![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
\\\" আমার মায়ের প্রতি আমার বাবা, যেদিন বাতাসে ছুঁড়ে দিয়েছিলেন প্রথম চুমু, তার থেকেই জন্ম নিয়েছিল পৃথিবীর প্রথম প্রজাপতি টি\\\"\\[email protected]
আমি অত্যন্ত অবাক হয়ে লক্ষ করলাম , আমাদের প্রজন্মের তো বটেই এই প্রজন্মের অনেকেই আহমেদ ছফা কে এটা জানেনা । এটা দেখে আমি ভীষণ আতঙ্কিত ।যে জাতির শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবীকে সেই জাতির প্রজন্ম জানে না এর চেয়ে অসহায় অবস্থা সেই জাতির জন্য আর কি হতে পারে ? আমি ব্যাক্তি গত ভাবে মনে করি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্ম থেকে ধরলে এখন পর্যন্ত তাঁর সমপর্যায়ের লেখনি প্রতিভা আর জন্মায় নি , আমি অন্তত দেখিনা । হুমায়ুন আজাদ ভিন্ন আদর্শের । স্বাধীন বাংলাদেশের প্রায় অধিকাংশ রথী মহারথী লেখকদের পীর তিনি , এই তালিকায় হুমায়ুন আহমেদ থেকে রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ রাও আছেন । তাঁর রচনা পড়লে বুঝা যাবে তাঁর লেখার স্টাইল এখনো দেশের অধিকাংশ লেখক তা অনুসরণ করেন তা সে চেতন বা অচেতন ভাবে যেটাই হোক না কেন ।
যা হোক , ছফার অনেক হারানো লেখাকে লেখক সাংবাদিক নুরুল আনোয়ার এক করে একটি বই আকারে প্রকাশ করেছেন । লেখা গুলি লেখকের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লেখা কলাম ও দেয়া সাক্ষাৎকার ।আমি তাঁর কাছ থেকে ধার করে ছফার বিভিন্ন সময়ে লেখা লেখাগুলি একটি সিরিজ আকারে সামহোয়ার ইন ব্লগের পাঠকদের জন্য শেয়ার করছি । আজ থাকল তাঁর প্রথম পর্ব -
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে আমি একবার অত্যন্ত কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছিলাম । দেড় বছর আগের কথা । বুড়িগঙ্গার অপর পাড়ে কামরাঙ্গির চরে হাফেজ্জি হুজুরের মাদ্রাসার বার্ষিক সভায় আমাকে কিছু বলার জন্য আমন্ত্রণ জানান হয়েছিল । আমাদের দেশের মুখ চেনা বুদ্ধিজীবীদের একটা বিরাট অংশ মোল্লা – মাওলানাদের মানুষ মনে করতে চান না ।আমি এই মনোভাবটির বিরুদ্ধে অনেক দিন থেকেই প্রতিবাদ করে আসছি ।একজন মানুষ টুপি পরে ,দাঁড়ি রাখে , লম্বা জামা পরে এ সকল কারণে মানুষটি অমানুষ হয়ে যায় – এই রকম একটি ধারণা সৃষ্টি করার জন্যে এক ধরণের তৎপরতা লক্ষ্য করা যায় ।নাটক সিনেমায় ক্রিমিনাল দেখাতে হলে একজন টুপিপরা দাড়িওয়ালা মানুষকে ষ্টেজে হাজির করতে হয় ।এই মনোভাব বর্ণবৈষম্যবাদের মতই জঘন্য এবং নিন্দনীয় ।
যা হোক , আসল কথায় ফিরে আসি ।আমি যখন হুজুরদের সভায় গিয়ে বসলাম ,তার অল্পক্ষণ পরেই দেখা গেল সভার উপস্থিত লোকজনদের মধ্যে একটা চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে ।তার একটু পরেই এলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি লে. জে. হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।একেবারে নিকট থেকে এই প্রথম তাকে দেখার সুযোগ হল ।ছিমছাম চেহারার দীখলদেহি মানুষ।পাঞ্জাবি পায়জামা এবং টুপিতে এরশাদ সাহেবকে সত্যি সত্যি একজন মুসল্লির মতন দেখাচ্ছিল ।এরশাদ সাহেব এত সুন্দর চেহারার মানুষ আগে কোন ধারণা ছিল না ।
দীর্ঘ এক ঘণ্টা ধরে তার বক্তৃতা শুনলাম ।আমার ধারণা হল, এই ভদ্রলোক ইচ্ছা করলে অত্যন্ত নরম জবানে গুছিয়ে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারেন ।এরশাদ সাহেব অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে একটানা প্রায় দশ বছর বাংলাদেশ শাসন করেছেন ।একজন স্বৈরাচারী একনায়কের পক্ষে একটানা দশ বছর ক্ষমতায় থাকা কম কৃতিত্বের কথা নয় ।এরশাদ সাহেবের ক্ষেত্রে এটা সম্ভব হয়েছিল ।কারণ তিনি সামরিক শাসনের কড়াকড়ির মধ্যে নরম জবানের একটা সুন্দর সমন্বয় সাধন করতে পেরেছিলেন। আমার ধারণা , এরশাদ সাহেবের মানুষকে বোকা বানানোর ক্ষমতা ছিল অসাধারণ ।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন থেকে রাজনৈতিক আন্দোলন দানা বেঁধে উঠেছিল ।এক পর্যায়ে বি এন পি আওয়ামী লীগ এবং এগারো দল সহ সমস্ত রাজনৈতিক দল এরশাদ সাহেবকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য রাজপথে নেমে এসেছিল । সে বিষয়ে কোন কিছু পুনরাবৃত্তি করার প্রয়োজন নেই ।সকলে জানেন বিক্ষুব্দ জনগণের দুর্বার গণআন্দোলনের মুখে এরশাদকে ক্ষমতা ছেড়ে কারাগারে যেতে হয়েছিল ।
আমি এরশাদ সাহেবের উপর শুরু থেকেই একটা বিরোধী মনোভাব পোষণ করে আসছিলাম । কারণটা রাজনৈতিক নয় ।তিনি ক্ষমতা দখল করার পর কবিতা লিখতে আরম্ভ করলেন। সবগুলো দৈনিকের প্রথম পাতায় তাঁর লেখা পদ্য ঘটা করে ছাপা হতে থাকল ।এটুকুর মধ্যে যদি এরশাদ সাহেব সীমাবদ্ধ থাকতেন আমার ক্ষোভটা হয়ত অত তীব্র আকার ধারণ করতো না । তিনি তাঁর অধীনস্থ আমলাদের মধ্যে কবিতা লেখার বাতিকটা এত অধিক পরিমাণে সঞ্চারিত করতে পেরেছিলেন যে সেক্রেটারিদের মধ্যে কেউ কেউ অফিসে আসামাত্রই অন্য সেক্রেটারিদের বিগত চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে কত লাইন কবিতা লেখা হয়েছে সেটা পাঠ করে শোনাতেন ।
এরশাদ সাহেব রাজনীতিতে যেমন একটা দল গঠন করলেন , কবিদের নিয়েও আর একটা কবিতার দল বানালেন।সে এক মহা রমরমা কাণ্ড । বঙ্গভবনে কবিতা পাঠের আসর বসে। সেখানে এরশাদ সাহেব স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন এবং মোসাহেব কবিরা দাড়ি নেড়ে মাথা দুলিয়ে কর্তাকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, আপনার কবিতা বাংলা কাব্যে নতুন যুগের সূচনা করতে যাচ্ছে । কথাগুলো পত্র - পত্রিকায় এত জোরের সঙ্গে প্রচারিত হয় যে আমার বিশ্বাস করতে ইচ্ছা হত, ক্ষমতা দখল করার পর থেকে এরশাদ সাহেবের মধ্যে ক্রমশ একটা নতুন কবিসত্তা জন্ম নিতে আরম্ভ করেছে । এরশাদ সাহেবের সঙ্গে অন্যান্য স্বৈরাচারী একনায়কদের ফারাক কোথায় সে ব্যাপারেও সামান্য ধারণা জন্মাল । এরশাদ সাহেব রাষ্ট্রপ্রধান হওয়ার পর শুধু কবি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেন না , দিকে দিকে একজন মস্ত প্রেমিক হিসেবেও তাঁর সুনাম রটে গেলো। এরশাদ সাহেব যখন ক্ষমতার মধ্যগগনে সে সময় আমরা কতিপয় বন্ধু মিলে ‘উত্তরণ’ নামাঙ্কিত একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা চালাতাম। বাংলা একাডেমীর এক তৎকালীন কর্মকর্তা আমাকে একটা গান দেখালেন। গানটির লেখক ছিলেন সুরেন্দ্রলাল ত্রিপুরা। এই ভদ্রলোক রাঙ্গামাটিতে উপজাতীয় একাডেমীর একজন কর্মকর্তা ছিলেন । তিনি একটি গান লিখেছিলেন , সে গানটির প্রথম যে পক্তি ছিল – ‘নতুন বাংলাদেশ গড়ব মোরা / নতুন করে আজ শপথ নিলাম’ ।এই গানটি উপজাতীয় একাডেমী থেকে প্রকাশিত বার্ষিক সংকলনটিতে ছাপা হয়েছিল।এই বার্ষিক সংকলনটি দেখে আমি ভীষণ ক্ষিপ্ত এবং মর্মাহত হয়েছিলাম। কারণ প্রায় প্রতিদিন এ গানটি রেডিও টেলিভিশনে গাওয়া হত এবং রচয়িতা হিসেবে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নাম দেখান হত। একটি দেশের প্রেসিডেন্ট একজন সাধারণ নাগরিকের লেখা একটি গানকে নিজের গান বলে চালিয়ে দিয়ে গীতিকার খ্যাতি পেতে চান , এটা আমার কাছে অত্যন্ত গর্হিত অপরাধ বলে মনে হয়েছিল।
আমি এটাও অনুভব করছিলাম যে এই গানচুরির সংবাদটি দেশের মানুষদের জানানো প্রয়োজন ।অনেক দৈনিক সাপ্তাহিকের পেছনে আমি ছোটাছুটি করেছি ।দেখলাম তাদের অনেকেই এই গানচুরির বিষয়টি জানেন।কিন্তু খবরটি ছাপাতে কেউ রাজি নন। রাঙ্গামাটির এক চাকমা বন্ধু জানালেন, আমি যদি এই গানটি নিয়ে বাড়াবাড়ি করি তাহলে সুরেন্দ্রলাল ত্রিপুরাকে বিপদের মধ্যে ফেলে দেওয়া হবে।একাডেমী থেকে তাঁর চাকরিটা যাবে এবং মাথা বাঁচানো দাঁয় হয়ে পড়বে ।অগত্যা আমাদের কাগজে সংবাদটি ছাপলাম। ‘এরশাদ সুরেন্দ্রলাল ত্রিপুরার গান চুরি করেছে’ । সংবাদটি এভাবে ছাপলে আমাদের পত্রিকার সেটি শেষ প্রকাশিত সংখ্যা হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তাই উল্টো করে খবরটা ছাপতে হল । আমরা ছাপলাম, সুরেন্দ্রলাল ত্রিপুরা দেশের রাষ্ট্রপতি গীতিকার হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের গান চুরি করে উপজাতীয় একাডেমীর বার্ষিক সংকলনে ছেপেছে । সুতরাং সুরেন্দ্রলাল ত্রিপুরার শাস্তি হওয়া উচিত । এই ঘটনাটির পর থেকে এরশাদ সাহেবের প্রতি আমার মনে একটা ঘৃণা এবং অনুকম্পা গভীরভাবে রেখাপাত করেছে।
এরশাদ সাহেব গণআন্দোলনের দাপটে বাধ্য হয়ে ক্ষমতা ছাড়লেন । বেগম খালেদা জিয়া সরকার তাকে কারাগারে পাঠাল। তাকে কি ধরণের করুণ জীবন যাপন করতে হচ্ছে , সে সংবাদ মাঝে মধ্যে কাগজে ছাপা হত । পাঠ করে আমার মনে এক ধরণের কষ্ট জন্ম নিত। আহা মানুষটা অল্প কিছুদিন আগেও প্রচণ্ড দাপটের সঙ্গে বারো কোটি মানুষকে শাসন করেছে । আজ তাঁর কি দুর্দশা ।
এরশাদ অনেক ধরণের নালিশ করতেন । তাকে ঘিঞ্জি সেলে রাখা হয়েছে , সংবাদপত্র দেওয়া হয় না। যে সব খাবার দেওয়া হয় সেগুলো মুখে দেওয়ার অযোগ্য ইত্যাদি ইত্যাদি ।এরশাদের কারাবাসের সময়ে কারারুদ্ধ রাষ্ট্রপতির বেগম জিনাত মোশাররফের উথলানো দরদের কথাও সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছে। বেগম জিনাত এরশাদকে প্যান্ট , শার্ট , পায়জামা , পাঞ্জাবি , গেঞ্জি এবং অন্তর্বাস জেলখানায় নিয়মিত পাঠাতেন এবং তাঁর মন কম্পাসের কাঁটার মত কারারুদ্ধ এরশাদের প্রতি হেলে থাকত। এরশাদের জন্য কষ্ট পেতাম ঠিকই , কিন্তু তাঁর সৌভাগ্যে এক ধরণের ঈর্ষাও বোধ করতাম।
এরশাদ এখন ক্ষমতায় নেই। তিনি কারাগারে দুঃখ দুর্দশার মধ্যে দিন অতিবাহিত করছেন। এই চরম দুঃসময়েও সুসময়ের বান্ধবী জিনাত মোশাররফ অনেকটা ঝুকি নিয়ে এরশাদের সুখ সুবিধার দিকে মনোনিবেশ করছেন ।বেগম জিনাত এরশাদের প্রতি অনুরাগ প্রকাশ করতে গিয়ে তাঁর নিজেরসংসারটি ভাঙতে বাধ্য হয়েছিলেন । আমি মনে মনে এই মহিলার খুব তারিফ করতাম । এরশাদ যখন জেল থেকে মুক্তি পেলেন তখন পত্র পত্রিকার সাংবাদিকদের কাছে পাঁচকাহন করে জিনাতের প্রতি তাঁর অনুরাগের কথা প্রকাশ করলেন। কিন্তু একটা সময়ে যখন তিনি অনুভব করলেন যে , তিনি জিনাতকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করতে পারবেন না , তখন তাকে পচা কলার খোসার মত নির্মম অবজ্ঞায় ছুঁড়ে দিলেন।
এরশাদের এই কাজটি আমার গানচুরির কাজটির চাইতেও অধিক জঘন্য মনে হয়েছিল।
এরশাদ লোভী , প্রতারক এবং ভণ্ড নয় শুধু একজন কাপুরুষও বটে । পশ্চিমা দেশগুলোতে নারী – পুরুষের সম্পর্ক অধিকতর খোলামেলা । সেখানে কোন রাজনিতিবিদ যদি কোন নারীর সঙ্গে ধরণের কাপুরুষোচিত আচরণ করত তাহলে সেখানেই তাঁর রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটতো । আমি মনে মনে এরশাদকে এই ভাবে মূল্যায়ন করেছিলাম ।এরশাদের কবিতা নকল , গান নকল , পুত্র নকল , প্রেম নকল এমনকি আস্ত এরশাদ মানুষটাই একটা নকল মানুষ । আমাদের এই জাতি অত্যন্ত ভাগ্যবান কারণ একজন আগাগোড়া নকল মানুষ দশটি বছর এই জাতিকে শাসন করেছে।
আমার মূল্যায়নের পদ্ধতিটা কিছুটা ভাবাবেগজনিত । যে সমস্ত মানুষ খুব ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তাভাবনা করতে অভ্যস্ত , এরশাদ সম্পর্কে সে রকম অনেক মানুষের মতামত আমি জানতে চেষ্টা করেছি । তাদের মধ্যে যে সমস্ত মানুষ সরাসরি এরশাদের দ্বারা বিশেষভাবে উপকৃত হয়নি সে সমস্ত ব্যাক্তি ছাড়া অন্য সকলেই আমাকে বলেছে , এরশাদ অত্যন্ত খারাপ মানুষ। আর এরশাদ যে খারাপ মানুষ সে ব্যাপারে অধিকাংশ মানুষ একমত ।
এখন এরশাদ সম্পর্কে আমার মনে যে একটা বিস্ময়বোধ জন্ম নিয়েছে , সে বিষয়ে কিছু কথা বলব । এরশাদকে যখন মামলার পর মামলায় অভিযুক্ত করে খালেদা জিয়া সরকার জেলখানায় ঢোকাল, অনেকের মত আমিও ধরে নিয়েছিলাম এরশাদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ । যে কৃষ্ণগহবরের মধ্যে এরশাদ ঢুকেছেন সেখান থেকে কোনদিন বেরিয়ে আসতে পারবেন না । দু’বছর না যেতেই আমার ধারণা মিথ্যা প্রমাণিত হল । ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের পর হাসিনা এবং খালেদা দুই নেত্রীকে করজোড়ে এরশাদের সামনে হাজির হতে হল । খালেদা জিয়া বললেন , আপনি আমার দলকে সমর্থন করুন , আপনার সমর্থনে আমার দল যদি সরকার গঠনে সক্ষম হয় , আপনাকে রাষ্ট্রপতি বানাব। এরশাদ খালেদার আবেদনে কর্ণপাত করলেন না , কারণ এই মহিলার উপর তিনি ভয়ানক ক্ষুব্ধ । মহিলা তাঁকে জেলখানায় পাঠিয়েছেন । সুতরাং তাঁর সঙ্গে কোন রকমের বোঝাপড়া কিছুতেই হতে পারে না।
হাসিনা বললেন, আপনি আমার দলকে সমর্থন করে আমাদেরকে সরকার গঠন করার সুযোগ করে দিন । আমরা আপনার সবগুলো মামলায় জামিনের ব্যাবস্থা করব এবং আপনাকে মুক্তমানব হিসাবে কারাগারের বাইরে নিয়ে আসব ।বাস্তবিকই হাসিনা এরশাদের সমর্থন নিয়ে ঐক্যমতের সরকার গঠন করলেন এবং এরশাদ সাহেব বাইরে চলে এলেন ।এরশাদ সাহেবের সমস্ত রাজনৈতিক ক্রিয়াকালাপের সঙ্গে টান টান দড়ির উপর দিয়ে চীনা অ্যাক্রোব্যাট মেয়েরা যেভাবে সাইকেল চালায় তাঁর সঙ্গে তুলনা করা যায় । পরিস্থিতি যতই খারাপ এবং অনিশ্চিত হোক না কেন , তিনি ঠিকই নিরাপদে তাঁর কাজটি করে যাবেন ।
বেশ কিছুদিন বাইরে থাকার পর এরশাদ আবার নতুন একটা মোচড় দিলেন।সর্বত্র বলে বেড়াতে লাগলেন আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে রসাতলের দিকে ঠেলে দিচ্ছে ।এখন থেকে তিনি এই সরকারের বিরোধিতা করবেন । কারণ এই সরকারের ইতিবাচক কোনকিছু অবদান রাখার ক্ষমতা নেই । তারপর বেগম খলেদা জিয়া জামাতের সঙ্গে মিলে চারদলীয় ঐক্যজোট গঠন গঠন করলেন ।চারদলীয় ঐক্যজোটের কর্মপদ্ধতি এবং রূপরেখা যখন আকার পেতে শুরু করেছে সে সময়ে একটি পুরনো মামলায় এরশাদকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং পাঁচ কোটি টাকা জরিমানা । জরিমানার টাকা যদি শোধ করতে না পারে তাহলে আরও দু’ বছর জেল খাটতে হবে ।
এরশাদ সুপ্রিম কোর্টে আপিল করতে যাচ্ছেন, এ সময়ের মধ্যে আদালত থেকে জানানো হয়েছে তাঁকে দু’বছরের কম সময় জেলের মধ্যে থাকতে হবে । কেননা আগে যতটা সময় তিনি জেলে ছিলেন , তাতে পাঁচ বছরের মেয়াদ থেকে সে সময়টা কাটা যাবে । এরশাদের আপিলে কি রায় দেয়া হবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলার উপায় নেই । হয়ত এরশাদের দণ্ডাদেশ বহাল থাকবে। হয়ত তাঁকে মুক্তি দেয়া হবে । কিন্তু আমি আমার একটা আশংকার কথা উচ্চারণ করতে চাই । এরশাদ বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটা পারমাণবিক বর্জ্যপদার্থের মত হয়ে দাঁড়িয়েছে ।পারমাণবিক বর্জ্যপদার্থের তেজস্ক্রিয়তা অনন্তকাল ধরে টিকে থাকে । বাংলাদেশের রাজনীতিতে এরশাদ একটা নিয়ন্ত্রকের ভুমিকা পালন করছেন । হাসিনা – খালেদার সাধ্য নেই এরশাদকে কোঁথাও ছুঁড়ে ফেলে দেয়ার ।
কারণ হাসিনা খালেদা যে ধরণের রাজনীতি করছেন এরশাদের অবস্থান সে ধরণের রাজনীতির মধ্যেই । আমাদের দেশে অনেক লোক ব্যাক্তি হিসেবে এরশাদের নিন্দা করে থাকেন। হাসিনা – খালেদা ভালো কি মন্দ সেটা পুরোপুরি আমরা জানি না । কিন্তু তাদের রাজনীতি এরশাদের রাজনীতির সাথে যুক্ত এবং তাদের রাজনৈতিক নিয়তির নিয়ন্ত্রকের ভুমিকা এরশাদই পালন করে থাকেন । এই দেশের ভাগ্য , দেশের জনগণ অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার মাধ্যমে সামরিক শাসনের কব্জা থেকে দৃশ্যত একটা গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন । কিন্তু সেই সামরিক শাসনের একনায়ক মানুষটিকে কিছুতেই সরানো যাচ্ছে না ।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:২১
সাদী ফেরদৌস বলেছেন: ইন্টারেস্টিং তথ্য জানলাম কবিতাটির প্রেক্ষাপট জানা ছিল না ।
শুভ কামনা জানুন ।
২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৫
হাসান রাজু বলেছেন: টান টান উত্তেজনার সিনেমা দেখলে যেমন স্থির হয়ে বসে থাকা যায় না । তেমনি নির্বাচনের সময় এরশাদের পলটিবাজিতে আঃলীগ বিএনপি র সমর্থকরা ও স্থির হয়ে বসতে পারে না । তখন এরশাদের কার্যকলাপ হিচককের সিনেমার সাপেন্সকে ও হার মানায় ।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩২
সাদী ফেরদৌস বলেছেন: তখন এরশাদের কার্যকলাপ হিচককের সিনেমার সাপেন্সকে ও হার মানায় ।
বেস্ট কমেন্ট অব দা ইয়ার
৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৪
সাহসী সন্তান বলেছেন: এরশাদের বর্তমান কার্যকলাপ এবং তার কথাবার্তা শুনলে তো এটাই ভুলে যাই যে সে এক সময় এই দেশের রাষ্ট্রপতি ছিল! গ্রেফতারের ভয়ে যে ব্যক্তি আত্মহত্যা করার চিন্তা করে সে আর যাই হোক রাজনীতিবিদ হতে পারে না! কিন্তু দূর্ভাগ্যক্রমে এরশাদ কিন্তু সেই রাজনীতিবিদ-ই হয়ে গেলেন?
পোস্ট ভাল লাগছে। শুভ কামনা জানবেন!
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৩
সাদী ফেরদৌস বলেছেন: একজন সেনা প্রধানের কাছ থেকে এটা আশা করা না গেলেও এরশাদের কাছে এটা কিছু না ।
এই লোক কিভাবে সেনা প্রধান ছিল আর কিভাবে এই দেশ ১০ বছর শাসন করলো ভাবলে আমি নিজে কোন কূলকিনারা পাই না ।
৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৪
গেম চেঞ্জার বলেছেন: হাজার হোক জেনারেল এরশাদের সময় দেশের মানুষ অনেকটাই শান্তিতে ছিল। যেটা দুই বেগমের সময় কখনোই হয় নাই।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৪
সাদী ফেরদৌস বলেছেন: কি জানি ভাই , এটা অনেক তর্কের বিষয় । আমি আপনার সাথে কোন মত পোষণ করতে চাই না এই বিষয়ে ।
৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৬
ঢাকাবাসী বলেছেন: এদেশে কোন রাজনীতিবিদটা এরশাদের চাইতে ভাল দেখানো যাবে। আহমদ ছফার নাম তো দুর কি বাত বাংলায় আবার কবিতা লেখা যায় কিনা সেটাই ভুলে যাবে এ প্রজন্ম। ইংরেজি তো ভুলেই গেছে। পরিচিত মুখ প্রয়াত আন্চলিক ভাষায় কথা বলতে আনন্দ পাওয়া আহমদ ছফার লেখা শেয়ার করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০০
সাদী ফেরদৌস বলেছেন: আপনার প্রথম কথাটার জবাবে আমি বলবো , সেটা অনেক তর্কের বিষয় ।আমি কিছু বলতে চাই না , তবে এটুকু বলব , আমরা যত কিছুই বলি এখন পর্যন্ত হাসিনা খালেদা ছাড়া দেশ অচল ।
ইংরেজি তো ভুলেই গেছে মানে বুঝলাম না । এদেশের অধিকাংশ বাচ্ছারা তো বাংরেজি বলছে ।
ছফা কি আপনার পরিচিত ?
আপনাকে অনেক শুভকামনা ।
৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৬
সঞ্জয় কুমার সাহা বলেছেন: সত্য কথাই বলেছিলেন আহমেদ ছফা
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫১
সাদী ফেরদৌস বলেছেন: অবশ্যই সত্য বলেছেন , শুভ কামনা জানবেন ।
৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৮
সুমন কর বলেছেন: চমৎকার শেয়ার। অনেক ধন্যবাদ।
পোস্টে ভালো লাগা রইলো।
ছফা সাহেব ঠিকই বলেছেন, এরশাদের কবিতা নকল , গান নকল , পুত্র নকল , প্রেম নকল এমনকি আস্ত এরশাদ মানুষটাই একটা নকল মানুষ । আমাদের এই জাতি অত্যন্ত ভাগ্যবান কারণ একজন আগাগোড়া নকল মানুষ দশটি বছর এই জাতিকে শাসন করেছে।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫৪
সাদী ফেরদৌস বলেছেন: আপনাকেও শুভকামনা ।
কথাটা অনেক ফানি লেগেছে আমার কাছে
আচ্ছা পুত্র নকল মানে কি ? উনি কি পুত্র নকল করেছিলেন ? আমি শুনেছিলাম তাঁর একটা পালিত কন্যা ছিল ।
৮| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: চমৎকার শেয়ার।
অনেক ধন্যবাদ।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫৩
সাদী ফেরদৌস বলেছেন: আপনাকে অনেক শুভেচ্ছা প্রিয় ব্লগার
কষ্ট সার্থক
৯| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:০০
হানিফ রাশেদীন বলেছেন: ভালো লাগালো।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫৫
সাদী ফেরদৌস বলেছেন: খুশি হলাম ,
অনেক শুভকামনা ।
১০| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩০
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: উনি উনার দেখা নানা সময়ের কথা লিখে গেছেন। সেই সময়গুলোকে বোঝার কিংবা উপলব্ধি করবার জন্য সেগুলো অকাট্য দলিলের মত।
এরশাদকে নিয়ে বলার কিছুই নেই। আমাদের রাজনীতির প্রধান দুই ধারার কোথাও বিরাট একটা ঘাপলা আছে, নাহলে এরশাদের মত কুটিল লোককে এদের ছুড়ে ফেলে দেবার কথা। স্বৈরাচার যখন দেশের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দুত হয় তখন সেইটা কি বার্তা বহন করে আমি জানিনা। খালেদা আসলেও উনিও তাকে বিশেষ মর্যাদাই দান করবেন। এদের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই তামাশা দেখতে হবে।
ছফা আঙ্কেল একসময় আমাদের প্রতিবেশী ছিলেন। আমার ভাগ্যে খেলনা কম জোটার পেছনের কারনটা উনি। কোন এক সময়ে নাকি আমার বাপ মায়ের আমার বড়ো ভাইকে অতিরিক্ত খেলনা কিনে দেয়া দেখে বলছিলেন বাচ্চাদের এইসব খেলনা না দিয়ে সাধারনভাবে বড় করতে। তার কথায় আমার বাবা মা হিপ্নোটাইজড হইয়া যায়। ততদিনে আমার বড় ভাইয়ের দিন শেষ, কিন্তু আমি জন্ম নিছি কেবল। তবু আমার কপালে আমার ভাইয়ের পুরান খেলনা ছাড়া কিছু জুটেনাই। তবে লাট্টু, গুলতি, ঘুড্ডি এইসব নিয়া অবাধ বিচরন ছিলো। এইসবে বাঁধা ছিলনা।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২৯
সাদী ফেরদৌস বলেছেন: মাই গড , বলেন কি
ছফা কে কি আপনি বুঝার বয়সে দেখেছেন ? মানে যখন বুঝতে শিখেছেন -
তাঁর সাথে কি কোন স্মৃতি আছে ? এই সম্পর্কে একটা লেখা পেতে পারি কিংবা আহমদ ছফা সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন নিয়ে কোন পোস্ট ।
আচ্ছা যাই হোক , আপনার কথার জবাবে আমি বলবো , আসলে পলিটিক্স এই শব্দটার কারনেই এরশাদের এত গুরুত্ব ।
এই দেশের মানুষ কত বোকা ,তারা পলিটিক্স বুঝে না ।
১১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১২
তাপস কুমার দে বলেছেন: আমি আর কি বলবো এরশাদকে তো পচায় দিলো।
১২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৬
থিওরি বলেছেন: আহমদ ছফার কলাম কি চলবে?
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২৪
সাদী ফেরদৌস বলেছেন: হ্যাঁ অবশ্যই , এখন থেকে নিয়মিত চলবে । দেখি কত পর্ব করা যায় ।
১৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৫৫
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: স্মৃতি বলতে ছোটবেলার স্মৃতি সব। উনি যখন মারা যান তখনও উনি কি এইসব বোঝার সময় হয়নাই। তখন অন্য কোথায় যেন চলে গেছিলেন। আমাদের প্রতিবেশি ছিলেন। আব্বু আম্মুর সাথে খুব খাতির ছিলো। একাই থাকতেন এটুকু মনে আছে। আপনি আপনি করে ডাকতেন আমাদের মজা করে। এটুকু বুঝতাম যে মানুষটার মধ্যে কোন খাদ নাই। আর উনার জন্য অন্য মুল্যায়নের দরকার নাই।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:১৫
সাদী ফেরদৌস বলেছেন: ূল্যায়ন বলতে বুঝাচ্ছি উনার কাজ ও কর্ম সম্পর্কে আপনার কাছ থেকে একটা পোস্ট আশা করছি ।
১৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৪১
রাফা বলেছেন: এরশাদকে নিয়ে আলোচনাই অনর্থক।এরশাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট হিজড়াদের সাথেই মিলে।(হিজড়াদের ছোট করার অভিপ্রায়ে বলছিনা)
আমাদের রাজনিতীতে পলিটিক্স ঢুকে আজকের অবস্থানে এসেছে।এক সময় রাজনিতীটা ছিলো সত্যিকার অর্থেই সৎ-মানুষদের জন্য।
আর এখন ঠিক তার বিপরিত স্রোতেই চলছে।
হুমায়ুন আজাদ ও আহমেদ ছফারা চামচাজিবী ছিলোনা বলেই তাদেরকে কেউ মনে রাখেনি।তাদের লেখাও কেউ পড়তে চায়না এখন।
শেয়ার করার জন্য,ধন্যবাদ-আপনাকে।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৪
সাদী ফেরদৌস বলেছেন:
মজা পেলুম আপনার কথা শুনে , আপনার সাথে পুরোপুরি সহমত ।
স্বৈরশাসক হতে হলে লৌহ মানব টাইপ হতে হয় , এরশাদের মতো মহা গর্দভ একটা লোক দশ বছর কিভাবে এই দেশ শাসন করেছে এটা এখন আর আমার বিশ্বাস হয় না । কি বিচিত্র
১৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:১২
ডি মুন বলেছেন: ছফাকে ভালো লাগে।
লোকটা সোজা কথা সোজা করেই বলতেন।
স্পষ্টবাদী এমন লোক পাওয়া মুশকিল।
ছফার প্রতি শ্রদ্ধা।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:০৬
সাদী ফেরদৌস বলেছেন: ঠিক বলেছেন ।
ছফার প্রতি আমাদের সবার বিনম্র শ্রদ্ধা ।
১৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৪
ফাহমিদ আল ফারিদ বলেছেন: ধন্যবাদ
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩০
সাদী ফেরদৌস বলেছেন: শুভেচ্ছা
১৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৮
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: রশাদ হিজড়া না, সে তালে এক্কেবারে ঠিক। ধুর্ত প্রকৃতির লোক। তাই ওরে কেউ ফেলতে পারেনা। দুই নেত্রীই ওরা জামাই আদর করে।
আহমেদ ছফাকে নিয়ে লেখার কথা মাথায় থাকলো। অনেক লেখাই পড়িনাই উনার। কয়টা লেখা বাকী আছে, ওইগুলা নিয়েই গুতাগুতি করতেছি। অবে নতুন প্রজন্ম ইদানিং আহমেদ ছফার লেখাও ফেসবুকে শেয়ার দেয়, ব্যাপারটা ইতিবাচক।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৪
সাদী ফেরদৌস বলেছেন: সহমত , এরশাদ চরম ধূর্ত সাথে ছফার ভাষায় একটা সুন্দর জবান ছিল আর মানুষকে বোকা বানানোর বিরল প্রতিভা । এই জন্যই সে সারভাইভ করে গেছে এবং যাচ্ছে ।
আহমেদ ছফার লেখা ফেছবুকে শেয়ার দেয় এদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের ছেলে মেয়েরা , এছাড়া আর কেউ না ।
তবে তরুন প্রজন্মের মধ্যে অনেকের তাঁকে নিয়ে আগ্রহ আছে । বেশ ভালো আগ্রহ । পোষ্টের অপেক্ষায় থাকলুম
১৮| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৫
আব্দুল্যাহ বলেছেন: এরশাদ বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটা পারমাণবিক বর্জ্যপদার্থের মত হয়ে দাঁড়িয়েছে ।পারমাণবিক বর্জ্যপদার্থের তেজস্ক্রিয়তা অনন্তকাল ধরে টিকে থাকে । বাংলাদেশের রাজনীতিতে এরশাদ একটা নিয়ন্ত্রকের ভুমিকা পালন করছেন । হাসিনা – খালেদার সাধ্য নেই এরশাদকে কোঁথাও ছুঁড়ে ফেলে দেয়ার ।
১০০% সত্য কথা
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৭
সাদী ফেরদৌস বলেছেন: অসাধারণ একটা কথা , অসাধারণ একটা উপমা ।
১৯| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৭
নূর আলম হিরণ বলেছেন: ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। আর এরশাদের অধ্যায়টা বাংলার ইতিহাসে এক হাস্যকর অধ্যায়ই মনে হয় আমার কাছে!
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৯
সাদী ফেরদৌস বলেছেন: হাঁসি আসলেও এটা সত্য এই মহা গর্দভটা দশ বছর এই দেশের মানুষকে ভেড়া বানিয়ে রেখেছিল ।
২০| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৫
আব্দুল্লাহ বিন হাবিব বলেছেন: মানুষ মরে গেলে পঁচে যায় বেঁচে থাকলে বদলায়, কারণে অকারণে বদলায়।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৪
সাদী ফেরদৌস বলেছেন: আপনি কি বলতে চাচ্ছেন বুঝতে পারলাম না , আপনি কি এরশাদের পক্ষে সাফাই গাইছেন মুনির চৌধুরীর নাটকের ডায়ালগ বলে ?
ভাই মানুষ পরিবর্তনশীল ঠিক আছে , কিন্তু এরশাদের কাজ গুলা পরিবর্তন বা বদলানো না , এই বিশ্ব বেহায়ার কাজ গুলা নিজ স্বার্থ সফল করার ক্রমাগত হীন ও অত্যন্ত জঘন্য প্রচেষ্টা । এগুলা বারে বারে করাকে পরিবর্তন বলে না , আগে বদলানো আর পলিটিক্সের মাঝে পার্থক্য বুঝুন ।
২১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৭
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: শিক্ষক - পিতা ও পুত্রের বয়সের সমষ্টি ৮২ বছর , পুত্রের বয়স ২ বছর হলে পিতার নাম কি ?
ছাত্রেরা সমস্বরে - এরশাদ ।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪০
সাদী ফেরদৌস বলেছেন:
২২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২৪
নবাব চৌধুরী বলেছেন: সে আসলেই একটা পারমানবিক বর্জ্য।ধন্যবাদ ভ্রাতা আহমদ ছফার লেখা শেয়ার করার জন্য।শুভ রাত্রি।
২৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩২
মানবী বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদ বরাবর তাঁর লেখক ঝিবনে আহমেদ ছফার অবদান স্বীকার করে গেছেন।
আহমেদ ছফা খুব সম্ভবত গলার ক্যান্সারে আক্রান্ত হন, নিজের শেষের দিনগুলোতে এক সময় হুমায়ুন আহমেদকে ফোন করেছিলেন, আর সেই ফোনালা্প জানতে পারি হুমায়ুন আহমেদের লেখনি থেকে।
আ্হমেদ ছফা আজ জীবিত থাকলে নিঃসন্দেহে জানতেন, স্বৈরশাসক হতে যে সামরিক অরইসার হতে হয়না বা পুরুষ হতে হয়না তা বর্তমান বিশহবে বাংলাদেশ প্রমাণ করেছে।
১৯৯০ এর গণ আন্দোলন সফল হবার পর মানুষ স্বপ্ন দেখে্ছিলো একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের। দুঃকজনক ভাবে আজ এই ২০১৫ তে আবারও জাতি এক সংকটময় অবস্থানে, কালের আবর্তে গণতন্ত্র আবারও স্বৈরশাসকের পদতলে। এবারের অবস্থা আরো ভয়াবহ কারন এবারের স্বৈরশাসক গণতন্ত্রের মুখোশ পরিহিত অধবা "তা"!
২৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩৯
মানবী বলেছেন: আমি জানি শেখ হাসিনাকে যারা অপছন্দ করে আপনি তাদের "পথভ্রস্ট সম্প্রদায়" মনে করেন, তারপরও সত্যকথা গুলো বললাম।
আরেকটি কথা আহমেদ ছফা দেশের বুদ্ধিজীবিদের অন্যতম মানছি তবে হুমায়ুন আজাদকে কোনভাবে দেশের শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবিদের তালিকায় আনা যায় বলে মনে হয়না।
অপ্রিয় কধাগুলো বলার জন্য দুঃখিত। আহমেদ ছফা সম্পর্কে চমৎকার এই লেখাটি আমি অনেকবার পড়েছি, অন্যপর্ব গুলোর অ্পেক্ষা।ধন্যবাদ সাদী ফেরদৌস।
২৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:০১
আব্দুল্লাহ বিন হাবিব বলেছেন: না ভাই! আমি এরশাদের পক্ষে কোন সাফাই গাইছিনা। শুধু এটুকুই বলতে চেয়েছিলাম, মানুষ মরে গেলে পঁচে যায় বেঁচে থাকলে বদলায়, কারণে অকারণে বদলায় কিন্তু এরশাদ কাকু ডিগবাজী খায়!
২৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:২১
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: "হাসিনা – খালেদা ভালো কি মন্দ সেটা পুরোপুরি আমরা জানি না । কিন্তু তাদের রাজনীতি এরশাদের রাজনীতির সাথে যুক্ত এবং তাদের রাজনৈতিক নিয়তির নিয়ন্ত্রকের ভুমিকা এরশাদই পালন করে থাকেন ।" কথাটা চরম বাস্তব!
মঞ্জুর হত্যা মামলার প্রধান অাসামী এরশাদ । অনেক মুক্তিযোদ্ধা সেনা হত্যার জন্য দায়ি । আদর্শগতভাবে জিয়া ও এরশাদ একই গোত্রের । দুজনেই স্বাধীনতাবিরোধীদের পুনর্বাসিত করেছেন ।
কাব্যপৃষ্ঠপোষক হতেই পারেন, এতে দোষের কিছু দেখিনা । তৎকালিন সাহিত্যিকরা কি এ জন্য হিংসাপরায়ন ছিলেন? একটা গান চুরির কথা বলা হয়েছে, গানটা তো অন্য কেউ চুরি করতে পারে; নাম দিয়ে দিতে পারে এরশাদের? এরশাদ হয়ত কী মনে করে উচ্চবাচ্য করেননি ।
এরশাদকে ভালো না লাগলেও একটা কথা বলা যায়, তার সময়ে এত বিশৃঙ্খলা ছিলো না দেশে । অাড়াই দশক ধরে যে দ্বিদলীয় রাজনীতি শুরু হয়েছে, এরচেয়ে এরশাদের অামলই ভালো ছিলো ।
২৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৬
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন:
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৮
সাদী ফেরদৌস বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৮
জেন রসি বলেছেন: এরশাদের এই কবিতা লেখার বাতিক নিয়ে রফিক আজাদ সম্ভবত লিখেছিলেন সব শালা কবি হবে।
আহমদ ছফার কলাম শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।