![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
\\\" আমার মায়ের প্রতি আমার বাবা, যেদিন বাতাসে ছুঁড়ে দিয়েছিলেন প্রথম চুমু, তার থেকেই জন্ম নিয়েছিল পৃথিবীর প্রথম প্রজাপতি টি\\\"\\[email protected]
মুহম্মদ জাফর ইকবাল,তার সাহিত্যিক পরিচয়ের থেকেও তিনি আমার কাছে আমার খুব প্রিয় একজন মানুষ,তিনি যে দেশে জন্ম নিয়েছেন সেই দেশে হাজারো সমস্যা থাকা সত্ত্বেও কখনো এই দেশ কে তার মৃত চিন্তা ভাবনার দেশ বলে মনে হয় নাই,এই মানুষটি একটা জিনিস খুব ভালো পারেন।এই মানুষটি স্বপ্ন দেখতে জানেন,স্বপ্ন দেখাতে জানেন।তার স্বপ্ন গুলো দেশ কে ঘিরে,দেশের মানুষ কে নিয়ে।তিনি তার লেখায় প্রথমে দেশের সমস্যা গুলো তুলে ধরে শেষে তার থেকে উত্তরণের উপায় গুলো বলে দেন,তখন আমার ও নতুন করে আশা জাগে,নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করি।দেশে হাজারো সমস্যা থাকা সত্ত্বেও আমার তখন মনে হয় সত্যি ই এই দেশটা একদিন জ্ঞান বিজ্ঞানের এভারেস্ট এ উঠে যাবে।
সাহিত্যিক জাফর ইকবাল প্রধানত একজন শিশু কিশোর সাহিত্যিক,আমাদের বাংলাদেশের সাহিত্যে শিশুদের নিয়ে খুব একটা লেখা হয় নি,বাংলাদেশের অধিকাংশ লেখকদের অদ্ভুত একটা মানসিক ব্যাধি আছে।এদের ধারনা শিশুদের নিয়ে যারা লেখেন তারা বড় মাপের সাহিত্যিক না,বড় মাপের সাহিত্যিক হতে হলে বড়দের নিয়ে লেখো (আমি নিজেও এই রোগে আক্রান্ত )।যারা কিছুটা শিশু কিশোর দের জন্য লিখেও থাকেন তাদের সেই লেখাটা হয় ভূত সম্প্রদায় নিয়ে লেখা অদ্ভুত হাস্যকর কিছু লেখা।আমাদের বাংলা ভাষার সাহিত্য দুই প্রকারের ১।পশ্চিম বঙ্গের সাহিত্য বা মাসি পিসিদের সাহিত্য ২।আমাদের বাংলাদেশের সাহিত্য বা আপা দুলাভাইদের সাহিত্য।মাসি পিসিদের সাহিত্যে শিশু কিশোর সাহিত্য বেশ সমৃদ্ধ।স্বাধীন বাংলাদেশে বা তার আগে পূর্ব বঙ্গে সেই তুলনায় শিশু কিশোর নিয়ে আমি বলবো কিছুই করা হয়নি।কিন্তু তারপরেও আমাদের দেশে জাফর ইকবাল শিশু কিশোর নিয়ে লিখেছেন এবং প্রচুর লিখেছেন,আমি তাকে বাংলা ভাষায় লেখা আধুনিক কল্প কাহিনির জনক বলবো।তার মত পর্যায়ের লেখক ওপার বাংলায় ও জন্ম হয়নি।
যাই হোক এবার মূল কথায় আসি,জাফর ইকবাল স্যার এর একটা আত্মজীবনীমূলক বই আছে,তার লেখা অনেক গুলা আত্মজীবনীমূলক বই এর মধ্যে এটা একটা।বইটার নাম “রঙ্গিন চশমা”।লেখকের বিশ্ববিদ্যালয় পড়া কালীন সময়ের ঘটনা নিয়ে লেখা এই বই।লেখক তার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ঘটে যাওয়া বিচিত্র সব ঘটনা ও সেই সময়ের তার পরিবারের কথাও বইয়ে তুলে ধরেছেন।বইটার একটা অধ্যায়ে পড়লাম লেখক সেই সময়ে বাংলাদেশ টেলিভিশনে একটা অনুষ্ঠানের সাথে যুক্ত ছিলেন।শিশু দের নিয়ে বিজ্ঞান জিজ্ঞাসার একটা অনুস্থান।অনুষ্ঠান টির নাম “কিন্তু কেন”।লেখক লিখছেন “টেলিভিশনের এই অনুষ্ঠানটিতে আমার একটা বড় সুবিধে হয়েছিল।আমার নিয়মিত অর্থোপার্জনের একটা একটা ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছিল।যতদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলাম নিজের খরচ নিজেই চালিয়ে নিয়েছি,বেশ সম্মান জনক উপায়েই।প্রাইভেট টিউশনির মতো অসম্মানের কাজ করতে হয় নি”।(রঙ্গিন চশমা,পৃষ্ঠা ৭৩)।
লেখকের লেখার এই অংশ গুলো পড়ে আমাকে প্রচণ্ড বিস্মিত হতে হয়।জাফর ইকবাল স্যার এর মত একজন মানুষ বলছেন প্রাইভেট টিউশনি করা অসম্মান জনক একটি কাজ।স্যার এর কাছে আমার প্রশ্ন আপনি যেহেতু কখনো প্রাইভেট টিউশনির মতো কোন কাজ করেন নাই তাহলে আপনি কিভাবে বুঝলেন যে এই কাজটি বা এই পেশাটি অসম্মান জনক?স্যার সবাই তো আর আপনার মতো ভাগ্য নিয়ে জন্মায় নাই, তাই আমার মতো আর অনেককেই আপনার ভাষায় এই অসম্মান জনক কাজটি করতে হচ্ছে।
দুঃখিত স্যার প্রাইভেট টিউশনি অসম্মানের একটি কাজ আপনার এই কথাটি মানতে পারছি না।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৫১
সাদী ফেরদৌস বলেছেন: কোনো বিখ্যাত মানুষ তার জীবনী লেখার সময় অনেক মিথ্যা কথা লেখেন, জাফর ইকবাল স্যার এর ক্ষেত্রে এটা হয়েছে এটা না ভাবাই ভালো,তিনি আমাদের সময়ের একজন শ্রেষ্ঠ মানুষ
২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৪২
শরীফ মাহমুদ ভূঁইয়া বলেছেন: সুবিধাবাধী লোক, যখন ঢেউ যেদিক থাকে সেদিকে পাল তুলে, স্রোতের বিরুদ্ধে যেতে ভয় পায়।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৫৩
সাদী ফেরদৌস বলেছেন: হতে পারে, উনি সম্ভবত সাতার জানেন না , এই জন্যই হয়ত ভয় পান
৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:২৯
সোহানী বলেছেন: সহমত.... টিউশনি কোনক্রমেই অসন্মানজনক পেশা হতে পারে না কারন ভার্সিটির ৯৫% ছেলে মেয়ে জীবন চালায় এ পেশায়। বইটি আমি পড়িনি তবে যদি উনি লিখে থাকেন তা'হলে প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৫৪
সাদী ফেরদৌস বলেছেন: জি এটা উনি বলেছেন, বইটা সময় করে পড়ে দেখবেন বলে আশা করছি , আপনার প্রতিবাদ স্যার কে জানানোর চেষ্টা করব আমি, ধন্যবাদ
৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:১৫
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: "প্রাইভেট টিউশনির মতো অসম্মানের কাজ করতে হয় নি"...যদি তিনি সত্যিই একথা লিখে থাকেন তবে তার কানে ধরে উঠবস করা উচিৎ।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৫৬
সাদী ফেরদৌস বলেছেন: জি তিনি সত্যি ই এই কথা বলেছেন, আর বিকল্প অন্য কিছুর কথা চিন্তা করা যেতে পারে। শিক্ষক মানুষ, কানে ধরবেন কেন !
৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাবের চোটে তালা হারায় ফেলে মাঝে মাঝে এই আরকি!!!
এখানে কষ্টকর বা পরিশ্রমি অথবা প্রচন্ড প্রেসারের কাজ বলতে পারতেন!
টিউশনি, লজিং, এই দেশের আষ্টেপৃষ্ট জড়িয়ে!
নাকি উনার ভাইয়ের জীবনিতে প্রকাশিত জীবনের কষ্টকর সত্যকে ঢাকতে এই অপচেষ্টা!!!
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৫৮
সাদী ফেরদৌস বলেছেন: বুঝলাম, ধন্যবাদ আপনাকে
৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:১৭
বুড়া ভাম বলেছেন: [img|http://s3.amazonaws.com/somewherein/pictures/basar254/02-2015/7eace6abc9570625dbc5c66fed2bbcb0_tiny.jpeg
আমার ও একজন প্রিয় লেখক । কিন্তু এইটা খেয়াল করার পর মন খারাপ হয়ে গেল ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:২৪
নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: জাফর ইকবারের আত্মজীবনী অনেকটা চানাচুরের মত। টেস্টিং সল্ট থাকায় খেতে ভালোই লাগে। কিন্তু চাপাবাজির সাথে সাথে এমন কিছু কথা বলে থাকে, যেগুলো তার বাচলামি অথবা বেকুবি প্রকাশ করে। মূলত সায়েন্স ফিকশন লেখক হলেও সে সাকিব আল হাসানের মত অলরাউন্ডার হতে চায়। তাই আদতে সব কিছু করতে যেয়ে অনেক কিছু কেঁচিয়ে ফেলে।