নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাঙলা ও বাঙালির জয় হোক

একমাত্র ভালোবাসাই পারে অনুভব করতে গভীরতম কবরের নৈঃশব্দ্যতা কে

সাদী ফেরদৌস

\\\" আমার মায়ের প্রতি আমার বাবা, যেদিন বাতাসে ছুঁড়ে দিয়েছিলেন প্রথম চুমু, তার থেকেই জন্ম নিয়েছিল পৃথিবীর প্রথম প্রজাপতি টি\\\"\\[email protected]

সাদী ফেরদৌস › বিস্তারিত পোস্টঃ

"তবে বঙ্গভবনে ঢুকে আমি একজনকেই খুন করবো। নাম জানতে চান? খন্দকার মোস্তাক নামের শ্বেতসর্পকে।"

২২ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৭



কর্নেল ফারুক অক্টোবরের শেষ দিকে (পচাঁত্তুর) এতোটাই আতংকে অস্হির যে, বঙ্গভবনে আরো আটটা ট্যাংক মোতায়েন করলেন। এই নিয়ে ষোলটা ট্যাংক এখন বঙ্গভবন ঘিরে। তবে আতংক কমছে না কিছুতেই।
আতংকগ্রস্থ হবার মূল কারণ ঘাড় ত্যারা ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ। অনেকেই বঙ্গভবনে এসেছে, ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের দেখা মেলেনি। সে যা করছে তা ভয়ার্ত হবার জন্য যথেষ্ট।



তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু কর্নেল হুদা তার সাথেই আছেন। রংপুর ক্যান্টনমেন্ট থেকে, দশ ও পনেরো ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ধেয়ে আসছে। শুধু ট্যাংক দিয়ে এই বিশাল রেজিমেন্টগুলো কিভাবে ঠেকানো সম্ভব।

উপায়ান্তর না দেখে, ফারুক টেলিফোন করলেন জেনারেল ওসমানীকে। একমাত্র তিনিই সিনিয়রমোস্ট হিসাবে সর্বজন শ্রদ্ধেয়। ওসমানী গম্ভীর ভাবে বললেন, দেখা যাক, আমি অনুরোধ করতে পারি অর্ডার করতে পারি না।



নভেম্বরের তিন তারিখ, রাত আনুমানিক আট টা :

ওসমানী : খালেদ, কি হচ্ছে এসব।
খালেদ : এখনো তেমন কিছু হয়নি স্যার। আপনি ওদের বলুন, ট্যাংকগুলো ঘরে ফিরে যাক।
ওসমানী : আমি কাল বঙ্গভবনে যাচ্ছি, তুমিও আসো। আমরা কথা বলি। মেজর রশীদ তোমার সাথে কথা বলতে চাচ্ছে।
খালেদ : আমি কোন খুনি দেশ পরিচালক মেজরদের সাথে কথা বলবো না, যদি না তারা চেইন অব কমান্ডে আসে। এরা ব্যারাকে না ফেরা পর্যন্ত আমার চোখে খুনী এবং রাষ্ট্রদ্রোহী।
ওসমানী : থতমত খেয়ে বললেন, বঙ্গভবনে জোর গুজব, তুমি জিয়াকে হত্যা করেছ? সত্যিই নাকি?
খালেদ : আমি রক্তপাতে বিশ্বাসী নই। জিয়াকে আটক করা হয়েছে, হত্যা নয়। তবে বঙ্গভবনে ঢুকে আমি একজনকেই খুন করবো। নাম জানতে চান? খন্দকার মোস্তাক নামের শ্বেতসর্পকে।
ওসমানী : কোন হঠকারী সিদ্ধান্ত নেবে না খালেদ।
খালেদ : যেসব মেজর হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে একটা জাতীকে পঙ্গুত্বের দিকে ঠেলে দিয়েছে, দয়া করে সেই মেজরদের বোঝাবেন স্যার।
ওপাশ থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস আর তার পরপরই কুট করে লাইন কেটে যাবার শব্দ।

কৃতজ্ঞতাঃ সাইফ রাজু

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মেজর খালেদ, কর্নেল হুদা, কর্নেল হায়দারের মৃত্যু খুব পীড়িত করে । খালেদ যদি সফল হতে পারতেন, ইতিহাস অন্যরকম হতো!

২২ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:১০

সাদী ফেরদৌস বলেছেন: একমত , বঙ্গবন্ধু মৃত্যু পরবর্তী ৭৫ এ খালেদ মোশাররফ এর মৃত্যু পুরো বাংলাদেশের ইতিহাসই পাল্টে দিয়েছিলো । দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে পুরোপুরি আপোষহীন শেষ ব্যাক্তিটিকেও শেষ করে দেয়া হল । এদের মৃত্যুতে আমিও খুব পীরিত হই ।

২| ২২ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: এই লেখাটা খুব সম্ভবত হুমায়ুন আহমেদের দেয়াল থেকে তুলে দেয়া। আমার জেঃ ওসমানীকেও পছন্দ না

২২ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:১১

সাদী ফেরদৌস বলেছেন: খুব সম্ভবত , ওসমানীকে পছন্দ না করার কারন কি জানতে পারি ? আমার ও কিছু মত আছে , আপনার টা শুনি ।

৩| ২২ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:২৪

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ব্লগ মন্তব্যে বলা সম্ভব না। তবে মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি হইলেও যুদ্ধের সময়ে উনার নেয়া অনেক সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য প্রচন্ড খারাপ হইতে পারতো। ভারত সরাসরি অংশ না নিলে যুদ্ধ আরো অন্তত ২ বছর চলতোই। উনার অনেক একগুয়েমী সিদ্ধান্ত মুক্তিবাহিনীর শক্তি আসলে হ্রাস করে কার্যকর গেরিলা যুদ্দের জন্য। আবার আমার অতি দাম্ভিক, অতি জাতীয়তাবাদী কাউরেও পছন্দ না।

২২ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৪৭

সাদী ফেরদৌস বলেছেন: হুম , সহমত পুরোপুরি । আমার মনে হয় আজকে আমরা যাদের নিয়ে জাতীয় ভাবে গর্ব করি তাদের তাদের প্রকৃত পরীক্ষা মুক্তিযুদ্ধে হয় নি , হয়েছে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর । বঙ্গবন্ধু হত্যার পর এদের আসল চেহারা খুলে যায় । খন্দকার সাহেবের বইতে উনি জিয়া সহ এই সব সামরিক বাহিনির সদস্যদের বলেছেন চরম কাপুরুষ , জিয়াকে তিনি খালেদের ভয়ে কাঁপতে দেখেছেন । আবার বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তাজউদ্দীন রা কোন আপোষ করেননি , পরিবারের কথা না ভেবে মৃত্যুকে বরণ করে নিয়েছেন । আমাদের কে এখন বুঝতে হবে আমাদের জাতীয় বীর আসলে কারা ।
ধন্যবাদ আপনাকে ।

৪| ২২ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৫১

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: অল্প সময়ে দেশ স্বাধীন হইছে, অনেক অল্প সময়েই। আরো লম্বা সময় ধরে অনিশ্চয়তায় থাকলে প্রকৃত দেশপ্রেমিকদের চেনা যাইতো।

বঙ্গবন্ধু মারা যান তার শাসনামলের নানা ঘটনাবলীর অনিবার্য পরিনতি হিসেবে। একটা অস্থির দেশ চালাইতে ধুর্ত লোক লাগে, চতুর হইতে হয়। উনি শাসনের ব্যাপারে কতটা পটূ কিংবা ধুর্ত ছিলেন ওইটা প্রশ্ন করার মতো। আবার উনার এই পরিন্তির কারন উনার একান্ত নিজের লোকেরাই। চোর চোট্টায় উনার চারপাশ ঘেরা ছিলো, ছিলো এমন অনেকেই, যারা হয়তো পরিস্থিতি আর আসল ব্যাপার গোপন রাখতো উনার থেকে। এইসব লোকেদের গলা বেশি চলে, বিপদে কাজে লাগেনা। এই যেমন, জাদরেল ছাত্রনেতা তোফায়েল আহমেদ এখনো বক্তব্য ভালোই দেন। কিন্তু কোথায় ছিলেন উনি আর উনার রক্ষী বাহিনী যখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হইছিলো?

জিয়ার সততা নিয়ে মানুষ প্রশ্ন করেনা, কিন্তু ক্ষমতালিপ্সা ছিলো। তাহের বীর হন আর যাই হন, সেনাবাহিনীকে নিয়ে রাজনীতিতে জড়ানো আর অভ্যুত্থানের চেস্টার পরিনতি ফাসিই ছিলো। জিয়া কিংবা অন্য কেউ তাহেদের মতো বারুদকে জেলে রাইখা শান্তি পাইতোনা। এইসব এইদেশের অস্থির সময়ের কথা। আসল উত্তর পাওয়া কখনোই সম্ভব না।

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:০৯

সাদী ফেরদৌস বলেছেন: অল্প সময়ে দেশ স্বাধীন হইছে, অনেক অল্প সময়েই। আরো লম্বা সময় ধরে অনিশ্চয়তায় থাকলে প্রকৃত দেশপ্রেমিকদের চেনা যাইতো।

সহমত শতদ্রু । জিয়া , তাহের এসব অনেক কথা , অনেক যুক্তি । মেনি ম্যান মেনি মাইনডস । আসল উত্তর পাওয়া কখনো সম্ভব না হলেও , এর কাছাকাছি যাওয়া যায় বা একটা যৌক্তিক পরিণতিতে যাওয়া যায় ।

৫| ২২ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৫৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ”ঙ্গভবনে ঢুকে আমি একজনকেই খুন করবো। নাম জানতে চান? খন্দকার মোস্তাক নামের শ্বেতসর্পকে।” শাবাস !!!

৬| ২২ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৫৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এই লেখাটা খুব সম্ভবত হুমায়ুন আহমেদের দেয়াল থেকে তুলে দেয়া।-- দেয়াল খুব আগ্রহ নিয়ে পড়েছি। শেষ পর্যন্ত তা আর উপন্যাস মনে হয়নি। মনে হয়েছে- নিজের কথা বা ডায়েরী। তবে লেখক সুস্থ থাকলে তিনি এটাকে খুব ভাল একটি রুপ দিতে পারতেন।

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:১১

সাদী ফেরদৌস বলেছেন: খুব সম্ভবত । তবে ভাই আমি দেয়াল পড়িনি ।

৭| ২২ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:০১

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: এই পোষ্ট সম্পর্কেই প্রাসঙ্গিক একটা কথা বলতে ভুইলা গেছিলাম। বঙ্গবন্ধু তাজউদ্দীনদের রাইখা মোস্তাকদের আপন ভাবছিলেন। মানুষ চিনতে জাতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেতার কি বিরাট ভুল। চাটুকারদের থাইকা সাবধান থাকা উচিত, সে যত বড় নেতাই ওকে আর সাধারন একজন মানুষই হোক। এরা সর্বনাশ ডাইকা আনে।

৮| ২২ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:০৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সময় কালে অনেক কিছুই চেনা যায় না। আজ আমরা অনেক পর বুঝতে প‍ারছি যে, অমুক খারাপ, তমুক বদ ইত্যাদি। অথচ সেই সময় হয়তো তারাই ছিল অপরিহার্য।

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:১২

সাদী ফেরদৌস বলেছেন: সহমত ।

৯| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৯

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: আসলেই তুলনামূলক কম সময়ে স্বাধীনতা পাওয়ায় বাঙ্গালী আজও স্বাধীনতার মর্ম বুঝতে পারে নাই!
আর বঙ্গবন্ধুর মত নেতা মানুষ চিনতে ভুল করেছেন বলেই আজকে দেশে চিত্র পাল্টে গেছে...আর যাঁরা তাকে শত্রু-মিত্র চেনাতে চেয়েছে তাঁদেরকেই তিনি শত্রু ভেবেছেন...মূলতঃ তারই ভুলের মাশুল দিতে হচ্ছে আজ আমাদেরকে!

০১ লা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:২৪

সাদী ফেরদৌস বলেছেন: ঠিক বলেছেন , সহমত । বঙ্গবন্ধু মানুষ চিনতে ভুল করেছিলেন । পলাশি থেকে ধানমণ্ডি

১০| ০১ লা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:১৪

দূরের পথযাত্রী বলেছেন: বাংলাদেশ ওল্ড ফটো আর্কাইভের ফেসবুক পেজে একবার মুশতাকের ছবি দেয়া হয়।সেখানে একজন কমেন্ট করেছিল যে,মুশতাক সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু নাকি বলেছেন,''তোমরা ওকে চেননা।আমি ওকে চিনি।তার মাথায় এতো প্যাঁচ যে একটা পেরেক ঢুকালে তা স্ক্রু হয়ে বেরিয়ে আসবে'' ।সত্যিই বলেছেন কিনা শিউর না।

০১ লা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:২৬

সাদী ফেরদৌস বলেছেন: কি জানি ভাই , হতেও পারে । হয়ত এই সম্পর্কে কারো কোন লেখা থাকতে পারে ।

১১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:১৭

তপ্ত সীসা বলেছেন: জেনারেল খালিদের এদ্দিন পর মাথায় রক্ত উঠছিলো কেনু????? হত্যার পর উনি কুতায় ছিলেন কি কইচ্চিলেন গাতি জানতে চায়......

১২| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:২৪

ডার্ক ম্যান বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের মহাবীর খালেদ মূলত ক্ষমতার জন্যই ক্যু করেছিলেন। তিনি খুনীদের দেশত্যাগে কোন বাঁধা দেন নি। কিন্তু ভাগ্য আর তাঁর ভুল কৌশলের খেসারত দিতে হয়েছিলো নিজের জীবন দিয়ে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.