, তোমাকে নিয়ে এই একটাই আমার ভয়।' আরও কত কি? কিন্তু তোমার সেই ভুলো মনের মানুষটা তোমাকে ভুলতে পারিনি। আজ আমার ভুলো মন কোথায় গেলোজানিনা। জীবনের জন্য হয়তো আজ ভুলো মনটা আমার খুব দরকার। কিন্তু পাইনা। বিশ্বাস করো যদি একটিবারের জন্য বুঝতে পারতাম তুমি থাকবেনা তাহলে সেইদিন তোমার সকল কথা আমি শুনতাম। আমি ভেবেছিলাম এখন যা অবাধ্য থাকার থাকি, বাকিটা জীবন বাধ্য ছেলের মত সব শুনবো। কিন্তু আফসোস ! তা আর হল না । কতদিন তোমাকে অপেক্ষায় রেখে আমি নাটকের মহড়া শেষ করতাম, সমাজসেবা করতে যেতাম, কারো কোন বিপদ হলে ছুটে যেতাম। যখন তোমার সাথে দেখা করতে আসতাম তখন একবারও জানতে চাইতে না কেন আমি দেরি করলাম, শুধু প্রতিদিন একটা কথাই জিজ্ঞেস করতে "তোমার কাজ হয়েছেতো? কিচ্ছুক্ষণ সময় আছেতো? আমি কোন উত্তর দিতাম না। শুধু হাসতাম । 'আমার কাজ হয়েছেতো' এই প্রশ্নটি আজ নিজের মনকেও জিজ্ঞেস করে উত্তর পাইনা। কিন্তু কি অবাক ব্যাপার! তুমি চলে যাওয়ার পর থেকে আমি কেমন করে জানি কথা রাখতে শুরু করলাম। তোমাকে একদিন যে কথা দিয়েছিলাম সেই কথা আজও রেখে যাচ্ছি ও যাবো। বলেছিলাম 'একা থাকবো' থাকছি, যত কষ্টই হোক একা আমাকে থাকতেই হবে। কারন, আমি যে কোনোদিন তোমার কোন কথা রাখতে পারিনি। অন্তত এই একটি কথা যদি আমি রাখতে না পারি তাহলে কেন তোমাকে ভালোবেসে ছিলাম? আমি ভালোবাসা কে অপমান বা ছোট করতে পারবোনা। ভালোবাসা অনেক কঠিন একটা জিনিস, সবাই ভালবাসতে জানে না। একজীবনে একবারেই ভালোবাসা আসে, জীবনের প্রয়োজনে বারবার ভালোবাসা বদলানো যায়না। যারা বদলায় তারা ভালবাসার মানেটাই জানেনা। দয়া করে আমাকে ভুল বুঝনা, আমার এইটা জিদ নয়, তোমার জন্য ভালোবাসা, এর জন্য আমাকে ক্ষমা করে দিও। মনে কোন কষ্ট নিওনা। ভেবে নিও সবাই সব কিছু পারেনা। কিন্তু সেইদিনগুলোতে তুমি প্রতিটা কথা রেখে যেতে, একদিন জিজ্ঞেস করেছিলাম 'তোমার এত কথা মনে থাকে কি করে?' তুমি বলেছিলে ' আমি তোমার মত মনভুলা মানুষ নাকি? আমি কথা দিলে কথা রাখতে জানি'।



ভাগ্যর কি নির্মম পরিহাস! আজ আমি তোমাকে দেয়া কথা রেখে যাচ্ছি আর তুমি জীবনের জন্য কথা না রেখে যাচ্ছ। আমি তোমার কাছ থেকে কথা কিভাবে রাখতে হয় তা শিখলাম, আর তুমি আমার কাছ থেকে কথা ভুলে যাওয়া শিখেছ। জীবনটা আসলেই বড় অদ্ভুত!



জানি আমার এই অপেক্ষার কোন মূল্য নেই। হয়তো সবাই আমাকে বোকা বলবে। কিন্তু নিজের কাছে একটা বড় প্রাপ্তি হল যে আমি ভালোবাসার জন্য কিছু করতে পেরেছি যা সবাই পারেনা। ভালোবাসা অনেক বড় যা সবাই পায়না,কিন্তু তুমি পেয়েছ আমি পেয়েছি। এই ভাবে হয়তো একদিন চলে যাবো সব ছেড়ে অনেক দূরে না ফেরার দেশে। সেইদিন হয়তো তুমি আড়ালে কাঁদবে 'কেন তুমি আমাকে একা ফেলে এসেছিলে' এই কথা ভেবে। আমি হয়তো দেখবনা কিন্তু আমি ঠিকই বুজবো তুমি আমাকে সত্যিই ভালবেসেছিলে, আমার ভালোবাসা আমি না থাকলেও তোমার সাথে ছায়া হয়ে থাকবে সবসময়য়।আমার কথা মনে পরলে আকশের অনেক তারার ভিরে দেখবে একটি তারা সবার চেয়ে আলাদা দূরে মিটিমিটি করে জ্বলছে ,সেই তারাটাই আমি মনে করে তারে দেখে নিও। সেইখানে আমাকে পাবে আর বুঝে নিও তোমার পাগলটা আজ তারা হয়ে তোমাকে ভালোবেসে আজও আলো দিয়ে যাচ্ছে।



আজ আর নয়, ভালো থেকে সবখানে,সবসময়।



ইতি

তোমারি 'এক হতভাগা পাগল'



চিঠি নং- ২ ( ২৪/০৭/২০১১ ,সময়- ভোর ৪ টা ৩০ মিনিট)

প্রিয়তমেসু

আশা করি ভালো আছো। তোমাকে আজ আবার চিঠি লিখার কারন তুমি। দুদিন আগে

আমার কাছে অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে তোমার ফোন পেয়ে আমি অবাক হয়ে যাই। আমার ভাবতেই

অবাক লাগছিলো যে তুমি কি সত্যিই ফোন করেছো নাকি আমি ভুল দেখছি? যাই হোক, অনেক

দিন পর দুর্ভাগ্যবসত হোক আর সৌভাগ্যবসত হোক তোমার কণ্ঠস্বর শুনতে পেলাম। তোমার

কণ্ঠস্বর ঠিক আগের মতোই শান্ত কিন্তু শাসনভরানো, নম্র কিন্তু আবেগ জড়ানো রয়ে গেছে।

যা শুনে আবার তোমার প্রেমে পড়তে ইচ্ছে করছিলো। ভাবছো কি সব আবোল তাবোল বলছি!

নিঃস্ব মানুষের আবোল- তাবোল কথা ছাড়া আসলে আর কোন সম্বল নেই। আমারও হয়তো তাই!

যাক, এইবার আসল কথা বলি। তোমার সেইদিনের ফোন করে কথা বলার উদ্দেশ্য আমি

বুঝেছি, তুমি চাচ্ছো যে আমি যেন সব ভুলে আবার নতুন করে জীবন শুরু করি। তোমার কথার

সুরেই তোমাকে বলছি- মানুষের জীবন কয়টা? একটা। তাহলে আমার জীবনও একটাই।এই

এক জীবনকে কতবার নতুন করে শুরু করা যায়?একবারই। তবে আবার কেন নতুন করে শুরু

করবার কথা বলছো? আমার জীবনতো শুরু হয়ে শেষ হয়ে গেছে। আমার শুরু করবার আর কিছু

নেই। এখন শুধু বেঁচে থাকার নামে বেঁচে থাকা। একজন মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যে পাঁচটি

মৌলিক চাহিদা (অন্ন, বস্র,বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা) দরকার তার সবগুলোই আমার আছে, তাহলে

আর নতুন করে শুরু কি করতে হবে? আমি জানিনা। আমার জীবনের শুরুতেই যে হোঁচট আমি

খেয়েছি তা আর চাইনা। আমি যেমন আছি তেমনি থাকতে চাই। আমি এখনো এত বড় স্বার্থপর

হতে পারিনি যে আর দশজনের মত বারবার এক জীবনকে যতবার ইচ্ছে পালটাবো। তুমি নিজেই

একদিন আমাকে বলতে " তুমি আর দশজনের মত নও, যার জন্য তোমাকে নিয়ে আমার ভয় হয়''।

আজ তোমাকে বলছি, আমাকে নিয়ে তুমি আর কোন ভয় বা চিন্তা রেখোনা। আমিতো সব কিছু শক্ত

করে সামলে বেঁচে আছি, মরেতো যাইনি। হয়তো একটু কষ্ট হবে কিন্তু বেঁচে থাকতে পারবো।

সেইদিন তোমাকে জিজ্ঞেস করলাম তুমি কেমন আছো? তুমি যে উত্তর দিয়েছিলে তা শুনে মনটা

অনেক অনেক খারাপ হয়ে গেলো। তুমি বললে "তুমি ভালো নাই", আমি আবার বললাম "তুমি কেন

ভালো নাই?" তুমি বললে 'কোন মানুষের জন্য যদি কেউ দূর থেকে মনে করে কাঁদে তাহলে তাঁর

সেই মানুষটা যত সুখের মাঝেই থাকুক না কেন মন থেকে সে কখনো সুখী হতে পারেনা।" তোমার

এই কথাটি শুনার পর তোমাকে আর কোন প্রস্ন করতে ইচ্ছে করলো না। নিজেকে তখন খুব

অপরাধী মনে হচ্ছিল। আজ তোমাকে বলি, তোমাকে মনে করে আমি কাঁদলে তুমি যদি সুখী

না হও তাহলে আর তোমাকে মনে করে না কাঁদার চেষ্টা করবো। কারন আমি মনে- প্রানে চাই

তুমি সুখে থাকো। কিন্তু এর পরেও যদি তোমাকে মনে করে আমার কান্না পায় তাহলে এই

অপরাধটুকু ক্ষমা করে দিও। তোমাকে না ভুলে থাকার অপরাধ। কারন তোমাকে ভুলে

থাকতে আমি পারিনি আর পারবোনা। তাই হয়তো তোমার কথা মত নতুন করে অন্য কাউকে

নিয়ে জীবনটা শুরু করতে আমি পারবোনা। আবার যদি কখনও নতুন করে এই পৃথিবীতে জন্ম

নিই তখন না হয় ঐ জীবনের জন্য নতুন করে অন্য কাউকে নিয়ে শুরু করবো,কিন্তু এই এক জীবনে

আর নতুন করে শুরু করতে পারবো না। জীবন একটাই, ভালবাসাও একটা।



আমি এখন আমাকে নিয়ে আর কোন স্বপ্ন দেখিনা, আমি শুধু এখন নিঃস্ব অসহায় মানুষদের

নিয়ে স্বপ্ন দেখি। আমার ইচ্ছে ঐ মানুষগুলোর জন্য কিছু করার, যারা স্বপ্ন দেখে অনেক কিছু পাবার,

অনেক কিছু করার কিন্তু সামর্থ্য নেই। আমি যদি তাদের অন্তত একজনের স্বপ্ন পূরণ করতে পারি

তাহলে সেইদিন ঐ মানুষটার হাসির মাঝেই না হয় আমার আজকের কষ্টের দিনগুলো মুছে যাবে।

কারন আর কেউ না জানুক আমি জানি স্বপ্ন দেখে স্বপ্ন পূরণ না হওয়ার কি কষ্ট!



ভালো থেকো, সুখে থেকো সবসময়।

তোমারি

এক হতভাগা 'পাগল'





চিঠি নং- ৩ (১৮/০১১/১১, সময়- রাত ২ টা ৫০ মিনিট)



প্রিয়তমেসু’



তোমার প্রিয় ‘শ্রাবণ’ এর অনেক অনেক শুভেচ্ছা নিও। জানিনা কোথায় আছো। শুধু জানি ও বিশ্বাস করি তুমি ভালো আছো, সুখে আছো। আর যাই হোক অন্তত তোমার এই “পাগলের’’ মত থেকোনা। অবশ্য তোমাকে এসব বলে লাভ নেই। তুমি অনেক অনেক শক্ত একটা মানুষ। কোন দুঃখই তোমাকে স্পর্শ করতে পারেনা। এতদিন পাশে থেকেও কেন আমি তোমার এই মহাগুনটা নিজের মাঝে আনতে পারলাম না জানিনা। হয়তো আমি “পাগল’’ বলে এসব মহাগুণ আমি রাখতে পারিনা। যাই হোক সেইটা আমারি ব্যর্থতা। যাকগে এসব বাজে কথা। “পাগল’’এর আবার সফলতা কি আর ব্যর্থতা কি সব সমান । আজ কয়েকদিন খুব বৃষ্টি হচ্ছে। বুঝতে পারলাম যে আমার মত ঐ ‘আকাশ’ সাহেবের অনেক দুঃখ। তাই তিনি গত কয়েকদিন ধরে অবিরাম কেঁদে যাচ্ছেন তো যাচ্ছেন। কবে নাগাদ উনার এই কান্না থামবে জানিনা। এই যা! আমি কাকে কি বলছি! আমিতো ভুলেই গিয়েছিলাম যে তোমার আবার ঐ “আকাশ” সাহেবের কান্না খুব পছন্দ। তুমি সারাবছর এই সময়টার জন্যই অপেক্ষা করতে। একবার তো তোমার অনুরোধ রাখতে গিয়ে সারাদিন দুজন ভিজলাম। সেইদিন বাসায় ফিরার পর থেকে আমার শরীরটা আস্তে আস্তে অনেক খারাপ করলো। এরপরে কি ঘটেছে তাতো তুমি জানোই। আমি জীবনের সবচেয়ে বেশী কঠিন জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দুই সপ্তাহ ঘরে পড়ে ছিলাম। অবশ্য জ্বর হওয়াতে ভালোই হয়েছিলো। কারন তুমি প্রতিদিন আমাকে বাসায় দেখতে আস্তে। কয়েকটা দিন সব পাগলামি ফেলে তোমাকে সেই প্রথম ও শেষ একটানা সময় দেয়া। আমার মাতো তোমার আসার দেরি দেখলে উনি নিজেই তোমাকে ফোন দিতেন। এই জ্বরের মধ্যে তোমাকে একদিন প্রস্ন করেছিলাম যে “তোমাকে সময় না দেয়ার কারনেই কি তুমি আমাকে বৃষ্টিতে ভিজালে যাতে আমি অসুস্থ হয়ে কয়েকদিন ঘরে থাকি আর তোমাকে সময় দিই!?” তুমি তার কোন উত্তর না দিয়ে শুধু মুচকি হেসে বললে “তোমার যা ইচ্ছে ভাবো”। সেইবার আমি প্রথম বুঝতে পারলাম যে তুমি কত শক্ত মনের মানুষ। দুজনে একসাথে ভিজলাম কিন্তু তুমি ছিলে পুরো সুস্থ আর আমি ঐ দিনেই অসুস্থ হয়ে পরলাম। আজ ভাবি যে তোমার কথা রাখার গুনটি না পেয়ে এই শক্ত মনের মানুষ হওয়ার গুনটি যদি আমি পেতাম তাহলে আজ আমার জীবনটাও এমন ‘নিরামিষ’ ও কষ্টের হতোনা।



আজ তোমাকে একটি প্রশ্ন করতে ইচ্ছে হচ্ছে, তুমি যে সবসময় ‘আকাশের কান্না’ পছন্দ করতে তাই বলে কি যাবার সময় আমাকে ‘আকাশ’ এর মত এত অসিম জলরাশি চোখ দিয়ে ঝরানোর জন্য দিয়ে গেলে? তুমি কি কখনো কেঁদেছো? কাঁদনি, তাই বলে হয়তো তুমি জানোনা যে কান্নার কি কষ্ট! কত কষ্ট পেলে একটা মানুষ কাঁদতে পারে? যদি জানতে তাহলে কখনো কারো কান্না তোমার ভালো লাগতো না। ঐ ‘আকাশ’ আর আমার মাঝে পার্থক্য একটাই, তা হলো আকাশের কান্নাটা সবাই দেখে কিন্তু আমার কান্নাটা পৃথিবীর কেউ দেখে না। ‘আকাশ’ এর বুকে ধীরে ধীরে জমতে থাকা কষ্টগুলো সে ‘বৃষ্টি’ নামে ঝড়িয়ে দেয় আমিও আমার বুকের জমে থাকা কষ্টগুলোকে সবার আড়ালে কান্না নামে চোখ দিয়ে ঝড়িয়ে দেই।



ভালো থেকো সবসময়।

ইতি

তোমারি হতভাগা ‘পাগল’

চিঠি নং- ৪ (১২/০১//১২, সময় সন্ধ্যা ৬ টা ১৯ মিনিট)

প্রিয়ত্মেসু

পত্রের শুরুতে রইলো অনেক অনেক ভালোবাসা ও শুভকামনা। আজ অনেকদিন পর তোমাকে কিছু বলতে ইচ্ছে করছে তাই এই চিঠিখানা লিখতে বসা। জানিনা! এই চিঠিখানা কোনদিন তোমার হাতে পৌঁছাবে কিনা? কোনদিন তুমি জানতে পারবে কিনা? তবুও সান্ত্বনা এই যে তোমাকে ভেবেই চিঠিখানা লিখা আর মনের ভাবখানা এই যে তোমাকেই যেন বলছি। এইটুকু সান্ত্বনা নিয়েই মনের গভীরে জমে থাকা কষ্টগুলো একটু হালকা করা ছাড়া আর কিছুই নয়। কি করবো বলো ? আমার তো মনের কষ্টের কথা শোনার মত একটি মানুষও নেই। তাই নিজের সাথে নিজেই কথা বলে নিজেকেই নিজে সান্ত্বনা দিয়ে পথ চলছি, চলবো বাকীটা জীবন।

তোমার নামের অর্থ ছিল 'দিন' কিন্তু সেই তুমি একটি মানুষের জীবন কে উপহার দিলে 'রাতের ঘুটঘুটে অন্ধকার'। যে রাতের আধার আজো সেই মানুষটার জীবন থেকে কেটে যায়নি। তাইতো যে রাতে সারা পৃথিবী থাকে ঘুমিয়ে শুধু সেই মানুষটা থাকে জেগে!যে কিনা 'তুমি' চলে যাওয়ার পর থেকে একটি রাতও ঘুমাতে পারেনি, ঘুমাতে যায়নি! এটাই নিয়ম, ভালবাসার রাতের ঘুম কে সেই দুঃখ পাওয়া মানুষটা তোমাকে উৎসর্গ করে দিয়েছে তাঁর নিজের সব ঘুম তোমার চোখে দিয়ে। তাইতো সে আছে এবং থাকবে সারা জীবন রাতজেগে যেন একটিবারের জন্যও তোমার শান্তির ঘুম নষ্ট না হয়! কারন একটি নির্ঘুম রাতের যন্ত্রণা যদি কোনভাবে তুমি বুঝতে পারো তাহলে তোমার এতো সুখ আর সুখ থাকবেনা। প্রতিটা মুহূর্ত ঐ দুঃখ পাওয়া মানুষটার মলিন মুখ তোমার চোখের সামনে ভেসে উঠবে যা তোমার সুখের জীবনকে মুহূর্তে লণ্ডভণ্ড করে দিবে! যা দুঃখ পাওয়া মানুষটা চায় না।যা আমি চাইনা কোনদিন। তাইতো নিজেকে সুখী না করে আমার পাওনা সুখগুলো তোমাকে লিখে দিলাম যেন কোন না পাওয়ার কষ্ট তোমাকে কোনদিন স্পর্শ না করে। তুমি মাঝেমাঝে ফোন দিয়ে আমার খবর নেয়ার চেষ্টা করো ,কিন্তু আমি তোমার সেই ফোন ধরি না। যার জন্য হয়তো ভাবছো তোমাকে ভুলে গেছি, নিজেকে সাজিয়ে নিচ্ছি ! কিন্তু না! তার কিছুই আমি করিনি এবং করবো না কোনদিন। কারন আমারতো জীবনে কিছু পাওয়ার নেই।কিছু চাওয়ারও নেই। যেটুকু করছি সেইটুকু শুধু বেঁচে থাকার সময়গুলো পার করার জন্য করছি। তোমার ফোন না ধরার কারন ২ টি। ১- নিজেকে অনেক কষ্টে সামলে নিয়ে কঠিন ও নির্দয় এক মানুষ হিসেবে নিজেকে তৈরি করেছি। যাকে কোন দুঃখকষ্ট কাঁদাতে পারেনা। যাকে বলে ' অল্প শোকে কাতর আর অধিক শোকে পাথর'' । সেই পাথরটাই হয়েছি। তোমার কণ্ঠ শুনে নিজেকে সামলে রাখতে পারবো না,হয়তো চোখ বেয়ে নীরবে অশ্রু ঝরবে যা তুমি দেখবে না। আর সেই অশ্রু হয়তো আমার পাথরের মত শক্ত মনটাকে একটু হলেও নরম করে দিতে পারে, যা আমি চাইনা। তাই তোমার কাছ থেকে পালিয়ে বেড়ানো।

২) আমি 'থিয়েটার নাটক 'এর চরিত্রে একজন প্রতিভাবান সম্ভাবনাময় অভিনেতা হলেও তোমার সাথে কোনদিন অভিনয় করতে পারিনি আর আজো পারবো না। তুমি জিজ্ঞেস করবে 'কেমন আছো' ? এই প্রশ্নের উত্তরে আমি তোমাকে যদি বলি খুব ভালো আছি তাহলে সেইটা হবে আমার নিজের সাথেই নিজের প্রতারণা। পৃথিবীর কেউ না জানুক, আমিতো জানি যে ভিতরে ভিতরে আমি কেমন আছি! তোমার সাথে মিথ্যে কথা ও ভালো থাকার মিথ্যে অভিনয় না করার জন্যই এই পালিয়ে থাকা। এর জন্য আমাকে ক্ষমা করে দিও প্লিজ!

তুমি জানো না! আজ আমি কোথাও নিজেকে স্থির করে রাখতে পারিনা। তাইতো আজ এখানে তো কাল ওখানে এই করে ঘনঘন চাকরি ছাড়ি! কি করবো বলো? আমিতো সারাটা জীবন স্থির থাকতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমার ভাগ্য যে সেই স্থিরতা নেই তা কি আমি জানতাম? তাইতো শুধুই অস্থির ভাবে ছুটে চলা। কিন্তু একটা জায়গায় আমি ঠিকই স্থির , তা হলো 'তুমি' মানে 'তোমাতে' ! যে তোমাকে একদিন ভালবেসেছিলাম সেই তোমাকেই আজো ভালবেসে যাচ্ছি। যে ভালবাসায় তুমি চলে যাবার পরেও কোনদিন কাউরে জড়াইনি, জড়াবো না কোনদিন। বলতে পারো 'জাতে মাতাল তালে ঠিক' এর মতো। যত কিছুই হোক সেই তোমারই রয়ে গেছি ও রয়ে যাবো। তার জন্যই তো এতো অস্থিরতায় নিজেকে রাখি সারাক্ষণ যেন কেউ ভুলেও আমার সাথে জড়ানোর সাহস না করে। এটাও যদি আমার অপরাধ হয় তাহলে ক্ষমা করে দিও প্লিজ!

জানিনা! জীবনের কোন প্রান্তে আবার তোমার সাথে আমার দেখা হবে! সেদিন হয়তো ২জনের মাঝে অনেক ব্যবধান থাকবে আর থাকবে খুব চেনা ,খুব আপন দুটি মানুষ কত অচেনা ,কত পর হতে পারে সেই প্রশ্নের জটিল এক সমীকরণ! যেখানে দুজন চেনাজানা মানুষ সম্পূর্ণ অচেনা রূপে। যে সমীকরণ এর উত্তর কোনদিন পাওয়া যাবে না। শুধু দুজনের ভেতর থাকবে একই হাহাকার আর একই প্রশ্ন '' ভাগ্যর পরিহাস কেন এতো নির্মম হয়"? এতোটা পথ কেউ পার হয়েছে একা আর কেউ পার হয়েছে কোন সাথী নিয়ে! কে সফল? ঐ একা মানুষটি ? নাকি সাথী নিয়ে চলা ঐ মানুষটি?

বহুদিন পর হঠাৎ দেখা হবার আনন্দটা এক নিমিষেই উড়ে মলিন হয়ে যাবে যদি '' প্রশ্ন করো কেন একা রয়ে গেলে"? কারন প্রশ্নের জবাব টা তোমার জানা যা তোমাকে অপরাধীর কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে!

চিঠি দীর্ঘ করে তোমার মূল্যবান সময় নষ্ট করবো না। সবশেষে তোমাকে আবারো শুভকামনা ও ভালোবাসা জানিয়ে বিদায় নিচ্ছি আর বিশ্বাস রেখো এই পৃথিবীতে একজন পাগল তোমাকেই ভালবেসে বেঁচে আছে।

ইতি

তোমারই এক 'হতভাগা পাগল'

নিচের এই গান ও আবৃতির মতো উপরের প্রেম কাহিনীর সর্বশেষ পরিস্থিথি-











এই লিঙ্কে ক্লিক করে নিজের সর্বনাশ ডেকে আনবেন না





মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫২

সান্টু বলেছেন: চার চারটা পড়ে গলে আর আপনি আজ এই পোষ্ট দিলেন কেন?
অন্য দিন দিলে ভালো পাঠক পাইতেন।

আজ আর পাঠক পাবেন বলে মনে হয় না।

আজ না দেওয়াই উচিত ছিল।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৬

কবি ও কাব্য বলেছেন: সানটু ভাই আপনার কথা বুঝতে পারিনি।

২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৩

গাধা মানব বলেছেন: ভালোবাসা অনেক কঠিন একটা জিনিস, সবাই ভালবাসতে জানে না। একজীবনে একবারেই ভালোবাসা আসে, জীবনের প্রয়োজনে বারবার ভালোবাসা বদলানো যায়না। যারা বদলায় তারা ভালবাসার মানেটাই জানেনা।[/sb

+++++++++++++++

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৮

কবি ও কাব্য বলেছেন: সহমত এবং অনেক ধন্যবাদ। সবাই ভালবাসতে জানে না। যারা জানে তারা ভালোবাসা পায় না। এটাই নিয়ম।

৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:০৪

ঈষাম বলেছেন: হায়রে ভালবাসা !:(

৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:০৬

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: বাপরে...

৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৩৫

সুহাসলেলিন বলেছেন: ভালবাসার সংজ্ঞায় কি আছে জানিনা !!!
মাঝে মাঝে মনে হয় ভালবাসা হয়তো কান্নার দেয়ালে রচিত একটি "কষ্টঘর" যেখানে থাকতেই হয় "তাকে ভালবাসি বলে...."

৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৪২

তিথির অনুভূতি বলেছেন: ++ ভালবাসি

৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৫৪

কে আই তাজ বলেছেন: রোমাঞ্চ আর রোমাঞ্চ/ সজনি সাঁঝের ও তারা হয়ে কেন আমার আকাশে এলে>> মাথা খারাপ হইয়া যায় গানটা শুনলে

৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:০০

নাফিজ মুনতাসির বলেছেন:
মন একটু ভালো করলাম সারাদিনে আবারও :( :( :(

হায়রে ভালোবাসা!!!!

৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৫:৩৬

লারনার বলেছেন: ভালবাসা জন্য

আজও হাসিমুখে আমি বিষাদ নিয়েই হাঁটি-----

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.